নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আঁধারে আলো (পর্ব-৩)

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫২



সিমলায় যাওয়ার জন্য স্থানীয় একটি ট্রাভেলিং এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করি। ওদের পরামর্শের মত রেল বুকিং কাউন্টার থেকে হাওড়া টু কালকা পর্যন্ত কালকা মেলের টিকিট ও কালকা থেকে সিমলা পর্যন্ত টয় ট্রেনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ইতিপূর্বে একাধিকবার দার্জিলিঙে টয় ট্রেন দেখলেও চড়ার সুযোগ হয়নি। সিমলাতে সেই সুযোগটি চলে আসায় সে কারণে আমরা আর কাল বিলম্ব না করে এজেন্সিকে আমাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেই। উল্লেখ্য আমরা দুজনেই টয় ট্রেনের ব্যাপারে শুরু থেকে খুব আগ্রহান্বিত ছিলাম। বিবাহিত নবদম্পতির কালকা মেলের অভিজ্ঞতার কথা আর পাঁচজন সাধারণ যাত্রীর মত আলাদা করে উল্লেখ করার কারণ না থাকলেও টয় ট্রেনের যাত্রার কথা না বললেই নয়। কালকা থেকে একশো কিমির অধিক দূরত্বের সিমলায় পৌঁছানোর জন্য টয় ট্রেনে পাঁচ ঘন্টার কথা বললেও বাস্তবে তা সাত ঘন্টারও বেশি লেগেছিল। সিমলা ট্যুরে আমার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল টয় ট্রেন। কাজেই ট্রেন যাত্রা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত ছিলাম। অস্বীকার করব না যে সে সময়ে আমি একপ্রকার ঘোরের মধ্যে ছিলাম। সবকিছুই স্বপ্নের মনের মত লাগছিল।কালকা টয় ট্রেন স্টেশনটি ঠিক আর পাঁচটা সাধারণ ট্রেন স্টেশনের মতো নয়। একদিকে স্টেশন অন্যদিকে তার গা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া শহরের ব্যস্ততম রাস্তা। স্টেশনের বিপরীত দিকে সারিবদ্ধ ভাবে বড় বড় গাছ। গাছগুলোর মাথায় উচ্চতা আবার একই রকমের। ভারী সুন্দর দৃশ্য।অদ্ভুত সুন্দর একটা স্টেশন।স্টেশনে চলাচলকারী লোকজনকেও ঠিক সাধারণ বলে মনে হয়নি।কত সভ্য ভদ্র তারা। কোথাও সামান্যতম জোরে চিৎকার চেঁচামেচি নেই।নেই কোনো ধাক্কাধাক্কি হুড়োহুড়ি বা হকারদের দাপাদাপি। এমনকি চোখে পড়ে নি কোনো ভিখারিও। ছবির মতো সাজানো স্টেশনটিতে এসেই প্রথম হাল্কা শীত শীত ভাব অনুভব করি।অথচ রেল যাত্রা পথে তার আগে পর্যন্ত গ্রীষ্মের দাবদাহে নাভিশ্বাস হওয়ার উপক্রম হয়েছিল।যে কারণে এখানে এসে প্রথম হাল্কা শীত অনুভব করায় মনের মধ্যে আলাদা অনুভূতি তৈরি হয়। এলাকাটিকে আমার পরিচিত ভারতের সঙ্গে কোনো ভাবেই মেলাতে পারলাম না। আমি বিদেশে যাইনি কখনও। কাজেই বিদেশ দেখার কোনো প্রশ্ন-ই নেই।কালকাতে এসে আমার প্রথম মনে হলো, নাহা! এটা ভারত নয়; আমি যেন বিদেশের কোনো শহরে চলে এসেছি।

সম্ভবত সকাল সাড়ে এগারোটা বা বারোটার দিকে আমাদের ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে। আমরাও যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচি। এতক্ষণে আমাদের অপেক্ষার অবসান হলো।যাত্রা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে এবার শুরু হয় আরেক নুতন উন্মাদনা। প্রথমদিকে বেশ কয়েকটি স্টেশন পর্যন্ত আমাদের এই উন্মাদনা আনন্দের ফল্গুধারা হয়ে প্রবাহিত হয়। প্রত্যেকটা স্টেশন একদম ছবির মতো মনে হচ্ছিল। কি অপূর্ব সৌন্দর্য! সাজানো-গোছানো, কোলাহল বা হই হট্টগোলের বিন্দুমাত্র চিহ্ন নেই কোথাও। দৃশ্যপটের মধ্যে নেই সামান্যতম নোংরাও। তবে রেল স্টেশনের তুলনায় টয় ট্রেনের স্টেশনগুলো যথেষ্ট ছোট্ট।যাত্রী সংখ্যাও তুলনায় খুবই কম। জনবসতির ঘনত্বও সমতলের তুলনায় যথেষ্ট কম হওয়ার কারণে কিনা জানি না পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এতটা সম্ভবপর হয়েছে। যাইহোক সুদীর্ঘ যাত্রাপথে অসংখ্য টানেলের সঙ্গে ছিল প্রচুর রেল ব্রিজ যারা মিলিতভাবে সর্পিল ভঙ্গিতে পাহাড়ের গা ঘেঁষে কোনো এক নৃত্য পটিয়সী নারীর ন্যায় কোমরের দুলকি চালে অপরূপ নৃত্যের মোহনীয় যাদুতে আমাদেরকে আবিষ্ট করে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। কাজেই সহজেই অনুমেয়, তার রূপের মাধুরী যাত্রাপথকে অনন্য সুন্দর মাত্রা দান করেছিল। প্রকৃতির সঙ্গে এখানে মনুষ্য সৃষ্ট এই রেলব্রিজের যেন এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটেছে। সঙ্গতকারণেই আলাদা করে এই রেল ব্রিজ উল্লেখের দাবি রাখে। উল্লেখ্য আমরা সমতলে যে রেল ব্রিজ দেখি তার সঙ্গে হিমাচল প্রদেশের রেল ব্রিজের যথেষ্ট পার্থক্য আছে। ছবির মতো পাহাড়ের কোল ঘেঁষে অসংখ্য খাদ উপখাদকে যুক্ত করেছে সিমলাযাত্রা পথের এই রেল ব্রিজগুলো। ব্রিজগুলোর গঠনশৈলী রীতিমতো বিস্ময়কর। দেখে মনে হবে যেন পাহাড়ের কোলে ব্রিজগুলো ঝুলে আছে। ব্রিটিশরা ভারতবর্ষকে অনেক ক্ষতি করেছে ঠিকই কিন্তু দুর্গম হিমালয়ের পাদদেশে ছোট বড় অসংখ্য জনপদ বা পাহাড়কে সুতোর মতো একসূত্রে গেঁথে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে নির্মিত এই রেল পথের নির্মাতা হিসাবে তাদের কৃতিত্বকে আজও অস্বীকার করা যায়না ।তারা চলে গেছে সেই কবেই। কিন্তু আজও তাদের স্মৃতি সাক্ষ্য বহন করছে শতাব্দী প্রাচীন এই ব্রিজগুলো। এতো প্রাচীন! অথচ আজও তাদের গুরুত্ব এতটুকুও কমেনি। সম্ভবত এই কারণেই ইউনেস্কো থেকে এই রেলপথকে বর্তমানে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।যেতে যেতে মনে হচ্ছিল এই রেলপথে না চড়লে মানবজীবন অসম্পূর্ণ থেকে যেতো।মনে মনে ধন্যবাদ দেই শ্বেতাকে।ও এমন জেদাজেদি না করলে এ পথে হয়তো বাকি জীবনে আসাই হতো না।

