নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারণ পরিবহন

চাপা মারাই আমার কাজ

ট্রাক

সমগ্র বাংলাদেশ আজ ৫টন। তার মধ্যে আমি একাই .১ টন।

ট্রাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ দেখা

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০১

‘আমি ভালুকা পেরুচ্ছি।’ আরশির মেসেজ।

‘আমি এখুনি বেরুচ্ছি।’ ফিরতি মেসেজ দিয়ে দ্রুত তৈরি হয় রাশেদ। গত চার ঘণ্টা ধরে এই মেসেজের জন্য অপেক্ষা করছে ও। ট্রাউজার পরাই ছিল। টি শার্ট গলিয়ে বের হয়ে আসে।



অবশেষে আজ হয়তো দেখা হবে।

প্রায় ৫ মাস পর। আরশির চেহারাটা মনে করার চেষ্টা করে। খুব স্পষ্ট মনে পড়ছে না। এর আগে মাত্র একবার দেখা হয়েছে। তাও মাত্র কিছুক্ষণের জন্য। আজ দেখে ঠিকমত চিনতে পারবে তো?

নাহ, পারবে! না দেখেই যে মুখকে ভালবেসেছিল, শত বছর না দেখে থাকলেও, হাজার মানুষের ভিড়ের মাঝেও তাকে ঠিকই চিনে নিতে পারবে।

ভাবতে ভাবতেই বাজারে পৌঁছে যায় ও। আরশিকে মেসেজ দেয়,

‘আমি বাজারে, তুমি কতদূর?’

‘আমিতো এখনও ভালুকার ভিতরে।’

‘ভালুকার ভিতরে মানে? ভালুকা পৌঁছাও নাই?’

‘সেই সময়তো তাই মনে হইছিল, কিন্তু এখন তো দেখি এইটা ভালুকা না। ভালুকার ভিতরের একটা জায়গা।’

‘তাহলেতো আরও অনেক সময় লাগবে। আচ্ছা আসো।’

মনে মনে কিছুটা আশাহত হলেও তা প্রকাশ করেনা রাশেদ। আরশিতো আর এই রাস্তা চেনে না। ভুল হতেই পারে। বিকেল ৫ টা বেজে গেছে। তাই আর বাসায় ফিরবে না বলে ঠিক করলো। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে বাস দেখতে লাগলো।

আরশি আসছে নতুন চালু হওয়া বিআরটিসি ডাবল পার্টের বাসগুলোতে। বসেছে বাসের ডান পাশে শেষ থেকে চার নম্বর জানালায়। এটা একটা বড় সমস্যা। রাস্তার মাঝখানে তো আর দাঁড়ায় থাকতে পারবে না। ওপর পাশ থেকে দেখতে হবে। ঠিকমত দেখতে কি পাবে?

দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ প্র্যাকটিস করলো, বাস আসলে দ্রুত শেষ থেকে চার নম্বর জানালায় তাকাতে পারে কিনা। কিছুক্ষণ দেখে বিরক্ত হয়ে শেষে হাটতে লাগলো। শেষ পর্‍্যন্ত আরশির সাথে দেখা হবে এটা চিন্তা করে মনের বিরক্তি দূর করার চেষ্টা করতে লাগলো।



আরশি........

রাশেদের সাথে আরশির পরিচয় দেড় বছরের উপরে। ও তখন পড়ে রংপুর মেডিকেল কলেজে। ফোর্থ ইয়ারে। আর আরশি ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার্থী। বাসা জামালপুরে। এক বান্ধবীর সাথে দুষ্টুমি করে বলে বসে যে, ‘ডাক্তার ছেলের সাথে প্রেম করবো।’ শুনে বান্ধবি বলে যে ‘দাড়া। আমার কাছে নাম্বার আছে।’ বলে সে বের করে মেডিকেল ছাত্রদের একটা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ম্যাগাজিন। সেখানে সব মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধিদের নাম্বার দেওয়া ছিল। সেখান থেকে নিয়েই আরশি ফোন দেয় রাশেদকে। এতগুলো নাম্বারের ভিড়ে ও কেন এই নাম্বারটাতেই কল দিল তার জবাব ও নিজেও জানে না। উপর্বালার ইচ্ছা এমন ছিল, তাই হয়তো।

রাশেদ সেদিন কলেজ থেকে ফিরে পেপার পড়তে গেছে। ফিরে এসে দ্যাখে দুটো মিস কল। ফোনটা ওদের সংগঠনের। অনেকেই রক্ত এবং বিবিধ সাহায্যের জন্য ফোন করে তাতে। সেটা ভেবেই ও ব্যাক করে।

