নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বর্গ-পৃথ্বী অন্তঃস্থলে, বহুকিছু ফিরে-চলে, যাহা বিস্ময়কর

প্রোফেসর শঙ্কু

বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়

প্রোফেসর শঙ্কু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটোগল্পঃ কাঁচা মানুষ

২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

সাতটা একুশ বাজে।



হাসান তার তিনশ টাকার হাতঘড়িতে সময় দেখে ভুরূ কুঁচকালো। আব্বা তো জগিং করতে এত দেরি করেন না! আজ আর আব্বার জন্য অপেক্ষা করা সম্ভব না। হাসান গলা চড়ালো, 'কাজল, পেপারটা দিয়ে যা তো'। একটা চিকন-চাকন চৌদ্দ বছরের মেয়ে এসে হাসানের সামনে শীতল-পাটিতে পেপার ফেলল। হাসান মেয়েটার দিকে তাকায়। মেয়েটা তার ছোটবোন, এবং বেশ আদরের বলা চলে। কাজল হাসানের সামনে হাঁটু গেঁড়ে বসে, 'ভাইয়া, আজকে আমার সাথে একটু স্কুলে আসবে?'



-'কেন? কি হয়েছে? আব্বার সাথে যাবি না?'

-'না, আজকে প্রথম সাময়িক পরীক্ষার রেজাল্ট দেবে।'

-'তাই?'

-'না, মানে, পরীক্ষা ভালো হয় নাই। আব্বা আবার রেজাল্ট খারাপ হলে সবার সামনে বকে তো, আমার ভালো লাগে না। সবাই হাসে।'

-'আমি পারব না। আমার আটটার প্রাইভেট পড়াবে কে? আজকে সাত তারিখ না? বেতন দেওয়ার ডেট। '



কাজলের মুখটা কালো হয়ে যায়, গম্ভীর মুখ করে উঠে পড়ে।



হাসান দুই মিনিট ভাবে। কাজলের কথা সত্যি হবার কোন কারণ নেই। সে ক্লাসের থার্ড গার্ল, এবং রেজাল্ট যাই হোক, আব্বা কখনোই তাকে কিছু বলেন না। সাথে যেতে বলার পেছনে নিশ্চিত অন্য কোন কারণ আছে। যাক গে, পরে দেখা যাবে। হাসান তার মধ্যবিত্ত জীবনের একমাত্র বিলাস পেপারে মনোনিবেশ করে।



সেই একই খবর। অমুক দলের তমুক নেতা বিবৃতি দিয়েছেন তারা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ে যাবেন, বাংলার মানুষ তাঁদের সাথে আছে। তেলের দাম বাড়ল। অমুক দপ্তরে দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন, নিচে আবার সেই প্রতিবেদনের প্রতিবাদ। শেয়ারবাজারে আবার ধস। কোন এক কোচিংয়ের বিজ্ঞাপন, তারা মেডিকেল-বুয়েটে নিশ্চিত চান্স পাইয়ে দিতে পারে। পড়তে পড়তে কোণার একটা খবরে হাসানের চোখ আটকে যায়, 'নারায়ণগঞ্জে গৃহবধূ ধর্ষণ, প্রতিবেশীকে সন্দেহ গ্রামবাসীর'। ও মনে মনে রেগে ওঠে, এসব শুয়ারের দলকে ফাঁসি দেয় না কেন সরকার? এরা কি মানুষ, না নরকের কীট? মনের রাগ মিটতে না মিটতে সে আরেক পৃষ্ঠায় দেখে, 'স্কুল-বালিকার শ্লীলতাহানি, দুই যুবক আটক'। এবার মনের অজান্তে বাজে একটা গাল দিয়ে ওঠে সে। তাড়াতাড়ি পৃষ্ঠা ওল্টায় আবার। বারবার ফ্যানের বাতাসে অগোছাল হয়ে যাওয়া স্ট্যাপলার না মারা কাগজ আঁকড়ে ধরে পড়তে পড়তে একটা সময় সে আবিস্কার করে, প্রতি পৃষ্ঠায়ই বড় বড় লেখার ফাঁকে ফাঁকে একটা দুটো করে ধর্ষণের খবর ছাপা হয়েছে।



শালা! হাসানের মুখ দিয়ে আরেকটা বাজে গাল বেরিয়ে আসে। সম্পাদকগুলো সব লুচ্চা। রিপোর্টাররা আরও লুচ্চা। এমনভাবে বর্ণনা দেয়, পড়লেই গা জ্বলে যায়। শালারা আলাদা একটা পাতা রাখলেই পারিস, 'আজকের ধর্ষণ', প্রতিদিন সেটা পুড়িয়ে তারপর যাতে পেপারে হাত দেওয়া যায়।



হাসান এই সব ধর্ষকদের পেলে রোমান পদ্ধতি অবলম্বন করত। উল্টো করে ঝুলিয়ে শালাদের বিচি পাথর দিয়ে ঠুকে ঠুকে গুঁড়ো করে দিত। এদের মানুষ বলে ধরা উচিত না। শালাদের বাড়িতে যে মা-বোন আছে, ধর্ষণের সময় সেটা মনে থাকে না? আর শুধু ওই শালারা কেন, যারাই মেয়েদের এমন অসম্মান করে সবগুলোকেই ধরা দরকার। হাত পা ভেঙে একেবারে লুলা করে দেওয়া দরকার। হাসানের এক বন্ধু ছিল, কলেজে খুব হামবড়া ভাব দেখিয়ে চলত। একবার এক মেয়ের ওড়না ধরে টানাটানির সময় হাসান ওকে দেখে ফেলে। বন্ধুর গালে সবার সামনে চটাস চটাস চড় মেরেছিল ও। সেইখানেই বন্ধুত্বের ইতি। তার সাথে এখনো মাঝেমধ্যে দেখা হয়, কিন্তু ও কথা বলে না। এমন মানুষকে হাসান প্রচণ্ড ঘৃণা করে।



বারান্দায় শব্দ হয়। আব্বা এলেন। হাসান হাতে পেপার গুছিয়ে নিয়ে আস্তে আস্তে উঠে পড়ে। আব্বার ঘরে ঢোকে। ঘরে ক্যাঁচকোঁচ শব্দ করে পুরনো ফ্যানটা সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে অপ্রকৃতিস্থের মত ঘুরছে। ডায়াবেটিসের রোগী আব্বা ঘর্মাক্ত মুখে বিছানায় পিঠে বালিশ দিয়ে গা এলিয়ে বসে আছেন। হাসানকে দেখে সোজা হয়ে বসেন। 'আয়, তোর সাথে কথা আছে।'



হাসান একটু অবাক হয়। 'কি কথা, আব্বা?'

'আজকে মিলনের সাথে দেখা হল। আমার পুরান বন্ধু। তুই তো দেখেছিস ওকে। গত কয়েক বছরে অনেক পালটে গেছে, বড় ব্যবসায়ী হয়েছে। ওর কাছে তোর কথা বললাম। ও বলল, তোকে একটা চাকরি দিতে পারবে। মাসে ন' হাজার টাকা বেতন। কালকে তুই ঢাকায় ওদের বাসাতে যা, আমার কাছ থেকে ঠিকানা আর টাকা যা লাগে নিয়ে নিস।'

-'আচ্ছা।' হাসান ঘুরে বেরোতে উদ্যত হয়।

-'আর আজকে কাজুকে স্কুলে নিয়ে যাস। আমার ভালো লাগছে না।'

-'ঠিক আছে আব্বা'। হাসান ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। শীতল পাটিতে বসে পরিবারের বর্তমান অবস্থা চিন্তা করে। বড় আপার বিয়ে দেওয়া হল ঋণ করে, প্রতি মাসে এখন পাওনাদারকে তিন হাজার টাকা করে দিতে হয়। আব্বার পেনশন আর হাসানের প্রাইভেটের উপার্জন, আয়ের এই দুই উৎস। হাসান শিক্ষিত বেকার। প্রথমে প্রাইভেট পড়াত একটা, তাও নিজের পড়ালেখার খরচ জোগাতে। কিন্তু অনার্স সেকেন্ড ইয়ার পর্যন্ত পড়ে থামতে হল। ভালো কোন চাকরি না পাওয়ায় প্রাইভেটের সংখ্যা বাড়ল। এখন সে প্রাইভেট পড়ায় তিনটা। তাতেই কোন মতে চলছে। এখন একটা চাকরি পেলে, তাড়াতাড়ি ঋণটা চুকানো যায়...কাজলকে ঢাকার ভালো একটা কলেজে ভর্তি করিয়ে দেবার সুযোগ মিলত...মেয়েটার পড়ালেখা করার খুব শখ...



হঠাৎ কাজলের ডাকে ওর মোহভঙ্গ হয়। 'ভাইয়া, সাতটা চল্লিশ বাজে। তাড়াতাড়ি! ক্লাস ধরতে পারব না!'

