নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরীচিকা (পর্ব-২৩)

০১ লা মে, ২০১৯ সকাল ৯:৪৬



মরীচিকা (পর্ব-২৪)

-জানেন দাদা, মাস ছয়েক আগে কলকাতা থেকে একদল লোক এসেছিলেন এখানে শুটিং করবেন বলে। চারিদিকে তাবু খাটিয়ে আলোয় আলোকিত করে ওনারা এক অন্য পরিবেশ তৈরি করেছিলেন। দূর থেকে দলে দলে লোক আসতেন শুটিং দেখতে। আমি নিজে এরকম কত লোককে এখানে ভাড়া নিয়ে এসেছি তার কোন হিসেব নেই। কদিনের মধ্যেই স্থানটির নাম হয়ে গেছিল সিনেমাতলা। তারপরে হঠাৎ একদিন আশপাশের গ্রামের লোকেরা দলবেঁধে এসে ওনাদেরকে এস্থান থেকে চলে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। স্থানটিতে অনাচার হচ্ছে যুক্তি দেখিয়ে এলাকাবাসীরা সম্মিলিত ভাবে থানা- পুলিশের দ্বারস্থ হন এবং অবশেষে পুলিশের সাহায্যে ওনাদেরকে শুটিং বন্ধ করাতে সমর্থ হন।
কথা বলতে বলতে হঠাৎ রোহিত জোরে ব্রেক কষলো।
-দাদা! আমরা একদম নিকটে চলে এসেছি। ইঞ্জিনের গাড়ি আর ভিতরে নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। বাকি রাস্তাটা আমরা একটু হেঁটেই যাব।আমরা রোহিতের নির্দেশমতো গাড়ি থেকে নেমে এলাম।ও আমাদের রাস্তা দেখাতে লাগলো। পাইন ইউক্যালিপটাস ও দেবদারু সহ অজানা বৃক্ষরাজির ঘন জঙ্গলের ভিতর দিয়ে শুকনো পাতার উপরে মচমচ করে হাঁটতে হাঁটতে আমরা ক্রমশ এগিয়ে চললাম। হঠাৎ সাপের প্রসঙ্গ আসাতেই আমার সারা শরীরে শীতল স্রোত প্রবাহিত হলো। ছোট থেকেই আমি সাপকে প্রচন্ড ভয় পাই। গ্রামে থাকাকালীন স্নান করার সময় পুকুরে ঢোঁড়া সাপ দেখলে সেই ভয়ে আমি পরবর্তী এক সপ্তাহের মতো ঐ পুকুরে যেতামই না। রোহিত আমার মানসিক অবস্থা বুঝতে পারল,
- দাদা! আমি সামনে যাচ্ছি, আপনারা আমার পিছন পিছনে আসুন।
আগে বেশ কয়েকবার কথা বলতে বলতে এগিয়ে গেলেও এবার রোহিতকে সামনে রেখে আমরা ওর পদাঙ্ক অনুসরণ করে চললাম। কিন্তু আশ্চর্য হলাম শান্তনুর চোখেমুখে কোন পরিবর্তন না দেখে। আরো কিছুটা এগোতেই অবশেষে মন্দিরটি দেখতে পেলাম। পুরানো জীর্ণ মন্দিরটির সারা গায়ে পলেস্তারা নেই বললেই চলে। মোটা মোটা দেয়ালগুলি মধ্যযুগের স্থাপত্য রীতির সাক্ষ্য বহন করছে। সারা শরীরে ছত্রাক ও নানান আগাছা বাসা বেঁধেছে। চার পাশে উঁচু উঁচু গাছ মাথা তুলে দাঁড়াতে মন্দির চত্বরটি চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর ও স্যাঁতসেতে লাগলো।বৃক্ষগুলি সম্মিলিত ভাবে যেন মন্দিরে সূর্যালোকের প্রবেশকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। এহেন মন্দিরের পাশে কিছুক্ষণ দাঁড়াতেই গা ছমছম করে উঠলো। আশপাশে অসংখ্য পাখির কিচিরমিচিরে মনে হলো সকাল নয় এখন যেন সবে সন্ধ্যে হতে চলেছে।আপন মনে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আশপাশে দেখতে দেখতে যখন এসব ভাবছিলাম তখন শান্তনু বলে উঠলো,
-আমি একটু মন্দিরের ভেতরটা দেখব।
আমার ভেতরের অস্বাভাবিকত্ব শান্তনুকে বুঝতে দিলাম না। মুখে বললাম,
-তোমাকে নিরাপদে হোস্টেলে পৌঁছে দেওয়া আমার কর্তব্য। শুনলে তো এখানে সাপ -খোপের উপদ্রব আছে।
আমার কথার প্রতিধ্বনি তুলে রোহিতও একই কথা বললে শান্তনুর চোখেমুখে বেশ বিরক্তির চিহ্ন ফুটে উঠলো। আমি ওর মনোভাবটা বুঝতে পেরে স্থান ত্যাগ করাটা জরুরী মনে করলাম। একটু দূরে ঝিলটিকে আঙ্গুল দেখিয়ে,
-রোহিত এবার আমরা ওই ঝিলটার দিকে একটু যাব।
-হ্যাঁ দাদা চলুন।

যেতে যেতে রোহিতকে উদ্দেশ্য করে বললাম,
-বট গাছটিকে লক্ষ্য করলাম অসংখ্য ঝুড়ি নেমেছে। কিন্তু আসল গাছ কোনটা সেটাই বুঝতে পারছি না। আমি ইতিপূর্বে এমন বটবৃক্ষ হাওড়ার শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনেও দেখেছি। এই গাছটি আকারে অনেক ছোট কিন্তু দেখে মনে হল যেন বোটানিক্যাল গার্ডেনের গাছটির ছোটোভাই।
আমি আবার বললাম,
-আচ্ছা শান্তনু! তুমি কখনো শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে গেছো?
-না। আমার ওখানে যাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি।
-ওকে ঠিকই তো! তোমার মত ছোট বয়সে অনেকেরই ওখানে যাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠে না। এই যেমন আমি নিজেও ওখানে গেছি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন। তবে জীবনে যদি কখনো সুযোগ আসে তাহলে অবশ্যই জায়গাটিতে একবার যাবে এবং দেখবে কি বিশাল গাছ; কতটা জায়গা বিস্তার করে সে দাঁড়িয়ে আছে। অসংখ্য ঝুড়ির মাঝে আসল গাছটিকে খুঁজেই পাবে না। তবে এখানে একটি শিক্ষণীয় দিক কি জানো শান্তনু? মানুষের সমাজে আমরা আসল নকল খুঁজে বেড়াই। কিন্তু উদ্ভিদ কূলে বোধ হয় ওসব তুচ্ছ ব্যাপার। কে প্রাচীন কে নবীন, কে আসল কে নকল -এসব বাছ বিচার না করে বিরাট গাছের বোঝা তারা সম্মিলিত ভাবে বহন করে। আর আমরা বোকা মানুষ, কেবল আসল নকল খুঁজে বেড়াই।

বটবৃক্ষ পার করে আমরা এবার ঝিলের সামনে এসে দাঁড়ালাম। বেশ বড় ঝিল, পরিষ্কার এবং শান্ত জলরাশি। এক নজরে ঝিলটিকে দেখে গায়ে যেন শিরশির করে উঠলো। এরকম নির্জন স্থানে এমন স্নিগ্ধ ঝিলের উপস্থিতির মধ্যে কিছুটা অজানা ভালোলাগা মনে হতেই জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে রোহিতের দিকে তাকাতেই দুহাত কোমরে দিয়ে দাঁড়িয়ে দূরে দৃষ্টি দিয়ে বলতে লাগলো,
-দাদা এই ঝিলের একটা মহত্ত্ব আছে। আশেপাশের গ্রামের লোকেরা নানান দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মায়ের কাছে মানত করেন এবং ঝিলে বড় বড় মাছ ছেড়ে দেন। মাকে ভক্তিভরে নিবেদন করলে মা তাদেরকে রোগ ব্যাধির বিনাশ ঘটান। মায়ের নামে ছাড়া মাছ কেউ কখনো ধরেন না। ঝিলের আরো একটি বিশেষত্ব হল একে কেউ কখনো প্লাবিত হতে দেখেননি। আপনি আজ যে পাতাগুলি পুকুর পাড়ে পড়ে থাকতে দেখছেন আগামীকাল এসে দেখবেন এখানে একটি পাতাও নেই। প্রতিদিন আশপাশের গাছ থেকে এতো পাতা পড়ে কিন্তু সেগুলো কোথায় যায় কেউ বলতে পারেন না। কোন মানুষের পক্ষে এভাবে পরিষ্কার রাখাটাও বাস্তবে অসম্ভব।

কথা বলতে বলতে দেবীর মহাত্মায় রোহিত আবেগময় হয়ে উঠলো। শেষের কথাগুলো বলতে গিয়ে রীতীমতো গলা ধরে এল। শান্তনু বাচ্চাদের মত প্রশ্ন করলো,
-আচ্ছা এত পাতা কারা নিয়ে যায়?
-কারা আবার! মায়ের আশীর্বাদে মুহূর্তেই সব পরিষ্কার হয়ে যায়।
-উনি কখন পরিষ্কার করেন?
-আরে বোকা ছেলে! মা কি কখনো তোমার আমার দেখিয়ে করবেন?
-আচ্ছা আমি যদি একদিন সারাদিন বসে থাকি ওনার কাজটি দেখার জন্য।
- চোখের পলকের মধ্যে কখন উনি কাজটি করবেন তুমি টেরই পাবে না। আর তাছাড়া এখানে সন্ধ্যার পরে থাকাটাও নিরাপদ নয়।
-কেন নিরাপদ নয়?
-তুমি এখনো অনেকটা ছোট আছো। আরেকটু বড় হও বিষয়টি বুঝতে পারবে।