কিন্তু ব্যাক করে আরশির উলটা পালটা কথা শুনে বেশ বিরক্তই হয় সে, এবং সেটা প্রকাশ করেই ফোনটা কেটে দেয়। আরশিও দমবার পাত্রী নয়। সে ও সমানে কল দিতেই থাকে। ফলে রাশেদ ফোন ধরতে বাধ্য হয় এবং তাকে আর ডিস্টার্ব না করার সনির্বন্ধ অনুরোধ করে। আরশিও, ‘ঠিক আছে ভাইয়া, আর ডিস্টার্ব করবো না। আমি জাস্ট আপনার ফ্রেণ্ড হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনি যখন চাচ্ছেন না, তখন থাক নাহয়।’ বলে ফোনটা কেটে দেয়।

রাশেদ ভেবেছিল বাঁচা গেল, কিন্তু রাতে শুরু হলো এসএমএস।

‘ভাইয়া, আপনি এত কাঠখোট্টা কেন?’

‘আমি তো শুধু আপনার ফ্রেন্ডই হতে চাইছিলাম আর কিছু না।’

‘ও ভাইয়া, একবার ফোন দেন না, আমার ফোনে টাকা নাই।’

‘ভাইয়া, একবার ফোন দেন আর ডিস্টার্ব করবো না।’

‘ভাইয়া আমিও মেডিকেলে পড়বো, কিছু টিপস দেন।’

এরকম আরও। বিরক্ত রাশেদ কোনোটারই উত্তর দেয় না। আরশির জেদ চেপে যায়। ও রাশেদকে দিয়ে এসএমএস ব্যাক করাবেই। ফলে এসএমএস চলতেই থাকে। রাশেদ নাম্বারটা ব্লক করে দেয় কিন্তু ব্লক করলেও এসএমএস ব্লক হয় না।

শেষমেশ তিনদিন আর ১৬০টা এসএমএসের পর মাইক্রোবায়োলজি লেকচারে বসে রাশেদ ফিরতি মেসেজ দেয়, ‘আমি হারতেই ভালোবাসি, আজও নাহয় হারলাম। খুশি? আশা করি আপনার ইচ্ছে পূরণ হয়েছে।’

এসএমএস পেয়ে আরশি খুশিতে খাট থেকে লাফ দিয়ে পড়ে গিয়েছিল। সেই থেকে শুরু। রাশেদ ব্যস্ত থাকতো আর আরশিও বাসায় মায়ের প্রহরায় বেশি কথা বলতে পারত না। তাই এসএমএসই হতো বেশি। রাশেদ অবশ্য সবগুলোর উত্তর দিত না। কয়েকটা জমলে তারপর একটা উত্তর হয়তো পাঠাত।

শুরুর দিকের মেসেজ সব একই টাইপের ছিলো,

‘গুড মর্নিং’

‘খাইসেন?’

‘কি খাইসেন?’

‘এখনো খান নাই?’

‘এতো বেলা হলো নাস্তা করবেন না?’

‘গুড নাইট’

রাশেদ অবাক হতো, আরশিকে জিজ্ঞেসও করতো, ‘আচ্ছা আমার খাওয়ার খোঁজ নিয়ে আপনার লাভ কি?’

‘ওমা, মানুষ মানুষের খোঁজ নেয় না?’

‘নেয়, কিন্তু আপনি আমার এত খোঁজ কেন নিচ্ছেন? আপনার আপনজনদের খোঁজ নেন। আমার কেন?’

কেন ও’র খোঁজ নেয় তা আরশি নিজেও জানত না। শুরুতে দুষ্টুমি এরপর জেদের বশে রাশেদকে বিরক্ত করলেও এখন এই ব্যাপারটা কেমন নেশার মত হয়ে গেছে। তাই এলোমেলো উত্তর দিয়ে এড়িয়ে যেত।

রাশেদেরও ব্যাপারটায় কেমন যেন অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। সকালে উঠে গুড মর্নিং না পেলে বা দুপুরে খাওয়া দাওয়ার খোঁজ কাউকে দিতে না পারলে কেমন যেন লাগত। যদিও রাশেদ কখনোই প্রথমে মেসেজ দিত না। শুধুমাত্র আরশি মেসেজ দিলেই তার উত্তর দিত। আরশি অনেক রাগ, অভিমান করেও এই অভ্যাস সরাতে পারেনি।

রাশেদও নানাভাবে আরশিকে বোঝানোর চেষ্টা করতো যে, এভাবে ও’র পিছনে সময় নষ্ট করা ঠিক না। ও একজন অসামাজিক মানুষ। আরশির care-এর প্রতিদান সে কখনোই দিতে পারবে না।

আরশি ভয় দেখায়, ‘আপনি যে আমার খোঁজ নেন না, আমি যদি আপনার সাথে আর যোগাযোগ না করি?’