ট্রেনে উঠে প্রকৃতির রূপে মোহিত হয়ে সাময়িক ভাবে ভুলে যাই পাশে বসা সুন্দরী স্ত্রী শ্বেতার কথা। জানালার পাশে বসে তাকিয়ে ছিলাম পাশ দিয়ে অবিচ্ছন্নভাবে বয়ে চলা প্রকৃতির নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের দিকে। শ্বেতাও সম্ভবত আমার মতই বাইরের অপরূপ সৌন্দর্যের মায়াবী জাদুতে আটকে গিয়েছিল।যে কারণে দুজনের কারোর মুখে কোনো কথা ছিল না সে সময়ে। বেশ কিছুক্ষণ পর আচমকা কনুই এর গুঁতো খেয়ে আমার হুঁশ ফেরে। মনে হলো এতক্ষণ স্বপ্নের মধ্যে ছিলাম। হঠাৎ শ্বেতার ডাকে যেন মর্তে নেমে এলাম। শ্বেতার চোখে মুখে খুশির ঝিলিক, আনন্দের বিহ্বলতা। শিশুসুলভ সরলতায় জিজ্ঞেস করে,
-কি অপূর্ব না জায়গাটা?
আমি যন্ত্রের মতো মুখে কিছু না বলে, মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিয়ে জানালার কাঁচের ওপাশে বয়ে চলা প্রকৃতির অপরূপ শোভারাজীতে নিজেকে মগ্ন রাখি।

কালকা- সিমলা টয় ট্রেনের যাত্রাপথে অসংখ্য টানেলের কথা আগেই বলেছি। এই টানেলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় এক অসম্ভব মায়াবী পরিবেশ অন্তরকে মহোচ্ছন্নতায় ভরিয়ে দেয়। একটু দূরে বসা আমাদের ট্যুর কোম্পানির রাধুনী সহযাত্রী স্বপনকে জিজ্ঞেস করতেই জানালো,
-এই লাইনে অসংখ্য টানেল আছে। টানেলের মধ্যে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রাপথে এমন অন্ধকারের শেডগুলো মাঝে মাঝে চলে আসছে।
আগে থেকেই জানতাম কালকা-সিমলা টয় ট্রেনের বিশেষত্ব, এই লাইনে অনেকগুলো পাহাড় পড়বে ঠিকই। তাই বলে এমন পাহাড়কে এফোঁড় ওফোঁড় করে রেল চলবে! স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি। যাইহোক এতক্ষণ পাহাড়ের দুপাশে অপরূপ প্রাকৃতিক শোভা ও তার সঙ্গে রেল ব্রিজগুলোর মাধুরী দেখে বিমোহিত ছিলাম। এখন তার সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হল টানেল,যা কিনা পাহাড় ভেদ করে এগিয়ে চলেছে।স্বপনের কাছ থেকে টানেলের পরিচয় শুনে মনের আচ্ছন্নতা এক অসম্ভব প্রেমানুভূতিতে পরিনত হয়ে বিদ্যুৎ তরঙ্গের ন্যায় গোটা শরীর ও মনে প্রবাহিত হয়। টানেলের ভিতর তেমন আলোর ব্যবস্থা না থাকায় দিনের বেলায়ও এর মধ্যে একপ্রকার অন্ধকারাচ্ছন্নতা বিরাজ করে। হঠাৎ দু পায়ের উপর খুব ভারী কিছুর চাপ অনুভব করি। বুঝতে পারি শ্বেতা আমার কোলের উপর ঝুঁকে পড়েছে। আমিও ওর আবেদনে সাড়া দিয়ে ওকে পরম মমতায় দুবাহুর মধ্যে আগলে ধরি। এমন সময় আলো চলে আসতেই ও সোজা হয়ে বসে। উপস্থিত অন্যান্য যাত্রীরা মনে হয় না কেউ কিছু বুঝতে পেরেছেন। আর পারলেও তাদের বাহ্যিক আচরণে বা হাবভাবে তেমন কোন পরিবর্তন চোখে পড়লো না।