শান্তনুর প্রশ্নগুলির মধ্যে যেমন সরলতা ছিল তেমনি ছিল যুক্তিবোধ। বিষয়টির প্রতি তার আগ্রহ, প্রশ্ন করার ধরন, আমাকে বেশ পুলকিত করলো। অথচ এই ছেলেটিকেই হোস্টেলে অন্য রূপে দেখেছি। ওর সম্পর্কে আমরা তাহলে কতই না ভুল ধারণা পোষণ করেছি। ওর সঙ্গে কথোপকথনকালে রোহিত নিজের ধর্মীয় আবেগকে ধরে রেখে যতটা সম্ভব উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলেও একটা সময় সে কিছুটা বিরক্ত হয়ে বড় হওয়ার প্রসঙ্গ তুলতেই শান্তনুর চোখে মুখে একটা চূড়ান্ত হতাশা বেরিয়ে এলো। কথা বলছিলাম আমরা ঝিলের বাম দিকে কিছুটা ফাঁকা জায়গা দেখে ঘাসের উপর বসে। বেশ কিছুক্ষণ কারো মুখে কোন কথা নেই। এবার আমিই শান্তনুকে জিজ্ঞাসা করলাম,
-শান্তনু একটা কথা তোমাকে জিজ্ঞাসা করব বলে ভেবেছি। অবশ্য তুমি যদি আমাকে তোমার বন্ধু বলে মনে করো তবেই।
শান্তনু চুপ করে রইলো।
-কি? আমাকে তুমি তোমার বন্ধু ভাবো না?
-আপনি কি জিজ্ঞাসা করবেন?
-এই তো লক্ষী ছেলে আমার! আচ্ছা বাবা সকালে চায়ের দোকানে বাবা-মায়ের প্রসঙ্গ তুলতেই কেমন করে উঠলে। এখন আবার বড় হবার প্রসঙ্গ তুলতেই তোমার চোখে মুখে বিরক্তির চিহ্ন ফুটে উঠলো। বুঝতেই পারছি তোমার মনের মধ্যে পাহাড় প্রমাণ কষ্ট আছে। সত্যিই কি তোমার বাবা- মা তোমাকে ভালোবাসেন না?
শান্তনু যথারীতি চুপ করে রইলো। রোহিত বিষয়টি কিছুই জানে না। সে আমার কথা কিছুটা উপলব্ধি করে একবার আমার দিকে আর একবার শান্তনুর দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে রইল। পাশে শান্তনুর দৃষ্টি দূরে ঝিলের জলরাশির দিকে। আমি আবার বললাম,
-ঠিক আছে। তোমার যদি ইচ্ছে না করে তাহলে আজ থাক। পরে অন্য একদিন এলে সেদিন না হয় তোমার কথা শুনবো। চলো তবে আজ আমাদের ফেরা যাক। রোহিতকে চোখের ইশারা করতেই ও উঠে দাঁড়ালো এবং বলে গেল,
-দাদা আপনারা আসুন। আমি একটু আগে গিয়ে দেখি গাড়িটা ঠিকঠাক আছে কিনা।
রোহিত চলে যেতেই আমি শান্তনুর আরো একটু কাছে এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করি,
-আচ্ছা শান্তনু! তুমি চায়ের দোকানে বললে তোমার কোন আত্মীয়-স্বজন নেই বা কেউ তোমাকে ভালোবাসে না।অথচ শুরুতে অ্যাডমিশন রেজিস্টারের খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তোমার বাবার নামের জায়গায় সৌমিক দে লেখা আছে। আর অভিভাবিকা হিসেবে লেখা আছে শ্রীমতি নলিনীবালা দত্তের নাম- বিষয়টি ঠিক বুঝলাম না।
-উনি আমার মাসি হন।
-তবে অভিভাবক অ্যাটেনডেন্স শিটে দেখলাম সব কটি সই নলিনী বালা দেবীর। তাহলে বাবা কি তোমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন না?
শান্তনু আবার চুপ করে রইল। আমি আবার জানতে চাইলাম,
-তোমার বাবা কি করেন শান্তনু?
-বাবা একজন আইনজীবী। আসানসোল আদালতে প্রাক্টিস করেন। সঙ্গে কয়লার ব্যবসাও আছে।
-তাহলে তো তোমার বাবা একজন সম্পন্ন ব্যাক্তি বলতে হয়। বাড়িতে আর কে কে আছেন?
আবার চুপ করে রইলো।
-চলো।এবার তাহলে আমাদের ফেরা যাক । রোহিত অপেক্ষা করছে। বলতেই,
-আমার বাবা অত্যন্ত বদ মেজাজী মানুষ। ছোট থেকে দেখে আসছি সামান্যতেই বাবা প্রচণ্ড রেগে যেতেন। আর সেই রাগ গিয়ে পড়তো আমার আর মায়ের উপরে। সকালে আমি আর রাতে মা ছিলেন বাবার আক্রমণের নিশানা । বাবা বাড়িতে থাকলে অন্তত তিন- চার বার আমার পিঠে ঘা পড়তো। সঙ্গে প্রবল বকাবকিতে বাড়ি মাথায় করে তুলতেন। একটু বড় হতেই বাবার হাত থেকে রক্ষা পেতে ছুটে গিয়ে বক্স খাটের তলায় ঢুকে পড়তাম। আমাকে ধরতে না পেরে বাবা সিংহের মতো গর্জন করতেন। তবে বাবাও হারার পাত্র নন। কোর্টে যাওয়ার আগে বাইরে থেকে শিকল তুলে দিতেন কখনোবা। মাঝে মাঝে দুপুরের দিকে ড্রাইভার কাকু এসে ঘরের শিকল খুলে আমাকে মুক্তি দিতেন । তবে ছোট থেকেই এরকম অবরুদ্ধ হয়ে জল খাবার না খেয়ে বেশ কয়েকবার পার করেছি। মারের চোটে কাতরাতে কাতরাতে বেশ কয়েকবার খাটের তলায় বেঘোরে ঘুমিয়েও গেছি। খিদে আমার তেমন পেত না তবে প্রচন্ড তৃষ্ণা পেত। রবিবার বা যে কোন ছুটির দিন আমার কাছে ছিল বিভীষিকাময়। ছুটির দিনে বাবার নির্যাতন আমার সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যেত। খাটের চারটি পা ও তলা হয়ে উঠেছিল তখন থেকে আমার বিশ্বস্ত বন্ধু। তবে এই পিছনেও একটি কাহিনী আছে।

মায়ের প্রসঙ্গে পরে আসছি, তবুও একটুখানি জানিয়ে রাখি। মাকে কোনদিন আমাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে দেখি নি। মা অত্যন্ত কম কথা বলতেন তবে বাবার ভয়ে যে সব সময়ে যে এমন আচরণ করতেন তা নয়। তবে কেন করতেন সে কারণটি আজও আমার কাছে পরিষ্কার নয়। আমার প্রতি মায়ের আচরণ ছিল অনেকটা নির্লিপ্ত প্রকৃতির। কখনো কখনো খুব মার খেয়ে মাকে অভিযোগ করলে মা উদাসীনভাবে বলতেন,
-আমার কিছু করার নেই বাবা। তুমি বরং আশপাশের গাছপালা বা প্রকৃতিকে বলে তোমার রাগ কমাতে পারো। মায়ের কথাতে যেন সত্যতা খুঁজে পেতাম। তখন থেকে প্রকৃতির সঙ্গে আমার একটা একাত্মতা তৈরি হয়। কালু মুনিয়া বুবাই ছিল আমার বন্ধু। মায়ের মতো আমিও নাকি পাগল, গাছের সঙ্গে কথা বলি জানতে পেরে বাবা একদিন লোক দিয়ে তিনটে গাছকেই কেটে ফেললেন। সেই কাকুকে কত করে অনুনয়-বিনয় করলাম। কিন্তু শুনলেন না। বললেন বাবার নির্দেশে গাছ কাটছেন। বাড়িতে পাগলদের সঙ্গে বাস করে উনি নাকি ক্রমশ পাগল হয়ে উঠছেন। কালু ও মুনিয়া ছিল মায়ের হাতে বসানো দুটি পেঁপে গাছ,আর বুবাই ছিল উঠোনের এক প্রান্তে পুরানো একটি শিউলি ফুলের গাছ। পেঁপে গাছ দুটির নামকরন মা করেছিলেন। আর শিউলি ফুল গাছটির নামকরণটি আমি করেছিলাম। ছোটবেলায় আমার এক মাসি আমাকে বুবাই বলে ডাকত। কিন্তু বাবা তা পছন্দ করতেন না।বাবা চাইতেন না আমাদের সঙ্গে কারো সম্পর্ক থাকুক। ফলে পরের দিকে বাবার ক্রমাগত দুর্ব্যবহার কারণে মাসির আমাদের বাড়িতে আসা বন্ধ হয়ে যায়। আর তখন থেকেই আমি মাসির দেওয়া ওই নামটির খুব অভাব ফিল করতাম। যে কারণে শিউলি গাছের অমন নামকরণ করা। অস্বীকার করবো না যে বাবা আমাকে প্রহার করলেও যত না শারীরিক কষ্ট পেয়েছি তার চেয়ে বহুগুণ বেশি মানসিক আঘাত পেয়েছিলাম আমার সেই ছোট্ট শৈশবে গাছ তিনটিকে হারিয়ে।