‘না করলে আমি আসলে কিছু করতে পারবো না। কাউকে ধরে রাখা আমার স্বভাবের মধ্যে নাই। আমি আমার কাছের লোকদেরও ঠিকমত খোঁজ খবর নেই না।’

‘আচ্ছা, যারা আপনার এত খোঁজ নেয়, care করে, আপনার কি উচিত না তাদের একটু খোঁজ নেয়া? অন্তত তাদের ভালবাসার কথা চিন্তা করেও কি আপনার এই স্বভাবটা পাল্টানো উচিত না? এটা আমার কোন অনুরোধ না, আপনার প্রতি প্রশ্ন।’

রাশেদ উত্তর না দিলেও এরপর থেকে প্রায়ই সকালে উঠে ‘গুড মর্নিং’ মেসেজ পাঠাতো।

ততদিনে আরশির এইচ এস সি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ময়মনসিংহ এসে ভর্তি হয়েছে মেডিকেল ভর্তি কোচিং-এ। থাকে একটা হোস্টেলে। ওদের আলাপের সীমানা সাধারণ খোঁজ খবর থেকে ছাড়িয়ে, ভর্তি প্রস্তুতি, পড়াশোনা, কোচিং এর ক্লাস কিংবা আরশির বান্ধবিদের সাথে মজার ঘটনা ইত্যাদিতে পৌঁছেছে। তবে বহুত বলেও ততদিনে আরশি রাশেদকে দিয়ে তুমি বলাতে পারেনি। আরশি প্রায়ই ও’র বন্ধু বান্ধবের প্রেমের কাহিনী কিংবা ওকে কতজন প্রপোজ করেছে সেসব ঘটনা বলতো। রাশেদ সবই বুঝত কিন্তু উত্তরে শুধু হাসত।



‘এই আমি সীট চেঞ্জ করসি।’ আরশির মেসেজ আসে।

‘কেন? কোথায় এখন?’

‘পাশের মহিলা বমি করতেসে। আর সীট ফাকা হল তাই। এখন অবশ্য এক ছেলের পাশে বসছি।’

‘জানালার সাথে?’

‘না।’

‘জানালার পাশে আসো। ব্যাটাকে বল যে তোমার বমি লাগছে।’

‘বলব, একটু পর। কাছাকাছি আসি।’

‘ওকে।’



আরশির পাশে একটা ছেলে বসেছে ভাবতেই এখন কেমন লাগল অথচ এক সময় ও নিজে জোর করে আরশির সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল। কারণ রাশেদ বুঝতে পারছিল যে আরশি ধীরে ধীরে ও’র প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ছে। রাশেদের তখন দায়িত্ব পরিবর্তন হয়েছে, ফলে সংগঠনের ফোনটাও হস্তান্তর করা লেগেছে। ও ভাবল, এই সুযোগ। আরশির ফোন নাম্বার আবারো ব্লক করে দেয় ও। যাকে ফোনটা দেয়, তাকেও বলে দেয় যেন কোন অবস্থাতেই ও’র পার্সোনাল নাম্বার আরশিকে না দেয়া হয়। কিন্তু আরশিকে ও চেনেনি। যতই বলা হয় যে, রাশেদ এই নাম্বার আর ব্যবহার করে না এবং ওর পার্সোনাল নাম্বার দেয়া যাবে না, মেসেজ বৃষ্টি ততই বাড়ে। প্রায় দুই মাস পরও যখন আরশি নিয়মিত মেসেজ দিতে থাকে ঐ নাম্বারে তখন বাধ্য হয়ে রাশেদকে ও’র পার্সোনাল নাম্বারটা দেওয়া লাগে।

নাম্বার নিয়ে রাশেদকে ফোন দিয়েই কেঁদে দিল আরশি। রাশেদ বহু চেষ্টা করেও থামাতে পারে না। অনেক কষ্টে কান্না সামলে শুধু বলতে পারলো, ‘সবাই সবাইকে পাচ্ছে, আমি কেন আমার মানুষটাকে পাবো না, বলতে পারেন?’

বলেই কেটে দিল ফোন।

রাশেদ স্তব্ধ হয়ে বসে রইল অনেকক্ষণ। শেষ রক্ষা হলো না। যা ভয় করেছিল, তাই হলো শেষ পর্‍্যন্ত।

তারপর প্রথমবারের মত আরশিকে ফোন দিল ও।

না, রাশেদ কান্না শুনেই গলে যায়নি। বুকের মধ্যে একটু কেমন লেগেছিল শুধু। একটা মেয়ে তার জন্য কাদছে। এই অনুভূতিটাই ওকে গ্রাস করে রেখেছিল।

সেই অনুভূতির পূর্ণতা পায় আরও তিন মাস পরে।

রাশেদ বেড়াতে গেছে গ্রামের বাড়ি। আকাশ ভরা জোছনা রাতে নদীর কিনারে বসে ও’র বৈরাগ্য জেগে উঠলো। আরশিকে মেসেজ দিল,

‘আমি ঘর ছেড়ে যাচ্ছি’

‘কেন?’

