নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাগ্রত বিবেক

প্রািন্ত

যেদিন তুমি এসেছিলে ভবে কেদেছিলে তুমি আর হেসেছিল সবেএমন জীবন করো হে গঠনমরনে হাসিবে তুমি কাদিবে ভুবন

প্রািন্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম আলো অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদ ও কিছু কথা

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১১

দেশে প্রতিদিন রাজনীতির বলি হচ্ছেন অসংখ্য নিরীহ মানুষ। আজ কোন মানুষের জীবনের কোন গ্যারান্টি নেই। পেট্রোল বোমায় মানুষ মরছে। হাসিনা-খালেদার সন্তান তো দেশে থাকে না, তাই তারা মারা যাওয়ারও কোন ভয় নেই। এই অবস্থায় যখন আমরা চরম উৎকন্ঠিত ঠিক তখনই একটি তামাশার সংবাদ পেলাম আমরা। প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত সংবাদটি পাঠকদের সুচিন্তিত মতামতের জন্য এই রিপোর্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
গ্রামের মেয়েদের ঢঙে পুরোনো একটি চেক সুতি শাড়ি পরেছেন তিনি। পায়ে সামান্য উঁচু হিলের জুতো। চেহারা সুরত আর শাড়িতে তাঁকে মেলানো যাচ্ছিল না। এ জন্যই নজর কাড়লেন তিনি। তাঁর পাশেই একজন চেঁচালেন, ‘অ্যাই গ্লিসারিন কই? তাড়াতাড়ি গ্লিসারিন লাগান। ’
সেই নারী চোখে গ্লিসারিন লাগানোর পর চালু হলো ক্যামেরা। শুরু হলো দৃশ্য ধারণ। আশপাশে কিছু লোকও জমে গেল। এভাবে খানিকক্ষণ চলল শুটিং। তারপর তাঁরা বের হয়ে গেলেন।
এটি একটি গানের দৃশ্য। তবে লোকেশন নয়নাভিরাম দৃশ্যে ভরা আহামরি কোনো জায়গা নয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিট। আজ দুপুরে সেখানে অবজারভেশন ওয়ার্ডে এই গানের দৃশ্য ধারণ করা হয়। গ্রামীণ নারীর বেশধারী পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন একজনের মাথায় হাত রেখে শট দেন। এই রোগী গতকাল বুধবার গাজীপুরে বাসে পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়েছেন। সেই রোগী বা তাঁর আত্মীয়স্বজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুটিং শেষ হয়। এ সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের ক্যামেরা এবং সাংবাদিকেরাও ব্যস্ত ছিলেন পেট্রলবোমায় দগ্ধ লোকজনকে নিয়ে। তাই বিষয়টি অনেকেরই তেমনভাবে চোখে পড়েনি।
শুটিং যিনি পরিচালনা করছিলেন তিনি নিজেকে রফিকুল ইসলাম বুলবুল বলে পরিচয় দেন। তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে প্রথমে তিনি নিজেকে সাংবাদিক দাবি করেন। কোন পত্রিকা? জানতে চাইলে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) জন্য কাজ করছেন বলে দাবি করেন। তাঁকে বলা হলো, বিটিভির তো নিজস্ব লোকবল থাকে, এভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কাজ করছেন কেন? তখন তিনি বলেন, ‘অই তো হলো। আমি পারসোনালি কাজ করছি, তারপর বিটিভিকে দেব। ’
রফিকুল ইসলামের দেওয়া ভিজিটিং কার্ডে ইংরেজিতে প্রেস লেখা। রাজধানীর ২৬ মণিপুরীপাড়া ঠিকানায় পত্রিকার নাম হিসেবে দৈনিক এই বাংলা (সারা বাংলার মানুষের কথা), সাপ্তাহিক দূর্নীতি রিপোর্ট এবং ইংরেজিতে উইকলি ফ্রাইডে রিভিউ লেখা কার্ডে। সাপ্তাহিকের নামটাও (দুর্নীতি) ভুল বানানে লেখা। আর রফিকুল ইসলামের পদবি লেখা রয়েছে সিনিয়র এডিটর/অথর অ্যান্ড ফিল্ম ডিরেক্টর। তিনি যখন শুটিং নিয়ে ব্যস্ত, তখন অন্য এক রোগীর এক স্বজন এসে জানতে চান, তিনি সরকারের কোনো মন্ত্রী কি না?
বিটিভির নাম ভাঙিয়ে শুটিং হলেও বিটিভি কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে অবগত নয়। এ ব্যাপারে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে বিটিভির উপমহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) বাহার উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিটিভি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙিয়ে হরতাল অবরোধের শিকার রোগীদের নিয়ে ব্যবসা করার জন্য কেউ এ কাজটি করছে। এই ব্যক্তি বা তাঁর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিটিভির কোনো সম্পর্ক নেই। বিটিভির প্যাকেজ নীতির আওতায় কেউ কিছু দিতে চাইলে তাঁদেরকে বিভিন্ন প্রক্রিয়া বা ধাপ পার হতে হয়। হুট করে কেউ বিটিভিকে কিছু দিতে পারে না। ’
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের অবৈতনিক উপদেষ্টা সামন্ত লাল সেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ধরনের শুটিংয়ের জন্য আমার কাছ থেকে কোনো অনুমতি নিতে কেউ আসেনি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্ন ইউনিটের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, বার্ন ইউনিটে রোগীদের নিয়ে শুটিং করার অনুমতি দেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


মগজহীন লোকে ভরে গেছে মিডিয়া, আফ্রিকার মিডিয়া থেকেও বাংগালী জার্নালিম নীচে আছে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৯

প্রািন্ত বলেছেন: এরা কোন মিডিয়ার লোক সেটিই প্রশ্ন। সরকারী সহযোগীতা ছাড়া এরা কোন দিনই বার্ণ ইউনিটে গিয়ে এমন কাজ করতে পারবেন। হয়তো সরকার তাদের বিদেশী প্রভূদের বিরোধীদলের কর্মকান্ড বিরুপ ভাবে তুলে ধরতেই এই অপপ্রয়াস। ইদানিং আবার যুবলীগের ক্যাডারাও পেট্রোল বোমা সহ ধরা পড়ছে।

২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬

ভোরের সূর্য বলেছেন: আমরা শুধু বলি যে আমাদের রাজণীতিবিদদের কোন বিবেক বা লজ্জা নাই কিন্তু আমাদের সাধারণ মানুষদেরও যে নাই সেটার প্রমাণ হচ্ছে এই খবরটা।

নিশ্চয় কেউ না কেউ পারমিশন দিয়েছে বার্ন ইউনিটে শুটিং করার তার বিবেকটা কিরকম? সেই পরিচালক বা যিনি এই শুটিং পরিচালনা করেছেন তার বিবেক কিংবা যেই মহিলা পুড়ে যাওয়া রোগীর গায়ে হাত দিয়ে গ্লিসারিন মেখে শুটিং করেছেন তারই বা বিবেক কিরকম? আমরা কি মিনিমাম মানবতাবোধ,লজ্জা একদম হারিয়ে ফেলেছি?

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩০

প্রািন্ত বলেছেন: সব সম্ভবের দেশ এই বাংলাদেশ। তবে মানবতাবোধ কারোই নেই।

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কি অবস্থা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.