নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাগ্রত বিবেক

প্রািন্ত

যেদিন তুমি এসেছিলে ভবে কেদেছিলে তুমি আর হেসেছিল সবেএমন জীবন করো হে গঠনমরনে হাসিবে তুমি কাদিবে ভুবন

প্রািন্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিডিয়ায় মিথ্যে সংবাদ কেন?

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে গত ডিসেম্বরে সাঁওতালদের নিয়ে যে ঘটনা ঘটে গেল তা নিয়ে দেশবাসিকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশনে মিডিয়াগুলো নিলর্জ তথ্য সন্ত্রাস গোবিন্দগঞ্জ এলাকার লাখ লাখ বাঙ্গালী জনগণকে করে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে। সেই সাথে আবার গোদের উপর বিষফোরার মত যুক্ত হয়েছে নামসর্বস্ব কিছু সংগঠন ও সংস্থা। না বুঝেই যে যার মত করে মন্তব্য করে যাচ্ছে। ঘটনাটি প্রায় দুই মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনও এই ধারা অব্যহত করেছে কিছু দালাল মিডিয়া। আজ প্রথম আলো অন লাইনে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে ফারুক ওয়াসিফ প্রসঙ্গক্রমে লিখেছেন- গত ডিসেম্বরের ঘটনা। পূর্বপুরুষের জমি দখলের প্রতিবাদ করায় সাঁওতালপল্লি পুড়িয়ে দেওয়া হয় গোবিন্দগঞ্জে। দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি জাতীয় পত্রিকার এমন লেখায় আমরা মর্মাহত। আমরা প্রথম আলোর এমন মন্তব্যে তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাই।
প্রসঙ্গক্রমে এখানে উল্লেখ্য যে, ১৯৫৩-৫৪ সালে রংপুর চিনিকলের খামারের জন্য ১৮৪২ একর জমি অধিগ্রহণ করেন তৎকালীন সরকার। সেসময় উপযুক্ত বাজার মূল্যে সকলের জমির মূল্য পরিশোধ করা হয়। প্রায় ৯৫% শতাংশ জমি বাঙ্গালী হিন্দু-মুসলমানদের এবং বাকী ৫% জমি ছিল সাঁওতালদের। কিন্তু ৬২ বছর পর সাঁওতালরা তাদের নেতা ফিলিমন বাস্কে ও স্থানীয় বাটপার এবং কথিত ‍ভূমি উদ্ধার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলীর প্ররোচনায় জমি নিজেদের দাবী করে জোরপূর্বক চিনিকলের সরকারী জমি দখল করে ঝুপড়ি ঘর তুলে জায়গা দখল করতে থাকে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরীব সাঁওতালদের লোভ দেখিয়ে গোবিন্দগঞ্জ নিয়ে আসে। তাদের নিকট থেকে ৪০/৫০ হাজার নেয়া হয় জমি দেওয়ার কথা বলে। এনিয়ে চিনিকলের সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারীরা বহুবার রাজপথ অবরোধ- রেলপথ অবরোধ সহ নানা আন্দোলন সংগ্রম করেছে। প্রশাসনের দরজায় দরজায় তারা ধর্ণা দিয়েছে।
একদিকে চিনিকলের সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারীরা প্রশাসনের দরজায় ধর্ণা দিচ্ছে অন্য দিকে সাঁওতালরা একের পর এক অঘটন ঘটিয়ে চলেছে। তারা খামারের অফিসে হামলা চালিয়ে নিরাপত্তা কর্মীদের মারপিট, অফিস ভাংচুর, পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই, এমনকি সেখানকার বাঙ্গালীদের উপরও তারা চড়াও হয়ে হামলা করেছে। এ অবস্থায় চিনিকলের খামারের জমিতে বীজ আখ কাটার সময় সাঁওতালরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চিনিকলের শ্রমিকদের উপর হামলা করে। খবর পেযে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তারা তীর ধনুক নিয়ে পুলিশের উপর হামলা করে ৯ পুলিশ সদস্যকে গুরুতর ভাবে আহত করে। পুলিশ বাধ্য হয়ে তাদের অন্যায় ভাবে দখল করা সরকারী জমি দখল মুক্ত করে। এসময় সরকারী জমিতে তোলা ঝুপড়িতে আগুন দেয়া হয়। স্থানীয় মানুষ, চিনিকল শ্রমিক ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ২ সাঁওতালের মৃত্যু হয় পর দিন। তারা দুই জনই দেশের অন্য এলাকা থেকে জমি দখল করতে এসেছিল।
সরকারী জমি দখল মুক্ত করতে সদ্য তোলা ঘড়ের ঝুপড়িতে আগুন দিলে প্রথম আলোর মত দালাল মিডিয়ার কল্যাণে সেটা সারা দেশের মানুষের কাছে সাঁওতালপল্লি হিসেবে পরিচিতি পায়। ফলে দেশের আদালত, মিডিয়া, সুশীল সমাজ, এনজিও ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো তীব্র ভাবে প্রশাসনের কর্মকান্ডের সমালোচনা করতে থাকে এবং সাঁওতালদের জন্য সাহায্যের হাত নিয়ে ছুটে আসেন গোবিন্দগঞ্জে।
ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক বারাকত হোসেন ছুটে এলেন গোবিন্দগঞ্জে। তিনি সাঁওতালদের কাছে ঘটনা শুনে ঢাকায় ছুটে গিয়ে সাংবাদিকদের জানালেন, আমি সব কিছু দেখে এসেছি, জমি যে সাঁওতালদের এতে কোন সন্দেহ নেই। অথচ তিনি কোন বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাথে কথাই বলেননি সেখানে। কেন? সেখানকার বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির কি কোন আবেগ অনুভূতি নেই? রাতে বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে টকশোর বাচালরা শোরগোল তুললেন। তারা এমন ভাবে কথা বললেন যেন- তাদের বাপ-দাদার পৈত্রিক বাড়ী সাঁওতালদের বাড়ীর পাশে এবং তারা সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.