নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বর্গ-পৃথ্বী অন্তঃস্থলে, বহুকিছু ফিরে-চলে, যাহা বিস্ময়কর

প্রোফেসর শঙ্কু

বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়

প্রোফেসর শঙ্কু › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ্যারিস্টটলের নিখুঁত মানবী

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬

(গল্পে ১৮+ ট্যাগ প্রযোজ্য, কিন্তু সেটা একমাত্র কাহিনীর ভায়োলেন্সের কারণে, অন্য কোন কারণে নয়)



গজারিবনের চকের কাছে আসমানির বাড়ি। আসমানির জামাই আছর নিজের ক্ষেতে ইরি বুনে, বেশ ভালই আয় হয়। কিন্তু জামাই সারাদিন ক্ষেতে খাটে, আসমানি ঘরের কাজ কাম সেরে কেমন একা একা বোধ করে। দুটো পিচ্চি মেয়ে আছে তার, কিন্তু তাও- নিজেকে এই সমাহিত পরিবেশে ঠিক মানিয়ে নিতে পারে না সে। তার বাপের বাড়িতে রাতেও মানুষে গমগম করে। আর এখানে? রাত তো রাত, এলাকাটার চারিদিক দুপুরেই কেমন সুনসান, নিজঝুম হয়ে যায়। কারো সাথে গল্প করবে সে সুযোগও নেই, সবচে কাছের বাড়িটা সেই দিগন্তসীমায়। দু' একটা ছাই ফকিরও আসে না।



আছর সারাদিন খেটে এসে আর কথা বলতে চায় না। পেটভরে মুসুরির ডাল দিয়ে ভাত খেয়ে ঢেঁকুর তোলে, তারপর লুঙ্গি ঢিলা করে হাতপা ছড়িয়ে দিয়ে আটটার মধ্যে ভোঁস ভোঁস করে ঘুমিয়ে পড়ে। কখনো কখনো মর্জি হলে মেয়েগুলোকে একপাশে সরিয়ে দিয়ে আসমানিকে সোহাগ করে। সর্বোচ্চ সাড়ে আটটা পর্যন্ত, তারপর মেয়ে দুটোর একটা ট্যাঁ ট্যাঁ করে ওঠে। আছর মুখ ব্যাজার করে নিঃশব্দে বকতে বকতে বিছানার অন্য পাশে চলে যায়, মেয়েগুলোর একটা মায়ের বুক আঁকড়ে আরেকটা বাপের ওপর পা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। লোকটাকে আসমানির ভালই লাগে। তার বোনের জামাইয়ের মত বউকে ধরে পেটায় না, মাল খেয়ে এসে শরীরের ওপর বমি করে দেয় না। বরঞ্চ দুই ঈদে শাড়ি-ব্লাউস দেয়। একটাই সমস্যা, মানুষটা খাটে বেশি, বলে কম। আর রেগে গেলে মানুষ থাকে না। একবার মতের অমিল হওয়ায় আসমানির বড় ভাইকে গরু পিটানোর লাঠি দিয়ে কি বাড়িগুলোই না দিয়েছিল! বড়ভাই তিনদিন বিছানায় পড়ে ছিল। আছরের দূর সম্পর্কের এক বোন ছাড়া আর কেউ নেই বলে রক্ষা, নইলে প্রতিদিন খিটখিটানি লেগেই থাকত। ইস, বোনটা থাকলেই হত, আসমানির কথা বলার একটা সঙ্গী জুটত, কিন্তু তার বিয়ে হয়েছে শহরে, সে ভাইকে দেখতে আসার সময়ই পায় না।



আসমানির বাড়িটা চকের কাছে, তাই সারাদিন গায়ে বাতাস লাগে। শীত কি গ্রীষ্ম কোন ব্যত্যয় নেই। পাতা পড়ে সারা উঠান সয়লাব হয়ে যায়। সকালে পাতা ঝেড়ে পরিষ্কার করলে বিকালেই দেখা যায় আবার একই অবস্থা। তাই আসমানি বুদ্ধি করে তিন চারদিন পর পর উঠান পরিষ্কার করে। হাঁস-মুরগি ছেড়ে দেয় ভোরে, ওরা সন্ধ্যার আগে আগে আসমানির ডাকে এসে পড়ে। দুটো ত্যাড়া গেছো মুরগি আছে, এরা নিজে থেকে আসে না, কামরাঙ্গা গাছের ওপরে বসে কককক কককক করে। আসমানি ডাকতে ডাকতে যায়, 'আয় আয় তিতিতিতি...আয় নিচে আয়, রাইত অইয়া গেল তিতিতিতিতি...



