নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজদেওড়ার জঙ্গলে (পর্ব-৩)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২০



রাজদেওড়ার জঙ্গলে (পর্ব-৪)

অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সেদিন ঘরের মধ্যে বা করিডোরে আমরা নীলাঞ্জনার হাতের পোলার রিংটি পেতে ব্যর্থ হই। স্বভাবতই দারুণ এক বিষন্নতা আমাদেরকে গ্রাস করে। সন্ধ্যের আসরে যেখানে জমিয়ে আড্ডা মারার কথা অথচ আমরা নিজের নিজের রুমে জড় পদার্থের মধ্যে বসে থাকি। অস্বীকার করব না যে এখানে আসার আগে মনে কতই না স্বপ্ন ছিল, একজন ব্লগার হওয়াই দারুণ দারুণ সব ঘটনার সাক্ষী হয়ে ব্লগে শেয়ার করবো। এমতাবস্থায় পরে কি হবে জানিনা তবে আপাতত স্বপ্নভঙ্গ হওয়ায় বিরস বদনে বসে রইলাম।

আপন মনে ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মাথায় এলো স্থানটির আর্থ-সামাজিক অবস্থা তুলে ধরলে নেহাৎ মন্দ হয় না। ব্লগের কয়েকজন মান্যবর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বা রংবেরঙের ছবির চেয়ে ভ্রমণ স্থানের আর্থ-সামাজিক কাঠামো নিয়ে আলোচনা করতে বেশি পছন্দ করেন। সুতরাং ওনাদের কথা চিন্তা করে কিছু তথ্য দেওয়ার সামান্য চেষ্টা আরকি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে গত দুদিন ধরে সমানে যেটা চোখে পড়েছে, মূলত কৃষিপ্রধান অঞ্চলটির বিস্তীর্ণ পতিত অনুর্বর জমি রাস্তার দুপাশে খাঁ খাঁ করছে। স্থানটিতে ভৌগোলিক কারণে শীতকাল কিছুটা এগিয়ে থাকায় পথিমধ্যে বেশ কিছু স্থানে শীতের সবজি ক্ষেতের দেখা পেলাম। রাস্তার দু'পাশে সারিবদ্ধ বাড়িগুলি বেশিরভাগই ঘুমটি ধরনের। অর্থনৈতিকভাবে তাদের নিম্নবিত্তের সাক্ষ্য বহন করছে। গ্রাম ছেড়ে একটু এগিয়ে গিয়ে শহরের মধ্যেও আর্থিক বৈষম্য তেমন চোখে পড়লো না। শহরে যত্রতত্র নোংরা আবর্জনার স্তুপের স্বমহিমায় বিরাজমান থেকে নগর কর্তৃপক্ষের অপদার্থতার ছাপ স্পষ্ট। একাধিক স্থানে বাড়ির সামনে গরু-ছাগলের সহাবস্থান চোখে পড়লো। পশুপালন ওখানে অন্যতম একটি জীবিকা। শহর কিংবা গ্রামের পিচ রাস্তার উপর গরুর পাল নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য হামেশাই চোখে পড়েছে। এহেনো গোচারণ কালে কিছু বলদের গলায় হাঁটু সমান একটি করে বাশ ঝোলানো থেকেই দুষ্টু দমনের পরিচয় পেলাম। বিষয়টি আমার কাছে বেশ অভিনব লাগলো।

পাশাপাশি সহকারী জীবিকা হিসেবে হোটেল ও তার পার্শবর্তী অঞ্চলটিই আমার যুক্তিতে বিষয় নির্বাচনের আদর্শ স্থান বলে বিবেচিত হল। সকালে হোটেলের ঠান্ডা আচরণের কথা ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছি। সে সময় মনে কৌতূহল তৈরি হয়েছিল এক প্রকার অতিথি শূন্য লাক্সারি হোটেলটির ব্যয়-নির্বাহ হয় কিভাবে সে কথা ভেবে। প্রথম দিন বিকালে ফিরে হোটেলটির সামনে সারিবদ্ধ ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের গাড়ি ও বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষের সমাগম দেখে আমাদের মত ফ্যামিলিম্যানদের পক্ষে নিশিযাপন করা কতটা নিরাপদ সেকথা ভেবে রীতিমত শংকিত হয়ে পড়ি। গ্রাউন্ডফ্লোর থেকে দোতলার করিডোর পর্যন্ত সর্বত্র যেন বাতাসে মদের গন্ধ ম ম করতে লাগলো,যা কখনো কখনো ছোট-বড় বিভিন্ন ঢেউয়ের আকারে নাসারন্ধের দেওয়ালে ক্রমাগত ধাক্কা দিতে লাগলো। আমার শ্রীমান তো জিজ্ঞেস করেই বসলো,
-পাপা কি একটা বাজে গন্ধ তোমার নাকে আসছে?
সে সময় আমায় একটু হালকা ঠান্ডা লেগে ছিল। কাজেই নাকটা ঈষৎ টেনে নিয়ে হ্যাঁ না করতে করতে উত্তর দিলাম,
-আসলে ঠান্ডায় আমার একটা নাকটা এক প্রকার বন্ধ হয়েই আছে। যে কারণে ততটা গন্ধ পাচ্ছি না তবে উগ্র পারফিউমের সঙ্গে কি একটা নোংরা বস্তুর মিশ্রিত গন্ধ বাতাসে ভরে গেছে,বলে কোনোক্রমে বুঝিয়ে ওকে ঘরের ভিতরে নিয়ে আসি।

সেদিন হাজারীবাগ নবায়ন উদ্যান থেকে ফিরে শুরুতেই হোটেলে বৈকালিক জনসমাগম দেখে একটু অবাক হয়েছিলাম কিন্তু সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে যখন আবিষ্কার করি যে পার্শ্ববর্তী বন্ধ রুমগুলো থেকে আলোকরশ্মি উঁকি দিচ্ছে তখন হোটেলের আয়ের উৎস রহস্য সম্পর্কে এক প্রকার নিশ্চিত হই। আমার সহকর্মী রঘুদায়ের একটু ধূমপানের বাতিক আছে। এক সময় উনি দরজায় টোকা দিতেই সঙ্গ দিতে বেরিয়ে এলাম। করিডোরে দাঁড়িয়ে গল্প করতে করতে পার্শ্ববর্তী দুটি রুম থেকে দু'জন নারী পুরুষকে সপ্রতিভ ভাবে পাশ কাটিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে যাওয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের ধারণা বদ্ধমূল হলো। যদিও সন্ধ্যের সঙ্গে সঙ্গে গোটা হোটেল থেকে এই কৃত্রিম ভিড় অদৃশ্য হয়ে যায়। কর্মচারীরা যে কারণে আমাদের মধ্যে পরিবার নয়, দু-এক ঘন্টার অতিথিদের আপ্যায়ন করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। যাইহোক সন্ধ্যায় জনশূন্য হোটেলটিতে আমরা অনেকটা নিরাপদ অনুভব করি।

