নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম। অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার

আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম, অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

প্রদীপ হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভগবান শিব সাধনা

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৯


মানুষ যদি কথা না বলে
তাহলে কথা বলবে কে?
গোরু ছাগল কথা জানে না
তাই গোরু ছাগল কথা বলে না।
তাদের মুখে ফোটে কথা
মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েছে যারা।
তবু টিয়া কাকাতুয়া
পাখি হয়েও কথা বলতে জানে তারা।
মানুষের মুখে যদি না ফোটে কথা
তাহলে কি গোরু ছাগলের মুখে ফুটবে কথা?
ছাগল ভেড়ার কিই বা কাজ সারাদিন রাত
ঘুম থেকে উঠে সারাদিন খায় লতাপাতা ঘাস।
কাজকর্ম কিছু নাই তার
নিজের দেহদানে মানুষকে করে তাই উপকার।
গোরু যদিও বা করে কিছু কাজ
গাড়ি টানা ছাড়া, জমিতে টানে খুব বড়জোর লাঙল।
গাভী যদিও বা দেয় খাঁটি দুধ
তাতে মানুষের হয় কতটুকুই বা সুখ?
গোরু দেহদান করে বুঝিয়ে দেয়
তার দেহের ওপর মানুষের কতখানি লোভ হয়?
নারী নাই বা করুক কাজ
তার দেহের ওপর লোভ সবার।
গোরু ছাগল ভেড়া
নারীও একপ্রকার অবলা।

যারা হয় লতাপাতা গাছ
তাদের কণ্ঠে নাই চীৎকার।
যতই করুক কুঠারাঘাত
নাই তবু তাদের আর্তনাদ।
শেকড় ছাড়া হয় না কভু গাছ
গাছই দেয় অক্সিজেন, ফলমূল উপহার।
শেকড় যদি থাকে তার
সেই গাছই একমাত্র মূল্য পায়।
যে মাটিতে জন্ম তার
সেই মাটিতে মৃত্যু তার।
গাছের শেকড় মাটির তলায়
অন্ধকারে তাদের লড়াই।
কাণ্ড শাখা ফুল ফল পাতা
মাটির ওপর আলোর সখা।
অন্ধকারে শেকড় মূল
আলোর সাথে কাণ্ড শাখা ফুল।
গাছের যত বাহার
কাণ্ড শাখা ফুল ফল পাতায়।
এক কাণ্ডে শাখা প্রশাখা
ফুল ফল ও পাতা।
এক কাণ্ডে গাছ
সাত কাণ্ডে রামায়ণ।
গাছের দেখো কাণ্ড কারখানা
শাখা প্রশাখায় ফুল ফল পাতা।
কাণ্ডজ্ঞান যদি না থাকে তার
মানুষ নামের নাই পরিচয় তার।

কাণ্ডজ্ঞান যার অস্থি মজ্জায়
সেই তো মানুষ নামের পরিচয় পায়।
কাণ্ডজ্ঞান তার হয়
যার শাখা প্রশাখায় ফুল ফল পাতা হয়।
যার শাখা প্রশাখায় ফুল ফল পাতা নাই
তার তো আসলে কাণ্ড নাই।
যার কাণ্ড নাই
তার কিছুই নাই।
যার কাণ্ড হয়
তার সবকিছু হয়।
গাছের দেখো কাণ্ড কারখানা
মাটির তলায় মূল শেকড়, কাণ্ডের ওপর শাখা।
শাখার সাথে প্রশাখা
ভরিয়ে তোলে ফুল ফল পাতা।
যে কাণ্ড হয়
সে বৃক্ষ নামে পরিচিত হয়।
যার কাণ্ড নাই
সেই তো লতা হয়।
কাণ্ডবিহীন গাছ
সেই তো লতার সমান।
বেড়া ধরে চলা
এটাই লতার কথা।
লতার কাণ্ড দুর্বল
বেড়া তার অবলম্বন।
যাদের কাণ্ড দুর্বল
তারা অন্যকে করে অবলম্বন।

