নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অসীমের পানে অক্লান্ত এ যাত্রা মোর

লেখার মত তেমন কিছুই নেই

পথিক আমি

অক্লান্ত এ পথ চলা কি এক অদ্ভুত অজানা,অদেখা মায়ার পেছনে

পথিক আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারেকের খালাস ও দৈনিক হলুদ আলো গংয়ের গাত্রদাহ এবং হাসিনার মেকিকান্না

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

দৈনিক হলুদ আলো ও যাযাদি 'তারেক নিয়ে সমঝোতা কি না, জানেন না বিএনপির নেতারা' এই শিরোনামে হুবহু একই প্রতিবেদন ছাপলেও এক অজ্ঞাত ও রহস্যময় কারণে যাযাদি তার প্রতিবেদনটা সরিয়ে ফেলেছে, সংঘবদ্ধ মিডিয়া সন্ত্রাস ঢাকার আপ্রাণ প্রচেষ্টা?



এক. দৈনিক হলুদ আলো সহ একটি গোষ্টি আজ থেকে সাত-আট বছর আগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তাদের এই মিডিয়া ট্রায়াল শুরু করেছিল, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে পাড়া মহল্লার আওয়ামী নেতা-কর্মীদের ভাষার মত করে এমন প্রোপাগান্ডা চালিয়েছিল যে, এগুলো দেখে যে কারো কাছে মনে হতে পারে তারেকের চেয়ে খারপ লোক বোধহয় এই পৃথিবীতে আর কেউ হতে পারে না! দিনের পর দিন, মাসের পর মাস আর বছরের পর বছর এমন ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রোপাগান্ডা চালিয়েও শেষ পর্যন্ত তারেকের বিরুদ্ধে কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আনলো মাত্র ৩ কোটি টাকার, যেখানে আওয়ামী লীগের শীর্ষ কর্তা-ব্যক্তিদের ১-২ নয় অবাধে হাজারে হাজার কোটি টাকা লোটপাটের কথা যদি বাদও দেই, শেয়ার বাজারের ৮৬ হাজার কোটি টাকা গায়েবের কথা যদি কিছু সময়ের জন্য ভুলেও যাই, এক হলমার্ক থেকেই আওয়ামী চুনোপুটিরা লুটপাট করেছে তার ১০০ গুন বেশি, অথচ ওগুলো নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য নেই কারণ ভাসুরের নাম নিতে নেই যে! কিন্তু সেই জোড়াতালি দেওয়া দুর্নীতর অভিযোগও যখন আজ আদালতে খারিজ হয়ে গেল, তখন এদের বিশেষ করে হলুদ আলোর একদম মাথা খারাপ হয়ে গেছে, কারণ তারা এত বছর প্রোপাগান্ডার পিছনে যে শ্রম দিয়েছে সেটা যে শেষ পর্যন্ত মাঠে মারা যাচ্ছে, তাই ইতিমধ্যে এটা নিয়ে ৬-৭ টা প্রতিবেদনও লিখে ফেলেছে। এই প্রোপাগান্ডা যে সংঘবদ্ধভাবে ও গোষ্টিবদ্ধভাবে চালানো হয় তার প্রমান হলো দৈনিক হলুদ আলো ও যায়যায়দিনের হুবহু একই প্রতিবেদন প্রকাশ করা। (কাল রাতে যাযাদিতে রিপোর্টটা থাকলেও হাতেনাতে ধরা পরে যাওয়ার ভয়ে এখন তা আর নাই, তবে গুগলে 'তারেক নিয়ে সমঝোতা কি না' এটা লিখে সার্চ দিলে আমার কথার সত্যতা এখনো পাবেন!)



দৈনিক হলুদ আলো - তারেক নিয়ে সমঝোতা কি না, জানেন না বিএনপির নেতারা

যায় যায় দিন - এই লিঙ্কে প্রতিবেদনটি আগে প্রকাশ করলেও কোনো এক রহস্যময় কারণে যাযাদি সেটা সরিয়ে দিয়েছে! তবে এখনো গুগলে 'তারেক নিয়ে সমঝোতা কি না' এটা আসে যদিও লিংক ধরে গেলে এখন অন্য একটা রিপোর্ট পাওয়া যায়!



