নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
ছাব্বিশের যত কুয়াশা কুয়াশা সকাল,
দিয়েছে হাতছানি কর্মস্থল।
একদিনেতে ছেদ টানি,
একদিন যে আসবে বিকাল
আমরা সকলেই তা জানি।
তবুও মেনে নিতে চায় না মন
জমে হৃদয়ের আনাচে কানাচে
ছেলেমানুষি আর প্রৌঢ়ত্বের সাহিত্যময় অভিমান
জেনেছিলাম তোমাকে এখানে আমার প্রথম দিকে
তুমি অবিস্মরণীয় বিচক্ষণ বিদ্বজন আর বিদ্বান।
তারপর ততদিন দাদা তুমি ধরেছো ছোটদের হাত
মাথার পরে হয়তো এক ট্রেনের ছাউনি
রচেছো মখমলি জোকার কোম্পানি
জমা হয়েছে কত অন্তরঙ্গ মুহূর্ত
আমরা বয়সের সীমারেখা ছাড়িয়ে হয়েছি স্ফূর্ত।
বিস্মৃতিতে কবে হয়েছে একাকার তোমার সমুজ্জ্বল ভাস্বর সকল ডেফিনেশন।
ব্যক্তিত্বের আড়াল থেকে দেখেছি তোমার সাথে তিরুপতি শৈলীর বাহার
লেগেছে হৃদয়ে গন্ধ, তোমার বর্ননে দক্ষিণী আহার
যখনি দেখেছি এক টুকরো মেঘ মনের কোণে
ভুরু কুঞ্চিয়ে মুহূর্ত পরে হাসির ঝিলিক ফুটিয়েছ স্নেহের জাল টেনে।
তেমনি বাকসিদ্ধ তুমি অথ কথা কড়চায়
মনের ক্যানভাস রাঙিয়েছে আমরা মায় নিন্দুক সব্বাই।
এঁকেছ দুচোখে স্বপ্ন বিভুর ধুলোময় পথেই
নগ্ন পায়ে খালি পেটে ছেঁড়া বোতামের বালককে
তুমি নিয়েই যাবে ডটকমের জগতে।
বিদ্যা জ্ঞানে বুদ্ধিতে দেবেই দেবে পৌঁছে নতুন পৃথিবীতে,
একটা মানুষ গড়া তোমার চাই চাই....
সৃষ্টি যারা করে তারা স্বপ্নের হাত ধরে
উত্তরসূরীকে শেখায় নিতে অঙ্গীকার এক নতুন ভোরের।
তোমার স্বপ্নের হাত ধরে একদিন যেন রচিত হয় তারই সোপান এই বিদ্যায়তনে।
দিও তুমি মোদের আলোকবর্তিকা দান
আশীষ আসীঞ্চন আজীবন।
যদি দুলে ওঠে কখনও মৃণালের বন
যদি কেঁপে ওঠে কখনও অস্তাচলের রবি
তুমি ডেকে নিও দাদা আমরা রইলাম চিরদিন তোমারি সাথে।
এমনি করে দিয়েছো তুমি নিজের ২৬
বিদায় দিনে বিদায় বেলা
শুধুই গোলাপ নয়
জেনো আমার অন্তরের কুর্নিশ।
পাদটীকা:- ২০০৬ সালে কর্মজীবনের প্রথম দিকে খুব কাছ থেকে দেখা একজন সিনিয়র সহকর্মী শ্রীযুক্ত মৃণাল কান্তি ঘোষ মহাশয়ের বিদায় অনুষ্ঠানে ওনার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য।২৬ বছরের কর্মময় জীবনের বিদায় অনুষ্ঠানে কোন পার্থিব বস্তু নয় কেবল ২৬টি গোলাপ সেদিন উনি আমাদের কাছ থেকে গ্রহণ করেছিলেন যদিও প্রবল অনিচ্ছাতে। শ্রদ্ধেয় দাদার স্মৃতিচারণায় লেখা মানপত্রটি আজ ব্লগে শেয়ার করলাম,অনেকদিন ব্লগে অনিয়মিত হওয়াই পোস্ট দেওয়ার প্রবল বাসনাতে।
০২ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথম মন্তব্যে আপনাকে পেয়ে দারুন খুশি হয়েছি।ধন্যবাদ প্রিয় ঠাকুর মাহমুদ ভাই আপনাকে। আপনার মূল্যায়নে আমি কৃতার্থ। ধন্য বোধ করছি।কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।সঙ্গে আপনার স্কুল জীবনের সুখানুভূতির পরিচয় পেয়ে পুলকিত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
যদি স্মৃতিতে কিছু ভেসে থাকে তাহলে আপনার ওই সময়কার দিন গুলোর উপর লেখা এমন একটি কবিতা পেলে আরো খুশি হতাম।
ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা প্রিয় ঠাকুর মাহমুদ ভাইকে।
২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর।
০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই আপনাকে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।
৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: মানপত্র বলছেন কেন? এটা তো কবিতা।
কবিতা আমার কাছে ভালৈ লেগেছে। তবে একটা ইংরেজী শব্দ আমাকে পীড়া দিচ্ছে। ডেফিনেশন
