নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেশের জন্য কিছু করতে চাই

মোঃরাশেদুজ্জামান রাশেদ

ভালবাসি মাকে আর দেশটাকে। \nবিশ্বাস করি, \"সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপর নাই।\"ধর্মভীরু তবে ধর্মান্ধ নই। দেশ আর মানুষের কল্যাণে ভালো কিছু করার স্বপ্ন দেখি আর চাই স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন।

মোঃরাশেদুজ্জামান রাশেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিপ্লোমা চিকিৎসক কারা?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:২০


স্টেট অফ মেডিকেল ফ্যাকাল্টি থেকে ডিএমএফ(DMF) ডিগ্রিপ্রাপ্ত চিকিৎসকগণই হচ্ছে ডিপ্লোমা চিকিৎসক। যারা ম্যাটস থেকে ইন্টার্নশিপ সহ ৪ বছরের ডিপ্লোমা ডিগ্রি সমাপ্ত করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন/লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয়।এখানে উল্লেখ্য যে বাংলাদেশে শুধুমাত্র এমবিবিএস, বিডিএস এবং ডিএমএফ -দেরই চিকিৎসক হিসাবে বৈধ রেজিঃ দেওয়া হয়।
দেশের গ্রাম পর্যায়ের মানুষের কাছে উন্নত স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার জন্যই মূলত বঙ্গবন্ধুর হাত দিয়ে এই চিকিত্সা শ্রেণী তৈরি হয়। ১৯৭৪ সালে কোর্স চালুর পর ১৯৭৯ সাল থেকে গ্রাম/ইউনিয়ন এবং উপজেলা পর্যায়ে সাব এসিট্যান্ট মেডিকেল অফিসার হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে আসছে।
যেকোনো স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার কারণে বহু উচ্চ ডিগ্রিপ্রাপ্ত ডাক্তার রয়েছেন যারা বেশিরভাগই শহরে থাকেন। ফলে গ্রামের মানুষ তাদের স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রাথমিক যে ডাক্তারদের পায় তারা হলেন এই ডিপ্লোমা চিকিৎসক।
সরকারি পর্যায়ে ডিএমএফ কোর্স করার জন্য প্রথমে ৮টি প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়। পরবর্তী কালে এই সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় ১৮টি। তবে বর্তমানে অবশ্য সরকারি ৮টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া সারা দেশে প্রায় ২০৯ টিরও বেশী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার মধ্যে বিএমডিসি অনুমোদিত ম্যাটসের সংখ্যা ৬৫ টি।
প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম হয়েছে, মেডিকেল এসিসন্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল। সংক্ষেপে ম্যাটস্ (MATS)।

ডিএফএফ ডিগ্রি নেবার প্রক্রিয়াঃ

এসএসএসসি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জীব বিজ্ঞান বাধ্যতামূলক সহ পাশ করার পর ৩ বছর পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থী ম্যাটসে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারে। তারপর যারা ভর্তি পরিক্ষায় চান্স পায় তারা সরকারী ম্যাটসগুলোতে ভর্তির সুযোগ পায়। আর যারা চান্স পায়না তাদের মধ্য থেকে বেসরকারি ম্যাটসগুলোতে ভর্তির জন্য একটি মেরিট লিষ্ট করা হয়। সেই সংখ্যক শিক্ষার্থী মেরিট লিষ্টে থাকে সেই সংখ্যক শিক্ষার্থীই বেসরকারি ম্যাটসগুলোতে ভর্তির সুযোগ। এই একই নিয়ম এমবিবিএসদের জন্য মেডিকেল কলেজ গুলোতেও অনুসরণ করা হয়।

কোন কোন বিষয় পড়ানো হয় পড়ানো হয়ঃ

১ম বর্ষে পড়ানো হয়
1.Basic anatomy and physiology
2.Basic English
3.Basic Community Medicine
4.Basic Computer
5.medical ethics
২য় বর্ষে
1. Basic pharmacology
2. Basic pathology and microbiology
৩য় বর্ষে
1.Medicine
2.Gynecology and Obstetrics
3.Community Medicine
4.Surgery
৪র্থ বর্ষে
চতুর্থ বর্ষে ৯ মাসের জন্য জেলা হসপিটাল গুলোতে ইন্টার্নশিপ।
এবং ৩ মাসের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে ইন্টার্নশিপ। মোট ১ বছর।