হাসান তাড়াহুড়ো করে কাপড় পরে, একটা রিকশা ডেকে নিয়ে আসে। কাজল স্কুল-ড্রেস পরে ব্যাগ কাঁধে রিকশায় হাসানের বামপাশে বসে। রিকশা চলা শুরু করে। বেশ কিছুক্ষণ পর, একটা চায়ের দোকান পার হবার সময় হঠাৎ বাতাসে শিস ভেসে আসে। সাথে কিছু বাজে মন্তব্য। সাথে সাথে কাজল শরীর শক্ত করে ফেলে, ব্যাগের স্ট্র্যাপ আঙ্গুলে আঁকড়ে ধরে। হাসান পুরো অবাক হয়ে যায়। এই কারণে কাজল আসতে বলেছিল! সে কাজলকে জিজ্ঞেস করে, 'কতদিন ধরে ডিস্টার্ব করে তোকে?' কাজল উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে বসে থাকে।



হাসান রিকশা থামিয়ে নামে, তারপর কাজলকে স্কুলে যেতে বলে দৃপ্ত পায়ে চায়ের দোকানের দিকে রওনা দেয়। ও পরিষ্কার করে কিছু ভাবতে পারছে না। মাথার মধ্যে বারবার সকালে পড়া খবরটা ঘুরছে, 'স্কুল-বালিকার শ্লীলতাহানি, দুই যুবক আটক'। দোকানের সামনে একটা হোন্ডা, বেঞ্চে একজন আর হোন্ডার ওপরে একজন বসে আছে। হাসান নিরীহমুখে বেঞ্চে বসে এককাপ চায়ের অর্ডার দেয়। ওরা কেউ হাসানকে চিনতে পারেনি। ছেলে দুটার বয়স ১৮-১৯ হবে। পাছার কাছে জিন্স ঢুলঢুল করছে। একজনের চাঁদির মাঝখানে কিছু চুল কালার করা। মুখে বেপরোয়া ভাব। ভোঁসভোঁস করে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ছে। বখে যাওয়া পোলাপান, বোঝাই যাচ্ছে।



হাসান দোকানদারের হাত থেকে চা নিয়ে আস্তে আস্তে চুমুক দিয়ে একসময় শেষ করে ফেলল। এই সময়ের মাঝে তিনটে মেয়ে স্কুলের দিকে গেল। প্রত্যেকের দিকেই মন্তব্য ছোঁড়া হল। প্রথম দুজনের ব্যাগ ধরে টানাটানি করা হল। এমনকি বেঞ্চে বসা ছেলেটা শেষ মেয়েটার পেছন পেছন অনেকদূর একটা বাজে প্রস্তাব দিতে দিতে হাঁটল। হাসান একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। ভেবেছিল দু-চারটে চড় মেরে ছেড়ে দেবে। কিন্তু এরা বেশি বাড় বেড়েছে। আশেপাশে তাকিয়ে একটা ছোট মোটা ডাল দেখল খালি, আর ভাল তেমন কিছু নেই। দোকানদারকে কাপটা ফেরত দিল ও।



বেঞ্চে বসা ছেলেটা কেবল চায়ের কাপ ঠোঁটে ঠেকিয়েছে, তখনি হাসান উঠে কাপের নিচের অংশ উঁচু করে মুখের ওপর চেপে ধরল। গরম চা ছেলেটার সারা মুখে ছড়িয়ে পড়তে না পড়তে আরেক হাতে কাপের ওপর জোরে থাবড়া মারল ও। কাঁচ আর ঠোঁট-দাঁতের ঘর্ষণে বিশ্রী একটা শব্দ হল। সাথে সাথে ঠোঁট কেটে রক্ত বেরিয়ে চায়ের সাথে মিশে পড়তে লাগল। হাসান ধারণা করল অন্ততঃ সামনের দুটো দাঁত উপড়ে গেছে। ছেলেটা সাপের মুখে আটকা পড়া কুনোব্যাঙের মত গোঙাতে লাগল। মুখ থেকে হাত সরিয়ে নিয়ে ছেলেটাকে ছেড়ে দিল ও, উবু হয়ে পড়ে গেল ছেলেটা।



হোন্ডায় বসা ছেলেটা এই ঘটনায় এতই অবাক হয়েছে যে, একটু আগের খ্যাঁকখ্যাঁক করে হাসার ভঙ্গিটাও মুখ থেকে মুছে ফেলার কথা ভুলে গেছে। হাসান তার দিকে তাকাতেই চোখে ভয় ফুটল, হোন্ডা রেখে উল্টোদিকে দৌড় দিল সে। হাসান ডালটা তুলে নিয়ে দৌড়ে কিছুক্ষণের মধ্যে ছেলেটার ঠিক পেছনে চলে এল, পা সই করে ডাল চালাল। তিন চার ডিগবাজি খেয়ে ছেলেটা পড়ে গেল। এবার ও সর্বশক্তিতে পেটাতে শুরু করল। সাবধানে সবগুলো বাড়ি দিল পিঠে আর পাছায়। প্রথম বাড়ি খেয়ে ছেলেটা নাকিসুরে ভ্যাবানো শুরু করল। সাত নম্বর বাড়িতে ডাল কড়াৎ করে ভেঙ্গে গেল। ততক্ষণে পিঠের মাংস মোটামুটি থেঁতলে দেয়া গেছে। হাসান থামল। জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলছে। হাঁটুর ওপর ভর দিয়ে উবু হয়ে গোঙাতে থাকা ছেলেটাকে বলল, 'কি জন্যে পেটালাম, জানস। মনে থাকে যেন কুত্তার বাচ্চা'।



সোজা হয়ে আবার দোকানে ফিরে গেল সে। ওখানে ছেলেটা মুখ ধরে ওঠার চেষ্টা করছে। পেটে কলেজের ফুটবল টীমের মিডফিল্ডারের মাপা দুটো লাথি খেয়ে শুয়ে পড়ল আবার। হাসান হোন্ডা চেক করল, চাবি ইগনিশনে নেই। কি আর করা, হ্যান্ডেল ধরে ঠেলে ঠেলে দোকানের পেছনে নিয়ে গেল। একটা ডোবার মত জায়গা আছে ওখানে, ময়লা-বর্জ্য-কাদায় ভর্তি। হাসান হোন্ডা ঠেলে ডোবায় ফেলে দিল। যাঃ শালারা, খেটে খা।



ছেলেটার দিকে আরেকবার বিষদৃষ্টিতে তাকিয়ে একটা রিকশা ডেকে উঠে পড়ে ও, আজ সবগুলো প্রাইভেটের বেতন ওঠানো যায় কি না চেষ্টা করে দেখতে হবে।



** ** ** ** ** ** ** **



আরেকবার নিজের দিকে তাকাল হাসান। স্বীকার করতেই হবে, বেশ স্মার্ট লাগছে ওকে। মনে হচ্ছে কোন সরকারি চাকরির উপযুক্ত প্রার্থী। পিঠের কাছে নীল সার্টটা ঘামে লেপটে গেছে একটু, সেটা ব্যাপার না। ঠিকানা খুঁজে বের করতে একটু ঘুরতে হয়েছে, ঘাম হওয়া স্বাভাবিক।



একটা কুচকুচে কালো কাঠের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে ও। কি কাঠ সে সম্পর্কে কোন ধারণা নেই ওর, কিন্তু দেখেই বোঝা যাচ্ছে দামি জিনিস। অভিজাত একটা ভাব আছে। হাসান কলিংবেল টিপল। একবার। দুবার।

তিনবারের বেলায় এক যুবতী ন্যাকড়ায় হাত মুছতে মুছতে দরজা খুলে বিরক্তমুখে বলল, 'কি চাই?' হাসান গলা পরিষ্কার করে বলল, 'মিলন সাহেব আছেন?'

-'না।' এই বলে যুবতী দরজা আটকে দিতে উদ্যত হল।

এ কি জ্বালা! হাসান তাড়াতাড়ি একদমে বলল, 'তাহলে উনার ওয়াইফকে একটু ডেকে দিন। বলবেন মিলন সাহেবের এক বন্ধুর ছেলে এসেছে।'

-'আচ্ছা, একটু দাঁড়ান।' খট করে দরজা আটকে গেল। ভেতরের কথা একটু একটু শোনা গেল, 'আম্মা, আম্মা, কেরা জানি আইছে। আপনেরে খোঁজ করে'। ওঃ, মেয়েটা তাহলে কাজের লোক ছিল! কেমন শুদ্ধ ভাষায় কথা বলল! কাজের মেয়ে বলে মনেই হয়নি।



একটু পরে মধ্যবয়স্ক এক মহিলা দরজা খুললেন। হাসিখুশি চেহারা। হাসান কিছু বলার আগেই মহিলা বললেন, 'তুমি রশিদ ভাইয়ের ছেলে, হাসান?'

হাসান সত্যিই অবাক হয়ে হাসে, 'জী, চিনতে পেরেছেন আমাকে?'