পরের দিকে এমন অন্ধকারের শেড চলে আসার সঙ্গে সঙ্গে শ্বেতা চলে আসে আমার খুব কাছে। আমিও ওকে আরও কাছে টেনে নিই। ওকে এভাবে আবিষ্কার করতে পেরে আমি মনে মনে শিহরিত হই। কাজেই ট্রেনের মধ্যে আমরা অপ্রত্যাশিতভাবে কুড়িয়ে পাওয়া নুতন আনন্দে মেতে উঠি। প্রতিটি মুহূর্ত এ সময় মধুরতায় যেন পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। পরেরদিকে এইভাবে টানেল এলে একে অপরকে জড়িয়ে হানিমুনের অগ্রিম স্বাদ উপভোগ করতে থাকি। কিন্তু হায়রে! আমাদের এই আনন্দ বেশিক্ষণ চলতে পারেনি। একটু দূরে বসা আমাদেরই ট্যুরের এক অধ্যাপক পত্নী বারেবারে আমাদের দিকে তাকিয়ে দুষ্টু দুষ্টু হাসি দিয়ে পাশে বসা ওনার প্রতি দেবতাকে কি যেন বলছিলেন।ব্যাস ওটা দেখেই শ্বেতা গেল গুটিয়ে। আমার থেকে অনেকটা তফাতে গিয়ে বসলো।দুজনেই লজ্জা পেয়ে গুটিসুটি মেরে বসে থাকি। কিন্তু সমস্যা হলো, যে প্রকৃতির দিকে চেয়ে একটু আগেও বিমোহিত হয়েছিলাম এক্ষণে নুতন আনন্দে বিঘ্ন ঘটায় আর প্রকৃতির দিকে মনোনিবেশ করা সম্ভব হয়নি। ভদ্রমহিলার আগ্রহভরা চাহনিতে ওনাকে খলনায়িকার আসনে বসিয়ে আমরা দুজনেই গোমরামুখো হয়ে শূন্য দৃষ্টিতে বাইরে তাকিয়ে থাকি।


চলবে......


বিশেষ দ্রষ্টব্য:-উপরের ছবিটি নেট থেকে নেওয়া।


মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫৮

ইসিয়াক বলেছেন: রাত্রে পড়ে কমেন্ট করবো। এখন টিউশনি যেতে হবে। :(

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপাতত কাজ নিয়ে থাকুন। ফ্রি হলে কমেন্ট করিয়েন। অপেক্ষায় রইলাম...

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৫২

জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা স্ব পরিবার ২০০৪ এবং ২০১০ সনে সিমলা ভ্রমণ করেছিলাম, তাই আপনার লেখার বিষয়বস্তু সবই আমার চোখের সামনে ভাসছে.....সিমলা ভ্রমণ নিয়ে ২০১০ সনের দিকে এই ব্লগে আমার কয়েক কিস্তি লেখা আছে....আপনার লেখায় এমন নিখুঁত বর্ণনা পড়ে মনে হচ্ছে যেনো আমিই ভ্রমণ করেছি এবং ভ্রমণ কাহিনির লেখক আমি নিজেই! কারোর লেখা যখন পাঠকের নিজের লেখা মনে হয় তখনই একজন লেখকের লেখা স্বার্থকতা পায়।
পরের পর্বের অপেক্ষায়। +

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
"আমরা স্ব পরিবার ২০০৪ এবং ২০১০ সনে সিমলা ভ্রমণ করেছিলাম, তাই আপনার লেখার বিষয়বস্তু সবই আমার চোখের সামনে ভাসছে.....সিমলা ভ্রমণ নিয়ে ২০১০ সনের দিকে এই ব্লগে আমার কয়েক কিস্তি লেখা আছে....আপনার লেখায় এমন নিখুঁত বর্ণনা পড়ে মনে হচ্ছে যেনো আমিই ভ্রমণ করেছি এবং ভ্রমণ কাহিনির লেখক আমি নিজেই! কারোর লেখা যখন পাঠকের নিজের লেখা মনে হয় তখনই একজন লেখকের লেখা স্বার্থকতা পায়।
পরের পর্বের অপেক্ষায়। +"-
ভাইজান,
আপনি ২০০৪ ও ১০ সালে দু দুবার সিমলায় গেছেন এবং সে সম্পর্কে পোস্ট দিয়েছেন তা থেকে সহজেই অনুমেয় আপনি গোটা সিমলা ট্যুর অত্যন্ত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছেন। আপনার সংশ্লিষ্ট পোস্টে নিঃসন্দেহে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। এদিক থেকে দেখতে গেলে আমার একবারই সিমলায় গিয়ে এই পোস্ট, তুলনায় অন্তঃসারশূন্যতায় ভরা। যাইহোক আপনার এমন নির্মল প্রশংসায় আপ্লুত বোধ করছি। সঙ্গে পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভেচ্ছা ভাইজান আপনাকে।

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:১৭

অঙ্গনা বলেছেন: হিন্দি মুভিতে টয় ট্রেন দেখা যায়। রিয়েলিটি তে জার্নি করা যায় জানতাম না। দারুণ লেখা ইঞ্জয় করার মতন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোনো পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য সুস্বাগতম আপনাকে। আপনি ঠিকই বলেছেন তাৎক্ষণ িক স্টেশনে গিয়ে সাধারণ ট্রেনের মতো টয়ট্রেনের টিকিট মেলে না। টয় ট্রেনে চড়ার জন্য আগে থেকে বুকিং করতে হয়। আগামীতেও এভাবে পাশে পাবো প্রত্যাশা করি।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা আপনাকে।

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:০০

মিরোরডডল বলেছেন:




ট্রেনে উঠে প্রকৃতির রূপে মোহিত হয়ে সাময়িক ভাবে ভুলে যাই পাশে বসা সুন্দরী স্ত্রী শ্বেতার কথা।

কি সর্বনাশ ! প্রকৃতিপ্রেমী বলে পাশে বসা সুন্দরী বউকেও ভুলে যায় ???