রাতে আছরকে আর মেয়েদুটোকে খাইয়ে নিজে খেয়ে আসমানি ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কোন এক কারণে তার ঘুম আসে না। প্রথমে চোখ বন্ধ করে হাত পা টান টান করে শুয়ে থাকে। নিজের হৃদপিণ্ডের দপদপানি শুনতে পায়। কিছুক্ষণ কাটে। আসমানি একটু এপাশ ওপাশ হয়।



মাথার তেল চিটচিটে বালিশটা সরিয়ে ঘাড়ের কাছে সুবিধামত অবস্থানে নেয়।

হাত দিয়ে শাড়ির কাপড় ঠিকঠাক করে।

বড় করে একবার শ্বাস ছাড়ে।

মৃদু কাশি দেয়।

নাক টানে।

তারপর।



তারপর আছর ভোঁসভোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলে।

ঝিঁঝিঁ পোকা ডাকে।

রাতজাগা পাখির অস্পষ্ট ডানা ঝটপটানি শোনা যায়।

কিটকিট করে কি এক পোকা ডাকে।

এখানে ওখানে, চালের ওপর, উঠানে পাতা পড়ে।

খাটের নিচে ইঁদুর খচরমচর করে।

ছোট মেয়েটা ঘুমের মধ্যে কেঁদে ওঠে।

কখনো ব্যাঙ ডাকে, আবার কখনো ডাকে না।

উঠোনের মাঝে একটা পাখি বসে মধুর স্বরে নিম...নিম... বলে ডাকে।



এত গাঢ় নীরবতা আসমানির অস্থির লাগে। সে শুয়ে থাকতে পারে না। মাথার পেছনে কেমন ঝনঝন করতে থাকে। একসময় বালিশে আর মাথা রাখতে পারে না, অদ্ভুত বিতৃষ্ণা নিয়ে আসমানি ছোট মেয়ের হাত সরিয়ে দিয়ে উঠে বসে। কলসি থেকে ঢেলে পানি খায়। বিছানায় শোয়া তার পরিবারকে দেখে। আল্লাহর কাছে হাজার শোকর, এত ভাল জামাই, মিষ্টি দুইটা মেয়ে তার আছে। আসমানি যে ভাগ্য নিয়া আসছে, সেই ভাগ্য কয়জনের হয়? বড় মেয়েটা হাঁ করে ঘুমায়, তার মুখ দিয়া লালা পড়ে। আসমানি এগিয়ে গিয়ে শাড়ির খুঁটো দিয়ে তা মুছে দেয়। তার চোখমুখ মাতৃবাৎসল্যে কোমল হয়ে আসে। আল্লাহ, এগোরে যেন নজর না লাগে। দেহো তো, কি সোন্দর কইরা ঘুমায়।



'ঘুমায়'?



আসমানির মাথায় ছোটখাটো একটা বিস্ফোরণ ঘটে। আসমানির চোখে ঘুম নেই আর এরা ঘুমাচ্ছে? আসমানি ভাবে, আল্লা, কি স্বার্থপর! এগোরে বোঝা টাইনা কি লাভ হইব? কাইল আবার মরদটা উইঠা গপগপায়া খাবো, ভালবাইসা দুইটা কথাও কব না। বুজি না আমি? শহরে হাটের কথা কইয়া যাও, কয়, 'ধান বেচবার গেতাছি'! তুমি যে খারাপ মাইয়াগো কাছে যাও বুজি না আমি? আর মেয়া দুইডা সারাদিন পিছনে ঘুরঘুর করব, কানব, হাড়মাস জ্বালাইয়া খাব। এরে কোলে নিয়া খাওয়াও, ওরে পিঠে নিয়া ঘুরাও। পিঠ চাপড়াইয়া চাপড়াইয়া ঘুম পাড়াও। ছোটলোকের বংশ! এক্কেরে বাপের লাহান! কয় বছর পরে তো সবটি বিয়া কইয়া মেলা দিবি, আমাকে খোঁজবি তহন? আমি মাগি তাইলে তোগরে টানুম ক্যা?