ভ্রমণকাহিনীর নামে একটি গুগলি কাহিনী তৈরি করে মনে মনে কিছুটা আত্মতৃপ্ত অনুভব করে বালিশে সবে হালকা মাথা গুঁজে দিয়েছি এমন সময় বাইরে দরজায় খটখট শব্দ পেলাম। দরজা খুলতেই,
- মামা তোমাদের সবাইকে আমার মা রঘু আঙ্কেলের ঘরে চা খেতে ডাকছে, এক নিঃশ্বাসে কথাটি বলে নীলাঞ্জনার পুত্র নীলাঞ্চ অদৃশ্য হয়ে গেল।
পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে আমার শ্রীমান এতক্ষণ বদ্ধ ঘরে নিজেকে আটকে রেখে সংযমের পরিচয় দিলেও নীলাঞ্চর ডাকে সারাদিনই তড়াৎ করে উঠে পড়লো। অল্প সময়ের মধ্যে নিজেদেরকে তৈরি করে আমরা রঘুদার রুমের উদ্দেশ্যে পা বাড়ালাম। চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিতে দিতে আমরা যে যার হাতের ফোনে সারাদিনের ফটোগুলি উল্টেপাল্টে দেখতে লাগলাম। উদ্দেশ্যে ছিল নীলাঞ্জনার হাতের পোলায় সর্বশেষ কখন সোনার রিংটি দেখা গেছে সেটি খুঁজে বার করার। রঘুদাই প্রথম বিষয়টি তুলে ধরল যে ক্যানারি হিলসের সব ছবিতে এবং হাজারীবাগ নবায়ন উদ্যানের প্রথম দিকের ছবিগুলিতে পোলায় হলুদ দাগ থাকলেও শেষ দিকের ছবিগুলিতে হলুদ দাগ অনুপস্থিত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে সেদিন দুপুরবেলা যখন আমরা উদ্যান ছেড়ে চলে আসি সেদিন এক পশলা বৃষ্টি আমাদের ভ্রমণে যথেষ্ট বাঁধা দিয়েছিল। হালকা বৃষ্টি তার উপরে প্যাচপ্যাচে কাঁদা হওয়ার আশঙ্কায় সেদিন নবায়ন উদ্যানে সময় কাটানোটা আমাদের কাছে যৌক্তিক বলে মনে হয়নি। এক্ষণে উদ্যানের শেষ ফটোগুলিতে নীলাঞ্জনার হাতের পোলায় হলুদ রিং না থাকায় এক প্রকার নিশ্চিত হই যে রিংটি তাহলে উদ্যানের কোথাও পড়ে গিয়ে থাকবে। দুটো সম্ভাবনা তৈরি হলো। এক-রিংটি গাড়িতে পড়তে পারে। দুই-পার্কেও পড়তে পারে। এমতাবস্থায় পরের দিনের কর্মসূচিতে শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত ঝাড়খণ্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্টের অফিস থেকে হাজারীবাগ ন্যাশনাল পার্কে নিশিযাপনের অনুমতি আদায় করতে যাওয়ার সঙ্গে নতুন করে পার্কে রিং খোঁজা অন্তর্ভুক্ত হলো।


পূর্ব পরিকল্পনা মতো পরের দিন সকালে প্রাতরাশ করে আমরা গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিই। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আমি পড়ি বেশ একটা বিরম্বনায়। এদিকে ততক্ষণে দলের সকল সদস্যবৃন্দ রাস্তায় গিয়ে অপেক্ষারত। রুম লক করতে গিয়ে বারেবারে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। নিচ থেকে গিন্নির ক্রমাগত ফোন আসতে থাকে। এই যাই সেই যাই বললেও নিজেকে সম্পূর্ণ করতে ব্যর্থ হই। যথেষ্ট চাপে পড়ে রীতিমত ঘামতে থাকি। পকেটের ফোনটি ক্রমাগত রিং হতে লাগলো। আমি ফোন রিসিভের কোন যৌক্তিকতা খুঁজে না পেয়ে চেষ্টার অব্যাহত রাখলাম। একসময় গোটা লকটি দু টুকরো হয়ে খন্ডাংশ আমার হাতের মুঠোয় চলে এলো। আশপাশে চোখ বুলিয়ে দেখে নিলাম কোন সিসিটিভি আছে কিনা। নাহা! কোন সিসিটিভি না থাকায় কিছুটা স্বস্তি পেলাম। এবার লকটি পূর্বাবস্থায় কোনোক্রমে সেট করে নিচে নেমে আসি। ফোনে না পেয়ে অবশেষে সামনে পেতেই গিন্নি অগ্ন্যুৎপাত শুরু করলো। এই একটি ক্ষেত্রেই নিন্দুকেরা যাই ভাবুক আমি নিজেকে সক্রেটিস ভাবি। ওনার স্ত্রীও অগ্নুৎপাত করে ওনাকে টলাতে না পারলে মাথায় বালতি করে জল ঢেলে দিতেন। দার্শনিকের অবশ্য সরল স্বীকারোক্তি, জানি মেঘ গর্জনের পর বর্ষা হয়। যাইহোক শ্রীমতি ভয়ঙ্করের অগ্নি বর্ষণ একসময় বন্ধ হলে আমরা সকলে গাড়িতে চেপে বসি। গোটা রাস্তা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে ভাঙ্গা লকের কারণে ঘরটি উন্মুক্ত অবস্থায় রাখার জন্য।

নিজের অস্থিরতার কথা গোপন করে দলের শিশু ও মহিলা সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করি উদ্যানের ভিতরে, উদ্দেশ্য নীলাঞ্জনার পোলার রিংটি পাওয়ার একটা ক্ষীন প্রচেষ্টা করা। দলের অন্য দুই পুরুষ সদস্য পূর্বেই উল্লেখিত রাজদেওড়ার জঙ্গলে বা হাজারীবাগ ন্যাশনাল পার্কে নিশিযাপনে সরকারি অনুমতি লাভের উদ্দ্যেশ্যে শহরে অবস্থিত ঝাড়খণ্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্টের অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

