নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বর্গ-পৃথ্বী অন্তঃস্থলে, বহুকিছু ফিরে-চলে, যাহা বিস্ময়কর

প্রোফেসর শঙ্কু

বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়

প্রোফেসর শঙ্কু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট গল্পঃ ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী

১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

আমার মানসিক শক্তি অনেক।



আমার বয়স ১৬ বছর। এই বয়সে মানুষ হয় খুব আত্মবিশ্বাসী হয়, নইলে নিজেকে নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগে। সেই আত্মবিশ্বাসের কোন সত্যিকারের ভিত থাকে না। একইভাবে সেই হীনমন্যতার কোন সুফল থাকে না। ফলাফল? আসল জীবনে ঢুকে মানুষটা ভড়কে যায়। কেউ মানিয়ে নিতে পারে। কেউ পারে না। আমি সেরকম না। আমার আশেপাশের পরিবেশ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা আছে। দরকার হলে ইম্প্রোভাইজ করতে পারি। নিজেকে বদলাতে পারি। এটাই আমার বড় গুণ।



আমি এখনো বাজারে কলা কিনতে গেলে বিক্রেতাকে কলার দাম জিজ্ঞেস করার আগ পর্যন্ত অস্বস্তি বোধ করি। কিন্তু তবু জিজ্ঞেস করি। বিক্রেতা বলে, একদাম ২০ ট্যাকা হালি। আমি কিনে নিয়ে আসি। বাসায় এনে মায়ের হাতে দেই। কেউ জানে না আমি কলা কেনার আগ পর্যন্ত ভাবছিলাম কলা না কিনলে কেমন হয়। পালিয়ে আসার চিন্তা ছিল মাথায়। কিন্তু আমি পালিয়ে আসিনি। কলার কাঁদি হাতে ঝুলিয়ে বাড়িতে ফিরেছি।



মানুষের সাথে কথা বলার সময় আমার বয়সের অনেক ছেলের সমস্যা হয়। বিশেষ করে মেয়েদের সাথে কথা বলার সময়। চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারে না, সংকোচে। ঘাড় নিচু করে থাকতে পারে না, পাছে মেয়েরা তা নিয়ে খোঁচা দেয়। চোখ বাদে মুখের দিকে চাইলে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে হয়, এতে মেয়েরা বিরক্ত হয়। আর থুতনি বা গলার দিকে চাইলে? ও বাবা! তাহলেই মেয়েরা চোখ ছোট ছোট করে তিরস্কারের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে, গলায় ওড়না থাকলে বারবার টেনে তা বুকের ওপর আনে, তাড়াতাড়ি প্রসঙ্গ বদল করে বিদায় নিয়ে চলে যায়। পরেরদিন কোন না কোন কারণে মেয়ের মা কিংবা ভাইয়ের সাথে দেখা হলে তারা ভ্রূ কুঁচকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকেন। আমার সে সমস্যা নেই। আমি তাকাই সরাসরি ঠোঁটের ওপরে। অনেকে বিব্রত হয় ঠোঁটের ওপরে লোম দেখা যাচ্ছে ভেবে, অনেকে এত মনোযোগী দৃষ্টি দেখে একটু অপ্রতিভ হয়, আমার দিকে না তাকিয়ে এদিক ওদিক ঘাড় ঘুরিয়ে কথা বলে। কথা বলার সময় ভুলেও অন্যদিকে তাকাই না, এতে ওরা ভাবে মনোযোগ দিয়ে শুনছি। এজন্যে ক্লাসের মেয়েরা এবং বড় আপুরা আমাকে একটু ভদ্র কিন্তু সাহসী ছেলে হিসেবে দ্যাখে।



আমি বাড়িতে কথা খুব কম বলি। অবশ্য কথা বলার মানুষও খুব বেশি নেই। আব্বা মারা গেছেন দশ বছর হয়ে এল, বড়ভাই বিদেশে কামলা খাটেন, আমার সাথে আছেন একমাত্র মা। মা সারাদিন কুরআন পড়েন, তসবিহ গোনেন, আর মোবাইলে যেদিন বড় ভাইয়ের সাথে কথা হয়, সেইদিন রাত্রে লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদেন। আমি ঠিকই শুনি, আমাদের বাড়িতে এক ঘর থেকে পাশের ঘরের সামান্য মাত্র শব্দও পরিষ্কার শোনা যায়। কিন্তু কিছু বলি না। প্রতি মাসের তিন তারিখে বড়ভাই আমার সাথে কথা বলেন। বলেন, 'ভাই রে, তুই চিন্তা করিস না। কিছু লাগলে ক, আমি আগামি মাসে আরও টাকা পাঠাইয়া দিমুনে।' আমি মানা করি। ফোন রাখার আগে তিনি ভারি কণ্ঠে বলেন, 'আম্মারে সালাম দিস। আর এই কয়টা মাস, তারপরেই আমি আয়া পরতাছি। তুই চিন্তা করিস না।' আমি লাইন কেটে দেই। গত সাত বছর ধরে মানুষটা প্রতি মাসে এই কথা বলে আসছেন। কিন্তু কখনোই দেশে এসে কিছু করার মত যথেষ্ট টাকা তার হাতে জমে নি। ভবিষ্যতে জমবে সেই সম্ভাবনাও কম। তবু তিনি কথাটা বলেন, প্রাণপণে বিশ্বাস করতে চান।



