নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারন মানুষ, সাধারণ চিন্তা

রেজা শাহ্‌

আমি তো এই আমি ব্রহ্মপুত্র বিধৌত পুত্র

রেজা শাহ্‌ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্ধকার ও অন্ত:সত্ত্বা

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২৩

ট্রাক ড্রাইভার সাহেব বল্লেন চাকা লিক হয়েছে এখন আর গাড়ি যাবে না।

ঢাকা হতে ময়মনসিংহ।
বৃহস্পতিবার রাত ১১.০০ টার পর। কোন বাস না পেয়ে ড্রাইভারের হাতে পায়ে ধরে রাস্তায় তেলবাহী এক ট্রাকে উঠে পরলাম।
বদখচ চেহারা, ব্যবহারও ভীষন খারাপ। নেশার ঘোরে হয়তো রাজী হইছে।।
ভিতরে ভয়াবহ গন্ধ।
এখন বেকায়দায় উঠে পরে নেমেও যেতে পারছিনা।

অফিস থেকে বের হতে হতে রাত হয়ে গিয়েছিল। পরেরদিন বন্ধুর বিয়ে।
বিয়ের সেরওয়ানিটাও আমার কাছে।
বিয়ের কত কাজ।
সকাল থেকে তার বাড়িতে থেকে কিছু কাজ করে দিবো বলে প্রতিজ্ঞা করেছি।
স্কুলের বন্ধুর বিয়ে বলে নিজেরও তো কিছু দায়িত্ব আছে।
এই ভেবে রাতেই যেকোন উপায়েই হোক ময়মনসিংহ যাবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

গাজীপুর পার হয়ে ভাওয়াল জংগলের মাঝামাঝি এসে ট্রাক থেমে গেলো।
মনের ভিতর একটা ভয় কাজ করলো।
একে তো ঘণ জংগল, অনেক রাত তার উপর এই বদমেজাজী বদখত ড্রাইভার।

এত অন্ধকার আগে কখনো দেখিনি। নিজের হাত পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। হালকা বাতাসে শু শু শব্দ হচ্ছে।

ড্রাইভার সাহেব বল্লেন,
রাতটা এখানেই কাটাতে হবে। ভোরের আগে কিছু করা যাবে না।
ট্রাকের নিচে রাস্তায় হুইত্তা পরেন।।
ভোরে কোন একটা গাড়ি ধরে চলে যাইয়েন।
আমি আরোও ভয় পেয়ে গেলাম।
এই লুক কি কয়!

গোগোল সার্চ দিয়ে দেখলাম কাছেই একটা মসজিদ আছে। ভাওয়াল মসজিদ।
এখান থেকে পেছনের এই মেইন রোড ধরে এক দেড় কিলো হাটার পথ। ঐখানে গিয়েও রাত কাটানো যায়।
অথবা গাড়িতেও বসে থাকা যায় ।
গাড়িতে থাকার ইচ্ছে হলো না।
কারন আমি থাকলে উনি সিটের উপর শুইতে পারবেন না।। তার উপর ভিতরে মদের যে গন্ধ তাতে নারিভূরি উল্টে আসে।
তাছাড়া এখানে ডাকাতের উৎপাত আছে শুনেছি।
খবরে কাগজে বেশ কয়েকবার পড়েছি।
সাথে লেপটপ,ফোন ছাড়াও নগদ প্রায় ১৫ হাজার টাকা।।
আমি বেশ ভয় পাচ্ছিলাম।।
বাড়িতে ফোন করে তাদের টেনশন বাড়ানো উচিত হবে না।

এমন একটা কঠিন সময় আসবে আমি কখনো ভাবতে পারিনি।
নিয়তি সবসময় আপন গতিতে চলতে দেয় না।

অনেক ভেবে চিন্তে দেখলাম কাছেই মসজিদে যাওয়া সেইফ হবে । মোয়াজ্জিন পাওয়া না গেলেও বারান্দায় তো থাকা যাবে।
কি করতে হবে বুঝতে না পেরে মসজিদের দিকে রওনা দিলাম।

ড্রাইবার বল্লেন,
যাইতাছেন যান তয় মুখে একটা বিড়ি ধরিয়ে নিয়ে যান।
-কিন্তু আমি তো বিড়ি/সিগারেট খাই না।
-না খেলেও আমার কাছে আছে একটা ধরিয়ে নিয়ে যান।
আমাবস্যা রাত, গুটগুটে অন্ধকার সাথে একটু আগুন থাকা ভালো।
অনিচ্ছা সত্যেও উনি একটা মুখে ধরিয়ে দিলেন আরেকটা হাতে দিয়ে দিলেন।

