নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
বছর দুয়েক আগের ঘটনা। সহকর্মীর বিয়ের প্রীতিভোজ খেয়ে ফিরতে বেশ রাত হয়ে গেছিল। হালকা শীতের রাত। রাস্তাঘাট এক্কেবারে শুনশান। ট্রেন থেকে নেমে আরও দুকিমি গেলে তবেই আমার বাড়ি। রাত-বিরাতে এই দুকিমি রাস্তা ফেরার জন্য খুবই চিন্তায় থাকি। সেদিন অবশ্য ট্রেন থেকে নেমে সাথেসাথে অটো পেয়ে যাই। অটোতে ওঠার সময় চালক জানিয়ে দিল,
-দাদা এখন কিন্তু রুটের গাড়ি নয়, ভাড়া বেশি লাগবে।
আমি কোনরকম অমত না করে মাথা নেড়ে সম্মতি দেই। ঘাড় নিচু করে গুটিসুটি মেরে অটোর মধ্যে বসে পড়ি। দেখতে দেখতে পাঁচ জন যাত্রী হয়ে গেল। সবাইকে ও একই কথা শোনাল। শেষ মূহুর্তে হাতে খৈনি ঘষে মুখে পুরে অটো চালাতে লাগলো। জানিনা চালক আগেই কিছু খেয়েছে কিনা।গাড়িটা যেন চলছেই না। পূর্ব অভিজ্ঞতায় দেখেছি তাড়া থাকলে আমার ক্ষেত্রে এমনটি হয়। সবকিছুই হবে ধীরে ধীরে। দুকিমি রাস্তা! অথচ কখন বাড়ি পৌঁছাব তা ভেবে রীতিমতো অস্থির হয়ে উঠি। রাস্তা যেন শেষই হচ্ছে না। একজন নামে তো কিছু দূরে আরেকজন উঠে পড়ে।অটোটার বেগও তেমনই কেন্নোর মতো।ভেবে অবাক হই, এত রাতেও বা লোকজনের কি এমন কাজ থাকতে পারে। নাকি সবাই আমার মতো বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান খেয়ে ফিরছে। বারবার লোকজনের ওঠানামার মধ্যে কিছুটা ঝিমুনি ভাব চলে আসে। এমন সময় অটোচালকের,
-দাদা নামুন। মালঞ্চ চলে এসেছে...বলাতে,
ধরফর কর সোজা হয়ে কিছুটা লজ্জিত হয়ে তড়িঘড়ি অটো থেকে নেমে আসি। ওর দাবি মতো ভাড়া মিটিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে পা চালালাম। মাথার উপরে উজ্জ্বল আলো। কিন্তু রাস্তার উপরে যখন তার প্রভা আসছে বেশ আবছা আবছা লাগছে। এহেন আবছা আলোয় ঘড়ির দিকে তাকিয়ে কাটা দেখতে পেলাম না।কব্জিটিকে একেবারে চোখের সামনে এনে দেখি এগারোটার বেশি হয়ে গেছে। চারিদিক একটু ফালুক-ফুলুক করে কোথাও কোনো জনপ্রাণীর চিহ্ন পেলাম না। উপরে আবারো তাকালাম, মাথার উপরে সুদৃশ্য ল্যাম্পপোস্টের এলইডি আলো যেন ঠিকরে বেরোচ্ছে।যেন আমার ফেরার জন্যেই সে এতক্ষণ প্রতীক্ষায় ছিল। কি অসম্ভব মায়াবী পরিবেশ।এক ভালোলাগার আবেশে মনটা ভরে গেল।শেষ কবে এমন নির্জন রাস্তায় হেঁটেছি মনে করতে পারলাম না। এমন নিস্তব্ধ নিশীথের অপরূপ শোভায় নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হলো। হাঁটতে হাঁটতে উপরে আবারো একবার তাকিয়ে দেখি এলইডির আলোকে ঘিরে ঝাঁকে ঝাঁকে হাজারো ঝিঁঝিঁ পোকা হিন্দোল করছে। মনে মনে ভাবছি হাই ভোল্টেজের আলোর পাশে থেকেও কি ভয়ানক ফুর্তি ওদের মনে। পাশাপাশি ভাবনায় এলো, রাত তো বেশি নয়; অথচ দুটো আড়াইটার মত নিস্তব্ধ নিশুতি মনে হচ্ছে।
ঠিক দুশো মিটার এগিয়ে যেতেই ঘটলো এক ভয়ানক ঘটনা। একসঙ্গে চার পাঁচটা কুকুর বাঘের মত ঘেউ ঘেউ করতে করতে ছুটে এলো। অথচ একটু আগেও পর্যন্ত আমি ওদের গতিবিধি একেবারেই বুঝতে পারিনি। হঠাৎ উদ্ভূত পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে একটা পাঁচিলের দিকে পিঠ করে ওদের দিকে তাকিয়ে রইলাম। সবগুলো একসঙ্গে ঘেউ ঘেউ করতে লাগলো।একটা তো একদম আমার সামনে এসে ডাকতে লাগল। পারলে যেন এখনই কামড়ে দেয়। কি ভয়ানক পরিস্থিতি! ভীষণ ঘাবড়ে গেলাম। এখন কি করে রেহাই পাব তা মাথায় আসছে না। হঠাৎ মাথার মধ্যে একটা বুদ্ধি খেলে গেল। সেকেন্ডের ভগ্নাংশের মধ্যে নিচু হয়ে পায়ের একপাটি জুতা খুলে হাতে নিতেই ওরাও একলাফে অনেকটা পিছিয়ে গেল। তবে ওদের আচরণ দেখে মনে হল যেন আগুনে ঘৃতাহুতি পড়েছে। আরও জোড়ে গগনভেদী চিৎকারে ডাকতে লাগল। ওদের এত চিৎকারেও একজনকেও বাইরে বার হতে দেখলাম না। উল্লেখ্য নিজের বাড়ির রাস্তায় যে এতটা বিপদের মুখে পড়তে হবে তা কস্মিনকালেও ভাবিনি। যাইহোক হাতে একপাটি জুতো নিয়ে এবার ধীরে ধীরে এগোতে লাগলাম।ওরাও আমার দিকে ঘেউঘেউ করতে করতে পিছাতে লাগলো। এমন সময় একটু দূরে ঝপাং করে কিসের একটা শব্দ হতেই সবগুলো কুকুর ছুটে গেল সে দিকে। আমিও যেন এতক্ষণে হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।গলাটা কেমন যেন আটকে গেল। বুঝলাম শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। কিন্তু কপালে রীতিমতো ঘাম অনুভব করলাম। ওদিকে ওদের পশ্চাদগমন লক্ষ্য করে বুঝলাম সম্ভবত একটা বিড়ালকে ওরা ধাওয়া করেছে। আর ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই ভেবে এক ছুটেই ঘরে ঢুকে গেলাম। হালকা শীত হলেও জলে হাত দিয়ে দেখলাম বেশ ঠান্ডা। কোনোক্রমে হাতমুখ ধুয়ে শুতে শুতে সেদিন প্রায় রাত বারোটা বেজে যায়।
ঘুম নিয়ে আমার একেবারে দুশ্চিন্তা নেই। বরাবরই একবার চোখ বন্ধ করলে দু-চার মিনিটেই চলে যাই স্বপ্নের দেশে। সেদিনও যথারীতি শোয়ার সাথে সাথেই ঘুমিয়ে যাই। বেশিক্ষণ ঘুমায়নি এমন সময় বাইরে প্রচণ্ড চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে যায়। এমন কাঁচা ঘুম ভাঙাতে বিরক্তিতে উঠে বসে রইলাম। বসে বসে চেঁচামেচির উৎস স্থল অনুমানের চেষ্টা করতে লাগলাম। ক্রমশ চিৎকারের প্রাবল্য বাড়তে লাগলো। আর বসে থাকতে না পেরে পাশে রাখা চাদরটি গায়ে জড়িয়ে বেরিয়ে পড়লাম। আমার ঠিক তিনটি বাড়ি পরে রহমান সাহেবের বাড়ি। ওনার বাড়ির সামনেই দেখলাম গোটা পাড়ার লোক জড়ো হয়েছে।। ওনার স্ত্রীকে সবাই গোল করে ঘিরে আছে। এক ঝলক রহমান সাহেবকে খোঁজার চেষ্টা করলাম। আশপাশে কোথাও ওনার টিকি পেলাম না। তবে ভদ্রমহিলাকে দেখলাম কোমরে কাপড় গুঁজে আঙ্গুল উঁচিয়ে কি সব বলছেন। ওনার শরীরি ভাষাতে যুদ্ধংদেহী মনোভাব লক্ষ্য করলাম। মাথা নিচু করে ঘটনা কি বোঝার আপ্রাণ চেষ্টা করলাম। তবে বিষয় বস্তু না বুঝলেও চিৎকার-চেঁচামেচিই কানে বেশি ঠেকলো। হঠাৎ করে উনি কান্নাকাটি জুড়ে দিলেন। সাথে সাথেই বসে হাত-পা ছেড়ে দিলেন। উপস্থিত লোকজন ছোটাছুটি শুরু করলো। কয়েকজন মহিলা হাত ধরাধরি করে ওনাকে ঘরের ভেতরে নিয়ে গেল। খারাপ লাগছে ওনার হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়াতে। তবে এমন দ্বিমুখী অভিব্যক্তির কিছুই মাথায় ঢুকলো না। ঘটনা যাই ঘটুক এটা যে অনেক পুরানো সেটা অবশ্য বুঝতে পেরেছি। এমতাবস্থায় কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না ভেবে আমি আরো কিছুক্ষণ মাথা নিচু করে আশপাশের লোকজনের কথা বোঝার চেষ্টা করলাম। এমন সময় পাশে দাঁড়ানো একজনের ফোন বেজে উঠলো। কথা শেষ হতেই সময় জিজ্ঞাসা করতেই উত্তর দিল,
-দুটো বেজে দশ মিনিট হয়েছে।
পরেরদিন সকালে যেকরেই হোক ঘটনাটা জানার চেষ্টা করবো ভেবে স্থান ত্যাগ করলাম।
২
রহমান সাহেব অত্যন্ত সজ্জন মানুষ।এই ঘটনার বছর দুয়েক আগে মামা বাড়ীর সৌজন্যে পাড়াতে স্থায়ীভাবে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করতে শুরু করেন। আগে বাড়ি ছিল প্রজার হাটের বেদান্ত পাড়ায়। পৈত্রিক বিষয়-আশয় যথেষ্ট ছিল।কিন্তু বাপ-ঠাকুরদার চৌদ্দপুরুষের কৃষিকাজ পেশা ছেড়ে বিকল্প কিছু খুঁজে না পেয়ে ও নগরায়নের থাবাতে জমি জায়গা দখলে রাখতে না পেরে কিছুটা বাধ্য হয়েই ওখানকার বিষয়-আশায় বিক্রি করে মাতুলালয়ে চলে এসেছেন। এখানে এসে শুরু থেকেই উনি ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা করতেন। অল্পদিনের মধ্যে একজন সম্পন্ন ব্যবসায়ী হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। ব্যক্তিগতভাবে আমার সঙ্গে উনার যথেষ্ট হৃদ্যতা ছিল। বেশ প্রাণবন্ত ও দিলখোলা মানুষ ছিলেন।দেখা হলে দুচারটে কথা না বলে খালি মুখে যেতেন না। পাড়ায় রক্তদান উৎসব থেকে শুরু করে যেকোনো সামাজিক কাজে সবার আগে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। এহেনো রহমান সাহেবকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নিয়ে যাওয়াতে এলাকাবাসী হতবাক। হতবাক আমি নিজেও...