পার্কে দর্শন কাল সকাল দশটা দেওয়া থাকলেও স্টাফদের এসে মূল ফটো খুলতে আরও মিনিট দশেক লেগে যায়। মোটামুটি দশটা পনেরো কুড়ির মধ্যে আমরা পার্কে প্রবেশ করি। কোন প্ল্যান না করে আমরা যে যার মত বিচ্ছিন্নভাবে পায়ের দিকে চোখ রেখে রিংটি খুঁজতে থাকি। দলের কনিষ্ঠ সদস্যরাও বড়দের মতো একেকটা লাইন ধরে খুঁজতে থাকে।মিনিট পনেরো তখন হয়নি হঠাৎ দূর থেকে একসঙ্গে তিনটি বাচ্চার চিৎকারে তাকিয়ে দেখি, হাতে রিংটি উঁচু করে যুদ্ধ বিজয়ের হাসি হাসছে নীলাঞ্জনার পুত্র নীলাঞ্চ। মায়ের রিংটি খুঁজে পেতেই স্বভাবতই সে বিজয় উল্লাসে ফেঁটে পড়লো। আমরা গিয়ে তার পিঠ চাপড়িয়ে বাহবা দিতে লাগলাম। উল্লেখ্য এই স্থানেই বাচ্চাদের সঙ্গে গতকাল নীলাঞ্জনাও দোলনায় বসে দোল খেয়েছিল। দোল খেতে গিয়ে কোনভাবেই ধাক্কা লেগে পোলাটা বিচ্ছিন্ন হয়ে নিচে পড়তে পারে। রিংটি ফিরে পেতেই আমাদের উচ্ছাস তখনও কাটেনি। উল্লেখ্য সেদিন সন্ধ্যাবেলার টিফিন খরচটি নীলাঞ্জনার নিকট থেকে আদায় করতে পেরে আমরা রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। এমন সময় দলের অন্যতম সদস্যা সুজাতা বৌদির (রঘুদার স্ত্রী) একটি ফোনে আমাদের যাবতীয় আনন্দের ছন্দ কেটে যায়। ফোনে কথা বলতে বলতে একটু দূরে গিয়ে বারকয়েক অ্যাঁ অ্যাঁ করে শব্দ করাতে বুঝতে পারলাম যে নিশ্চয়ই বড় কোন ধরনের একটা অঘটন ঘটেছে। । আমরা সকলেই উৎকন্ঠিত দৃষ্টিতে বৌদির দিকে তাকিয়ে রইলাম। এক সময় কথা বলা বন্ধ হলো। পায়ের দিকে তাকিয়ে কয়েক কদম হেঁটে বৌদি আমাদের পাশে চলে এসে অস্ফুটে বলল,
-আজ সকাল এগারোটায় শাশুড়ি মায়ের দেহান্তর ঘটেছে।
আমরা উপস্থিত সকলেই কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম।আগে থেকে জানতাম উনি একটু অসুস্থ তাই বলে চিরদিনের জন্য চলে যাবেন এটি ছিল কল্পনাতীত। যাই হোক তাৎক্ষণিক করণীয় কি সেটা ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ঘোর কেটে গেল। সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম যে হোটেলে ফিরতে হবে। যেমন ভাবনা তেমনি কাজ।পার্ক থেকে বের হতেই একটি অটো পেয়ে গেলাম। অটোতে বসে হোটেলের পথে ফিরতে ফিরতে অটো ড্রাইভারকে দিয়ে একটি সুমো গাড়ি রিজার্ভ করা হয়। হিসাব মতো আড়াই ঘন্টা হাতে সময় আছে, একশো কুড়ি কিলোমিটার দূরে রাঁচি স্টেশন থেকে বিকাল 3:15 মিনিটের ট্রেনটি ধরলে হয়তো রঘুদা সপরিবারে মায়ের অন্তেষ্টিতে যোগ দিতে পারবে। আমরা সকলে হাত লাগিয়ে ওদের জিনিসপত্র গুছিয়ে দিয়ে গাড়িতে তুলে দেই।যদিও চিন্তায় ছিলাম মায়ের শেষ মুখ দেখতে পাবে কিনা...

ওরা চলে যেতেই আমরা খুব বিষণ্ণ হয়ে পড়ি। তিনটি পরিবারের তিনটি ছানা ছিল একটি চলে যেতেই বাকি দুটি খুব একাকিত্বের মধ্যে পড়ে। বয়সে একটু বড় হওয়ায় রঘুদার পুত্র গুঞ্জন বাকি দুটোকে আগলে রেখেছিল। কাজেই গুঞ্জনের সদ্য অনুপস্থিতিতে দুটো কচি কাঁচার বিষন্নতা ছিল চোখে পড়ার মতো। আমরা সাধ্যমতো ওদের নিঃসঙ্গতা দূর করার চেষ্টা করলাম। সেদিন সন্ধ্যাবেলায় হোটেলের উল্টোদিকে রেস্টুরেন্টে বসেই সময়টা কাটিয়ে দেই। রঘুদাকে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও ফোনে না পেয়ে আরো বিমর্ষ হয়ে পড়ি। চলন্ত ট্রেনে নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকায় টেলিযোগাযোগ সবসময় সম্ভব নয় বলে নিজেদেরকে সান্ত্বনা দিতে থাকি। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ হঠাৎ ফোন আসাতে সর্বশেষ খবর পাওয়ার আশায় কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি। কিন্তু নাহা! আমাদের সমস্ত জল্পনা-কল্পনা উল্টে দিয়ে জানালো যে ওরা এখন বাঁকুড়া স্টেশনে নেমে একটা মারুতি গাড়ি করে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে। হিসাব অনুযায়ী বাড়ি পৌঁছাতে নাকি আরও এক ঘন্টা লাগবে। পরের খবরটি আমাদের আরো বিষন্নতায় ভরিয়ে দিল।বিকাল পাঁচটার সময় বড় দুই ভাই ও বাবার উপস্থিতিতে মায়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেছে। স্টেশন থেকে গ্রামের বাড়িতে ফেরার গাড়িতে ওর সঙ্গে ওর ছোট দাদাও ছিলেন যিনিও ওর মতোই মায়ের অন্তেষ্টিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। খবরটি পেয়ে মনের বিহ্বলতা আরো বেড়ে গেল। মনে হল শুধু রঘুদা একা নয় আমরাও যেন মায়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছি। ইতিমধ্যেই কোনোক্রমে রাতের খাবার খাওয়া হয়ে গেছিল। চূড়ান্ত অস্বস্তির মধ্যে কোনক্রমে দলের বাকি সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বার হয়ে রাস্তা অতিক্রম করে হোটেলে চলে আসি। রুমের সামনে এসেই মনে পড়লো দিনের শুরুতে যে লকটি হাতলসহ ভেঙে যাওয়ায় কোনক্রমে গুঁজে চলে গেছিলাম। সারাদিনে ব্যস্ততার কারণে তার কথা বেমালুম ভুলে গেছিলাম। লোকটির যথারীতি একি অবস্থায় আছে। এক্ষণে ভাঙা লকটি হাতে নিয়ে রিসিপশনে কমপ্লেন করি এবং এরকম অরক্ষিত অবস্থায় যদি কিছু মিসিং হয় তার ইঙ্গিত করতেই রিসেপশন থেকে তিন/চারজন কর্মচারী শশব্যস্ত হয়ে ছুটে এলো। প্রত্যেকেরই লক্ষ্য ছিল লকটিকে মেরামত করা। অবশেষে ব্যর্থ হয়ে রন ভঙ্গ দিয়ে শুরু করে দুঃখ প্রকাশের আদিখ্যেতা। যদিও মনে মনে আমি ওদের এরকম আচরণে বেশ স্বস্তি বোধ করি। যাই হোক রুমে ঢুকে পরের দিনের জন্য প্রস্তুতি নেই। কারণ আমাদের পরের দিনে যে রাজদেওড়ার জঙ্গলে নিশিযাপন করতে হবে।