০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এই মাসে বাড়ি বদল করেছি। শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রাণান্তকর অবস্থা।কিন্তু ব্লগিং করার নেশা যে রক্তে মিশে গেছে তাকে বাদ দিই কেমন করে। যে কারণে গতকাল রাতে একটু সময় পেতেই বাড়ি বদলের কারণে প্যাকিং করতে গিয়ে পুরনো কাগজপত্র থেকে কুড়িয়ে পাওয়া পান্ডুলিপিটি শেয়ার করলাম। প্রতিদিনই সাড়ে চারটা /পাঁচটা পর্যন্ত মিস্ত্রিদের সঙ্গে সময় কাটছে। যেমন কেটেছে আজও সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। সন্ধ্যের পরে এখনই ব্লগিং করার সুযোগ পেলাম। আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে একেবারে স্বাভাবিক হতে পারব।
পোস্টে ডেফিনেশন সম্পর্কে বলি:-ভাবনাটা এসেছে এইভাবে যে আজ আমাদের সামনে যে প্রিয় মুখগুলো বিভিন্নভাবে যে অনুভূতি তৈরি করে আগামী দিনগুলিতে সেই ব্যক্তির সামগ্রিক কর্মকাণ্ড একটি নামে রূপান্তরিত হয়। আর সেই নামটি যেন ওই ব্যক্তির পরিচয়কে একটি সংজ্ঞায় পরিণত করে। লাইনটিতে সংজ্ঞা দিলে যত বেশি না হৃদয়গ্রাহী হচ্ছে তার চেয়ে ডেফিনিশন শব্দটি সে সময় আমার কাছে অধিক শ্রেয় মনে হয়েছিল।
যাই হোক আশাকরি এখন আর ভায়ের শব্দটি তেমন পীড়াদায়ক মনে হবে না।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।
৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ ভোর ৬:২৯
ইসিয়াক বলেছেন:
এতো সুন্দর লেখেন আপনি আর ব্লগে শেয়ার করেন না। না জানি আরো কত কত লেখা লুকিয়ে রেখেছেন মনের অতলে।খুব ভালো লাগলো। আরো আরো লেখা ব্লগে শেয়ার করে আমাদের পড়ার সুযোগ করে দিলে আনন্দিত হবো।
# সাল তারিখগুলো বাংলাতে করে দিন প্লিজ। হয়তো মোবাইলের কারণে হয়েছে। মোবাইলে আপনি Ridmik Keyboard ব্যবহার করতে পারেন।
#আপনাকে আমার পেজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।
https://www.facebook.com/groups/319299356116086
আসবেন আশা করি।
শুভকামনা প্রিয় দাদা।
০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কি যে বলেন!!! এই লেখা সুন্দর হয়েছে, মানতে পারলাম না। একচুয়ালি পান্ডুলিপিটি পুরনো খাতার মধ্যে জমা ছিল। বাড়িবদলের কারণে প্যাকিং করতে গিয়েই হঠাৎ হাতে পাওয়া। আর তা থেকেই একটু সময় বুঝে ব্লগে শেয়ার করা। তবে লেখাটাতে যে আপনার ভালো লেগেছে লেগেছে এতেই খুশি হয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রকৃতপক্ষে আমার লেখালেখি শুরু হয় সামু ব্লগে আসার পর। তারপর থেকে যা লেখালেখি করি সেগুলো ব্লগে শেয়ার করছি বা আগামীতেও করব।
ইংরেজি শব্দ ও সংখ্যা সম্পর্কে আপনি ঠিকই বলেছেন। আমি অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি ভাবেনি। পরে সময় নিয়ে ঠিক করে দিচ্ছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সঙ্গে আমার সম্পর্ক আর নতুন করে বলার নাই কিন্তু ফেসবুকে আমায় একটু অনাসক্তি আছে। আমার কাছে ব্লগ একটা বৃহৎ জগৎ। ফেসবুকে একে অপরের পেজে গিয়ে সময় এডজাস্ট করা কিছুতেই সম্ভব হয়ে উঠছে না।যে কারণে এখন থেকে আর ফেসবুকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্লিজ এতে মনঃক্ষুণ্ণ হবেন না। ব্লগেই তা পুষিয়ে দেব।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ইসিয়াক ভাইকে।
৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুন্দর মানপত্র। তবে মানপত্রের ঐতিহ্য মনে হয় হারিয়ে যাচ্ছে। বিদায় দেয়ার একটা উৎকৃষ্ট পদ্ধতি ছিল এই মানপত্র। মনে হচ্ছে আপনার/ আপনাদের মেনটর ছিলেন উনি। একজন ভালো মেনটর পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় সাড়ে চুয়াত্তর ভাই।এক দিক দিয়ে ঠিকই বলেছেন মানপত্র দেওয়ার ঐতিহ্য দিনকে দিন হারিয়ে যাচ্ছে।নিয়ম রক্ষার মানপত্র দেওয়া হয় ঠিকই, যেখানে ভুরি ভুরি বিশেষণ প্রয়োগ করা হয় উদ্দিষ্ট ব্যক্তি সম্পর্কে। কিন্তু বাস্তবে তার সঙ্গে প্রায় সবক্ষেত্রে মিল থাকেনা। অভিজ্ঞান পত্র হয়ে দাঁড়ায় একপ্রকার স্তুতিবাক্য বাক্যের সমাহারে। কিন্তু তারই মধ্যে সামান্য কিছু মানুষ যারা সত্যিই নিজেদের জীবন দর্শন অনুকরণীয় তাদের বিদায় নিঃসন্দেহে হৃদয়ে দাগ কেটে যায়।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।
৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৪৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া
অনেক ভালো লাগলো
০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
অনেকদিন পর আপুকে পেয়ে দারুন খুশি হয়েছি।
মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রাণিত বোধ করছি।
কৃতজ্ঞতা আপনাকে।
পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানবেন।
৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: দাদা কি নিয়ে আপনি এত ব্যস্ত? আজকাল আপনাকে ব্লগে দেখাই যায় না!!
০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইয়ের আবার মন্তব্যে আসাতে খুশি হলাম। প্রথম মন্তব্য আশা করি ব্যস্ততা সম্পর্কে কিছুটা আভাস দিতে পেরেছি। ধন্যবাদ ভাইকে।
শুভকামনা নিরন্তর।
৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মানপত্রটি চমৎকার হয়েছে। মোদ্দাকথা হচ্ছে বিদায় সে যে বিদায়ই হোক তাহা বরই কষ্টের।
০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য; সু স্বাগতম আপনাকে। পোস্টটি ভাল লাগাতে খুশি হলাম ধন্যবাদ জানবেন। হ্যাঁ,বিদায় বিদায়ী। কিছু বিদায় হৃদয়ে দাগ কেটে যায়।
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা জানবেন।
৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২২
সাইন বোর্ড বলেছেন: হৃদয় নিংড়ানো কথামালা, অনেক ভাল লাগল ।
০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ছোট্ট মন্তব্য অনেক ভালোলাগা। ধন্যবাদ আপনাকে।
অফুরান শুভেচ্ছা রইল।
১০| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪
ওমেরা বলেছেন: সুন্দর।
০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আপুকে পেয়ে খুশি হলাম। পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে।
অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।
১১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,
আমরা এমন বিদায়ী মানপত্র শুরু করতুম এই লাইন দিয়ে -
যেতে নাহি দিব হায়, তবু যেতে দিতে হয়...।
সহকর্মীর বিদায়ে এ আপনার এক সুন্দর সৃষ্টি।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই,
আপনি ঠিকই বলেছেন।"যেতে নাহি দিব তবু যেতে দিতে হয়"- কবিগুরুর এই বিখ্যাত কথাটি দিয়ে আমাদের এখানেও যেকোনো বিদায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। হালকা রসিকতা ও পরে গুরুগম্ভীর এক পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
সহকর্মীর বিদায়ী অভিব্যক্তি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম ধন্যবাদ জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: ২২টি গোলাপ সহযোগে সুন্দর এক মানপত্র
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ২২ টি ২৬ টি গোলাপ সহযোগে বিদায় অনুষ্ঠানে কথা বলা হয়েছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা জানবেন।
১৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে লাইক' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
১৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ১:১৬
নীল আকাশ বলেছেন: আপনাকে আমরা হাতে হারিকেন নিয়ে খুজে বেড়াচ্ছি। আর আপ্নি এখন ব্লগে!
