নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বর্গ-পৃথ্বী অন্তঃস্থলে, বহুকিছু ফিরে-চলে, যাহা বিস্ময়কর

প্রোফেসর শঙ্কু

বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়

প্রোফেসর শঙ্কু › বিস্তারিত পোস্টঃ

চরমপত্র, ১৬ই ডিসেম্বরের সম্প্রচার এবং সামান্য প্রতিদান

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

হ-অ-অ-অ। হেই দিক্কার কারবার হুনছেন নি? লেংড়া-কানা-খোঁড়া-বোঁচা - যেই সব বুড়াবুড়া পাঞ্জাবি মছুয়া আর্মি থনে চাকরিতে রিটায়ার করণের পর 'স্মাগলিং' আর 'বিলেক মার্কেটের' business করতাসিল, জঙ্গি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান (কি?) হগগলরেই লাড়াই করণের লাইগ্যা call করছে। রিপোর্ট না করলে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। এইগুলারেই কয় কামানের খোরাক। এই খবর শুইন্যা বিচ্চুগো মুখ দিয়া অক্করে লালা পড়তে শুরু করছে। মছুয়া কোবায়ে কি আরাম ভাই, মছুয়া কোবায়ে কি আরাম!



সেই ক্যানক্যানে, তীব্র কণ্ঠস্বর আর শ্লেষভরা রসিকতা- স্বাধীন বাংলা বেতারের অনুষ্ঠান 'চরমপত্রের' ধরাবাঁধা ক্লাসিক পরিচয়। এই মার্চ মাসেই, একাত্তরের ২৫শে মার্চ স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের সাথে সাথে চরমপত্রের যাত্রা শুরু, আর ঠিক ১৬ই ডিসেম্বর তার ইতি। মাঝখানের একটা দিনও অনুষ্ঠান প্রচার বাদ যায় নি। যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণার এক বিরাট উৎস ছিল এই পুরান ঢাকাইয়া ধাঁচে লেখা কথিকা অনুষ্ঠান।



'চরমপত্র' নামটি দেন বেতারকেন্দ্রের কর্মী আশফাকুর রহমান খান। কিন্তু এর লেখনী ও জবানীর যোগানদাতা- উভয়েই ছিলেন এম আর আখতার মুকুল। যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি ছিলেন প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের তথ্য ও প্রচার অধিকর্তা। সেই সুবাদে রণক্ষেত্রের নানা তথ্য তার কাছে এসে পৌঁছাত, আর এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে তিনি চরমপত্রের মাধ্যমে রেডিও পাকিস্তানের (ঠাট্টা করে বলা হত 'গায়েবি আওয়াজ'!) অপপ্রচারের বিপক্ষে প্রোপ্যাগান্ডা চালাতেন। নানা খবর দেবার পাশাপাশি তীব্র ব্যঙ্গ আর কটাক্ষপূর্ণ হাস্যরস তার এ কথিকার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল। বলা যায়, পাকিস্তানি প্রোপ্যাগান্ডার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল চরমপত্র, আর এ প্রতিযোগিতায় এটি নিঃসংশয়ে জয়ী হয়েছিল।



এতটা ভূমিকা সত্ত্বেও আখতার মুকুল স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে কোন স্বীকৃতি পাননি। ১৯৭২ সালে চরমপত্র পুস্তকাকারে বেরোনোর কথা ছিল। কিন্তু অর্থাভাবে বাংলা একাদেমি অপারগতা দেখায়, তাই বইটি আর বেরোয়নি। উপরন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু-হত্যার পর চরমপত্রকে 'ইবলিসের গালিগালাজ' বলে অভিহিত করা হয় এবং খন্দকার মোশতাক সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশ বেতারের ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসে সংরক্ষিত 'চরমপত্রের' সমস্ত টেপ বিনষ্ট করা হয়। এতে চরমপত্রের কণ্ঠরুপ চিরকালের জন্য হারিয়ে যায়। এমনকি পরবর্তী বছরগুলোতেও রাজনৈতিক চাপে বই আকারে একে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।



আমার জানামতে, সম্পূর্ণ সংগ্রহ নিয়ে চরমপত্রের কোন বই আজো প্রকাশিত হয়নি। তবে ২০০০ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন সংগ্রহ নিয়ে দু'চারটে বই বেরিয়েছে। তা থেকে পাঠকের পড়ার জন্যে ১৬ই ডিসেম্বরের সর্বশেষ সম্প্রচারটির লিখিত রূপ নিচে দেওয়া হোল-