এরপর থেকে খাটের তলা হয়ে উঠেছিল আমার কাছে সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়। বাবার তাড়া খেয়ে ছুটে যেতাম খাটের দিকে, অমনি চারটি পা যেন অনেকটা উঁচু হয়ে মুহূর্তে আমাকে গার্ড করে বাবার হাত থেকে রক্ষা করত। ওরাই ছিল সারাদিনে আমার খেলার সাথী। আমার দুঃখ কষ্ট ওরাই প্রকৃত বুঝত। আমি ঘুমিয়ে পড়লে মনে হতো ওরা যেন আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। আমি যখন একাকী কাঁদতাম, একটু ঝিমিয়ে পড়লে ওরা আমাকে সান্ত্বনা দিত। আমি বহুদিন ওদের এমন সুহৃয়ের পরিচয় পেয়েছি। ওদের সহচর্যে কখনো কখনো খুব আবেশে থাকতাম। চোখ খুলে অসহায় বোধ করতাম। ওরা যেন বলত, প্লীজ চোখ বন্ধ কর। কারণ চোখ খুললে আমরা যে থাকতে পারি না।একই সঙ্গে চোখ বন্ধ করলে যে তুমি আমাদের উপস্থিতিও বুঝতে পারবে। আমরা সর্বদাই তোমার পাশেই আছি। একদিন যেন ওরা আমাকে বলল, যাও ওঠো স্কুলে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। পরে কোন একদিন বাবা আমার গায়ে হাত দিলে আর আমি পালালাম না। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মার খেলাম। বাবা পাল্টা জিজ্ঞাসা করলেন,
-কিরে আজ আর পালাবি না?
আমি কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলাম,
-আমি স্কুলে যাব। তুমি আমাকে আর আটকে রেখো না। প্লিজ! বাবা প্লিজ!
সেদিন কি মনে হয়েছিল, বাবা আমাকে আর মারেননি।

আগেই বলেছি বাবার হাতে এত মার খেলেও মাকে তেমনভাবে কোনদিনই এগিয়ে আসতে দেখি নি। চোখে মুখে মায়ের একটা অসহায়ত্ব থাকতো ঠিকই কিন্তু সেই অসহায়ত্ব যতটা অন্তরের তার চেয়ে অনেক বেশি লোক দেখানো বলে আমার মনে হতো। মাকে দেখতাম প্রায়ই সাজগোজ করে বার হয়ে যেতেন। তবে চলে আসতেন সন্ধের আগেই। অথচ মা চাকুরী করতেন না বলে জানতাম।স্কুলের অনেক সঙ্গী সাথীদেরকে দেখেছি তাদের বাবা-মায়েরা তাদেরকে কত আদর যত্ন করেন। কিন্তু ওই শব্দটি আমার কাছে ছিল সম্পূর্ণ অধরা। মায়ের কাছে আদর না পেলেও বকাবকি যে পাইনি, একথা সত্য। কিন্তু বাবার কাছে আদর বস্তুটি ছিল সম্পূর্ণ অকল্পনীয়। অতিরিক্ত ছিল যখন তখন প্রহার । আর এই ভাবেই আমি ক্রমশ বড় হচ্ছিলাম। একদিন মা সাজগোজ করে বার হলে বায়না করেছিলাম মায়ের সঙ্গ নেওয়ার।সেদিন প্রথম মাকে রাগতে দেখেছিলাম। মায়ের এমন মূর্তি দেখে প্রচন্ড ভয় পেয়েছিলাম। পরে মান ভাঙানোর চেষ্টা করে ক্ষমা চেয়ে নিই যে আর কখনো সঙ্গে যাওয়ার অন্যায় বায়না করব না। মাকে যে অন্তত বাবা হিসেবে দেখতে চাই না, সেটাই ছিল সেদিনের আমার আকুতির মূল লক্ষ্য।

মায়ের সঙ্গে বাবাকে কোনদিন স্বাভাবিকভাবে কথাও বলতে দেখিনি। বাবা প্রায়ই ড্রিঙ্ক করে বাড়ী ফিরতেন এবং কোট প্যান্ট খুলতে খুলতে বড় অ্যাম্বাসাডর জুতো দিয়ে মাকে প্রচন্ড পেটাতেন। আমি ভয়ে কুঁকড়ে যেতাম, লুকিয়ে পড়তাম পাশের ঘরে। সেকেন্ডের ব্যবধানে মায়ের ওরে বাবারে! চিৎকার শুনে বুঝতাম মায়ের পিঠে কতগুলো অ্যাম্বাসাডর পড়েছে।এক সময় শব্দ বন্ধ হয়ে যেত। খানিক বাদে বাবা বৈঠকখানায় মক্কেল সামলাতে চলে যেতেন। মাকে দেখতাম সারা শরীর ও মুখে নতুন নতুন কালশিটে নিয়ে রাতের খাবার তৈরি করতে।

লীনাপিসি ছিল বাবার বন্ধু। মায়ের কাছ থেকে শুনেছিলাম লীনাপিসির সঙ্গে স্বামীর ছাড়াছাড়ির পিছনে বাবার অবদান ছিল। আর পিসির আগমনের পর থেকে আমাদের উপরে বাবার অত্যাচারের মাত্রাটা লাগামহীনভাবে বেড়ে গেছিল। প্রায়ই লীনাপিসি কারণে -অকারণে আমাদের বাড়িতে আসতেন। আমি ও মা লুকিয়ে পড়তাম কোন একটা ঘরে। সামনাসামনি হলে আবার নেমে আসবে বাবার নির্যাতন। লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতাম লীনাপিসির গলা জড়িয়ে বাবা আদর করতেন। যেদিন প্রথম দেখেছিলাম বাবা লীনাপিসিকে জড়িয়ে হেসে হেসে কথা বলছেন, নিজের চোখকে যেন বিশ্বাস করতেই পারছিলাম না যে একজন রাগী লোক এমন হেসে হেসে কথা বলতে পারেন ভেবে। একদিন বাবার হাতে মার খেয়ে কাঁদতে কাঁদতে স্কুলে যাবো বলে ব্যাগ গোছাচ্ছি, এমন সময় লীনাপিসি চলে এলেন।
-শান্তনু আজ তোকে নাকি বাবা আবার মেরেছে?
পিসির এমন করুন সুরে কথার অর্থ আমি ঠিক বুঝতে পারিনি। আবেগ ধরে রাখতে না পেরে ডুকরে কেঁদে উঠেছিলাম।
-আহারে! বাবাটির তাহলে সত্যিই খুব লেগেছে। বলে ক্ষতস্থানে হাত বোলাতে থাকেন।
বাবা বাড়ি না থাকায় মা চলে আসেন আমার পাশে। এবার মাকে উদ্দেশ্য করে বললেন,

বিশেষ দ্রষ্টব্য-১, পর্বটি উৎসর্গ করা হল ব্লগে আমাদের সকলের প্রিয় শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস ভাইকে।

২,সুধী পাঠক বৃন্দের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যে পর্বটি একটু বড় হওয়াতে দুটি পর্বে ভাগ করতে বাধ্য হলাম। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই পর্বের বাকি অংশটি প্রকাশিত হবে। সাথে সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে মরীচিকা সিরিজটি। মলাট বদ্ধ করার আশাতে অপ্রকাশিত তিন-চারটি পর্বকে ব্লগে প্রকাশ না করার সিদ্ধান্তের সঙ্গে সকলকে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

মরীচিকা (পর্ব-২২)

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০১৯ সকাল ১০:০০

মুক্তা নীল বলেছেন: দাদা ,
শুভ সকা। মরীচিকা তে আজ আমি প্রথম মন্তব্যে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে।দাদা মরীচিকা- ২১ পর্বের আমার মন্তব্যের যে উত্তর দিয়েছিলেন তা এখন আবার পড়লাম। মন্তব্যে মুগ্ধতাও ধন্যবাদ।
একটু পরে আবার ফিরছি লেখায়.....

০১ লা মে, ২০১৯ সকাল ১০:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় ছোট বোন,

কাল রাতে অনেকটা সময় নিয়ে টাইপ করেছি। আজ সকাল থেকে এতক্ষণ লেগে গেল পোস্টটিকে সম্পন্ন করতে। প্রথম কমেন্টে আপনাকে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আগের পর্বের প্রতিমন্তব্য ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ।ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথম কমেন্ট সঙ্গে প্রথম লাইক, মানে আলাদা ভালো লাগা আলাদা অনুপ্রেরণা। অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ছোট বোনকে।
পরবর্তী কমেন্টের অপেক্ষায় রইলাম।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় বোনকে।

২| ০১ লা মে, ২০১৯ সকাল ১০:৩৩

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: দাদা তাহলে বইটি কবে পাচ্ছি?

০১ লা মে, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় পবিত্র ভাই,

আমাকে বোধহয় আপনার বুঝতে একটু ভুল হয়ে গেছে। আমি যেটা মিন করতে চেয়েছি, মরীচিকাকে ভবিষ্যতে মলাট বন্ধ করার জন্য তুলে রাখলাম। যদি কখনো কোনো পাবলিশার্সের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ হয় তাহলে নিশ্চয়ই পুস্তিকা কারে পাবেন। পাশাপাশি আজকের পর্বটি কেমন লাগলো, আপনি কিন্তু জানালেন না।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

৩| ০১ লা মে, ২০১৯ সকাল ১০:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: সিনেমাতলা নামটি মন্দ নয়।
সাপ আমি খুব ভয় পাই। তবে কিছু মানুষ সাপের চেয়ে ভয়ংকর।
আমার আব্বাও প্রচন্ড রাগী মানুষ। মুহুর্তের মধ্যে রেগে যায়। তবে আমার বাপ আমালে কখনও মারেনি।

দাদা পর্বটি বড় হলেও পড়ে আরাম পেয়েছি।

০১ লা মে, ২০১৯ দুপুর ২:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাইয়ের সুন্দর মন্তব্যের জন্য মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ ভাইকে। সিনেমাতলা নামটি ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম। নানান দোষে গুণে মানুষ । আঙ্কেল হয়তো চট করে রেগে যান। তবে এমন মানুষরা মুহূর্তেই রাগ ভুলে গিয়ে জল হয়ে যান। সহমত ভাইয়ের সঙ্গে যে সাপ ক্ষতিকর একটি প্রাণী। কিন্তু মানুষ্য সমাজে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা চট করে রাগেন না। এরা যে কোন মানুষের পক্ষে সাপের চেয়েও ভয়ংকর ক্ষতিকারক।

পর্বটি পড়ে ভাই আরাম পেয়েছে জেনে আনন্দ পেলাম; ধন্যবাদ ভাইকে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

৪| ০১ লা মে, ২০১৯ দুপুর ১২:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি যেখানে থাকেন, সেখানকার লোকজন বই পড়েন?