শেষের দিকে বর্ণনায় একটা কিউট রোম্যান্টিক কাপলকে দেখতে পাচ্ছি ।



০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে এরকম তো কারো কারো ক্ষেত্রে হতেই পারে। তবে সেরকম সময় বেশিক্ষণ ধরে চলেনি এই যা।
অনেকদিন পর আমার কোনো পোস্টে এলেন। খুশি হয়েছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা জানবেন।

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:০৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি কয়েকবারই ঠিক এই পথেই কলকা ধরে কলকা হয়ে টয়ট্রেনে সীমলা যাবার প্লান করেছি। কিন্তু নানা করণে এখনো যাওয়া হয়ে উঠেনি। :((

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: টয় ট্রেনে যাওয়ার ইচ্ছে করলে সঙ্গে সঙ্গে টিকিট মেলেনা। আগে থেকে বুকিং না করলে টিকিট পাওয়া যায় না। অবশ্য আমি ২০০৭ সালের কথা বলছি এখন পরিস্থিতি কেমন সেটা অবশ্য ঠিক বলতে পারব না।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা জানবেন।

৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৮

কামাল৮০ বলেছেন: এই পথে যাতায়াত আছে একাধিকবার।কিন্তু আমার বাস্তব দেখার চেয়ে আপনার বর্ণনা বেশি ভালো লাগলো।রাজধানী এক্সপ্রেস মনে হয় এই পথে যায় না।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রাজধানী এক্সপ্রেস তো দিল্লী পর্যন্ত যায়। ওখান থেকে কালকার দূরত্ব আনুমানিক চারশো কিমির সামান্য কমবেশি হবে বলে মনে হয়।লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভেচ্ছা আপনাকে।

৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক আগে থেকেই সখ ছিল কালকা থেকে সিমলা কালকা ট্য় ট্রেনে যাবার! ট্রেন যাত্রার কিছু ভিডিও দেখে আমি মোহিত হয়েছিলাম!
আপনার লেখা পড়েতো শত ভাগ নিশ্চিত যেতেই হবে। আহা ওই অতি আগ্রহী ডাইনী(!) বেটিটার জন্য এমন রোমান্স মাঝপথেই থেমে গেল!
দারুণ বর্নণা! চমৎকার হচ্ছে-পরের পর্বের জন্য অতি আগ্রহভরে অপেক্ষায় রইলাম...


অ।ট। ঘটনাটা কত সালের?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,

আশাকরি ভাল আছেন। বাড়িতে আজকে লোকজন ছিল। সকালে সোহানীপুর একটি পোস্টে কমেন্ট করার সময় গিন্নির ডাকে সাড়া দিতে সেই যে ভিড়ে গেছি। তারপর সামান্যতম ফুরসৎ হয়নি ব্লগে ফিরে আসার। সন্ধ্যাবেলা ফোনে হাত দিয়ে বুঝতে পারি সারাদিন লগ আউট করার সুযোগ হয়নি।ফলে যন্ত্রের মত বাড়ির কাজে লোকজনের পিছন ছোটা শুরু করলাম। তারপর সারাদিন ভুলে গেছি যে ব্লগে লগ আউট করা হয়নি। অবশেষ সন্ধ্যার একটু আগে লগ আউট করে এখন আবার ব্লগিং শুরু করলাম।

ডাইনি বিশেষণটা খুব ভালো লেগেছে। এবার যথাযথ বিশেষণ হয়েছে।

আশা করি এভাবে পরের পর্বগুলোতেও পাশে থাকবেন।
ঘটনা ২০০৬ সালের।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা আপনাকে।

৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫১

অপ্‌সরা বলেছেন: আহা ভ্রমন ভ্রমন পর্ব ....


শেরজাভাইয়ার মন্তব্য পড়ে হাসছি।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ফাঁকিবাজি কমেন্ট হেহেহে

৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১১

ইসিয়াক বলেছেন: " সুদীর্ঘ যাত্রাপথে অসংখ্য টানেলের সঙ্গে ছিল প্রচুর রেল ব্রিজ যারা মিলিতভাবে সর্পিল ভঙ্গিতে পাহাড়ের গা ঘেঁষে কোনো এক নৃত্য পটিয়সী নারীর ন্যায় কোমরের দুলকি চালে অপরূপ নৃত্যের মোহনীয় যাদুতে আমাদেরকে আবিষ্ট করে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। "
চমৎকার বর্ণনা। আমি মুগ্ধ। তবে শেষের রোমান্সটুকু না হলে লেখাটা পানসে মনে হতো।হাজার হলেও নব দস্পতি বলে কথা ;) চলুক তবে রোমান্স। তবে পরের পোস্ট অবশ্যই তাড়াতাড়ি দিবেন।

শুভকামনা সবসময়।
ভালো থাকুন।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গল্পের অংশ বিশেষ উল্লেখ করে, চমৎকার লাগায় ও মুগ্ধতা প্রকাশ করায় আপ্লুত বোধ করছি। অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।আর শেষ‌ পাতে চাটনি না দিলে যে খাবারটাই পানশে হয়ে যাবে হেহেহে...
আপনার শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকেও।