১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১



কি পোলারে বাঘে খাইলো? শ্যাষ। আইজ থাইক্যা বঙ্গাল মুলুকে মছুয়াগো রাজত্ব শ্যাষ। ঠাস কইরা একটা আওয়াজ হইলো। কি হইলো? কি হইলো? ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পিঁয়াজী সা'বে চেয়ার থনে চিত্তর হইয়া পইড়া গেছিলো। আট হাজার আষ্টশ' চুরাশি দিন আগে ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট তারিখে মুছলমান-মুছলমান ভাই-ভাই কইয়া, করাচী-লাহুর-পিণ্ডির মছুয়া মহারাজরা বঙ্গাল মুলুকে যে রাজত্ব কায়েম করছিল, আইজ তার খতম তারাবী হইয়া গেল।



বাঙ্গালি পোলাপান বিচ্চুরা দুইশ পঁয়ষট্টি দিন ধইরা বাঙ্গাল মুলুকের ক্যাদো আর প্যাঁকের মাইদ্দে world-এর best পাইটিং ফোর্সগো পাইয়া, আরে বাড়িরে বাড়ি। ভোমা ভোমা সাইজের মছুয়াগুলা ঘঁৎ ঘঁৎ কইরা দম ফ্যালাইলো। 'ইরাবতীতে জনম যার ইরাবতীতে মরণ।' আতকা আমাগো চক বাজারের ছক্কু মিয়া ফাল পাইড়্যা উডলো, 'ভাইসা'ব, আমাগো চক বাজারের চৌ-রাস্তার মাইদ্দে পাথর দিয়া একটি সাইনবোর্ড বানামু। হেইডার মাইদ্দে কাউলারে দিয়া লেখাইয়া লমু, ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বঙ্গাল মুলুকে মছুয়া নামে এক কিছিমের মাল আছিলো। হেগো চোটপাট বাইড়া যাওনের গতিকে হাজারে হাজার বাঙ্গালি বিচ্চু হেগো চুটিয়া- মানে কিনা পিঁপড়ার মতো ডইল্যা শেষ করছিল। এই কিছিমের গেনজামরেই কেতাবের মাইদ্দে লিইখ্যা থুইছে 'পিপীলিকার পাখা উঠে মরিবার তরে।' টিক্কা-মালেক্যা গেল তল, পিঁয়াজ বলে কত জল?



২৫ শা মার্চ তারিখে সেনাপতি ইয়াহিয়া খান বাঙ্গালিগো বেশুমার মার্ডার করনের আর্ডার দিয়া কি চোটপাট! জেনারেল টিক্কা খান হেই অর্ডার পাইয়া ৩০ লাখ বাঙ্গালির খুন দিয়া গোসল করলো। তারপর, বঙ্গাল মুলুকের খাল-খন্দক, দরিয়া-পাহাড়, গেরাম-বন্দরের মাইদ্দে তৈরি হইলো বিচ্চু। 'যেই রকম বুনোওল, সেইরকম বাঘা তেঁতুল।' গেরামের পোলাপান যেমতে কইরা বদমাইশ লোকের গতরের মাইদ্দে চোতরা পাতা ঘইস্যা দেয়, বিচ্চুগো হেই রকম কাম শুরু হইয়া গেল। হেই কাম begin, ঢাঁই-ই-ই-ই। কি হইলো কি হইলো? ঢাকার মতিঝিলে বিচ্চুগো কারাবর হইলো।



ঘেটাঘ্যাঁট, ঘেটাঘ্যাঁট। কি হইলো কি হইলো? অংপুরের ভুরুঙ্গামারিতে ভোমা ভোমা সাইজের মছুয়ারা হালাক হইলো। কেইসটা কি? কই নাতো। আমাগো মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জে কোন টাইমেই মছুয়া আছিলো না তো? মেরহামত মিয়া অক্করে চিক্কুর পাইড়া উঠলো, 'বুজছি, বুজছি, পুরা মছুয়া রেজিমেন্টরে আলাদা না পাইয়া প্যাঁক আর দরিয়ার মাইদ্দে গায়েব কইরা, কি সোন্দর দুই হাত ঝাইড়া বিচ্চুরা কইতাছে, কই না তো? এইদিকে কোনোদিন মছুয়ারা আহে নাই তো?