ভালো বেশ ভালো!
বুঝা যাচ্ছে কাজের চাপ কমে এসেছে।
মানপত্র কী আপনার লেখা? হলে শেষ প্যারাতে 26 কেটে ২৬ বানিয়ে দিন।
শুভ রাত্রী।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহেহেহে কি যে বলেন!! ব্লগের নেশাটা না কিছুতেই ছাড়তে পারছিনা। একটু সময় পেলেই মনে হয় যেন একটু ব্লগে ঢুঁ মারি। দিনের বেলায় কাজের চাপ কমাতে পারেনি। রাতের বেলা আবার বাচ্চার পড়ানো থাকে। তারই মধ্যে একটু ব্লগে ঢুঁ মারা।
ছাব্বিশটা ঠিক করে দিয়েছি।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা নিরন্তর।
১৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৬
মিরোরডডল বলেছেন:
একদিন যে আসবে বিকাল
আমরা সকলেই তা জানি
এটাই বাস্তবতা, তারপরও বিদায় মেনে নিতে কষ্ট হয় ।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
অনেকদিন পর আমার কোন পোস্টে আপনার কমেন্ট করলাম। পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে।
কবিগুরুর কথাই বলতে হয়,
"যেতে নাহি দিব, তবু যেতে দিতে হয় ...." এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়েই আমাদের পথ চলা।
শুভকামনা জানবেন।
১৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: একজন সম্মানীয় অগ্রজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রচিত আপনার মানপত্রটি পড়ে অভিভূত হলাম।
কোন শিক্ষক কিংবা সম্মানীয়ের কর্মক্ষেত্র থেকে বিদায় নেয়ার ক্ষণে তার উদ্দেশ্যে রচিত মানপত্রপাঠ একটি প্রাচীন বঙ্গীয় সংস্কৃতি। আমার মরহুম পিতা কর্তৃক তার শিক্ষকের উদ্দেশ্যে রচিত ও পঠিত একটি মানপত্র পড়ার সুযোগ আমার হয়েছিল। কি চমৎকার এবং শ্রদ্ধাজড়ানো ছিল সে মানপত্রটির ভাষা! আরেকদিন দেখেছিলাম, এক হাট মানুষের সামনে তিনি তার সেই হিন্দু শিক্ষককে পা ছুঁয়ে সালাম করেছিলেন। শিক্ষকও তাকে বুকে জড়িয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে স্নেহভরে কথা বলেছিলেন। আমার বাবার বয়স তখন ষাটোর্ধ্ব, তার শিক্ষকের আশির ঘরে।
আপনার নতুন নীড় সুখময় এবং শান্তির হোক, আপনার নিজের জন্য এবং পরিবারের সকলের জন্য! (৩নং প্রতিমন্তব্যটা পড়ে এই শুভেচ্ছানুভূতি মনে কেন জানি এমনিতেই ভেসে এলো, এটা পোস্টের সাথে প্রাসঙ্গিক নয়।)
সাড়ে চুয়াত্তর এর মন্তব্যটা ভাল লেগেছে।
পোস্টে ভাল লাগা (+ +) প্রথমদিকেই একবার এসে জানিয়ে গিয়েছিলাম।
ভাল থাকুন, আন্তরিক দোয়া এবং শুভকামনা....
