![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাঙালি জাতি সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। ইতিহাসবিদরা বলে গেছেন এই জাতি ভুলো মনা জাতি। তারা সহজেই তাদের ইতিহাসের কথা তাদের গৌরবের কথা ভুল যায়। শুধু অর্জনের কথাটাকে স্মরন রাখে। যেমন ধরুন, মুক্তিযুদ্ধের কথা। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস নিয়ে কিন্তু তাদের কোন মাথাব্যথা নেই। আর জাতি হিসেবে আমরা খুবই অলস। নিজেরাও ইতিহাসটাকে জানার চেষ্টা করি না। কিন্তু তারপরও যারাই স্বপ্রণোদিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে গেছে, তারাই দেখেছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানা মিশরের ফারাও রাজাদের দেখা পাওয়ার মত অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমান প্রজন্মের মাঝ থেকে মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে আগ্রহও কমে গেছে।
আমরা আরো একটু পিছনে ফিরে তাকাতে চাই। ভাষা আন্দোলনের দিকে ফিরে যেতে চাই। পৃথিবীতে বাংলাদেশীরাই একমাত্র জাতি যারা কিনা ভাষার জন্য আন্দোলন করেছে এবং প্রাণ দিয়েছে। সেই বাংলাদেশীরাই এখন ভাষা নিয়ে হিনোমন্যতায় ভুগছে। আপন ভাষায় কথা বললে এখন ক্ষ্যাত হয়ে যায়। এখন বাংলা মাধ্যমে পড়ালেখা করে গরীবের বাচ্চা। আর ইংরেজি মাধ্যম হচ্ছে ভদ্র লোকদের পড়াশুনার মাধ্যম। কিন্তু খেয়াল করে দেখুন, বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে মেধাবী ব্যক্তিত্ব এবং বুদ্ধিজীবি আব্দুর রাজ্জাক স্যার কিন্তু সারাজীবন নিজ ভাষাতেই কথা বলেছেন। তিনি পুরান ঢাকার মানুষ ছিলেন। ঢাকার কেরানীগঞ্জে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সারাটি জীবন এই ঢাকাইয়া ভাষায় কথা বলে গেছেন। কিন্তু আজ?
আজ নিজের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা তো দূরের কথা বাংলা ভাষাতে কথা বলতেই শিক্ষিত জনতা লজ্জা বোধ করে। আবার এক শ্রেনীর তরুন সমাজ তো হিন্দি ছাড়া কথাই বলে না। এটাই আমাদের বাঙালীর কালচার।
সেই কালচারের অংশ হিসেবে বাংলাদেশেও ঘটা করে পালিত হয় ভালোবাসা দিবস। কিন্তু ঐ ১৪ তারিখে সুন্দরবন দিবস সেই কথা বাঙালী ভুলে গেছে বলতেও পারছি না। কারণ বাঙালী এই দিবসের কথা জানেই না। কিন্তু তারা রোমি জুলিয়েটের প্রেমতিহাস জানলেও সুন্দরবেন ইতিহাস জানে না। লাইলী মজনুর প্রেম ইতিহাস জানলেও বাড়ির পাশের সুন্দরবনের কথা জানে না। ইতিহাস জানে না। এও জানে না, এই সুন্দরবনের মাধ্যমেই ছোট্ট এই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে পরিচিতি লাভ করেছে। কিন্তু সেই সুন্দরবনের প্রতি আমাদের বাঙালী সমাজের কোনই কৃতজ্ঞতা বোধ নেই। তারা আছে ভালোবাসা দিবস নিয়ে। তারা আছে কাছে আসার গল্প নিয়ে। তারা আছে ভালোবাসা দিবসে বলিউড থেকে কোন মুভিটি রিলিজ হল সেই সংবাদ নিয়ে। এইতো বাঙাল জাতি। বড় অদ্ভুদ জাতি।
২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬
পলাশমিঞা বলেছেন: এইতো বাঙাল জাতি। বড় অদ্ভুদ জাতি।
জি, আমরা আসলেই এমন কিছু। অন্য কিছু হলে গরিবরা উপোস মরত না।
চাচা আপন জান বাঁচা"
৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার আসল উদ্দেশ্যই হল মুক্তিযুদ্ধ কে প্রশ্নবিদ্ধ করা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এমন কোন কমপ্লেক্স না যে এটা বুঝতে আইনেস্টাইন হতে হবে।
অবশ্য রাজাকারি মানসিকতা থেকে ইতিহাস খুজলে ....৩০ বছর ধরে শুধু খোজাই হবে কখন ও পাওয়া যাবে না। কেননা তারা চান তাদের পেয়ারা পাকিস্হান কে ভাংগার ইতিহাস।
৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি নিজের জাতিকে হেয় করে এই পোস্টে যেসব কথা লিখেছেন, আমি তার সাথে একমত নই। আর আপনি যদি বাঙ্গালী না হয়ে থাকেন, তাহলে বলবো অহেতুক জাতি বিদ্বেষ ছড়াবেন না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
"যারাই স্বপ্রণোদিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে গেছে, তারাই দেখেছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানা মিশরের ফারাও রাজাদের দেখা পাওয়ার মত অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমান প্রজন্মের মাঝ থেকে মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে আগ্রহও কমে গেছে। "
-মুক্তিযু্দ্ধের ইতিহাস ছোট ও সোজা, ইহা জানা বা বুঝা যদি কস্টকর হয়, বুঝতে হবে যে, মগজ ছোট ও পর্ণগ্রাফী উহা দখল করে রেখেছে।