নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম আলোর এই খবরটি পড়ুন। এখান থেকেই আপনি আপনাদের দেশ সমস্য স্বরুপ সম্পর্কে অনেক মূল্যবান চিত্র পেয়ে যাবেন।
অবশেষে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা ৩৮ লাখ টাকা দামের পাজেরো জিপ পেতে যাচ্ছেন। প্রাথমিকভাবে ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০ জন চেয়ারম্যানকে লটারির মাধ্যমে গাড়ি দেওয়া হবে। এ ছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের বেতন বাড়ানোর জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে। এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবটি বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২৫ ফেব্রুয়ারি বেলা তিনটায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের উপস্থিতিতে এই লটারি অনুষ্ঠিত হবে। মার্চের মধ্যে চেয়ারম্যানরা গাড়ি পেয়ে যাবেন।
সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত ৩১০টি জিপ কেনার অর্থ পেয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ পেলে আগামী জুনের মধ্যে ৪২০টি গাড়ি কেনা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ২২০টি গাড়ি লটারির মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। বাকি উপজেলাগুলোতে সরকারি অনুমোদন ও অর্থ পাওয়ার পর আগামী অর্থবছরের মধ্যে জিপ সরবরাহ করা হবে বলে জানা গেছে। দেশের ৪৮১টি উপজেলার মধ্যে ৪৭১টিতে পাজেরো জিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা, অষ্টগ্রাম ও মিঠামইন; সুনামগঞ্জের তাহেরপুর ও শাল্লা; রাঙামাটির বরকল, বিলাইছড়ি, নানিয়ারচর ও জুড়াছড়ি এবং নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরি—এই ১০ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের জন্য নৌযান (স্পিডবোট) কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত মঙ্গল ও বুধবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ৪৭১ জন উপজেলা চেয়ারম্যানকে লটারি অনুষ্ঠানে নিজেকে অথবা প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকতে চিঠি দেওয়া শুরু হয়েছে। সব জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চিঠির অনুলিপি দেওয়া হচ্ছে। সূত্র জানায়, স্পিকার আবদুল হামিদের অনুরোধে ১০টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের জন্য নৌযানের পাশাপাশি ১০টি জিপ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ওই ১০টি উপজেলায় বর্ষাকালে নৌযান ব্যবহার করা সম্ভব হলেও শুকনো মৌসুমে তা ব্যবহার করা যায় না। তাই শুকনো মৌসুমের জন্য গাড়ির প্রয়োজন হয়। সে বিষয়টি লক্ষ রেখেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাব দেয়। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এ প্রস্তাব তারা অনুমোদন দেবে না।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের মাসিক সম্মানী ভাতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানদের জন্য সাড়ে সাত হাজার ও ভাইস চেয়ারম্যানদের পাঁচ হাজার টাকা মাসিক সম্মানী ভাতা অনুমোদন হয়েছিল। পরে মন্ত্রণালয় চেয়ারম্যানদের ভাতা সাড়ে সাত হাজার থেকে ১০ হাজার এবং ভাইস চেয়ারম্যানদের ভাতা পাঁচ হাজার থেকে সাড়ে সাত হাজারে উন্নীত করার প্রস্তাব দেয়। এ সংক্রান্ত নথি আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ে আছে।
এ সম্পর্কে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব অশোক মাধব রায় প্রথম আলোকে বলেন, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাবটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে আছে। সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের ভাতা বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দিতে হবে না। উপজেলা পরিষদের আয় থেকে এসব অর্থ সরবরাহ করা হবে বলে জানা গেছে। ভাতা বাড়ানোর নথির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হাওলাদার জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নথিটি সচিব দেখেছেন, এখন মন্ত্রীর দপ্তরে যাবে। আশা করা যায়, এক সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল পাওয়া যাবে।
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:০৪
দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: জনগণের টাকা নষ্টের কত পায়তারা।
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:০৪
এস বাসার বলেছেন: জন গনের টাকায় উনারা জিপ কিনবেন , পোরশে, মার্সিডিজ কিনবেন, স্পীডবোট কিনবেন, বিদেশ যাবেন, বাড়ী বানাবেন আর ও কত কি............
আর আমরা বোকা জন গন না খেয়ে থাকবো, যানজটে গরমে চ্যাপ্টা হয়ে যাবো, কখনো বা খুন হয়ে যাবো..........
তবু ও উনাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাবো আমাদের শোষন করার জন্যে।
উনাদের গাড়ী দেখে খুশি হবো ......... শান্তি ....ওম শান্তি।
৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:১৯
পারভেজ রবিন বলেছেন: জনগনের টাকায় ফালতু অপচয়। হ্যাগো একটা কইরা রিক্সা দিলেই অয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৫৩
স্পাইডারওয়েব বলেছেন: চলেন সব চেয়ারম্যান হই। এক টার্মে নো চিন্তা