মহিলার মুখ হঠাৎ গম্ভীর হয়ে ওঠে, 'না, উনি বলেছিলেন তুমি আসবে। তা আজ তো তোমাকে এখানে থাকতে দিতে পারব না, আমার বাপের বাড়ি থেকে লোক এসেছে। বাসার কোথাও জায়গা নেই। তুমি কাল সকাল দশটায় আস। ঠিক আছে?'

বিহ্বল হাসান মাথা নাড়ে। মহিলাও মাথা নাড়েন, 'আচ্ছা ঠিক আছে', তারপর ওর মুখের সামনে দরজা লাগিয়ে দেন।



নিজেকে খুব ছোট, খুব অপমানিত লাগে হাসানের। পুরো বিষয়টা হজম করার জন্য নিজেকে কিছুক্ষণ সময় দেয় ও। আসলে মনে ক্ষীণ আশা, এখনি হয়তো মহিলা দরজা খুলে হেসে বলবেন, 'এই দেখো, তোমাকে বসতে বলার কথা মনেই নেই আমার! আসলে বাসায় লোক তো অনেক, বোঝোই তো। আস, ভেতরে আস, একটু চা-কফি খেয়ে যাও'। এইকথা বললে তাঁকে পুরো ক্ষমা করে দেবে ও। কিন্তু কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে হাসানের মাথা পরিষ্কার হল। সে বুঝতে পারল মহিলা তাঁকে একটা বাড়তি ঝামেলা বলে মনে করছেন। বাসায় ঢুকতে দেবার প্রশ্নই ওঠে না। এদিকে রাত হয়ে এলো....



ভাবতে ভাবতে ও কখন নিচে নেমে এসে রিকশা ডেকেছে, বুঝতেই পারেনি। রিকশাওলা জিজ্ঞেস করল, 'কই যাবেন?' হাসান রিকশায় উঠে বলল, 'আশেপাশে ভালো কোন হোটেল আছে? একরাত থাকার জন্য দরকার।' রিকশাওলা প্যাডেল না মেরে সিটে বসল, 'হ, আছে তো। হোটেল প্যারাডাইস আছে, কল্লোল হোটেল আছে, অনেকটি আছে। কুনটায় যাইবেন?'



হাসান পকেটের কথা ভাবে। প্রাইভেটগুলো থেকে ওঠানো মোটমাট তিন হাজার টাকা আছে। আব্বার কাছে টাকা চাওয়ার ইচ্ছে হয়নি।

-'হোটেলের ভাড়া কেমন?'

রিকশাওলা হেসে দেয়, 'আমি কি ওনে কহনো থাকছি যে জানুম?' হাসানের হতাশ মুখ দেখে যোগ করে আবার, 'তয় হাইফাই হোটেল তো, হাজারের উপরে হওয়ার কতা।'



হাজার? হাতে আছে তিন, সামনে তো আরও লাগবে বোধহয়। একরাতেই এত খরচ করাটা ঠিক হবে না।

-'তার চেয়ে কম ভাড়ার হোটেল নেই?'

-'আছে, চারশ-পাঁচশ টাকায় এক রুম এক রাতের লিগা পাওয়া যাব, কিন্তু অইসব হোটেলে আপনে থাইকা আরাম পাবেন না। বেশি ভালো হোটেল না।'

-'তা হোক। একটা রাতই তো! ওইরকম একটা হোটেলেই নিয়ে চল'।



রিকশা এসে থামে সানরাইজ হোটেলের সামনে। হাসান ভাড়া মিটিয়ে ভেতরে ঢোকে। এক খোঁচা খোঁচা দাড়িওলা লোক ছাল ওঠা কাঠের টেবিলের পেছনে বসে আছে। সম্ভবতঃ সে-ই ম্যানেজার। কথা বলে একটা রুম ঠিক করা গেল। দুই তলার প্রথম রুম, ভাড়া চারশ টাকা। হাসান অযথা বাক্যব্যয় না করে চাবি হাতে সিঁড়ি বেয়ে রুমে ঢুকল। ২৫ ওয়াটের হলুদ আলো। একটা খাট, একটা চেয়ার, চেয়ারের ওপরে একটা টেবিল ফ্যান। দেয়ালে অজস্র লেখা, নারী-পুরুষের সম্পর্কজনিত নানা বিশ্লেষণমূলক ছবি আঁকা। এক কোণায় লেখা, 'কল মি', নিচে নাম্বার দেওয়া। সিলিঙে ফ্যানের শূন্য হুক। লম্বা লম্বা শিকের জানালা, কোন পরদা নেই। কাপড় পালটে হাসান টয়লেটে ঢুকল, নাক ধরে দ্বিগুণ বেগে বেরিয়ে এল। কমপক্ষে তিনটে আরশোলা, দুটা গোবদা মাকড়সা মুক্তভাবে বিচরণ করছে, আর সেই সাথে পুরো টয়লেট জুড়ে (সম্ভবতঃ রুমের প্রাক্তন বাসিন্দার কাজ) হলুদ-কালো ছোপছোপ দুর্গন্ধময় শিল্পকর্ম। নিচে ম্যানেজারের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলার পর দেখা গেল হাসান মুখ শক্ত করে বাইরের পাবলিক টয়লেটে ঢুকছে, তার একটু পরই হোটেলের সামনে টিউবওয়েলে পা ধুচ্ছে।



এরকম 'রিফ্রেসমেন্টে'র পর হাসানের খুব ক্লান্তি লাগতে থাকে, টেবিল ফ্যান অন করে বিছানায় হাত পা ছেড়ে দেয়। চোখে একটু ঘুম ঘুম লাগতে থাকে ওর, ফ্যানের বাতাসে মাথা আস্তে আস্তে ঠাণ্ডা হতে থাকে। সারাদিনের দুশ্চিন্তা মাথা থেকে ছুটি নেয়। একটু একটু করে চোখ লেগে আসতে থাকে।



হঠাৎ, পিঠে একটু খোঁচা লাগে ওর। আসি আসি ঘুমটা টুটে যায়, শরীরটা একটু নড়ে চড়ে ওঠে। হঠাৎ করেই সম্পূর্ণ জাগ্রত হয়ে ওঠে হাসান। বিরক্ত মুখে এপাশ ওপাশ কাত হতে না হতেই আরেকটা খোঁচা। তারপর আরেকটা। তারপর যেন খোঁচার বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। বিছানায় আর থাকতে পারল না ও, লাফিয়ে উঠে পড়ে পিঠ চুলকাতে লাগল। একি?! সাথে সাথে একটা বদ্ধ সন্দেহ হল ওর। চট করে লাইট জ্বালিয়ে তোশক উঁচু করে দেখল। হুম, যা সন্দেহ করেছিল ঠিক তাই। তোশকের নিচে শয়ে শয়ে কিলবিল করছে ছারপোকা! বাহ, ক্লাসিক!



পিঠ চুলকাতে চুলকাতে বিছানায় একটা লাত্থি লাগাল ও। মন্দ ভাগ্য একেই বলে। ময়লা ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে মেজাজ আরও খারাপ হয়ে যায় ওর। এখন সারা রাত শোবে কোথায়? যত্তসব। রাগ করে হাসান আরেকটা লাথি দেয় বিছানায়। সঙ্গে সঙ্গে সিনক্রোনাইজড ড্যান্সের মত টেবিল ফ্যান ঘোরা বন্ধ করে দিল। হাসান সুইচ টেপে কয়েকবার, কারেন্টের লাইন চেক করে। কারেন্ট আছে। ফ্যানটাই নষ্ট হয়ে গেছে।



চমৎকার! টয়লেট ভর্তি শিল্পকর্ম, বিছানাভর্তি ছারপোকা, সারাদিনের ক্লান্তি চোখে কিন্তু ঘুমানোর জায়গা নেই, ভ্যাপসা গরম পরিবেশ, ঘামে চটচট শরীর। নরক এর চেয়ে আর কতই বা নিকৃষ্ট হতে পারে? হাসান অনির্দিষ্ট কাউকে কয়েকটা গাল দেয়। বিছানার ওপর টেবিল ফ্যানটা ছুঁড়ে ফেলে চেয়ার টেনে বসে জানালার সামনে। যদি কিছু বাতাস আসে...



জানালা দিয়ে হোটেলের সামনে একটা একতলা বাড়ি দেখা যাচ্ছে। ওই বাড়ির জানালাও খোলা। পরদা নেই। ঘরের সাদা আলোতে ভেতরের বিছানাটুকু পরিষ্কার চোখে পড়ছে। একজন তরুণী বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছে। তরুণীর বসার ধরণ দেখে হাসানের বড়'পার কথা মনে পড়ে যায়। কতদিন ধরে আপা বাড়িতে আসে না!