চিকিৎসা শিক্ষা ক্ষেত্রে এমবিবিএস ডিগ্রি সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তারপরেই গুণগত এবং মান বিবেচনায় রয়েছে এই ডিএফএফ ডিগ্রি। কোনো মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি গ্রহণ করা থাকলেও সরাসরি ডাক্তার হিসেবে প্র্যাকটিস শুরু করা যায় না। ডাক্তার হিসেবে প্র্যাকটিস শুরু করতে চাইলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) থেকে নিবন্ধন নিতে হয়। এই নিবন্ধন পেলে তবেই ডাক্তার হিসেবে কাজ শুরু করা যায়। ডিএমএফ ডিগ্রি শেষ করলেও বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হয়। ফলে এই ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থীরাও কোর্স শেষ করেও বিএমডিসি নিবন্ধন নিয়ে সহকারী ডাক্তার হিসেবে কাজ শুরু করতে পারে।

চিকিৎসা পেশায় তত্ত্বীয় শিক্ষার গুরুত্ব যতটা বেশি, তার চেয়ে হাতে-কলমে শিক্ষার গুরুত্ব অনেক বেশি। এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনের অংশ হিসেবেও তাই বিভিন্ন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করতে হয়। এটি ডিএমএফ ডিগ্রি অর্জনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষার্থীরা চতুর্থ বর্ষে এসে ১ বছরের ইন্টারশিপ সম্পর্ন করতে হয়।

মোটকথা ডিএমএফ ডিগ্রি হচ্ছে, চিকিৎসা পেশায় একটি মান-সন্মত ডিগ্রি।
তবে বর্তমানে স্বাস্থ্য খাতের এই সেক্টরটির অবস্থা বেশ খারাপই বলা যায়। ১ দশকের বেশী সময় হলো সরকারী নিয়োগ না থাকায় বর্তমানে তাদের প্রায় ৩০ হাজারের বেশী ডিপ্লোমা চিকিৎসক বেকারত্বে ভুগছে। অথচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন সাব সেন্টার গুলোতে দক্ষজনশক্তির প্রচন্ড অভাব রয়েছে।
এছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালানো হচ্ছে, স্বাস্থ্যসেবায় নূন্যতম জ্ঞান না থাকা সিএইচসিপিদের দিয়ে। শুধুমাত্র ৩ মাসের ট্রেনিং করিয়ে এই সিএইচসিপিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার বোঝা।
আর অন্যদিকে ৪ বছরের মেডিকেল সাইন্সে পড়ালেখা করেও ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা ভুগছে বেকারত্বে।
বিষয়টি বেশ উদ্বিগ্নের। রাষ্ট্র যদি যোগ্যদের বসিয়ে রেখে অযোগ্যদের দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা পরিচালনা করার দায়িত্ব দেয়, তবে যেমন যোগ্যদের যোগ্যতার অবমূল্যায়ন করা হয়। আর সেখানে অযোগ্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটিও ধসে পড়ার সম্ভবনা থাকে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২২

উদভ্রন্ত বালক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর তথ্য উপস্থাপনের জন্য । অনেক অজানা বিষয় জানা হলো ।তবে কাউকে ছোট করে কোন কিছু আবেদন করা উচিত নয় । আপনাদের অসাধারণ যোগ্যতা । দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির সেবাই আপনাদের কাজে লাগাতে পারলে সিএইচসিপিরা যে সাফল্য এনেছে স্বাস্থ্য সেবার আপনারা আরো বেশী সাফল্য এনে দিতে পারেন। যৌথ পরিচালনায় সিসি গুলো মিনি হাসপাতালে রুপান্তর সম্ভব আপনাদের নিয়োগ সহ নার্স নিয়োগের মাধ্যমে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.