যাদের কাণ্ড সবল
তারা সুস্থ সহজ সরল।
নিজের কাণ্ডে নিজের জ্ঞান
সর্বাগ্রে পাইন শাল তাল।
নিজের কাণ্ডে ভরাডুবি
খেজুর নারিকেল কাণ্ড ভুক্তভোগী।
কাণ্ড যদি না থাকে তার
জ্ঞানের বৃদ্ধি কোথায় তার?
নিজের কাণ্ডে নিজে দাঁড়ায়
কাণ্ডের পরিচয় শাখা প্রশাখায়।
কাণ্ডের নীচে মূল
কাণ্ডের ওপরে শাখা প্রশাখায় ফুল।
কাণ্ডের যদি না থাকে মূল
সেই কাণ্ডের শাখা প্রশাখায় কি করে ধরবে ফুল?
যার কাণ্ডে মূল
তার কাণ্ডে ফুল।
যার কাণ্ড নাই
তার মূল ফুল নাই।
ও কাণ্ড ও কাণ্ড
তুই কোন্‌ গাছের কাণ্ড?
কোথায় রে তোর মূল
কোথায় রে তোর ফুল?
কোথায় রে তোর শাখা প্রশাখা
কোথায় রে তোর ফুল ফল পাতা?
ও কাণ্ড ও কাণ্ড
তুই কোন্‌ বাড়ির কাণ্ড?

স্বামী হলো বৃক্ষের কাণ্ড
সেই তো বাড়ির মূল কাণ্ড।
মূল হলো তার পিতা মাতা
স্ত্রী হলো তার শাঁখা পলা।
ফুল ফুটলে গর্ভে ফলে ফল উৎপাদন
আত্মীয়স্বজনে ভর্তি পাতায় বৃক্ষকে করি পূজা অর্পণ।
কাণ্ড যদি না হয় সঠিক
মূলের দুঃখ চিরকালীন ঠিক।
যতই থাকুক শাখা প্রশাখা
সবার ভাগ্যে ফুল ফল পাতা হয় না।
মূল যদি না থাকে তার
কাণ্ডের কোন নাইকো দাম।
মূলের সাথে কাণ্ড থাকে, কাণ্ডে থাকে জ্ঞান
মূল যদি না থাকে তার, থাকবে কোথায় কাণ্ডজ্ঞান?
আগে তো চাই মূল, তারপরেতে কাণ্ড
মূল যদি না থাকে তার, আসবে কোত্থেকে কাণ্ড?
মূল ছাড়া কি কাণ্ডটি
থাকতে পারে কি একাকী?
মূল ও কাণ্ড একইসাথে
জড়িয়ে থাকে মাটির সাথে।
পিতা মাতা মূল হলো যার
সেই কাণ্ড হলো তার পুত্র সন্তান।
কাণ্ডের থাকে শাখা প্রশাখা
স্ত্রীর হাতে শাঁখা পলা।
তার গর্ভে ফোটে ফুল
ফুল থেকে হয় ফল নয়কো এটা ভুল।

আত্মীয়স্বজনে ভরা
বৃক্ষ পাতায় ভরা।
বৃক্ষ থাকে ততক্ষণ টিকে
যতক্ষণ মূল কাণ্ড একসাথে।
কাণ্ডে থাকে শাখা প্রশাখা
শাখা প্রশাখায় ধরে ফুল ফল পাতা।
সংসার বৃক্ষ ততক্ষণ থাকে টিকে
যতক্ষণ পিতা মাতা পুত্রসন্তান থাকে একসাথে।
স্ত্রীর হাতে শাঁখা পলা
ধরে রাখে স্বামীর কাণ্ডটা।
স্বামী ধরে রাখে তার পিতা মাতা
মূল হয়ে জন্ম নিলো মাটির ভেতরে যারা।
গাছের শাখা প্রশাখা
স্ত্রীর হাতে শাঁখা পলা।
কাণ্ডের সাথে যুক্ত শাখা প্রশাখা
ধরে রাখে ফুল ফল ও পাতা।
স্ত্রীর দুই হাতে শাঁখা পলা
ধরে রাখে স্বামীর কাণ্ডটা।
ধরে রাখে ফুল ফল পাতাটি
শ্বশুর শাশুড়ি আত্মীয়স্বজন পাড়াপ্রতিবেশী।
মহান সংসার বৃক্ষের কথা
মনে রেখো সবাই তোমরা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.