০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,
মানপত্রটি আপনার ভালো লাগাতে আমি পুলকিত হলাম। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে। প্রাচীন বঙ্গীয় সংস্কৃতি প্রসঙ্গে আপনার মরহুম পিতৃপ্রদত্ত শিক্ষক মহাশয়ের উদ্দেশ্যে রচিত মানপত্র পাঠ করে অর্জিত অনুপম সুখানুভূতি শেয়ার করাতে আনন্দ পেলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি ব্লগে আমাদের অনেকেরই শ্রদ্ধাভাজন ব্যাক্তি। আপনাকে এ কথা বলাটা কতটা মার্জিত হবে ভেবে পাচ্ছিনা। তবুও বলি, শিক্ষকের বোধহয় কোন জাত হয়না;যেমন হয় না ধর্মও। প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্য অনুসারে গুরু শিষ্যের সম্পর্ক হলেও। ঠিক যেন পিতা-পুত্রের ন্যায়। যেখানে শিক্ষক যথাযথ স্নেহ সহকারে মহাশয় পাঠদান করে আনন্দ পান আর শিক্ষার্থী প্রাণভরে শিক্ষকের কাছ থেকে তার জ্ঞানের ভান্ডার পূর্ণ করে।
আর এ কারণেই আপনার ষাটোর্ধ্ব পিতা তাঁর শিক্ষকের প্রতি ঠিক ততটাই আন্তরিক ততটাই শ্রদ্ধাসীন ছিলেন। আমরা কেউ চিরদিনের জন্য নই। কিন্তু জীবন পথে আমাদের কৃতকর্মই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আশীর্বাদ স্বরূপ হয়ে ওঠে। ছোট মুখে শুনতে অস্বস্তি লাগলেও, একথা অনস্বীকার্য যে আপনি আপনার পিতার দেখানো পথেরই যথার্থ উত্তরসূরী। এই পারিবারিক সূত্রে পাওয়া সৌজন্য বা সম্ভ্রমবোধের যথার্থ উত্তরসূরী। পোস্টেই একটি লাইন আছে প্রসঙ্গে,
সৃষ্টি যারা করে তারা স্বপ্নের হাত ধরে
উত্তরসূরিকে শেখায় নিতে অঙ্গীকার এক নতুন ভোরের।
নতুন বাসা/বাড়ি সম্পর্কে আপনার আন্তরিক আশীর্বাদে প্রীত হলাম। কোন ধন্যবাদ যথেষ্ট নয়।
সবশেষে চমৎকার মন্তব্যের ও পোস্টে লাইক করাতে অনুপ্রাণিত হলাম।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।
১৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১০
মুক্তা নীল বলেছেন:
প্রিয় দাদা ,
দেরিতে হলেও ঈদ মোবারক ।
অনেকদিন আপনার উপস্থিতি না দেখে চিন্তিত ছিলাম , যাইহোক আপনার পোস্টে কিছু যা চিন্তা মুক্ত হলাম ।
অনেক আবেগ দিয়ে এবং দরদ মাখানো মানপত্র , এ তো
অনেক বড় অসাধ্য সাধন করেছেন । এত সুন্দর মানপত্র
আমার মনকে ভারিয়ে তুললো ।
কত রাজ্য,কত রাজা, গড়িছো নীরবে...
হে পুজ্য, হে প্রিয়
একত্বে বরেণ্য তুমি, শরণ্যে এককে
একটু ব্যস্ত থাকার কারণে অনেকদিন লগইন হতে পারি নাই
তাই আপনার পোষ্টে মন্তব্য করতে দেরি হলো আমি দুঃখিত।
দাদা নতুন বাড়িতে উঠেছেন সে জন্য অনেক শুভকামনা
এবং সবাইকে নিয়ে ভালো থাকেন এই দোয়া করি।
০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমেই বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য বোনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ব্যস্ততা এতটাই বেড়েছে যে কিছুতেই সময় করতে পারছিনা।
বোনের ঈদের শুভেচ্ছা অন্তর থেকে গ্রহণ করলাম। বোনের জন্যও রইলো দাদার পক্ষ থেকে বিলম্বিত ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা।
মানপত্রটি বোনের ভালো লাগাতে ভীষণ খুশী হয়েছি।তখন যদি জানতাম ভবিষ্যতে ব্লগে শেয়ার করবো, তাহলে হয়তো আরো কিছু লেখার চেষ্টা করতাম। প্রকৃত অর্থে আমার লেখার পর্ব ব্লগে আষাঢ় আগে আগেই শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে হয়তো আরো আগে থেকে লেখালেখি শুরু করলে লেখার ঝাপিটি আরও একটু বেশী হতো বলা যায়।
আহ্! কি চমৎকার কথাগুলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আর ব্যস্ততা তো আমাদের জীবনে একটা কমন ধর্ম। কখন আমরা ফ্রী হয়ে নিশ্চিন্তে ব্লগিং করি। আবার কখনো পারিপার্শ্বিক জীবনের ব্যস্ততা আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে। আমরা কিছুতেই অবরুদ্ধ মনকে জানালা মুক্ত করার সময় করে উঠতে পারিনা।
আমার অবশ্য নতুন বাড়িতে ওঠার জন্য এই ব্যস্ততা। বোরের শুভকামনায় প্রীত হলাম।
পোস্টে লাইক করাতে ও এত সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত বোধ করছি; কৃতজ্ঞতা জানাই।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট বোনকে।
১৮| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৮
আরোগ্য বলেছেন: স্কুল সময়ের এক স্যারের কথা মনে পড়ে গেল কিন্তু তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়নি।
ভাইটি অনেক দিন যাবৎ কথা নেই। সবাই কেমন আছো? তোমাদের ওখানে নাকি বন্যায় শোচনীয় অবস্থা। বিশ্বে কত কিছু হচ্ছে কিন্তু করোনা সব খবর ম্লান করে দিচ্ছে।
তোমার বাসার কাজ কতদূর এগোলে?