আসমানি সাথে সাথে ঠিক করে ফেলে। কাল মহাজন মজনু মোল্লাকে গিয়ে ধরবে। দরকার হলে অনুনয় করবে, পায়ে ধরবে, তাও তার কাছে বিয়ে বসবে। লোকটা চামার, আবার দুইটা বিয়াও করছে, এবং আসমানির দিকে তার আগে থেকেই কু নজর। ওইখানে অন্ততঃ সতীনদের সাথে সে ঝগড়া করতে পারবে, মজনু মোল্লা তার কাছে পিরিতের আলাপ করবে সেটা শুনতে পারবে। তখন আসমানির ঘুম আসবে, নিশ্চিত।



কিন্তু তার আগে, এই অকৃতজ্ঞ পাষণ্ডগুলোকে আসমানি শায়েস্তা করে ছাড়বে। পাগলাটে লাল চোখে সে আশে পাশে তাকায়, বেড়ার ফাঁকে গোঁজা দা দেখতে পায়। তার ঠোঁটে অসুস্থ হাসি ফোটে। হ্যাঁ, পেয়েছে, উপযুক্ত শাস্তির হাতিয়ার পেয়েছে আসমানি। শক্ত করে হাতে দা ধরে প্রথমে আছরের কাছে যায়। আলতো করে দা ধরে উবু হয়ে গলায় একটা পোঁচ দেয়। গলগলিয়ে তাজা রক্ত এসে আসমানির গলা আর বড় মেয়েটার ফ্রক ভিজিয়ে দেয়। বাঃ, দারুণ তো! এবার সে বড় মেয়েটাকেও করে, আর ওর গলার রক্ত উপচে ছোট মেয়েটাকে ভিজিয়ে দেয়। আসমানি আনন্দে চীৎকার করে ওঠে। ওহো, কি সুন্দর! পরের মৃত্যুটা কার হবে তা উপচানো রক্তই বলে দিচ্ছে! এবার আসমানি ছোট মেয়েটার পাশে শুয়ে তার গলা কাটে। রক্ত গড়িয়ে আসমানির বুকে লাগে। সে একটু চিন্তিত হয়ে পড়ে।



আসমানির পাশে তো আর জীবন্ত কেউ নেই! কিন্তু রক্তধারা তো বলছে আসমানির গলা কাটতে। দু একবার ভেবে আসমানি মাথা নাড়ে। এত চিন্তা করে কি হবে? দেখাই যাক না! আসমানি রক্তাক্ত দা দিয়ে নিজের দু হাতের রগ কাটে। তারপর হাত ছড়িয়ে চিত হয়ে শোয়। অপেক্ষা করে। এবং কি আশ্চর্য, আসমানির ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসতে থাকে...



পরদিন সকালে ঘুম ভাঙতেই আসমানি কাজে লেগে যায়। হাঁস মুরগি ছাড়ে, উঠান ঝাট দেয়, ভাত চড়ায়, আর পিঠা বানানোর প্রস্তুতি নিতে থাকে। কিছুক্ষণ পর আছর হাতমুখ ধুয়ে বাইরে আসে, হাসিমুখে বলে, 'কি গো, সাত সকালে কি বানাও?'



