নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হালুম !

গন্তব্য দিগ্বলয়ে। ... এই বদ্ধ শহর থেকে অনেক দূরে।

রক্তাক্ত পিপীলিকা

অনিয়মিত ।

রক্তাক্ত পিপীলিকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওখানে যেও না, ওখানে কুকুর আছে !

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫০

- লক্ষ্মী মেয়ে আমার... ওখানে যেও না, ওখানে কুকুর আছে।
- ভয় নেই বাবা, আমি বড় হয়েছি।
- কুকুর গুলাও বড় হয়েছে মা।
- আমাদের দেশ এখন অনেক ভালো, সব মানুষগুলা সচেতন, নারীদের সম্মান দেয়।
- সব ভন্ডামি, মা! সুযোগ পেলে রাতে, আড়ালে, আবডালে ...
- বাবা, কি বলো এসব ! তোমাদের সময়ও এসব হত বুঝি?
- মা, সব যুগেই সব কিছু হয় ! সময়ের সাথে সাথে এর মাত্রাটা একটু বেড়ে যায় ...
- বাবা, দেখ ! আমি স্বাধীন দেশের স্বাধীন মানুষ। তুমি আমাকে বাধা দিতে পারবে না।
- মা, যদি কিছু হয় !
- কি হবে বাবা, আমি কি দুর্বল, আমাদের দেশের আইন কি দুর্বল !
- কুকুরগুলো সবল ! আইন তাঁদের কাছে তামাশা। দিনের আলোতে, রাতের অন্ধকারে ... সুযোগ খুজে ... তাঁদের আছে প্রটেকশন। কুকুর জয়গান গাওয়ার জন্য নেত্রী, নেতা। আছে চেতনার হাহাকার, ভন্ডামি প্রতারণার চিৎকার। মুমূর্ষু মানুষের আর্তনাদ এদের মনকে গলায় না। এরা মারে, মারায় ... এবং
শেষমেশ ক্ষণিকের আন্দোলন ... তাঁরপর সব নিরব। আর ভোক্তভোগী শুধুই কাদে ... কাল বাধন কেদেছে, আজ তুমি, পরশু সে কাদবে ...

কুকুর নিধন করা হয় না, পালন করা হয়। দুর্ভাগ্য কুকুর পালনকারীরাই আমাদের রক্ষক !

☯ চার-পাঁচ জন হাতে বেরিগেইড দিয়ে ছেলে আর মেয়েকে নিয়ে ঐ কর্নার পর্যন্ত যাচ্ছি। আমারা এমনো আওয়াজ শুনতেছি, ভিডিও কর, ভিডিও কর! এই দৃশ্য আর পাওয়া যাবে না!

☯ মেয়েটা যদি আজকে সুইসাইড করে তবে আমি অবাক হব না।

☯ এখানে ত আমরা একটা ঘটনা দেখলাম। একই সাথে তখন তিন চারটা স্পটে এই ঘটনা ঘটছে। আমরা গোল মোড় দেখছি মানেই ধরে নিচ্ছি, ওখানে একটা মেয়ে মাঝখানে পড়ে আছে।

☯ আমরা দ্রুত যেয়ে দুইজন পুলিশকে বললাম, আপনাদের আশে পাশে যে পুলিশগুলা আছে, তাঁদের ফোন দেন। কারণ আমার ফোন যাচ্ছে না, আমি আমার কর্মীদের ফোন দিতে পারছি না, প্রক্টরকে ফোন দিতে পারছি না। কিন্তু তাঁরা দাড়ায়া আছে।

☯ মেয়েটাও বিবস্ত্র মানে সেই জামা কাপড় ছেড়া এবং মেয়েটা অজ্ঞান হয়ে গেছে। দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে, মেয়েটাকে যে জড়ায়ে ধরে আছে। মেয়েটার সঙ্গী, তাঁকে অনবরত মারা হচ্ছে এবং অজ্ঞান হয়ে আছে তাঁর মাথার ওপর পায়ের ছাপ পড়তেছে, এর মধ্যে তাঁর ওপর পাশবিক নির্যাতন চলতেছে।

☯ এই আইল্যান্ডে অনেকগুলা লোক দাঁড়িয়ে ছিলেন। বিশ্বাস করবেন না আমি সকল লোককে ডাকতে ভয় পাচ্ছিলাম, কারণ তখন আমার মনে এমনটা ভয় কাজ করছিল, ঐ লোকটাকে যদি ডাকি, ওরা না আবার যৌন নির্যাতনকারীদের সঙ্গী হয়ে যায়।

☯ প্রক্টর কম্পিউটারে দাবা খেলছেন। তিনি বলেন, আমি ওখানে যেয়ে কি করতাম। যদি যেয়ে কিছু না করতে পারেন, এখানে বসে থেকে কি করছেন?! প্রক্টর কি করতে পারেন? চায়ের দোকান, রিকশাওয়ালাদের থেকে পঞ্চাশ একশ টাকা নিতে পারেন।



লিটন নন্দীর জবানবন্দি

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.