১০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩২

জুন বলেছেন: কালকা থেকে সিমলা আমরাও টয় ট্রেনে গিয়েছিলাম তবে আমাদের যাত্রাপথ আপনাদের মত এত মধুর হয় নি পদাতিক। শেষ মুহূর্তে আমাদের বগিতে কোন এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা উঠেছিল গোটা বিশেক । তাদের হৈ-হুল্লোড় আর ধাক্কাধাক্কিতে আমাদের তিন জনের অবস্থা কাহিল। তারা চাইছিল আমরা অন্য বগিতে চলে যাই। কিন্ত আমরা বসে ছিলাম তবে বাইরের দৃশ্য কিছুই উপভোগ করতে পারি নি। ছিলাম মলের চার্চের পেছনে ময়ুর ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে। পরদিন জাখু মন্দির যাওয়ার সময় সেই ট্রেনের কয়েকটি ছাত্রের সাথে দেখা হয় এর মধ্যে একজন জানায় গতকালের ব্যবহার এর জন্য তারা লজ্জিত।
যাক ভ্রমণ কাহিনি যখন তখন সাথে আছি পদাতিক। আর প্রিয় সিমলা নিয়ে এরপর তো কথাই নাই। অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো।
+

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আমার কোনো পোস্টে এলেন আপু। ঠিক আগের পোস্টে একটি ছোট গল্প পোস্ট দেওয়ার সময় আপনার আর ভূয়া ভাইয়ের কথা মাথায় ছিল। দুজনাই পর্ব পড়তে প্রচন্ড অনীহা প্রকাশ করেন। মূলত আপনাদের দুজনকে মাথায় রেখেই ওই ছোট গল্পটা দেওয়া।সযয় হলে 'রায়হানের বর্ণালী' গল্পটা পড়ার অনুরোধ রইলো।

'কালকা থেকে সিমলা আমরাও টয় ট্রেনে গিয়েছিলাম তবে আমাদের যাত্রাপথ আপনাদের মত এত মধুর হয় নি পদাতিক। শেষ মুহূর্তে আমাদের বগিতে কোন এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা উঠেছিল গোটা বিশেক । তাদের হৈ-হুল্লোড় আর ধাক্কাধাক্কিতে আমাদের তিন জনের অবস্থা কাহিল। তারা চাইছিল আমরা অন্য বগিতে চলে যাই। কিন্ত আমরা বসে ছিলাম তবে বাইরের দৃশ্য কিছুই উপভোগ করতে পারি নি।"-আপু সেম ঘটনা আমরাও একবার ঘটিয়েছিলাম। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয় ভিত্তিক একটা সংসদীয় অধিবেশনে অংশ নিতে আমরা যাদবপুর থেকে জনা ত্রিশেক ছেলে-মেয়ে পাঁচ সাত জন স্যার ম্যামের সঙ্গে হাওড়া স্টেশন থেকে সম্ভবত গণদেবতা এক্সপ্রেস ধরেছিলাম।সবার সিট সেম কম্পার্টমেন্টে না হলেও আড্ডা মারার জন্য সকলে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ছাত্রছাত্রী সম্বলিত আমাদের কম্পার্টমেন্টে চলে আসে। এমনকি আমাদের এই দলে অন্য কম্পার্টমেন্টের স্যার ম্যাডামরাও চলে আসেন। ফলে অল্প জায়গায় জনত্রিশ ছাত্র-ছাত্রী সহ শিক্ষকরা মিলে গোলতানি করার ফলে বুঝতে পারি সহযাত্রীদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছিল একরাশ বিরক্তি ও হতাশা। উনাদের কারোর সেই বিরক্তি বা হতাশার দিকে আমাদের কারোরই সাম্যন্যতম ভ্রুক্ষেপ ছিল না। হাওড়া থেকেই ছন্দকে হত্যা করে নানান বেসুরে গান হয়ে উঠেছিল আমাদের মজার বিনোদন। একসময় আমরা গান ধরি, একদিন বাঙাল ছিলাম রে..."
উল্লেখ্য এই গান শুরু করতেই অপরিচিত দুই ভদ্রলোক সিট ছেড়ে উঠে এসে আমাদের সাথে গান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কথা শুনেই বুঝতে পেরেছিলাম ওনারা বাংলাদেশী। আমরা ওনাদেরকে সানন্দে গ্রহন করি। ওনাদের দেখাদেখি কম্পার্টমেন্টের বেশিরভাগ যাত্রীরাও যে যেখানে ছিলেন আমাদের দিকে মুখ তুলে 'একদিন বাঙাল ছিলাম রে....' গাইতে থাকেন।পরে দুই ভদ্রলোকের পেশা জিজ্ঞেস করতেই জানিয়েছিলেন ওনারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। বিশ্বভারতীর বিষয়ভিত্তিক সংসদীয় অধিবেশনের বিদেশী অতিথি অধ্যাপক হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ওনারা শান্তিনিকেতনে যাচ্ছিলেন। আমাদের গন্তব্যও ছিল শান্তিনিকেতনে একই অধিবাসের মাংস নেওয়া। ওনাদের কথা শুনে আমাদের গুরুদেব‌ কাম ফ্রেন্ড শিক্ষক অধ্যাপক প্রাঞ্জল কুমার ভট্টাচার্য উনাদেরকে বুকে জড়িয়ে ধরেন।সে এক অপূর্ব দৃশ্য।আপু গোটা জীবনে এমন ঘটনা খুব কম ঘটে।

সাথে আরেকটু জানাই,এই সিরিজটা কিন্তু ভ্রমন কাহিনী নয়। তবে কি সেটা জানতে পরবর্তী পর্বগুলোতে বিরক্ত হবেন জেনেও আসার অনুরোধ করবো। ভালো থাকবেন আপু।
শুভেচ্ছা আপনাকে।


