নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চেষ্টাই আছি........
দুটো মুভি নিয়ে কথা বলব। একসাথে দুটো কেন? কারণ দুটো মুভিই রিলেটেড। রিলেটেড আরো অনেক মুভি আছে কিন্তু সেগুলো নিয়ে কথা বলতে গেলে রামায়ণ হয়ে যাবে। এতটা পড়ার ধৈর্য, সময় কোনটাই আপনাদের হবে না আর আমিও স্বল্পভাষী মানুষ অত কথা খুঁজে পাবনা। তাই আপনাদের খুব বেশি বোরিং না করে দুটোই খুব ছোট করে কিছু বলছি। বাকিটুকু থাকে আপনাদের ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টির উপড়।
Spoiler Alert
Thappad :
মুভিটা শুরু হয় কয়েকটা চরিত্র নিয়ে, যেখানে দেখা যায় একজন স্ত্রী, তার স্বামীর সাইকেলের পিছনে বসে আইসক্রিম খেতে খেতে অনুযোগের শুরে বলছে যে- কেন তার স্বামী তাকে ভালোবাসে না,শুধু মারে। একসময় স্বামী রাগ করে স্ত্রী কে মাঝ রাস্তায় একা ফেলে চলে যায়। অন্যদিকে আমরা দেখি, একজন মহিলা তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে গাড়ি করে ঘুরছে, প্রাণ খুলে। একজন ফেমিনিস্ট, তার বয়ফ্রেন্ডের বাইকের পিছনে। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন, কত সুন্দর ভাবে, সমাজের তিন স্তরকে পরিচালক প্রথমেই ফুটে তুলেছে। এবার গল্পে আসি।
মূল চরিত্র বিক্রম কে দেখি, রাত জেগে- অফিসের একটা প্রজেক্টের কাজ করছে। যার উপর তার প্রমোশন নির্ভর করছে। আর তাকে সঙ্গ দিচ্ছে তার স্ত্রী অমৃতা। যে কোন ছোট খাটো কাজের জন্য বিক্রম, অমিত্রার হেল্প নিচ্ছে। অমৃতা স্বানন্দে সাহায্য করছে। যেটা তার কাজ না, সে চাইলে আরাম করে ঘুমাতে পারত কিন্তু কেন হেল্প করছে, কে জানে? একসময় বিক্রম কিছু প্রিন্ট আউট দিয়ে ঘুমাতে যায়। আর অমৃতা রাত জেগে সেই প্রিন্ট আউট করে গুছিয়ে রাখে। পরদিন সকালে অমৃতাই আগে ঘুম থেকে উঠে বিক্রমের জন্য নাস্তা বানায়, বিক্রমের অফিস যাবার জন্য সব কিছু রেডি করে। বিক্রম আরাম করে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে অফিসে যায়। তারপর অবশ্য সারাদিন অমৃতা ফাঁকা, চাইলে আরাম করে ঘুমাতে পারত কিন্তু পরিচালক সেটা দেখাতে চাননি। তিনি এখানে দেখিয়েছেন, অমৃতার নাচের শখ, যেটা সে সংসারের জন্য বিসর্জন দিয়েছে। মোট কথা পরিচালক এখানে অমৃতা কে মহান করে দেখাতে চেয়েছেন, যে- ওয়াইফ হাজবেন্ডের অফিসের কাজও করে দেয় মানে ওই হেল্প করে আরকি, আবার বাসার কাজও করে। সুতরাং সে তার শখ, ইচ্ছা পূরণ করতে পারে না।
এখন আসি থাপ্পড়ে, যেটা নিয়ে গল্পটা। বিক্রম জানতে পারে তার প্রমোশন হয়েছে কিন্তু যে জায়গা সে ডিজার্ভ করে সেই স্থান তাকে দেওয়া হয়নি। বিক্রমের ভীষণ রাগ হয়। হওয়াটাই স্বাভাবিক। এত পরিশ্রম করে যদি প্রকৃত মর্যাদা না পায়, যে কারো খারাপ লাগবে, রাগ হবে। বিক্রমের জায়গায় যদি অমৃতা থাকত তারও রাগ হত, খারাপ লাগত। বিক্রম রেগে গিয়ে তার বসের সংগে ঝগড়ায় জড়ায়। অনেকেই বাধা দিতে আসে কিন্তু বিক্রম কারো কথা শোনে না। বাবুর মেজাজ তখন চরমে। সেসময় অমৃতা তাকে আটকাতে আসে। যেটা অমৃতার উচিত হয়নি, একেবারেই উচিত হয়নি। আরে ভাই, ওয়াইফ হৈছে বলে কি সব জায়গায় নাক গলাবে? তাহলে পার্সোনাল স্পেসটা কি?