৩
মাতুলালয়ে আসা নিয়ে উনি নাকি কিছুটা দ্বিধা দ্বন্দ্বে ছিলেন। প্রজার হাটে পৈত্রিক বাড়িতে থাকাকালীন বিকল্প পেশা খোঁজার চেষ্টার কসুর করেননি। প্রথমদিকে জমি জায়গা বেচাকেনা বা মধ্যস্থতার মধ্য দিয়েই দিন কাটতো।কিন্তু ক্রমশ দালালের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে এলাকা দখলের জন্য শুরু হয় এক অসুস্থ প্রতিযোগিতা। কয়েকজন বন্ধু মিলে খুলে ফেলেন একটা সিন্ডিকেট। লোকাল পার্টি অবশ্য এসময় যথেষ্ট সহযোগিতা করেছিল।
সিন্ডিকেট ব্যবসা প্রথম দিকে বেশ ভালো চলছিল। পার্টি ও থানায় মাসোহারা দিয়ে এলাকায় কয়েক জনকে হাত করে অল্প দিনেই ব্যবসাটা বেশ বেড়ে যায়।উনার এই হঠাৎ শ্রী বৃদ্ধিতে আশপাশের অন্যান্য সিন্ডিকেটের সঙ্গে শুরু হলো আবার এক প্রতিযোগিতা। ব্যবসায় পেরে উঠতে না পেরে তারা বাঁকা রাস্তা ধরল।বেশ কয়েকজন নিজেদের করুন অবস্থা তুলে ধরে রহমান সাহেবের কাছে বড় মালের অর্ডার দিল। এতদিন যারা শত্রুতা করে আসছিল তাদের মাধ্যমে অর্ডার পেয়ে রহমান সাহেবও ভুলে গেলেন পুরানো শত্রুতার কথা। কিন্তু অর্ডার মতো সাপ্লাই করলেও টাকা পেলেন না। বুঝতে পারলেন শত্রুরা রূপ বদল করেছে।অথচ তিনি ধরতে পারেননি। লোকাল পার্টি, বন্ধুদের ধরেও কিছু আদায় হলোনা। ওদিকে উপর থেকে মহাজনের চাপ ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। চাপ সামলাতে না পেরে এক সময় গোলার ঝাপ বন্ধ করে গা ঢাকা দিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। একদিন হাতেনাতে মহাজনের কাছে ধরা খেয়ে নির্দিষ্ট দিনে ওনাকে বকেয়া টাকা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেন।
৪
ঘটনার পর স্বামী-স্ত্রী সম্পূর্ণ দিশাহারা। প্রত্যেকটি রাতেই চোখের পাতা এক করতে পারেননা। পরিচিতি প্রতিবেশীদের সামনেও পারতপক্ষে বার হন না। নিজেদেরকে একপ্রকার স্বেচ্ছাবন্দি করে রেখেছেন। খাওয়া-দাওয়াও দিয়েছেন এক প্রকার তুলে। হঠাৎই একদিন রাতে শুয়ে এসব ভাবতে ভাবতেই কুলসুম বিবি বলে ওঠেন,
-আচ্ছা আমাদের তো এখানে আট কাঠা জমি আছে। আমরা যদি অল্প কিছু বিক্রি করি তাহলে তো পরিস্থিতি কিছুটা হলেও সামাল দিতে পারি।
স্ত্রীর মুখে জমি বাড়ি বিক্রির কথা শুনে চোখেমুখে একপ্রকার হতাশা নিয়ে রহমান সাহেব ধমকের সঙ্গে বলে ওঠেন,
-না না। বাপ-দাদার সম্পত্তি যদি বিক্রি করি তাহলে আমাদের উপর অভিশাপ নেমে আসবে। ওসব কথা মুখেও এনো না।
-তাহলে অন্য কোন উপায় তো আর সামনে দেখতে পাচ্ছি না।
-একটা উপায় অবশ্য আছে যদি তুমি মত দাও....
-কি উপায়?
-তোমার আব্বাকে গিয়ে যদি আমাদের অবস্থা খুলে বল, তাহলে উনি যদি কিছু একটা করতে পারেন..
-না না ওসব পারব না।আব্বার দেওয়া গয়নাগাটি ইতিমধ্যে সব তোমার হাতে তুলে দিয়েছি। এখন কিছু বলতে গেলেই আব্বা সেগুলোর খোঁজ করবে।আর তুমি একটা কি মানুষ বলোতো? কিছু হলেই শুধু বাপের বাড়ি বাপের বাড়ি বলো।শোন একটা কথা পরিষ্কার বলে দেই, আমার বাপের বাড়ি নিয়ে আর কোন দিন একটা কথাও মুখে আনবে না, বলে দিলাম।
শেষ কথাগুলো বলতে বলতে মুখ ঝামটা দিয়ে কুলসুম বিবি সেই যে গেলেন পাশের ঘরে, আর সারারাত স্বামীর কোন খোঁজ করলেন না।
এদিকে মহাজনের নির্দিষ্ট করার দিন ক্রমশ এগিয়ে আসতে লাগলো। রহমান সাহেব দিশাহারা, আপাতত উদ্ধারের রাস্তা কি।
৫
স্ত্রীর কথাতে প্রথমে সম্মত না হলেও পরে রহমান সাহেব বুঝলেন আপাতত জমি বিক্রয় করা ছাড়া আর কোন রাস্তা নাই। অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাই রাজী হয়ে গেলেন। খুব দ্রুত পার্টিও পেয়ে গেলেন। অত্যন্ত গোপনে দুই কাঠা জমি বিক্রি করে আপাতত সমস্যার মোকাবিলা করলেন। অনেকদিন ধরে পড়ে থাকা বকেয়া টাকা পেয়ে মহাজন খুব খুশি। তিনি আবার আগের মত মাল সরবরাহ করতে রাজি হলেন। রহমান সাহেবের গোলার ঝাঁপ আবার খুলল।
বেশ কয়েকদিন গোলা খুললেও ব্যবসা কেমন যেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। বুঝলেন, নাহা! এইভাবে ব্যবসা করার কোন মানে হয় না।গোলায় যদি পর্যাপ্ত মাল তোলা না যায় তাহলে এমন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যবসা করার কোন যুক্তি নেই। যেমন ভাবা তেমনি কাজ। আবার গোপনে গোপনে খরিদ্দার খুঁজতে লাগলেন। এলাকায় উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। নগরায়নের ফলে শহর ক্রমশ এগিয়ে আসছে।তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এলাকায় জমির দাম।জমির চাহিদাও তুঙ্গে।যার হাতে কিছু জমি আছে সে এখন রাজা। তবে লোকজনও বসে নেই।কাড়িকাড়ি টাকা নিয়ে বসে আছে। কাজেই পছন্দ মতো খরিদ্দার পেতে রহমান সাহেবের অসুবিধা হল না। এবার বিক্রি করলেন একসঙ্গে চার কাঠা জমি। জমি বেচার টাকায় সংসারের জৌলুস ফিরল। রহমান সাহেব-কুলসুম বিবির সংসারের অভাব কেটে গেল। নতুন করে তিনি ব্যবসায়ে মন দিলেন। মনের-মতো করে গোলাটাকে ঢেলে সাজালেন। কিছু টাকা দিয়ে বাড়িটাকেও ঠিক করালেন। ব্যবসা আবার চলতে থাকলো রমরমিয়ে। রহমান সাহেব দিলদার প্রকৃতির মানুষ।যারা প্রথমে ওনার টাকা আটকে রেখেছিল অল্পকিছু উদ্ধার করে তিক্ততা ভুলে তাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিলেন। অল্পদিনের মধ্যেই পাড়াতে হৃত সম্মান ফিরে পেলেন। তার এই ভাগ্য পরিবর্তনে বন্ধু-বান্ধবের সংখ্যা বাড়তে লাগলো। স্ত্রীর পরামর্শেই যে তার পরিবর্তনের সহায়ক হয়েছে সে কথা তিনি ঘনিষ্ঠমহলে স্বীকার করলেন।
৬
রহমান সাহেবের গ্রেপ্তারের পর গোটাপাড়া থেকে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ ভাবে থানায় ধর্ণা বা অবস্থান কর্মসূচি নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।এমন একজন মুসল্লির অহেতুক পুলিশি জুলুমের প্রতিবাদে শুক্রবার নামাজ শেষে আলাদাভাবে দোয়া করা হয়েছে।প্রায় প্রত্যেকেরই মুখে মুখে যখন ওনার নিপীড়নের খবর প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ঠিক তখনই ঘটনার তৃতীয় দিনে পুলিশ ওনার স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গেলে সামগ্রিকভাবে এক অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। জনতার পক্ষে আর ধৈর্য ধরা সম্ভব হলো না। পরের দিন সকলে মিলে থানায় গিয়ে অহেতুক পুলিশি হেনস্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবেন বলে ঠিক হলো।আর সেদিনই অর্থাৎ ঘটনার চতুর্থ দিন সকাল দশটা নাগাদ দু গাড়ি পুলিশ রহমান সাহেবকে সঙ্গে নিয়ে সোজা কবরস্থানের দিকে অগ্রসর হতেই উৎসুক্য জনতা জোয়ারের স্রোতের ন্যায় ছুটে আসতে লাগলো। এক সময় পুলিশকে লাঠি উঁচিয়ে গ্রামবাসীর দিকে তেড়ে যেতে হলো।
