![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ১৫ই জুনের চারটি সিটি কর্পোরেশনের ফলাফল অন্যান্য সকল আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীর মত আমাকেও ভাবিয়ে তুলেছে। আমি দলের একজন তৃনমূল পর্যায়ের কর্মী। এই ফলাফল যেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন প্রভাব বিস্তার না করতে পারে, সেজন্য আমি নিম্নে কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরছি। এগুলো একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত। এগুলোর সাথে অনেকেরই মতান্তর হতে পারে।
১. মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন ও চামচাদের কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে।
২. মন্ত্রী-এমপিদের দলের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে দূরত্ব অতি তাড়াতাড়ি দূর করতে হবে।
৩. মন্ত্রী-এমপিদের অহমিকা দূর করতে হবে।
৪. জাসদ, সাম্যবাদী দল, ওয়ার্কাস পার্টি তথাকতিথ রাজনৈতিক দলের উপর নির্ভর না করা। কারন এরা হল বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরগাছা। এরা আওয়ামীলীগের উপর ভর করে বেঁচে আছে। এদের কথাবার্তা শুনলে মনে হয়, আওয়ামীলীগই যেন ঐসব রাজনৈতিক আগাছাদের উপর নির্ভর করে ক্ষমতায় এসেছে। এদের প্রতিটি আসনে দুইশত এর উপর গড়ে ভোট নেই।
৫. জাতীয় পার্টি (এরশাদ) এর সাথে দূরত্ব অতি সত্বর মিটিয়ে ফেলা। এইসব বামদলগুলোকে মন্ত্রীত্ব না দিয়ে জাতীয় পার্টিকে আরও দুইটি মন্ত্রীত্ব দিলে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এই হাল হত না। কারন জাতীয় পার্টির প্রতিটি আসনে অন্তত বিশ-বাইশ হাজার ভোট আছে। চারটি সিটি কর্পোরেশনের মাত্র একটিতে জাতীয় পার্টির একজন প্রার্থীকে সমর্থন দিলে আজ অন্তত এই ফল হত না।
৬. প্রায় সময়ই দেখি ১৪ দলের সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। একবারও দেখলাম না মহাজোটের কোন সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে। মনে রাখতে হবে এই বামের ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতের ঘটনাকে সমর্থন করেছিল। বামেদের কথায় কান দিলে আগামীতে কী হয়, মহান আল্লাহতায়ালা তা ভাল করেই জানেন।
৭. হেফাজত-জামাতীরা সারাদেশে ধর্মীয় অপপ্রচার চালাচ্ছে। এইসব অপপ্রচারের প্রতিবাদ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ করলে এদেশের ধর্মীয় সাধারন মানুষ তেমন গ্রহন করে না। হেফাজতি-জামাতিদের ধর্মীয় অপপ্রচারকে রুখতে হলে দেশের প্রতিটি উপজেলায় হেফাজতি-জামাতি বিরুধী যেসব আলেম-উলামা আছেন, তাদেরকে দিয়ে বড় বড় ওয়াজ মাহফিল করাতে হবে।
৮. সর্বোপরি যেসব মন্ত্রী-এমপি বিতর্কিত, তাদেরকে আগামীতে নমিনেশন দেওয়া যাবে না।
২| ১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
মোরশেদুল আজাদ পলাশ বলেছেন: এখানে আমার ভুল হয়েছে। হেফাজতি-জামাতি বিরুধী আলেমদের নিয়ে ওয়াজ মাহফিল করাতে হবে। ঠিক করছি। ভুল ধরার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০০
তিক্তভাষী বলেছেন: তত্বাবধায়ক হলেই যে বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হবে তার কোন গ্যারান্টি নেই। তবে এটা ঠিক যে, নির্দলীয় তত্বাবধায়ক হলে উভয় পক্ষের সমসুযোগ সৃষ্টি হবে। জনগন নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। অথচ মুখে জনগনের ভোটের অধিকারের কথা বলে ফেনা তুলে ফেললেও বাস্তবে সমসুযোগের সৃষ্টি হোক আওয়ামী লীগ তা’ চাচ্ছে না। জনগন সেটা দেখছে, আওয়ামী লীগ কেন তত্বাবধায়ক পদ্ধতি চাচ্ছে না তার কারণও জনগনের বুঝতে বাকী নেই। কাজেই, নির্দলীয় তত্বাবধায়ক পদ্ধতি পুনপ্রতিষ্ঠা না করলে জনগনের বিশ্বাস ফিরে পাবে না আওয়ামী লীগ।
১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৪
মোরশেদুল আজাদ পলাশ বলেছেন: এই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কী নির্বাচন সুষ্ঠ হয় নি? নির্বাচন সুষ্ঠ হওয়ার জন্য তত্বাবধায়ক সরকারের দরকার নয়। দরকার শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন।
৪| ১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৩
আস্তবাবা বলেছেন: হা হা, আপনাদের সমস্যা হল আপনারা মনে করেন দেশের জনগন আপনাদের গোলাম, আর সবাই আপনাদের এত চুরি বাটপারি টেন্ডারবাজি অ অনুন্নয়নের পরও ভোট দিবে।
১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
মোরশেদুল আজাদ পলাশ বলেছেন: আমি তা মনে করি না। রাষ্ট্রপরিচালনায় আওয়ামীলীগের অনেক ভুল আছে। কিন্তু বিএনপি-জামাতি থেকে অনেক ভালভাবে আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। সন্ত্রাস, রাহাজানি, দুর্নীতি হাওয়াভবন যেভাবে বাংলাদেশে করেছিল, আওয়ামীলীগের সময় এর থেকে লক্ষগুন কম হয়েছে।
৫| ১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭
আতা2010 বলেছেন: সব বাটপাড়
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭
পথহারা সৈকত বলেছেন: হেফাজত-জামাতীরা সারাদেশে ধর্মীয় অপপ্রচার চালাচ্ছে। এইসব অপপ্রচারের প্রতিবাদ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ করলে এদেশের ধর্মীয় সাধারন মানুষ তেমন গ্রহন করে না। হেফাজতি-জামাতিদের ধর্মীয় অপপ্রচারকে রুখতে হলে দেশের প্রতিটি উপজেলায় হেফাজতি-জামাতি যেসব আলেম-উলামা আছেন, তাদেরকে দিয়ে বড় বড় ওয়াজ মাহফিল করাতে হবে।