এভাবে তাকান ঠিক শোভন না। হাসান অন্যমনস্কভাবে চোখ ফিরিয়ে নিতে গিয়ে থেমে যায়। জানালার কাছে একটা লোক দেখা যাচ্ছে না? সে ভালো করে তাকায়। হ্যাঁ, ওইতো, চোরের মত আবার মাথা নামিয়ে নিল। চেক চেক লুঙ্গি, লাল শার্ট পরা মোটা একটা লোক। লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছে। তরুণী জানেও না তাঁকে কেউ চোরের মত এভাবে কেউ দেখছে।



হাসানের মাথা গরম হয়ে ওঠে। হয়তো বা বড়'পার সাথে মেয়েটার সাদৃশ্যের কারণে, বা আশেপাশে দম আটকানো বিশ্রী পরিবেশের কারণে, কিংবা তারুণ্য ও বিবেকের সম্মিলিত চাপের কারণে - কে জানে! কিন্তু হাসানের মাথা গরম হয়ে ওঠে। হাতের পেশি শক্ত হয়ে ফুলে ফুলে ওঠে। ভুলে যায়, সম্পূর্ণ অপরিচিত একটা জায়গায় আছে ও। মাথার মাঝে কেবল লোকটাকে শায়েস্তা করার কথা ঘুরতে থাকে বারবার। ও কোনমতে একটা শার্ট গায়ে দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে রাস্তায় নেমে আসে। আশেপাশে তাকিয়ে দেখতে পায় সেই লোকটাকে। দৃপ্ত পায়ে এগিয়ে যেতে থাকে তার দিকে।



কাছাকাছি পৌছাতেই তীব্র মদের গন্ধ পায় হাসান। শালা মাতাল মাতলামি করার আর জায়গা পাও না? ডান হাত মুষ্টি করে বড় বড় পদক্ষেপ নিয়ে এগোতে এগোতে সে ঠিক করে প্রথম ঘুষিটা দেবে চোয়ালে। লোকটার কাছাকাছি পৌঁছে ও থামে। লোকটাও শব্দ পেয়ে ঘুরে ওর দিকে তাকায়। বোঝাই যাচ্ছে রসভঙ্গ হওয়ায় বিরক্ত হয়েছে। ঘুষিটা দেবার আগে হাসান ভালো করে চেহারাটা দেখে। মাথায় টাক, পুরু কালো ঠোঁট। ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে পানের পিকের মত লাল একটা কিছু পড়ছে। মদের বাজে দুর্গন্ধ ভক ভক করে মুখ দিয়ে বেরোচ্ছে, কিন্তু সামান্যও টলছে না। পাকা মদারু বোধহয়। মোটা নাক, নাক থেকে বাম চোখের ওপর একটা আড়াআড়ি কাটা দাগ...



হঠাৎ করেই লোকটাকে চিনে ফেলে হাসান। বাড়িতে আগে কয়েকবার ইনি এসেছেন, যদিও অনেক বছর আগে, কিন্তু ওই কাটা দাগ ভোলার নয়। মুষ্টিবদ্ধ হাত শিথিল হয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কপালে লেগে যায়।



-'আসসালামু আলাইকুম, মিলন চাচা।'

মদ্যপ ব্যক্তি চোখ পিটপিট করে তাকায়। কিছুটা মদ্যপ কণ্ঠে সন্দেহের সুরে বলে, 'কে?'

-'আমি চাচা। রশিদ মিয়ার ছেলে, হাসান।'

এবারে লোকটার কণ্ঠ ম্যাজিকের মত পরিবর্তন হয়ে যায়। সহজ, প্রাণোচ্ছল, স্বাভাবিক।

-'ও, রশিদের ছেলে? তা এইখানে কেন তুমি? উঠছ কোথায়? আমার বাসায় গেছিলা?'



হাসান বলার চেষ্টা করে, 'চাচা আসলে...', কিন্তু তার আগেই লোকটা থামিয়ে দেয় ওকে, 'আইচ্ছা ঠিকাছে, কালকে সকালে তুমি বাসায় আস। তুমার চাকরি নিয়া কথা বলব নে। আর রাত্রে এইসব জায়গায় হাঁটাহাঁটি কইরো না, বুঝোনাই? জায়গাটা ভালো না। আজে বাজে মানুষের আখড়া। যাও তাইলে।'



এক কথায় কথোপকথনের ইতি টেনে দেয় লোকটা। তারপর হাসানের দিকে একদৃষ্টে তাকায়। হাসান বুঝতে পারল, তাঁকে ভদ্রভাবে ভেগে যেতে বলা হল। সে 'জী চাচা' বলে হোটেলের দিকে দুর্বলপায়ে হাঁটতে শুরু করল। হোটেলে ঢোকার আগে আরেকবার পেছনে তাকাল হাসান, দেখল লোকটা আগের মতই উঁকিঝুঁকি মারছে। তবে এবার নতুন জিনিস যোগ হয়েছে, তার হাতে একটা মোবাইল ফোন দেখা যাচ্ছে। পুরো বিষয়টা ভিডিও করছে সম্ভবত।



সামনে তাকিয়ে হাসান মনে মনে আউড়ে নেয়, 'চাকরি পেলে তাড়াতাড়ি ঋণ শোধাতে পারব, আব্বা একটু আরাম পাবে, কাজলকে ঢাকায় কলেজে পড়াতে পারব। চাকরি পেলেই...', মনে মনে কথাগুলো বারবার বলতে বলতে সে নিজের রুমে পৌঁছে যায়। জানালার কবাট বন্ধ করে দেয়। বিছানার ওপর থেকে টেবিল ফ্যানটা সরিয়ে চেয়ারে রাখে। তারপর বিছানায় শুয়ে পড়ে। ছারপোকার কামড় খেতে খেতে তার পিঠ ফুলে ওঠে, ঘামে শরীর ভিজে যেতে থাকে। ও নির্বিকার মুখে শুয়ে থাকে।



পোকার কামড় খেতে খেতে হাসানের কেন যেন কাফকার গল্পের কথা মনে পড়ে যায়, যেখানে মূল চরিত্রটি মানুষ থেকে একদিন হঠাৎ বিশাল এক পোকা হয়ে যায়।

মন্তব্য ১৩০ টি রেটিং +৩০/-০

মন্তব্য (১৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: নষ্ট সমাজের কথা শুনতে আর ভালো লাগে না ।

২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পরাজিত সময়ের বাসিন্দা আমরা, কান চেপে বসে থাকলেও খবরেরা পাচার হয়ে রঁন্ধ্রে রঁন্ধ্রে ঠিকই ঢুকে যায়।

২| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

খাটাস বলেছেন: ছোট গল্পের সাইজ এত ছোট?? :) :) পড়তে ইচ্ছা হচ্ছিল না সাইজ দেখে, কিন্তু একটু পড়তে পড়তে বেশ ভাল লাগল। মোটামুটি সুন্দর লিখেছেন। একটা প্লাস দেয়া যায়। :) যায়। খাটাসের কথা সোজা সাপ্তা।

২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সাইজ দেখে করিসনে ভয়, আড়ালে তার সাহিত্য হাসে!

কষ্ট করে যে পড়েছেন, এবং প্লাস দিয়েছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যে খুশি হলাম। সোজা সাপটা সোজাই থাকুক - এই কামনা রইল।

৩| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

মোঃ আনিছ বলেছেন: ``পরাজিত সময়ের বাসিন্দা আমরা, কান চেপে বসে থাকলেও খবরেরা পাচার হয়ে রঁন্ধ্রে রঁন্ধ্রে ঠিকই ঢুকে যায়।'' darun bolechen to.

২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: স্কুলের ছাত্রীদের টিজিং আসলে ভয়াবহ ব্যাপার ! বিশেষ করে কাজলের মতো যারা বাসায় কাউকে কিছু বলতে পারে না। বয়ঃসন্ধিকালটা খুব বিপদজনক যদি ঘরের সদস্য বন্ধুত্বপরায়ন না হয় । স্কুলে থাকতে এই প্রবলেমে আমি পড়েছিলাম। তবে শিস বাজানো, ব্যাগ টানাটানি এসব না । এর চেয়েও ভয়ংকর। কোনও শব্দ না করে অনুসরণ করা, বাসায় বেনামীতে চিঠি পোস্ট করা ! আতংকে অস্থির থাকতাম এই না চিঠি চলে আসে, এই না মা ধরে মাইর দেয় , টিচারের কাছে এই না বিচার দেয় ! বুঝানো খুব টাফ হতো এখানে আমি নির্দোষ !

এই বইমেলায় কাফকার বই কেনা হইছে পড়ার সময় করে উঠতে পারিনি।
মিলন চাচার মতো মানুষ সমাজে থাকলেও হাসানের মতো প্রতিবাদী ছেলেরাও আছে যদিও তারা মাঝে পরিবারের সদস্যদের কথা ভেবে অনেক ব্যথা হজম করে নেয় !