৭
পুলিশের ভাষ্যমতে রহমান সাহেবের মায়ের স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই ওনারা ওনাকে গ্রেপ্তার করেছেন।ঘটনার চতুর্থ দিনে স্বামীকে সহযোগিতা করার অভিযোগে স্ত্রীকেও গ্রেপ্তার হতে হয়েছে। কাজেই অভিযোগ গুরুতর। দু বছরের পুরানো কবর। পুলিশ অত্যন্ত সন্তর্পনে খোঁড়াখুঁড়ি করছেন। উৎসুক্য জনতার সঙ্গে আমি নিজেও আরও কিছুটা কাছে এগিয়ে গেলাম। পুলিসকর্মীরা আবার লাঠি উঁচু করতেই দিলাম এক ছুট। তবে কানাঘুষো যেটা জানতে পারলাম।
প্রজার হাটে থাকাকালীন শেষের দিকে মায়ের সঙ্গে নাকি রহমান সাহেবের প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি হত। ওনার একের পর এক এই জমি বিক্রিকে মা মেনে নিতে পারছিলেন না। তানিয়ে মা-ছেলে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত। একদিন রাগের বশে মাকে গলা টিপে ধরলে শ্বাসকষ্টে উনি মারা যান। স্বামী-স্ত্রী ও কাজের মাসি ছাড়া ঘটনার কথা কেউ জানতো না।মাকে হত্যা করার পর আসন্ন পুলিশি ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে কাজের মাসিকে একটা বড় অংকের টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করেন। পাশাপাশি বাবার জীবদ্দশায় যে মামাদের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে গিয়েছিল, এক্ষণে মা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে প্রচার করে মামাদের সাহায্য প্রার্থী হলে তারা অবশ্য ভাগনার পাশে এসে দাঁড়ান। মামাদের সাহায্যার্থে ভালই ভালই মায়ের সৎকারের ব্যবস্থা করেন।
অথচ আমরা এতদিন ওনার অসম্ভব মাতৃভক্তির কথা জেনে এসেছি। জেনে এসেছি উনি মামাদেরকে প্রচন্ড মিস করতেন। কিন্তু সেদিন যেন নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।
এই কেসের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র কাজের মাসি ফজিলা বিবি। তার স্বামী খোদা বক্সের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভাল ছিলনা। কিন্তু হঠাৎ হাতে অনেকটা টাকা এসে যাওয়াতে গ্রামে গিয়ে স্বামীকে দোকান করে দেওয়াতে আবার সম্পর্ক জোড়া লাগে। তবে হঠাৎ করে এতগুলো টাকার উৎস কি?- স্বামীর প্রশ্নে একসময় ফজিলা বিবি সত্য কথা বলে ফেলে। খোদা বক্স আগে নেশা ভাং করত। এসব নিয়ে প্রতিবাদ করাতে প্রায়ই স্ত্রীকে ধরে মারধোর করত। কিন্তু বর্তমানে স্ত্রীর সৌজন্যে আয়ের পথ বার হওয়াতে এখন একটু সমীহ করে চলে। পাশাপাশি আর আগের মত প্রকাশ্যে মদ্যপান করে না। যদিও ফজিলা বিবির আড়ালে আবডালে একটু-আধটু করে বৈকি। হাজার হোক পুরানো অভ্যাস তাকে কি ছাড়া যায় কখনও।
রহমান সাহেবের গ্রেপ্তারের কয়েকদিন আগে খোদা বক্সের আবার টাকার দরকার পড়ে।সে নাকি ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার স্ত্রীকে বলেছে রহমান সাহেবের কাছে গিয়ে কিছু টাকা সাহায্য চাইতে।কিন্তু ফজিলা বিবি বারেবারে তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এমতাবস্থায় খোদা বক্স নিজেই চলে আসে রহমান সাহেবের বর্তমান ঠিকানায়। অপরিচিত খোদাবক্সকে রহমান সাহেব পাত্তা দেননি। দু বছর আগেকার ঘটনা নিজেকে নিরাপদ ভেবে খোদা বক্সকে একপ্রকার তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত খোদা বক্সের মধ্যে নীতিবোধ মাথাচাড়া দেয়।যার পরিপ্রেক্ষিতে সস্ত্রীক রহমান সাহেবদের সেসময় পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হতে হয়েছিল।
৮
আমি একজন বেসরকারি ব্যাংকের লোন সেকশনের সেলস এক্সিকিউটিভ। ডোর ব্যাংকিং এর সুবিধা পাইয়ে দিতে আমাকে প্রতিনিয়ত কলকাতা শহরতলীর বিভিন্ন গ্রাহকের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াতে হয়। আমার অফিস ক্যামাক স্ট্রীটে। অফিসের কাজ মিটিয়ে ফিল্ড ওয়ার্কের উদ্দেশ্যে আজই পড়ন্ত বেলায় শিয়ালদা স্টেশনে এলাম। এবার গন্তব্যস্থল মধ্যমগ্রাম। কিন্তু শিয়ালদা স্টেশনে এসে দেখলাম ট্রেনের গন্ডগোল। কাতারে কাতারে লোক স্টেশন চত্বরে দাঁড়িয়ে আছে। তিল ধারণের জায়গা নেই। অফিসে ফোন দিলাম, আজকের মত কাজটি মুলতুবি রাখতে। এমন সময় এক সান্ধ্য দৈনিকের পেপার বিক্রেতা চিৎকার করতে করতে এগিয়ে এলো,
-দারুন খবর! দারুন খবর! কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে, বলে জোরে জোরে চিৎকার করছে।
হাত বাড়িয়ে একটাকা দিয়ে পেপারটি নিতেই চমকে উঠলাম।
একি! ফ্রন্ট পেজে রহমান সাহেবের ছবি!
হেডলাইনে লেখা,"মাতৃ হত্যার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীর কারাবাস।"
পেপারের ভাষ্য অনুযায়ী,
প্রজার হাটের বাসিন্দা রহমান সাহেব একের পর এক জমি বিক্রি করাতে মায়ের সঙ্গে বিরোধের সূত্রপাত হয়। একটা জমিকে নিয়েই মূলত মা-ছেলের দ্বন্দ্ব।বাবার কবরস্থানের পাশে মা নিজেকে সমাধিস্থ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলে ছেলে প্রবল আপত্তি করে। বাবার কবর সহ ঐ দু কাঠা জমিটি রাস্তার ধারে অবস্থিত হওয়ায় তার বাজার মূল্য ছিল আকাশছোঁয়া। রহমান সাহেবের পাখির চোখ ছিল এই জমিটির প্রতি। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল বাবার কবরটি। লক্ষ্য ছিল বাবার কবরটিকে সময়মতো অন্যত্র সরিয়ে নেবেন। কাজেই নুতন করে মায়ের ইচ্ছাকে সম্মান দিয়ে ওখানে কবরস্থ করা ছিল ওনার কাছে অকল্পনীয়।মাকে সমস্ত রকম ভাবে বোঝাতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে গুণধর পুত্র পৃথিবী থেকে মাকে সরিয়ে দিয়ে নিজ উদ্দেশ্য সিদ্ধ করেন। আদর্শ সন্তানের নজির গড়তে মৌলভীর পরামর্শে বাবার কবরের হাড়গোড় নিয়ে মামাদের জমিতে মায়ের কবরের পাশে কবরস্ত করালেন। মায়ের শেষ ইচ্ছা ছিল কিনা বাবার পাশে থাকবেন...,
ফরেনসিক রিপোর্টে মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু প্রমাণিত হলো। রহমান সাহেব দোষী সাব্যস্ত হলেন।
কোর্টের রায় অনুযায়ী মাতৃ হত্যার অভিযোগে উনাকে যাবজ্জীবন ও স্ত্রীকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ হল।
খবরটি পড়ে মাথা ঘুরে গেল। প্লাটফর্মে বসে পড়লাম। কেবলি মনে হতে লাগলো,আজ থেকে চার বছর আগে গ্রামে এসে উনি বাবা-মায়ের নামে ঘটা করে কলেমাখানি করে গোটা গ্রামকে খাইয়েছিলেন। সেদিন আমিও ছিলাম নিমন্ত্রিত। অথচ পাড়ায় থাকাকালীন এত বছরে লোকটাকে চিনতেও পারি নি এতটুকু...
