![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কুরআন এ কি আছে?
আমাদের অধিকাংশরই ধারণা, কুরআনে খুব কঠিন কঠিন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যা বোঝার যোগ্যতা আমার নেই। তা শুধু আলেম এবং আরবী ভাষায় পারদর্শী ব্যক্তিরাই বুঝতে পারবে। ঠিক এই ভাবনা থেকে আমরা যারা স্কুল-কলেজ পড়ুয়া তারা কুরআন থেকে দূরে থাকি। কিন্তু কুরআন কি আদৌও সেরকম রাশভারী কথা দিয়ে ভরা নাকি সাধারণ বিষয়ও এর মাঝে বিদ্যমান। সে কথা কি আমরা জানি?
হয়তো জানি কিংবা যতোটা জানা প্রয়োজন ছিল আমরা ততোটুকু জানি না। আমাদের বাংলাদেশিদের মধ্যে যে হালহাকিকত তাতে ধরে নিতে হবে আমরা বেশিরভাগ মানুষই জানি না, কুরআনে তাওহীদ এবং আল্লাহর একত্ববাদ ছাড়া আমাদের জন্য আর কি কি বলা আছে! আমাদের জীবনের জন্য কি বলা আছে? আমাদের দৈনন্দিন পথ চলার জন্য কি বলা আছে? আদৌও কি কুরআন এসব নিয়ে কিছু বলেছে।
আল্লাহপাক তাঁর পবিত্র কালামে বলেছেন, ‘আমি তোমাদের কাছে এমন একটি কিতাব নাজিল করেছি, যাতে তোমাদের কথা আছে, অথচ তোমরা তা চিন্তা ভাবনা কর না।’ (সূরা আম্বিয়াঃ ১০)
আল্লাহপাক এই আয়াতের মাধ্যমে মানুষকে বলেছেন, আমি তোমাদের জন্য একটি বই পাঠিয়েছি। সেই বইটিতে তোমাদের কথাই বলেছি। অথচ তোমরা তা পড়তেছো না। বুঝার চেষ্টাও করছো না। কিন্তু আমাদের চেষ্টা করা উচিত। আসুন দেখি আল্লাহপাক আমাদের জন্য কি কি পাঠিয়েছেন!
আল্লাহপাক মানুষকে সভ্য হবার শিক্ষা দিয়েছেন। সভ্যতা বিকশিত হয় ভাষার মাধ্যমে। একে অপরের মধ্যে কথা বলার মাধ্যমে। কিন্তু আমরা কথা বলব কিভাবে? আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে এই কথা বলারও পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছেন। তাহলে লক্ষ্য করুন-
* মানুষের সাথে কথা বলার সময় ভদ্র, মার্জিতভাবে উত্তম কথা বলবে। | ২:৮৩ |
* সত্য কথা বলবে। ভনিতা না করে, ধোঁকা না দিয়ে, স্পষ্ট করে বলবে। | ৩৩:৭০|
* চিৎকার করবে না। কর্কশভাবে কথা বলবে না, নম্রভাবে নিঁচু সুরে কথা বলবে। | ৩১:১৯ |
* সত্যি মনোভাবটা মুখে প্রকাশ করবে। মনে এক, মুখে উল্টো কথা বলবে না। | ৩:১৬৭ |
* ফালতু কথা বলবে না এবং অন্যের ফালতু কথা শুনবে না। | ২৩:৩ |
* কাউকে নিয়ে উপহাস টিটকারী ব্যঙ্গ করবে না। | ৪৯:১১ |
* অন্যকে নিন্দা করবে না কারো মানহানি করবে না। | ৪৯:১১ |
* কাউকে বাজে নামে ডাকবে না। | ৪৯:১১ |
* কারও অনুপস্থিতে তার নামে বাজে কথা বলবে না। | ৪৯:১২ |
* মানুষকে বিচক্ষণভাবে, মার্জিত কথা বলে আল্লাহর পথে ডাকবে। তাদের সাথে অত্যন্ত ভদ্র, শালীনভাবে যুক্তি-তর্ক করবে। | ১৬:১২৫ |
* মিথ্যা কথা বলবে না। | ২২:৩০ |
