নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পুংটা পোলা

পুন্টামি ছাড়া আমার আর কোন কাজ নাই

পুংটা পোলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

তেলের শিশি ভাঙল বলে খুকুর পরে রাগ করো, তোমরা যে সব ধেড়ে খোকা দেশটা ভেঙে ভাগ করো! - তার বেলা?

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৫

একদা অন্নদাশঙ্কর রায় লিখেছিলেন –



“তেলের শিশি ভাঙল বলে, খুকুর পরে রাগ করো। তোমরা যে সব বুড়ো খোকা - ভারত ভেঙে ভাগ করো! তার বেলা?

ভাঙছ প্রদেশ ভাঙছ জেলা - জমিজমা ঘরবাড়ী - পাটের আড়ৎ ধানের গোলা - কারখানা আর রেলগাড়ী! - তার বেলা?” (খুকু ও খোকা)।



কবিতাটির পিছনে একটি ছোট্ট কাহিনী আছে।



ছাত্রনবীস থাকাকালে তিনি যখন ইউরোপ বেড়াতে যান (১৯২৭-২৯)। সেইসময় তিনি ‘পথে প্রবাসে’ নামে একটি ভ্রমন কাহীনি লিখেছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন – কোন এককালে ছোট ছোট দেশগুলি মহারাষ্ট্র গঠন করে বৃহৎ রাষ্ট্র গড়া ছাড়া টিকে থাকতে পারবে না। কার্যত দেখা গেল ব্যাপারটা ঘটল তার উল্টা। বড় বড় রাষ্ট্র ভেংগে ছোট ছোট রাষ্ট্র তৈরি হল। নিজের লেখার প্রতি উত্তরে তিনি দুঃখ করেই কবিতাটি লিখেছিলেন।



আমাদের দেশে এখন যেই অবস্থা চলছে তার প্রেক্ষিতে এই কবিতাটি হয় কিছুটা প্রযোজ্য। এখানে দেশ ভাংগাভাংগি না হলেও প্রতিনিয়ত ভাংগা হচ্ছে অর্থনীতি। উদীয়মান অর্থনীতির মুক্ত প্রবাহকে থামিয়ে দিয়ে শতশত কোটি টাকার নষ্ট করে হলেও আমাদের নষ্ট রাজনীতিকে আস্কারা দিয়ে যেতেই হবে। আস্থাহীন গনতন্ত্র মুখ থুবড়ে পরছে প্রতি সাড়ে চার বছর পর পর। অর্থাৎ নির্বাচন কালে। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরেও যদি আমরা সুষ্ট একটা নির্বাচন নিময় চালু করে সেইমত দেশটাকে চালিত করতে না পারি – তাহলে কোন অধিকারে আমরা রাজনীতি করি? বলা হয় – বেআইনি ভাবে পার্ক গাড়ী যখন টিকেট খায় তখনই বুঝা যায় সিষ্টেম কাজ করছে। রুপক অর্থে বলতে গেলে বেআইনি সব কিছুই আইনের আওতায় আসা প্রয়োজন। তা না হলে সিষ্টেম কাজ করবে না।



আজকে নির্বাচন নিয়ে যে ডেট লক তৈরি হয়েছে এর সমাধানে সচেষ্ট হবার কথা ছিল আরও অনেক আগে। সেই জন্য প্রয়োজন ছিল সুস্থ এন্ড আই মিন সুস্থ সংসদীয় পদ্ধতি। জনগনের ভোটে নির্বাচিতরা সংসদে গিয়ে জনগনের কথা বলবে এটাই হত সুস্থ ধারা। কিন্তু নানা অজুহাতে নির্বাচিতরা সংসদে না গিয়ে প্রকান্তরে সমস্যাগুলির সমাধান না করে জমিয়ে রেখেছে নির্বাচন কালে তীব্র আন্দোলনের জন্য। বিরুধি দলের এই ফয়দা নীতিই দেশটাকে প্রতিবার অচল করে জনজীবন বিপন্ন করছে। প্রশ্ন হতে পারে – বিরুধী দলকে সংসদে যথেষ্ট কথা বলার সুযোগ দেয়া হয় না কেন? এটাই যদি সমস্যা হয় তাহলে এর সমাধানও সংসদেই হতে হবে।জনগনের উপর চাপিয়ে দেয়া সন্ত্রাসকে গনতান্ত্রিক হরতাল বলে চালিয়ে দেবার দিন কবে শেষ হবে?



আজকে যারা দেশে গনতন্ত্রের মোড়কে নিসংসতা উপহার দিচ্ছেন তারা কখনো জনগনের বন্ধু হতে পারে না। আজকে যারা মানুষের জীবনকে সিড়ি বানিয়ে সিংহাসনে আরোহন করতে চাচ্ছে তারা আপনার বন্ধু হতে পারে না। প্রশ্ন হতে পারে সরকার কেন অনড়! প্রশ্ন হতে পারে আজকের সরকার যদি বিরুধী দলে থাকত, তাহলে কি হত! এসব প্রশ্নের কোনটার উত্তর খুজে বের করে এই অল্প সময়ে আমাদের সমাধান হবে না। আমাদের গনতন্ত্র সুসংহত না। শিশু গনতন্ত্রকে হাটিহাটি শিখাতে হলে কোথাও না কোথাও থেকে শুরু করতে হবে। দেশের আপামর জনগন রাজনিতি কেয়ার করে না। তারা মনে করে শান্তিপুর্নভাবে দেশ চললেই হল। এর প্রমান পাওয়া যাবে যদি আমরা হরতালকে চাপিয়ে না ঐচ্ছিক করে দেই। ঐচ্ছিক হরতালই প্রকৃত গনতন্ত্র। বাকী যা হচ্ছে তার নাম সন্ত্রাস।



আমাদের এই আত্নঘাতি সন্ত্রাস থেকে আমাদের মুক্ত করতে কেউ আসবে না। বিশ্ব তাকিয়ে দেখবে আমাদের দুরবস্থা। কারন আমরা যত নীচে চলে যাব, আমাদের অর্থনীতি যত দুর্বল হবে বাকী দুনিয়ার ততই সুবিদা। গরীব দেশ থেকে সল্প মুল্যে শ্রম (যা কি না ক্রীত দাসের মত) পাওয়া যাবে। ভিক্ষার থলি নিয়ে দাড়ালে ধনীরা উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে নাম কামাই করবে। দুনিয়া দেখবে বাঙালি জাতির লজ্জাস্কর দুরবস্থা। এসি সম্বলিত ফোর হুইল ড্রাইভের এস-ইউ-ভি চড়ে যে নেতা গাড়ি চড়ে যাচ্ছে, সে তোমাকে গাড়ীতে তুলে উন্নত মানের জীবনে পৌছে দিবে না মনে রেখ সে তোমার ভবিষৎকে পিষ্ট করেই যাচ্ছে। তুমি তা জান না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.