ব্যাস, মেসিন গানের লগে মেসিন গান; মর্টারের লগে মর্টারের বাইড়া-বাইড়ি শুরু হইয়া গেল। গাবুর বাড়ির চোটে জেনারেল টিক্কা খান পাকিস্তানে ভাগোয়াট হইলেন। লগে লগে আবার ছদর ইয়াহিয়া নতুন ট্রিকস কইরা কয়েকটা বাঙ্গালি হারু মালের মুখে লাগাল লাগাইয়া 'ক্ষেমতা হস্তান্তর করছি' বইল্যা চিল্লাইতে শুরু করল। ঠ্যাঁটা মালেক্কা গবর্ণর, one man পার্টির ছল্লু মিয়া, মাইনকার চরের আবুল কাসেম, খুলনার খবরের কাগজের হকার মাওলানা ইউসুপ্যা, জয়পুরহাটের মাওলানা আব্বাস, ফেনির অবায়দুল্লা মজুমদার আর বরিশালের আখতারুদ্দিন মিনিস্টার হইলেন। হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র মন্ত্রী। পালের গোদা ছিয়াত্তর বচ্ছর বয়সের বুড়া বিল্লি আস্তে কইরা ছালার মাইদ্দে তনে বারাইলো। স-অ-ব কামই হিসাব মতো চলতাছে। সাতডা হারু পাট্টিরে এক গোয়ালে তুইল্যা মওলবি সা'বের পেরধান মন্ত্রী হওনের চিরকিৎ হইলো। পুরানা তপনের ন্যাকড়া দিয়া উরা বাইন্দ্যা বেডায় হাওয়াই জাহাজে পিণ্ডি যাইয়া ছদর ইয়াহিয়া খানের অক্করে কোলের মাইদ্দে বইয়া পড়লো।



সেনাপতি ইয়াহিয়া খান যখন আন্দাজ করতে পারল যে, কোন ট্রিকসেই আর কাম হইতাসে না, তখন পাকিস্তান আর বঙ্গাল মুলুকের লাড়াইডারে ইন্ডিয়া-পাকিস্তানের গেনজাম বইল্যা চালু করনের লাইগ্যা ভট কইরা কইয়া বইলো, আমি কিন্তু আর নিজেরে আটকাইয়া রাখতে পারতাছি না, আমার লগে নতুন মামু রইছে, বুড়া চাচা রইছে। আমি ইন্ডিয়া attack করমু। দিন দশেকের মাইদ্দে আমি এই কারবার করমু। এইবার আমি নিজেই পিণ্ডির থনে বর্ডারে যামুগা। যেই কাথা, হেই কাম। মাথার upper chamber খালি ছদর ইয়াহিয়া- যা থাকে ডুঙ্গির কপালে কইয়া কারবার কইর‍্যা বইলো। কিন্তু মওলবি সা'বরে আর border-এ যাইতে হইল না। আতকা শরবন তহুরার গিলাস টেবিলের ওপরে ঠক কইরা থুইয়া দ্যাহে কি? লাড়াই রাওয়ালপিণ্ডির দরজায় আইস্যা হাজির হইছে। পাশে আজরাইল ফেরেশতা খাতা হাতে খাড়াইয়া রইছে। খাতায় লেখা, 'সাদাপাকা মোটা মোটা ভুরু-ওয়ালা আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান, পিতা unknown.



হ-অ-অ-অ এইদিককার খবর হুনছেন নি? সবই হবুর কারবার। হবু পেরধান মন্ত্রী নুরুল আমীন, হবু দেশরক্ষা মন্ত্রী মিয়া মোমতাজ মোহাম্মদ দৌলতানা, হবু যোগাযোগমন্ত্রী আগায় খান পাছায় খান খান আব্দুল কাইউম খান, হবু পোস্টাপিসের মন্ত্রী ইসলামের যম গোলাম আজম আর হবু ফরিন মন্ত্রী মদারু ভুট্টো। কেউ শপথ লইতে পারে নাইক্কা- টাইম শর্ট। বঙ্গাল মুলুকের বিচ্চুগো গাজুরিয়া মাইর শুরু হইয়া গেছে। ঠ্যাঁটা মালেক্কার কি কাঁপন! মওলবি সা'বে বাঙ্কারের মাইদ্দে বইস্যা বল পয়েন্ট কলম দিয়া গবর্নরের পদ থাইক্যা ইসতফা দিছে। এরেই কয় ঠ্যালার নাম জশমত আলি মোল্লা। বেডায় তার স্যাঙ্গাৎগো লইয়া কি সোন্দর হোটেল intercontinental-এর মাইদ্দে হান্দাইছে। কিন্তু মওলবি সা'ব বহুত লেটই কইরা ফেলাইছে। আপনার ঘেটুগো খবর কি?