* যদি কোন ব্যাপারে তোমার সঠিক জ্ঞান না থাকে, তাহলে সে ব্যাপারে মুখ বন্ধ রাখো। তোমার মনে হতে পারে, এসব সামান্য ব্যাপারে সঠিকভাবে না জেনে কথা বললে অত সমস্যা নেই, কিন্তু তুমি জানো না, সেটা হয়তো আল্লাহর কাছে কোন ভয়ংকর ব্যাপার। | ২৪: ১৪-১৬ |
এরপর আসি ভদ্রতা নিয়ে। লোকে বলে ব্যবহারই বংশের পরিচয়। ভদ্রতার সাথে সেই ব্যবহারের সম্পর্কটা রক্তের সম্পর্কের ন্যায় জোরালো। তাহলে আসুন দেখি কুরআন আমাদেরকে ভদ্রতার শিক্ষা কিভাবে প্রদান করছে। লক্ষ্য করুন-
* মার্জিত পোশাক পরবে। | ৭:২৬ |
* প্রয়োজনের বেশি খাবার খাবে না, পান করবে না। | ৭:৩১ |
* নিজেই নিজের গুন জাহির করে অন্যের কাছে ভালো সাজার চেষ্টা করবে না। | ৫৩:৩২ |
* কারও সাথে ফুটানি করবে না, নিজেকে নিয়ে গর্ব করবে না। | ৩১:১৮ |
* দেমাগ দেখিয়ে চলাফেরা করবে না। | ১৭:৩৭ |
* তাড়াহুড়ো করবে না, খুব ধীরতাও নয়; মধ্যম স্বাভাবিক গতিতে চলাফেরা করবে। | ৩১:১৯ |
* বিনয়ের সাথে চলাফেরা করবে। | ২৫:৬৩ |
* বেশি অনুমান করবে না, কিছু অনুমান আছে যেটা করা গুনাহ। আন্দাজে ঢিল মারবে না। একে অন্যরে উপর গুপ্তচরগিরি করবে না। |৪৯:১২ |
* কারও অনুমতি ছাড়া তার ঘরে কখনো ঢুকে পড়বে না। | ২৪: ২৭ |
* কারও সাথে দেখা হলে তাকে সুন্দরভাবে সম্ভাষন জানাবে, সালাম দিবে। কেউ তোমাকে সম্ভাষন জানালে তাকে তার চেয়েও ভালোভাবে উত্তর দিবে। নতুবা অন্তত সে যেভাবে জানিয়েছে সেভাবে জানাবে। | ৪:৮৬ |
* অজ্ঞ, বর্বর, বিপথগামী লোকজন অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা, খামোখা যুক্তি তর্ক করতে গেলে তাদের সালাম/শান্তি বলে সরে যাবে। | ২৫:৬৩ |
* আল্লাহ যাদের বেশি দিয়েছেন তাদের হিংসা করবে না। | ৪:৫৪ |
নৈতিকতা মানুষের সবচেয়ে বড়গুন। নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষকেই বাস্তবিক অর্থে মানুষ বলা হয়ে থাকে। আসুন দেখি কুরআন কিভাবে নৈতিক শিক্ষা প্রদান করছে। তাহলে লক্ষ্য করুন-
* সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঘোলা করবে না এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করবে না। | ২:৪২ |
* নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে আগে ঠিক করো। | ৬৬:৬ |
* কারও কোন উপকার করলে তা তাকে মনে করিয়ে কষ্ট দিবে না। | ২:২৬২ |
* কারও কোন উপকার করলে তার বিনিময়ে তার কাছ থেকে কোন উপকার, এমনকি ধন্যবাদও আশা করবে না। | ৭৬:৯ |
* কাউকে কথা দিল অবশ্যই কথা রাখবে। তোমার প্রত্যেকটা অঙ্গিকারের ব্যাপারে তোমাকে জিজ্ঞেস করা হবে। | ১৭: ৩৪ |
* যারা ভালো কাজ করছে তাদের ভালো কাজে সাহায্য করবে, উৎসাহ দিবে, তাদের সাথে ভালো কাজে যোগ দিবে। খারাপ কাজে কাউকে কোন ধরনের সাহায্য করবে না। | ৫:২ |