‘গৌতম বুদ্ধ হব?’

‘আর ফিরবেন না ঘরে?’

‘নাহ, ঘরে কেউতো আমার জন্যে অপেক্ষায় নেই।’

‘অপেক্ষা করার জন্য কাউকে রাখছেন ঘরে?’

‘আমার মত একজনের জন্য কেউ কি অপেক্ষায় থাকবে কখনো?’

‘জিজ্ঞেস করে দেখছেন?’

‘থাকবেন?’

‘না।’

রাশেদ মনে মনে হাসে অনেকক্ষণ। তারপর মেসেজ দেয়,

‘থাকবা?’

‘হুম, থাকব’

‘কতদিন?’

‘জনম জনম’



তারপর থেকে ওদের একসাথেই পথ চলা। রাশেদ ভেবে অবাক হত কি করে একজন মানুষ এমন ভাবে জীবনের অবিচ্ছেদ্য কেউ হয়ে যেতে পারে। যে কিনা মোবাইলে ৫ মিনিট কথা বলেই হাফিয়ে যেত, সে এখন টানা ঘণ্টা খানেক কথ বলেও তৃপ্ত হয় না। কত কথা বলার পরও কত কথা বাকী থেকে যায়।

আরশি প্রায়ই জিজ্ঞেস করতো, ‘আচ্ছা তুমি যে আমারে না দেখেই পছন্দ করলা, যদি আমার চেহারা ভালো না হয়?’

রাশেদ দুষ্টুমি করে বলতো, ‘চেহারা ভালো না হলে ডাইরেক্ট বাতিল। বাজে চেহারার মেয়ে আমার একদম পছন্দ না।’

আরশির কণ্ঠে অভিমান ঝরত।

একই প্রশ্ন রাশেদ পালটা করলে আরশি বলতো, ‘তুমি অনেক সুন্দর আমি জানি।’

‘কিভাবে?’

‘যার মন এত সুন্দর, সে সুন্দর না হয়েই পারে না।’

‘ওরে বাবা। মিস পাম্প মেশিন হইস দেখতেসি।’

যতই দুষ্টুমি করুক রাশেদ জানে, চেহারা কুৎসিত হলেও ও সম্ভবত আরশিকে কখনোই ফেরাতে পারবে না। আরশির ফোনে এমএমএস করা যায় না, ও’র ফেসবুক আকাউণ্ট নেই। কম্পিউটার আছে কিন্তু ওদের এলাকায় নেট ব্যবহারের চল নেই। তাই ওদের পরস্পরকে দেখা আর হয়নি। চিঠির মাধ্যমে পাঠানো যেত কিন্তু কে না কে দেখে ফেলে এই ভয়ে রাশেদ আর ছবি পাঠাতে বলেনি।

আর সরাসরি দেখা করার তো সুযোগই নেই। রাশেদ থাকে রংপুর আর বাসা গাজীপুরে। আরশি জামালপুর। সেখানে যাওয়ার সময় সুযোগ কোনটাই রাশেদের নেই। সামান্য যে কয়দিন কলেজ বন্ধ থাকে তা বাসাতেই কেটে যায়।

তাই কথা শুরু হওয়ার এক বছর পরও ওদের দেখা করা আর হয়ে ওঠেনি।



ভাবতে ভাবতেই রাশেদ খেয়াল করলো, হেটে হেটে অনেক দূরে চলে এসেছে ও। মেসেজ পাঠাল,

‘কতদূর?’

‘মেহেরখুটি’

‘আর কতক্ষণ লাগবে?’

‘জানিনাতো।’

‘পাশের লোকটাকে জিজ্ঞেস কর, নয়নপুর আসতে কতক্ষণ লাগবে?’

‘জানে না ব্যাটা।’

‘আচ্ছা আসতে থাকো।’

‘ভালুকা আসলে আমাকে জানায়ো। ভালুকার পর জমিরদিয়া। তারপর জৈনা বাজার, তারপরেই নয়নপুর।’

‘আচ্ছা।’

রাশেদ নিজেও মেহেরখুটি চেনে না। তাই এক টেম্পুওয়ালাকে জিজ্ঞেস করে মেহেরখুটি কতদূর। লোকটাও জায়গাটা চেনে না। তার মানে আরও অনেক দূরই আছে। সে আবার উল্টো দিকে হাটা দেয়।



আরশির সাথে রাশেদ দেখা করার চেষ্টা অবশ্য করেছে। আরশি সেবার ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছে বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেটা রাশেদদের বাসার কাছেই। রাশেদ তা শুনেই চলে এলো রংপুর থেকে।

পরদিন পরীক্ষা শুরুর আগেই রাশেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে গিয়ে হাজির। আরশির হলুদ ড্রেস পরে আসার কথা। এই ড্রেসটায় নাকি ওকে পরীর মত লাগে। শুনে রাশেদ হেসেছিল খুব।

‘এই, তুমি হাসলে কেন?’

