![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেদিন তুমি এসেছিলে ভবে কেদেছিলে তুমি আর হেসেছিল সবেএমন জীবন করো হে গঠনমরনে হাসিবে তুমি কাদিবে ভুবন
গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লী তদন্ত শুরু করেছে বিচার বিভাগ ও পিবিআই।
গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের জমিতে দখল উচ্ছেদ ও সহিংসতার ঘটনার উচ্চ আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও পিবিআই।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে গাইবান্ধা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল্লাহ ঘটনা তদন্ত করতে সেখানে অবস্থান নেওয়া সাঁওতালদের সঙ্গে কথা বলেন। তার সঙ্গে গাইবান্ধার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ইউসুফ হোসেন রনি উপস্থিত ছিলেন। এসময় সাঁওতালরা ৬ নভেম্বরের ঘটনার সম্পর্কে চিফ জুডিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেটকে অবগত করেন।
অপরদিকে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকতার হোসেনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম মাদারপুর ও জয়পুরপাড়ার সাঁওতাল পল্লীতে পৌঁছে।
শুরুতে তদন্ত টিম ক্ষতিগ্রস্ত মাদারপুর ও জয়পুরপাড়া ঘুরে দেখেন। এসময় তারা ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতালদের সঙ্গে কথা বলেন।
মহামান্য হাইকোর্টের নিকট আমার নিবেদন যে, শুধু সাঁওতালদের কথা শোনার পাশাপাশি স্থানীয় সর্বস্তরের বিভিন্ন পেশাজীবি বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির কথাও শোনা হোক। সাঁওতালরা একপেশে ভাবে নিজেদের আবেগ প্রকাশ করবে এ্টাই স্বাভাবিক। কিন্তু দেশের আইন একেক জনের জন্য একেক রকম হতে পারে না। সাঁওতালদের প্রতি আমাদের ব্যক্তিগত কোন আক্রোশ নেই। কিন্তু তারা কতিপয় সুযোগ সন্ধানী মানুষের দুষ্টু বুদ্ধিতে দেশের প্রচলিত আইনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান গ্রহণ করে। এ নিয়ে চিনিকলের সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারীরা বহু আন্দোলন করেছে কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। আজ যখন হাতেগোনা কয়েকজন আইন ভঙ্গকারী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের স্বার্থ ক্ষুন্ন হয়েছে তখন নামসর্বস্ব সংগঠন সমস্বরে আওয়াজ তুলছে। কেন? সাঁওতালরা কি প্রচলিত আইনের উর্ধে? তারা কি অন্যায় করেনি? আমি এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার সারাংশ নিম্নে পেশ করছি বিবেকবানদের উদ্দেশ্যে।
সাঁওতাল নেতা ফিলিমন বাস্কে ও স্থানীয় ভূমি উদ্ধার কমিটির স্বঘোষিত নেতা শাহজাহান আলী চিনিকলের জমি লীজ নিয়ে চাষাবাদ করতেন। তারা লীজের টাকা ঠিক মত চিনিকল কর্তৃপক্ষকে পরিশোধ করেননি। নানা ছলছতোয় তারা লীজের টাকা না দিয়ে সরকারী জমিতে চাষাবাদ চালিয়ে যেতে থাকেন। বহুবার কর্তৃপক্ষ লীজের টাকা পরিশোধের জন্য তলব তাগাদা দিলেও তারা কোন কর্ণপাত করেনি। বাধ্য হয়ে চিনিকল কর্তৃপক্ষ পাওনা লীজের টাকার জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা করলে তারা নিরীহ সাঁওতালদের দিয়ে এই নাটকের জন্ম দেয়। শুধু তাই নয়। তারা বিভিন্ন জেলা থেকে সাঁওতালদের খামারের জমি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে সাহেবগঞ্জ খামারে ঝুপড়ি তৈরী করে দেয়। সেখানে সাঁওতালরা দিন রাত তীর ধনুক হাতে পাহারা দিতে থাকে।
চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীরা বহুবার রেলপথ ও রাজপথ অপরোধ করে আন্দোলন করতে থাকে। যখন কোন সংগঠন বা সুশীল সমাজের ধ্বজাধারী টকশোওয়ালারা গরীব চিনিকল শ্রমিকদের অনুকম্পা দেখাননি। উল্টো বহুবার সশস্ত্র সাঁওতালরা চিনিকলের খামারের অফিসে হামলা করে শ্রমিক-কর্মচারীদের মারপিট করে আহত করে এবং অফিস ভাংচুর করে। সর্বশেষ ঘটনার দিন কর্তৃপক্ষ খামারের একটা অংশে বীজ আখ সংগ্রহ করতে গেলে সশস্ত্র সাঁওতালরা তীর ধনুক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। পুলিশের উপস্থিতিতে তারা আখের বীজ লুট করতে থাকে। পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশের উপর তীর ধনুক নিয়ে হামলা করে। এতে ৯ পুলিশ তীরবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে।
পুলিশরাও তো এদেশের সন্তান। তারাও তো দেশের জন্যই কাজ করতে গিয়েছিল। কেউ তো আহত পুলিশদের প্রতি সামান্যতম অনুকম্পাও দেখাননি।
এখনও জাতীয় প্রেসক্লাবসহ সাঁওতালদের সমর্থনে বিভিন্ন স্থানে নানা সেমিনারে এই ঘটনার জন্মদাতা শাহজাহানকে দেখা যায়। আমরা শুধু প্রকৃত অপরাধীকে সনাক্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহামান্য হাইকোট সহ দেশের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে বিনীত অনুরোধ করছি।
আমরা একুশ শতকের এই যুগে আর কোন জাতিগত হানাহানি চাই না। আমারা চাই আমাদের প্রিয় এই মাতৃভূমি যেন উন্নতির চরমশিখড়ে পৌছে যায়। বিশ্বের দরবারে আমারা গর্ব করে বলতে পারি- ‘আমরা বাংলাদেশী’।
বি:দ্র: পাঠক বন্ধুরা কোন ভূলত্রুটি হলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। তবে এ সম্পর্কে কোন কিছু জানতে চাইলে কমেন্টস করুন, উত্তর দেব।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯
প্রািন্ত বলেছেন: একদম সঠিক কথা বলেছেন। সবাই প্রগতিশীল সাজতে গিয়ে সত্যকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
এদেশের মানুষ এনার্খিতে ভুগছে; কারণ, সরকার ও প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে না।