বিশেষ দ্রষ্টব্য:-চলমান সিরিজ 'ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া'র পূর্বের বা আগামীর পর্বগুলো পড়ার জন্য প্রিয় পাঠকবৃন্দকে অনুরোধ রইল।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: নগরায়নের থাবা যে সুদূর প্রসারী এবং সর্বগ্রাসী। যেখানে মানবিকতা বা আবেগ বড়ই তুচ্ছ।সভ্যতা, ভদ্রতার মধ্যেই যে ছদ্দবেশী খুনি লুকিয়ে থাকে।
বর্ণনা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা জানবেন।
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঘটনা, গল্প?
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বোথ স্যার।
৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনার লেখা পড়ার খুব ইচ্ছা থাকে,কিন্ত বড় লেখা বলে পড়া আর হয়ে উঠে না।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমারও আপনার কমেন্ট পেতে ভীষণ ইচ্ছে করে।যখন দেখি আপনি আমার পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছেন। খুবই বঞ্চিত লাগে নিজেকে।কি আর করবো।বড় গল্প পড়তে যখন ইচ্ছা হয় না তাহলে আর জোর করবো না।
শুভেচ্ছান্তে..
৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৮
আতিকুররহমান আতিক বলেছেন: সাবলীল ভাবে উপস্থাপন করেছেন। পড়ে খারাপ লাগল। এটা কি সত্য নাকি গল্প ছিল?
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনি একটু আগেই আপনার ব্লগিং জীবন শুরু করেছেন। সে দিক থেকে একেবারে শুরুতে আপনার কমেন্ট পেয়ে খুশি হলাম।। ধন্যবাদ আপনাকে। সামুতে আগামী দিনগুলি আপনার কাছে আরো প্রাণবন্ত আলো ঝলমলে হয়ে উঠুক।
পশু সম্পর্কে-পড়ে খারাপ লাগে লেগেছে। লাগারই কথা। আমরা প্রত্যেকেই মানবিক গুণে সমৃদ্ধ। অমানবিক কোন কিছুই আমাদের হৃদয়কে আঘাত করে আমরা হই ব্যথিত। গল্প সমাজেরই তার প্রতিফলন ঘটে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।
৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২১
রামিসা রোজা বলেছেন:
কিছু মানুষরূপী অমানুষ এতটাই বর্বর হয় সম্পত্তির জন্য
নিজের মা ও বাবা এমনকি ভাই বোন হত্যা করতে দ্বিধাবোধ
করে না । প্রায়ই পত্রিকাতে আসে অমানুষগুলো রাস্তার ধারে অসুস্থ মাকে ফেলে রেখে চলে যায় ।
লেখার সাবলীল বর্ণনা এবং বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি পেলাম ।
এবার অনেকদিন পর লেখা দিলেন আপনি পড়ে ভালো
লাগলো । শুভেচ্ছা রইলো ।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
"কিছু মানুষরূপী অমানুষ এতটাই বর্বর হয় সম্পত্তির জন্য
নিজের মা ও বাবা এমনকি ভাই বোন হত্যা করতে দ্বিধাবোধ
করে না।" সহমত আপনার সঙ্গে।স্বার্থের টানে আমরা প্রতিনিয়তই গুটি সাজায়ে থাকি। যেনতেন প্রকারে বাধা টপকাতে চেষ্টা করি। সেখানে আপনজন কোনো বাধাই নয়। চমৎকার একটি মন্তব্য করায় প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু অনেকদিন পরেই লেখা দিলাম। নিজের একচিলতে বাড়ি নির্মাণ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মিস্ত্রিদের সঙ্গেই দিনের পর দিন কাটছে।
তবুও চেষ্টা করব আরেকটু নিয়মিত হবার।
আপনার শুভেচ্ছা গ্রহণ করলাম। পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকেও।
৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৬
রামিসা রোজা বলেছেন:
রহমান সাহেবের মৃত্যুদন্ড আরও বেশি ভালো লাগতো তবে
শেষ পর্যন্ত খুনিরা ধরা পড়েছে এটাই গল্পের মূল টার্নিং ।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আবার কমেন্ট করাতে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। বিচার বিভাগের ওপর আমরা সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল। মহামান্য আদালত মা ভালো মনে করেছেন রায় দিয়েছেন। অপরাধীর ধরা পড়েছে- বিষয়টি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হয়েছি। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: বহু দিন পর আপনার পোষ্ট পেলাম।
সামু খুলেই আপনার লেখা চোখে পড়লো।
বড় লেখা। পুরোটা খুব ধীরে ধীরে পড়লাম।
লেখাটা পড়ে মন খারাপ হলো।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন বহুদিন পর পোষ্ট দিলাম।উপরে কোন একটা কমেন্টে আমার দীর্ঘদিন না থাকার কারণ বলেছি। এই যেমন এখনও মিস্ত্রিদের সঙ্গে আছি। আর সকাল থেকে দু-দুবার চেষ্টা করলাম প্রতিমন্তব্য দিতে কিন্তু সবুজ বাটন না আসাতে উত্তর দিতে পারিনি। গল্পটা প্রিয় ছোট ভাই পুরোটা পড়েছে জেনে আনন্দ পেলাম ধন্যবাদ ভাইকে। তবে সমাজে এমন হাজারো ব্যথা আছে।যতসম্ভব সেগুলোর মানবিক মূল্যায়ন করেই আমাদের এগোতে হবে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।
৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৪
ওমেরা বলেছেন: লোভ মানুষকে পশুর চেয়েও হিংস্র করে তোলে । তবে অন্যায় কোনদিন চাঁপা থাকে না কোন কোন ভাবে প্রকাশ পাবেই ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সহমত আপু আপনার সঙ্গে যে লোভ মানুষকে পশুর চেয়েও হিংস্র করে তোলে।আর অন্যায় তা সত্যি কোনদিন চাপা থাকে না একদিন তার বহিঃপ্রকাশ ঘটবেই।
পোষ্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা আপনাকে।
৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৯
ঊণকৌটী বলেছেন: ভালো থাকবেন দাদা,ভালো লেগেছে,আপনার লেখার প্রথম অংশ কুকুরের দাদাগিরি আমিও দুই হাজার শতাব্দী এর প্রথম দিকে আগরতলা MSO Control Bussiness শুরু দিকে রাত্রে ফিরতে দেরি হতো তো স্বাভাবিক ভাবে পাড়ার কুকুরের দলের মাস্তানি সহ্য করতে হতো,তা ওদের সাথে বন্ধুত্ব করতে গেলে যা করতে হয় রাতের ওদের জন্য খাবার প্যাকেট করে নিয়ে আসতাম যার ফলে প্রচণ্ড বন্ধুত্ব হয়ে আমাদের মাঝে ওরা অপেক্ষা করত আমার জন্য তারপর খাবার শেষে ঘর অব্দি পৌঁছে দিয়ে আসতো পুরো গ্রুপ, দুঃখের কথা আজকের দিনে শহরে কুকুর দেখা যায় না হয়তো Nagaland বা mizoram এর চাহিদার ওরা হারিয়ে যাচ্ছে
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য; সু-স্বাগতম আপনাকে। গল্পটা ভাল লেগেছে এবং কুকুরের দাদাগিরি সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতাটি শেয়ার করার জন্য অজস্র ধন্যবাদ। আপনি দীর্ঘদিন রাতে আসা-যাওয়া করাতে ওদেরকে বশ মানানোর কৌশলটিও রপ্ত করেছেন।বেশ লাগলো। তবে হঠাৎ করে কোন কারণে দেরি হলে বা রাত হয়ে গেলে তখন অবশ্য প্রস্তুতি নেওয়ার তেমন সুযোগ থাকে না।তবুও আপনার সুন্দর পরামর্শটি মনে রাখব। প্রয়োজন হলে অবশ্যই প্রয়োগ করব। পাশাপাশি নাগাদের চাহিদার জন্য পথকুকুরদের এভাবে নিরুদ্দেশ নিঃসন্দেহে দুর্ভাবনার; দুর্ভাগ্যেরও বটে।এর প্রতিকার না হলে পথকুকুরদের হারিয়ে ছাড়া উপায় থাকবে না।
আপনি আগরতলা অর্থাৎ ত্রিপুরা রাজ্যের অধিবাসী হাওয়ায় ওখানকার সমাজ অর্থনীতি সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করছি। আপনার কাছে অনুরোধ, লেখনীর মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করবেন। আমার এক বন্ধু ছিল আগরতলায় বাড়ি।দেববর্মা টাইটেল। কানপুরে পরিচয় হয়েছিল।ও যেমন কখনো কলকাতায় আসেনি আমিও তেমনি ত্রিপুরায় যাইনি। দুজন দুজনকে একেঅপরের রাজ্যের কথা গল্প করতাম।২০০১-০২ সালের ঘটনা।
১০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৬
সোহানী বলেছেন: মানুষ স্বার্থের টানে অমানুষ হয়ে যায়। আর ছেলে-মেয়ে হয় আরো বেশী। কারন সন্তান হিসেবে দায়িত্ব এড়াতে অমানুষ হয়ে যায়। আমার এবারের বইটিতে এ বিষয় নিয়ে লিখেছি দু'টো গল্প।
খারাপ লাগলো ঘটনাটা।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ঠিকই বলেছেন আপু "স্বার্থের টানে মানুষ অমানুষ হয়ে যায়। আর ছেলে-মেয়ে হয় আরও বেশি।" সন্তান শেষ জীবনে বাবা-মাকে দেখতে অস্বীকার করে। প্রায়ই ক্ষেত্রে এমন অমানবিকতার ঘটনা দেখা যায়।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
বইমেলায় আপনার বইটির ব্যপক সাফল্য কামনা করি। । শুভেচ্ছা জানবেন আপু।
১১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৫
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আহা রে!