প্রতিদিন ক্লাসরুমে এসে আমি সেকেন্ড বেঞ্চের কোণে বসি। আমার ডানপাশে আসাদ, তার ডানপাশে জাহিদ বসে। দুইজনই বিশ্ব বদ। গল্প-নভেলের বদ না, মানসিক বদ। স্কুলের বাজে ছেলেরা ব্যাকবেঞ্চ দখল করে রাখে, এই নিয়মের তারা ব্যতিক্রম। স্কুলে মোবাইল আনা নিষেধ, ওরা মোজার মধ্যে মোবাইল ভরে নিয়ে আসে। টিফিন টাইমে ব্যাক বেঞ্চে গিয়ে সেটায় 'ভাল ভাল' জিনিস দেখে। এমনকি তখন আশেপাশে কোন মেয়ে থাকলে নির্দোষ মুখে তাঁকে ডেকে বলে, 'এই রত্না, দেখবি?' স্বাভাবিক ভাবেই মুখ ঝামটা মেরে মেয়েটা চলে যায়, কিন্তু এই ঘটনা বন্ধু মহলে বেশ রং চড়িয়ে বর্ণনা করা হয়। তা শুনে হাসতে হাসতে একেকজন আরেকজনের ওপর পড়ে যায়। পরিচিত বা অপরিচিত নারীদের নিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক আলোচনা চলে। আমি টিফিন টাইমে বেঞ্চেই বসে থাকি, উঠি না। টিফিন ব্রেক পনের মিনিট। এই পনের মিনিটে আমি পাঁচবার পাঁচবার করে মোট দশবার আসাদ আর জাহিদের ব্যাগের ভেতরে থুতু দেই। আরও বেশি দেওয়া যায় কিন্তু কি দরকার? ওরা কখনো বুঝতে পারে না।



ক্লাসে আমি বেশ ভাল ছাত্র। আমার সাথে আসাদ জাহিদের বন্ধুত্ব হবার কোন কারণ নেই। কিন্তু ওরা আমার একমাত্র বন্ধু। ক্লাস শেষ হলে আমি ওদের সাথে ঘুরি। দেড় ঘণ্টার মত। কোথায় যাই তার কোন ঠিকঠিকানা নেই। একদিন বুড়িগঙ্গায় নৌকা নিয়ে নামলাম। বাড়িতে ফিরে তিনজনেরই চোখ উঠল, পরেরদিন স্কুলে গেলাম সানগ্লাস পরে। আরেকদিন বেরোনোর পর জাহিদ বলল, 'পাড়া চিনস?' আমি বললাম, 'কিসের পাড়া?' তখন আসাদ জাহিদ দুইজনই চোখ টিপ দিল। আমরা সাইকেলে করে 'পাড়া'য় গেলাম, সেখানকার বাসিন্দাদের দেখে চলে এলাম। সত্যি বলতে, মৃত নদীর চেয়ে মৃত সেসব নারী আমাকে কম আহত করেনি।



দেড় ঘণ্টা ঘুরে ফিরে বাড়িতে আসি। মা কখনো কিছু বলেন না, কপালে একটা চুমু খেয়ে জায়নামাযে বসেন। বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে, আমি থার্ড হয়েছি। মা জিজ্ঞেস না করায় তাও জানাতে পারি না। চুপচাপ রান্নাঘরে যাই। আমি নিজেই ভাত বাড়ি, খাই। ঘরে গিয়ে হাতে বই নিয়ে বিছানায় শুই। কখনো কখনো খুব ক্লান্ত লাগে, ঘুম আসে না। পাশের ঘরে মায়ের কান্না বা কান্না থামানোর ব্যর্থ চেষ্টা বারবার ভাঙা রেকর্ডের মত মাথায় অনন্তহীন বৃত্ত বানাতে থাকে।



আমার মানসিক শক্তি অনেক। আগেও একবার বলেছি, আবারো বললাম। কারণ কথাটা মিথ্যে নয়। সত্য কথা হাজারবার বললেও দোষ হয় না। মানসিক শক্তি এই কারণে অনেক, কারণ আমার পরিস্থিতিতে অন্য যে কেউ ঠাণ্ডা থাকতে পারত না। আমি ঠাণ্ডা আছি। বাইরে থাকতেই মোবাইলে কল এসেছিল। হাসান ভাইয়ের। হাসান ভাই বড়ভাইয়ের সাথে বিদেশে কাজ করেন। তিনি দীর্ঘক্ষণ চুপ করে থেকে হঠাৎ গড়গড়িয়ে পুরো ব্যাপারটা বলে ফেললেন, 'রাশেদ, আশেপাশে আন্টি আছেন? থাকলে বাইরে আস। মন শক্ত কর। আজকে তোমার ভাইয়ের কারখানায় একটা এক্সিডেন্ট হইছে। ও মারা গেছে রাশেদ, স্পট ডেড।'



