নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চেষ্টাই আছি........
সাহেদ বস্তিতে নতুন। বস্তিতে এসেই সুবর্ণার সাথে পরিচয় হয়। তারপর দুজনার ফ্যাচর ফ্যাচর অনেক গল্প। এছাড়া সিনেমা দেখা, পার্কে ঘোরা তো আছেই। বস্তিতেই মায়ের সাথে একটা পানের দোকান চালায় সুবর্ণা। কিন্তু সুবর্ণার মা এই সম্পর্কে রাজি না। ট্রাক ড্রাইভার জাতটার তার উপর ভরসা নাই। সুবর্ণার বাবা ও ট্রাক ড্রাইভার ছিল। একদিন সুর্বনার মাকে ফালাইয়া চলে গেছে আর খবর নাই।
এক সকালে সুবর্ণা আর সাহেদ বিয়ে করে ফেলে। বস্তিতেই ফিরে আসে। বাধ্য হয়েই সুবর্ণার মাকে মেনে নিতে হয়। বিয়ের পরে সুবর্ণার দিন ভালোয় কাটতে লাগলো। দু'চোখে রঙ্গীন স্বপ্ন। সাহেদও ভালোবাসায় ভরিয়ে রাখত। তারপর আস্তে আস্তে সাহেদের রূপ প্রকাশ পেতে লাগল। প্রতিদিন রাতে মাতাল হয়ে বাড়ি ফেরা, মারধর করা তো আছেই। দেখতে দেখতে সুবর্ণার জিন্দেগী নরক হয়ে উঠলো। এদিকে হেল্পার মজিদ প্রতিদিন তাকে নতুন নতুন স্বপ্ন দেখায়। নতুন করে জীবন শুরু করার, নতুন একটি সংসারের। নতুন ভালোবাসায় ভরিয়ে থাকার। পুরোনো দু:খের খোলস ছেড়ে নতুন সুখে ভাসার। সুবর্ণা ভাবে, এক সুখের উদ্দেশ্যে সাহেদ কে বিয়ে করে সে। কিন্তু সে সুখ কি সে পেয়েছ? সাহেদ এমন বদলে গেল কেন? মজিদ যে সুখের স্বপ্ন দেখায় সে সুখ কি পৃথিবীতে আছে? দিন দিন সাহেদের অত্যাচার অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর সহ্য হয় না সুবর্ণার। হেলপার মজিদের দেখানো সেই স্বপ্নের সুখ সাগরে ভাসার জন্য গা ভাসিয়ে দেয় সুবর্না।
এক রাতে মজিদের হাত ধরে সাহেদের ঘর ছেড়ে অজানা সুখের উদ্দেশ্যে পা বাড়ায় সুবর্ণা।
হেলপার মজিদ এসে ট্রাকের দরজা খুলে ভেতরে ওঠে। সাহেদ ট্রাক ছেড়ে দেয়। মজিদ গামছা ভর্তি টাকা সাহেদের সামনে রাখে। সাহেদ হাসে।
নারীর কোন জায়গা নেই আর পুরুষরা নারীদের যেখানে রাখে সেটাকে বলে নিষিদ্ধ ভূমি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: সাহেদ এবং সূর্বনা। আমার পরিচিত।