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ সাহাদাত ভাই খুবই দুঃখজনক ঘটনা। কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা জানবেন।
১২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:৩০
কালো যাদুকর বলেছেন: খুব চমৎকার লিখেছেন। বর্ননা ভাল লেগেছে।
নগরায়ন এবং লোভ দুটাই এই পরিনতির মুলে আছে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য; সু-স্বাগতম আপনাকে। বর্ণনা ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম ধন্যবাদ জানবেন। সহমত আপনার সঙ্গে যে নগরায়ন ও লোভ দুটোই এই পরিণতির মূলে আছে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: চমৎকার লেখা পাঠে মুগ্ধ।সত্য ঘটনার গল্পের রূপ । লোভে পাপ আর পাপে মরণ বুঝে জনগণ
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় নেওয়াজ ভাই। হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন লোভে পাপ আর পাপে মরণ। কিন্তু তবুও অবুঝ মন বোঝেনা।স্বার্থের জন্য প্রিয়জনকে লাথি মারতে দ্বিধাবোধ করেনা। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪০
ইসিয়াক বলেছেন: কিছুটা পড়লাম। আসছি
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওকে স্যার। যদিও আমি ইতিমধ্যে আপনার আরও দুটি কমেন্ট পেয়েছি।প্রতিমন্তব্য দেরিতে দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। শুভেচ্ছা জানবেন।
১৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৩
ইসিয়াক বলেছেন: প্রথম প্রশ্ন , ছবিটা কোথাকার ? আপনার আগের বাসার কাছাকাছি কোথাও?
# রাতে গাড়িতে ঘুমানো ঠিক না। এতো এনার্জি কম কেন আপনার ।
#বেশি রাতে চলা ফেরা করতে গিয়ে যদি কুকুরের দাবড়ানির ভয় থাকে তবে আপনি সাথে পাউরুটি জাতীয় কিছু রাখতে পারেন। ওদের দিলে দেখবেন আপনার সাথে কেমন ভাব করে নিয়েছে। তখন লক্ষী ছেলের মতো আপনার চারপাশে ঘুরঘুর করবো। আর পাড়ার কুকুর আপনাকে চিনবে না এটা তো বিশ্বাসযোগ্য হলো না। যা হোক বাইরে কি শুধু চাদর গায়ে চলে এসেছিলেন মানে অন্য কিছু..........বুঝতেই পারছেন ।
গল্প কিন্তু দারুণ হয়েছে আবার আসছি।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ছবিটা ঝাড়গ্রাম শহর থেকে দশকিমি দূরের একটা গ্রামের। আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামটি আমার খুব ভালো লেগেছিল।এক এক সময় গোটা এলাকাটা মাওবাদীদের স্বর্গরাজ্য ছিল। এখন অবশ্য সে সব অতীত। ওখান থেকে পায়ে হেঁটে এক কিলোমিটার গেলে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ এর মত একটা জায়গা আছে। আমরা সেই ঘোড়ার খুরের ন্যায় স্থানটি দেখতে গেছিলাম। গ্রামটি আমার ভীষণ ভাল লেগেছিল। আমি রিটায়ারমেন্ট করে এমন একটি গ্রামে বাকি জীবনটা কাটানোর স্বপ্ন দেখি। জানিনা সেটা কতদূর বাস্তবায়িত হবে।
গাড়িতে ঘুমানো ঠিক নয়, একটু ঝিমুনি ভাব আসা। তবে বাস বা ট্রেনে আমার ঘুমানোর অভ্যাস বহুদিনের। বহুবার গন্তব্য স্থল ছেড়ে বহুদুর চলে গিয়ে আবার ফিরে আসতে হয়েছে আমার ঘুমের কারণে।ভালো ঘুম এলে তখন অবশ্য আমি না নামার কথা চিন্তা করি না যতটা সম্ভব ঘুমিয়ে যেখানে ঘুম ভাঙে নেমে যাই। পরে আবার ফেরার ট্রেনে কাজে নয় সেদিনের মত বাড়ি চলে আসি।
আর পাউরুটি নিয়ে ঘোরাঘুরি করা আপনার প্রস্তাবটি ভালো লেগেছে। তবে আমি পেশাদারী নৈশ প্রহরী নই। অকেশনালি আর কি। আমার পুরানো বাড়ি অটো/বাসস্টপেজ থেকে মিনিট ছয়সাত হাঁটা। তারমধ্যে গোটা পাঁচেক গলি আছে। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাকি।প্রত্যেকটি গলিতেই একাধিক গরুর মাংসের দোকান আছে। আমার বাড়ির সামনেও কয়েকটি কুকুর আছে। তবে ওরা এসব জায়গায় পাত্তা পায়না। চেহারায় অপেক্ষাকৃত ছোট্ট। কাজেই এইসমস্ত গলির কুকুররদের পক্ষে সকলকে চেনা সম্ভব নয়।আর মাংসের দোকানের কুকুরদের চেহারাটা হয় দশাশয়। রাতে ধাওয়া করলে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। এবার বিশ্বাস না করাটা আপনার বিবেচনাধীন।
আর বাইরে চাদর গায়ে চলে আসা প্রসঙ্গে আপনার ইঙ্গিতবাহী কথাটি ঠিক বুঝতে পারছিনা। পারলে আরেকটু ক্লিয়ার করুন...
সুন্দর প্রাণবন্ত ও মজার মন্তব্য করাতে প্রীত হলাম অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন সবসময়।
১৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সাবলীল বর্ণনা খুবই ভালো লেগেছে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আমার কোন পোস্টে আপনার আগমনে আনন্দ পেলাম ধন্যবাদ আপনাকে। বর্ণনা সাবলীল মনে হওয়াতে খুশি হলাম। অনুরোধ রইল সম্ভব হলে পরবর্তী পোষ্ট গুলোতে একটু চোখ বুলিয়ে যাওয়ার।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৬
ইসিয়াক বলেছেন:
পার্থিব সামান্য সুখের লোভে কিভাবে জন্মদাত্রী মায়ের গায়ে হাত তোলে তাকে মেরে ফেলে। কি নিষ্ঠুর মানুষ। তবে হ্যাঁ
স্বার্থের পৃথিবীতে মানুষ পারে না এমন কোন কাজ নেই। একটু ধৈর্য্য ধরলে আর লোভ সংবরণ করলে এমন ঘটনা অনায়াসে এড়িয়ে যাওয়া যায়। লোভ মানুষকে অবিবেচক করে তোলে,মানুষ নিজে একটু ভাবে না এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে অধিক কিছুর প্রয়োজন নেই অল্পতেই সুখে থাকা যায়। অতিরিক্ত পাওয়ার লোভ মানুষকে অমানুষ বানায়।
গল্প বা বাস্তব যাই হোক চমৎকার শিক্ষনীয় পোস্ট। ভালো থাকুন সবসময় প্রিয় অরুনাভ দাদা।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ইসিয়াক ভাই,
আবার মন্তব্য করেছেন দেখে আনন্দিত। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোট থেকে বিখ্যাত একটি গান শুনে আসছি,
স্বার্থের টানে প্রিয়জন কেন দুরে সরে চলে যায়....
ঠিক তাই।স্বার্থে ঘা পড়লে তখন আর মানুষ মানুষ থাকে না। আত্মীয় আর আত্মীয় থাকে না। বাবা-মা আত্মীয়-স্বজন সবাই সবাইকে ভুলে যে যার মত রাস্তা ধরে। কিন্তু এর মধ্যেও আছে মানবিকতা। আমাদের প্রত্যেকেরই মধ্যে যেমন ক্রর হিংসা আছে তেমনি আছে মানবিক গুণাবলী।কোন অবস্থায় হিংসাকে প্রশ্রয় না দিয়ে মানবিক সত্তাকে জাগিয়ে রাখাটাই আমাদের একমাত্র প্রার্থনার। সহমত আপনার সঙ্গে লোভ মানুষকে অবিবেচক করে তোলে, মানুষ নিজে একটু ভাবে না এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে অধিক কিছুর প্রয়োজন নেই অল্পতেই সুখে থাকা যায়।"চমৎকার কথা বলেছেন। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটি চমৎকৃত মনে হওয়াতে ও লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন। তবে অরুনা বলে আমাকে প্লিজ আর সম্বোধন করবেন না। গল্প লিখতে হলে কোথাও কোনো চরিত্রের নামকরণ করতে হয় সেগুলো লেখকেরই একান্ত কল্পনার।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ইসিয়াক ভাইকে।
১৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো আপনার এলাকা নিয়ে কোন লেখা পড়ে দেখলাম গল্পর মত। যা হোক শিক্ষনীয়।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আমার কোন পোস্টে আপনার আগমনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ মাইদুল ভাই আপনাকে। আপনি প্রথম যেটা ভেবেছিলেন সেটা পরে আর ভাবলেন না কেন? গল্প তো বটেই কিন্তু আমার এলাকার কথাও তো ভুল নয়। পোস্টটি আপনার কাছে শিক্ষণীয় মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।
১৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৬
নীল আকাশ বলেছেন: খুব হৃদয় বিদারক ঘটনা।
টাকাপয়সার জন্য মানুষ যে পশুতে পরিনত হয় এই লেখাটাই তার জ্বলন্ত প্রমান।
মন খারাপ করে দেয়ার মতো ঘটনা।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শত ব্যস্ততার মধ্যেও আপনি আমার পোস্টে এসেছেন দেখে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ নীল আকাশ ভাই আপনাকে।হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন এমন ঘটনা নিঃসন্দেহে দুর্ভাগ্যজনক ,হৃদয়বিদারক বটে। টাকাপয়সা বা আখের গোছাতে মানুষ কখনোবা এমন হিংস্র জান্তব আকার ধারণ করে।
সার্বিকভাবে লেখাটা মন খারাপ করে দেওয়ার বলে মনে হওয়াতে ও পোষ্টটিতে লাইক করাতে ব্লগ লেখক হিসেবে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।
২০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৪
মেহেদি_হাসান. বলেছেন: এরোকম কুলাঙ্গার সন্তান সমাজে অনেক আছে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ ব্লগিং প্রিয় মেহেদি ভাই। আমি গেছিলাম আপনার ব্লগে শুভেচ্ছা জানাতে কিন্তু দেখলাম আপনি এখনো পর্যন্ত কোন পোস্ট দেননি সে জন্য প্রতিমন্তব্যে আপনাকে সে কথা জানাতে বাধ্য হলাম। আপনার ব্লগিং জীবন প্রাণবন্ত ও ঝলমলে হয়ে উঠুক কামনা করি।
পোস্ট প্রসঙ্গে:- হ্যাঁ ভাই এমন কুলাঙ্গার সমাজে আমাদের মধ্যেই আছেন ছদ্মবেশে। তবে বিভিন্ন রূপ নিয়ে।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা জানবেন।
২১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: গল্প!! নাকি সত্যি!!!