‘এমনই, পরীর মত লাগে বললে, তাই।’

‘এতে হাসার কি আছে?’

‘তুমি হলুদ পরী?’

‘হুম, কোন সমস্যা?’

‘না, হলুদ কিসের রং?’

‘হলুদ তো কত কিছুরই রং।’

‘আমার তো হলুদ শুনলেই ইয়ের কথা মনে পড়ে। তুমি কি তাহলে ইয়ে পরী?’

‘কি? আচ্ছা ঠিক আছে যাও। আমার সাথে দেখা করা লাগবে না।’

শুনে আবারো হাসে ও।

ভার্সিটির গেটে সেকথা মনে হতে আরেক দফা হাসে রাশেদ। কিন্তু দ্রুতই ও’র হাসি মিলিয়ে যায় যখন দেখে হলুদ ড্রেস পরা অনেকেই ও’র সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছে। আরশিকে মেসেজ দেয় কিন্তু ফোন বন্ধ। অবশ্য সেটাই কথা ছিল কারণ আরশির বাবা সাথে থাকবে আর পরীক্ষার হলে ফোন নেওয়া নিষেধ। তাই ও আগেই বলে রেখেছিল যে ফোন অফ করে বাবার কাছে দিয়ে দেবে। এখন কি করে। ও’র সামনে দিয়ে তখন হলুদ ড্রেস পরা যত মেয়েই যাচ্ছিল ও তার পিছু পিছু পরীক্ষার হল পর্‍্যন্ত গিয়ে ঘুরে আসে কিন্তু কারো ভাবেসাবেই আরশি বলে ঠাহর করতে পারলো না। একই কাজ পরীক্ষা শেষেও করলো কিন্তু ভাগ্যে শিকে ছিড়ল না। কি আর করা! মেজাজ খারাপ করে ঐদিন আর কথাই বলে নি আরশির সাথে।

রাজশাহী ভার্সিটিতে পরীক্ষা দিতে গেলে অবশ্যই দেখা করবে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবশেষে রাশেদকে ঠাণ্ডা করে আরশি।



‘হোসেনবাড়ী।’ আরশির মেসেজ।

‘আর কতক্ষণ?’

‘জানিনা, খুব জ্যাম।’

‘হইসে তাহলে, আজকে আর দেখা করা লাগবে না।’

‘কেন?’

‘আকাশে মেঘ জমেছে। সন্ধ্যাও হয়ে এলো প্রায়। এই রাস্তায় লাইট নাই আমাকে দেখতে পাবা না।’

‘ঠিক আছে তাহলে তুমি চলে যাও। আর কষ্ট দেব না তোমাকে। দেখা করা লাগবে না।’

‘তো এতক্ষণ কষ্ট দিলা কেন?’

‘ভুল হইসে?’

আর কোন জবাব দেয় না রাশেদ। রাগারাগি করে ও দেখা হওয়াটা মিস করতে চায় না। রাস্তা জ্যাম তো আর আরশির দোষ না। বিরক্তি কাটাতে আবারো আরশির চেহারাটা মনে করার চেষ্টা করে ও।



প্রথম দেখা হয়েছিল ও’র সাথে রাজশাহীতে। আরশি গেছে রাবি’তে ভর্তি পরীক্ষা দিতে। রাশেদও রংপুর থেকে চলে আসে। আগের বার ধরা খাওয়ায় ওরা এবার আর ক্যাম্পাসে দেখা করেনি। করে বাস স্ট্যাণ্ডে। যেখানে হলুদে হলুদে গুলিয়ে ফেলার ঝুঁকি কম। আরশিরা বাসের জন্যে কাউণ্টারে অপেক্ষা করছিল। ওরা বাসে ওঠার আগ পর্‍্যন্ত রাশেদ ওখানে বসে ছিল। যেহেতু দেখা হওয়ার আগেই রাশেদ আরশিতে মুগ্ধ হয়েছিল। তাই দেখা হওয়াটা ছিল শুধুমাত্র রাশেদের কল্পনাকে একটা বাস্তব রূপ দেওয়া। তারপরও আরশিকে দেখে ও’র মুগ্ধতা আরও বেড়েছিল। না, অনেকগুলো মেয়ের মধ্যে আরশিকে দাড় করিয়ে দিলে ও আরশিকে বেছে নিত কিনা জানে না। কিন্তু এখন দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সুন্দরিকে এনে দিলেও ও’র চোখে সে আরশির সমকক্ষ হবে না।