তখনো আমরা একসঙ্গে:-




















উপরের ছবিগুলো ইতিপূর্বে পরিচয় করানোই নতুন করে আর ক্যাপশন দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করছি না।

রাজদেওড়ার জঙ্গলে আমাদের স্বাগতম জানাতে তৈরি:-





রাজদেওড়ার জঙ্গলে (পর্ব-২)


মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৪

ইসিয়াক বলেছেন: আমি প্রথম

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথম মন্তব্য মানে আলাদা ভালোলাগা। ধন্যবাদ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা সব আজ আপনার উদ্দেশ্যে হাহাহাহা.. যদি ইতিমধ্যে আপনার পরবর্তী কমেন্ট পেয়ে গেছি।
শুভেচ্ছা অফুরান প্রিয় ইসিয়াক ভাইকে।

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯

জুল ভার্ন বলেছেন: এই পর্বের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম অনেক দিন। প্রত্যাশা পূরণ করেছেন লেখার শক্তিশালী বুননে! এযেনো আমার, আমাদের চিরায়ত বাংগালী পরিবারের মায়াজালের সুনিপুণ কথকতা!
অসাধারণ সুন্দর!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ভাইজান,

আপনার এমন অনুপ্রেরণা ধর্মী আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক দিন থেকে অপেক্ষায় আছেন জেনে ক্ষমাপ্রার্থী। সাম্প্রতিককালে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে অবতীর্ণ হাওয়ায় গোটা ভারত ব্যাপী বিজয় উৎসবের জয়জয়কার। কোথাও পটকা কোথাও বা হোম যজ্ঞের মাধ্যমে গাড়ির টায়ারের অগ্নিসংযোগের মধ্য দিয়ে নিজেদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে। কোথাও কোথাও উচ্ছ্বাস বেশি হওয়ায় মোদিজী সবক শেখাতে পেলেট গানের আশ্রয় নিচ্ছেন। কাজেই বুঝতে পারছেন আমরা এখন বিজয় উল্লাসে মেতেছি।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা আপনাকে।

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:




খুব ভাল লাগছিল পড়তে কিন্তু মৃত্যুর সংবাদ খুবই কষ্ট দিল, আমাদের সবাইকে যেতে হবে একই পথে তবুও যেন মানতে কষ্ট হয়.....

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় শাহিন ভাই,

আশাকরি ভালো আছেন। হ্যাঁ ভাই সেদিন মৃত্যু খবর পেয়ে ভীষণ খারাপ লাগছিল। বাইরে ঘুরতে গিয়ে এরকম অবস্থা আমার প্রথম। গোটা ট্যুর যে কারণে পরে স্রেফ নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সহমত আপনার সঙ্গে যে আমাদের শেষ পরিণতি সব একই জেনেও আমরা খড়কুটোর মতো কিছু পেয়ে আঁকড়ে থাকার চেষ্টা করি। মানতে খুবই কষ্ট হয় যে আমাদেরকেও একদিন এভাবে ছেড়ে চলে যেতে হবে।
পোস্টটিতে like' কত প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা প্রিয় শাহিন ভাইকে।


৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১১

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লাগলো ভ্রমণ কাহিনী । রিংটি ফিরে পাওয়াতে আরো ভালো লাগলো এবং স্বস্তি পেলাম কিন্তু এদিকে মৃত্যু সংবাদে দুঃখ ও পেলাম। যা হোক এই তো জীবন। এভাবেই জীবন এগিয়ে যায় ....।ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুন ।
যেখানে থাকুন সুস্থ থাকুন । ভালো থাকুন সব সময়।
শুভকামনা রইলো ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ইসিয়াক ভাই,

আপনার পূর্ণাঙ্গ কমেন্ট পেয়ে পুলোকিত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। একদম যথার্থই বলেছেন যে রিংটি পাওয়ার আনন্দ মুহূর্তে বিলীন হয়ে যায়। চড়াই উতরাই পথ পার হওয়ার নামই জীবন যা স্রোতস্বিনীর ন্যায়।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা প্রিয় ইসিয়াক ভাইকে।

৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের ঢাকায়ও একটা হাজারীবাগ আছে। খুব নোংরা এলাকা।
প্রতিটা মৃত্যুই খুব কষ্টের।

দাদা কোলকাতায় শীত কেমন? ঢাকায় ভয়াবহ অবস্থা।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই,
ঢাকায় যে হাজারীবাগ আছে তা জানতাম না। বিষয়টি জেনে পুলকিত হলাম।ঝাড়খণ্ডের হাজিরবাগ আক্ষরিক অর্থে হাজার বাগানের সমাহার। সে দিক থেকে কোন স্থানে অসংখ্য বাগান থাকলে হাজিরবাগ নাম হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। আর নোংরা ময়লা-আবর্জনা স্তূপকার একদিকে মানুষের সদিচ্ছার অভাব অপরদিকে নগর কর্তৃপক্ষের অপদার্থতা- দুটো মিলিয়ে এমন অস্বাস্থ্যকর অবস্থা তৈরি হওয়া সম্ভব।
কলকাতা বা তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে গত দু'দিন ধরে ঠান্ডা পড়ছে। আমার বেশ উপভোগ্য মনে হচ্ছে। একটু আগে শুনলাম ঢাকায় নাকি কয়েকদিন সূর্য উঠছে না। এখন দরকার নানা রকম পিঠা পায়েসের আয়োজন।
শুভকামনা প্রিয় ছোট ভাইকে।

৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

ভ্রমন কাহিনী চমৎকার লেখনীতে এগিয়ে চলেছে। ভালো লাগলো খুব।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ছোট্ট আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হলাম সৌরভ ভাই। পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা জানবেন।

৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০২

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: নতুন করে বলবার কিছু নেই। বরাবরের মতই....কিন্তু মৃত্যু সংবাদে তালটা কেটে গেল।
যিনি পরলোকগমন করেছেন,ওনার আত্মার শান্তি কামনা করছি। এমন অভিজ্ঞতা আমাদেরও একবার হয়েছিল। প্রথম যেবার কক্সবাজারে যাই(ফাইভে পড়তাম),আসার ঠিক আগের দিন আমার এক খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মা মারা যান।........
যাহোক,শুভকামনা জানবেন।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় রূপম ভাই,

আপনার সুন্দর অনুভূতি ধর্মী মন্তব্যে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। ক্লাস ফাইভে পড়াকালীন আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আবারো ধন্যবাদ।যেহেতু আপনি ওই সময় একেবারে পুঁচকে ছিলেন কাজেই একটা ছোট্ট বাচ্চা মায়ের উপর অত্যধিক চাপ পড়ে, যা থেকে কাটিয়ে ওঠা বেশ কষ্টকর হয়ে পড়ে।

আপনার শুভ কামনা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইল হৃদয় ভরা ভালোবাসা ও অফুরান শুভেচ্ছা।

৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৭

শের শায়রী বলেছেন: আপনার ভ্রমন কাহিনীর মাঝে আত্ম কাহিনী সুন্দরভাবে মিশে যায়, অনেকেই এই আর্ট টা ধরতে পারে না, অনেক পড়াশুনা এবং আত্ম উপলদ্ধি লাগে।

শুভ কামনা।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় শাইরী ভাই,

আপনার হৃদয়গ্রাহী মন্তব্যে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ জানবেন। লেখার কৌশল টি ধরে ফেলেছেন চেনে আনন্দ হলেও প্রচুর বই পড়ার অভিজ্ঞতার যে কথা লিখেছেন তার তীব্র বিরোধিতা করছি। স্রেফ ভালো লাগে বলে লিখি। বিদ্যা বুদ্ধি বা পড়াশোনার অভিজ্ঞতা একেবারেই নেই।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আংটি ফিরে পাবার আনন্দ বিষাদে বদলে গেলো দেহান্তরের সংবাদে!!

হুম.. জীবন এমনই অনিশ্চিত!
অথচ তবু আমরা তাকেই নিশ্চিত করতেই জীবনপাত করি!
যেন মাকড়সার জাল বুননের পন্ড শ্রমে জীবনপাত! অথচ এক পলকা হাওয়ায় তা উড়ে যায়!!

দারুন এগুচ্ছো কাহিনী :)

++++

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,

ঠিকই তো প্রিয় জন হারানোর খবর পেলে যত বড় উচ্ছ্বাস হোক না কেন তা মুহূর্তে বিলীন হতে বাধ্য। বাস্তবে নিজের অন্তর থেকেই সেদিন আমাদের তেমনই অনুভূতি হয়েছিল। জীবন এমনই অনিশ্চিত। অথচ সেই জীবনকে নিয়েই আমরা আশার ভেলা বাধি কোনো সুদূরের পানে। মাকড়সার জাল বুনুনের মতো জীবনের তারাটি এক পলকা বাতাসে মুহূর্তে খসে পড়ে মিলিয়ে দেয় নিয়তির শেষ পরিণতিতে। সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম।
পৌষ্টিটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।


নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

১০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪০

ইসিয়াক বলেছেন: আমার আজকের পোষ্টটি কি পড়েছেন ?
আমার ছেলেবেলায় আল্লাহর কাছে চাওয়া ও প্রেমিকাদের জন্য দোয়া প্রার্থনার গল্প

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ইসিয়াক ভাই,

হ্যাঁ আপনার সেদিনের পোস্টটি পড়েছিলাম। ইতিমধ্যেই মন্তব্য করেছি। আপনিও প্রতিমন্তব্য দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে। সুন্দর স্মৃতিচারণ মূলক পোস্টে ভাল লাগা রেখে এসেছিলাম।

অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।

১১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪১

এমজেডএফ বলেছেন: আজকের পর্বটি পড়ে মনে হল রাজদেওড়ার জঙ্গলের সাথে আজীবন স্মৃতি হয়ে থাকবে আপনাদের আনন্দ-বেদনার ঘটনাবহুল এই দিনটি। একজনের রিং পাওয়ার আনন্দ-উচ্ছাস শেষ না হতেই আরেক জনের মা হারানোর দুঃসংবাদ সত্যিই দুঃখজনক! মৃত্যুকে ঠেকানোর ক্ষমতা মানুষের নেই, তাই যে সময়েই হোক তাকে মেনে নিতে হবে। কিন্তু বর্তমান বিজ্ঞান-বান্ধব ডিজিটাল যুগে কারো অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াকে কিছু সময়ের জন্য ঠেকিয়ে রাখার ক্ষমতা তো মানুষের থাকার কথা। হয়তো ধর্মীয় বিধি-নিষেধ ও সনাতন প্রথার কারনে তা সম্ভব হয়নি! সম্ভবতঃ অপরিণামদর্শী এই ধর্মীয় বিধির কারণে দুটি সন্তান তাদের প্রাণপ্রিয় মায়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া থেকে বঞ্চিত হলেন :((

ভ্রমণকাহিনী বরাবরের মতো চমৎকার হয়েছে। আপনাদের হোটেলের রুমের লক ভাঙ্গা থাকায় পর্বটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত খুব টেনশনে ছিলাম :( । না জানি আবার আরেকটি অঘটন ঘটে যায়! যাক শেষ পর্যন্ত সেরকম কিছু না ঘটায় স্বস্তি পেলাম :)। ছবিগুলোও সুন্দর হয়েছে। ডেঙ্গু থেকে সাবধান!

প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে রাজদেওড়ার জঙ্গলে নিশিযাপনের গল্পের অপেক্ষায় রইলাম।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় এমজেডএফ ভাই,

আজ আরও একবার স্বীকার করছি ব্লগে আমার জানা মুষ্টিমেয় যে কজন অত্যন্ত বিচক্ষণ মন্তব্য করেন আপনি তাদের অন্যতম। এমন মন্তব্য পেলে লেখার দুর্নিবার নেশা যে পেয়ে বসে তা অস্বীকার করতে পারিনা। কি বলে যে আপনাকে ধন্যবাদ দেবো তা প্রকাশের ভাষা নেই।
আসলে উপরওয়ালা আমাদেরকে এই ভাবেই তৈরি করেছেন। ক্ষনিকের পৃথিবীতে আমরা ধনি বা নির্ধন যাই হই না কেন সে জনের ডাকে সাড়া দিতে আমরা যে কোন মুহূর্তে যেকোনো স্থানে বাধ্য। তবে এমন বিদেশ-বিভুঁইয়ে ঘুরতে গিয়ে প্রিয়জন হারানোর খবর ও শেষ মুখ দেখতে না পাওয়ার যন্ত্রনা অতীব বেদনার দুর্ভাগ্যের বা দুঃখজনক বটে। কিন্তু পারিবারিক সম্পর্কে কারো না কারো কপালে এমন দুর্ভাগ্য মাঝেমাঝে এসেই যায়। কিন্তু কি আর করার। কপালে লিখন বলে সবকিছু মেনে নিতে হয় না..
সেদিন ওনারা ছোট দুই ভাই যারা চাকরি সূত্রে বাইরে থাকেন সারা জীবনের মতো মায়ের শেষ মুখ দেখা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। বিষয়টি যেহেতু স্বাভাবিক নয় কাজেই পরে যখন দেখা হয় ব্যক্তিগতভাবে প্রসঙ্গটি উত্থাপন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।‌