'পিঠা, দ্যাহ তো কেমন হইছে?', আসমানি স্বামীর হাতে বানানো পিঠাভর্তি প্লেট তুলে দেয়।



আছর প্রথমে এক কামড় দেয়, তারপর চোখমুখ উজ্জ্বল করে হুড়মুড়িয়ে খেতে থাকে। তার বিরতিহীন চোয়ালনৃত্যের মাঝে 'জব্বর', ''ভালা' ইত্যাদি কথা থেকে থেকে ভেসে আসে।



আসমানি খুশি হয়ে হাসে, তারপর কপট রাগ দেখিয়ে বলে, 'হু, অইছে, আস্তে খাও। পুলাপানডির লিগা কিছু থওন লাগবো না? আমি অগোরে ডাক দিতাছি খাড়াও।'





----------------------------------------





তাকিয়ে-থাকা একটা দীপ

জ্বলছে ছোটো ঘরে,

একটি হাত এলিয়ে আছে

কম্পমান বুকের কাছে

ছিন্ন-স্মৃতি-সেলাই-করা

শীতল কাঁথার 'পরে

মনে পড়ার ইন্দ্রজালে

ঝাপসা হ'লো দ্বার,

আমার হাতে লাফিয়ে ওঠে

তীক্ষ্ণ তলোয়ার।



-বুদ্ধদেব বসু

'সমর্পণ'

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

রওনক বলেছেন: +, শর্ট ফিল্ম বানান যায়।
মনের কথা; রক্তের স্বাদঃ সুস্থ মানুষের প্রবেশ নিষেধ।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লিঙ্কে যাচ্ছি এখনি। আপনার মন্তব্যে অনুপ্রানিত হলাম।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: হতভম্ব ভাব কাটিয়ে উঠতে পারিনি এখনও।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: তাহলে বলা যায় আমার গল্প লেখার উদ্দেশ্যটা সার্থক!

ধন্যবাদ।

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

কালীদাস বলেছেন: থিমটা চমৎকার ++++++++++

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থ্যাঙ্কস!

আসলে বুদ্ধদেবের কবিতা আমি আগে সেভাবে পড়িনি। আজ সকালে তার কয়েকটা লাইন পড়েই থিমটা মাথায় আসে। তাই অর্ধেক কৃতিত্ব বুদ্ধবাবুর!

জয়তু বাংলা কবিতা!

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৮

মাইশাআক্তার বলেছেন: বাহ ভাল লিখেছেন তো। +++

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ।

যেহেতু বুদ্ধ পড়ছি, তাই তার ভাষাতেই বলি,

তুমি আমাকে সান্ত্বনা দাওনি, হীন সান্ত্বনা দাওনি;
শুধু তোমার গুঞ্জনময় স্তব্ধতার সুরে বলেছ, 'এই নাও,
এই বিশাল দেশ, বিশাল নির্জন, একে জনতাকীর্ণ করে তোল
তোমার স্বপ্নের বীজ বিকীর্ণ করে।'

৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৩৪

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: মায়ের এমন ভয়ঙ্কর চিন্তা ভাবনা! অবশ্য এধরনের ঘটনা অবাস্তব কিছুনা, পত্র পত্রিকায় প্রায়ই দেখা যায়। কপাল ভাল যে আসমানির চিন্তাটা চিন্তার মাঝেই সীমিত ছিল, বাস্তবে রুপ পায়নি!

আপনি বেশ ভাল লিখেন। শুভকামনা থাকল আপনার জন্য।

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমার তো মনে হয় সব মানুষেরই হঠাৎ কখনো এগুলো ভাবনায় আসে। অসুস্থ আর সুস্থ মানুষের মাঝে পার্থক্য স্রেফ এই, অসুস্থ মানুষ এগুলো ভেবে আনন্দ পায়, বাস্তবায়ন করার চেষ্টাও করে। কিন্তু সুস্থ মানুষ জানে এসব ভাবনা অসুন্দর। কিঞ্চিৎ ডার্ক ফ্যান্টাসি টাইপ।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

লেজকাটা বান্দর বলেছেন: দেখেন তো কেমন হইছে

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দেখেন গিয়া, মন্তব্য করেছি।

৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০১

ইনকগনিটো বলেছেন: কঠিন অবস্থা তো!

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২২

মাক্স বলেছেন: আগে দেখে গেসিলাম কিন্তু কোন একটা কারণে পড়া হয় নাই।
আজকে পড়লাম এবং মুগ্ধ হলাম!
ভালো লাগলো!

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার ভালো লাগলো শুনে আমারও ভাল লাগলো!

৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

কালোপরী বলেছেন: মারাত্মক গল্প

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মারাত্মক কমেন্টের মারাত্মক জবাব দিলাম।

১০| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:০৩

এরিস বলেছেন: ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন। শেষটা বুঝার জন্যে দ্বিতীয়বার পড়তে হল। নিত্য নৈমিত্তিক খুঁটিনাটি কাজের মাঝে এমন অস্বাভাবিক কল্পনাকে টেনে আনা, সেটার কাল্পনিক বিস্তার এবং বিবেচক সমাপ্তি একসাথে দাঁড় করিয়ে দেয়া যায়!!!!! আপনি যা লিখে দেখালেন সেটা আমার দুঃস্বপ্নেও আসতো না কোনদিন, ভুলেও না। ভয়ানক সুন্দর গল্প। :)

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: যাক, গল্পে অন্ততঃ এতটুকু প্যাচ ঢুকাতে পেরেছি যাতে পাঠকের দু'বার পড়তে হয়! আপ্লুত হলাম।

কথাটা হয়তো জ্ঞানীদের মত হয়ে যায়, কিন্তু একজন জ্ঞানী মানুষই বলেছেন কথাটা - আমাদের জগতে সম্ভব ও অসম্ভব, সুন্দর ও কুৎসিত একই সাথে বাস করে, প্রশ্ন হল তুমি কোনটা দেখতে চাও।

কে বলেছেন? স্বামী বিবেকানন্দ।

১১| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:২০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লাগছে গল্প।

আসমানির একাকীত্ব, তার আশেপাশের পরিবেশ , সে জায়গার বর্ণনা ভালভাবেই অনুভব করলাম। বিশেষ করে এই বর্ণনাটা সুন্দর আসমানির ঘুম আসে না, মাথার তেল চিটচিটে বালিশ টা সুবিধামত টেনে নেয়া থেক এশুরু করে আছর আলির ঘুম, মেয়েদের ঘুমের মাঝে কেঁদে ওঠা, ব্যাঙের ডাক ইত্যাদির অংশ টা ।

কিন্তু প্রথম অংশ যেভাবে স্মুদলি এগিয়েছে পরের অংশটা মনে হয় দ্রুতই চলে আসলো। অর্থাৎ খুনের চিন্তা । নিজের প্যাচপ্যাচে টাইপের একঘেয়েমি কাটাতে দা এর আগমন এবং দুই মেয়ে আর স্বামীর খুন। আরেক টু বিস্তারিত হলে উপভোগ করতে পারতাম আরও। কারণ পড়তে পড়তেই দেখি শেষ হয়ে গেল।

অবচেতনে আমাদের কারো কারো মাঝে কিন্তু আসলেই খুনের চিন্তা বা এক্সপেরিমেন্ট করার ইচ্ছা টা ঘুরপাক খায়, এটা একেবারে সত্যি কথা।

আপনার লেখার ভঙ্গী খুব সুন্দর।
শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পের প্রথমে এসেছে আসমানির চারপাশের বাস্তব পরিবেশের বর্ণনা, তাই তা স্বাভাবিক গতিতে এগিয়েছে। কিন্তু স্বপ্নের মাঝে স্বাভাবিক কিছু নেই। তার মাথার ভেতরে সব অনুভূতি তালগোল পাকিয়ে এক বিচ্ছিরি দুঃস্বপ্নের জন্ম দিয়েছে। তাই এত তাড়াহুড়ো, এতটা ছোট বর্ণনা।

আপনার কথাটা মাথায় থাকবে। লেখা পড়ার জন্য বিশেষ শুভেচ্ছা।

১২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: সুপার শকড।

+++++++++++++++++

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমি তাতে সুপার আনন্দিত!!

১৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৬

আসাদ খাঁন বলেছেন: আপনি ভাই জবরদস্ত আদমি!
টুস করে স্বপ্নের মধ্যে নিয়া গিয়া কিছু বুঝে উঠার আগেই কি জানি কি তালগুল পাকাই দিলেন।
অনেক দিন থেকে পড়ব পড়ব করে সময়ের অভাবে পড়া হচ্ছিল না।আজ সময় পেয়ে পড়লাম।
গল্প জবরদস্ত :)

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.