![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘুম থেকে জেগে দেখি আবারও জ্বলছি আমি; স্বপ্নের ভিতর কতবার গুম খুন হই, কতবার পোস্টমর্টেম...
হায়রোগ্লিফিক্সের চেয়েও আদি অথচ প্রথম প্রেম ছায়ার উষ্ণতায় বাষ্পীভূত হলে আকাশেতে মেঘ করে। জলাধারে নির্বিবাদে গবাদির তৃণ খাওয়া দেখে তৃষিত ফড়িঙ উড়ে যায়। পরে থাকে বৃষ্টির সংসারী জল, ঘাসপিতার কোলে। ওদিকে বাতাসের ব্যালেড্যান্সে ছুটে যায় বৈদ্যুতিক সাপ মেঘেরও অলক্ষ্যে; আমাদের রহস্যাকাশে শুধু বাইনস্টার ফুটে রয়!
চেয়ে দেখো নার্সারির গোলাপ বাগানের দিকে- কতখানি ইউরিয়া নির্ভর? এইকথা বলে উড়ে গেলো প্রাণভ্রমরা পত্রহীন বৃক্ষের কাছে। যার তলে জীবছায়া বিচরণ করে, বাদুরেরা কোলাহল থামিয়ে আঁকে নিশাচর নদী। অথচ মনের সুখ মরে যায় মাঠে; শখ চলে যায় জানালায় মাথা রেখে থেমে থাকা দৃশ্যের গহীনে। মাথার শিয়রে বসে থাকা ধর্মগ্রন্থ ভাবে, একদিন এইসব পুঁথি ভেসে যাবে হাওয়ার ঘরে। জ্বলে উঠবে লন্ঠনভাতি। ওদিকে ধীবরের ছুড়ে দেওয়া উড়ন্ত জাল একরাশ শুন্যতা নিয়ে সমুদ্রের উপকণ্ঠে পড়ে। এই দেখে উড়ে যায় দুইটি সারস একটি সূর্যের ডাকে।
বহু পুরাতন আমি... বহুবার নানারূপে এসে ফিরেও গিয়েছি এইসব রেখে। নিঃশব্দে অজস্র্ নদীর থেকে তুলে দেয়া পথে রাখা হলে পা অফেরা গ্রাম শুধু ডাকে। সেইখান থেকে দুইহাতে তুলে দেখি প্রকৃত চাঁদের রঙ কতখানি সূর্যের মতো! শুনে চলি অফুরান বিস্ময়ে নক্ষত্রের হাসি, ছুটে চলা যুগ্ম শালিকের দিকে চেয়ে।
যা-যা কিছু বর্ণের বাইরে, রূপের অলক্ষ্যে তার কিছুই দেখি নি আমি। যেমন দেখে না পাতা, ঝড় শুরু হয়ে গেলে শিকড়ের ভীত মুখখানি। জীবনের অবসাদলিপি পাঠ করে নেমে আসে অন্ধকার আর বাদুরেরা ফিরে পায় আলোকরশ্মি।
জনাকীর্ণ পৃথিবীর চূড়ান্ত ধ্বংসযজ্ঞের মাঝে দাঁড়িয়েও আমি এক রাজ্যহীন রাজা, করে চলি রাজার সাথেই তাই জেহাদ।
০৫ ই জুন, ২০০৯ ভোর ৬:৪০
নৃপ অনুপ বলেছেন: ধন্যবাদ,
পাঠের জন্য।
২| ০৫ ই জুন, ২০০৯ ভোর ৬:৫০
প্রবর রিপন বলেছেন: যা-যা কিছু বর্ণের বাইরে, রূপের অলক্ষ্যে তার কিছুই দেখি নি আমি। যেমন দেখে না পাতা, ঝড় শুরু হয়ে গেলে শিকড়ের ভীত মুখখানি। জীবনের অবসাদলিপি পাঠ করে নেমে আসে অন্ধকার আর বাদুরেরা ফিরে পায় আলোকরশ্মি।
জনাকীর্ণ পৃথিবীর চূড়ান্ত ধ্বংসযজ্ঞের মাঝে দাঁড়িয়েও আমি এক রাজ্যহীন রাজা, করে চলি রাজার সাথেই তাই জেহাদ।
ভাল লাগল
আই এম দ্য লেজার্ড কিং
আই ক্যান দু এনিথিং
ড্যাটস হোয়াই
আই ক্যানট ডু নাথিং
০৫ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৭:১১
নৃপ অনুপ বলেছেন: ভাল লাগল
মহাত্মন আপনার উপস্থিতি...
