নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম। অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম, অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভগবান শিব সাধনা

১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৩


ওরে ও গোবর
ওরে ও গোবর।
মল হয়ে তুই ছিলিস গোরুর পাছায়
শেষে কিনা ঘুঁটে হয়ে থাকিস ঘরের মাথায়।

ও গোবর, তুই তো থাকিস গোরুর পাছায়
কি করে তুই ঘুঁটে হয়ে গেলি ঘরের মাথায়?
ও গোবর, তুই তো গোরুর মল হয়ে থাকিস গোরুর পাছায়
ও গোবর, কি করে তুই ঘুঁটে হয়ে সবার ঘরে পেলি ঠাঁই?
ও গোবর তুই বল্‌ না তোর জীবনের কথা
সবার পাছায় মল ছাড়া তো অন্য কিছু থাকে না।
তুই গোবর, গোরুর মল ছাড়া তো অন্য কিছু না
তা সত্ত্বেও মানুষ তোকে কেন করে পূজা?
ও গোবর
তুই তো গোরুর মল।
ও গোবর, তোকে করে পূজা
মানুষের কাছে তুই তো হলি সর্বশেষে দেবতা।
সবার মল পরিত্যক্ত হয়
তোর মল কেন গ্রহণযোগ্য হয়?
ও গোবর, বল্‌ না তোর জন্ম কাহিনী
আমরা সবাই মন দিয়ে শুনি।
আমি গোরুর মল
আমার নাম গোবর।
সবার পাছায় মল
নয়কো তার ব্যতিক্রম।
গোরুর মল ঘরে পায় ঠাঁই
শুনে রাখো মানুষ তোমরা সবাই।

আমি গোবর, হলাম যার মল, তার মাথার মূল্য নাই
তার পাছার মূল্য হয়।
মানুষের পাছার মূল্য নাই
মানুষের মাথার মূল্য হয়।
এই মহাবিশ্বে যার পাছার মূল্য হয়
সেই গোরুর মলকে সবাই গোবর কয়।
গোরু তৃণভোজী প্রাণী
এদের খাদ্য চিবানোকে জাবর কাটা বলি।
এরা খাদ্য গিলে পাকস্থলীতে ঢোকায়
পুনরায় সেই খাদ্য মুখগহ্বরে ফিরিয়ে এনে দাঁত দিয়ে চিবায়,
একে জাবর কাটা বলা হয়।

জাবর কাটা প্রাণী তথা গোরুর মল
আমরা গোরুর গোবর।
গোরু মহিষ ছাগল ভেড়া উট
যতই জাবর কাটা প্রাণী হউক,
তন্মধ্যে গোরু অন্যতম।

গোরু যে ঘাস একবার গিলে খায়
তা পাকস্থলীর প্রথম প্রকোষ্ঠে যায়।
এই খাদ্য পুনরায় খাদ্যনালীর মাধ্যমে মুখে ফিরে যায়
তখন গোরু তার দাঁত দিয়ে ভালোভাবে চিবায়।
যে খাদ্য একবার ঢোকানো হয়েছে পেটে
দ্বিতীয়বার সেই খাদ্যকে পেট থেকে বের করে চিবালে
সেই প্রক্রিয়াকে জাবর কাটা বলে।

এ মল যে সে মল নয়
এ মল জাবর কাটা প্রাণী গোরুর মল হয়।
তাই গোরুর মলের জগৎজোড়া নাম
গোবর নামে চেনে সবাই।
হিন্দু নারীরা প্রভাতবেলায়
উঠানে গোবর জলের ছিঁটা দেয়।
গোবর জল দিয়ে মাটির ঘরের মেঝে বারান্দা
এমন কি ঘরের দেওয়াল উঠান লেপন করা।
গোবর থেকে ঘুঁটের চাপড়া
মা বোনেরা পাঁচ আঙুলে থাপ্পড় মেরে বসায় দেওয়ালে সেটা।
পরে রোদের তাপে শুকিয়ে গেলে
উঁকি মারে ঘুঁটে হয়ে সবার ঘরে ঘরে।
আগুন পেলে
সেই ঘুঁটিটা উনানেতে জ্বলে।
পাটকাঠিতে গোবর মাখিয়ে তারা তৈরী করে মশাল
রৌদ্রে সেটা শুকিয়ে গেলে হয়গো জ্বালানীর উপকরণ।
এমনকি গোবর সার
জমির নাকি মূল্যবান সম্পদ।

গোরুর মূল্য নাইকো মাথায়
গোরুর মূল্য তার তো পাছায়।
মানুষের মূল্য নাইকো তার পাছায়
মানুষের মূল্য হয়গো তার মাথায়।

গোরুর মল গোবর
জ্বালানীর মূল্যবান উপকরণ।

গোরু খায় ঘাস
পাকস্থলী থেকে বের করে আবার দাঁতে চিবায়
জাবর কাটা বলা হয়।
পেটের খাদ্যে জাবর কাটা
মনে রেখো এ কথাটা।

মানুষ পড়ে বই
মস্তিষ্ক থেকে বের করে বারবার পড়ে ওই,
জাবর কাটার সমতুল্য হই।
এ মল পেটের মল নয়
এ গোবর নয়।
এ মল মস্তিষ্কের মল হয়
এ জ্ঞান হয়।
মানুষের মস্তিষ্কের মল
যার নাম জ্ঞান
তাহা গোবরের ন্যায় জ্বালানীর উপকরণ।

সবার ঘর আজ জ্বালানীর উপকরণে ভরা
ঘুঁটে মশাল থেকে, মানুষের বইপত্র জ্ঞানবিদ্যা।
সবার ঘরে আজ জ্বালানীর সামগ্রী
একবার আগুন লাগলে রসাতলে যাবে ধরণী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.