![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে সব ধরণের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের প্রচলিত ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে সংগঠিত একটি আন্দোলন বা বিক্ষোভ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর চালু হওয়া কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে চাকরি প্রত্যাশী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিলে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে বিক্ষোভ এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে।
আন্দোলনটিতে পাচঁ দফা দাবি আনা হয়।চাকরির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থার ৫টি দাবি নিয়ে চাকরী প্রত্যাশীরা আন্দোলন করছেন।
দাবিসমূহ হলো:
১.সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বর্তমান কোটা ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করা।
২.কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাতালিকা থেকে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া।
৩.সরকারি চাকরিতে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ।
৪.কোটায় কোনও ধরনের বিশেষ পরীক্ষা না রাখা।
৫.চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করা।
সাধারণ মানুষের এই বৃহৎ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের দেশের গণমাধ্যম গুলোর অবস্থান নিন্মে উপস্থাপন করা হলো:
প্রথম আলো:
প্রথম আলোতে প্রকাশিত তথ্যমতে,
নিবন্ধিত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দুই-আড়াই লাখ, অর্থাৎ এক হাজার মানুষের মাঝে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১.২ জন বা ১.৫ জন। যা সমগ্র জনসংখ্যার ০.১২/০.১৫ শতাংশ। ০.১২ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার জন্য কোটার পরিমাণ ৩০ শতাংশ। যা হাজারে রূপান্তর করলে দেখা যায়, এক হাজার জনতার মাঝে ১ থেকে ১.৫ (দেড়) জন মুক্তিযোদ্ধার জন্য কোটার পরিমাণ ৩০০।বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৫৫ শতাংশের বেশি কোটা রয়েছে যার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ, জেলাভিত্তিক কোটা ১০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ। তবে নিয়ম অনুসারে এসব কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে ১ শতাংশ প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ১৯ (১), ২৯ (১) ও ২৯ (২) অনুচ্ছেদ9অও সমূহে চাকুরির ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের সমান সুযোগের অও বলা হয়েছে।
মতামত:
উক্ত তথ্যমতে, একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর উপর আপামর জনসাধারণের অধিকারের ভাগ্য জুলেছিল বহুদিন। তাছাড়াও চিরাচরিতভাবে এর সুষ্ঠ সংস্কারের কথাই বলা হয়েছে গণমাধ্যমটি থেকে।
DW
ডিডব্লিউ শীর্ষক একটি অনলাইন পোর্টাল জানায়,
"কোটা আন্দোলনকারীরাই জয়ী হবেন"
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা হামলা, গ্রেপ্তার এবং গুমের আতঙ্কে আছেন– এ খবরের প্রতিক্রিয়ায়, তাঁরা মনে করেন আন্দোলনকারীরাই জয়ী হবেন৷
তাছাড়াও DW তাদের আরেকটি প্রতিবেদনে বলেছেন,
কোটা সংস্কার আন্দোলনের ত্রিমুখী ‘প্রতিক্রিয়া'
কোটা সংস্কার আন্দোলনের যাঁরা নেতৃত্বে আছেন, তাঁরা গ্রেপ্তার ও হামলার আতঙ্কে আছেন৷ মঙ্গলবার তিনজনকে আটক এবং পরে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় তাঁরা এখন ভয়ের মধ্যে আছেন৷ দু-একজন গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে হল ছেড়ে দিয়েছে
কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, নুরুল হক ও ফারুক হাসানকে মঙ্গলবার দুপুরের পর ঢাকা মেডিকেলের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি৷ পরে অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেয়া হয়৷ ওই তিনজনের একজন রাশেদ খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমাদের চোখ বেঁধে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় গালাগাল করা হয়৷ ডিবি অফিসে নিয়ে আমাদের ফ্লোরে বসিয়ে রাখা হয়৷ তখন আমাদের এক বন্ধু নুরুল অসুস্থ হয়ে পড়লেও তার চোখ খোলা হয়নি৷ ডিবি অফিসে আমাকে বলা হয়, তোরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিস৷ তোরা কোনোদিন সরকারি চাকরি পাবি না৷ একই সময়ে ঝিনাইদহে আমাদের গ্রামের বাড়ি থেকে আমার বাবাকেও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ তাঁকে বলা হয়, তিনি জামায়াতের সঙ্গে জড়িত৷ আমার বাবা কৃষক৷ আমি দরিদ্র পরিবারের সন্তান৷ কষ্ট করে এ পর্যন্ত এসেছি৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ-তে ভর্তি হয়েছি৷ কিন্তু এখন যে পরিমাণ হুমকির মুখে আছি, তাতে শেষ করতে পারব কিনা জানি না৷ আটকের পর ছাড়া পেয়ে হুমকির মুখে হল ছেড়ে দিয়ে মিরপুরে এক আত্মীয়ের বাসায় উঠেছি৷''
###তিনি বলেন, ‘‘আমাদের তুলে নেয়ার সময় অনেকেই দেখেছেন৷ সাংবাদিকরা দেখেছেন৷ এই খবর সংবাদ মাধ্যমে আসায় আমাদের ছেড়ে দেয়া হয়৷'
মতামতঃ DW খুব স্পষ্টভাবেই কোটা আন্দোলনের ভবিষ্যতের একটি চিত্র তুলে ধরেছে। তাছাড়াও আন্দোলনকারীদের অবস্থানও নিশ্চিত করেছে অনেকটাই
BBC Bangla news
বিবিসি বাংলার তথ্যমতে,
কোটা সংস্কার আন্দোলন: দূতাবাসগুলোর বিবৃতির অর্থ কী?