০১ লা মে, ২০১৯ দুপুর ২:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ইয়াং জেনারেশনের বই পড়ার আকর্ষনটা একেবারেই কম। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ,খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা- ইয়ার্কি, সারাক্ষণ কানে হেডফোন গুঁজে খুঁজে বেড়ানো এই ছাড়া তরুণ প্রজন্মের তেমন কোন গঠনমূলক আচরণ চোখে পড়ে না।
তবে মধ্য ও বরিষ্ঠ নাগরিকদের বইয়ের প্রতি আকর্ষণ আজও চোখে পড়ে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।

৫| ০১ লা মে, ২০১৯ দুপুর ১২:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


মরীচিকার পর্বগুলো কি আপনি বারবার পড়েন?

০১ লা মে, ২০১৯ দুপুর ২:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পুরনো হয়ে গেলে পড়া হয়না। তবে শুধু মরীচিকা বলে কথা নয়, যে কোন পোস্ট বেশ কয়েকবার পড়ে টাইপগুলো খোঁজার চেষ্টা করি। সব সময় যে টাইপো গুলো চোখে পড়ে এমন নয়। এই যেমন নিচে বিদ্রোহী ভৃগুভাই একটি টাইপো ধরিয়ে দিলেন।
আবারো মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ০১ লা মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: টাইপোটা নজর দিন প্লিজ -
তাহলেতো তোমার বাবা একদিন সম্পন্ন ব্যক্তি
=তাহলেতো তোমার বাবা একজন সম্পন্ন ব্যক্তি !

না চাইতেই জলের মতো তৃপ্তি পেলাম দাদা।
দুপুরে সাইটেই ঢুকেই দেখি মরিচিক! ! ওয়াও!
মনটা ভাল হয়ে গেল্
এবং শেষ করতে আসলেই মনটা ভাল হয়ে গেল। শান্তনুর গোপন কষ্টের অতীত সামনে চলে এলোযে!

আমরা সবাই বুঝি একেকটা গোপন বই! কাভার পেজে সবাইকে খূব সুন্দর আর সাজানো লাগলেও ভেতরের কথা পাট করতে পারে ক'জনে! নিভৃতে দহনে পুড়ছে, পুড়ছি কত জনায়। কিন্তু সবাইযে দাদার মতো করে গুছিয়ে লিখতে পারে না।
তাইতো বেদনার মহাকাব্য অধরাই রয়ে যায়!!!!

অনেক অনেক শুভেচ্ছা শুভকামনা প্রিয় দাদা ভাইটির জন্য :)

+++++

০১ লা মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবিভাই,

মাঝের একটি রিভিউতে আপনাকে না পেয়ে আমি রীতিমতো হতাশ। বুঝতেই পারছি প্রচন্ড ব্যস্ত আছেন। আশা করি এখন ব্যস্ততা একটু কমেছে, যে কারণে কমেন্টে পেলাম।
পোস্ট সম্পর্কে সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। টাইপোটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। ঠিক করে দিয়েছি।
আহা! এমন করে মন্তব্য করলে কার না ভালো লাগে,
" না চাইতেই জলের মতো তৃপ্তি পেলাম দাদা।
দুপুরে সাইটেই ঢুকেই দেখি মরীচিকা! ! ওয়াও!
মনটা ভাল হয়ে গেল
এবং শেষ করতে আসলেই মনটা ভালো হয়ে গেলো।"
" আমরা সবাই বুঝি একেকটা গোপন বই! কাভার
পেজে সবাইকে খুব সুন্দর আর সাজানো লাগলেও
ভেতরের কথা পাঠ করতে পারে ক'জনে! নিভৃতে
দহনে পুড়ছে, পুড়ছি কত জনায়।" কিন্তু সবাই যে
আপনার মত সুন্দর কাব্য লিখতে পারি না।
পদ্যময় পৃথিবী পদ্যে না হয়ে গদ্যময় হয়েই অবশেষে রয়ে যায়।
এমন ছান্দিক বিপ্লব এই অধমের মনে যে কেন ঢেউ তোলে না সে প্রশ্ন আজও অধরা রয়ে যায়।
আজ অবশ্য গঙ্গা জলে গঙ্গা পূজা করলাম। হা হা হা হা হা.....
পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

৭| ০১ লা মে, ২০১৯ দুপুর ১:০৯

হাবিব বলেছেন:
২২/১ মহা অন্যায় করেছেন। যতই বড় হোক, উপস্থাপনার গুণে লেখাটি পড়তে খুবই অল্প সময় লেগেছে.......শান্তনুর এমন পরিস্থিতি অকল্পনীয় ছিলো আমার কাছে......। সাথেই আছি। ভালো থাকবেন সবসময়, সবার প্রিয় হয়ে।

০১ লা মে, ২০১৯ দুপুর ২:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিবভাই,

আমি মহামান্য আদালতের নামে শপথ করিয়া বলিতেছি, মহামান্য আদালত উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অধমকে যাহা শাস্তি বিবেচনা করিবেন সজ্ঞানে স্ব স্থানে অভিযুক্ত ব্যক্তি নতশিরে অপরাধ গ্রহণে বাধ্য থাকিবে। এবার হুজুরের আজ্ঞা হোক অধমকে কি শাস্তি বিবেচনা করিবেন।

তবে হুজুরের জন্য একটা প্রশ্ন ছিল বৈকি, শিউলি ফুল গাছের নামকরণটি কে করেছিলেন? হাহাহা....
পোস্টটি ভাল লাগাতে আনন্দ পেলাম। লাইক করাতে পেলাম অনুপ্রেরণা।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় হাবিব ভাইয়ের গোটা পরিবারবর্গকে।

৮| ০১ লা মে, ২০১৯ দুপুর ২:৩০

করুণাধারা বলেছেন: শান্তনুর রহস্য উন্মোচন এর পথে.......

তবে খারাপ লাগছে এটা ভেবে যে, মরীচিকা আর পড়তে পাবো না! আশা করছি বেশি দিন অপেক্ষায় না রেখে শিগগিরই এটার শেষ পর্ব দেবেন, এবং তারপর নতুন লেখা শুরু করবেন।

শুভকামনা রইল।

০১ লা মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি,

এই পর্বের পরবর্তী অংশে শান্তনু রহস্য উন্মোচিত হবে। খুব শীঘ্রই এই অংশটি পেয়ে যাবেন। পাশাপাশি সিরিজের কয়েকটি পর্বই কেবল অপ্রকাশিত রেখেছি। এভাবে তুলে নেওয়ার জন্য আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
একই সঙ্গে অন্য নামের আরেকটি সিরিজ খুব শীঘ্রই আসছে। আগামীতেও এভাবে আপনাদের পাশে পাবো আশা রাখি।

শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

৯| ০১ লা মে, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫

মুক্তা নীল বলেছেন: দাদা ,
শান্তনুর বিষয়ে অনেক কিছু জানলাম। পুরনো জীর্ণ মন্দির, দেবদারু গাছ , স্নিগ্ধ ঝিলের জলরাশি প্রকৃতির বর্ণনায় আমি উচ্ছ্বসিত। বুবাই গাছটির নাম আমার পছন্দ হয়েছে। আপনার উপস্থাপন প্রশংসনীয়।
আমি আপনার এই মরীচিকা সিরিজ পড়ে দুই তিনটি চরিত্রে প্রবেশ করে ফেলেছি। শেফালী ম্যাডাম তো অবশ্যই সাথে শান্তনু। শেফালী ম্যাডাম আমার কাছে সব সময় পজিটিভ।
শান্তনুর বাবার বিষয় আমাকে ভীষণ মর্মাহত করেছে। এরকম শয়তানগুলো আছে আমাদের সমাজে অহরহ। সব মিলে ফুটিয়ে তুলেছেন ভালোভাবে।
মরীচিকা যতই বড় হোক না কেন আমার তা কখনই করতে খারাপ লাগেনা।
দাদা এবারও আপনি আমার ভাইকে ডছ দিলেন শেফালী ম্যাডামকে নিয়ে (হা হা)।
শেষ পর্ব পড়ার আগ্রহ জানিয়ে গেলাম। অনেক অনেক শুভকামনা ও শ্রদ্ধা রইল দাদার জন্য।

০১ লা মে, ২০১৯ বিকাল ৪:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোন,

প্রথমেই জানাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য অশেষ অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
শান্তনুর বিষয়ে অনেক কিছু জেনেছেন। দেবদারু ইউক্যালিপটাসের জঙ্গলের সঙ্গে জীর্ণ মন্দির, শান্ত ঝিলের স্নিগ্ধ জলরাশির পরিচয় ভালো লাগাতে খুশি হলাম। ধন্যবাদ বোনকে।
মরীচিকার গোটাতিনেক চরিত্র বোনের ভালো লাগাতে আবারো মুগ্ধতা।
শান্তনুর বাবার মতো লোকেরা সমাজে বিভিন্ন রূপ ধরে ছদ্মবেশে থাকে। এই চরিত্রের কদর্যতার পরিচয় পেতে গেলে পরবর্তী পর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। মোটের উপর পর্বটি ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম । আবারও ধন্যবাদ জানাই বোনকে।
মরীচিকার কয়েকটি পোস্ট বড় হলেও বোনের কাছে খুব বেশি একঘেয়েমি লাগে নি -এটা আমার পরম প্রাপ্তি। এমন উৎসাহদাতা পাঠক পেলে যত কাঁচা হাত হোক না কেন পরিণত হতে বাধ্য। আগামী দিনেও বোনকে এভাবে পাশে পেতে চাই।
শেফালীম্যাডামকে না এনে সত্যিই নীল আকাশ ভাইকে ডছ দিয়েছি। এর জন্য অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে আগামীতে কোনো না কোনো পোস্টে ভালোবাসার প্রতীক নীল আকাশ ভাইকে কিছুটা আশা দেব বলে ইচ্ছা আছে।