ভ্রমণ কাহিনী ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। হোটেলের লক ভাঙার ঘটনাটি আরো আকর্ষণীয় হয়তো করতে পারতাম কিন্তু পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে বিষয়টি নিয়ে আর জল ঘোলা করতে ইচ্ছা হয়নি। হ্যাঁ ওখানে আমরা জঙ্গলে বাঘা বাঘা মশার হাত থেকে রক্ষা পেতে মশারি ব্যবহার করেছিলাম বাকিটা পরবর্তী পোস্টে আপনাকে জানাবো।হাহা হা... তবে বাড়ি ফিরে আমাদের জেলাতে মারাত্মক ডেঙ্গুর উপদ্রব গাছে। আমার এই দুই বুবু ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে অনেক দিন হসপিটালে চিকিৎসাধীন ছিল।
আপনার শুভেচ্ছা অন্তর থেকে গ্রহণ করলাম। পরবর্তী পর্বের জন্য আপনার আমন্ত্রণ রইল।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকেও।

১২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ছবি ও বর্ণনা সুন্দর হয়েছে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মাইদুল ভাই আপনাকে।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

১৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৯

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: ছবি ও বর্ণনার টাইম মেশিনে চেপে ঘুরে এলাম রাজদেওড়ার জঙ্গলের পথে।

ভালই কাটল সময়!

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার,

আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য; সুস্বাগতম আপনাকে। আপনার ছোট্ট অনুপ্রেরণা ধর্মী মন্তব্যে প্রীত হলাম; ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই প্রথম দিকে সময়টি ভালো কাটলেও পরের দিকে নিয়ম রক্ষার ট্যুর হয়ে দাঁড়ায়। তার মধ্য থেকেও আমরা ভ্রমণটাকে এগিয়ে নিয়ে গেছি। বাকি অনুভূতি গুলো পরবর্তী পর্ব শেয়ার করব। আপনাকে এমনি করেই পাশে পাবো আশা রাখি।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪০

ফয়সাল রকি বলেছেন: রিং খোঁজাটা ভালই হলো। তবে রিংয়ের দামের চেয়ে টিফিনের দাম বেশি পড়েনি তো?
যাই হোক, পড়তে পড়তে হঠাৎ মনে হলো, যেভাবে বর্ণনা দিচ্ছিলেন তাতে একটা খুনের রহস্য সমাধান করতে পারলে মন্দ হতো না। চালিয়ে যান। +++

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় রকি ভাই,

না ভাই রিং খুঁজে পেয়ে নীলাঞ্জনা টিফিন খাওয়াতে রাজি হলেও পরে পরিস্থিতি বদলে যায়।আর ইচ্ছে হয়নি প্রসঙ্গ উত্থাপনের।
মন্তব্যে পরবর্তী অংশ সম্পর্কে মাইন্ড করলাম।হাহা হা. ‌। যাইহোক আপনি আবার খুনের রহস্য কোথায় পেলেন?

পরবর্তী অংশ আপনাকে আগে চাই চাই....

শুভকামনা জানবেন।

১৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১২

নীল আকাশ বলেছেন: আপস এন্ড ডাউনস।
একদিকে আংটি ফিরে পাওয়া আর আরেক দিকে মারা যাওয়া!
ট্যুর মনে হচ্ছে সেই রকম জমে নি। হোটেল লক ভেঙ্গেছে, জরিমানা দিতে তাহলে হয় নি?
লেখা চলুক, সাথেই আছি।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ ভাই,

হ্যাঁ এবারের ভ্রমণ চূড়ান্ত আপস অ্যান্ড ডাউন আকারে আবর্তিত হয়েছে। রিং ফিরে পাওয়া নিঃসন্দেহে আনন্দের কিন্তু সমস্ত আনন্দ উচ্ছ্বাস বিলীন হয়ে যায় প্রিয় সহকর্মী রঘুদার মাতৃবিয়োগে খবরে। পরের দিকে যে কারণে ভ্রমণ নেহাত নিয়মরক্ষায় পরিণত হয়েছিল। লক ভাঙার জন্য জরিমানা আমাকে দিতে হয় নি ঠিকই তবে সব ঠিকঠাক না থাকলে ওদের এরকম ভাঙাচোরা লকের ঘর দেওয়ার জন্য উল্টে কমপ্লেন করতাম।

বরাবরের মতো পোস্টে লাইক করা ও পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৭

নজসু বলেছেন:



ছবিগুলো অসাধারণ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ছবিগুলো ভালো লাগাতে আনন্দ পেয়েছি, তবে লেখা সম্পর্কে কিছু উল্লেখ না করায় মাইন্ড করলাম হাহাহা...

১৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৫

ইসিয়াক বলেছেন: প্রভু যিশু সবাইকে মনের শান্তি আর সুস্থ শরীর দিক। হ্যাপি ক্রিসমাস।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ইসিয়াক ভাই,

গতদুদিন ব্লগে একহিসাবে আসা হয়নি।মনদিয়ে ফেবুতে ব্লগ দিবসের অনুষ্ঠান ও ছবি দেখতে ব্যস্ত ছিলাম। আপনি নিজেও একি কাণ্ড কারখানায় লিপ্ত ছিলেন।আর একারণেই আপনার সুন্দর ক্রিসমাসের সময়ে প্রতিমন্তব্য করতে পারিনি। প্লিজ ক্ষমা করে দিবেন আমাকে।
আপনার জন্যও রইলো অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

১৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৬

তুহিন নাজমুল বলেছেন: সুন্দর এবং গোছানো ভ্রমন কাহিনী। অনেকদিন পরে এসে আপনার লেখা দিয়েই শুরু করলাম। ভালো থাকবেন।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তুহিন ভাই,

আপনি ব্লগে প্রায় একবছর অতিক্রান্ত করতে চলেছেন অথচ এতদিন পরে আপনার সঙ্গে আমার পরিচয় হল। আমারি আপনার ব্লগে যাওয়া উচিত ছিল। যাইহোক দেরিতে হলেও আপনাকে পেয়ে আমি আনন্দিত।‌‌‌‌‌‌ আগামীতেও এভাবে পাশে পাবো আশাকরি।
কাহিনী ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।

১৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৬

ইসিয়াক বলেছেন: কি আর করা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটালাম আর কি ।হা হা হা .
তবে মজা লেগেছে খুব। রাজীব নূর ভাই আমাদের সাথে যোগ দিলে পারতেন । খালি খালি বেচারা মন খারাপ করে বসে ছিলো।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন। আপনার মতো ওনাকে পেলে ঐ সময়ে আমাদের ভার্চুয়াল আড্ডাটা আরো জম্পেস হতো।
তবে ছোট ভাইয়ের নিশ্চয়ই কোন সমস্যা ছিল।নইলে হয়তো মিস করতো না।
এইমাত্র দেখলাম আপনি কবিতা দিয়েছেন।যাই ওখানে।

শুভকামনা রইলো।

২০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৯

জুন বলেছেন: নীলাঞ্জনার পলার আংটি যে শেষ পর্যন্ত পাওয়া গেল এটুকু পড়েই স্বস্তির শ্বাস ফেলতে না ফেলতেই রঘুদার মা এর মৃত্যুর খবর পড়ে শোকাহত হোলাম পদাতিক। একবার ব্যাংককে হোটেলে ছিলাম। রাতে এয়ারপোর্ট থেকে রুমে ঢুকতেই কানের দুলটা খুলতে গিয়ে স্ক্রু সিস্টেমের পুশটা পড়ে সোফার নীচে গড়িয়ে গেল। ভাবলাম থাক এখন ক্লান্ত পরে তুলবো। পরদিন আমি বাইরে থেকে এসে দেখি রুম সার্ভিস রুম ক্লিন করে গেছে। সাথে পুশও নাই। কি আর করা ভাবলাম ঢাকা গিয়ে একটা কিনে নিলেই হবে। কিন্ত আমি জানতাম না হীরার দুলের সাথে স্ক্রু সেট করেই বানানো হয়। একটার সাথে আরেকটা যায় না। জুয়েলার্সের লোকটা বল্লো ",আপা আপনি রবারের পুশ ব্যবহার করেন, না হলে আরেকটা দুল পুরোপুরি অর্ডার করেন "। আমি রবারের পুশটাই ভয়ে ভয়ে ব্যবহার করছি আর একটু পর পর কানে হাত দিয়ে দেখছি।
যাইহোক ধান ভানতে শিবের গীত হয়ে যাচ্ছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় পদাতিক।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপু,

আপনার সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। আপনি অত্যন্ত ভালো একজন পাঠক। খুব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পোস্টটা পড়েছেন। পোস্টের একেবারে আসল জায়গাটিই তুলে ধরেছেন। হ্যাঁ নীলাঞ্জনার রিং পাওয়ার সুখানুভূতি স্থায়ী হয়নি।রঘুদার মাতৃবিয়োগ আমাদের সমস্ত অনুভূতিকে অস্তাচলে ডুবিয়ে দিলো।
আপনার ব্যাঙ্ককের অভিজ্ঞতাও ভোলার নয়। একটা গুজি তার বস্তুগত মূল্যের বাইরেও যে এতটা প্রাসঙ্গিক হবে আপনি বিষয়টি শেয়ার না করলে জানতেই পারতাম না আপু। সন্ধ্যা কালীন টিফিন খেতে নিচে চললাম।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা প্রিয় আপুকে।

২১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা,
শুরুতেই বলে নিচ্ছি ভ্রমণের বর্ণনা কিন্তু অসাধারণ। এবারও
কিন্তু খুঁটিনাটি বাদ যায়নি।
আংটি ফিরেপাওয়ার বর্ণনা পড়ে ভালই লাগলো।
সুজাতা বৌদির মাতৃবিয়োগ বিপদ বলে আসে না এটাই ।
সব মিলে দাদা আপনার লেখার শৈল্পিকতার প্রশংসাযোগ্য।
আমার শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।


২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোন,

গতকাল থেকে আমাদের শীতকালীন ঘোরাঘুরি শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে আমরা লোধাশুলির জঙ্গলে রিসর্টে আছি।গতকয়েকদিন ধরে আমি প্রিয় বোনকে খুঁজে গেছি। অবশেষে দেখা পেয়ে আশ্বস্ত হলাম। ধন্যবাদ প্রিয় ছোট বোনকে।
মাতৃবিয়োখ বৌদির নয়, ওনার শাশুড়ি মায়ের। সুন্দর অনুপ্রেরণা ধর্মী মন্তব্যে ও পোস্টে লাইক করাতে প্রীত হলাম। কৃতজ্ঞতা ছোট বোনকে।

বোনের শ্রদ্ধা হৃদয়ে ধারণ করলাম। বোনের জন্যও রইলো হৃদয়ভরা ভালোবাসা ও অফুরান শুভেচ্ছা।

২২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৮

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: আপনার লেখাটা চোখেই পড়ল না।
ছবিগুলো চমৎকার।

লেখা সম্পর্কে পরে দ্বিতীয় পর্বসহ একত্রে পড়ে মন্তব্য করব।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হোসাইন ভাই,

ছবি গুলো ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। কোন ভাবেই হোক পোস্টটি চোখের আড়ালে চলে গেছে। যদিও সময় পেলে পড়বেন এবং কমেন্ট করবেন আশাকরি।
শুভকামনা প্রিয়ভাইকে।

২৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ঘটনা বহুল ভ্রমণ !
তবে রঘু দার মাতৃ বিয়োগ বেশ বেদনার।
চমৎকার সব ছবি নিয়ে দারুণ ভ্রমণ পোষ্ট ।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আপু ঘটনাবহুলই বটে। আর জন্মমৃত্যু তো হিসাব করে আসেনা।
ভ্রমণ পোস্ট ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।‌
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

২৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

হাবিব বলেছেন: ইশ রে ...... কতকিছু মিস করেছি .......।।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিব ভাই,

অনেক দিন পরে আপনাকে পেয়ে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা জানবেন।

২৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,





হুমমমমমমম... প্রায় সব স্বামীরাই মনে হয় ঘরে সক্রেটিস হয়ে থাকেন। :(

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই। গত কয়েকদিন ধরে আমার কোন পোস্টে প্রতিমন্তব্য দেওয়ার সবুজ বাটন না আসায় সময়ে প্রতিমন্তব্য না দেওয়াতে দুঃখিত।
পোস্ট প্রসঙ্গে আপনার অবজারভেশন শতভাগ সত্য। হেহেহেহেহে....

শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।

২৬| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:১৫

নিভৃতা বলেছেন: এই মেঘ, এই বৃষ্টি, এই রোদ, আবার মেঘ। এই তো জীবন। জীবনেরই প্রতিচ্ছবি যেন ফুটে উঠলো আজকের কাহিনীতে।
গোয়েন্দাগিরিও ভালোই পারেন দেখা যাচ্ছে। যাক অবশেষে, অবিশ্বাস্যভাবে রিং তো পাওয়া গেলো। লক টক ভেঙে নাজেহাল অবস্থা। তবে অবস্থাটা কল্পনা করে দুঃখের বদলে হাসিই পাচ্ছিলো। আর সেই জন্য দায়ী আপনার বর্ণনা।

পড়তে পড়তে যখন মিটি মিটি হাসছি ঠিক তখনই এলো দুঃখের খবরটা। উনার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

অত্যন্ত সুপাঠ্য অসাধারণ লেখা। ভ্রমণ কাহিনীও যে এত আকর্ষণীয়ভাবে লেখা যায় তা আপনার লেখা না পড়লে জানা হত না।

০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:

হেহেহে আমার মত ভোদাকেও আপনি গোয়েন্দা বলছেন? আমি বরাবরই ব্যাক বেঞ্চার। অলস বা বা কুঁড়ে বললে একেবারে প্রথম সাড়িতে থাকতাম। বাকি সব আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এই যেমন আপনি গত কয়েকদিনে 13 টি পোস্ট দিয়েছেন। আমার ক্ষেত্রে 13 টি পোস্ট দিতে গেলে কমপক্ষে 13 ইনটু 7 প্লাস আরও 10 দিন টাইম লেগে যেত। আর এমন মানুষ যদি গোয়েন্দা হয় তাহলে কিছুদিন পর যে বিষয়ে গোয়েন্দাগিরি করছেন সেটিই বেমালুম ভুলে যেতে বাধ্য। হেহেহে...
পোস্ট যাইহোক একেবারে অসাধারণ হয়নি। এই পোষ্টের সাত থেকে আটটি জায়গায় বাক্য গঠনে ভুল আছে। বেশ কয়েকটি টাইপো আছে। আমি নিজে অন্যের পোস্ট নিখুঁত হলে তবেই অসাধারণ বলি। অবশ্য ব্যক্তিবিশেষে মতামত ভিন্ন হতে বাধ্য।
সর্বোপরি সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।

২৭| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪১

নিভৃতা বলেছেন: আমি অতি নগন্য পাঠক। আমার মত নগন্য একজন পাঠকের কাছে ভ্রমণ কাহিনীর মত উচ্চ মার্গের লেখা এত আকর্ষণীয় মনে হওয়াটা অসাধারণই বটে। বর্ণনা অসাধারণ না হলে এটা সম্ভব হত না।

আর টাইপো, বাক্যগঠণ এগুলো আমি ধর্তব্যের মধ্যে নেইনি। কারণ আমার মনে হচ্ছে এগুলো অসাবধানতাবশত ঘটেছে এবং রিরাইটের পর ঠিক হয়ে যাবে।

আমি যদি ধৈর্য্যশীল লেখক হতাম তবে এত কম সময়ে এত পোস্ট হয়তো দিতে পারতাম না। আমার ধৈর্য্যের প্রচুর অভাব রয়েছে। :) তাছাড়া লেখাগুলো আগের লেখা। এখন শুধু কপি পেস্ট করে পোস্ট দিচ্ছি। এটাও আরেকটা কারণ এত ঘন ঘন পোস্ট দেয়ার।

০৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পুনরায় মন্তব্যে আসায় খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপু আপনাকে। হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন এখানে আমরা সবাই অতি নগন্য। ব্লগে তো আর নামি কোন সাহিত্যিক/কবি লেখালেখি করেন না।সে দিক দিক থেকে এখানে আমাদের সকলের একটিই পরিচয় আমরা প্রত্যেকে ব্লগার; আমরা নিজেরা লিখি এবং আমরা একেঅপরের লেখায় মূল্যায়ন করি।এর মধ্যে কিছু কিছু লেখা ভালো লাগতে পারে। যাইহোক লেখাটি কোন কারণে আপনার ভালো লেগেছে জেনে আপ্লুত হলাম; অনুপ্রাণিত বোধ করছি। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইলো আপনার জন্য।
টাইপো সম্পর্কে আপনার মন্তব্য একেবারে যথাযথ মনে হয়েছে। হ্যাঁ লেখার উদ্দেশ্যটি আসল। আমরা যদি মনের বাঁধন খুলতে পারি সেক্ষেত্রে বাক্যের গঠন বা বানান ততটা বাঁধার সৃষ্টি হতে পারে না।

মন্তব্যের তৃতীয় অংশে আপনার বিনয়ের পরিচয় পেয়ে আবারো খুশি হলাম। যেহেতু নিজের ধৈর্য হীনতার পরিচয় খুঁজে পেয়েছেন যেই খুব শীঘ্রই সে সমস্যা কাটিয়ে উঠবেন- আশা করি।

সবশেষে আবারো ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।


২৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: নানা ঘটনা অঘটনার মাঝ দিয়ে গল্পের ধারাবাহিকতা এগিয়েছে, পড়তে ভাল লেগেছে।
"তবে রিংয়ের দামের চেয়ে টিফিনের দাম বেশি পড়েনি তো?" - পোস্ট পড়ার সময় ফয়সাল রকি'র এ প্রশ্নটা আমার মনেও উঁকি দিয়েছিল।
জুল ভার্নশের শায়রী এর মন্তব্যদুটো ভাল লেগেছে।
পোস্টে পঞ্চদশতম ভাল লাগা + +।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: " তবে রিংয়ের দামের চেয়ে টিফিনের দাম বেশি পড়েনি তো?"-হেহেহে..না স্যার আমাদের চাহিদা খুবই সামান্য। রকি ভাইয়ের সঙ্গে সহমত পোষণ করে আপনিও খুব ভালো একটা প্রশ্ন রেখেগেছেন। কিন্তু উত্তরটি আমি এখানে দিতে চাইছিনা। যেহেতু এখনও সিরিজটি চলমান। খুবই দুর্ভাগ্যজনক একটা ঘটনা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আশাকরি তার পরিচয় পরবর্তী পর্বে আপনি ঠিক পেয়ে যাবেন।

জুলে ভার্নে ও শের শায়রী ভাই দুজনেই বিচক্ষণ ব্লগার। দীর্ঘ দিন ধরে ব্লগিং করছেন। বিভিন্ন পোস্টে ওনারা নিজেদের বিচক্ষণতার পরিচয় তুলে ধরেন। এখানেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আপনার অভিমত পেয়ে ওনাদের উদ্দেশ্যে আরও একবার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। ধন্যবাদ আপনাকেও।
পোস্টে পঞ্চদশ লাইক প্রদান করে অনুপ্রাণিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.