ড্রাইভার সাহেবের এই বিড়ি ধরিয়ে দেয়ার বিষয়টা অদ্ভুত লাগলো। মনে হলো বিড়ি ধরিয়ে এখানে উনি আমাকে সেমপ্যাথি দেখাচ্ছেন।

হেটে হেটে অনেকটা পথ চলে আসছি। এখন কিছুটা গা ছমছম করছে। শুকনা পাতার শব্দও মনে হচ্ছে একেকটা বিস্ফোরন। গাছগুলো মনে হচ্ছে সাথে সাথে হাটছে। নিজের বুকের শব্দ নিজের কানে লাগছে।
আগুন টিকিয়ে রাখতে মাঝে মধ্যে বিড়িতে টান দিয়ে সেটি জীবিত রাখছি। রাতের পেচা আর বিভিন্ন অদ্ভুত শব্দে পরিবেশ ভারী ভয়ানক হয়ে উঠেছে। মনে হচ্ছে আমাকে ভয় দেখানির জন্য হলেও লম্বা গাছগুলো নিজেদের মাথা নিজেরা ঠুকছে।
আসলে কথায় আছে না,
বনের বাঘে খায় না, মনের বাঘে খায়।
আমার হয়েছে তাই।

বুক ধরফরানি নিয়ে পৌছালাম। এতরাতে কাওকে পাওয়া যাবেনা স্বাভাবিক । তাছাড়া এখানে নিয়মিত নামাজ হয়না বলে মনে হলো।
ভাওয়াল জংগলে পিকনিক করতে আসা মানুষজনের জন্য বানানো হতে পারে।
মসজিদের বারান্দায় গুটিসুটি মেরে বসে আছি। ১৫/২০ মিনিট এভাবেই কাটলো।
হঠাৎ একটু দূরে মিটমিট আলো চোখে পরলো।
আমি মনে মনে সাহস পেলাম । যাক কেউ তো অন্তত আছে।
বুকে সাহস নিয়ে আলোর দিকে এগিয়ে গেলাম।
ওমা একি!
সাদা কাপড় পরা এক মহিলা হারিকেন নিয়ে দাড়ানো। মুখ ঢাকা। আমাদের মায়ের বয়সি হবে। আমার দিকে তাকিয়ে। এতই অন্ধকার যে এত ধবধবে সাদা কাপড়ও কাছে না আসলে বোঝা যাচ্ছিলো না।

আমি সালাম দিলাম।
তিনি কোন জবাব নিলেন না। হয়তো আস্তে করে নিয়েছেন আমি শুনতে পাইনি।
আমি বল্লাম আমার বিপদের কথা।
তিনি বল্লেন,
-এখানে এত রাতে আপনার আসা উচিত হয় নাই।
জায়গাটা ভালো না।
-জ্বী আমি জানি এখান ডাকাতের ভয় আছে।
-ডাকাত নয়। এখান অন্য সমস্যা আছে।
-অন্য সমস্যা মানে!!
আমি ততটা গুরুত্ব দিলাম না।
আমার প্রচুর ক্ষিধে পেয়েছিল। অন্যকোন কিছু তখন মাথায় কাজ করছিলো না।
-আপনি এত রাতে এখানে দাড়িয়ে আছেন কেনো??
-আমার মেয়েকে খুজছি। সে মাঝে মাঝে আমার সাথে রাগ করে বাইরে চলে আসে।
-রাত দুটোয় আপনার মেয়েকে খুজতে বের হয়েছেন!
আমি মেলাতে পারছিলাম না।
এ কেমন মেয়ে, আর এ কেমন মা।

যাই হোক, পৃথিবী বৈচিত্রময়। মানুষের ভিতর বৈচিত্র থাকাটা স্বাভাবিক।

তাছাড়া এরা এখানে লোকাল, এরকম হয়তো প্রায়ই হয়। জংগলে যাদের বসবাস মা-মেয়ের অভিমান হলে তো জংগলেই ঘোরাফেরা করবে। নাকি!
ওরা অভিমান করে তো আর হাতিরঝিল যাবে না।

আমি মসজিদের দিকে ফিরে যাচ্ছিলাম।
তিনি আমাকে বল্লেন আমার আপত্তি না থাকলে আমি যেনো তার বাড়িতে যাই।
মায়ের বয়সী মহিলা , এত বিনয় করে বলেছে।