এই পর্বের শেষ অংশটি খুব শীঘ্রই প্রকাশ করব আশা আছে। আপনাদের উজ্জ্বল উপস্থিতি আমার একান্ত কাম্য।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা নিয়ে ছোট বোনকে।


১০| ০১ লা মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মনে হচেছ গল্পের শেষের দিকে চলে আসছি। +++++

০১ লা মে, ২০১৯ রাত ১০:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাইদুল ভাই,

আপনি এক হিসেবে অনুমান করেছেন ঠিকই যে গল্প শেষের দিকে চলে এসেছে। তবে এখনো শেষ হতে একটু বাকি আছে। আর শান্তনু পর্বটি একটু বৃহৎ হওয়ার জন্য দুটি অংশে ভাগ করে দেওয়া। পরবর্তী অংশটি খুব শিগগিরই পাবেন আশা করি।
পোস্টে এতগুলো প্লাস দেওয়াতে অনুপ্রাণিত হলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইলো।

১১| ০১ লা মে, ২০১৯ রাত ৮:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,




লেখার শেষটাতে এসে হোচট খেলুম আমাকে উৎসর্গ করেছেন বলে। কৃতজ্ঞ।

যে ভাবে গল্প বটগাছটির ঝুড়ি নামিয়েছেন তাতে আর একটি মাত্র পর্বে শেষ কি করে হবে ? আমার তো মনে হয়েছিলো আর একটি অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে!
ভেবে দেখুন ।

শুভেচ্ছান্তে ।

০১ লা মে, ২০১৯ রাত ১০:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই,

আপনার পদচারণায় ধন্য হলাম। আজকের পোষ্টের হোতা যেহেতু আপনি, কাজেই আপনার আগমনে আলাদা ভালো লাগা। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার সুন্দর সাজেশনটি প্রণিধানযোগ্য। বিষয়টি বড় করলে নিঃসন্দেহে নতুন একটি অধ্যায় শুরু হবে। কিন্তু গল্পের ঝুড়ি বেশি গুরুত্ব পেলে মেইনস্ট্রিমটি প্রাসঙ্গিকতা হারাবে। যে কারণেই আমার এরকম চিন্তা ধারা। সাথে সাথে গল্পের প্লটেরও চেঞ্জ হওয়ার আশঙ্কা আছে। আপনার সুন্দর সাজেশনের জন্য আবারো ধন্যবাদ।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা আপনাকে।


১২| ০১ লা মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৩

হাবিব বলেছেন:



ঐ মিয়া, আপনে কইলেন শাস্তি মাথা পেতে নিবেন, এহন উল্টা আমারে শাস্তি দিয়া গেলেন!
ইচ্ছা আছিলো রাতে আর লগিন করবো না, ব্লগেও ঢুকবো না। কি মনে কইরা ভাবলাম দেখে যাই প্রতি উত্তর দিলেন কিনা... ওমা! আইসাই দেহি আমারে এমসিকিউ ধরেছেন..... গাছটির নাম শান্তনু রাখছিলো যে ..বুইজছুন? এইবার আপনের কাছে আমার প্রশ্ন: বলাই গল্পটি কে লিখছেন?

গরমের মধ্যে এসিতে থাকুন, দোয়া করি।

০১ লা মে, ২০১৯ রাত ১০:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিবভাই,

প্রত্যাশামতোই আপনার আবারো আগমনে আনন্দ পেলাম। হাহাহাহাহা আমি তো একবারও বলিনি যে আমি আপনার শাস্তি নেব না। তবে আপনি যখন বিচারপতির আসনে বসেছেন তখন accused person হিসেবে আপনাকে আমি যাচাই করব না যে আপনি সত্যিই পড়াশোনা করে বসেছেন না মুখস্ত করে বিচার কার্য পরিচালনা করবেন। আর এই কারণে হুজুরের জন্য একটু স্পেশাল নিবেদন আর কি।

এবার হুজুরের প্রশ্নের উত্তরে বলি, যতদূর জানি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ওই নামে একটি ছোট গল্প লিখেছিলেন। উঠোনে কি যেন একটা গাছ ছিল। যেটি ছিল বলাই এর আপনজন। গাছটি কাটার পরেই তার মনোজগতে বিরাট পরিবর্তন আসে। আর ওই পরিবর্তনকে কেন্দ্র করেই সম্ভবত গল্পটি রচিত।

মন্তব্যের একেবারে শেষ প্রান্তে গরমে সুস্থ থাকার জন্য এ সিতে থাকার পরামর্শ দেওয়ার জন্য আনন্দ পেলাম। কিন্তু এসি নেওয়ার মতো পরিস্থিতি আমার এখনো তৈরি হয়নি। তবে আশায় আছি সুদিনের।

সকলের সঙ্গে, সকলের মতো হয়ে সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন- কামনা করি।

১৩| ০১ লা মে, ২০১৯ রাত ৯:২৬

বলেছেন: সাথে আছি -------------


সময় নিয়ে পড়তে হবে --

০১ লা মে, ২০১৯ রাত ১০:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিফ ভাই,

আপাতত হাজিরা দেওয়ার জন্য আনন্দ পেলাম। পোস্টে লাইক করাতে অনুপ্রাণিত হলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
সময়-সুযোগমতো আবার আসবেন- অপেক্ষায় রইলাম।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

১৪| ০১ লা মে, ২০১৯ রাত ১১:২০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আমি ইতিপূর্বে এমন বটবৃক্ষ হাওড়ার শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনেও দেখেছি। এই গাছটি আকারে অনেক ছোট কিন্তু দেখে মনে হল যেন বোটানিক্যাল গার্ডেনের গাছটির ছোটোভাই।

ছোটভাই- হা হা হা।

সত্যিকার অর্থে পরিবার হচ্ছে একটা মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঠশালা।কিন্তু আজকালের বাবা-মায়েরা সত্যিকার অর্থে সন্তানদের প্রতি করতব্যপরায়নতা থেকে বিমুখ হয়ে যাচ্ছে ফলে সন্তান তার সামাজিক নীতি ও মানদন্ড অর্জন করতে হিমশিম খাচ্ছে,ব্যর্থ হচ্ছে।সঠিক পথ খুঁজে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত সে দিশেহারা হয়ে যায়।দেশ জাতির জন্য হুমকি হয়ে যায়।

আল্লাহ্‌ সবাইকে সহীহ বুঝ দান করুন।

০২ রা মে, ২০১৯ সকাল ৮:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় মাহমুদুর ভাই,

বোটানিক্যাল গার্ডেনের ছোটোভাই হা হা হা হা...
পোস্টের এ অংশটি আপনাকে আনন্দ দিয়েছে জেনে খুশি হলাম । ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে পরবর্তী অংশে মুগ্ধতা। অসম্ভব সুন্দর মতামত দিয়েছেন।
সহমত আপনার সঙ্গে, "পরিবার হচ্ছে মানুষের একটা গুরুত্বপূর্ণ পাঠশালা। কিন্তু আজকালের বাবা- মায়েরা সত্যিকার অর্থে সন্তানদের প্রতি কর্তব্য পরায়নতা থেকে বিমুখ হয়ে যাচ্ছে ফলে সন্তান তার সামাজিক নীতি ও মানদন্ড অর্জন করতে হিমশিম খাচ্ছে, ব্যর্থ হচ্ছে। সঠিক পথ খুঁজে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত সে দিশেহারা হয়ে যায়। দেশ ও জাতির জন্য হুমকি হয়ে যায়।" অসম্ভব সুন্দর কমেন্টে একরাশ মুগ্ধতা। শেষে একেবারে যথার্থই বলেছেন,উপরওয়ালা যেন আমাদেরকে সঠিক জ্ঞান দান করেন।

বৈশাখী শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় মাহমুদুরভাইকে।

১৫| ০২ রা মে, ২০১৯ রাত ১:১৬

বলেছেন: পড়লাম দাদা!!