শুভেচ্ছা শংকুকে

২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বয়ঃসন্ধি এমন একটা বয়স যখন একজন মানুষ মানসিক অনুভূতির কিনারে অবস্থান করে। স্রেফ সামান্য একটা ধাক্কা প্রয়োজন - তাতেই সমস্ত মানসিক প্রস্তুতি ভেঙ্গে পড়ে। আমাদের দোষ - আমরা সন্তানকে নারীকে শ্রদ্ধা করা শেখাতে পারি না। টিজিং - এর শিকার মেয়েদের সাথে পরিবারের বোঝাপড়া খুব জরুরি।

আশা করি ভবিষ্যতে হাসানের মত ছেলের অভাব হবে না। অবস্থা পালটাবে।

শেষ লাইনে কাফকার 'মেটামরফসিস' গল্পের কথা বলেছি। পড়ে দেখবেন। শুভকামনা।

৫| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

বোকামন বলেছেন:







পরাজিত সময়ের বাসিন্দা আমরা !!!
আমরা পরাজিত হতে পারি সময় হয় নাই .......

গল্প পড়লাম। ভালো লাগলো। প্লাস-মাইনাস হিসেব কষতে পারলুম না।

সম্মানিত প্রোফেসর শঙ্কু,
লিখতে থাকুন ভাই........................
শুভকামনা

২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ, বোকামন।
ভাল কাটুক সময়।

৬| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

s r jony বলেছেন: মূল চরিত্রটি মানুষ থেকে একদিন হঠাৎ বিশাল এক পোকা হয়ে যায়। -হ্যা, পোকা তো আমরা হয়েই গেছি, কেউ বড় পোকা, কেউ ছোট পোকা, কেউ শুয় পোকা, কেউ গোবরের পোকা।

২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পোকাদের কি মানুষের সমাজে বাঁচার অধিকার আছে?

তবু বাঁচে। পোকা তো!

৭| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

আশিক মাসুম বলেছেন: পড়তে পড়তে খেই হারিয়ে ফেলেছি , একটু বড় গল্প !!

সুন্দর।

২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হ্যাঁ, এবারে একটু বড়ই হয়ে গেছে বলতে হবে।

৮| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকার লিখা শঙ্কু ||

২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

অদৃশ্য বলেছেন:




পুরোটা পড়তে পারিনি, খুব ধীরে পড়ছিলাম তাই... এ্যকশন দৃশ্য শেষ করলাম মাত্র... পরের অংশটা পরে এসে শেষ করে যাব

যতটুকু পড়লাম ভালো লেগেছে আমার...

শুভকামনা...

২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পুরোটা পড়লে আরও ভালো লাগবে হয়তো। ধন্যবাদ।

১০| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩

দেহঘড়ির মিস্তিরি বলেছেন: ভাল লিখেছেন :)

২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সত্যি তো?

১১| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

খাটাস বলেছেন: একটা কথা বলা দরকার মনে করছি। অপর্ণা বয় সন্ধি নিয়ে যে কথা্টা বললেন, তা যেমন জরুরি। আর একটা ব্যাপার ও জরুরি। মিলন চাচার মত চরিত্র আমাদের পরিচিত জনদের মাঝেই লুকিয়ে আছেন। বয়স এবং সম্পর্কের কারনে হয়ত আমরা তাদের কিছু বলতে পারি না হাসানের মতই। কিন্তু আমাদেরই ছোট ভাই, ভাতিজা, ভাগ্নে রা যারা বাসায় হয়ত গোবেচারা টাইপ মুখ করে থাকে বাবা মার ভয়ে। এদের অনেকেই ঘর থেকে বের হলে টাইগার মনে করে নিজে কে। মেয়েদের উত্যক্ত করা টাকে নিছক বিনোদন মনে করে। তাই অন্নের ছেলের দোষ ত্রুটি নিয়ে আমরা ভাবব, কিন্তু তার আগে আমাদের পরিচিত ছোট ভাই, ভাতিজা, ভাগ্নেদের সাথে আমদের সুন্দর বন্ধুত্তের সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। একটা মেয়ে যে মানুষ, কোন এক তরফা বিনোদনের বস্তু নয়, তাদের সুখ দুঃখ, অনুভুতি আছে- তা মনুসসত্তের ভিত্তিতে বোঝাতে হবে। এই দায়িত্ব শুধু পরিবারের না। আমাদের ও।
আমি নিজে হয়ত মেয়েদের কথা নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলে মজা করেছি, তা অবশ্যই কোন মেয়ের সামনে নয়। এটা কি অপরাধ কিনা জানি না। মেয়েরা ও মনে হয় নিজেদের মাঝে ছেলেদের নিয়ে মজা করে। স্বভাবতই কৌতূহল বলেই মনে করি। আমি নিজে ও স্কুল কলেজ এ পড়ার সময় মারামারি করেছি, নেশা করেছি। কিন্তু কখনও কোন মেয়ে কে বিরক্ত করি নি। আমার পরিবার আমাকে সে শিক্ষা দেই নি। তবে অন্যান্য খারাপ কাজ ও শিক্ষা দেয় নি। কেন করেছি, তা অন্য কথা। যাই হোক, আমাদের নিজেদের এই ছোট ছোট দায়িত্ব গুলো সমাজে অনেক বড় পরিবর্তন নিয়ে আসবে একদিন ইনশা আল্লাহ।

২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ঠিক কথা বলেছেন। বিশেষ করে যাদেরকে আমরা শাসন করতে পারি, বা দুটো কথা বলার মত সম্পর্ক আছে, তাঁদের এই বিষয়ে সচেতন করা উচিত।

মেয়েদের প্রতি বিকৃত দৃষ্টিভঙ্গি অনেকেরই আছে। কেউ লুকিয়ে রাখে, কেউ সুযোগমত প্রকাশ করে। যতক্ষন পর্যন্ত এটা সমাজে নিকৃষ্ট একটা কাজ হিসেবে পরিগণিত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত দৃষ্টিভঙ্গি পালটাবে না। কাজটা কারো একার না, সবার।

১২| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

ফারজানা শিরিন বলেছেন: অবস্থা ভেদে আমাদের ভালোমানুষী । চমৎকার বুঝিয়েছেন ।

২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রশংসা সাদরে গৃহীত হল। স্বাগতম।

১৩| ২৯ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: একটা বিষয় নারীদের নির্যাতন অবমাননার বিরুদ্ধে সচেতন পুরুরষরা দাড়ালে তা পুরোপুরি ভাবে নির্মূল হয়ে যাবে...

২৯ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সহমত।

১৪| ২৯ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: খুটিনাটি নিছুই বাদ দেন নি । এ ব্যাপারটা ভাল লাগে । গল্পের সারমর্মটার
কারণে গল্প ভাল লাগল ।
হাসানরা সবসময় মিলনদের কাছে হেরে যায় ।
শেষ লাইনটার কারণে আপনাকে অনেকগুলো প্লাস ।
''পোকার কামড় খেতে খেতে হাসানের কেন যেন কাফকার গল্পের কথা মনে পড়ে যায়, যেখানে মূল চরিত্রটি মানুষ থেকে একদিন হঠাৎ বিশাল এক পোকা হয়ে যায় ''

আপনার তিনটা গল্প পড়লাম । আশাহত হতে হয়নি । আপনি খাটি গল্পকার ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল । এগিয়ে যান ভাই । :)

২৯ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পগুলো পড়ায় অনেক ধন্যবাদ, মাহমুদ।

শেষ লাইনটা নিয়ে একটু দ্বিধায় পড়েছিলাম। যারা কাফকা পড়েননি তাঁদের কাছে লাইনটা অসামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হতে পারে। আপনার কথায় স্বস্তি প্রাপ্ত হলাম।

আপনার গল্প পড়েছি। ম্যাজিকের মতই হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। আরও নিয়মিত লিখবেন প্লিজ। শুভেচ্ছা।

১৫| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:০৪

রোজেল০০৭ বলেছেন: গল্পের পরিণতি বোধ ও ধারাবাহিকতা ভালো ধরে রেখেছেন।

সামগ্রিক ভাবেই একটি চমৎকার লেখনির প্রকাশ।

+++



শুভকামনা।

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, কারণ, গল্প লেখায় উৎসাহ দেওয়াটা বাঞ্ছনীয়।

ভালো থাকুন।

১৬| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:১৫

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ফারজানা শিরিন বলেছেন: অবস্থা ভেদে আমাদের ভালোমানুষী । চমৎকার বুঝিয়েছেন ।

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো থাকুন।

১৭| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:২৩

মামুন রশিদ বলেছেন: ইভটিজারদের বিরুদ্ধে হাসানের এ্যাকশন দারুন মাত্রা এনে দিয়েছে গল্পে । কিন্তু এই হাসান মিলন চাচাদের মত বদমায়েশদের বিরুদ্ধে কিছু করতে গিয়েও পারেনা । এই অসহায়ত্ব, সীমাবদ্ধতা কিংবা আপোষকামীতা তাকে কাফকার এক বিশাল পোকায় পরিনত হতে বাধ্য করে ।