হাসান ভাইয়ের বুদ্ধি কম। এইভাবে কেউ পরিবারের সদস্য মারা যাওয়ার খবর দেয় না। খবর দিতে হয় সইয়ে সইয়ে। মা যদি এভাবে শুনতেন, সাথে সাথে বাবার মত হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেত। 'হ্যালো রাশেদ, রাশেদ, হ্যাঁ, শক্ত হও, বুঝলা? ওর ডেড বডি এক সপ্তা পরে দেশে যাবে, ঠিক আছে? ঐদিন আমার আব্বা আইসা তোমারে এয়ারপোর্টে নিয়া যাবে, তুমি তো এখনও ছোট মানুষ। একা বুঝবা না। আত্মীয় স্বজন সবার সাথে যোগাযোগ কর। কবর কোথায় দিবা কি না কি, ঠিক না? আচ্ছা, আমি একটু পরে আবার কল দিবনে। রাখি।'



আমি এখনো মা-কে কিছু বলিনি। প্রস্তুতি দরকার। তার আগে ভাবনা চিন্তা করা দরকার। বড়ভাই নাই মানে মাসের তিন তারিখে টাকাও নাই। বাসা ভাড়া দিতে পারব না। পৈতৃক ভিটা বিক্রি হয়েছে বড় ভাইকে বিদেশ পাঠানোর সময়। চাচারা আমাদের পরিবারকে দেখতেই পারেন না, থাকতে দেওয়া তো দূর। আমরা এখন শেকড়হীন পরিবার। বাসা বাদ তো স্কুল বাদ। মামারা জায়গা দিতে পারেন। মা-বেটা কতটুকুই বা জায়গা নেব? বোনকে কি থাকতে দেবেন না মামারা? বাবার প্রভিডেন্ট ফাণ্ডের টাকা কিছু আছে বোধহয়, মা-কে একটা সেলাই মেশিন কিনে দিলে কেমন হয়? কিছু টাকা আসবে। আমি ফোর-ফাইভের ছাত্র প্রাইভেট পড়াব। দুইজন মানুষ, কতই আর খরচ হবে? প্রাইভেটে না কুলালে দারোয়ান টারোয়ানের চাকরি নিতে হবে। কোন ব্যাঙ্কে বা প্রাইভেট কোন কোম্পানিতে। বয়স একটা সমস্যা। কিন্তু এসএসসি পাস না হলে কি এসব চাকরি দেয়? মনে হয় না। কিন্তু মামাদের-চাচাদের খবর দেওয়া দরকার। আজকেই দেওয়ার কোন মানে হয় না। বড় ভাইয়ের আসার দিন বললেই হবে। আর মা-কে কখন বলব, কিভাবে বলব...



******



ঔপন্যাসিক লেখা থামিয়ে থমকে গেলেন। বাম হাতে কপালের ঘাম মুছে ডান হাতে চশমাটা খুলে লেখার ওপরে রাখলেন। তারপর দুই হাতে মাথা টিপে ধরলেন।



একটা মাসিক থেকে ফরমায়েশ এসেছিল ছোট গল্প দেবার জন্য। তিনি মানা করেছিলেন, বলেছিলেন তিনি ছোট গল্প লেখেন না। কিন্তু সম্পাদকের জোরাজুরিতে সম্মতি দিতে হয়েছিল। লিখতে বসেছিলেন মাথা খালি করে। নিজের লেখনীর ওপর তার বিশ্বাস আছে, শুরু হলেই তরতরিয়ে লেখা এগুবে ভেবেছিলেন। কিন্তু কি লিখলেন তিনি! গল্প লিখতে গিয়ে অজ্ঞাতসারে নিজের জীবনের গল্পটাই লিখে ফেলেছেন লেখক! তার মনে পড়তে লাগল সবকিছু, খুব পরিষ্কার হয়ে।