* যারা ফাজলামি, ছ্যাবলামি করে তাদের কাছ থেকে নিজের সম্মান বজায় থাকতে সরে যাবে। | ২৫:৭২ |
* নোংরামি অশ্লীল কাজের ধারে কাছেও যাবে না, সেটা গোপনে হোক আর প্রকাশ্যে। | ৬:১৫১ |
* বিপরীত লিঙ্গের প্রতি দৃষ্টি নত রাখো। কাম দৃষ্টি নিয়ে তাকাবে না। এক পলকের জন্যও না। | ২৪:৩০, ২৪:৩১ |
* কারও সম্পর্কে খারাপ কিছু শুনলে তার সম্পর্কে ভালো ধারনা রাখো, যতক্ষন পর্যন্ত না তুমি তার সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাচ্ছো। অন্যদের নির্দোষ হিসেবে নিবে, যতক্ষন না তার দোষ প্রমানিত হয়। | ২৪:১২ |
* তোমার যা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান নেই, তার অন্ধ অনুসরন করবে না; কারণ আল্লাহর আদালতে তোমার দৃষ্টি, শ্রবণ এবং হৃদয়- এই সবকিছুর বিচার করা হবে। | ১৭: ৩৬ |
* ঘুষ খাবে না, ঘুষ দিবে না। | ২: ১৮৮ |
* অন্যের টাকা পয়সা, সম্পত্তি জেনে শুনে দখল করবে না। | ২: ১৮৮ |
* জাতি-বর্ণ-ভাষা-যোগ্যতা ইত্যাদির বিভিন্নতা থাকা স্বত্বেও মানুষকে সম্মান করবে। | ১৭: ৭০ |
এবার আসি পারিবারিক এবং আত্নিয়তার সম্পর্ক নিয়ে। সামাজিক জীব হিসাবে আমরা পরিবার ছাড়া বাস করতে পারি না। আর পরিবার কেন্দ্রীক জীবন যাপনের কারণে আমাদের আত্নিয়তার সম্পর্কও গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কগুলোকে কেন্দ্র করেও আল্লাহপাক কুরআনে কিছু কথা বলেছেন। তাহলে লক্ষ্য করুন-
* কথা বলার সময় কারও পক্ষপাতিত্ব করবে না, সেটা যদি নিকট আত্নিয় এর বিরুদ্ধেও হয়। | ৬: ১৫২ |
* বাবা-মার সব ব্যাপারে সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা নিবে। | ২: ৮৩ |
* বাবা- মার সাথে সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক রাখবে, ভালো ব্যবহার করবে। | ৪: ৩৬ |
* কাছের আত্নিয়দের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখবে। | ২:৮৩ , ৪: ৩৬ |
* এতিম এবং অভাবী মানুষদের সাহায্য করবে। | ২: ৮৩ ' ৪: ৩৬ |
* বন্ধু ও প্রতিবেশীদের সাথে সুন্দর সম্পর্ক রাখবে। | ৪: ৩৬ |
* বিপদে পড়া পথিক-যাত্রীদের সাহায্য করবে। | ৪: ৩৬ |
* যারা তোমার অধীন বা দাস-দাসী তাদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করবে।
কুরআনকে পাঠানোর আসল কারণ আল্লাহপাক স্বয়ং নিজেই বলছেন এভাবে, ‘আমি তোমাকে (মুহাম্মাদ) কিতাবটি পাঠিয়েছি সবকিছু পরিষ্কার করে বর্ণনা করে; যারা আল্লাহর প্রতি অনুগত তাদের জন্য পথ প্রদর্শক, অনুগ্রহ ও সুসংবাদ হিসেবে।’ | ১৬: ৮৯ |
তাই আসুন আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষনে আল্লাহর আদেশ মেনে চলার চেষ্টা করি। আর আল্লাহর আদেশগুলো স্মরণ রাখতে কুরআন বুঝে পড়ার চেষ্টা করি।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭
গিরি গোহা বলেছেন: আপনার কথার সঙ্গে আমিও একমত। এক হরফ পাঠ করলে ১০ নেকি। এই চিন্তায় বসে থাকলে সব গুড়েবালি।
২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭
সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: সুন্দর পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। যদিও কোরআন নাযিল হয়েছে আরবী ভাষায় এবং আপনি সুন্দর কিছু উপদেশমূলক অনুবাদ তুলে ধরেছেন। তবে এক্ষেত্রে কিছু কিছু শব্দের প্রতিশব্দও হয়ত ব্যবহার করা যেত, যেমন- ফালতু, ছ্যাবলামি, ফুটানি এই শব্দগুলো পোস্টের মাধুর্যতা নষ্ট করেছে কিছুটা।
ভালো থাকবেন সবসময়।
৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
কোরান আসার অনেক আগের থেকে গ্রীক, রোমানরা এগুলো থেকেও শক্তিশালী নিয়ম কানুন, রীতি নীতি অনুসরন করে আসছে, এখনও পশ্চিমে যারা কুরান দেখেননি তারা এগুলোর চর্চায় খুবই অগ্রসর, মুসলমানদের থেকে অনেক সামনে; তারা এগুলো কোথায় পেলেন?
৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪
ওমেরা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্টের জন্য । কোরআনকে আল্লাহ দিয়েছেন মানুষের জীবন বিধান হিসাবে , দুনিয়ার জীবনে মানুষ কি ভাবে সুখী সুন্দর হবে এবং পরকালে ও যাতে কল্যাণ লাভ করতে পারে কাজেই আমাদের বেশি বেশি কোরআনকে জানতে হবে বুঝতে হবে ও সেই অনুযায়ী আমাদের জীবন পরিচালনা করতে হবে ।
৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০২
টারজান০০০০৭ বলেছেন: @ চাঁদগাজী। তুমি মহারাজ , সাধু হলে আজ , আমি আজ চোর বটে ! পশ্চিমাদের ইতিহাস কি ভুইলা গেলেন আঙ্কেল ? অধ্যাপক আবু সাঈদের কোনো বচনে পড়েছিলাম যখন ডাকাতের সংখ্যা সমাজে বেড়ে যায় , তখন ডাকাতরাই সাধু হওয়ার চেষ্টা করে , নইলে সবাই ডাকাত হয়ে গেলে নিজের পাছাও যে বাঁচেনা। তাদের ইতিহাসের পুরোটাই তো ডাকাতি , চৌর্যবৃত্তি, দাস ব্যবসা , নৃশংসতা , নোংরামিতে ভরা। পশ্চিমারা সভ্ভো হওয়া শুরু করলোতো এই সেদিন। মুসলমানদের আসল সমস্যাতো স্বকীয়তা হারানো। পশ্চিমাদের অনুসরণই আসল সমস্যা। তারাতো আমাদের নক্ষত্র নয়। আমাদের নক্ষত্র হলো সাহাবারা। যে আখলাক মুসলমানদের ছিল , তাই তারা আজ রপ্ত করার চেষ্টা করছে ঠেকে, দেখে , শিখে। যে জাতি একসময় সারা দুনিয়াকে সভ্ভতা শিখিয়েছে তাদেরই আজ সবক দিয়ে যায় ছাত্ররা ! গ্রিক রোমানরা জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত ছিল সন্দেহ নাই , কিন্তু আচরণে অসভ্ভই ছিল।
৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২০
মন থেকে বলি বলেছেন: অসম্ভব ভাল লাগল পড়ে। প্রিয়তে নিলাম।
৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৪
বনসাই বলেছেন: alquran.org.bd সাইটের অনুবাদ বেশ ভাল। সাবলীল। পড়ে দেখতে পারেন। আরবি পড়ে নেকি হাসিলের জন্য কুরআন নাযিল হয় নি।
৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০৩
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: @চাঁদগাজী
৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
@Tarzan00007 বলেছেন,
"মুসলমানদের আসল সমস্যাতো স্বকীয়তা হারানো। পশ্চিমাদের অনুসরণই আসল সমস্যা। তারাতো আমাদের নক্ষত্র নয়। "
৬০০ সালের পর ইসলাম এসেছে, তখন মিশরে প্রীকেরা; সিরিয়া ও যেরুজালেমে রোমানরা; তখনি বলা হচ্ছে, মক্কার মানুষ পাপে ডুবে আছে, আচার ব্যবহার ভয়ংকর । তারপর, ধরলাম আরবেরা ঠিক হলো, এশিয়ায় আফ্রিকায় কোরানের বাণী এলো, মানুষ শিখলো; এখনও রোমান, গ্রীকরা প্রাকৃতিকভাবে কিছু ভুললো না, মুসলমানেরা ভুললো কেন?
১০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৬
ইউনিয়ন বলেছেন: তর্ক করা বাচালতা।
যারা মুসলমান তাদের প্রত্যের উচিৎ ইহা পাঠ করে মর্মাথ অনুধাবন করা। যেদিন থেকে মুসলমানদের ভিতর কোরান মন্ত্রের মত পাঠ করা শুরু হইছে সেদিন থেকে মুসল মানের সর্বাঙ্গে পচন ধরেছে।
১১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:২৫
অসমাপ্ত কাব্য 21 বলেছেন: @চাঁদগাজী ভাই, আল-কোরআন তথা ইসলাম এসেছে সবার শেষে; রোমান,গ্রিক, পারসিক কালচারের সাথে এর তুলনা করা অযৌক্তিক মনে হচ্ছে ! কেননা আল-কোরআনের আগেই তো আরও তিন খানা ঐশী কিতাব এসেছিলো এবং এসব কিতাব অনুসারীদের বাইরে তখনও পাল্টা যুক্তি-মত, এমনকি পাল্টা উপাসনাও চলতো !
এজন্য আল-কোরানকে পূর্ববর্তী সকল কিতাবের সারগন্থ বলা হয়, আল-কোরআনে সৃষ্টির আদি থেকে কোরয়ান নাজিলের পূর্বের সকল সহীফা,কিতাব এবং অন্যান্য সকল মত-পথের বিশ্বাসী অনুসারীদের সম্বন্ধে বিস্তারিত বহু ঘটনা উদাহরণ বর্ণনা করা আছে ! যে কারণে একমাত্র গোমরাহী কারণ ছাড়া যৌক্তিকতার বিচারে আল- কোরআনকে অস্বীকার অবিশ্বাস করার কারণ নেই !
একমাত্র পৌত্তলিক বা অগ্নি/মূর্তি পূজারী ধর্ম ছাড়া পৃথিবীতে কোনো ধর্মকেই আল-কোরয়ানা খাটো করে দেখা হয় নাই !
ইতিহাস রচনা করে মানুষে !
সুতরাং ইতিহাস দিয়ে ধর্মের বিচার না করে পবিত্র ধর্ম গ্রন্থগুলোতে স্রষ্টা নিজে কি বলেছেন এটা দেখায় উত্তম কাজ ! আমি আবারো বলছি- আল কোরআনে পূর্ববর্তী প্রত্যেকটা জাতি ও তাঁদের মত-পথ এমনকি তাঁরা কি কি যুক্তি অথবা কারণ দেখিয়ে ঈশ্বর বা নবী-রাসূলদের বিরোধিতা করতো, এসবের পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বিশ্লেষণ করা আছে ! এজন্যই আল কোরয়ান তথা ইসলামকে সংস্কার ধর্মও বলা হয় !
