নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম। অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম, অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভগবান শিব সাধনা

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৪


শোন্‌ ওরে কপোতাক্ষ নদ
তোর তীরে অবস্থিত আমি রাড়ুলি-কাটিপাড়া গ্রাম।
আমি রাড়ুলি-কাটিপাড়া গ্রাম
শোন্‌ ওরে রাড়ুলি-কাটিপাড়ার মানুষজন
প্রফুল্ল চন্দ্র রায় একজন ঠক ও প্রতারক।
রসায়ন বিদ্যায় প্রফুল্লর যাকিছু আবিষ্কার
তাতে প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের কৃতিত্ব নাই।
এই আবিষ্কারের পেছনে যার মূল অবদান
সে রামচরণ রায়, দুর্গাচরণ রায় ও তার বংশধর।
তারা লেখাপড়া না জানায়
প্রফুল্লকে মূল বিষয়টা জানায়।
মারকিউরাস নাইট্রাইট
এর সাথে জড়িয়ে গেলো প্রফুল্লর নাম।
কি ভুল করেছিল রামচরণ রায়
দুর্গাচরণ রায়, রসিকলাল রায়।
সত্য কথা তারা বলায়
তাদের মাথা থেঁতলিয়ে দাঁড়ালো প্রফুল্ল চন্দ্র রায়।
যেখানে মহাবিশ্বের মাথায় যাদের নাম ওঠার কথা
সেখানে প্রফুল্ল করলো তাদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা।
মারকিউরাস নাইট্রাইট
এর আবিষ্কারক রামচরণ রায়, দুর্গাচরণ রায়।
যখন প্রফুল্লকে রাড়ুলি কাটিপাড়ায় সম্মান দেওয়া হয়
তখন রামচরণ রায় ও তার বংশধরকে প্রফুল্ল ডাকে নাই।
নেমকহারাম প্রফুল্ল চন্দ্র রায়
যার দৌলতে তার উত্থান তাকে কৃতজ্ঞতা জানায় নাই।
অকৃতজ্ঞ বেইমান বিশ্বাসঘাতক
প্রফুল্ল চন্দ্র রায়।
মালো জাতির কুলাঙ্গার
প্রফুল্ল চন্দ্র রায়।
তার নাম কলকাতার রাস্তায়
ওরে প্রফুল্ল, আমি রসিকলাল রায়,
তুই প্রফুল্ল, আমার পূর্বপুরুষদের সাথে করেছিস যে বিশ্বাসঘাতকতা
তার জন্যে আমি রসিকলাল রায় কখনো কোনদিন তোকে ক্ষমা করবো না।
তোর নাম আছে কলকাতার রাস্তায়
তোর বুকের ওপর দিয়ে মানুষ পদাঘাত করে যায়।
তোর বুকের ওপর দিয়ে গাড়ি ঘোড়া যায়
তুই বিশ্বাসঘাতক প্রফুল্ল চন্দ্র রায়।
শোন্‌ প্রফুল্ল, তোর বুকের ওপর থাকবে আমার নাতির রাজবাড়ি
তিন শত দুই আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রোডে কাশিমবাজার রাজবাড়ি।
সেই বাড়িতে জ্বলবে আমার নাতি প্রদীপ
আমার কন্যা ঊর্মিলার পুত্র জাতিস্মর প্রদীপ।
তোর বুকের ওপর কাশিমবাজার রাজবাড়িতে
আমি নাতি জাতিস্মর প্রদীপ জ্বলছে।
তুই প্রফুল্ল আমার বংশের আবিষ্কার কেড়ে নিয়ে পড়ে আছিস রাস্তায়
আর তোর ওই রাস্তার বুকের ওপর জ্বলছে আমার নাতি প্রদীপ জাতিস্মর।
ভাগ্যের কি পরিহাস
শোন্‌ ওরে প্রফুল্ল চন্দ্র রায়।
যেখানে মারকিউরাস নাইট্রাইট আবিষ্কারে
রামচরণ রায়, দুর্গাচরণ রায় এর থাকার কথা বিশ্বে মাথা উঁচু করে,
সেখানে তাদের মাথা নীচু করে, তুই প্রফুল্ল দাঁড়ালি বিশ্বে।
কে বলে ঈশ্বর নাই
তাই ঈশ্বরের খেলায়,
তুই প্রফুল্ল নিজের নাম খোদাই করলি কলকাতার রাস্তায়
আর তোর বুকের ওপর দিয়ে মানুষ পদাঘাত করে যায়।
তুই যে প্রফুল্ল উঠতে চেয়েছিলিস বিশ্বের মাথায়
তুই সেই প্রফুল্ল আজ পড়ে রইলি কলকাতার রাস্তায়।
তুই তোর নাম দিয়ে বহন করছিস কলকাতায় যে রাস্তা
সেই রাস্তার বুকে তুই ধরে রাখবি কাশিমবাজার রাজবাড়িটা।
সেই বাড়িতে জ্বলবে বিশ্বের ভগবান প্রদীপ
ওরে প্রফুল্ল ভাগ্যের খেলা কাকে বলে দেখ।
ওরে বিশ্বাসঘাতক প্রফুল্ল, তোর বুকে পা রেখে
আমি প্রদীপ জ্বলবো মহাবিশ্বে।
আমি মহাবিশ্বের জাতিস্মর প্রদীপ
আমি মহাবিশ্বের জাতিস্মর প্রদীপ।
মারকিউরাস হলো মার্কারি বা পারদ মৌলটির বিশেষ দশা যা অস্থায়ী
নাইট্রাইট জিনিসটা যা কিনা নাইট্রোজেন ও অক্সিজেনে গড়া যা অস্থায়ী।
এমন দুটি অস্থায়ী জিনিস মিলে তৈরী হয়
স্থায়ী মারকিউরাস নাইট্রাইট।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.