১১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:০৭

সোহানী বলেছেন: টয় ট্রেন মানে কি? নাম শুনিনি আগে।

আপনার সাথে এখন আমারো শিমলা দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে। যাবো হয়তো কখনো।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হিমালয়ের পাদদেশে ব্রিটিশ আমলে বিভিন্ন জনপদের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তুলতে কম গতিবেগ সম্পন্ন এবং স্বল্প ওজনের বিশেষ ন্যারোগেজ ট্রেন চালু করে। ছোট্ট আকৃতির কম যাত্রী পরিবহনের উপযোগী এই ট্রেনকে টয় ট্রেন বলা হয়।দেখতে অনেকটা খেলনা ট্রেনের মতো।এক একটি টয় ট্রেন ৩২০ জনের মত যাত্রী বহন করতে পারে। গতিবেগ গড়ে ঘন্টায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকে। ভারতের দুটি শহরে এই টয় ট্রেন চলার সুযোগ আছে এক দার্জিলিং অপরটি হিমাচল প্রদেশে। তবে দার্জিলিং এর সঙ্গে হিমাচল প্রদেশের তফাৎ আছে। দার্জিলিং এর টয় ট্রেন কোন পাহাড় ভেদ করে যায়নি কিন্তু হিমাচল প্রদেশের টয় ট্রেন একাধিক পাহাড়ের মধ্যে সুরঙ্গ কেটে এগিয়ে চলেছে। এরপর বাকিটা বুঝতে গেলে আপনাকে অবশ্যই টয় ট্রেনের সওয়ারি হতেই হবে।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা আপনাকে।

১২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:২১

জুন বলেছেন: আসলে পদাতিক সেই বয়সে বন্ধু বান্ধব নিয়ে হৈ-হুল্লোড় করতে ভালোই লাগে। আমরা যখন ডিপার্টমেন্ট থেকে ৩০ জন ছাত্র - ছাত্রী আর দুজন টিচার একজন করনিক গিয়েছিলাম কলকাতা, আগ্রা, দিল্লি,জয়পুর, আজমেঢ়। সেই মহা আনন্দময় যাত্রার কথা জীবনে ভুলবো না। কিন্ত টয় ট্রেন এর কামরা ছিল ছোট তাতে এত জন মানুষ। আর চলন্ত ট্রেনে এক রুম থেকে অন্য রুমে যাওয়ার তো সিস্টেম নাই। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "আসলে পদাতিক সেই বয়সে বন্ধু বান্ধব নিয়ে হৈ-হুল্লোড় করতে ভালোই লাগে। আমরা যখন ডিপার্টমেন্ট থেকে ৩০ জন ছাত্র - ছাত্রী আর দুজন টিচার একজন করনিক গিয়েছিলাম কলকাতা, আগ্রা, দিল্লি,জয়পুর, আজমেঢ়। সেই মহা আনন্দময় যাত্রার কথা জীবনে ভুলবো না।"-একেবারে যথার্থই বলেছেন আপু। কলেজ ইউনিভার্সিটিতে হৈ হট্টগোল করে যে মজা পাওয়া যায় তা সারা জীবনের মতো মনে গেঁথে যায়। পরবর্তী জীবনে ওই আনন্দ আর আসে না। তখন জীবনের সারণীতে ফেলে আসা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের আনন্দটা উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের ন্যায় সুখ স্মৃতি হয়ে রয়ে যায়।
আমাদের সময় অবশ্য টয়ট্রেন ে লোক সংখ্যা ছিল একদম সিট অনুযায়ী। আমিতো জানিনা ওভার ক্রাউন্ডিং টয়ট্রেনে হয় কিনা কারণ দিনের দিনে টিকিট কাটার সুযোগই তো নেই একেবারে।
পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই পোস্ট করব।
ভালো থাকবেন আপু সব সময়।

১৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম বুদ্ধিমতী গৃহিণী সব সময় ঠিক কাজটি ই করেন বেশ বুঝতে পারছি ! তা সে প্রথম রাত্রিতে ধাঁধা দিয়ে হোক অথবা ট্যানেলের অন্ধকার হোক! খুব জমিয়েছেন গিন্নী। দেখেলেন তো আপনার প্রকৃতি দর্শনে তাকে ভুলে যাবার ঘটনা ঠিকঠিক খেয়াল করেছেন। হ্যাঁ মাঝে আরেকজনের গিন্নীর জন্য রস ভঙ্গ হয়েছে যদিও ।

চমৎকার বর্ণনায় দারুণ এগুচ্ছে।

শুভেচ্ছা সতত।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "হুম বুদ্ধিমতী গৃহিণী সব সময় ঠিক কাজটি ই করেন বেশ বুঝতে পারছি ! তা সে প্রথম রাত্রিতে ধাঁধা দিয়ে হোক অথবা ট্যানেলের অন্ধকার হোক!"-হেহেহে বুদ্ধিমতী বলে আর কথা! তবে এমন বুদ্ধির তারিফ করে যে বিশেষ ক্ষেত্র উপস্থাপন করলেন তার জন্য পাঠক হিসেবে আপনার প্রখর প্রজ্ঞা শক্তির তারিফ না করে পারছি না।
আর আরেকজন গৃহিণীর জন্য রসভঙ্গ করার প্রসঙ্গে লজ্জা নৈব নৈব চ।হেহেহে

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৯

মিরোরডডল বলেছেন:




এর মাঝে এসেছিলাম, কমেন্ট করে গেছি কিন্তু পদাতিক নোটিফিকেশন পায়নি ফর সিওর
:)

