নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পসর কুমার ভৌমিক

দোষগুণ মিশিয়ে সাধারন একজন মানুষ।

পসর কুমার ভৌমিক

দোষগুণ মিশিয়ে সাধারন একজন মানুষ।

পসর কুমার ভৌমিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পেন্সিল গুলো ছোট হউক /:)

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৪

আমার পড়ার টেবিলটার ঠিক ডান পাশে একদম টেবিলের সাথে লাগানো আছে আসিফের ওয়্যারড্রোব।



আমি একটা বেনসনের খালি প্যাকেটের উপরের অংশটা কেটে খালি প্যাকেটটা স্কচ টেপ দিয়ে ওয়্যারড্রোব টার সাথেই লাগিয়ে দিয়েছি। আমি টেবিলে বসলে ওটা ঠিক আমার ডান হাতের কাছে থাকে।



প্যাকেট টার দিকে তাকালে ওটার মধ্যে দেখা যায় ছোট বড় মিলিয়ে মোট পাঁচটা পেন্সিল রাখা আছে । আমি মাঝে মাঝে পেন্সিল গুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করি এবং খেয়াল করে দেখি পেন্সিল গুলোর সাইজ খুব ধিরে হলেও একটু একটু করে কমে যাচ্ছে। ব্যাপারটা আমার কাছে অনেক আনন্দের।



ভালো হোক আর হাবিজাবি হোক। ফেসবুকে পোস্ট করি আর না করি, সব লেখাই আমি পেন্সিল গুলো দিয়েই লিখি। এমনকি বাসায় পরীক্ষার পড়া লেখার সময়ও পেন্সিলগুলোই আমার প্রিয়। পারতপক্ষে আমি পেন্সিল ছাড়া লিখিনা বাসায়।



আর সবাই কি করে জানিনা তবে আমি সাধারনত সরাসরি কম্পিউটারে কোন কিছু টাইপ করে ফেলতে পারিনা। আমাকে অবশ্যই যেটা টাইপ করব সেটা একটা খাতায় অথবা কাগজে লিখে নিতে হবে। সুতরাং ধিরে ধিরে পেন্সিল গুলো ছোট হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক।



কিন্তু গত চার পাঁচদিন হয়ে গেল আমি আতঙ্কের সাথে লক্ষ করছি পেন্সিল গুলোর সাইজ আর আগের মত কমে যাচ্ছেনা। অনুভূতিটা আসলে ভীষণ রকম খারাপ।



আমি সাধারনত চিন্তা ভাবনা করে কোন লেখার আইডিয়া মাথায় আনতে পারিনা। চেষ্টা করেছি অনেক বার কিন্তু লাভ হয়না। খাতা পেন্সিল নিয়ে বসে ভাবাভাবিই সার, কোন লেখা আসেনা মাথায়। কিন্তু যেগুলো আসে, একদমই হঠাৎ করে, কোন ভাবনাচিন্তা ছাড়াই চলে আসে মাথায় যখন আসার। ব্যাপারটা বেশ মজার, আমাকে লেখার আইডিয়া নিয়ে একদমই মাথা ঘামাতে হচ্ছে না।



হয়ত বাজার করতে গেছি, দোকানে সবজীর দরদাম করছি, হঠাৎ কিছু একটা লেখার আইডিয়া চলে আসলো মাথায়। হয়ত কোচিংয়ে ক্লাস নিচ্ছি, লেখার আইডিয়া চলে এল মাথায়। হয়ত বাথরুমে কাপড়ে সাবান লাগাচ্ছি, লেখার আইডিয়া মাথায় চলে এল। হয়ত দোকানে চা খাচ্ছি, আইডিয়া স্যার জি!



সবচেয়ে বেশি লেখা মাথায় এসেছে আমার যখন রাস্তায় জার্নি করি। কোচিংয়ে যাওয়া আসা কিংবা যখন ছুটিতে বাড়ি যাই কেন জানি হাবিজাবি কত্ত কিছু মাথায় চলে আসে।



ব্যাপার সেটা না, ব্যাপার হল পেন্সিলের সাইজ কমছে না। আরে ভাই গত তিন চার মাথা দিয়ে কিছুই বের হয়না। ব্যাপারটা আমার জন্যে খুব কষ্টের।



আমি চুপচাপ অপেক্ষায় থাকি কখন কিছু একটা মাথায় আসবে। আবারো আজ বিকালে বেকুবের মত পেন্সিলগুলো হাতে নিয়ে বসে ছিলাম মিনিট বিশেক। কোন লাভ হয়না। অনেকটা ওই সেই ইয়ে নিয়ে ইয়েতে বসে থাকার মত।



চিন্তা করেন তো কেমন লাগে ওই সময় যদি কিছু বের না হয়। আরে ভাই আমি লেখার আইডিয়া বের না হবার কথা বলছি।



যারা মোটামুটি টুকটাক লেখালেখি করেন আমার মত তারাই শুধু বুঝবেন কেমন লাগে এই সময়টায়। আমি তেমন কোন লেখক না যে রাইটার্স ব্লক খাইছি বলব। তবে একটা কিছু তো হইছেই।



ভরশার কথা অবশ্য একটা আছে। আইডিয়া আসছে না আসছে না করেও কিন্তু আসছে যে না, এটা নিয়েও কিন্তু এই লেখাটা লিখে ফেললাম। আশা করি সমস্যা কেটে যাবে।



ভাই বেনসন প্যাকেট, সিগারেট নেই তো কি হইছে? তোমারে আমি নতুন নতুন পেন্সিল কিনে ভরিয়ে দেব। শুধু পেন্সিল গুলো যেন ছোট হয় দিনে দিনে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪

গেন্দু মিয়া বলেছেন: এই মাত্র আপনা লেখা পড়ে একখানা লেখার আইডিয়া পেয়ে গেলুম। :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.