কি মনে করে রাজী হয়ে গেলাম। ব্রেন কোন কাজ করছিলো না।
আমি কারো দ্বারা অপারেটেড হয়ে গিয়েছিলাম হয়তো।
কেউ আমাকে চালাচ্ছে। কিসের মায়ায় কি কারনে ভদ্র মহিলার সাথে যেতে রাজী হলাম জানি না।

মসজিদ থেকে ২০০/২৫০ মিটার জংগলের ভিতরের দিকে হাটা পথ।
আমি মহিলার পেছন পেছন মৃদু আলোয় হেটে চলেছি।
আমার কাছে মনে হলো আমার পেছন পেছন কেউ একজন হাটছে। পিছনে ফিরে দেখি কেউ নাই।
কিছুক্ষন পর পর ৩য় কোন ব্যক্তির হাটার শব্দ আসছে।

বিষয়টি বুঝে উঠার আগেই একটি বাড়ির সামনে এসে দাড়ালাম।
অন্ধকারে বুঝতে পারলাম ছোট একটা বাড়ি।
ছন আর ধনচে দিয়ে বানানো। তবে সাধারন ছনের বাড়ি থেকে একটু উচু মনে হলো।
ঘুটঘুটে অন্ধকার।
আর কোন আলো নেই কেনো বুঝলাম না। !
আমাকে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে বসালেন।
হারিক্যানের অল্প আলোতে সারা ঘর একবার চোখ বুলিয়ে নিলাম ।
দুটো চেয়ার, একটি ছোট টেবিল, একটি চকি।
অনুমানে মোট দুটো ঘর হবে।
- আর কোন বাতি নেই?
- না
আচমকা পাশের ঘর থেকে থালা বাসনের শব্দ হলো।
-কে শব্দ করে?
-আমার মেয়ে।
আপনার মেয়ে না রাগ করে চলে বাইরে চলে গিয়েছে? কখন আসলো! কিভাবে আসলো! এত অন্ধকার।
- সব কিছু চেনা জানা তো তাই সমস্যা হয় না। রাগ পরে গিয়েছে চলে আসছে।

মনে মনে ভাবলাম হবে হয়তো। আমিওতো কারেন্ট চলে গেলে অন্ধকারে হেটে হেটে সব ঘরে, টয়লেটে যেতে পারি।

ভদ্র মহিলা হারিকেন নিয়ে চলে গেলেন।
আবার গুটগুটে অন্ধকার।
তবে অনুভব করলাম কেউ একজন ঘরে ঢুকেছে।
অল্প একটু চার্জ আছে বলে মোবাইলের আলো ব্যবহার করছিলাম না।
মনটা খচখচ করতে লাগলো । সামনে কে আছে দেখার জন্য।
পকেটে হাত দিয়ে মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে সাথে সাথে বের করে সামনে ধরলাম।
না কিছু নেই।
সব মনের ভয়।
একটু পর ভদ্র মহিলা হারিকেন আর এক গ্লাস পানি হাতে ঘরে ঢুকলেন। তার পেছন পেছন একটি মেয়ে।
আমার মেয়ে চাদনী।
ও আচ্ছা।
কিশোরি বয়সের হবে। মুখের একদিক চুল দিয়ে ঢাকা।
বাম হাত দিয়ে একটি খাবার সমেত প্লেট আমার দিকে বাড়িয়ে দিলো।
খেয়াল করে দেখলাম মেয়েটির ডান হাত নেই। এবং সে গর্ভবতী। ৬/৭ মাস হবে।
এত ছোট একটি মেয়ে গর্ভবতী!

আমি চাদনী মেয়েটিকে দেখে যতটা না অবাক হয়েছে তার থেকে বেশি অবাক হয়েছি এত রাতে এইরকম গরম খাবার পরিবেশন দেখে।
ঘি দেয়া গরম ভাত, গরুর মাংস, বেগুন ভাজি, লেবু ।!
যেনো আগে থেকেই জানতো আমার পছন্দের খাবার এগুলো।
এরকম জংগলের ভিতর দরীদ্র পরিবারের এমন আয়োজন সত্যই অভাবনীয়।

-খালাম্মা এত রাতে গরম খাবার কোথা থেকে কিভাবে আসলো?
- চুলায় রান্না ছিলো।
উনি কথা খুবই কম বলেন মনে হলো।
যতবড় প্রশ্ন তার থেকে অনেক ছোট উত্তর।