কিন্তু অমৃতা আটকাতে যায়, সে তো অর্ধাঙ্গিনী স্বামীর উপর তার অধিকার আছে। কিন্তু বাবুর তো রাগ চোখ, মুখ, নাক দিয়ে ঝরতে শুরু করেছে। রাগ টা বের করা দরকার সুতরাং রাগটা বের হয়ে যায় অমৃতার উপরে। থাপ্পড় বসিয়ে দেয় গালে, যে কেউ দিবে, স্বাভাবিক। অমৃতা হলে সেও দিত। চড় খেয়ে অমৃতা বোকা হয়ে যায়। বোকা অবশ্য বিক্রম ও হয়ে যায়। রাগ বের হয়ে গেলেই আমাদের মধ্যে অনুশোচনা ভর করে। চড় খেয়েও অমৃতা মেনে নিতে চেষ্টা করে কিন্তু তারও তো রাগ হয়েছে রাগ বের করা দরকার। সে কোন উপায় পায় না সুতরাং রাগটা ভেতরে লাভা'র সৃষ্টি করে, পুড়তে থাকে অমৃতা। দহন সহ্য করতে না পেরে, সে একসময় জানিয়ে দেয় যে- সে আর বিক্রমের সাথে থাকবে না। ভাবা যায়- সামান্য একটা চড়ের কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ। দূর কি সব বালছাল গল্প বানায় ডিরেক্টর। আরে বাবা রাগের মাথায় চড় মেরেছে, সরি বলেছে, বাস- মিটে গেল। কিন্তু চড়টা তো গল্পের উপলক্ষ্য মাত্র। গল্পটা 'সরি' থেকেই শুরু।
যখন বিক্রম অমৃতা কে সরি বলে, তখন বলে "এতদিন হল একটা অফিসে জব করছি। আমার সমস্ত মেধা-শ্রম দিচ্ছি। যেটাকে সবসময় নিজের অফিস ভেবেছি। একদিন জানিয়ে দিল তুমি কেউ না। কার রাগ লাগবে না বল?" এই কথাটাই অমৃতার মনে দুন্দুভি বাজায়। সেও তো এই পরিবারের জন্য নিজের সমস্ত মেধা-শ্রম, শখ দিয়ে দিচ্ছে। যেটা তার নিজের সংসার। একদিন জানিয়ে দিল সংসার তোমার না। কষ্ট টা বুঝতে পারছেন? বিক্রমের যতটা হয়েছিল তার অফিসের উপর তার চেয়ে অনেক বেশি। সেই কষ্টে ঘী ঢেলে দেয় যখন বিক্রম বলে 'সবাই আমার সম্পর্কে কি ভাবছে?' অমৃতা কি ভাবছে সেটা ইম্পর্ট্যান্ট না। পাড়া পড়শী কি ভাবছে সেটাই মূল বিষয়।
আচ্ছা- গল্পটা কি শুধুই অমৃতার ছিল? না-। শুধু চড় না দেখিয়ে, পরিচালক তো এমনও দেখাতে পারতেন যে- বিক্রম মেরে অমৃতার ছাল-বাকল তুলে ফেলেছে। অমৃতার ক্ষত বিক্ষত শরীর বিদ্রোহ করছে। কিন্তু সেটা না দেখিয়ে শুধু মাত্র একটা চড় কেন দেখালো, মন বিদ্রোহ করছে কেন দেখালো?