এমনও হয়!! হয়!!
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ইতিমধ্যে অনেকেই এমন প্রশ্ন করেছেন। গল্প সমাজেরই কোন না কোন ঘটনার প্রতিচ্ছবি। লেখক বা কবিরা সমাজের বিভিন্ন অবক্ষয়তা তাদের লেখায় প্রতিধ্বনিত।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল।
২২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: দাদা আপনি কোথায়?
আপানর এলাকার বর্তমান করোনা পরিস্থিতি কি রকম?
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাইকে আবার কমেন্টে আসতে দেখে খুশি হয়েছি। আমি এখন বারাসাতেই আছি। এলাকায় করোনা আছে তবে ভয়-ভীতি অনেকটা কমে গেছে। আমরাও আর আগের মত রেস্ট্রিকশনে চলছিনা। তবে করোনার শীতকালীন থাবা কেমন হবে তা নিয়ে একটা আশঙ্কা আছে। দেখি পরিস্থিতি কোন দিকে যায়...
শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।
২৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: গল্পের মধ্য দিয়ে নগরায়নের কুপ্রভাব সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন। উপরে কেউ কেউ জানতে চেয়েছেন গল্প না সতি? যদি গল্প হয়ও, কোথাও না কোথাও এ কাহিনি সত্য হচ্ছেই প্রতিনিয়ত। নগরায়নের প্রভাব যে কত ভয়ানক হতে পারে, আমার নিজের গ্রামে গেলেই বুঝতে পারি। মানুষের মানবিকতা মূল্যহীন হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার একটা কমেন্ট করেছেন প্রিয় ভাই। গল্পের মধ্যে দিয়ে নগরায়নের কুপ্রভাব ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আমার উদ্দেশ্য সেটাই। সমাজের একটা নগ্নতাকে তুলে ধরা।গল্প না সত্য- তা ইতিপূর্বে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন। আপনার মন্তব্যে তার ই যথার্থ প্রতিফলন ঘটেছে। সমাজে প্রতিদিন এমন হাজারো ন্যক্কারজনক কাজ ঘটে চলেছে। অথচ এমন আমরা কেউ কখনই প্রত্যক্ষ করতে চাইনা। কিন্তু আমরা না চাইলেই যে হবে না তা তো নয়। যার প্রকৃষ্ট প্রমাণ আপনার নিজেরই গ্রাম। কি আর করার সব বুঝেও আমরা এক প্রকার অসহায়...
সবশেষে চমৎকার একটি কথা বলেছেন,মানুষের মানবিকতা মূল্যহীন হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
২৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪
ফয়সাল রকি বলেছেন: সিরিজটা পড়া শুরু করিনি ফাঁকিবাজী করে। এখন তো মনে হচ্ছে দ্রুতই শুরু করা দরকার।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে... কাজের চাপ আছে আমি বুঝতে পারছি। তবে এখন আপনাকে ব্লগে দেখে শান্তি পাই। মাঝে অনেক দিন মিস করেছি। আপনার সিরিজেও আমি সময় নিয়ে যাবো। সবগুলো একসঙ্গে পড়ার ইচ্ছা আছে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
২৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৪
জুন বলেছেন: গতকালই পড়েছি পদাতিক। এক পর্বে লেখা গল্পটি ভালো লাগলো অনেক। কুকুরের ব্যাপারটিতে মনে পরলো গত নভেম্বরে আমি ব্যাংকক। বাসার সামনে মেইন রোড পার হয়ে ওপাশে ফলের দোকানে যাবো। একটু হাটার জন্য বায়ের পথটি নিয়েছি অমনি বাঘের মত তিনটি কালো কুচকুচে কুকুর ফ্লাই ওভারের নীচ থেকে ঘেউ ঘেউ করতে করতে আমার দিকে ছুটে আসলো। আমার মনে হচ্ছিল ওরা আমাকে ছিড়ে খেয়ে ফেলবে যেমন কিছুদিন আগে অন্য জায়গায় ঘটেছিল। আমি ঘুরে আমাদের বাসার দিকে দ্রুত হাটা শুরু করেছি। ওরা আমাকে ঘিরে ধরে চিতকার করছে। কন্ডোর গেটের কাছে আসার পর ওরা চলে গেল। আমার ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে এসেছিল সেই রাতে।
আর সম্পত্তি নিয়ে রহমান সাহেবের মত ঘটনা ইদানীং ঘরে ঘরে পদাতিক। ধনী পরবারেও সন্তানরা নিজেরা জীবনে সঞ্চয় করে না এক পয়সাও কিন্ত বাবা মায়ের কষ্টার্জিত খুদকুঁড়া নেয়ার জন্য ভাই বোনে রক্তারক্তি কান্ড ঘটাতেও দ্বিধা করছে না। দরকারে খুন করতেও দ্বিধা করছে না যেন। আমার এক আত্মিয় সিংগাপুর এ তার রোগের চিকিৎসা করাতো। করোনার জন্য যেতে না পেরে ডিএইচেলের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকার ঔষধ আনিয়েছে। তার ছেলে আমার কাছে বলছে "বাবা তো দেখি মরার আগে সব টাকা এই ভাবে শেষ করে যাবে, আমাদের জন্য কিছুই তো দেখি রেখে যাবে না "। বোঝেন ঠেলা নিজের পয়সা নিজে খরচ করতে পারবে না। আর সে কিনা তার ছেলে মেয়েদের বাংলাদেশের টপ স্কুলে পড়িয়ে লন্ডন আমেরিকায় পাঠিয়ে পড়াশোনা করিয়েছে। তারা নিজেরা জীবনে কিছুই করতে পারে নি এখন বাবার টাকাই ভরষা। বাবা মরার আগে এইসব দেখে কোন উইল করে যায়নি। এখন তোমরা নিজেরা মারামারি করে মরো এই যেন ছিল তার ভাবনা।
ভালোলাগা রইলো পদাতিক
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আপুর কমেন্ট পেয়ে নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান বলে মনে হচ্ছে। আমি জানি আপনি সিরিজ লেখা পড়তে পছন্দ করেননা। সে দিক থেকে একটি পর্ব হওয়াতে অবশ্য আপনার সুবিধা হয়েছে। তবে এরকম একটি পর্বে পোস্ট দিতে আমারও খুব অসুবিধা হয়। যাইহোক আপনি আর ভূয়া ভাইয়ের জন্য মাঝে মাঝে এরকম এক পর্বের পোস্ট দিতে হয়।যে কারণে আপনার আগমন থাকে আমার কাছে বহুল প্রতিক্ষার..