সেই প্রথম সেই শেষ। ৫ মাস হয়ে গেছে আর দেখা নেই। আরশিকে প্রথম দেখে ভেবেছিল যে ভালই হলো। এখন বুঝি না দেখে থাকার কষ্টটা কমবে। কিন্তু ফল হলো উল্টো। যতই দিন যেতে লাগলো ওকে দেখার তৃষ্ণা আরও বাড়তে লাগলো। মাঝে মাঝে মনে হতো সব ছেড়েছুড়ে চলে যায় জামালপুর। তারপর যা হওয়ার হবে। আবার নিজেকে স্বান্তনা দিয়ে থামায়।



এর মধ্যে আরশি প্রথমবারের প্রচেষ্টায় কোথাও ভর্তি হতে না পেরে মাসখানেক হয় ঢাকায় চলে এসেছে আবারো কোচিং করার জন্য। ইচ্ছা ছিল ঈদের ছুটিতে ঢাকায় দেখা করবে কিন্তু রাশেদ যেদিন বাড়ি এলো তার পরের দিনই আরশি জামালপুর চলে যাবে। কিন্তু একবার দেখা না হলে রাশেদের মনে হতে থাকে ও মরেই যাবে।

জামালপুর যাওয়ার একটা রাস্তা রাশেদদের বাসার সামনে দিয়েই গেছে। কিন্তু আরশিরা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে না। কিন্তু এবার আরশি একাই যাচ্ছে তাই ঠিক করে এই রাস্তা দিয়েই ও বাড়ি ফিরবে।

সবকিছুই ঠিকঠাক। রাশেদ সেহরি খেয়ে সেদিন না ঘুমিয়ে অপেক্ষা করছে কখন আরশির বাস আসবে। এক ঝলক হলেও ও আরশিকে দেখবে। কিন্তু হলো না। রাজেন্দ্রপুর এসে যেখান থেকে রাস্তা দুইভাগ হয়ে একটা রাশেদের বাড়ীর সামনে আরেকটা ময়মনসিংহ হয়ে জামালপুর চলে গেছে সেখানেই গাড়ি গেল নষ্ট হয়ে। বাসওয়ালারা নতুন যে বাসে ওদের ব্যবস্থা করে দিল সেটা আর এদিকে এলো না। মন খারাপ করা ছাড়া তাই আর কোন উপায় ছিল না। উপরওয়ালারই হয়তো ইচ্ছা ছিল না, নয়ত এমন কেন হবে?

বাড়ি যাওয়ার পথেই হল না, আসার পথে তো সম্ভাবনাই নেই। কারণ আরশিদের বাড়ীর কাছ থেকে যে বাস ছাড়ে তা এই রাস্তা দিয়ে যায় না। আর আরশির বাবা কখনোই ওকে ওই বাস ছাড়া যেতে দেবে না।

কিন্তু এবার ওদের ভাগ্যে ঘটলো উল্টো ঘটনা। ঈদের ভিড়ে আরশির বাবা ঐ বাসে সীট পেলেন না। কিন্তু আরশির ফেরা জরুরি, তাই বাধ্য হয়েই আরশিকে ময়মনসিংহের বাসে তুলে দিলেন। ওখানে এসে ও ঢাকার বাসে উঠবে। এবং অবশ্যই সেই বাসে যেটা নয়নপুর মানে রাশেদদের বাসার সামনে দিয়ে যায়।



সেই অপেক্ষাতেই রাশেদ আছে সারাদিন। ও’র ছুটি শেষ আজই চলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই খবর পাওয়ার পর আর যায়নি।

কখন আসবে? সে সকাল থেকে অস্থির হয়ে আছে ও।

এখন বাসের বামে জানালার ধারে আছে আরশি। রাশেদ আবারো রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে লাগলো ঠিকমত দেখা যায় কিনা।

হঠাৎ একটা বিআরটিসি দুই পার্টের বাস দেখে কলজেটা লাফ দিয়ে উঠলো রাশেদের। খেয়াল না করেই চলে এলো নাকি? সাথে সাথে ফোন দেয় আরশিকে। কিন্তু ফোন ধরতে ধরতে বাসটা ওকে ক্রস করে চলে যায়। আকুল হয়ে ও বাসের জানালায় একটা পরিচিত মুখ খোঁজে। কিন্তু না, সেরকম কেউ নেই। ফোন ধরতেই অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করে,

‘এই, একটা বিআরটিসি দুই পার্টের বাস গেল সামনে দিয়ে। তুমি ছিলে নাকি?’