ঠিকই আছে আপনার টেকনিক,,, কয়েকটি পর্ব পাঠকের অজানা থাক তাতে সবাই মলাট বদ্ধ বইটি কিনবে -- হা হা
সেইলস টেকনিক এমন হওয়া চাই।

ঝিল টা তো বারমুডা ট্রাইগেল মনে হলো -

পিতামাতার উদাসীনতা ও নিষ্ঠুরতার ফল সন্তানকে ভোগ করতে হয় এটাই প্রতিপাদ্য বিষয়।

পরের পর্বের অপেক্ষায়।।

ভালো থাকুন। ভালোবাসায় থাকুন।

০২ রা মে, ২০১৯ সকাল ৮:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় লতিফভাই,

প্রত্যাশামতো আপনার পুনরায় আগমনে আনন্দ পেলাম। আর অপ্রকাশিত পর্ব সম্পর্কে হাহাহাহা।
তা যা বলেছেন, ঝিলটা বাস্তবেই যেন মনে হলো বারমুডা ট্রাঙ্গেল। গ্রাম্য মিথ বা অন্ধ বিশ্বাস অনেক ক্ষেত্রে মানুষকে যুক্তি থেকে হাজার যোজন দূরে সরিয়ে রাখে। এমন অসংখ্য গাঁথা বোধ হয় দেশের প্রতি ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে ছড়িয়ে আছে। সুন্দর কমেন্টের মুগ্ধতা।
পর্বের বাকি অংশটি খুব শীঘ্রই প্রকাশ করার নিয়ত আছে। যথারীতি আপনাকে পাশে পাব আশা করি।
ফেবুতে এক্ষুনি আপনার কমেন্টের উত্তর দিয়ে এলাম।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

১৬| ০২ রা মে, ২০১৯ রাত ২:১৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: মরীচিকার শেষ হয়ে যাওয়ার খবরটি ব্যাথিত করে তুলছে। তবে মরীচিকার সাথে থেকে জানতে পেরেছি গল্প কি করে জীবনের কথা বলে। প্রায় সব গল্পই জীবন কে নিয়ে কোন কোন গল্প নান্দনিক হয় সেটিংএ আবার কোন গল্প লেখকের লিখন রীতিতে তাও লেখক যদি হৃদয়ের কথনগুলো পাঠককে বন্ধু ভেবে করে যান। আপনার লিখায় আপন করে নেওয়ার মন্ত্র পেয়েছি।

০২ রা মে, ২০১৯ সকাল ৮:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় সুজন ভাই,

আপনাকে বেশ কিছুদিন থেকেই মিস করছি। আমার সাম্প্রতিক রিভিউ সিরিজেও আপনাকে পাচ্ছি না। মরীচিকার শেষ হতে যাওয়ার খবরে আপনারা ব্যতীত শুনে আমিও ব্যতীত। ব্যক্তিগতভাবে কাউকে সামান্যতম আঘাত দেওয়াটা আমার না পছন্দ হলেও এক্ষেত্রে মরীচিকার শেষ হওয়াতে আপনাদের ভালোবাসার ব্যথা আমার নেহাত মন্দ লাগছে না। শুধু নিজের জন্য বলছি না,এমন ব্যথা যেকোনো কাঁচা হাতকেও পৌঁছে দিতেই পারে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে। মরীচিকার যে পজিটিভ দিক গুলোকে আপনি তুলে ধরলেন , তাতে আবারো মুগ্ধতা। আপনি যদি আমার লেখায় মন্ত্র শক্তি পেয়ে থাকেন, তবে অকপটে স্বীকার করি হাতুড়ে লেখক হিসেবে আমিও আপনাদের মধ্যে প্রাণ পেয়েছি। যে প্রাণই হবে আমার আগামী দিনের চালিকাশক্তি, আমার পথের দিশারী।

বৈশাখী শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

১৭| ০২ রা মে, ২০১৯ সকাল ৮:২৬

হাবিব বলেছেন:
প্রিয় পদাতিক দাদা, বলাইয়ের গাছটিও যে শিমুল গাছ ছিলো........
তাই আপনাকে ওরকম প্রশ্ন করা........

অনেক অনেক শুভকামনা আপনার ও আপনার একমাত্র সহধর্মীনী ও একমাত্র ছেলের জন্য

০২ রা মে, ২০১৯ সকাল ৮:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় হাবিব ভাই,

গল্পটি বহুদিন আগে পড়া, যে কারণে ভাষা ভাষা মনে থাকা আর কি। থে প্রকৃতির সঙ্গে মানব মনের মেলবন্ধনের একটি অদ্ভুত মিথস্ক্রিয়া ওই গল্পে পেয়েছিলাম এটুকু মনে আছে। আর গাছটি শিমুল গাছ ছিল সেটা মনে করে দেওয়াতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
তবে কমেন্টের পরবর্তী অংশে, একমাত্র সহধর্মিনী প্রসঙ্গে, "কু বলিব না ; কু শুনিব না; কু কথায় কানও দিবো না।" হাহাহাহাহা.....

আপনি ও আপনার পরিবারের জন্য অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।

১৮| ০২ রা মে, ২০১৯ সকাল ১০:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: অনেক বড়, বাসায় যেয়ে পড়তে হবে।
পড়ার পর মন্তব্য করব।
ধন্যবাদ।

০২ রা মে, ২০১৯ সকাল ১০:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় নীল আকাশ ভাই,

অবশেষে আপনার দেখা পেয়ে শান্তি পেলাম। সময় নিয়ে মন্তব্যে আসবেন অপেক্ষায় রইলাম। পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

১৯| ০২ রা মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫

রাকু হাসান বলেছেন:


ও এই কথা । আমি ভাবছিলাম অন্য কিছু B:-) । গ্রামের মানুষগুলো এমনই হয় । তুমি সাপ তুমি সাপ সব কিছুতেই ভয় পেয়ে বসো :P । হাহাহা পুরো ভয় পর্বের ভয় পাওয়া এক সাথে করলে একটা পর্ব হয়ে যাবে =p~ । শান্তনু ভেতর এ্যাডভেঞ্চারও আছে দেখছি :|| । ঝিলটি দেখছি খুব রহস্যময় :|| । শান্তনু চরিত্রটি ট্রাজিক লাগছে B:-) । ভাগ্যটাই খারাপ । :(
অসম্ভব রকম গুণী মানুষকে উৎসর্গ করেছে । স্যার কে আমার পক্ষ থেকে অভিনন্দন ।

কিভাবে দেখতে দেখতে পর্বটি শেষ হয়ে যাচ্ছে :|| । এটিই একমাত্র পর্ব যার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আছি । বলেছিলে আগের পর্বগুলো পড়তে । শেষ পর্ব পড়েই পুরো সিরিজ নিয়ে কিছু একটা মন্তব্য রাখার আশা করছি । মরীচিকা সফল হোক । তিন-চারটি পর্ব প্রকাশ না করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই । সমস্যা নেই :)
শুভকামনা জানাচ্ছি । অনেক বেশি ভালো থেকো ,আমার চেয়েও বেশি । 8-|

০৩ রা মে, ২০১৯ সকাল ১০:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল স্নেহের রাকু,

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে ভাইয়ার বাড়িতে ছোট্টভাইয়ের প্রবেশ। প্রবেশ তো নয়! যেন উপহারের ডালি সাজিয়ে আসা আর কি। একটা কমেন্টে দশটায ইমো মানে মুগ্ধ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে সত্য কথা স্বীকার করছি যে আমি আবার সব ইমোর ভাষা বুঝতে পারি না। আসি এবার তোমার কমেন্টে। তোমার কথার সূত্র ধরেই বলি ধারণাটা সুন্দর ভালো একটা সাজেশন করে দিয়েছে। তবে ওই কাজটি আর আমি করে উঠতে পারব না। তুমি যেহেতু গোটা পর্ব শেষে একটা মেগা কমেন্ট করবে, সেই কমেন্টে উত্তম পুরুষে রচিত গল্পে বক্তার ভয় গুলোকে একত্রিত করবে। কাজেই দায়িত্ব তোমার হা হা হা হা...
ঝিলটি সত্যিই রহস্যময়।শান্তনু চরিত্রটি সত্যই ট্র্যাজিক কিনা আশা করি আগামী পর্বে তোমার কিউরিসিটির অবসান ঘটবে।

উৎসর্গে ভালো লাগাতে ও শ্রদ্ধা নিবেদনে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ তোমাকে।
আমি একটু দেরি করে উত্তর দিয়ে ফেলেছি। কালকে একটু ব্যস্ত ছিলাম, সময়ে প্রতি মন্তব্য না করতে পারায় দুঃখিত। তবে দেখলাম তুমি ইতিমধ্যে আরো গোটা পাঁচেক পর্ব পড়েছ এবং কমেন্ট করে রেখে এসেছো। আমিও সময় করে সেগুলোতে প্রতি মন্তব্য করে আসবো। পাশাপাশি পর্ব শেষে তোমার মেগা কমেন্টের অপেক্ষায় রইলাম।3/4 টি পর্ব অপ্রকাশিত করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করার জন্য তোমাকে আবারও ধন্যবাদ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তোমার দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে খবর নিতে দুবার ইমেইল করেছিলাম। জানিনা তুমি পেয়েছো কিনা, কারণ প্রতি উত্তরে কোন ইমেইল আজও পর্যন্ত পাইনি।

আজ কাল দুদিন প্রচন্ড দুর্যোগপূর্ণ থাকবে।একটু আগে শুনলাম ঢাকায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। আশা করি তোমরা সকলে কুশলে আছো। তবে এই সময়টা একটু বেশি সাবধানতা অবলম্বন করবে। প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে একেবারেই বার হবে না। পরিবারের বড়দেরকে আমার সালাম পৌঁছে দিও। শুকনো খাবার ,কাঁচা সবজি, একটু বেশি করে ডিম পারলে কিনে রেখো।

তোমার শুভ কামনা গ্রহণ করলাম। ভাইপো ঠিক আছে তবে পড়াশোনা ঠিকমতো করছে না।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা আমার ছোট ভাইটিকে।


২০| ০২ রা মে, ২০১৯ রাত ৯:৪৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শুরুতে প্রাকৃতিক পরিবেশের বর্ণনা লেখায় যতটা আনন্দ নিয়ে পড়ছিলাম, ততখানি ই বিষাদে ছেয়ে গেলো পরের অংশ।
অসম্ভব মন খারাপ করা লেখা।
পরের পর্বের অপেক্ষায়।

০৩ রা মে, ২০১৯ সকাল ১১:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি,

আপনার আগমন ও পাঠে আনন্দ পেলাম। অতি সংক্ষিপ্ত অথচ চমৎকার সারাংশ কমেন্টে তুলে ধরেছেন। বিষাদ ময় হলেও কি আর করার আমাদের আশপাশে যে এরকম হাজারো শান্তনু আছে। একটু খোঁজ নিলে জানতে পারবো তাদের প্রত্যেকেরই মধ্যে লুকিয়ে আছে অমানুষিক জীবনবেদ।
প্রত্যাশামতোই পরের পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে আনন্দিত; ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা আপনাকে।

