নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোষা পাখি

আমি এক পোষা পাখি

পোষা পাখি

আমি এক পোষা পাখি

পোষা পাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মালয়েশিয়ায় জনসংখ্যা ও গাড়ির সংখ্যা প্রায় সমান

১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৫৪









মালয়েশিয়ায় জনসংখ্যা এবং গাড়ির সংখ্যা প্রায় সমান। প্রায় পরিবারেই একাধিক গাড়ি রয়েছে। যাদের গাড়ি নেই, তারা বাসে, মনোরেল, ট্রেন কিংবা ট্যাক্সিতে চলাচল করে। পায়ে হেঁটে চলাচল করে খুব কম লোকই। আর সে কারণে অধিকাংশ রাস্তাতে কোনো ফুটপাত নেই। সিঙ্গাপুরে যেমন প্রশস্ত ফুটপাত আছে, এখানে তা নেই। বিদেশী পর্যবেক্ষকরা যেসব এলাকায় বেশি চলাচল করে, যেমন বৃকিতবিনতাং এলাকা, সেখানে যে ফুটপাত আছে তাও সিঙ্গাপুরের মতো নয়।



হাজার হাজার মানুষের ধাক্কায় ঢাকায় ফুটপাত দিয়ে হাঁটা দুষ্কর। এখানে উল্টো। রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটতে গেলে কোনো মানুষ নেই; কিন্তু গাড়ির ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা প্রতি মুহূর্তে। একটু বেশি রাতে হেঁটে চলতে গেলে ভয়ই লাগে। কোনো মানুষ নেই, শুধু গাড়িগুলো দ্রুত আপনার পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে। গাড়ি ছাড়া যেন জীবন অচল।



যারা এলআরটি (ট্রেন), মনোরেল (স্কাই রেল), বাসে চলে, মহল্লা থেকে হেঁটে একটু দূরে গিয়ে তাদের উঠতে হয়। ঢাকায় আমরা যারা ঘরের থেকে বাইরে পা দিয়েই রিকশায় উঠি, তাদের জন্য এখানে বেশ কষ্ট। কিন্তু একটু অভ্যস্ত হয়ে গেলে কোনো অসুবিধা নেই।



ট্রেন স্টেশনে যাবেন, কয়েক মিনিট পরপর ট্রেন আছে। মনোরেলের ক্ষেত্রে একই ঘটনা। বাসেও তাই। মিনিটে মিনিটে বাস আছে। এখানে সবকিছুই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। ছাত্র-ছাত্রী এবং মধ্যবিত্ত সবাই বাসে, ট্রেনে ও মনোতে চলাচল করে।



এখানে প্রচুর মোটরসাইকেল আছে। তরুণের মোটরসাইকেল এত দ্রুতগতিতের চলে যে, রাস্তা পার হতে গিয়ে সবাই তাদের ভয় করে। নগরীতে গাড়ি চলাচল করে সাবধানে। কিন্তু হাইওয়েতে অতি দ্রুতগামী। গতি ১০০ কিলোমিটারের ওপরে চলে যায়। তবে মোটরসাইকেল নগরীতে বেপরোয়া।



এত সাবধানতা সত্ত্বেও মালয়েশিয়ায় গাড়ি ‍দুর্ঘটনার সংখ্যা কম নয়। প্রতি বছর প্রায় সাত হাজারের মতো গাড়ি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু ঘটে। এর মধ্যে শতকরা ৭৫ ভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা।



নগরীতে ট্রাফিক পুলিশ নজরে পড়ে না। তারা গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেলে করে রাস্তার পাশে বসে থাকে। সবাই সিগন্যাল মেনে চলছে, কোনো ব্যত্যয় ঘটে না। কেউ ব্যতিক্রম করলেই পুলিশের নজরে পড়ে যায়। তবে একদমই যে ব্যত্যয় ঘটে না তা নয়। অনেকেই ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে থাকে। তবে সুযোগ বুঝে এটি করে।



এখানে গাড়িওয়ালাদের সবচেয়ে সংকটে পড়তে হয় পার্কিং নিয়ে। আপনি কোথাও গাড়িতে করে গেলেন, কিন্তু দেখলেন পার্কিংয়ের জায়গা নেই। আধাঘণ্টা গাড়িতে ঘোরার পর একজন বের হওয়ার পর সেখানে গাড়ি পার্ক করতে পারলেন। কুয়ালালামপুরে বেশকিছু ফাঁকা জায়গা আছে। জায়গার মালিক গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করে ভালো ব্যবসা করে যাচ্ছেন। এসব স্থানে গাড়ি পার্কিং করলে প্রতি ঘণ্টায় তিন থেকে চার রিঙ্গিট করে দিতে হয়। শপিং মলগুলোর নিচে যে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা আছে, সেখানেও টাকা লাগে। এসব ছাড়াও গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বের হলে শুধু পেট্রোল খরচ নয়, টোলের খরচও অনেক। যেমন আপনি গেন্টিং আইল্যান্ড, এয়ারপোর্ট যাবেন, কিংবা এক্সপ্রেস হাইওয়ে দিয়ে চলাচল করলে, অথবা একদিনে যদি আপনি ওই সব কয়টা স্থানে যেতে চান তাহলে পকেটে কমপক্ষে ৫০ রিঙ্গিট নিয়ে বের হতে হবে।



এই যে গাড়ি-নির্ভর জীবনযাত্রা- এর ফলে এখানে প্রতিনিয়ত গাড়ির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী বর্তমানের গাড়ির সংখ্যা দুই কোটি এক লাখ। যেন যত লোক, তত গাড়ি। কারণ এখানে লোকসংখ্যা দুই কোটির একটু বেশি। গাড়ির এই চাহিদার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হাইব্রিড গাড়ি। অর্থাৎ তেল ছাড়া গাড়ি। ব্যাটারিচালিত। ব্যাটারি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, সেই বিদ্যুতে গাড়ি চলে। এই গাড়ি এখন দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ ধরনের একটি গাড়ির দাম এখানে বাংলাদশী টাকায় ৭০ লাখের মতো।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৪

মাহবুবুর রহমান বলেছেন: আমাদের দেশ ও যদি ২ কোটি লোকের দেশ হত আর কোন ধরনের দুর্নিতী না হত আর সবাই যদি সুশিক্ষিত হত তা হলে আমাদের দেশ ও মালয়েশিয়ার মত হত্।

২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৫

শফিউল আলম চৌধূরী বলেছেন: যন্ত্র নির্ভর জীবন ভাল না। তবে কিছু জিনিষ এখানে ভালো লাগল, ট্রেন, বাস, মনোরেল এসবের অভাব নাই, ট্রাফিক আইন মানা হয়, সিগন্যাল মানে.... আমরা যদি এমনটা পারতাম।




ডোমেইন-হোস্টিং

৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৮

জাহিদ ফারুকী বলেছেন: ভাই আপনি কি UIA'র নাকি? মহল্লা বললেন ত তাই মনে হচ্ছে .।।

৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৮

জাহিদ ফারুকী বলেছেন: ভাই আপনি কি UIA'র নাকি? মহল্লা বললেন ত তাই মনে হচ্ছে .।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.