‘না না। আমি তো এখন নাসির গ্লাসের সামনে। কোথায় এইটা?’

‘কাছাকাছি চলে আসছ। জানালার পাশে আসছ?’

‘হুম।’

‘আচ্ছা। আসো। আমি আছি।’

সময় যায়, অস্থিরতা বাড়ে রাশেদের। অন্ধকার হয়ে আসছে। বাসের ভিড়ও হঠাৎ বেড়ে গেছে। এর মাঝে দেখতে পারবে তো আরশিকে? রাস্তায় বিশাল জ্যাম লেগেছে। ইশ! এই মুহুর্তে যদি আরশিদের বাসটা পৌঁছাত! ও নিশ্চিত বাসটা এমন সময় পৌঁছাবে যখন রাস্তায় কোন জ্যাম থাকবে না।



‘আমি জমিরদিয়া।’ আরশির মেসেজ।

‘আর ১০ মিনিট মত লাগবে। একটু পরই দেখবা ময়মনসিংহ শেষ। ঈদ মোবারক লেখা এক লোকের পোস্টার লাগানো আছে। তারপরেই জৈনা বাজার। পৌঁছায়ে আমাকে জানাবা।’

‘আচ্ছা।’

উত্তেজনায় রাস্তার একদম কাছে চলে আসে রাশেদ। সাই সাই করে বাস যাচ্ছে। সবার কি এখনই তাড়া শুরু হল নাকি। জ্যাম লাগা দরকার এখন কিন্তু তার কোন খবরই নাই।



‘জৈনা বাজার’ মেসেজ আসে।

‘এর পরেই নয়নপুর। খুব ভালো করে ডানে খেয়াল করো। আরএকে সিরামিক্স এর ফ্যাক্টরীর পরেই দেখবা একটা বাজার। ঐটাই নয়নপুর। তুমি আরএকে সিরামিক্সের সামনে আসলেই আমাকে ফোন দিবা। আর জানালার বাইরে মাথা বের করে রাখবা’

‘ঠিক আছে।’



দৃষ্টি তীক্ষ্ণ করে অধীর আগ্রহে রাস্তায় তাকিয়ে থাকে রাশেদ। একটা বিআরটিসি ডাবল পার্ট আসতে দেখা যায়। এটা নাকি? এতো তাড়াতাড়ি তো পৌঁছানোর কথা না। ফোনের দিকে তাকায়। না কল আসেনি। তার মানে এটা না। তার পরও অস্থিরভাবে সবগুলো জানালায় চোখ বুলায়। না নেই। স্বস্তি পায় একটু।

একটু পরই বেজে ওঠে ফোন। তাকিয়ে দ্যাখে আরেকটা বিআরটিসি আসছে। দম বন্ধ হয়ে আসতে চায় ও’র। ফোন রিসিভ করতে হাতটা কেপে যায়। রিসিভ করে হ্যালো বলতেই বাসটা ও’র সামনে চলে আসে। কিন্তু সাথে সাথেই একটা বাস ওটাকে অভারটেক করতে এগিয়ে আসে। রাশেদের কোন দিকে খেয়াল নেই। ও দৌড়ে রাস্তার মাঝে চলে যায়। অভারটেকিং বাস্টা ওকে এক চুলের জন্য মিস করে। উদ্ভ্রান্তের মত ও বিআরটিসির জানালায় তাকায়। ঐতো দেখা যাচ্ছে। ফোন কানে আরশি জানালার ধারে বসে আছে। কিন্তু তাকায় আছে বাসের ভিতর।

‘কী গাধা!’ প্রচণ্ড রেগে যায় রাশেদ। ‘বলছি বাইরে মাথা বের করে রাখতে সে ভিতরে তাকায় আছে।’ মনে মনে ভাবে ও। ‘শালার জ্যামও লাগে না। চলে গেল তো বাসটা।’

অভারটেকিং বাসটা সামনে চলে যাওয়ায় বিআরটিসি ব্রেক করে দাঁড়ায়। আর রাশেদ চিৎকার করে ওঠে ‘বাইরে তাকাও।’

আরশি চমকে বাইরে তাকায়।



জানালার বাইরেই দাঁড়িয়ে রাশেদ। সোজা ও’র দিকে তাকিয়ে। সন্ধ্যার আলো আধারিতে চেহারা ঠিকমত দেখাও যায়না। কতক্ষণ তাকিয়ে ছিল ওরা জানে না। কয়েক সেকেন্ড সর্বোচ্চ। তাই চোখের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকা হয়নি, কপালের কয়েকটা অবাধ্য চুল মুখের সামনে এসে দুষ্টুমি করছিল কিনা সে খোঁজ নেয়া সম্ভব হয়নি, ঠোঁট দুটো কেপে কিছু বলার চেষ্টা করছিল কিনা তাও খেয়াল করা হয়নি। শুধু প্রায় বিস্মৃত একটা মুখাবয়বের সাথে মিল খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। আর স্মৃতির ওপর নতুন করে প্রলেপ ফেলা চেহারাটাকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই চিরস্থায়ী ভাবে সংরক্ষণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চলেছে। তাই এতদিন পর দেখা, তবুও চোখে ভালোবাসার বদলে ভ্রূকুটিই দেখা গেল।