২১| ০৩ রা মে, ২০১৯ সকাল ১০:২৪

আরোগ্য বলেছেন: ভাইটি জ্বর ১০৩ ডিগ্রি পর্যন্ত ওঠে, প্রেসার ৭০/৫০। গতকাল ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। কাশিও আছে।

মরীচিকা সেইদিনই পড়েছি, না না পড়তে শক্তি পাই নি তাই গুগল অডিও র মাধ্যমে শুনেছি। আর লিখতে পারছি না।

সব সময়ের মত ভালোলাগা।

০৩ রা মে, ২০১৯ সকাল ১১:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,

পোস্টটির শুরু থেকে তোমাকে না পেয়ে বুঝেছিলাম হয়তো কোন কাজে প্রচন্ড ব্যস্ত আছো। তাই বলে শরীর খারাপের কথা একবারও ভাবেনি। খবরটি শুনে অত্যন্ত খারাপ লাগছে। 103 জ্বর নিঃসন্দেহে অনেকটা যন্ত্রণাদায়ক; কষ্টকর বৈকি। ডাক্তারের কাছে গেছিলে যখন আশা করি ওষুধ পত্র দিয়েছেন। ওগুলো ঠিকঠাকমতো সেবন করবে। এত শরীর খারাপ নিয়ে লগইন করে চোখের মনের কষ্ট দেওয়া একেবারেই ঠিক নয়। এখন সম্পূর্ণ বিশ্রাম নাও। সুস্থ হলে আবার ব্লগে আসবে।

মরীচিকা পড়ার মতো শক্তি নেই জেনে আমি যতটা হতাশ, যতটা বেদনাহত ঠিক ততটাই আনন্দ পেয়েছি যে অডিওতে পরেছো জেনে। বিষয়টি আমাকে সম্পুর্ন অপরিচিত। লিখিত পোষ্ট কি করে অডিওতে শোনা সম্ভব, তোমার সুস্থ হওয়ার পরে একদিন জেনে নেব। কমেন্টে পরিষ্কার যে তোমার শরীর প্রচন্ড দুর্বল। আর এমন ভাবে কোনো কমেন্ট বা ব্লগে সময় দিও না। আগে শরীর ও মন সুস্থ করো- সেটাই আমাদের সকলের কাছে একান্ত কাম্য।

তোমার সার্বক্ষণিক ভালোবাসায় আমি আপ্লুত। তোমার জন্যও আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা ও শুভকামনা জানবে।

২২| ০৩ রা মে, ২০১৯ সকাল ১১:১৩

নীলপরি বলেছেন: খুব সুন্দর লাগলো উপস্থাপনা । রহস্যের এরকম একটা আভাস থাকলেও উন্মোচনটা খুব সুন্দর লাগলো ।
++++++++
আর লেখাটা প্রকাশিত হওয়ার খবর জেনে খুব ভালো লাগলো ।

শুভকামনা

০৩ রা মে, ২০১৯ সকাল ১১:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় পরি আপু,

দেরিতে হলেও অবশেষে আপনাকে পেয়ে আনন্দ পেলাম। বস্তুত যাদের কমেন্ট না পেলে পোস্টটি অসম্পূর্ণ বলে মনে হয়, আপনি আমার কাছে তাদের মধ্যে অন্যতম। যে কারণে আপনার সংক্ষিপ্ত, আন্তরিকতায় ভরপুর কমেন্টটি না পাওয়া পর্যন্ত যেন মনের তৃপ্তি আসে না। পর্বের শেষ অংশে রহস্যটি উন্মোচিত হবে। সঙ্গে পোস্টে লাইক করাতে ও এতগুলো প্লাসে আমি অভিভূত ও আনন্দিত; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
লেখাটি প্রকাশিত আকারে দেখা, আমার সুপ্ত বাসনা। পরবর্তী দু-তিনটি অপ্রকাশিত পর্ব ধরলে এটি একটি পুস্তিকার কলেবর পাবে। তবে তাকে মুদ্রিত আকারে বার করার কোন সৌভাগ্য এখনো আমার কাছে অধরা।

আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইলো অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

২৩| ০৩ রা মে, ২০১৯ রাত ৮:৫১

ঢাকার লোক বলেছেন: শান্তনুর সম্বন্ধে জানার একটা কৌতূহল ছিল, তার কিছুটা এখানে ওরই ভাষ্যে জানার সুযোগ হলো । তবে
বাবার সাথে শান্তনুর সম্পর্কটা যেমনি unusual তেমনি দুঃখজনক। মায়ের সাথে সম্পর্কটাও একই সমান রহস্যময়! এর কারণ এখনো সম্পূর্ণ অবোধগম্য ! লীনামাসির আগমন এ রহস্য উন্মোচনে কি কিছুটা আলোকপাত করবে, কে জানে ? দেখা যাক আগামী পর্বে এর কিছু উত্তর পাওয়া যায় কিনা !
আপনার মরীচিকা সামনে আর বেশিদিন এখানে পড়তে পাবোনা জেনে খারাপই লাগছে, তবে ছাপানো বই হিসাবে প্রকাশে আপনার প্রচেষ্টা সহজ ও সফল হোক এই কামনা করি ।

০৩ রা মে, ২০১৯ রাত ৯:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঢাকাবাসী ভাই,

আপনার সুন্দর কমেন্টে প্রীত হলাম। পোস্টের একটি উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরেছেন যেখানে বাবার সঙ্গে আনইউজাল সম্পর্ক ও মায়ের সঙ্গে রহস্যময় সম্পর্কের রহস্য সামনের পর্বে সম্পূর্ণ উন্মোচিত হবে আশা করি। শান্তনুদের সাংসারিক বৃত্তের মধ্যে লীনাপিসির অবদান অনস্বীকার্য। এমনই নানা রকম ঘটনা উত্থান-পতন আগামী পর্বে সম্পন্ন হবে। আপনাকে পরবর্তী পর্বের আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম। মরীচিকা পড়তে পারবেন না জেনে আপনারা যে বিষাদময় হতে চলেছেন জেনে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।‌ তবে সিরিজটি একেবারে শেষের দিকে চলে এসেছে। শুধুমাত্র মলাট বন্ধ করার জন্য শেষ দুই- তিনটি পর্বকে অপ্রকাশিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা একান্তভাবেই কামনা করি।

পরিশেষে মরীচিকার জন্য অগ্রিম শুভেচ্ছা জেনে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

২৪| ০৩ রা মে, ২০১৯ রাত ১০:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: দাদা,
অনেক দেরী করে ফিরলাম। নিজের পোস্ট নিয়ে ব্যস্ততার জন্য আসতে পারি নি। এই পর্ব পড়া হয়ে গিয়েছিল আগেই!

একটা টাইপো আছে, ছোটবেলায় আমার এক মাসি আমাকে (সম্ভবত বুবাই) বলে ডাকত। ঠিক করে দিন। বেশ তাড়াহুড়ো করে লিখেছেন, পড়ার সময় মনে হলো। এবারের ফিনিস তেমন একটা চমক দিয়ে শেষ করেন নি।
কিছু কিছু জায়গায় লেখার টোন দ্রুত মনে হলো।

বই বের করার সিদ্ধান্তের জন্য অগ্রীম শুভ কামনা রইল। তবে আমার মনে হয়, সবগুলি লেখা নিয়ে আপনাকে আবার প্রথম থেকে রিভিশন দিতে হবে। বইয়ের সাইজও মনে হচ্ছে বেশ বড় হবে। বইয়ের নাম করনের সার্থকতা কিন্তু এখনও খুঁজে পাইনি। যে পর্বগুলি ব্লগে দেবেন না, সেখানে এটা নিয়ে কিন্তু কাজ করবেন।

যে ভেবেছিলাম তাই হলো, শেফালী ম্যাডামের প্রেম কাহিনী আর পড়া হলো না। পিচ্চির বাবার পরকীয়া এনেছেন শেষে আবার লীনা শেফালী সব মিলিয়ে কোন ট্যুইস্ট দেবেন নাকি??

শুভ রাত্রী, ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!

০৪ ঠা মে, ২০১৯ সকাল ৮:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় নীল আকাশভাই,

দেরি করে এসেছেন! কোন ব্যাপারই নয়। ব্যস্ততা থাকতেই পারে। আমি নিজেও লক্ষ্য করে দেখলাম আপনার সর্বশেষ পোস্ট নিয়ে আপনি অত্যন্ত ব্যাস্ত আছেন। এমন একটি খাসা পোস্টে প্রচুর কমেন্ট ও তার প্রতিমন্তব্যে ব্যস্ত থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। ব্যক্তিগতভাবে কারেন্ট পোস্টে আপডেট উত্তর দেওয়াটাই সমীচীন বলে আমার বিশ্বাস। কাজেই আপনি ঠিকই করেছেন।

টাইপোটি আপনি উল্লেখ করাতে খুশি হলাম। এক্ষুনি ঠিক করে দিচ্ছি। ধন্যবাদ আপনাকে। লেখাটা দ্রুত বলে আপনার মনে হলেও বাস্তবে লেখাটা দ্রুত করিনি। পান্ডুলিপি আগেই লিখে রেখেছিলাম। পোস্ট করার সময় কিছু কিছু জায়গায় এডিট করেছি। কারণ পাণ্ডুলিপিতে কিছু জায়গা পড়ে আমার নিজেরই ভালো লাগছিল না। যে কারণে ব্লগের পোস্টে কিছু এর জায়গায় এডিট করেছি। এরকমই কিছু জায়গা হয়তো আপনার একটু দ্রুত মনে হতে পারে।