বড়ভাই মারা যাবার পরে তারা আশ্রয় নেন মামার বাসায়। ছয় মাস যেতে না যেতেই মামারা আকার-ইঙ্গিতে বোঝাতে থাকেন, তোমাদের ভার আর বহন করতে পারছি না, দয়া করে বিদেয় হও। তিনি তবু মা-কে নিয়ে কোনোমতে টিকে থাকেন। পদে পদে মামারা খোঁটা দেন, বাড়ির সমস্ত গৃহস্থালি কাজ মা-কে দিয়ে করিয়ে নেন। কাজের মেয়েকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। মা আর রাতে কাঁদেন না, সারাদিনের ক্লান্তিজর্জর দেহ বিছানার স্পর্শেই নেতিয়ে পড়ে। তিনি স্কুল বাদ দিয়ে ছোটখাটো কাজ করা শুরু করে দেন। দিনের শেষে বাড়ি ফিরে মায়ের সাথে কোন কথা হয় না, দু'জোড়া হতাশ চোখে চোখাচোখি হয় মাত্র। এমন অবস্থায় কাটে দুই বছরের মত। একদিন কাজ থেকে ফিরে লেখক দেখেন মা-কে সাদা কাফন পরিয়ে খাটিয়ায় ওঠানো হচ্ছে। বড় মামার সাথে দেখা হয়। মামা বিরক্ত মুখে বলেন, 'তোর মায়ের প্রেশার আছিল আগে কস নাই ক্যা? সেই রোগেই তো মরল।' তিনি মায়ের কবরে মাটি দিয়ে সেদিন রাতেই মামার বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন। তিনি একটুও কাঁদেন নি। একটুও না। শুধু বারবার মনে হচ্ছিল তার দম বন্ধ হয়ে আসছে। ঐ জায়গা না ছাড়লে তিনি মরে যাবেন। সেদিন ঈশ্বরের প্রতি তার মোহ মুছে গেছিল। রাগ না, ক্ষোভ না, কেমন যেন অভিমানি বিতৃষ্ণা জন্ম নিয়েছিল ঈশ্বরের ওপর।



ঢাকায় এসে একটা হোটেলে কাজ নেন। খাওয়া দাওয়া ফ্রি, আর মাসে আটশ টাকা বেতন। ভালই চলছিল, হঠাৎ একদিন অর্ডার নিতে গিয়ে জাহিদের সাথে তার দেখা হয়ে যায়। জাহিদ আর একটা মেয়ে এসেছে, জাহিদ হাত উঁচু করে ওয়েটারকে ডাকছে। তিনি পালিয়ে সরে যান, আরেকটা ছেলেকে ঐ টেবিলের অর্ডার নিতে পাঠিয়ে দেন। ভেবেছিলেন জাহিদ তাঁকে দেখে নি। কিন্তু সেদিন বিকালে তার ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়। জাহিদ তো এসেছেই, তার সাথে জাহিদের বাবা আর আসাদকেও নিয়ে এসেছে। ওরা চায়, তিনি ওদের সাথে থাকুন, ওদের পরিবার তার লেখাপড়ার ভার বহন করবে। তিনি রাজি হন নি। কিন্তু আসাদ-জাহিদ তার কথার কোন দাম দেয়নি। ধরে-বেঁধে তাঁকে বাসায় নিয়ে গেছিল। তাঁদের কল্যাণেই তিনি হোটেলের ওয়েটার থেকে আজকের ঔপন্যাসিক।



লেখক একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। পাঠক দুঃখের কথা পছন্দ করে না, বিশেষ করে ব্যক্তিগত বিষাদ। গল্পে এটা দেওয়া যাবে না। তারা সবাই মনে মনে চায় হ্যাপি এন্ডিং। তার চেয়ে বড় কথা, এটা ঈশ্বরের গল্প নয়, তার গল্প। ঈশ্বর অত্যন্ত নিষ্ঠুর সাহিত্যিক, তিনি তার প্রিয় চরিত্রদের কষ্ট দিতে পছন্দ করেন। কিন্তু ঔপন্যাসিক তা পারেন না। তার প্রত্যেকটা উপন্যাসে প্রতিটি চরিত্রের প্রতি সমান মমতা দেখা যায়। তার গল্পেও কি মা মারা যাবেন? তাঁকে এতটা কষ্ট পেতেই হবে?



না।



লেখক হাঁটতে হাঁটতে বাইরে আসেন। প্রচণ্ড পূর্ণিমা। এই জ্যোৎস্নাকে খুনি জ্যোৎস্না বলা যায়। উত্তর দিক থেকে ঝিরিঝিরি বাতাস আসে। তিনি হাসনাহেনা গাছটার কাছে বাঁধানো জায়গাটায় বসেন। তারপর একটা সিগারেট ধরিয়ে ভাবতে থাকেন এর পরে কি লেখা যায়। আচ্ছা, মামা বা চাচাদের কাউকে নরম মনের বানিয়ে দেওয়া যায় না? কিংবা বড় ভাই আসলে হয়তো মরেন নি, তার নামের আরেকজন মারা গেছে, আর সেটা শুনে হাসান ভাই ভুল খবর দিয়েছেন?...



আর কে জানে, ঈশ্বর তার এই প্রতিদ্বন্দ্বীকে দেখে হয়তো পুলকিত হন।

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

শুঁটকি মাছ বলেছেন: অনেকদিন পরে একটা অসাধারণ গল্প পড়লাম শংকু!!!
অনুসারিত দিয়ে রাখলাম।আশা করি ভবিষতে আবার এ ধরণের গল্প পাবো!