কোটা-বিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বিবৃতি দেবার একদিন পরেই সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এবং নরওয়ে দূতাবাসও বিবৃতি দিয়েছে।এসব বিবৃতি তাদের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়েছে।নরওয়ে দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মতপ্রকাশের অধিকারের উপর ধারাবাহিক হামলার বিষয়টি নিয়ে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।"সকল বাংলাদেশীর মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের প্রতিবাদ করার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা করার অধিকার রয়েছে, " এমন কথা উল্লেখ করেছে নরওয়ের দূতাবাস।
অন্যদিকে সুইজারল্যান্ড দূতাবাস তাদের তাদের বিবৃতিতে ঢাকা এবং অন্য শহরে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের উপর সাম্প্রতিক হামলার নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে, যেসব নীতির উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সমাবেশের উপর এ ধরনের হামলা সেসব নীতির পরিপন্থী। নেদারল্যান্ডস দূতাবাস উল্লেখ করেছে মত প্রকাশ এবং সমাবেশ করার অধিকার সার্বজনীন মানবাধিকার। এর আগে গত ৯ জুলাই ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস তাদের ফেসবুক পাতায় প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে বলেছে, "বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা - যারা বাংলাদেশের গর্বিত গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নেতা - তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ওপর আক্রমণ সেই সব মূলনীতির বিরোধী, যার ওপর আমাদের মতো দেশগুলো প্রতিষ্ঠিত।"
এতে আরো বলা হয়, "বাক স্বাধীনতা, জমায়েতের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারের মতো যে মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো যারা প্রয়োগ করছে - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করছে।
মতামত: বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আন্দোলনকারীদের মতপ্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দূতাবাস যে বিবৃতি দিয়েছে সেটি নিয়ে নানা আলোচনা ও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আর বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে সেটি খুবই স্পষ্ট। তাছাড়াও তারা সাহসিকতারও পরিচয় দিয়েছে।
যুগান্তর
"কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ কারাগারে"
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মাদ রাশেদ খানকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর আসামির জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। এছাড়া কোটা সংস্কার নিয়ে ফেসবুক লাইভে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মানহানিকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে রাশেদের বিরুদ্ধে চলতি মাসের ১ জুলাই তথ্যপ্রযুক্তি আইনে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মতামত: কোটা সংস্কার নিয়ে করা এই প্রতিবেদনে একটি মহলের আন্দোলনটি বাধাপ্রাপ্ত করার তথ্য পাওয়া গিয়েছে।তাছাড়াও আন্দোলনটির অবস্থানও স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
নয়াদিগন্ত : চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন সম্পর্কে দেশবাসী কম-বেশি জ্ঞাত আছেন। আন্দোলনের এ পর্যায়ে এতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ওপর যে নগ্নহামলা হয়েছে, তাতে যেকোনো বিবেকবান মানুষ ব্যথিত না হয়ে পারেন না। সরকারের মদদপুষ্ট ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও নির্যাতন চালায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই ধরনের হামলা চালিয়েছে তারা। শহীদ মিনারে হামলার ঘটনা টিভি চ্যানেলসহ মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে। এতে হামলাকারীদের পরিচয় স্পষ্টভাবে জানা গেছে। বীরদর্পে তারা ঘটনাস্থলে আবির্ভূত হয়েছে এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রকাশ্যে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে তাড়িয়ে দিয়েছে। শহীদ মিনারে ও ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের ওপরও তারা অমানবিক ও নিষ্ঠুর নির্যাতন চালিয়েছে। আন্দোলনরত এক ছাত্রকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর নির্মম ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। এ দৃশ্য যারা প্রত্যক্ষ করেছেন, তারা এতে বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন না হয়ে পারেননি। শুধু তা-ই নয়, এই আন্দোলনের নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তাদের পরিবার-পরিজনের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে এবং তাদের নানাভাবে হয়রানি ও অসম্মান করা হচ্ছে, যেন আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসে। পুলিশ ও সরকারদলীয় ছাত্রদের নানাবিদ হুমকি ও নির্যাতন অব্যাহত আছে।