ছহি আজাদ পত্রিকার হরলিক্সের বোতল ছৈয়দ ছাহাদৎ হোসেন, মর্নিং নিউজের এসজিএম বদরুদ্দিন, ছালাউদ্দিন মোহাম্মদ, সংগ্রাম পত্রিকার মাওলানা আখতার ফারুক্যা, দৈনিক পাকিস্তানের আহসান আহম্মদ আশক, পাকিস্তান অবজার্ভারের খাসির গুর্দার সুরুয়া খাওইন্যা মাহবুবুল হাক, নেশন্যাল ব্যুরোর দাড়ি নাই মাওলানা ডাঃ হাসান জামান-খোন্দকার আবুল হামিদ এসব মালেরা অখন কি করবো? প্রাক্তন ফরিন মিনিস্টার হরিবল হাক্ চৌধুরীর কোন খবর নাইক্যা- সিলেটের হারু মাল চুষ পাজামা মাহমুদ আলির কোন আও-শব্দ পাওয়া যাইতাসে না। কি হইলো? এদ্দিন তো শাহ মোহাম্মদ আজিজুর রহমান আর দরদী সংঘের দালাল সম্রাট এ.টি. সাদ'দিরে লইয়া তো খুব ফাল পাড়তাছিলা- 'মাল-পানি জিন্দাবাদ'। এলায় হের করবা কি?



আমার সাজান বাগান হুকায়া গেল। অ্যাঃ এ্যাঃ এক্টিং জাতিসংঘে মদারু ভুট্টো জেনারেল পিঁয়াজির ছারেন্ডারের খবর পাইয়া এক্টিং করছে। পয়লা গরম, তারপর নরম হেরপর আরে কান্দনরে কান্দন! পকেটের রুমাল বাইর কইরা চোখ মুইচ্ছ্যা নাক ক্লিয়ার কইরা লইল। চিল্লাইয়া কইলো, ছ্যারেন্ডার-ছারেন্ডার তো Impos-অসম্ভব। আমরা ছারেন্ডার করমু না। আমি পাইট করমু, আমি পাইট করমু। এই না কইয়া মদারু মহারাজ আতকা গতরের জামাকাপড় থুড়ি- ফ্রান্স-ব্রিটেনরে তুফান গাইল। সাদা চামড়ার জেনটেলম্যানরা খালি কইল, যার লাইগ্যা করি চুরি, হেই কয় চুর!



জাতিসংঘ থাইক্যা আগাশাহির রুমে আহনের লগে লগে 'মওলবি সা'ব' খবর পাইল, 'খেইল খতম, পয়সা হজম'। আট হাজার আষ্টশ চুরাশি দিনের সোনার হাঁস, মানে কিনা বঙ্গাল মুলুকসহ পাকিস্তান নামে দেশটা শ্যাষ হইয়া গেছে। আমগো ছক্কু মিয়া একটা গুয়ামারি হাসি দিয়া গালটার মাইদ্দে খ্যাঁকরানি মারলো। কইল, ভাই সা'ব, ২৬শে মার্চ এই মদারু ভুট্টো ঢাকার থনে করাচীতে ভাগোয়াট হইয়া এলান করছিল, 'আল্লায় সারাইছে, ছদর ইয়াহিয়া বেশুমার বাঙ্গালি মার্ডারের অর্ডার দেওনের গতিকে পাকিস্তান বাঁইচ্যা গেল।'



এলায় কেমন বুঝতাছেন? বিচ্চুগো বাড়ির চোটে হেই পাকিস্তান কেমতে কইরা ফাকিস্তান হইয়্যা গেলো? হেইর লাইগ্যা কইছিলাম, কি পোলারে বাঘে খাইল? শ্যাষ। আইজ থাইকা বঙ্গাল মুলুকে মছুয়াগো রাজত্ব শ্যাষ।



আইজ ১৬ই ডিসেম্বর। চরমপত্রের শ্যাষের দিন আপনাগো বান্দার নামডা কইয়্যা যাই। বান্দার নাম এম আর আখতার মুকুল।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭

শের শায়রী বলেছেন: একজন অসাধারন মুক্তিযোদ্ধা। অথচ দেখুন কি রকম অবহেলায় নিঃশেষিত হয়ে গেলেন । কাকে বলব এই লজ্জার কথা।

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমাদের অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধাদেরই কি আজ একই অবস্থা নয়? নতুন প্রজন্মের ক'জ ন জানে এনাদের কথা? তাঁদের সবাই কি বই ঘেঁটে ইতিহাস বের করে? সর্বোচ্চ ৪০ ভাগ নিজের গরজে জানতে চায়। কিন্তু রেস্ট সিক্সটি পার্সেণ্ট ডাজণ্ট গিভ এ ড্যাম।

বুড়োরা যদি না জানায়, না কথা বলে, মুক্তিযুদ্ধের আবেদনটা একসময় ফিকে হয়ে যাবে। ইতিহাস হারিয়ে যাবে। আমাদের আপন সত্ত্বা হারিয়ে যাবে। কিন্তু আমরা কি এ বিষয়ে সচেতন?

কেমন যেন হতাশা টেনে ধরে কখনো কখনো।

২| ১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:১৯

এরিস বলেছেন: কিছু বলার নেই।

১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:১০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমরা হতাশ, লজ্জিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.