১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ।

হ্যাঁ, আমারও তাই আশা।

২| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪

এরিস বলেছেন: জীবনের গল্প খুব একটা সুখের হয়না। একটা দুর্ঘটনার আভাস পেলে আমরা এটা করবো, সেটা করবো বলে নিজেকে নিজেই আশ্বস্ত করতে থাকি। এবং এটাও জানি যে এই শান্তনাটুকু খুব একটা নির্ভরযোগ্য নয়। আমার মনে হয়না ঈশ্বর তার উপন্যাসের প্রতিদ্বন্দ্বীতাকে খুব পুলকের সাথে দেখেন। তিনি ঈর্ষান্বিত হন, এবং সেটাই হওয়া উচিত। বড় ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনা সত্যি। এইসব মামা চাচারাও ভালো হবেনা। উপন্যাসেও এদের ভালো করে দেয়াটা ঠিক হবেনা। এসব পশু আত্মীয়রা জালিয়ে পুড়িয়ে একজন করে সৃষ্টিশীল মানুষ বের করে আনেন, পরোক্ষভাবে। কে জানে, এমন মামা চাচা আমারও আছে, অতীতের ঘটনা টুকু আমার জীবনে ঘটে যাওয়া, হয়তো ঔপন্যাসিক যিনি, ওটা আমিই হবো কোনদিন। ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম সুপ্রিয় লেখক।

১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমাদের জীবনে নাটকীয়তা কম। কিন্তু আমরা এই নাটকীয়তার ভক্ত। তাই অসম্ভব সব ঘটনায় মানুষের আগ্রহ বেশি। ঈশ্বর এই বিশ্বে যে উপন্যাস লিখছেন, তার ছিটেফোঁটা আমরা আমাদের লেখায় তুলে ধরি। সাথে চেষ্টা করি কিছু নাটকীয়তা ঢুকিয়ে দিতে। আমাদের সবচে বড় খুঁত, এবং কে জানে, সবচে বড় শক্তি হয়তো এই 'অসম্ভবেরে ভালবাসি' মনোভাব।

ভাল থাকুন।

৩| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: এককথায় অসাম!!!!! আবারো পড়বো কয়েকবার। প্রিন্ট দিয়ালাইছি তাই। :P

১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থ্যাঙ্কিউ! খুশি হলাম, আমার লেখা অন্ততঃ কেউ প্রিন্ট দিয়া পড়ে!

শুভকামনা।

৪| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখকেরা ভাগ্যবান। তারা সৃজন করতে পারেন, ধ্বংস করতে পারেন, সুখ-দুঃখের গোলকধাঁধায় পাঠককে বিভ্রান্ত করতে পারেন ইচ্ছামত। বাস্তব জীবনের অপ্রাপ্তিগুলো কলমের মোচড়ে শুধরে নিয়ে কিছুটা স্বস্তিও বোধ করতে পারেন। তবে ব্যক্তিগত দেয়া-নেয়ার চেয়ে পাঠকের প্রতি আকাঙ্খা তৈরি করাটা, যেমন পাঠক চাইছে এই চরিত্রটা বেঁচে থাকুক, পাঠক ব্যথিত হচ্ছে কোন এক যুগলের বিচ্ছেদে এমনতর চাওয়া পাওয়ার একমাত্র বিধানকারী যখন তিনি হন ঈশ্বরসত্তা তখনই প্রবলভাবে জেগে ওঠে। আর যাই হোক, নিজের সাথে তো লুকোচুরি চলে না! লেখক হয়তোবা ঈশ্বরের মতই একা।

ভালো লাগা রইলো।

১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সহমত এবং অতি সুন্দর একটা কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ, হাসান মাহবুব।

ভাল থাকবেন।

৫| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১০

কালীদাস বলেছেন: হুমম, লেখক হওয়া বড়ই বৈচিত্র‌্যময় জীবনের মালিক বানিয়ে দেয় :|

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৪১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় কালীদাস, অনেক দিন পর! আপনাকে দেখে ভাল লাগল।


৬| ১৫ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪

নস্টালজিক বলেছেন: বেশ কিছুদিন বাদে, মনোযোগ পুরো ধরে রেখে ব্লগে লেখা পড়লাম এ রকম!

আপনার শব্দচাষ, বিন্যাস, ভাবনা, পরিমিতিবোধ চমৎকার! সবচেয়ে ভালো লাগলো আবেগকে লাগামের বাইরে যেতে না দেয়া!
এরকম নির্মেদ লেখা যদি সুলিখিত হয়, খুব ভালো লাগে পড়তে!


শুভেচ্ছা, শঙ্কু!



ভালো থাকুন নিরন্তর!