যাই হোক ক্ষিধা যখন লেগেছে কোনদিক আর না ভেবে খেয়ে নিলাম।

ভোর হতে আরো ৪ ঘন্টা।

খাওয়া শেষ করে চকির উপর একটু কাত হয়েছি। ঐ অবস্থায় কখন ঘুমিয়েছি মনে নেই।

ভোরের আলো ফুটে উঠছে।
ঘুম থেকে উঠে দেখি খুবই পরিচ্ছন্ন একটি বাড়ি। আসবাব কম ও বেশ সাজানো গোছানো।
আশে পাশে কাওকে দেখলাম না।
কিছুক্ষন এদিক সেদিক খুজেও চাদনী ও তার মাকে পেলাম না।
হয়তো ওরা কোন কাজে বের হয়ে গিয়েছে। আমার ঘুমের সমস্যা হবে দেখে ডাকেনি।
আরেকদিন এসে এই উপকারের জন্য ধন্যবাদ দিয়ে যাবো ভেবে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলাম।
ঝটকা একটা দমকা বাতাস আমার গায়ের উপর দিয়ে বয়ে গেলো।
আবার হেটে হেটে মসজিদের কাছে চলে আসলাম।
যত দ্রুত পারি যেকোন একটা গাড়ি ধরে ময়মনসিংহ চলে যাবো।
ফজরের নামাজ পরার জন্য মসজিদের পাশে ২/৩ জন মানুষ চোখে পরলো।
তারমানে আশেপাশে কিছু পরিবার আছে।

একজন নামাজী বয়স্ক দাদা আমার ঐদিক থেকে আসা দেখে আমার কাছে এসে কৌতুহল বশত জিজ্ঞেস করলেন,
নাতি এত ভোরে তুমি এখানে কেনো?
গতরাতের আমার ট্রাকের চাকা লিক হয়ে যাওয়ার ঘটনা বল্লাম।
বিপদে পরে রাতটা চাদনীদের বাড়িতে কাটিয়েছি জানালাম। ওর মা আমাকে রাতে এখান থেকে নিয়ে গিয়েছে তাও বল্লাম।
বৃদ্ধ অনেকক্ষন আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল চোখে তাকিয়ে রইলেন।
কি বলবেন বুঝে উঠে পারছেন না।

আমি জিজ্ঞেস করলাম,
কি হয়েছে দাদু ? কোন সমস্যা!

উনি যা উত্তর দিলেন তা শোনার জন্য আমি কখনোই প্রস্তুত ছিলাম না।

বল্লেন,
"গত শুক্রবার চাদনী এই রাস্তায় ট্রাকের নিচে চাপা পরে মারা যায় ।একটি মাত্র মেয়ের মৃত্যু শোকে তার মাও ঐ বাড়িতে ফাস নিয়ে আত্মহত্তা করে।"
মা মেয়ের ছোট সংসার এভাবে শেষ হয়ে গেলো। মরার কারন এখনো জানা যায় নি।

পুলিশের পরিক্ষা নিরিক্ষা বাকী আছে বলে কোন জিনিস সরায় নাই। ঐ দিকে যাওয়া নিষেধ ।

আমার মাথাটা চক্কর দিলো। আমি স্তব্ধ হয়ে যাই । গলা দিয়ে কোন আওয়াজ বের হয়নি।। নিজকে সামলে নিয়ে মসজিদের বারান্দায় বসে পরি।

-আচ্ছা দাদু চাদনীর কি বিয়ে হয়েছিলো??
-না, ছোট্ট বাচ্চা মেয়ে , তার আবার বিয়ে হবে কি?

আমি কি বলবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না।
বাকরুদ্ধ হয়ে বসে আছি। অন্ত:সত্বা চাদনীর বাম হাতে বারিয়ে দেয়া খাবের প্লেটটি চোখের সামনে ভাসছে ।

বয়স্ক বৃদ্ধা আমার পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে ফজরের নামাজ আদায় করতে বল্লেন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪৬

মা.হাসান বলেছেন: খানিকটা ভয় পেয়েছি। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কামিনী নামের একটা গল্প আছে।মাঝে মনে হচ্ছিল আপনার গল্পের সাথে কামিনীর কিছুটা মিল আছে, কিন্তু পরে দেখলাম আসলে তা না। এই থিমের মধ্যে অনেক গল্প আগে পড়েছি, আপনার বর্ণনা এবং ফিনিশিং খুব ভাল ছিল।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৩১

রেজা শাহ্‌ বলেছেন: ধন্যবাদ। কামিনী নামের কোন গল্প আমি পড়িনি।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পড়লাম।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: মনে হচ্ছে এরকম একটা মুভি দেখেছি।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৩৩

রেজা শাহ্‌ বলেছেন: কি করে সম্ভব রাজীব ভাই। একটি মগজ যদি দুইজনের হয় তবেই এমন মুভি হতে পারে।

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৪৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: Good

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.