![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ১৯৭১ দেখিনি। ১৯৫২ও দেখিনি। ৯০-এর গণঅভ্যুথানের সময় এতটাই ছোট ছিলাম যে কিছুই তেমন মনে নেই। স্বাধীনতা বা কোনো দাবী আদায়ের জন্য মানুষের আন্দোলন দেখিনি আমার দুই যুগের বছরগুলোতে।
কিন্তু আজ ঢাকার শাহবাগে যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসীর দাবীতে জন-মানুষের প্রতিবাদ, সমাবেশ দেখে সত্যিই শিহরিত হয়ে উঠছি সুদূর প্রবাসে বসে। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। যদি সুযোগ থাকত, তাহলে আমিও সেই লাখো লাখো বাংলাদেশীদের মতো শাহবাগের চত্বরে জড়ো হতাম। শ্লোগানের সাথে গলা মিলাতাম। কিন্তু ভাগ্য খারাপ! সেই সুযোগ হয়ত হবে না। কোনো পার্টি, দল বা নেতার আহ্বানে নয়, জন-মানুষের বিবেকের সুরে সুর মেলাতে পারছি না। শুধুই দূরে বসে খবর পড়ছি, দেখছি, জানছি আর সহমত দিচ্ছি।
সত্যিই কোনো নেতা বা দলের নেতৃত্ব বাদে (যদিও মাহমুদুর হক মুন্সী নামক এক ভাই অনলাইনে ব্লগিং এর মাধ্যমে প্রথম আন্দোলনের সূত্রপাত করেন ) যে আন্দোলন সম্ভব তা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এই মনে হয় প্রথম। মিশরের তাহরীর স্কয়ারে যেমন মানুষ নেমে পড়েছিল স্বৈরাচারী গাদ্দাফীকে ক্ষমতা থেকে নামাতে, ম্যানহাটনের Zuccotti Park এ যেমন সাধারণ মানুষ নেমেছিল Occupy Wall Street নাম নিয়ে বড় বড় ব্যাংকার, মুনাফা লোভীদের বিরুদ্ধে, তেমনি আমার কাছে বাংলাদেশের শাহবাগের এই আন্দোলনও জন-মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন বলেই মনে হচ্ছে।
এরই মাধ্যমে যদি বাংলাদেশ থেকে জামায়াত-এ-ইসলামী দলটিই মূলোৎপাটিত হতে পারে, তাহলেই আমি মনে করি এই আন্দোলন সফল হবে। কাদের মোল্লারই শুধু ফাঁসী নয় , সাথে সেই সময়কার সকল জামায়াতের, শিবিরের, শান্তি কমিটির কর্মীদের যদি একযোগে ফাঁসী হয়, তাহলেই ৩০ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষ মা-বোন শান্তি পাবে।
ইতিমধ্যে এই শিবির, জামায়াত কর্মীরা অনলাইনে নেমে পড়েছে এবং এমনটিও জানা গেছে যে
গোপন সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে শিবির এর কর্মীরা অনলাইন এ বিভিন্ন ফেক আইডির আড়ালে থেকে আন্দোলনকারি সেজে আমাদের প্রিয় নবী মহানবি (সাঃ) ও ইসলাম নিয়ে বিভিন্ন কটুক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে করে শাহবাগ এর আন্দোলন এর বিপক্ষে তারা মানুষকে আনতে পারে , কাজেই এখন বিভিন্ন পেজে যদি দেখেন কিছু কিছু লোক ইসলাম কে গালি দিয়ে দিয়ে সাহবাগ এর আন্দোলন এর পক্ষে কথা বলে ভনিতা দেখাচ্ছে বুঝবেন ওই ব্যাটা একটা শিবির , শাহবাগ এর আন্দোলন কে নাস্তিকদের সমাবেশ হিসেবে কালিমা দেবার জন্যই এই স্ট্রাটেজি শিবির গ্রহন করেছে।
ফলে বোঝাই যাচ্ছে কেমন ঘৃণ্যতম, কটু পথ বেছে নিয়েছে জামায়াত, শিবির।
সবচেয়ে অনুপ্রেরণার কথা হলো এই যে, এই আন্দোলনের সাথে কোনো রাজনৈতিক দল নিজেদের যুক্ত করতে পারছে না, আশা করি পারবেও না। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের হানিফ, সাজেদা খাতুন ছোড়া বোতলের মাধ্যমে জেনে গেছেন এই আন্দোলন থেকে কোনো রাজনৈতিক ফায়দা তারা নিতে পারবেন না। বিএনপিও সেটা বুঝতে পেরে গেছে, যদিও তারা মনে করছে এটিকে সরকারবিরোধী আন্দোলন।
শুক্রবারের গণআন্দোলন আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে গেছে জেনে খুবই ভালো লেগেছে। আমার চেনা-জানা বন্ধু-বান্ধব যারা ঢাকায় আছে, তাদের মধ্যে অনেকেই যোগ দিয়েছে এই আন্দোলনে কোনো ভয়-ভীতির তোয়াক্কা না করে। যখন তাদের মধ্যে এমন প্ল্যাকার্ড দেখি তখন সত্যিই নিজেকে বাংলাদেশী ভেবে গর্ববোধ হয়। আর আফসোস হয়, যদি থাকতাম ঢাকায় এখন। আর শ্লোগান যখন হয় এমন
বন্যেরা বনে সুন্দর,
জামাত-শিবির পাকিস্তানে।
তখন গর্বের সাথে মাথা উঁচু করে ওদের বলতে ইচ্ছা করে, 'বের হ তোরা আমার বাংলা মায়ের দেশ থেকে'।
শেখ মুজিব যদিও বলেছিলেন এই বাংলাতেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে, কিন্তু কালক্ষেপণ করে সে আর করা হয়ে উঠেনি। কিন্তু এবারের গণজাগরণ কেউ ঠেকাতে পারবে না।
জাগরণ যে আজ শুধু ঢাকার শাহবাগেই থেমে নেই, তা আর বলতে হবে না। ইতিমধ্যে লন্ডনে, Texas এর University of Texas-Arlington এ শিক্ষার্থী বাংলাদেশীরাও নেমে পড়েছে প্রতিবাদে। লন্ডনে আবার নাকি 'সাঈদী তোমার ভয় নেই' শ্লোগান দিয়েও শিবির-জামায়াত কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থাণ নেয় ফাঁসীর পক্ষে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে।
নিউইয়র্কে এখনো শুনিনি এমন আন্দোলনের কথা। যদি নিউইয়র্ক প্রবাসী কেউ জানেন এমন আন্দোলনের কথা তাহলে জানাবেন। এমন বিপ্লবী ইতিহাসের সাথে যুক্ত হবার সৌভাগ্য যাতে হাতছাড়া না হয়।
মূলপোস্ট
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৪৫
পাপ্রদজ বলেছেন: এই হা***য় এহনো টিক্কা আছে কেমনে? এইডারে ধইরা রাজাকারগো লগে ফাঁসীতে ঝুলান লাগবো।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫৬
স্মিথ হাসান বলেছেন: সারা দেশ যখন কসাই কাদের এর ফাঁসির দাবিতে উত্তাল , তখন স্বাধীনতা বিরুধী মাহমুদুর রাহমানের আমার দেশ কি বলছে !!!!
দেখুন নিচের লিংকে
Click This Link