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সম্ভবত ওই পোস্টের সময় আমি জেনারেল ছিলাম। সেইজন্য আমার নোটিফিকেশনে আপনার কমেন্টটি আসেনি। আপনি এভাবে এই পোস্টে এসে না জানালে আমি জানতেই পারতাম না বা বুঝতে পারতাম না আপনার কমেন্টটি। আমি এইমাত্র প্রতিমন্তব্য দিয়েছি।সময় কুলালে একটু ঘুরে যাওয়ার অনুরোধ রইলো। ভালো থাকবেন সবসময়। শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১৪

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা আমি এখন দ্বিতীয় পর্বটা আবার পড়লাম তারপর তৃতীয় পর্ব পড়ে মন্তব্য করছি । নতুন দম্পতির প্রথম ভ্রমণ অবশ্যই আনন্দের
কিন্তু অধ্যাপকের স্ত্রী খুবই বেরসিক। তবে যাই হোক দাদা কেউ ডিস্টার্ব করলে সেখানেই রোমান্সের মজা এবং সেটাই হয়তো স্মৃতি হয়ে থাকে । আমার ট্রয় ট্রেনে কখনো উঠা হয়নি । ট্রেন জার্নিতে প্রাকৃতিক দৃশ্য আসলে খুব ভালো লাগে ।
অনুরোধ থাকলো দাদা পরের পর্বটা তাড়াতাড়ি দিয়ে দিয়েন।
শুভেচ্ছা রইলো।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:

বাড়িতে উপর্যুপরি অতিথি আগমনের কারণে ব্লগে গত দুদিন ঢোকার জন্য একদম সময় করে উঠতে পারেনি।
প্রিয় ছোট বোনের কমেন্টের প্রতিমন্তব্য দেরিতে দেওয়ায় এজন্য দুঃখিত।

আসলে অধ্যাপকের পত্নী হয়তো অতটা বেরসিক নন কিন্তু উনি যেভাবে তাকাচ্ছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল, সামনে যেন উনি লাইভ প্রোগ্রামে সিনেমা দেখছেন। আর এজন্যই নিজেদেরকে সতর্ক হয়ে যাওয়া আর কি। টয় ট্রেন চড়া বা উপভোগ করা খুবই আনন্দের ভীষণ মজাদার। বোনকে এই জন্য হিমাচলে না হলেও দার্জিলিং এসে একবার টয় ট্রেন চড়ার অনুরোধ করবো। ভবিষ্যতে যদি সম্ভব হয় দার্জিলিঙে এসে অন্তত একবার টয় ট্রেনের সওয়ারী হওয়ার।

পরবর্তী পর্ব দু একদিনের মধ্যে পোস্ট করার ইচ্ছা আছে। আমন্ত্রণ রইল প্রিয় ছোট বোনকে।

পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা রইলো।

নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় বোনকে।

১৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২৩

অপ্‌সরা বলেছেন: মোটেও ফাঁকিবাজি নহে ।

সবটাই পড়েছি তারপর আবারও শেরজা ভাইয়ার কমেন্ট পড়ে আবারও পড়লাম হা হা হা

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে ভাগ্যিস ফাঁকিবাজ শব্দটা ব্যবহার করেছিলাম হে হে হে.. নতুবা কেমন করে জানতাম যে আপু কমেন্টে ফাঁকি দেন না। যাইহোক এভাবে চলতে থাকুক...
অনেক শুভেচ্ছা আপু আপনাকে।

১৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আহা শ্বেতা :)

ভ্রমণ পর্বটা সুন্দর হয়েছে। প্রাকৃতিক বিবরণ শুনে ইচ্ছে হয় এমন করে ঘুরি

১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
"প্রাকৃতিক বিবরণ শুনে ইচ্ছে হয় এমন করে ঘুরি"-নিশ্চয়ই আপনিও ঘোরাঘুরি করতে পারেন। তাহলে আমরা আপনার ক্যামেরার জাদুর আরও মনোমুগ্ধকর পরিচয় পেতেই পারি।

পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা আপনাকে।

১৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৪

আরোগ্য বলেছেন: আমি কখনো ট্রেনে উঠিনি। আর লোকাল বাসেও না। দুরে কোথাও গেলে প্রাইভেট কার। আর জানলার ধারের সিটে বসে বাইরের দৃশ্য দেখতে ভালো লাগে। গল্পে প্রকৃতির বর্ণনা ভালো লাগলো। মধ্যিখানে নায়িকা ডিসটার্ব করলো। ভাবো তো যদি নায়ক নায়িকাকে টানেলের ভিতর ভুতের ভয় দেখাতো =p~

পরের পর্ব পড়ি, যাই।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: " আমি কখনো ট্রেনে উঠিনি। আর লোকাল বাসেও না। দুরে কোথাও গেলে প্রাইভেট কার।"- এমা তা কি করে সম্ভব? এতদিন পড়াশোনা করলে সব কি বাসা থেকে ওয়াকিং ডিসটেন্সের মধ্যে ছিল?আর তেমন হলে তোমাকে নিঃসন্দেহে একজন লাকি মানুষ বলতেই হবে।
"গল্পে প্রকৃতির বর্ণনা ভালো লাগলো। মধ্যিখানে নায়িকা ডিসটার্ব করলো। ভাবো তো যদি নায়ক নায়িকাকে টানেলের ভিতর ভুতের ভয় দেখাতো =p~ ।"- সামনের পর্বে তোমার মতের সঙ্গে অনেকটাই মিল পাবে। দেখবে তোমার সাথে কতোটা মিল আছে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।

