নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম। অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম, অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের ভাবনা।

২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫১



আমি রাম এবং শ্যামকে কাছে ডাকলাম। তারা কেউ আমার আত্মীয় নয়। তাদেরকে বললাম, আমি একটি ভালো মোবাইল ফোন উপহার দেবো। উপহার পাবার জন্য দুজনে খুশি। কিন্তু তারা একটু চিন্তিত, মোবাইল ফোন কে পাবে? রাম এবং শ্যাম আমার কাছে এলো। আমি মোবাইল ফোনটি রামকে দিলাম। শ্যামকে কিছুই দিলাম না। মোবাইল ফোনটি পেয়ে রাম খুশি হলো। শ্যাম দুঃখ পেলো এবং রামের ওপর অখুশি হলো। দুজনে চলে গেলো। পরে শ্যামকে আমি ডাকলাম। এবার শ্যামকে একটি মোবাইল ফোন উপহার দিলাম। শ্যাম খুশি হলো। কিছুদিন বাদে রাম জানতে পারলো যে,শ্যামও একটি মোবাইল ফোন উপহার পেয়েছে। এটা জানার পর রাম কিন্তু অখুশি হলো।

ঘটনা এমন হলে কি হতো। রাম এবং শ্যাম আমার কাছে এলো। রামকে মোবাইল ফোনটি দিলাম। রাম খুশি হলো। শ্যাম অখুশি হলো। এবার রামের কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি ফেরৎ নিলাম এবং ফোনটা শ্যামকে দিলাম। দেখা গেলো,রাম অখুশি হলো আর শ্যাম খুশি হলো।

ঘটনা যদি এমন হতো। রাম এবং শ্যামকে ডাকলাম। রামকে ফোনটি দিলাম। রাম খুশি হলো। শ্যাম অখুশি হলো। রাম এবং শ্যাম চলে গেলো। এরপর রামকে ডেকে ফোনটি ফেরৎ নিলাম। রাম অখুশি হলো। পরে শ্যাম জানতে পারলো। তখন শ্যাম খুশি হলো।

আবার ঘটনা যদি এমন হতো। রাম এবং শ্যামকে ডাকলাম। বললাম উপহার দেবো। দুজনে খুশি। এবার উপহার দিলাম না। দুজনে অখুশি।

ঘটনা যেভাবেই ঘটুক না কেন কেউ খুশি আর কেউ অখুশি।

মনে করুন আমার সাথে চারজন লোক ঘুরছে। আমার মতোন তারাও কাজ করে। আমার মতোন তারাও রোজগার করে। আমার মতোন তাদের কাছেও টাকা আছে। এখন দুপুরবেলায় তারা আমার সাথে ঘুরছে। আমার খিদে পেয়েছে। আমি দোকানে গিয়ে নিজের টাকায় ভাত খেলাম। আমি খুশি। তাদেরকে খাবার কথা বললাম না। তারা কিন্তু অখুশি হবে।

কিংবা ধরুন সবাই মিলে ভাত খেলাম। দাম দেবার সময় সবাই ইতস্ততঃ করছে। আমার ভাতের দাম আমি দিলাম। তারা কিন্তু অখুশি হবে। কিংবা পুরো দামটা আমি দিলাম। আমি অখুশি হবো। তারা খুশি হবে।

এমন একটা ঘটনার কথা আমার মনে পড়লো। আমি কাজ করছি। আমার সাথে আরও অনেকে কাজ করছে। আমরা সবাই অন্য এক জায়গায় উপস্থিত হলাম। আমাকে দেখে অন্য একজন আমার জন্য ভাত নিয়ে এলো। তার সাথে আমি ভাত খেলাম। আমরা দুজনে খুশি হলাম। কিন্তু যারা আমার সাথে কাজ করছিল,তারা কিন্তু অখুশি হলো। আমাকে তারা অনেক কথা শোনালো। আমি বললাম- আমি কাউকে খাওয়াচ্ছি না। যাদের কাছে এসেছি তারাই খেতে দিচ্ছে। আপনারা চেয়ে নিন। কিংবা প্রত্যেককে আমি টাকা দিয়েছি। সেই টাকায় খেতে পারেন। কিংবা আমার কাছে চাইলে ভাতের ব্যবস্থা করতে পারি। আমি ভাতের ব্যবস্থা করলাম। তারা আর কেউ খায় নি। তারা অখুশি হলো।

আবার অন্য দিকে ফিরে তাকান। এখন আমরা আধুনিক যুগে বাস করছি। অটোতে অটো ড্রাইভার তার দুপাশে মহিলা বসিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে। ড্রাইভার খুশি। যদি ড্রাইভারের পাশে পুরুষ লোক থাকতো তাহলে ড্রাইভারের গাড়ি চালাতে বেশী ভালো লাগতো না।

আসলে কেউ কিছু দিলে আমরা খুশি হই। না পেলে আমরা অখুশি হই। আমি দেখেছি, কোন মিটিং করার সময়,ছোট কোন পলিথিনের ব্যাগ পেলাম। বাড়িতে নিয়ে এলাম। তারপর সেটি আমার আর কোন কাজে লাগে না। বরং সেটি একটা আবর্জনা।

আসলে আমাকে কে কি দিলো, আর কে কি দিলো না, ভেবে কোন লাভ নেই। আসলে কেউ তার জিনিস হাতছাড়া করতে চায় না। জিনিস থাকলে কি হবে আর না থাকলেই বা কি হবে। আনন্দ করার জন্য "আমিই" যথেষ্ট। এইসব জিনিসের মধ্যে ঢুকে প্রকৃত আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায় না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.