আমাদের সমাজের এক জঘন্য কদাকার অসুখ নিয়ে সুলিখিত একটা গল্প । হোটেলে রাত্রি যাপনকালীন বাথরুম আর ছারপোকার বর্ননা, ইভটিজারদের বিরুদ্ধে এ্যাকশনের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরন খুব ভালো হয়েছে ।

চমৎকার গল্পে প্লাস++

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমি গল্পে এটাই বলতে চেয়েছি, প্রিয় মামুন রশিদ। সমাজে সবসময় প্রতিবাদ করতে পারে, এমন মানুষের সংখ্যা সম্ভবতঃ খুব বেশি নয়, বরঞ্চ দুর্লভ।

আপনার মন্তব্য গঠনমূলক, সবসময় আনন্দ দেয়। গল্পটায় বিবরন বেশি দিতে গিয়েই আকার বেড়ে গেছে। গল্পের ধরণটা তাতে আশা করি ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৮| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রথমেই একটি কথা জানিয়ে রাখি, মন্তব্য করার ক্ষেত্রে আমার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। আমি ভালো লেখা পড়লে সাধারনত, বাহ! চমৎকার কথাটিই বলি। অনেক সময়, হয়ত সামান্য এই দুটি শব্দে ভালো লাগা প্রকাশ করা মুসকিল, তারপরও আমি চেষ্টা চালাই, নতুন কিছু শব্দ প্রয়োগ করতে। কিন্তু আফসোস, আমি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হই। এবং ঘুরে ফিরে, বাহ! চমৎকারই বলি। :)


আমাদের বর্তমান সমাজের একটি অংশের চিত্র। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামাজিক নিয়ম পরিবর্তন করা দরকার, বিশেষ করে নারী নির্যাতনকারীদের ক্ষেত্রে। ছোটকালে আমাদের নীতিবাক্য শিখানো হয়, পাপকে ঘৃনা কর, পাপীকে নয়। প্রেক্ষাপট যখন হয় নারী নির্যাতন তখন মনে ব্যাপারটা এমন যে, ধর্ষনকে ঘৃনা কর, ধর্ষককে নয়, তখন কিছু ভালো লাগে না।

আপনার গল্পে সচেতন মানুষের দায়িত্ববোধ, বিবেক এর পাশাপাশি মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা কিছু মানুষের তুলে ধরেছেন সুনিপুন ভাবে। ভালো লেগেছে। আর গল্পের বড় ছোট দিয়ে বিচার করা উচিত না। কারন ভালো লেখা বড় হলেও পড়া আনন্দের। :)

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা।

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এই সীমাবদ্ধতা প্রায় সবারই, অন্ততঃ আমার ক্ষেত্রে এটা ধ্রুব সত্য। ব্লগে অনেক লেখায় প্রয়োগ করার জন্য প্রয়োজনীয় শব্দ প্রায়ই খুঁজে পাইনা।

সমাজ তো গড়ে ওঠে সবাইকে নিয়েই, সেই সমাজের ক্ষুদ্রতম এককের হাত পা বাঁধা গল্প এটা। কিন্তু আমরা সবাই সচেতন হলে তবেই হাতপা বাধনমুক্ত হবে, তার আগে নয়।

গল্প পড়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে। ভালো থাকুন আপনিও।

১৯| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রথমেই একটি কথা জানিয়ে রাখি, মন্তব্য করার ক্ষেত্রে আমার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। আমি ভালো লেখা পড়লে সাধারনত, বাহ! চমৎকার কথাটিই বলি। অনেক সময়, হয়ত সামান্য এই দুটি শব্দে ভালো লাগা প্রকাশ করা মুসকিল, তারপরও আমি চেষ্টা চালাই, নতুন কিছু শব্দ প্রয়োগ করতে। কিন্তু আফসোস, আমি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হই। এবং ঘুরে ফিরে, বাহ! চমৎকারই বলি। :)


আমাদের বর্তমান সমাজের একটি অংশের চিত্র। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামাজিক নিয়ম পরিবর্তন করা দরকার, বিশেষ করে নারী নির্যাতনকারীদের ক্ষেত্রে। ছোটকালে আমাদের নীতিবাক্য শিখানো হয়, পাপকে ঘৃনা কর, পাপীকে নয়। প্রেক্ষাপট যখন হয় নারী নির্যাতন তখন মনে ব্যাপারটা এমন যে, ধর্ষনকে ঘৃনা কর, ধর্ষককে নয়, তখন কিছু ভালো লাগে না।

আপনার গল্পে সচেতন মানুষের দায়িত্ববোধ, বিবেক এর পাশাপাশি মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা কিছু মানুষের তুলে ধরেছেন সুনিপুন ভাবে। ভালো লেগেছে। আর গল্পের বড় ছোট দিয়ে বিচার করা উচিত না। কারন ভালো লেখা বড় হলেও পড়া আনন্দের। :)

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা।

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় ব্লগারের কমেন্ট মুছতে ইচ্ছা করছে না। দুবার এসেছে তাতে কি, থাক না!

২০| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:১১

জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: বেশ সমসাময়িক একটা গল্প। পাঠে মুগ্ধতা রইল শংকু ভাই। আপনার কথা ব্লগে অনেক শুনেছি। আজ সামনাসামনি দেখে গেলাম। ভালো থাকবেন। আমার ব্লগ বাড়িতে যাবার নিমন্ত্রণ রইল।

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার নিকের নাম অস্বস্তিকর, সম্বোধন করতে গেলে সমস্যায় ফেলে দেয়! আমার কথা ব্লগে শুনেছেন! তুমুল আশ্চর্যান্বিত হলাম।

আপনার বিশ্বমানব হবার ইচ্ছা পূর্ণ হোক। শুভেচ্ছা।

২১| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: প্রফেমর সাহেব দেরীর জন্যে দুঃখিত।
বেশ ভালো লেগেছে লিখাটি। :) ++++++++

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কি যে বলেন! গল্প যে আপনার ভালো লেগেছে তাতেই আমি কৃতার্থ, আপনার দুঃখিত হবার কোন কারণই নেই।

২২| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

কালীদাস বলেছেন: ইভটিজিং, ছেচড়া মাস্তানি, বেয়াদবি.... নতুন জেনারেশনের মাঝে এই জিনিষগুলা অনেক বেড়ে গেছে। ভাল ফোকাস করেছেন, কিন্তু এই জিনিষ গোড়া থেকে উৎপাটন করতে না পারলে সামনে আমাদের খুব খারাপ সময় আসছে।

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সহমত। নতুন প্রজন্মের মাঝে এগুলা আছে মানে বিগত প্রজন্ম ব্যর্থ। ভালমত শিক্ষা দিতে পারে নি। আর বর্তমানের প্রজন্মের পচা আপেলেরা যখন পরবর্তী প্রজন্মের সূত্রপাত করবে তখন তারা কি হবে ভাবতে পারেন?

মাসুদ রানার একটা বইয়ের মত - 'পালাবে কোথায়?'

২৩| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

সোহাগ সকাল বলেছেন: সত্যিই, খুব ভালো লাগলো। মোবাইলে না থাকলে বড় একটা মন্তব্য করা যেত।

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:০১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ইস, তাহলে একটা বড় মন্তব্য মিস করলাম?

২৪| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:১৬

ইনকগনিটো বলেছেন: শেষটা খুব সুন্দর। শেষ লাইনটা। খুব।

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ইনকগনিটো, শুভেচ্ছা নিন।

২৫| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:২৪

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভালো লাগলো...পোস্ট এবং মন্তব্যগুলো।

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দুঃখজনক হলেও সত্যি, সামুতে মন্তব্যে রেটিং দেবার সুযোগ নেই।

ব্লগে স্বাগতম।

২৬| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

আমিভূত বলেছেন: গতকাল কাভা ভাইয়ের পোস্টের মাধ্যমে আপনার মত গুণী লেখকের সন্ধান পেলাম এরপর থেকেই পড়ছি আপনার লেখা :)

সবগুলোই পড়েছি অথচ মন্তব্য দিচ্ছি এখানে ,যদিও কার্পণ্য হয়ে গেলো :P

আপনার নিক আমার ছোটবেলার সেরা প্রিয় চরিত্র, অনুসরনে নিলাম ,ভালো থাকবেন প্রোফেসর শঙ্কু ।

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লজ্জা দেবেন না, আর কাল্পনিক ভালোবাসা-কে আরেকবার ধন্যবাদ দিতে হবে।

ভালো লাগা জানিয়ে মন্তব্য করাতেই আমি খুশিতে আটখানা, সবগুলো লেখায় মন্তব্য না করলেও ক্ষতি নেই।

ছোটবেলায় আমিও আমার প্রিয় চরিত্র ছিলাম:), ভালো থাকুন আপনি।

২৭| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৫১

লেজকাটা বান্দর বলেছেন: শেষ পর্যন্ত প্রয়োজনের কাছে আমাদের সবারই হাত পা বাঁধা!