গতকালই পড়েছেন এবং পোস্টটি ভাল লেগেছে জেনে খুশি হয়েছি। ধন্যবাদ আপু আপনাকে। ব্যাংককে আপনার কুকুরের অভিজ্ঞতাটি রীতিমতো ভয়ের ছিল। আমি তো পড়েই অবাক হয়েছি,কি ভয়ানক অবস্থায় পড়েছিলেন সেদিন। আপনাকে একটা বিষয় শেয়ার করছি আপু। আমি মর্নিং ওয়াক করতে প্রায়ই অচেনা অজানা রাস্তায় বার হই। গতকয়েকদির আগে এমনই একটি রাস্তায় হাঁটার সময় একসঙ্গে সাত আটটা কুকুর এমন করে ঘেউঘেউ করতে করতে তেড়ে এলো যে আমি ভয়ে অনেকটা পিছিয়ে একটা চায়ের দোকানে ঢুকে নিজেকে রক্ষা করি।পরে এলাকায় এসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ঐ এলাকায় কুকুরের উৎপাত বহুকাল আগে থেকেই নাকি চলে আসছে। ছোট কুকুরগুলো বড়দের ফলো করে এলাকায় সারমেয় কুলের দাদাগিরি বজায় রেখেছে।
আরও একটা ঘটনা। কয়েকমাস আগে চেন্নাইয়ের মেরিনা বিচে মর্নিং ওয়ার্ককারী এক ভদ্রমহিলাকে কয়েকটি কুকুর মিলে খুবলে খুবলে মেরেছিল।
পাশাপাশি সম্পত্তি নিয়ে হিংসা হানাহানি একটা কমন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহু পরিবার এই সব কারণে ভেঙে যাচ্ছে। বৃদ্ধ বাবা-মাকে নির্যাতন প্রায়ই ঘটছে। আপনার আত্মীয় সিংগাপুরের ঘটনাটা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। বাবা-মা তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করে সন্তানকে উচ্চশিক্ষা বা বিদেশে পড়তে পাঠিয়েছেন অথচ সেই সন্তান নিজে কিছু না করে বৃদ্ধ বয়সের সঞ্চয়নিধিতে চোখ বুলাবে মেনে নেওয়া যায় না। অথচ এ কথা বলবে কে? খুব বিষন্ন হলাম আপু ঘটনাটা শুনে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানবেন আপু।
২৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫
আমিন রবিন বলেছেন: ১। বাড়ির দু'শ গজ দুরের কুকুরেরা আপনাকে চেনেনা, এটা অস্বাভাবিক।
২। গলা টিপে কাওকে হত্যা করা হলে দুই বছর পরে ফরেনসিক টেস্টে সেটা ধরা পড়বেনা। শুধুমাত্র ঘাড় ভেঙ্গে থাকলে বা খুলিতে বা অন্য কোন হাড়ে আঘাতের চিহ্ন থাকলে, সেটা বোঝা যাবে।
আপনার লেখার ধরণ ভালো। ছোট খাটো ডিটেইল গুলোর দিকে নজর দিলে আরও ভালো হবে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ১। বাড়ির দুশো গজ দূরে নয়,অটো থেকে নেমে দুশো মিটারের কথা গল্পে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অটো থেকে নেমে সাত/আট মিনিট হাঁটার রাস্তা গল্পে অনুল্লেখিত। উল্লেখ্য এরমধ্যে অনেকগুলো গলি আছে।প্রায় প্রত্যেকটা গলির মুখে গরুর মাংসের দোকান আছে। একেকটা দোকানের সামনে অনেক অনেক কুকুর দাঁড়িয়ে থাকে। জেলা শহর হওয়ায় জনসংখ্যা অত্যন্ত বেশি। সেখানে এক গলির সঙ্গে অপর গলির মানুষেরই চেনাজানা থাকেনা। কুকুরের অবস্থাও তথৈবচ। তবে এত পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ তো ছোট গল্পে দেওয়া সম্ভব নয়। বড় গল্পের ক্ষেত্রে আপনার পরামর্শ মাথায় রাখবো।
২। নম্বর প্রসঙ্গে আপনার সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। ফরেনসিক রিপোর্টের পাশাপাশি অসংলগ্ন কথাবার্তা যেগুলো অপরাধীর সনাক্তকরণে সহায়ক হয়।
সবশেষে সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।
২৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুবই অনাকাঙ্খিত ঘটনা যদিও আমাদের সমাজে এরকম ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। জমির কাঠা প্রতি মূল্য কত ছিল?
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব ভালো একটা কমেন্ট করেছেন ভাই। প্রতিনিয়ত আমাদের চোখের সামনে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। নিউটনে জমির দাম জানতে আমার কোনদিন ইচ্ছা হয়নি। তবে আমি যেখানে থাকি সেখানে প্রপারে যেখানে ত্রিশ বা তার বেশি চওড়া রাস্তা সেসব জমি আর বিক্রি নেই।সব ফ্লাট হচ্ছে।প্রমোটরের সঙ্গে জমি ওয়ালার আধাআধি ভাগে। শহরের ভিতরেও্ প্রমোটরদের প্রাধান্যে কোন জমি বিক্রি নেই।মে কারণে ফ্লাটের এত রমরমা। আমার মতো মুল শহর থেকে দেড়কিমি,/দুকিমি দূরে রাস্তার চওড়া(২০/৩০ফুট,) অনুযায়ী জমি বিক্রি হচ্ছে। পনেরো থেকে পঁচিশ লাখ টাকা কাটা।
২৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১১
মোড়ল সাহেব বলেছেন: ভালো লিখেছেন
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা জানবেন।
২৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছে সেটা জানতে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাইকে আবার পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছি। ধন্যবাদ ভাইকে।
ভাই কমেন্ট গুলো দেখলেও প্রতিমন্তব্য দেখার সুযোগ হয়নি। আশাকরি এখন প্রতিমন্তব্যগুলোও ভাইয়ের চোখে পড়বে। সে বিষয়ে মতামত থাকলে জানার অপেক্ষায় রইলাম।
৩০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দুকিমি শব্দটা বুঝি নাই।
ল্যাম্পপোষ্টে এলইডি? আপনি শিওর? এলাকার বর্ণনা শুনে তো ছোটখাটো শহর মনে হলো। আর রাস্তায় এলইডি'র আলোতে ঘড়ির কাটাও দেখা যায় না......বিষয়টা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। পাড়ার কুকুরদের সাথে সব সময়ে খাতির রাখবেন। আপনি এদেরকে খাতির করলে এরাও আপনাকে খাতির করবে। আর কুকুরকে জুতা দেখানো কোন মানবিক ব্যাপার না, একেবারেই অমানবিক কাজ-কারবার!!!
আপনি বলেছেন, ঘটনা এবং গল্প বোথ। তাহলে বর্ণনার আমি'টা আসলে কে? আপনি? যাইহোক, এটা বড় বিষয় না। বড় বিষয় হলো, লোভে পাপ; আর পাপে যাবজ্জীবন কারাবাস!! এ'রকমের ঘটনা আজকাল প্রায়ই খবরের কাগজে উঠে আসে। আগের মতো নাই আর দিনকাল। লোকজনের হৃদয় থেকে মায়া-মমতা, বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সব উঠে যাচ্ছে। বৃদ্ধ মা-বাবাকে চিরতরে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয়া মেরে ফেলার চাইতে কোন অংশে কম না।
গল্পের/ঘটনার নাম-করন চমৎকার হয়েছে.......ছবিটা হয়নি।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দুকিমি অর্থাৎ দু কিলোমিটার। আপনাকে এটা বুঝেন নি সেটা বুঝতেও আমিও বুঝতে পারছি না আর কি। হেহেহে
এলাকার বর্ণনা পড়ে ছোটখাটো শহর মনে হয়েছে বলে রক্ষা। একেবারে সদ্য উন্নত গ্রাম তে ভাবেননি এটাই অনেক। তবে একটা ডিস্ট্রিক্ট টাউন।এই সেদিনও একটু বৃষ্টি হলেই সাইকেলের প্যাটেল পর্যন্ত ডুবে যেতো।আর প্রথম রাতে ভোল্টেজ ভীষণ লো থাকতো। আমরা মজা করে বলতাম, ইলেকট্রিক অফিসের লোকদের ছোটবেলায় পড়াশোনা করার জন্য বাড়িতে এত বকা খেয়েছে যে পরে চাকরি পেয়ে ছেলেমেয়েদের বাড়িতে যাতে পড়াশোনার জন্য বকা খেতে না হয় তাই লো ভোল্টেজ দেয়। তবে আপনাকে এই জন্যই আমার এত পছন্দের। বিশ্বাস করুন আমি চাই নি অন্তত একজন হলেও কেউ না কেউ আমার ভূয়া গল্পটা বিশ্বাস যেন না করে। আপনি আমার মনের সেই আশা পূরণ করেছেন। আপনিও যদি ঘটনাটাকে বিশ্বাস করতেন আমি নিরাশ হতাম। আপনার এমন অকপটে স্বীকারোক্তির জন্য থ্যাংক ইউ সো মাচ। হেহেহে
উল্লেখ্য এখনকার সরকার অবশ্য এই সমস্যাটির সমাধান করেছে।এখন রাস্তায় যথেষ্ট আলো। তাই বলে ল্যাম্পপোস্টের নিচে বই পড়া যাবে এতোটা উজ্জ্বলতার কথা বলবো না। আমি অবাক হই, এমন আলোর নিচে বিদ্যাসাগর মহাশয় কি করে বই পড়তেন। তবে এখন কার সরকারের অভিনব কর্মসূচিকে তারিফ না করে পারি না। এরা আবার সরকারি চাকরিগুলোকে পরীক্ষা ব্যবস্থা তুলে দিয়ে ফোনে এস এম এস চালু করে গোটা বিশ্বে নজির স্থাপন করেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ বা ইউকে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মমতা ব্যানার্জিকে অনুকরণ করতেই পারেন। কথাই বলেন না গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না। এমন অভিনব কর্মসূচিতে বাঁধ সারছে হাইকোর্ট। তাঁরা ২০১৬ সালের পর প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে উন্নয়ন কর্মসূচিকে রীতিমতো প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।
পোস্ট সম্পর্কে আপনি কে? আসলে আপনি বলেও বললেন, এটা বড় বিষয় না। কাজেই ছোট বিষয়টি ছেড়েই দিলাম।
