নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম। অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম, অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভগবান শিব সাধনা

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৩


লেখা যার যার
ধর্ম তার তার।
যার লেখা তার ধর্ম
তার এসব অক্ষর বর্ণ।
যার লেখা তার বর্ণনা
এর বাইরে নতুন কিছু না।
কতজনের কত লেখা
কোন লেখায় নাই পূর্ণ বর্ণনা।
জোড়া শিবমন্দির, খুলনা
সবার তথ্যচিত্রে নানান বর্ণনা।
পরিপূর্ণ নয় কোন একটা বর্ণনা
নানান জনের নানান বর্ণনা
আমি হলাম জোড়া শিব মন্দির, খুলনা।
কৃষ্ণরাম বসুর জোড়া শিব মন্দির, খুলনা
নানান জনের তথ্যে নানান বর্ণনা।
আমি জোড়া শিব মন্দির দাঁড়িয়ে খুলনায়
কোন একজনের বর্ণিত তথ্যে পরিপূর্ণতা নাই।
সবাই দিয়েছে জোড়া শিব মন্দিরের বর্ণনা
কিন্তু কোন একজনের বর্ণনা সম্পূর্ণভাবে সঠিক না।
তাই নানান ধর্মের সৃষ্টি
যার ধর্ম তার সৃষ্টি,
তার কলমে তার ধর্মের বর্ণনা শুনি।
কোন এক ধর্ম স্বয়ং সম্পূর্ণ নয়
সব ধর্মই মানুষের মনগড়া হয়।
জোড়া শিব মন্দিরে আসা
পথের নাই হুবুহু বর্ণনা।
মন্দিরে ঢোকার পর
হুবুহু জায়গার হুবুহু বর্ণনা নয়।
সবার বর্ণনা একত্রিত করলে সম্পূর্ণ হয়
সেই খুলনার জোড়া শিব মন্দির হয়।
কে কিভাবে বর্ণনা দিচ্ছে দেখো তোমরা
আমি তোমাদের জোড়া শিব মন্দির, খুলনা।
প্রয়োজনে সবাই দেখো সবার তথ্যচিত্রটা
কে কিভাবে বর্ণনা দিচ্ছে জোড়া শিব মন্দির খুলনা।
একজনের বর্ণনায় তুমি পরিপূর্ণতা পাবে না
তুমি মানুষটা কেমন, নানান জনের নানান বর্ণনা।
তোমার সম্পর্কে জানা
কোন একজনের পক্ষে সম্ভব না।
নানান জনের নানান বর্ণনা
মিলিতভাবে তোমার পরিপূর্ণতা।
তোমার স্ত্রী তোমাকে যতটুকু জানে
তোমার পুত্রকন্যা তোমাকে জানে অন্যভাবে।
যখন তুমি থাকো পথেঘাটে বাসে গাড়িতে
তখন তোমার পাশে যারা থাকে তারা চেনে তোমাকে।
নাইবা তুমি কথা বললে কারোর সাথে
কে কি চায় চিনতে অসুবিধা হয় না তাতে।
মেলা পার্বণেও ঠিক তাই
যারা থাকে পাশে তারা তোমাকে চিনে যায়।
পথেঘাটে বাসে গাড়িতে তোমার চরিত্র কেমন
যারা জানে তারা কেউ নয় তোমার আপনজন।
আবার কাজের জায়গায় যারা থাকে
তারাই জানে কেমন মানুষ তুমি সেখানে?
তাই একজন মানুষকে জানা
কোন একজন মানুষের পক্ষে সম্ভব না।
সবার মিলিত ধ্যান ধারণা
কোন একজনকে দেয় পরিপূর্ণতা।
হাতি দেখতে কেমন, না দেখে ছুঁয়ে কি বলা যায়
যে যেমনভাবে ছুঁয়ে থাকে, সে সেইভাবে হাতির বর্ণনা দেয়।
কেউ মিথ্যা নয়
কিন্তু পরিপূর্ণভাবে সত্য নয়।
তাই সব ধর্ম আংশিক সত্য হয়
কোন ধর্ম পরিপূর্ণ সত্য নয়।
আমরা সবাই লুকিয়ে আছি আবরণের মধ্যে
আবরণকে ঝেড়ে ফেললে বুঝবে আমি কে?