নিরন্তর শুভেচ্ছা তোমাকে।

১৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবিটা খুব সুন্দর এবং মায়াবী।
বেশ রসিয়ে লিখেছেন। লেখাটা পড়ে কালকা থেকে সিমলা টয় ট্রেনে ভ্রমণের ইচ্ছেটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। ভারতে এ পর্যন্ত তিনবার সস্ত্রীক এবং ছোট ছেলেসহ গিয়েছি। প্রতিবারই ঢাকা-কোলকাতা বিমানে। প্রথমবার কোলকাতা থেকে দিল্লী গিয়েছিলাম রাজধানী এক্সপ্রেস যোগে, পরের দু'বার আকাশপথে। শেষেরবার দিল্লী থেকে কাশ্মীরেও গিয়েছিলাম আকাশপথে।
এবারে ভাবছি, সদ্য চালু হওয়া "মিতালী এক্সপ্রেস" ট্রেনযোগে নিউ জলপাইগুড়ি যাবো। সেখান থেকে দার্জিলিং যাবো। সিকিম গ্যাংটকও যাবার ইচ্ছে রয়েছে। দেখা যাক, আর কিভাবে ট্যুরটাকে ডেভেলাপ করানো যায়! বয়স হচ্ছে, আর সেই সাথে দিন দিন পথভ্রমণও কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে।
টানেলের ভেতর দিয়ে টয় ট্রেন অতিক্রম করার সময় নবদম্পতির রোমান্টিকতাটুকু প্রত্যাশিত ছিল। তবে বাধ সাধলো আরেক দম্পতি, যদিও হয়তো বা তা ইচ্ছেকৃত নয়। সামনে সিনেমা চলতে থাকলে বেচারী-বেচারা তা না দেখে আর কীই বা করতে পারে!

পোস্টে পনেরতম প্লাস! + +

১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আমার ব্লগে এলেন স্যার। আপনার সুন্দর বিশ্লেষণ ধর্মী মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। প্রথমে জানাই ছবির কথা-ছবিটা গুগল থেকে নিয়েছী। কাজেই কৃতিত্ব গুগলের।
কালকা শিমলা টয় ট্রেনের কাহিনী পড়ে আপনার যাওয়ার ইচ্ছা জেগেছে শুনে আনন্দ পেলাম। অনুরোধ করবো সম্ভব হলে একবার ট্য়ট্রেনে কালকা থেকে সিমলায় ঘুরে আসার। আর তা যদি না হয় তাহলে শিলিগুড়ি থেকেও দার্জিলিং ঘুরে আসতে পারেন। দুটি স্থানের সিনিক বিউটি সম্পূর্ণ আলাদা। শিলিগুড়ি দার্জিলিংয়ে হিল-কাট রোডকে আমার ঠিক সেই মানের বলে মনে হয় না। উল্টে দার্জিলিং প্রচন্ড ঘিঞ্জি এলাকা, জনবিস্ফোরণ ঘটেছে। দুটো শহর যেখানে আমি দ্বিতীয়বার যেতে রাজি নই সেই দুটি শহর হল ভারতের দার্জিলিং ও পুরী। দুটো শহরেই অসম্ভব ঘিঞ্জি, জিনিসপত্রের প্রচন্ড দাম এবং প্রতি পদে পদে ঠকার সমূহ সম্ভাবনা।

রাজধানী এক্সপ্রেসের আপনি সওয়ারি হয়েছেন খুব ভালো। তবে আমার মনে হয় রাজধানীতে যাওয়ার চেয়ে বিমানে যাওয়ায় বেশি ভালো। রাজধানী এক্সপ্রেস প্রচন্ড এক্সপেন্সিভ ট্রেন।
মিতালী এক্সপ্রেসে দার্জিলিং ভায়া হয়ে সিকিম গ্যাংটক এ যাওয়ার আপনার আশু স্বপ্ন সার্থক হোক। তবে যদি সময় থাকে তাহলে কালিম্পং বা কার্শিয়াং শহর থেকে ১০/ ১২ কিলোমিটার দূরে হোমস্টে গুলোতে থেকেও আপনি দার্জিলিংয়ের সিনিক বিউটি সমান উপভোগ করতে পারেন। কিন্তু কোনো অবস্থায় দার্জিলিং শহরে থাকার পরামর্শ আপনাকে দেবো না। মিরিক, ইচ্ছাগাও সিলারিগাও সিল্করুট জায়গা গুলো ভীষণ সুন্দর।এখানেও হোমস্টে পাবেন। স্থানীয়রা অতিথি পরায়ণ। আসলে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি হোটেলের চেয়ে হোমস্টে গুলো হাজার গুণ বেশি অতিথিপরায়ণ। যাইহোক আপনি সময় মতো আসুন। আমরা সুন্দর সুন্দর ছবি ও ভ্রমণ অভিজ্ঞতার অপেক্ষায় থাকবো।

"টানেলের ভেতর দিয়ে টয় ট্রেন অতিক্রম করার সময় নবদম্পতির রোমান্টিকতাটুকু প্রত্যাশিত ছিল। তবে বাধ সাধলো আরেক দম্পতি, যদিও হয়তো বা তা ইচ্ছেকৃত নয়। সামনে সিনেমা চলতে থাকলে বেচারী-বেচারা তা না দেখে আর কীই বা করতে পারে!"- :P :P :P

পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।

২০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রাকৃতিক দৃশ্যের সুন্দর বর্ণনা করেছেন। এই টানেলগুলি মনে হয় প্রেমিক প্রেমিকাদের সুবিধার জন্যই বানানো হয়ে থাকে। আসলে দরকার নাই। :)

আপনার গল্পের পর্বগুলি ধীরে ধীরে পড়ছি।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় সাচু ভাই আপনাকে।‌‌
"টানেলগুলি মনে হয় প্রেমিক প্রেমিকাদের সুবিধার জন্যই বানানো হয়ে থাকে। আসলে দরকার নাই। :)'-হেহেহে... তা যা বলেছেন।
পর্বগুলো ধীরে ধীরেই পড়ুন। কোনো সমস্যা নেই।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.