চড় তো কেবল একটা প্রতীক মাত্র। অমৃতা যখন শুধু মাত্র একটা চড়ের প্রতিবাদ করে, তখন বাড়ির কাজের মেয়ে যে রোজ স্বামীর হাতে মার খেত, মার খাওয়াই ভাগ্য বলে মেনে নিয়েছিল, সেও বিদ্রোহ করে ওঠে। উকিল, যে স্বামীর ছায়া হয়ে বন্দি ছিল, সেও স্বাধীনতা খুঁজে। অমৃতার ভাই, যে ফেমিনিস্ট সমর্থন করলেও তার ভেতরে, অবচেতন মনে- গেড়ে বসেছিল পুরুষ তন্ত্রের ছবি। তার ভুল ভাঙ্গে। অমৃতার বাবা, যে মনে করত সে তার স্ত্রীর সাথে কোন অন্যায় করেনি সেও বুঝতে পারে, অঙ্গাত মনে সেও অন্যায় করেছে।
মুভি তো তখনি শেষ হয়ে যায়, যখন অমৃতা তার শাশুড়ি কে বলে "চড় মারার পর তোমরা কেও আসোনি, তোমরা ভেবেই নিয়েছো আমি সব মেনে নেব" আর শাশুড়ি বলে "দোষ তোর না, দোষ আমার- যে নিজের সন্তানকে শিক্ষা দিতে পারিনি, দোষ তোর মায়ের যে তোকে মেনে নিতে বলেছে।" যখন অমৃতা তার শাশুড়িকে বলে তুমি এত ভালো রান্না কি করে শিখলে? আর শাশুড়ি বলে উনার শাশুড়ির কথার ঝাঁঝ শিখিয়ে দিয়েছে। অমৃতার মা যাকে শুরু থেকেই বোকা দেখানো হয়েছে সেও ফুঁসে ওঠে বলে তাকে কিভাবে মন মেরে মেতে নিতে হয়েছে। তারাও যেমন মেনে নিয়েছে, অমৃতা কেও মেনে নিতে হবে। মেনে নেওয়াটাই মেয়েদের ভাগ্য। থাপ্পড় মুভিটা প্রতীকী হিসাবে এই মেনে নেওয়া ভাগ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিদ্রোহ করার গল্প।
যখন অমৃতার কাজের মেয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আর স্বামী ভয় পেয়ে তাকে আর আঘাত করে না, তখন তার যে বিজয়ের আনন্দ-খুশি। একটা ভালো মুভির আর সব বৈশিষ্ট্যের মধ্যে- একটি বৈশিষ্ট্য হল, পরদে পরদে ম্যাসেজ থাকে। মুভির শেষে তো একটা থাকবেই কিন্তু ভেতরে অসংখ্য দৃশ্যে, সংলাপে, এমন কি ব্যাকগ্রাউন্ড এলিমেন্টেও ম্যাসেজ থাকবে। যা কেবল চোখের সাথে সাথে মন, বিবেক খুলে দেখলেই বুঝতে পারা যায়। একটা সিনে যখন দিয়া মির্জা নতুন একটা গাড়ি করে যায় আর বিক্রম বলে "ও আবার একটা নতুন গাড়ি কিনেছে, কি করে ?" আর অমৃতা বলে "মেহনত"। আমাদের মাঝে কিন্তু এমন অনেকেই আছে, যারা মেয়েদের উন্নতি দেখলেই মনে করে, নিশ্চয় খারাপ কিছু করে।
Stree :
স্ত্রী নিয়ে কথা বলার আগে, একটা প্রশ্নের উত্তর দেই। এই মুভি নিয়ে যত গুলা পোষ্ট দেখেছি, সব গুলার নিচে প্রায় একই কমেন্ট (প্রশ্ন) চোখে পড়েছে। তারও আগে বলে নেই, স্ত্রী কিন্তু সত্যি ঘটনা অবলম্বনে (অনেকটা )। ইন্ডিয়ার একটা জায়গা আছে (নাম মনে পড়ছে না, গুগুল করে নিতে পারেন) যেখানে এই গল্পটা প্রচলিত। এখন প্রশ্নে আসি, প্রশ্নটা ছিল যে- প্রত্যেক বাড়ির সামনে লেখা "ও স্ত্রী কাল এসো", স্ত্রী লেখাটা পড়ল এবং কাল আসলো। আবার সে একই লেখা দেখলো এবং পরের দিন আসলো। ভুত কি এতই বোকা?
উত্তর টা হল- জী ভাই, ভুত এতই বোকা। প্রথমেই মনে রাখতে হবে স্ত্রী ভুত না ভুতনী। যেহেতু ভুতনী সেহেতু মেয়ে। আর মেয়ে বলতেই তো বোকা। তখনকার- তখনকার বলছি কেন, এখনো অনেক স্মার্ট গাড়ল মনে করে, মেয়েদের বুদ্ধি থাকে হাঁটুতে। যার বুদ্ধি হাঁটুতে, সে তো বোকা হবেই, খুবই স্বাভাবিক। স্ত্রী মুভিটা সে সব গাড়ল দেড় গালে থাটিয়ে চড় মারার একটা গল্প।
আমি সত্যি অবাক হয়েছি, যে- এতটা ফালতু, জঘন্য হাস্যরস-কৌতুক দিয়ে এত প্রাচীন একটা চিন্তা কে ভাঙা যায়! স্ত্রী তে যারা ছিল তারা মেয়েদের গন্ড বোকা ভাবে, এমনকি ভুতনীকেও গাধা ছাড়া বেশি কিছু ভাবে না। শুধু ভুতনীর অলোকিক ক্ষমতা ছিল বলে তাকে ভয় পেত। একজন অবহেলিত নারী যে নির্যাতনের স্বীকার হয়ে মারা গিয়ে প্রতিশোধ নিতে ফিরে এসেছে, এরা তাকে নিয়েও মজা নিতে ছারে না। মেয়েদের অবস্থান এতটাই নিচুতে।