১৫ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পাঠের জন্য ধন্যবাদ, নস্টালজিক। ভালো থাকুন।

৭| ১৫ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অসম্ভব রকম ভাল লাগা রইল গল্পে +++++++++

১৫ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শুভকামনা, কাণ্ডারি।

৮| ১৫ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প । ভালো লেগেছে।
তবে
ঔপন্যাসিক লেখা থামিয়ে থমকে গেলেন। --- এর আগ পর্যন্ত লেখাটা যেমন ছিল সেরকম করে গল্পটা চালিয়ে নিলেও ভালো লাগত।

লেখকদের আসলে অনেক ক্ষমতা কলমে, চিন্তায়, কল্পনায়। তাই লেখকরা চাইলে সুখী বা দুঃখী করেও চরিত্র বানাতে পারে।

গল্পটা বেশ লাগছিল। তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে গেল ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। বলা যেতে পারে, ঔপন্যাসিক যেখানে থেমে গেলেন, সেখানে অন্য কেউ থাকলে কি করত? অনেক অপশন আছে, কিংবা আসলে কোন অপশনই নেই। তাই ওই লেখক আশ্রয় নিলেন ঈশ্বরের, অথবা বলা যায় তার কাছ থেকে অনুপ্রেরনা নিলেন।

গল্প আরও বড় করার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু হঠাৎ মনে হল যথেষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তাই শেষ টেনে দিলাম।

মতামতের জন্য আবারো ধন্যবাদ।

৯| ১৫ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯

সাদাত হোসাইন বলেছেন: বাহ!

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: তাই?

১০| ১৫ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩

সাদাত হোসাইন বলেছেন: বুকের ভেতরটা খুব ধিরে, কিন্তু খুব গভীরতম অনুভূতিতে, বিষাদে তিরতির করে ছুঁয়ে যাওয়ার মত...

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:২৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১:২৮

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: আরেকজন ব্লগারকে পেলাম, যাকে অনুসরন লিষ্টে রাখা যায় :)

৫ম+

১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৩৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থ্যাংকিউ, প্রিন্স হেক্টর। শুভেচ্ছা রইল।

১২| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১:১৮

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: সমস্যা কোথায় হয়েছিল জানিনা। ব্লগের আপডেটের পর সবাই লগইন করতে পারলেও আমি পারছিলাম না। অনেক ঝামেলা করে অবশেষে লগ ইন করা গেছে। মিস করেছি ব্লগকে, মিস করেছি আপনাদের লেখাগুলো। এখন খুজখুজে পড়ছি সব।

গল্পের শুরুতে বেশ সুন্দরভাবে বয়ঃসন্ধিকালের কিছু সমস্যা উঠে এসেছে, তবে মনে হয়েছে আরও একটু ফোকাস করতে পারতেন সেই দিকে।

লেখক কখনোই অতীতে ফেলে আসা নিজ জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো থেকে নিস্তার পায় না। তার যেকোনো লেখাতেই সেই পুরনো অতিত বা তার অংশ বিশেষ ঠিকই প্রতিফলিত হয়। গল্পের কোনও একটা চরিত্র বা ঘটনাক্রমের মাঝে নিজ জীবনের কিছু বাস্তবতা জুড়ে দেয় সে অবচেতন মনেই।

গল্প অসাধারন লেগেছে।

গল্পের শেষে লেখকের লেখাটার একটা এন্ডিং দেয়া যেত কি? লেখক তো নিশ্চয়ই চাইবে তার লেখা পড়ে পাঠক হতাশ না হয়ে বরং আশায় বুক বাধুক। তাই চেষ্টা করবে একটা হ্যাপি এন্ডিং দেওয়ার যাতে পাঠকের মাঝে এই বিশ্বাস ছড়িয়ে পড়ে যে সব প্রতিকুলতার পরেও মানুষ বেঁচে থাকার সংগ্রামে কখনো হার মানেনা! যেমনটি মানেন নি লেখক নিজেও।

১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রথম ছ'দিন আমিও লগ ইন করতে পারিনি। আপনার অনুভূতি বুঝতে পারছি। যাই হোক, ওয়েলকাম ব্যাক! এবার তাড়াতাড়ি একটা গল্প লিখে ফেলুন!

বয়ঃসন্ধিকালের ওপরে আরও লিখতাম, কিন্তু মনে হল গল্পের ফ্লো অন্যদিকে চলে যাবে, তাই সেটা সংক্ষিপ্ত রেখেছি। আর গল্পের শেষে দেখুন, লেখক কিন্তু হ্যাপি এন্ডিং দেবার কথাই চিন্তা করছে। কিন্তু শেষটা কি হবে, তা পাঠকের হাতেই ছেড়ে দিয়েছি।

আপনাকে পোস্টে পেয়ে বরাবরের মতই ভাল লাগল।

১৩| ১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

অদৃশ্য বলেছেন:




প্রোফেসর

আপনার লিখাটি আমার খুবই ভালো লেগেছে... আমিও বলতে চাই প্রথম অংশটাকেই আপনি কন্টিনিউ করে সুন্দর সমাপ্তি টানতে পারতেন... তাতে লিখাটির প্রকৃত প্রকাশে বিন্দুমাত্র আঘাত আসতো না...

অত্যন্ত চমৎকার ভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তুলেছেন... স্পর্শ করে গেলো...

মানুষ বিচ্ছেদ, ব্যথা, বিষাদ এসব পছন্দ করেনা... কারন এগুলোই মানুষের জীবনে সব থেকে বেশি... আর এসবকেই কিন্তু সময় সবথেকে বেশি জিইয়ে রাখে...