মতামত : নয়াদিগন্ত হতে ঢালাওভাবে সরকারের দিকে আংগুল তুলা হয়েছে। যা অনেকটাই আন্দোলনকারীদের সাথে একরকম একাত্ততা প্রকাশের মতই
সমকাল
"কোন পথে কোটা সংস্কার আন্দোলন"
পত্রিকাটি জানায়, হঠাৎ করেই এলোমেলো কোটা সংস্কারের আন্দোলন। নানাভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন এর সঙ্গে যুক্ত সংগঠকরা। ভয়ে ও আতঙ্কে কেউ কেউ দিয়েছেন গা-ঢাকা। কেউ আবার সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে। এ অবস্থায় এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন 'বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ' পরিষদের নেতারা সম্মিলিতভাবে বসে নতুন কোনো কর্মসূচিও দিতে পারছেন না। তবে শহীদ মিনারে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ১২ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল বের করার কথা রয়েছে। গত এপ্রিলে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। এর পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলতে থাকে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের এ আন্দোলন দুর্বল হয়ে গেছে। আন্দোলনে হামলা, বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হুমকিতে আন্দোলন পরিচালনা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে সমকালের কাছে দাবি করেন আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।
দৈনিক ইনকিলাব
কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরকারি মহলের বিষোদগার এবং এ আন্দোলন দমনের জন্য পেশিশক্তির ব্যবহার ক্রমেই প্রকট রূপ ধারণ করছে। একদিকে চলছে পুলিশি অ্যাকশন, অন্যদিকে চলছে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনটির তাÐব। এ যেন শান্তিপূর্ণ একটি আন্দোলনকে জোরপূর্বক সহিংস করে তোলার সম্মিলিত অপপ্রয়াস! বলা নিষ্প্রয়োজন, এ ধরনের অপপ্রয়াসের ফল কখনোই হিতকর হয় না। যেহেতু কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকারবিরোধী বা সরকার পতনের আন্দোলন নয়, তাই এ আন্দোলনকে পেশিশক্তি দিয়ে দমনের চেষ্টা না করাই শ্রেয়। তাতে সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে আরো জটিল আকার ধারণ করতে পারে।
কোটা সংস্কারের বিপক্ষে
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন চলমান অবস্থাতেই ফেব্রুয়ারিতে কোটা পদ্ধতি চালু রাখার পক্ষে ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড’ নামে একটি সংগঠন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।বাংলাদেশ সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীও সে সময় কোটা সংস্কারের বিপক্ষে বক্তব্য দেন।এপ্রিলে কোটা সংস্কারের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ৯ই এপ্রিল বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মিছিল করে এবং বিভিন্ন সময় আন্দোলকারীদের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।
সর্বশেষ:
হঠাৎ করে নানা অরাজনৈতিক ইস্যু জনপ্রিয় আন্দোলনের বড় বিষয়ে পরিণত হওয়ার প্রবণতায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। দলটি আশঙ্কা করছে, নির্বাচন সামনে রেখে এমন আরও আন্দোলন হতে পারে। আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, অরাজনৈতিক আন্দোলনগুলো জনপ্রিয়তা পেয়ে যাওয়ার পেছনে বড় কারণ দাবিগুলোর যৌক্তিকতা। আন্দোলন সংগঠিত হওয়া এবং তা ছড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এতে সরকারবিরোধী শক্তিও সুযোগ নেওয়ার চেষ্ট করেছে।
তাই আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকারকে শক্তি প্রয়োগ, গ্রেপ্তার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ আরোপের মতো অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।
সরকার ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্রগুলো বলছে, সরকার মনে করছে কোটা সংস্কার ও ছাত্র আন্দোলন আপাতত সামাল দেওয়া গেছে। তবে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে পোশাকশ্রমিকেরা নামেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কা আছে। শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবিটিও সুরাহা হয়নি। তাঁরাও নির্বাচনের আগে সরকারকে চাপ দিয়ে দাবি আদায় করতে চাইবেন। কোটা সংস্কারের আন্দোলনও আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। গত বৃহস্পতিবার ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের এক বৈঠকেও এই আশঙ্কার কথা জানান একাধিক শরিক দলের নেতা। এ জন্য সরকারকে সতর্ক থাকা এবং যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে সুরাহার পথে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন শরিক দলের নেতারা।এই তথ্যগুলো আপামর জনসাধারণের সামনে আমাদের দেশের গণমাধ্যমের দ্বারাই এসেছে। এই ইস্যুতে খুবই স্পষ্ট অবস্থান লক্ষণীয় আমাদের গণমাধ্যম গুলোর বলে আমি মনে করি।
©somewhere in net ltd.