ভাল লাগলো ভীষণ!

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সত্যি কথা।

ধন্যবাদ।

২৮| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: ভাল্লাগছে প্রফেসর সাব
পেলাচ লন B-)

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:০১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নিলাম। ধন্যবাদ, স্বপ্নবাজ।

২৯| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:১১

বাংলার হাসান বলেছেন: চমৎকার ও খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন সমোজের বাস্তব চিত্র।

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চেষ্টা করেছি বলতে পারেন।

৩০| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:২৪

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: ভালো লিখেছেন, ঘুনে ধরা সমাজের গল্প ।

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১:০৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থ্যাংকিউ। ভালো কাটুক সময়।

৩১| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৪০

খেয়া ঘাট বলেছেন: অতি সুক্ষ্ন জিনিসগুলোও খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। মনে হলো ঘটনাগুলো যেন নিজের চোখের সামনেই ঘটছে। এটাকে চমৎকার এক হৃদয়গ্রাহী বর্ণনা বলা যায়।

তবে পাঠকের চিন্তার সাথে লেখকের চিন্তার গভীরতায় যদি একটি অদৃশ্য মোচড় না থাকে তবে পাঠক আর লেখকের ব্যবধান কোথায়?

আর একটি অতি চমৎকার সৃজনশীল সৃষ্টি যা পাঠকের মনে দাগ কাটে এরকম শুধু ঘটনার বর্ণনাই যদি স্বার্থক ছোটগল্প হয়, তবে ইহা নিঃসন্দেহে তাই।
আমি আপনার বিশদ বর্ণনার জন্য + দিলাম।

৩০ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চেষ্টা করেছিলাম স্রেফ একটা গল্প বলতে। এমন ভাবে বলতে যাতে শ্রোতাদের অনুধাবন করতে সহজ হয়, চোখের সামনে দৃশ্যকল্পটা পরিষ্কার ফুটে ওঠে। সেজন্যেই সে অদৃশ্য মোচড়টা সম্ভবতঃ অনুপস্থিত।

আপনার মন্তব্য ভালো লাগল। প্রাণভরে বাঁচুন।

৩২| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ২:১২

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: এটাই বাস্তবতা!

আপনি খুব সহজেই, অনেক সুন্দর ভাবে বর্ণনা করতে পারেন। এইটা বেশি ভালো লাগে :)

৩০ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ:)

৩৩| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:৪৬

নস্টালজিক বলেছেন: পোকারা আছে, আমরাও আছি!



শেষটা সুন্দর! ইন ফ্যাক্ট পুরোটাই!


শঙ্কুর লেখায় মুগ্ধতা বাড়ছে!

শুভেচ্ছা নিরন্তর!

৩০ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো থাকুন নস্টালজিক।

অ.ট. আপনার নিক দেখে মনে পড়ে গেল। স্কুলে নাইন-টেনে থাকতে আমরা বন্ধুরা ফাজলামো করে একটা বিতর্কের দল করেছিলাম, নাম 'নষ্টা লজিক'!

৩৪| ৩০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

মাগুর বলেছেন: সব মিলিয়ে গল্পটি বেশ ভালোই লেগেছে। মোটামোটি আগ্রহ নিয়েই পড়লাম। তবে শেষের দিকে হাসানের হেরে যাওয়াটা ঠিক মানতে পারলাম না। ইভটিজারদের বিরুদ্ধে কঠোর অগ্নিমূর্তি হাসান আরেকজন নোংরা মস্তিষ্কের মানুষের কাছে শুধু একটা চাকরীর জন্য হেরে যাবে এটা ঠিক মেনে নেওয়ার মতো নয়। প্রথম অংশে হাসানের মধ্যে যে প্রতিবাদী রূপ দেখিয়েছেন সেটা ২য় অংশের সাথে মেলে না।

গল্প আর বাস্তবতার মাঝে হযতো এখানেই ফারাক। :(
সুন্দর প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা গল্পটির নায়ক চরিত্র হাসানকে ভালো লেগেছে। তাই হয়তো হাসানের পরাজয়টা খারাপ লাগছে।
শুভ কামনা আপনার প্রতি সম্মানিত লেখক। আশা করি এধরনের লেখা সামুকে আবার মূল ধারায় ফিরিয়ে আনবে। শুরু হবে আবার সুস্থ্য ব্লগিং চর্চা।

ভালো থাকবেন। পরবর্তী গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম।

৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হ্যাঁ, আপনার কথা সঠিক, গল্প আর বাস্তবতায় মিশ খায় না।

দেখুন, হাসান যাদের পেটাল, তখন হাসানের কোন পিছুটান ছিল না। কিন্তু দ্বিতীয় ক্ষেত্রে? প্রাইভেট পড়িয়ে কতদিন আর পরিবার চালাবে? উল্টো দিকে চুপ করে গেলে পরিবারের মাঝে স্বাচ্ছন্দ্য আনতে পারবে।
পরিবারের টানেই হাসান নিশ্চুপ।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, মাগুর। ভালো থাকা হোক। সুস্থ ব্লগিং করা হোক।

৩৫| ৩০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩

মেহেরুন বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো। +++++++++

৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, মেহেরুন। আমার ব্লগে স্বাগতম।

৩৬| ৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

এরিস বলেছেন: খাটাসের সাথে একমত। ছেলে দুটার বয়স ১৮-১৯ হবে। পাছার কাছে জিন্স ঢুলঢুল করছে। একজনের চাঁদির মাঝখানে কিছু চুল কালার করা। মুখে বেপরোয়া ভাব। ভোঁসভোঁস করে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ছে। বখে যাওয়া পোলাপান, বোঝাই যাচ্ছে। যাদের দেখে বুঝা যায় এরা বখে যাওয়া, যাদের কাছে কোন দায় পড়ে নেই, তাদেরকে পেটাতে পিছপা হতে হয়না। হাতের কাছে যা পেয়েছে তাই দিয়ে মেরেছে। ওদিকে মিলনের অভদ্রতার সামনে প্রতিবাদের ঘুষি উঠিয়েও নামিয়ে নিতে হয়েছে পরিবারের কথা ভেবে। ওদের কে পেটাবে? যেখানে দুবেলা ভাতের জোগাড় সাধ্যের অতীত হয়ে দাঁড়ায়, সেখানে সম্ভাবনার জায়গাগুলো নিজের হাতে নষ্ট করার সাহস কয়জন হাসানের আছে???

৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সহমত। পেটের কাছে হৃদয় হার মেনে যায় খুব সহজেই।

৩৭| ৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: আমরা আপোস করে যাই !
আমরা আপোস করে যাই !

দুই একটা জায়গা নাটকীয় লেগেছে -নিজস্ব ভাবনা ! ঐটুকু বাদ দিয়েই সুন্দর এবং স্লীম গল্প ! পড়তে ভালো লেগেছে।

৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মনকে পোষ মানিয়ে আপোষ করাটা কতটা হতাশাজনক হতে পারে, তা মধ্যবিত্তদের চেয়ে আর কে ভালো জানে?

আপনার বড় কমেন্টটা মিস করেছি, একটু হতাশ।

ব্যস্ততা কমেছে আশা করি? এখন ব্লগে নিয়মিত লেখা শুরু করুন। ওইরকম মনোলোগ ঘন ঘন লিখুন। শুভকামনা।

৩৮| ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:২৮

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: হাসানের মাঝে নিজেকেই দেখলাম যেন! রাস্তায় মেয়েদের উত্যক্ত করা বখাটে গুলোকে শায়েস্তা করার ইচ্ছে আমারও হয়, কিন্তু সাহসের অভাবে পেরে উঠিনা। এছাড়া একটু সাহায্যের জন্য শত অপমান সহ্য করার বেশ ভাল অভিজ্ঞতাই আছে আমার।

আপনার লেখনী শক্তি অসাধারন, শঙ্কু। চালিয়ে যান।

৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার কমেন্ট বরাবরই প্রেরণা যোগায়। ধন্যবাদ।

পরবর্তী গল্পের নীলনকশা আঁকছেন নিশ্চয়ই?

৩৯| ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: মানুষ পোকা হয়, পোকা মানুষ না। ভালো লাগলো গল্প।

৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।

৪০| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:১২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হাসান চরিত্রটা শুরু থেকে এমন একটা আশা দিয়ে গেছে যে মনে হয়েছে নয় হাজার টাকার চাকরির জন্য সে এভাবে হার মেনে নেবে না। কিন্তু নিলই শেষ পর্যন্ত।

ভাল লাগল গল্প।

৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:২২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দোষটা সমাজের।

ধন্যবাদ।

৪১| ৩১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: গল্পের বর্ণনাটা খুব জীবন্ত ছিল। মনের চোখে দেখে গেলাম পটভূমির পরিবর্তন। আর এটাই বাস্তবতা। মেনে না নিয়ে উপায় কি ??