শুভকামনা...

১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:০২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ অদৃশ্য। কথাটা মাথায় রইল।

১৪| ২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪২

শাহেদ খান বলেছেন: দারুণ লেখনী ! গল্প বলার স্টাইল'টা খুব ভাল লাগল ! যে মুহুর্তে বললেন, "আজকে তোমার ভাইয়ের কারখানায় একটা এক্সিডেন্ট হইছে। ও মারা গেছে রাশেদ, স্পট ডেড।" -- হঠাৎ যেন একটা শক খেলাম ! যেন পরিচিত কারও ডেথনিউজ পেলাম !

মাঝে এসে আবার চমক। ওই একই ছেলেটার গল্প বললেন, তবে এবার থার্ড পার্সনে। আর শেষে এসে একটা তীব্র বোধ।অন্য একটা ফিলোসফি।

কাহিনী হয়তো অনেকেই বলতে পারেন গতানুগতিক, কিন্তু গল্প বলার ধরণ নিয়ে আপনার এক্সপেরিমেন্ট'টা আমার ভাল লেগেছে।

অনেক অনেক ভাল লাগা জানবেন, গল্পকার। :)

২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আসলে পাঠকের মূল্যায়নেই লেখকের স্বস্তি! লেখা পড়ায় ধন্যবাদ।

ভাল থাকুন।

১৫| ২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার এবং দূর্দান্ত। সমসাময়িক যে কয়জনের গল্প আমি অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়ি তার মধ্যে আপনি অন্যতম।

লেখাটার মাঝে ছোট ছোট ব্রেক আছে। শেষটায় হয়ত অনেকেই ভাবছেন একটা পরিনতির দিকে এগুলোও পারত, তবে জীবনের পরিনতি আসলেই কি আমরা জানি? জানি না।

সেই হিসাবে ভালো চিন্তা দিয়ে আমরাই না হয় ভালো পরিনতিটা বেছে নিব, সেটাই ছোট গল্পের স্বার্থকতা। :)

ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:০৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার লেখা বহুবার পড়েছি, কাল্পনিক ভালবাসা, তাই আপনি আমার অনুসারিত এবং পরিচিত একজন ব্লগার। আর পরিচিত ব্লগারের কমেন্ট পেলে কার না ভাল লাগে?

গল্পে একটা এক্সপেরিমেন্ট করার ইচ্ছে ছিল, কেমন হয় তা দেখার ইচ্ছে ছিল। এই মন্তব্য পেয়ে আশ্বস্ত বোধ করছি। ভালো থাকুন।

১৬| ২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: শুরু থেকে শেষ পর্যন্তই চমৎকার ছিলো পুরো ব্যপারটা ।

লেখককে অনেক ধন্যবাদ ।

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:১০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মাননীয় মন্ত্রী, আপনি স্বাগতম!

১৭| ২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮

বাংলার হাসান বলেছেন: অসাধারন।

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৮| ২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

আমি ইহতিব বলেছেন: কাল্পনিক ভালবাসা ভাইকে ধন্যবাদ, তার শেয়ারের কল্যাণে এতো ভালো একটা লেখা পড়ার সৌভাগ্য হল।

একটানা এতো বড় লেখা আজকাল ধৈর্যের অভাবে পড়া হয়না। লেখনীর মুগ্ধতায় একটানা পড়ে গেলাম। +++

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: তাঁকে আমারও ধন্যবাদ!

অন্য লেখায় আপনাকে দেখলাম। ভালো লাগল।

১৯| ২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬

গৃহ বন্দিনী বলেছেন: এই ধরনের গল্প গুলো পড়ার পর কেমন যেন লাগে ,মনে হয় শেষ হইয়াও হইলো না শেষ ।

অসাধারণ লেগেছে লেখনীর ধরন । :) :)

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:২১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বুড়ো রবীন্দ্রনাথ এই সংজ্ঞা দিয়েই তো আজকালের লেখকদের কাজটা কঠিন করে দিয়েছেন।

ধন্যবাদ।

২০| ২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৪৫

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: আমার মাঝে মাঝেই প্রচন্ড রকম ভালো লাগা কোন পোস্টে কমেন্ট করতে গিয়ে নজেকে খুব অসহায় লাগে। ভালোলাগাটা প্রকাশ করার মতো শব্দ খুঁজে পাইনা।
আর তাই বেশি কিছুই বললামনা।
ভালো থাকবেন। অনেক অনেক শুভকামনা।

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ২:২১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সহজ কথাটি যায় না বলা সহজে - বুড়ো রবীন্দ্রনাথ।
লোকটা পুরো মাথায় ঢুকে যায়, তাই না?