শেষে যখন ভুতনীর মূর্তি স্থাপন করা হয় তারপর থেকে কিন্তু কেউ গায়েব হয় না আর। এখানে বোঝানো হয়েছে- নারীকে তার প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে, যে সম্মানের সে যোগ্য। এই সম্মান আদায়ের জন্য নারীকেই প্রতিবাদ করতে হবে। নারীর সহযোগী হিসাবে এগিয়ে আসতে হবে পুরুষকেও। যেহেতু নারী পুরুষ একে অন্যের পরিপূরক। ভুতনী তো শুধু মাত্র প্রতীকী।
দুটো মুভির বিষয় কিন্তু একই। নারীদের সম্মান দিতে হবে। সে প্রেমিকা হোক, বোন হোক, মা হোক কিংম্বা ভুতনী।
সেখানে দুটো মুভিই সফল। আর্ট এটা না, যে কি বলছে, আর্ট এটা, যে কিভাবে বলছে। মুভি প্রতিবাদের, মুভি জীবনের। চলমান জীবনের চিত্রই চলচিত্র। কেউ কেউ চলমান জীবনের ভবিষৎ দেখায়, সমস্যা এবং সমাধান ও। কেউ কেউ অতীতে ফেরায়, মনে করে দেয় কতটা বর্বর ছিলাম, কতটা আছি। কেউ কেউ প্রযুক্তির খারাপ-ভলো দিক দেখায়। কেউ কেউ শুধুমাত্র চলমান জীবনের দোষ, ত্রুটি নগ্ন করে দেখায়। কেউ কেউ প্রতিবাদ করতে শেখায়।
আমাদের একটা মাথা আছে। মাথার ভেতরে ব্রেন আছে। ব্রেন টাকে খাটাতে শিখতে হবে। সাজিয়ে রেখে লাভ কি, মরে গেলেই তো পচে যাবে। আপনি মুভি দেখবেন- বিনোদন নিবেন, হা হা করে হাসবেন, হাউ মাউ করে বুক ঝেড়ে কাঁদবেন।
চলচ্চিত্র প্রথমত ও প্রধানত শিল্প। শিল্প কে বাদ দিলে সেটার বিনোদন থাকে না সেটা চলচ্চিত্র হয় না। বাজারের লোভে যে তথাকথিত বাণিজ্যিক মুভিতে সিনেমা পাড়া ভর্তি, আমার সেগুলোকে বাজারে বেশ্যা মনেহয়। কেবল রং চং লাগিয়ে খদ্দের ধরার ফন্দী।
ঋত্বিক ঘটক বলেছেন "ভাবো, ভাবা প্রেকটিস করো।" তিনি আরো একটা কথা বলেছিলেন " একজন সংস্কৃত মানুষ হিসাবে সমাজের প্রতি আমার একটা দায় আছে, দায় এড়িয়ে শুধু বিনোদন দিতে পারি না আমি (একজ্যাক্ট কথা টা মনে নাই। তবে ভাবার্থ এমনি)।
২৪ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:১৪
পাজী-পোলা বলেছেন: আসলেই সুন্দর একটা ছবি।
২| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৫৬
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ভালো লাগলো মুভিগুলোর ওপর আপনার ব্যক্তিগত মতামত।
একটা মজার তথ্য শেয়ার করি। হয়তো জেনে থাকতে পারেন আগেই, যে - এই থাপ্পড় মুভিটা যারা ফাইন্যান্স করেছে, সে টি সিরিজই ঠিক তার আগে প্রডিউস করেছে কবির সিং মুভিটা, যেখানে প্রেমিকাকে শারীরিক নিপীড়ন চালানোটা প্রেমিকের হক হিসেবে দেখানো হয়েছে। তত্ত্ব, দর্শন, বা মানবতার ওপর এসমস্ত ব্যবসায়ীদের আদৌ কোন দায়বদ্ধতা নেই। পয়সাই ওদের ভগবান।
তাপসী পান্নুকে শক্ত নারীচরিত্রগুলিতে ভালো মানায়।
২৪ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৩
পাজী-পোলা বলেছেন: এমন তো নয় যে বেশ্যার দালাল রা ভালো কাজ করবে না। ভুল করেও হলেও করে।
আসলে দোষ ওদের না, দোষ দর্শকদের। দর্শকরা কবির সিং টাইপ চায় বলে ওরা বানায়। কিন্তু যখন শিল্পের দায় আসে তখন এমন মুভি বানায়।
৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: থাপ্পড় দেখেছি। মোটামোটি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:০৭
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ও স্ত্রী কাল আনা - খুব ভাল একটি ছবি ভাল লেগেছে ।