বই বের করার জন্য আপনার অগ্রিম শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম। সঙ্গে সুন্দর সাজেশনে আপ্লুত হলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন, এখন সময় নিয়ে পোষ্ট গুলোকে অনেক কাটা ছেঁড়া করতে হবে। অনেক ভাবনা চিন্তার ব্যাপার আছে । ব্লগের পোস্ট একরকম কিন্তু বাস্তবে মলাট বন্ধ করাটা অন্যরকম। কাজেই নতুন করে আবার ছুরি-কাঁচি চালাতেই হবে। আর বইয়ের সাইজ নিয়ে আপনার অনুমান সঠিক। হ্যাঁ, একটু বড় হবে আরকি। আর নামকরণের সার্থকতা আপনি বুঝতে না পারাতে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। মরুভূমির মরীচিকা বাস্তবে কারো তৃষ্ণা মেটাতে পারেনা। উত্তম পুরুষে রচিত গল্পে তেমনি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা বা চাকুরী ,হোস্টেল সবকিছুই বক্তার অভীষ্ট লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। ভালোবাসার ক্ষেত্রেও রয়ে গেছিল প্রশ্ন চিহ্ন। যে অংশটা এখনো পর্যন্ত অনুল্লেখিত আছে।

সবশেষে শেফালী ম্যাডামের পরবর্তী অংশকে আপনাদেরকে না জানাতে পারার জন্য দুঃখিত। এই অংশটিকে তুলে দিলে আর তেমন কিছুই আমার হাতে থাকবে না আগামীর জন্য। আর শেষ অংশে টুইস্ট -টুইস্ট পাবেন না। এতটা আশা করলে নিরাশ হবেন হা হা হা হা হা....


অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।


২৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৯ রাত ২:৩১

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: প্রিয় ভাই, এক প্রকার রিডার্স ব্লকে আটকা পড়ে গেছি কয়েকদিন ব্লগে ছিলাম না লগ ইন করতে সমস্যা হওয়ার কারণে। যেদিন সমস্যার সমাধান হয়েছে সেদিনই বোধ হয় আপনি এই পর্বটি পোস্ট করেছিলেন। পড়ব পড়ব করে আর মনে না থাকায় পড়া হয়নি।

যাইহো, গল্প পড়া যাবে। আগামীকালের জন্য পড়াটা রেখে দিলাম পড়ে অবশ্যই পাঠ প্রতিক্রিয়া জানাবো।

এখন আপনার অবস্থা কেমন সেটা জানা জরুরী বেশি। আপনি ইন্ডিয়ার সেটা জানতাম না। নাহলে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করতাম ভাই। দুঃখিত।

এখন কেমন আছেন? নিরাপদে আছেন তো পরিবার পরিজনদের নিয়ে....???

দোয়া করি সুমহান পরম দয়ালু আল্লাহ্‌ যেন সবাইকেই হেফাজতে রাখে।

০৬ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হোসাইনভাই,

বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত । গত পৌশু থেকে অনেকবারই প্রতিমন্তব্য করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু প্রত্যেকবারই কোন না কোন কারনে ব্যর্থ হয়েছি। আপনার পরিপূর্ণ কমেন্ট ইতিমধ্যে পেয়েছি। অত্যন্ত সুন্দর কমেন্টে মুগ্ধতা। উপরওয়ালা আমাদেরকে রক্ষা করেছেন। ফোনি নিয়ে আমাদেরকে কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি। রোষানলে পড়েছে মূলত উড়িষ্যা উপকূল। আমরা এই যাত্রায় রক্ষা পেয়ে গেছি। আবার একটু সময় নিয়ে আপনার মূল মন্তব্যের উত্তর দিচ্ছি।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২৬| ০৫ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০১

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: অবশেষে এখন পড়লাম.....

শুরুতে ২২/১ লেখাটি দেখে কিছুটা হকচকিয়ে গেলাম। এটা আবার কি...?

পড়ে যা অনুমান করলাম তাই হল। পর্বটি বড় হওয়ায় কারণে দুটি অংশে বিভক্ত করে পোস্ট। অনুমান মিলে গেল।

আরেকটি অনুমান ছিল। আগামী পর্বে মরীচিকার সমাপ্তি হবে। এটাও ঠিক হল যদিও আপনি হাতে দুই তিনটি পর্ব রেখে দিচ্ছেন টুইস্টের জন্য। আর সমাপ্তি হবে জেনে খুব ভালো লাগলো। কেননা আমার ইচ্ছা ছিল সবগুলো লেখা একত্রে পড়ব। আপনি যদি পুরো লেখাটার কোন ডক ফাইল তৈরি করে রাখেন তবে আমাকে কষ্ট করে পাঠিয়ে দিয়েন। না পাঠালেও সমস্যা নেই। আমি নিজেই সব লেখা একত্রিত করে পড়ব। যদিও এতে খুব কষ্ট হবে।


আমার স্মৃতিশক্তি তেমন ভাল না মেবি। তাই মনে নেই গল্পকথক কে। হাহাহা.... গল্পকথকের নামটা জানাবেন।

গল্পে অসম্ভব ভাল লাগা রেখে গেলাম। স্নাতনুর কাহিনী পড়ে খুবই ব্যথিত হলাম।


মানুষের সমাজে আমরা আসল নকল
খুঁজে বেড়াই। কিন্তু উদ্ভিদ কূলে বোধ হয়
ওসব তুচ্ছ ব্যাপার। কে প্রাচীন কে নবীন,
কে আসল কে নকল -এসব বাছ বিচার না করে
বিরাট গাছের বোঝা তারা সম্মিলিত
ভাবে বহন করে। আর আমরা বোকা মানুষ,
কেবল আসল নকল খুঁজে বেড়াই।



আহ! কি সুন্দর কথা। মন ছুঁয়ে গেল। তবে কিছুটা খারাপও লাগলো অপেক্ষা বাড়ায়। এই গল্প বলার ধরণটা অন্য পাঠকদের কতটুকু ধরে রাখবে জানিনা। তবে আমি যতই পড়ি ততই পড়ার জন্য উৎসাহী হব। সেইক্ষেত্রে গল্পটা বড় হলেও পড়ে ফেলতাম।

ভাল থাকুন। মলাটবদ্ধ মরীচিকা পড়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আজকের মত বিদায়।

০৭ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হোসাইনভাই,


প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য। আপনার অসাধারণ সুন্দর কমেন্টে মুগ্ধতা। অস্বীকার করবো না যে এমন কমেন্টের উত্তর, যেমন-তেমন ভাবে দেওয়াও যায় না। কাজেই সময় নিয়েই প্রতিমন্তব্য করা।

প্রথমে আপনার অনুমান শক্তির তারিফ করতেই হবে। আপনি যে দুটি বিষয় অনুমান করেছেন, কার্যক্ষেত্রে দুটোই মিলে যাওয়াতে গল্পলেখক হিসেবে আমি আনন্দিত। পাঠকের এমন অনুমান শক্তির গভীরতা আগামীদিনেও আমি কামনা করছি।
'ডক ফাইল' প্রসঙ্গে- না আমার এরকম কোন ফাইল করা নেই। আপনি যদি পর্ব গুলি পড়তে চান তাহলে কষ্ট করে একে একে পড়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে কষ্ট করে পড়ানোর জন্য আগাম ক্ষমাপ্রার্থী।

আপনার স্মৃতিশক্তি ভাগ্যিস ভালো ছিল না। যে কারণে আমি আপনাকে আমার ব্লগে পেয়েছি। বেশি প্রখর হলে আপনি আমার মত হাতুড়ে লেখকের ব্লগে ঢুকতেনই না। হা হা হা হা

গল্প ভালো লেগেছে। শান্তনুর ব্যাপারে ব্যথা পেয়েছেন জেনে আমিও খুশি হলাম। সঙ্গে নবীন-প্রবীণ ,আসল- নকল ব্যাপারে আপনার প্রতিক্রিয়ায় মুগ্ধ হলাম। গল্প পড়ে এমন সদর্থক প্রতিক্রিয়া যেকোনো লেখকের কাছে কাম্য। আমার কাছে বিষয়টি রীতিমতো চমৎকৃত বলে মনে হচ্ছে। আবারও ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

সবশেষে মরীচিকার মলাটবদ্ধ প্রসঙ্গে আশা থাকলেও বাস্তবে তার কোন দিশা নেই। জানিনা কোন স্বপ্ন সার্থক হবে কিনা।

সবশেষে অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসার প্রিয় হোসাইনভাইকে।


২৭| ০৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: শান্তনু'র মায়ের অনুভূতির দ্বিবিধ প্রকাশ খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন গল্পে। শান্তনু'র বাবা মায়ের মত এমন অসুখী সংসারে সন্তান না আসাই কাম্য।
শান্তনু এবং ওর বাবা মা- এই চরিত্র তিনটিকে গল্পে দক্ষতার সাথে এঁকেছেন।
মাহমুদুর রহমান সুজন এর ১৬ নং মন্তব্যটি ভাল লেগেছে। +
পোস্টে ভাল লাগা + +।

১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী স্যার। শান্তনুর মায়ের দ্বিবিধ প্রকাশ ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।তার বাবা-মায়ের এমন অসুখি জীবনে সন্তান না আসাই কাম্য। কিন্তু ব্যতিক্রমী হয়েই থাকে। গল্পে শান্তনুর পরিবারের তিন জনের চিত্র ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। মাহমুদুর রহমান সুজন ভাই খুব ভালো মন্তব্য করেছেন। সহমত আপনার সাথে।
পোস্টে দ্বাদশ লাইক প্রদানে অনুপ্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা আপনাকে।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।

২৮| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২

প্রামানিক বলেছেন: এক নিঃশ্বসেই পড়লাম। শান্তানুর বাকি কাহিনী জানার আগ্রহ নিয়ে পরবর্তি পর্বে চলে গেলাম।

২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বহুদিন পর আপনাকে দেখে খুশি হলাম। পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ প্রিয় প্রামানিক ভাইকে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.