১২ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: তোমায় স্কুল জীবনের স্যারের কথা শেয়ার করাতে খুশি হলাম ধন্যবাদ জানবে।
জীবনে কিছু কিছু স্বপ্ন অধরাই থেকে যায় যেগুলো পরবর্তীতে আমাদেরকে অন্তরকে কুঠারাঘাত করে। শ্রদ্ধেয় স্যারকে বিদায় না দিতে পারার যাতনা আজও তোমার মধ্যে যে কারনে আজও প্রবল।
এই মাসেই গৃহ প্রবেশ করেছি। তবে ইনকমপ্লিট বাড়িতে প্রবল সমস্যার মধ্যে রান করছি। করোনার কারণে টিভি বা নিউজ পেপার পড়া ছেড়ে দিয়েছি। নতুন বাসায় যে কারণে কোন পেপারের সঙ্গে কন্টাক্ট করিনি। হ্যাঁ ঠিকই বলেছ সমস্ত কিছুই এখন করোনায় চাপা পড়ে গেছে।
আশা করি তুমি শারীরিকভাবে অনেকটাই সুস্থ হয়েছে। পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা রইলো।।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবে।
১৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৪৩
ঐশিকা বসু বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন দাদা। আপনার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা কবিতার প্রতি ছত্রে ছত্রে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে ফুটে উঠেছে। ভালো থাকুন। কবিতায় থাকুন।
১৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় দিদিভাই,
আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য; সুস্বাগতম আপনাকে। কবিতাটি পাঠ করার সঙ্গে সঙ্গে আপনি চমৎকারভাবে অনুধাবন করতে পেরেছেন বিদায়ান্তে দাদার প্রতি আমার অন্তরের শ্রদ্ধাঞ্জলি। সুন্দর মন্তব্যের প্রীত হলাম।সাথে পোস্টটিকে লাইক করাতে অনুপ্রেরনা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
২০| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:৪২
জাওয়াত আররাজ বলেছেন: ভালো লিখেছেন, শুভকামনা।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য; সু স্বাগতম আপনাকে।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
২১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৩
মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন: চমৎকার ভাবনার রং মিশিয়ে অনন্য প্রকাশ। ভালো থাকবেন ভাইয়া।
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হোসেন ভাই,
আপনার আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হলাম। পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
হ্যাঁ ভাই চেষ্টা করব ভালো থাকতে। আপনার উদ্দেশ্যেও নিরন্তর শুভেচ্ছা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
২য় সাময়িক পরীক্ষা
বাংলা - ২য় পত্র (সময় - ৩ ঘন্টা)
পূর্ণাঙ্গ নাম্বার - ১০০
--------------------------------------------------------------------------------------------------
(৭) প্রধান শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা জানিয়ে একটি পত্র লিখো। নাম্বার - ১০
যেতে নাহি দিব। হায় , তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়।
===================================
ক্লাস এইট - নাইনের বাংলা ২য় পত্র (বাংলা ব্যকরণ) ২য় সাময়িক/বার্ষিক পরীক্ষায় প্রধান শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা জানিয়ে একটি মানপত্র লেখা আসতো। আমরা কবিতা লিখে লিখে আর বিশেষণে বিশেষিত করে একটি পত্র লিখতাম।
পদাতিক চৌধুরি ভাই, আপনার লেখা মানপত্র ও বিদায় সংবর্ধনা খুবই ভালো হয়েছে।
আপনি ১০/৬ অর্থাৎ ১০ নম্বরের মধ্য ৬ নম্বর পেয়েছেন। +++