কিন্তু তার মাঝেও অতলান্ত ভালোবাসার আবেগমাখা ঢেউ এসে ওদের ভিজিয়ে দিয়ে গেল।

সামনের বাসটা সরে যেতেই বিআরটিসি আবার চলা শুরু করলো। রাশেদ বলতে চাইল, ‘নেমে যাও আরশি।’ কিন্তু বলতে পারলো না। ও’র গলাটা কেমন ধরে এসেছে। মনে হচ্ছে বাসটা ও’র কলিজাটা ছিড়ে নিয়ে যাচ্ছে। শেষে না পেরে ফোন কেটে দিল।



মেসেজ এলো একটু পর, ‘তোমার মুখটা অমন শুকনো কেন?’

আরশি জানে না, রাশেদের মুখটা আর শুকনো নেই। আকাশে মেঘ। বৃষ্টি এখনও নামেনি, কিন্তু তার আগেই রাশেদের চোখে অঝর বর্ষা। সূর্‍্যের শেষ আলোর প্রতিফলনে তা রক্তক্ষরণ বলে ভুল হয়।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১১

খেয়া ঘাট বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে।অনেক ভালো লেগেছে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।

( লাইক বাটনটা কেন যেন কাজ করছে না)

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৫

ট্রাক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। নিয়মিত আমার গল্প পড়া এবং উৎসাহের জন্য।

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫১

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ভাগ্যিস লাইক বাটনটা আমার ক্ষেত্রে কাজ করেছে। নয়ত ভাললাগা জানানোটা কঠিন হয়ে যেত।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১১

ট্রাক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
কমেণ্টেও লাইক দেওয়ার অপশন থাকলে ভালো হতো।

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৯

ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: গল্পটা আমার খুবই ভালো লেগেছে... ... আর এর সাথে আমাদের কিছু জিনিস মিলেও যাচ্ছে... ... তাই পড়ে আরো ভালো লাগলো... কিন্তু কথা হচ্ছে এভাবে কী করে পারেন লিখতে... মনের ভাষা কী করে লিখায় রূপ দেন? আজ আমি একটা ডায়েরীতে লেখা গল্প ব্লগে লিখলাম... হুম পড়েছে অনেকেই কিন্তু কোন ফিডব্যাক পাই নাই... একজন তাও দিয়েছেন...... শেষের দিকে আরো বিস্তারিত লিখলে ভালো হত...... শুধু এতটুকুই...... আর আপনার গল্প পড়ে মনে হল on the spot দেখতেছি...

লেখা চালিয়ে যান... ভালো ভালো লেখা আশা করছি...। ... ... । ...

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১৮

ট্রাক বলেছেন: আমার এক্সাইটমেণ্ট আপনার মাঝেও ছড়িয়ে দিতে পেরেছি জেনে ভালো লাগলো।

অন দ্য স্পট বর্ণনা কতটুক দিতে পেরেছি জানিনা। তবে কয়েকদিন আগে বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বাস দেখতে দেখতে আইডিয়াটা মাথায় এসেছিল।

আর একটা কথা, লিখুন মনের আনন্দে। আপনার লেখার আপনিতো ভক্ত, নাকি?

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো লেগেছে পুরোটাই।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১৯

ট্রাক বলেছেন: পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮

মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লেগেছে ।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

ট্রাক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩

অপ্রচলিত বলেছেন: আপনি চমৎকার গল্প লেখেন। পড়তে পড়তে মগ্ন হয়ে গিয়েছিলাম। মন ছুঁয়ে গেল গল্পটা। আমার ধারণা আপনি খুব ভালো উপন্যাস লিখতে পারবেন চাইলে। পোস্টে অনেক অনেক ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম :)

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

ট্রাক বলেছেন: উপন্যাস লেখার ধৈর্য নাই ভাই।
বহু কষ্টে দুই চার লাইন লিখি।
তাতেই খবর হয়ে যায়।

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৮

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: দেখা করা এত কষ্ট !! কাজ নেই দেখা করে ;) ;)



আজ আপনার অনেকগুলো পোস্ট পড়ে ফেললাম।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৫

ট্রাক বলেছেন: তাইতো দেখছি। অনেকদিন পর ব্লগে এলাম। তাই জবাব দিতে দেরি হল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.