ধন্যবাদ গিরি গোহা ভাইকে সুন্দর একটি আলোচনা অবতারণা করার জন্য !
১২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:১৬
টারজান০০০০৭ বলেছেন: @ চাঁদগাজী। আরব জাতির তথা মুসলমানদের উন্নতির কারণ ১০০ ভাগের ১০০ ভাগ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিসসাল্লাম এবং সাহাবীদের অনুসরণ করা, পতনেরও কারণ হলো আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম এবং সাহাবাদের পথ থেকে দূরে সরে যাওয়া। মুসলমানদের উন্নতি অন্য জাগতিক উন্নত জাতির মতো হয় নাই, মুসলমানের উন্নতি একই সাথে আখলাক , চরিত্র , সামাজিক মেলামেশা , আত্মীয়তার সম্পর্ক উন্নয়ন , আচার ব্যবহার , লেনদেন সার্বিক ভাবে সব কিছু মিলেই হয়েছে। অন্যান্য জাতির মতো জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত , আচার ব্যাবহারে অসভ্য , চরিত্রে ধুতরা ফুলের পবিত্রতা, এমন নয়। ( পরিস্থিতি এমনই যে ফাদার্স ডেতে কারে উইশ করবো বুঝে পায়না !) আর মুসলমানের পতন কেন হবে, উন্নতি কিভাবে হবে সেটাও বলে দেওয়া হয়েছে। (পড়তে পারেন, পুস্তিকা ওয়াহেদ এলাজ , মাওলানা এহতেশামুল হাসান রঃ ) . তো এহেন জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত , আচার ব্যাবহারে অসভ্য , চরিত্রে ধুতরা ফুলের পবিত্রতা সম্পন্ন পশ্চিমা জাতিকে যদি অনুসরণ করা হয় তাহলে ব্যাক্তির জাগতিক উন্নতি তো হবে , তবে বাকি সব হারাবে। আর মুসলমানরা যদি পশ্চিমাদের মতো জাগতিক উন্নতির শিখরে উঠতে চায় তাহলে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম ও সাহাবীদের শিক্ষা পুরোপুরি ভুলে গিয়ে পশ্চিমাদের শিক্ষাই পুরোপুরি ধারণ করতে হবে তাহলে জাগতিক উন্নতিতো হবে সাথে তাদের বদ সংস্কৃতির আমদানিও হবে, পোলাপাইন আর বাপ্ খুইজা পাইবোনা ! আর আখেরাতও হইবো সাহারা মুরুভুমি !(পরিস্থিতি কি সেইদিকেই যাচ্ছে না ?)
১৩| ২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:০৬
করুণাধারা বলেছেন: খুব ভালো পোস্ট। সওয়াব হাসিল করার জন্য কোরআন শরীফ না পড়ে জানার জন্য আমাদের কোরআন শরীফ পড়া উচিত। আফসোস! আমরা সেটা করিনা! এই পোস্টে চাঁদগাজী বাদে আর সকলের মন্তব্যই ভালো লেগেছে।
এটা দেখে খারাপ লাগলো, আপনি এমন চমৎকার পোস্ট দিয়েছেন, সকলে সুন্দর মন্তব্য করেছেন কিন্তু আপনি আর পোস্টে ফিরে আসেননি প্রতিমন্তব্য করার জন্য!!!
ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩
চোরাবালি- বলেছেন: আমাদের জীবন চলার জন্য তথা সমাজের জন্য যা দরকার সব আছে। কিন্তু আমাদের মাঝে কোরাণ সম্পর্কে এমন ভৃতি সৃষ্টি করা হয়েছে যেন কোরান ছুলেই বিপদ।
যারা আরবী পড়ে অর্থ করতে পারি না তারা যদি অর্থটা পড়ি অথবা যারা আরবী পড়তে পারে না তারা যদি অর্থ পড়ে তা হলে আমাদের চিন্তা চেতনা বদলানো সম্ভব।