নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চেষ্টাই আছি........
ব্লাকবোর্ডের কালো বুকে চকচকে সাদা চকের দাগে লেখা- "ক তে কলা, কলা খেতে ভারী মজা"। গুরু মশাই উচ্চারণ করে পড়াচ্ছেন। ছাত্র গুলো উচ্চস্বরে পড়তে লাগলো। কেউ কেউ কাঠাল, কামরাঙ্গা ও বলার চেষ্টা করল। গুরু মশাই ভুল ধরিয়ে দিলেন।
ছুটির শেষে খোলা মাঠে বাচ্চা গুলো খেলতে লাগল। ক তে কলা, কলা খেতে ভারী মজা। ক তে কলা, কলা খেতে ভারী মজা। অদূরেই একটা ছেলে একা দাঁড়িয়ে ছিলো। কী জানি কী মনে করে সে হটাৎ বলে উঠলো- ক তে কাক, কাক ডাকে কা কা। ব্যঙ্গের স্বরে হেসে উঠলো বাচ্চার দল। বিচার গেল প্রধান শিক্ষকের কাছে। গার্জেন কল হল। তবুও বাচ্চাটা কিছুতেই ক তে কলা বলল না। রাষ্ট্র পক্ষ থেকে এলো সিপাহসালা। গর্জে ওঠা বুটের শব্দ। শিকলে জড়ালো হাত, বন্দি হল কারাগারে। নির্যাতন চলল অমানবিক, পাশবিক। কী আচার্য, বাচ্চাটা তবুও কিছুতেই ক তে কলা বলল না। রোধ করা গেল না বাচ্চাটার বিদ্রোহী গলা। কোথা থেকে একদল কাক উড়ে এলো। বিপ্লবী কন্ঠে তারা কা কা ডাকতে লাগল। রাষ্ট্র পক্ষ থেকে এলো নিষেধাজ্ঞা। বাতাসে মিশে গেল বারুদের গন্ধ। কত কাক মুখ থুবড়ে পড়ল নোংরা ডাস্টবিনে। জেলখানার ছোট্ট ঘরটাতে বাচ্চাটা শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করার আগেও বলেছিলো- ক তে কাক। কাক ডাকে কা কা।
এরপর পেড়িয়ে গেল অনেক গুলো অন্ধকার রাত। কোকিল গুলো কুহু কুহু ডেকে ফিরে গেল।
আজকাল স্কুল, কলেজ সবখানেই পড়ানো হয়- ক তে কাক, কাক ডাকে কা কা। ছুটির ঘন্টা পড়তেই বাচ্চা গুলো হুল্লোড়ে দৌড়ে বেড়িয়ে গেল। খোলা আকাশের নিচে, সবুজ ঘাসের মাঠে তারা খেলতে লাগল। ক তে কাক, কাক ডাকে কা কা। অদূরেই একটা ছেলে মলিন দাঁড়িয়ে ছিলো। আনমনেই সে বলে ফেলল- ক তে কলিকাতা, কলিকাতা অনেক দূর। বাচ্চার দল শুনতে পেল কি! তারা উচ্চস্বরে হা হা শব্দে ব্যাঙ্গ করে হাসতে লাগল।
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: কাজের কাজ কা কা করা। সমাজে কিছু মানুষও কা কা করে সারাক্ষণ।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৯
পাজী-পোলা বলেছেন: আপনি খুব ভালো বুঝতে পারছেন । ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১৫
সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: ক তে কতদুর? যেতে হবে আর কতোদুর?