বড় বিষয় নিয়ে সহমত আপনার সঙ্গে, লোভে পাপ; আর পাপে যাবজ্জীবন কারাবাস!!ঠিকই বলেছেন এরকম ঘটনা আজকাল হরহামেশাই ঘটে। সংবাদপত্র বা পেপারে প্রায়ই দেখা যায়। লোকজনের হৃদয় থেকে মায়া-মমতা সব উঠে গেছে। "বৃদ্ধ মা-বাবাকে চিরতরে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয়া মেরে ফেলার চাইতে কোন অংশে কম না।"এক্কেবারে যথার্থই বলেছেন। আমাদের মধ্যে হৃদয় মায়া-মমতার সম্পূর্ণ লোপ পেয়েছে। মৃত্যুর আগেই আমরা বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমের নিঃসঙ্গ জীবনে ঠেলে দিয়ে নিজের সুবিধার্থে কৌশলে হত্যাই করছি।
গল্পের নামকরণ ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আবারো অন্যবাদ।
কিন্তু হতাশ হলাম ছবির সঙ্গে গল্পের প্রাসঙ্গিকতা খুঁজছেন জেনে।আপনিও যদি আর পাঁচ জনের মতো ছবি ও পোস্টের মিল খুঁজে বেড়ান তাহলে আমার দুঃখ পাওয়াই স্বাভাবিক।
ভালো থাকুন সবসময়।
৩১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হায়রে সন্তান ! মানুষ নামের অমানুষ।
আচ্ছা লেখা টা কি রি-পোষ্ট ? নাকি আগে ফেসবুকে পড়েছি ।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আপু আজকের সন্তান বলে কথা! ঠিকই বলেছেন মানুষ নামের অমানুষ।
না আপু।এটি ব্লগে প্রথম পোস্ট দিয়েছি। তবে সামুর ক্রান্তিকালে অপেরা ব্রাউজার থেকেও যখন ঢুকতে পারতাম না তখন কলকাতা থেকে ফেসবুক কেন্দ্রীক একটা ভার্চুয়াল সাইটে বেশ কয়েকটি পোস্ট দিয়েছিলাম।তার মধ্যে এই পোস্টটি ছিল। যদিও শিরোনামটা আলাদা ছিল। আমি জানি না আপনি সেখানে লেখাটা পড়েছিলেন কিনা।কারণ পোস্টটি আমার ফেসবুক টাইমলাইনে আপডেট করেছিলাম।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা জানবেন আপু।
৩২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৮
ঢুকিচেপা বলেছেন: গল্পটা পড়তে দারুণ লাগলো কিন্তু লোভী রহমানের কাজে মনটা খারাপ হয়ে গেল।
সাক্ষী বিহীন খুনের কেস এভাবেই সামনে আসে।
শুভকামনা রইল।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আমার কোন পোস্টে আপনার কমেন্ট পেয়ে খুশি হলাম; ধন্যবাদ আপনাকে।
রহমানরা সমাজের নগ্নতার একটা প্রতীক মাত্র। ভদ্রতার আবরনে এরা নিজেদেরকে মুড়ে ফেলা। আর পাঁচ জনের মতো নিজেদেরকে ভদ্রবেশী করতে চেষ্টার কসুর করেননন। কিন্তু সুযোগ মতো নিজেদের মনের নগ্নতা জাহির করে খুনি চরিত্রের পরিচয় দেন।
সাক্ষী বিহীন নয়। কাজের মাসি ফজিলা বিবির স্বামী খোদা বক্সের বয়ানে রহমান সাহেবদের স্বামী-স্ত্রীকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে যেতে হয়েছে। কিন্তু ঘটনা পরম্পরায় খোদাবক্সের স্ত্রী ফজিলা বিবি গল্পে উল্লেখিত কোন একটি স্থানে আছে, এই কেসের অন্যতম চরিত্র এখানে উইটনেস হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার অধিকারী।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
৩৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০৭
জুন বলেছেন: কি অবস্থা পদাতিক আপনার দেখা নাই যে
নাকি ট্রাক্টার নিয়া রওনা দিছেন দিল্লির দিকে বাট দিল্লি হনুজ দূর অস্ত
কৃষকদের এই শীতের মাঝে কি অবস্থা, মায়াই লাগে। সব দেশেই কর্পোরেটদের সুযোগ সুবিধা দেখে সরকার। কারন সেখান থেকে টু পাইস
শোনেন আপনার সিনিয়র হিসেবে একটা কথা কই। পর্ব করে গল্প লিখলে একসময় রাইটারস ব্লক দেখা দেয়। সুতরাং ছোট গল্পই ভালো কি বলেন
আর আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আপু,
হ্যাঁ আপু ঠিকই বলেছেন দিল্লির দিকে রওনা দিয়েছিলাম। তবে ট্রাক্টর ম্যান ভাড়া দিতে রাজি নন।কতকরে বললাম, বললেন মোদিজি আসার পরে নাকি ভারতের অবক্ষয় অনেক বেড়ে গেছে।বলেন দিকি আপু, এতভালো একজন মানুষকে এমন কথা বলতে একটু বাঁধলো না?কি সুন্দর আধো আধো ভোলা চেহারা।স্মিত হাসেন।কম কথা বলেন।নিজে তো বসেছেন সঙ্গে দলকেও গোটা ভারতের সর্বাধিক রাজ্যে ক্ষমতাসীন করেছেন। আমরা মোদির ক্যারিশমায় উজ্জীবিত।আর সেই মোদিজির ভারতকে কিনা বলেন অবক্ষয়? উনি ভয় পাচ্ছেন,চা ওয়ালা মোদিজি নাকি চাষীদের জন্য পুরানো ট্রাক্টর কিনছেন। ওনার সাধের গাড়িটি হাতছাড়া হতে পারে বলেই বোধহয় আমাকে দেননি।আর তাছাড়া কম্যুউনিস্টরা তো মোদিজিকে মানুষ বলে মনে করেন না।জ্যোতিবাবু অনেক আগেই বলে গেছেন, বর্বরদের দল।সেসব কারনেই আপু ট্রাক্টর পাইনি। তবে আমি হেঁটে হেঁটে দিল্লি রওয়ানা দিয়েছি। সারাদিন হাঁটছি।দেখি দিল্লি কতদূর...
পর্ব করে গল্প লেখা বিষয়ে আপনার মতামত শিরোধার্য। তবে উপন্যাস লেখার জন্য নিজের সঙ্গে নিজের একটা চ্যালেজ্ঞ তৈরি হয়।মে লোভকে সামলানো যায় না।
ভালো থাকুন আপু সবসময়।
৩৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
অতিরিক্ত নগরায়নের কারণে দিন দিন মানুষের সীমাহীন চাহিদা বেড়েই যাচ্ছে আর চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অন্যায়। নগরায়নের সাথে অন্যায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঠাকুরমাহমুদ ভাই। আশা করি ভাল আছেন। পোস্টের শুরুতেই আপনার লাইক পেয়ে বুঝেছিলাম ব্যস্ততার কারণে মন্তব্য করতে পারেননি কিন্তু গল্পটি তখনই পড়েছেন।আজ সময়মতো এসে কমেন্ট করেছেন দেখে আনন্দ পেলাম।
"অতিরিক্ত নগরায়নের কারণে দিন দিন মানুষের সীমাহীন চাহিদা বেড়েই যাচ্ছে আর চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অন্যায়। নগরায়নের সাথে অন্যায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত।" সুন্দর অবজারভেশন আপনার। শতভাগ সহমত মন্তব্যের সঙ্গে।
সমাজ সভ্যতা যত আধুনিক হচ্ছে মানুষের চাহিদা বাড়ছে; তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাড়ছে হিংসাও।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
৩৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৯
শায়মা বলেছেন: সত্যি ঘটনা? এত বড় খুনী!
২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কেন সন্দেহ হচ্ছে আপনার আপু বুঝতে পারলাম না....
৩৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২০
করুণাধারা বলেছেন: এমন ঘটনার কথা মাঝে মাঝেই শোনা যায়। আপনার উপস্থাপন ভালো লাগলো।
একটা কথা, এরপর আপনার কোন পোস্ট পড়তে গেলেই মনে হবে খুনী কোথায়!! ঐদিকে মাহমুদ, এদিকে রহমান সাহেব...
গল্পে প্লাস।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আমি তো এবার চিন্তায় পড়ে গেলাম।ওটা একটা বড় উপন্যাস। অনেক চরিত্র যারা ঘটনা পরম্পরায় আসবে আবার যাবেও... কিন্তু এটা তো ছোট গল্প। দ্রুত যবনিকাপাত ঘটাতে হবে। এত সংক্ষেপে সরলীকরণ করলে যে লেখায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলবো। যাইহোক লেখকের লেখার একটা ট্রেন্ড আপনার কমেন্টে প্রকাশ পেয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
৩৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪
রানার ব্লগ বলেছেন: অর্থ অনার্থের মূল।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সে আর বলতে! প্রচলিত কথা সব সময় ইঙ্গিতবাহী। অর্থ অনর্থের মূল। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা জানবেন।
৩৮| ১৮ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্প পড়ে কী আর বলবো! তার চেয়ে বরং একটা গান শুনুনঃ - "ভবের নাট্যশালায় মানুষ চেনা দায় রে ...."
https://www.youtube.com/watch?v=vDKh5Debuso
২১ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "ভবের নাট্যশালায় মানুষ চেনা দায় রে ...."- চমৎকার গানটি স্যার।অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার প্রথম লিংকটি কাজ না করলেও পরেরটি যথাযথ কাজ করেছে। খুব ভালো লেগেছে গানটি শুনে।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
৩৯| ১৮ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: লিঙ্কটি বোধহয় উপরের মন্তব্যে ঠিকমত আসে নাই। তাই আবার দিলামঃ
"ভবের নাট্যশালায় মানুষ চেনা দায় রে ...."
২১ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথম কমেন্টে লিংক যথাযথ কাজ না করায় আবার কমেন্টে এসে ঠিকমতো লিংক দেওয়ায় জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই।
ভালো থাকবেন স্যার সবসময় এই দোয়া করি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫২
ঢাবিয়ান বলেছেন: সত্যি ঘটনা না গল্প?? এমন অমানুষও হতে পারে কোন সন্তান?
সাবলীল বর্ননা। এক নিঃশ্বাসে পড়লাম