কি আর এমন করলাম
কলমে ট্রিগার চাপলাম.
মঙ্গলার্থে...
৩| ০৫ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৭:১৯
লাশ বলেছেন: বাহ আপনিতো বেশ ভালো লেখেন।
০৫ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৭:৩০
নৃপ অনুপ বলেছেন: কি আর এমন লেখা বলুন?
তবে লেখার জন্য নিজেকে শানিয়ে নিচ্ছি।
ধন্যবাদ,
পাঠের জন্য।
৪| ০৫ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৭:৪৫
পৈতাল বলেছেন: যা-যা কিছু বর্ণের বাইরে, রূপের অলক্ষ্যে তার কিছুই দেখি নি আমি। যেমন দেখে না পাতা, ঝড় শুরু হয়ে গেলে শিকড়ের ভীত মুখখানি। অদ্ভুত সুন্দর মায়াবি চিন্তা শক্তি অনেক ভালো লাগলো।
০৬ ই জুন, ২০০৯ রাত ১:২৮
নৃপ অনুপ বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর মায়াবি চিন্তা শক্তি অনেক ভালো লাগলো।
গায়েবী না'তো ?
ভাল লাগলো...
৫| ০৫ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৫৮
মাঠশালা বলেছেন: ভালো লাগছে।
০৬ ই জুন, ২০০৯ রাত ১:২৯
নৃপ অনুপ বলেছেন: ভালো লাগছে।
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
৬| ০৯ ই জুন, ২০০৯ রাত ৯:২৪
শ খি আ ঈয়ন বলেছেন: "মাথার শিয়রে বসে থাকা ধর্মগ্রন্থ ভাবে, একদিন এইসব পুঁথি ভেসে যাবে হাওয়ার ঘরে। জ্বলে উঠবে লন্ঠনভাতি।"-বেশ বলেছেন সাঁইজি . . . ভাল্লাগছে . . .
১১ ই জুন, ২০০৯ রাত ১২:২০
নৃপ অনুপ বলেছেন: ধন্যবাদ...
.....................শ খি আ ঈয়ন......................
৭| ১১ ই জুন, ২০০৯ রাত ২:২৪
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: অথচ মনের সুখ মরে যায় মাঠে; শখ চলে যায় জানালায় মাথা রেখে থেমে থাকা দৃশ্যের গহীনে। মাথার শিয়রে বসে থাকা ধর্মগ্রন্থ ভাবে, একদিন এইসব পুঁথি ভেসে যাবে হাওয়ার ঘরে। জ্বলে উঠবে লন্ঠনভাতি। ওদিকে ধীবরের ছুড়ে দেওয়া উড়ন্ত জাল একরাশ শুন্যতা নিয়ে সমুদ্রের উপকণ্ঠে পড়ে
ভাল লাগল নৃপ
নিরন্তর মঙ্গলে থাকুন
১১ ই জুন, ২০০৯ রাত ৩:২০
নৃপ অনুপ বলেছেন: ধন্যবাদ,
কাব্যপাঠ ও তা ভাল লাগার জন্য।
চিরমঙ্গল...
৮| ১১ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১:৪৯
আন্দালীব বলেছেন: ভালো লাগলো।
শব্দের ব্যবহার কখনো খুব যথার্থ....
১৫ ই জুন, ২০০৯ রাত ১:৩১
নৃপ অনুপ বলেছেন: যথার্থ...
হবে যেদিন আরো উর্ত্তীণ লেখা লিখবো...
...ততোদিন এই চেষ্টা চলবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুন, ২০০৯ ভোর ৬:২৫
আমি ও আমরা বলেছেন: দারুন লাগলো।