প্রতিবেদনের সারবস্তু, বিএনপি এর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শীর্ষ নেতা নাকি বলেছেন তারেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ খুবই জোড়ালো! কোনো বিশেষ সাংবাদিকের সাথে কি মিল পাচ্ছেন? হ্যা, যার কথা ভাবছেন আমিও তার কথাই বলছি, যিনিও এভাবেই লন্ডনে বসে অজ্ঞাত নেতা, মৃত ব্যক্তিদের নিয়ে মনগড়া প্রতিবেদন তৈরিতে সিদ্ধহস্ত। কি অদ্ভুত মিল তাই না, একই প্রতিবেদন দুই পত্রিকায় - একটা পত্রিকা আবার সেটা চুরের ধরা পরে যাওয়ার মত সরিয়েও দিয়েছে, অনেক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতাদের বিবৃতি! দৈনিক হলুদ আলোতে সর্বশেষ এসেছে ‘সাক্ষ্য-প্রমাণ অদৃশ্য তারেক রহমান নির্দোষ' এই প্রতিবেদনটি যার শিরোনাম দেখলে যে কারোই মনে হতে পারে না জানি কেমন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন কিন্তু ভিতরে পুরোটাই ফাঁপা, আছে আদালতের রায়, আইজীবিদের প্রতিক্রিয়া, আদালত পাড়ার তখনকার পরিবেশ আর তারেকের বিরুদ্ধে আনা অন্য মামলাগুলো। এভাবেই হলুদ আলো তার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

দুই. শেখ হাসিনা এবং তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের ধারণা এমন যে বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগের লোকেরাই ভাত খায় আর আমরা বাকি সবাই ঘাস খাই! তাই হাসিনার ধরে নিলেন বাংলাদেশের মানুষ তার ভাওতাবাজি ধরতে পারবে না, ৩০ টার মতো মায়ের বুক খালি করে আর আরো হাজারে হাজার আহত করে স্বভাবশুলভ মেকিকান্নায় মানুষরে ইমোশ্যনালি ব্ল্যাকমেইল করার উদ্দেশ্যে আমাদের শান্তির বাণী শুনালেন, 'আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, শান্তি চাই' (আহারে আমাদের শান্তির পুজারী!)। তাও আবার প্রধানমন্ত্রীত্ব নিজের কলিজার ভিতর সিন্দুকের মধ্যে তালা দিয়ে রেখে আমাদের ত্যাগের বাণী দিলেন, ভাব খানা এমন যেন ভোদাই আমজনতা কি আর এসব বুঝতে পারে! কিন্তু মানুষ এখন অনেক চালাক হয়ে গেছে, এসব আর খায় না। তাই টক-শোতে মানুষ প্রশ্ন করে বা ইটিভির জনতার কথায় সবাই একই সুরে অভিমত দেয় যে, তিনি প্রধানমন্ত্রীত্ব না চাইলে সেটা আগে ছাড়েন না কেন, প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে তারপর এইসব লম্বা লম্বা কথা বলেন না কেন? আমাদের প্রধানমন্ত্রীত্ব না চাওয়া সেই ত্যাগী মহান মহিলা আজ আবার সর্বদলীয় সরকারের প্রধান হচ্ছেন, আহা ত্যাগের কি সুমহান নিদর্শন!

মানুষ যে ঘাস খায় না তা ৩.৫০ সেকেন্ড থেকে শেষ পর্যন্ত দেখুন



মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫

উপপাদ্য বলেছেন: উর্দু লীগার থেকে এই রায়ে বেশী কষ্ট পেয়েছে এই ভারতের আলো গোষ্টি।



মতি, মিজান ও আনিস নাকি গলাগলি কইরা কানতাছে

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

পথিক আমি বলেছেন: দৈনিক হলুদ আলোর অবস্থা দেখে তাই মনে হচ্ছে! একদম উঠেপড়ে লাগসে, যেমন করেই হোক তারেককে দুর্নীতিবাজ প্রমান করতেই হবে।

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৯

দিশার বলেছেন: আসমান থেকে ফেরেস্তা (!) নাইমা আইসা যদি বলে তারেক, জয় এরা দুর্নীতি বাজ না তাও বিসসাস করব না। যেমন জামাত শিবির রাজাকার না হাহাহা

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

পথিক আমি বলেছেন: ভদ্র ভাবে বলছি, ভবিষ্যতে আমার ব্লগে কোনো নিচু শ্রেনীর চুলকানিবাজ ধর্ম বিদ্বেষী দেখতে চাই না।

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

দিশার বলেছেন: হিরো গিরি না দেখায়ে ব্লক করলেই পারতেন , সস্তা স্টান্ট ডায়লগ কি দরকার ? কি দরকার? :D :D :D

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

এম আর ইকবাল বলেছেন:
তারেকের বেকসুর রায়ের পর
একজন পোড় খাওযা মানুষের মন্তব্য
অবশ্যই এটা সামঝোতা
আমরা আমরাইতো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.