যে তার জীবনে যখন যেমন আবরণ পায়
সেই আবরণে থেকে নিজেকে জাহির করে যায়।
কাজের সময় নিজেকে পদের আবরণে আবৃত করে
কিন্তু ঘরে ঢুকে সবাই ছিঁড়ে ফেলে বাইরের আবরণটাকে।
ঘরের ভেতরে সবাই সমান হয়
ঘরের বাইরে কাজের তাগিদে সবাই আলাদা হয়।
যখন আমরা প্রথম শ্রেণীতে পড়ি
সবাই একসাথে মিলেমিশে থাকি।
তারপর ধীরে ধীরে আলাদা হতে থাকি
আমরা সবাই এক এক বইয়ের পোকা হয়ে দৌড়াতে থাকি।
আসলে আমরা সবাই এক এক লেখকের তৈরী করা পোকা
আমরা সবাই বইয়ের পোকা ছাড়া অন্য কিছু না।
বইয়ের পোকা বইয়ের কথা বলে
শুধু তাই নয়, যুক্তি তর্কে বইয়ের কথায় চলে।
তোমরা ঝেড়ে ফেলো বইয়ের কথা
তোমার মধ্যে নাই নিজের কথা।
আসলে তোমরা সবাই হয়েছো কলমের কালি
ঘুম থেকে উঠে খাচ্ছো বইয়ের কালি।
যতক্ষণ থাকবে কলমের কালি
ততক্ষণ তোমরা কলমের কালির কথা বলবে জানি।
কলমের কালিতে চলছে মহাবিশ্বটা
কালির ভূতে ছড়াছড়ি দেখতে পাচ্ছো তোমরা।
কয়টা ভূতকে মারবে তুমি
বরং কালিকে মারতে পারলে ভূতই থাকবে না জানি।
কলমের কালি কিনা করে
কেড়ে নেয় মানুষের জমিটাকে,
ফাঁসীতে ঝোলায় কলমের কালিতে।
সবকিছু চলছে কলমের কালিতে
সাহিত্যে উপন্যাসে যা খুশি তাই করতে পারো কালিতে
প্রয়োজনে মেরে ফেলতে পারো কালিতে,
মুখের কথায় কেউ চায় না চলতে।
তাই কলমের কালি দাঁড়িয়ে পড়ে জিব বের করে
সাদা কাগজের পাতাতে।
আমার বুকে নাই লেখা
আমি কাগজটা সাদা।
তুমি কালি এইসময়ে কি নৃত্য করবে
যার দাগ পড়ে যাবে সাদা কাগজে।
ওহে কালি, আর নৃত্য করো না
তুমি কলমের কালি, কখনো সত্য হতে পারো না।
কলমের কালি কাটাকুটি করে
তাই নিয়ে সবাই চলে আদালতে।
মুখের কথায় কেউ চায় না চলতে
সবাই দেখায় কলমের কালির জোরটাকে।
ওরে ও কালি তুই তো আর থাকবি না
তোর কালিতে বইপত্র আর তৈরী হবে না।
কেউ আর ঘুম থেকে উঠে কালির কথা বলবে না
কালিকে খতম করতে আমি এসেছি মুখের কথা।
মুখের কথা সবার চাইতে সত্য হয়
বাড়িতে সবাই চলে মুখের কথায়।
অফিস কাছারি মুখের কথায় চলে না
সবাই চলে কালির কথায়, এই হলো পৃথিবীর নিয়ম নীতি ধারা।
মা কালি দাঁড়িয়ে শিবের বুকে
ওরে ও কালি আর চলিস না এই পৃথিবীতে।
এবার আমার মুখের কথায়
কালির হবে বিনাশ।
আমি জাতিস্মর প্রদীপ জ্বলছি
মহাবিশ্বের প্রথম মানব জাতিস্মর প্রদীপ জ্বলছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.