২১| ২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৫১

আমিনুর রহমান বলেছেন:

চমৎকার লিখেছেন +++

তবে ছোট গল্প লিখতে গিয়ে হয়ত ঔপন্যাসিক হয়ত লিখতে গিয়ে একটু বেশী তাড়াহুড়ো করে ফেলেছেন :)

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ২:২৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হয়তো! তবে ঔপন্যাসিক তাড়াহুড়ো করেছেন, নাকি গল্পের ধারা তাঁকে বাধ্য করেছে, সেটা একটা ভাল প্রশ্ন।

২২| ২৩ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

নোমান নমি বলেছেন: লেখকরা ভাগ্যবান। ঈশ্বরের মত সৃস্টি করতে পারে। তবে ফাঁক ফোকর দিয়ে ঠিকই বেরিয়ে যায় নিজের দুঃখবোধ!!!
দারুন লেখনী,অনেক ভাল্লাগছে।

২৩ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সহমত এবং ধন্যবাদ।

২৩| ২৬ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মামুন রশিদ বলেছেন: স্রেফ অসাধারন । গল্প পড়ার আগে আমাদের প্রিকনসিভ আইডিয়া আমাদের অবাক হবার মাত্রা কমিয়ে দেয় । আপনার বা আপনার গল্প সম্পর্কে আমার কোন ধারনা ছিলোনা, তাই আমি অনেকটা শব্দরুদ্ধ হয়ে গেছি ।

+++++

২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:০৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, মামুন রশিদ।

সেক্ষেত্রে ফার্স্ট এক্সপ্রেশন-টা ভালই হয়েছে আশা করছি!

অ.ট. - শব্দরুদ্ধ শব্দটা দারুণ।

২৪| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:২৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ঈশ্বর তার এই প্রতিদ্বন্দ্বীকে দেখে হয়তো পুলকিত হন ।
আর আমি আপনার গল্প পড়ে মহা মুগ্ধ হয়েছি ।ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না ।
আপনার বলার ভঙ্গিটা অসাধারণ ।
ভাল থাকুন শঙ্কু ভাই ।

২৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, মাহমুদ। ভালো থাকুন আপনিও।

২৫| ২৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮

জানা বলেছেন:



চমৎকার একটি লেখা পড়লাম।

বলে যাবার ভঙ্গিটা দারুণ। সাবলীল আর স্বচ্ছ।
জীবনের সুত্রপাত, বিকাশ, গতি আর পরিনতি বড় বিচিত্র। এই বৈচিত্র‌্য যেমন সবার নজরে সমানভাবে আসে না তেমনই তার প্রকাশও সবার পক্ষে সহজ নয়। তার জন্য খুব আলাদা শক্তির চোখ চাই, বোধ চাই, মেধা চাই। আপনি ভাগ্যবান, ঈশ্বর আপনাকে সেসবে পূর্ণ করেছেন।

পড়ার আনন্দ নিয়ে আবারও আসবো। চর্চায় থাকবেন, ভাল থাকবেন।
মঙ্গলময় হোক আপনার সময়।


২৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম, প্রিয় ব্লগার।

লেখার চেষ্টা করি, যদি সেটা আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলেই আমার লেখা সার্থক।

নিশ্চয়ই আসবেন আবার। ভালো থাকুন।

২৬| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

দেহঘড়ির মিস্তিরি বলেছেন: অসাধারণ , মুগ্ধতা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে :)

২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থ্যাংকিউ:)

২৭| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:০২

লেজকাটা বান্দর বলেছেন: দুর্দান্ত গল্প!

লেখনীর প্রেরণা তো বাস্তব ঘটনাই হবে! লেখক চান বা না চান জীবনের ঘটে যাওয়া সুখ দুঃখের ঘটনা লেখায় চলে আসবেই!

প্লাস।

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানবেন।

২৮| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: গায়ের লোম দাড়িয়ে যাচ্ছিল শিহরনে, বুকটা মোচড় দিচ্ছিল এবং সব শেষে চোখ ঝাপসা হয়ে গেল।

দয়া করে কাঁচা মানুষ গল্পে আমার কমেন্ট টা ডিলিট করে দিবেন। আন্তরিক ভাবে বলছি, আপনার মতো লেখকের সমালোচনা করা আমার স্পর্ধা হয়ে গেছে।

অসম্ভব অসম্ভব কঠীন একটা লেখা !!

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লজ্জা দেবেন না প্লিজ। সব গল্প একই মানের হয় না। সমালোচনা আমার ভালই লাগে। শুধরে লেখার ভালো সুযোগ দেয়।

খুশি থাকুন।

২৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

শামির শাকির বলেছেন: অসম্ভব ভাল লেগেছে আপনার লেখা!

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন অনেক।

৩০| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:০১

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: চমৎকার , আর কিছু বলার নাই

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, সিফাত। আমার ব্লগে স্বাগতম।

৩১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪০

তওসীফ সাদাত বলেছেন: অসাধারণ লেগেছিল গল্পটি। নাম খেয়াল ছিল না, পড়তে গিয়ে দেখি, এটাও আগের পড়া। আপনি কি করে এত সুন্দর করে লিখেন ???

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পাঠকের গুণেই লেখা সুন্দর হয়ে ওঠে!

আবারো কৃতজ্ঞতা, তওসীফ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.