নৈতিক অবক্ষয়ের আরেকটা রুপ হচ্ছে ইভটিজিং। সমাজের সকল স্তরে সচেতনতা ও উদ্যোগ একত্রে না এলে এ থেকে মুক্তি নেই।

৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:০২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বাস্তব জীবন নিয়ে সাহিত্য করাটা মানুষের সবচে বড় স্যাটায়ার। বাস্তব জীবন অসম্ভব ক্রূর।

নৈতিক অবক্ষয় ঠেকানো যাবে, যদি অভিভাবকরা সচেতন হন। আমার কি এসে যায়- এমন ভাবনা নিয়ে আর যাই হোক ইভটিজিং থামান যাবে না।

সুস্থ থাকুন।

৪২| ০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৮

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: লেখা ভালো লেগেছে। +++++++++

০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো থাকুন:)

৪৩| ০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

শুধু প্লাস হবে নীরবে +++++++++++++

০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১:৫৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সুস্থ থাকুন, প্রিয় ব্লগার।

৪৪| ০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ১:২৭

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: গল্পটা পুরো পড়লাম। কোথাও কোথাও মনে হয়েছে লেখকের ব্যক্তিগত ক্রোধ, হতাশা লেখার নায়ককে প্রভাবিত করছে অর্থাৎ প্রকাশে একটু বাড়াবাড়ি আছে।

শেষে নায়কের হেরে যাওয়াটা আরেকটু তীব্রভাবে অর্থাৎ মনস্তাত্বিক অর্ন্তদ্বন্দ্বের মাধ্যমে প্রকাশ করলে আরো ভাল হত মনে হয়।

যা হোক আপনার গল্প ভাল লাগল।

ভাল থাকা হোক, লেখা হোক নিয়মিত সাথে প্রচুর পঠন

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পিঠ চাপড়ানোর চেয়ে সমালোচনা অধিক কাম্য।

গল্পে চেষ্টা ছিল একজন আবেগি যুবকের মানসিক হার দেখানো। সে টুকু ফুটিয়ে তুলতে যথেষ্ট নৈপুণ্য প্রয়োজন। আশা করি নিয়মিত লিখতে লিখতে একটা সময় পরিপূর্ণভাবে সেই নৈপুণ্য অর্জন করতে পারব।

আপনার মন্তব্য ভালো লাগল।

৪৫| ০৩ রা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

মোঃ কবির হোসেন বলেছেন: ভাই আপনার গল্পটি আমার কাছে ভাল লেগেছে। লেখার অথবা প্রকাশ ভংগী অসাধারন মনে হয়েছে এক কথায় বলবো পাঠককে আকৃষ্ট করার যাদু বিদ্যমান আপনার লেখার মাঝে। অনেক ধন্যবাদ।

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন।

৪৬| ০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ৯:১০

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: খুব চমৎকারকরে বললেন......++++++++++++
এটা বুঝি ছোট গল্প??!!!

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমার মতে:):):)

৪৭| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৪

অবচেতনমন বলেছেন: অসাধারন লেখা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ লাগল ভাল লাগা রইল সাথে নিমন্ত্রন ভালো থাকবেন প্রতিক্ষন।

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্য অবচেতনে মন ছুঁয়ে গেল।

৪৮| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ৩:০৩

ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: অনুসরণ করে গেলাম

++++

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থ্যাংকিউ

৪৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১৫

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: লেখনী অসাধারন। ছোট খাট বিষয়গুলো যে বর্ননা দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন, তা মনে হচ্ছিল চোখের সামনে দেখছি।

হাসানের সাথে একাকার হয়ে গিয়েছিলাম।

+++++++++++++

ভাই, রাগ করবেন না, একটু সমালোচনা করি। রূপকার্থে হলেও মিলন চাচার এভাবে আবির্ভাব হওয়াটা একটা শক্তিশালী গল্পকে দূর্বল করে দিয়েছে।

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ। রাগ করার প্রশ্নই ওঠে না।

আমরা কোন না কোন সময়ের আগে সবাই শক্তিশালি থাকি, একটা মুহূর্ত আমাদের দুর্বল করে দেয়। ওই একটা মুহূর্তই এই গল্পের উপজীব্য।

এভাবে সবসময় সমালোচনা করেই সাথে থাকবেন আশা করি।

৫০| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১৫

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: আপনি অনুসরনে।

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

একলা চলো রে বলেছেন: আপনার গল্পগুলো একটা সাসপেন্স নিয়ে শুরু হয়, সাসপেন্স নিয়েই শেষ হয়,অনেক কিছু ঘটতে গিয়ে যেন কিছুই ঘটে না
ক্রাইম-মিস্টেরি নিয়ে লিখলে অসাধারণ লিখতে পারবেন, এমনিতেও অসাধারণ লিখেন অবশ্য

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কথাটা মাথায় রইল। গল্পটা পড়ায় অনেক ধন্যবাদ।

৫২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫

সাদাত হোসাইন বলেছেন: দারুণ গল্প। ভালো লাগা...

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ....

৫৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৪

নাছির84 বলেছেন: শুধু একট কথাই বলবো...খুব ভাল লেগেছে। প্রত্যাশার ক্ষিদেটাও সেই সঙ্গে চাগান দিয়ে উঠলো। এই ব্যাপারটা একটু খেয়াল রাখবেন। ভাল থাকবেন।

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১০:২১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: খেয়ালে থাকবে। ভালো থাকুন সবসময়।

৫৪| ০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

অদৃশ্য বলেছেন:





প্রোফেসর

লিখাটি শেষ করলাম... শেষমেষ ভালো লেগেছে আমার... ছোট গল্পের সবচে গুরুত্বপূর্ন বিষয়টা হলো ফিনিশিং... যেটা একটি ছোট গল্পকে পূর্ণতা দান করে...

আপনার পুরো গল্পের ভেতরে যাই অতিরিক্ত পেলাম... শেষটাতে এসে তার সুন্দর সমাপ্তি পেলাম...

শুভকামনা...

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, অদৃশ্য। একেবারে মাথার চুল থেকে পায়ের নখ অবধি ভালো থাকুন।

৫৫| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৮

শাহেদ খান বলেছেন: দারূণ !

প্রথম অংশে মারামারি'র দৃশ্যে ইনটেন্সিটি'টা টের পাচ্ছিলাম খুব। চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

দ্বিতীয় অংশে অনেকটা প্রচলিত কঠিন বাস্তব লিখলেও একদম শেষ লাইনে এসে একটা ক্লাসিক-টাইপ সমাপ্তি করলেন ! আমার অনেক ভাল লাগল !

শুভকামনা।

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কাফকা পাঠের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এটা, এই শেষে একটু অন্যরকম রাখা!
গল্প পড়ায় আপনাকে বহু কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকুন।

৫৬| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: সুন্দর গপ - পড়ে ভালা লাগছে

০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:১২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য, আমারও পড়ে শান্তি লাগছে।

৫৭| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: শেষমেষ সবাই পোকাই হয়!!

১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সবাই-ই।

৫৮| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৮

রমাকান্তকামার১১০১১৪৫ বলেছেন: +++++

১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কফির কাপটা সুন্দর।

৫৯| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩০

রমাকান্তকামার১১০১১৪৫ বলেছেন: থ্যাঙ্কু, প্রফেসর :)

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আনন্দটা আমার।

৬০| ১৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

তাসজিদ বলেছেন: এভাবেই সিংহ রা ইদুরে পরিনত হয়। এবং গর্তে ধুকে পরে। কারণ তার হাত পা বাধা। সে চাইলেও গর্জন করতে পারেনা। বিড়ালের মত মিও মিও করতে হয়।

১৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সেই কষ্টের চেয়ে বড় কষ্ট কি আছে?

৬১| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪০

তাসজিদ বলেছেন: আসলে জীবন বড় বেশি বদমায়েশ চিজ

১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: জি, ইহা সত্য।

৬২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

নির্ভীক আহসান বলেছেন: আপনের গল্প তো মাইরা দিসে View this link

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বাঃ বাঃ, আমার গল্পও মেরে দেওয়া হয়! চমৎকার!

জিনিসটা জানিয়ে দেবার জন্য আ্পনাকে অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। অমিথ হাসানের চৌর্যবৃত্তি দেখে ব্লগার কাল্পনিক ভালবাসা এবং অরণ্য লোচন নামক একজন প্রতিবাদ করেছেন, তাদেরও ধন্যবাদ।

আমার পক্ষ থেকে চোরকে কিছু বলার নেই, তাকে করুণা করার চেষ্টা করছি। তবে হাসি পাচ্ছে এই ভেবে, আমার মত একজন দুর্বল লেখকের লেখা মারতে গিয়ে লোকটা ধরা পড়ল, কি হাস্যকর!

ঈশ্বর উনাকে ভবিষ্যতে উচ্চমানের লেখা চুরি করার সুযোগ প্রদান করুন, এই কামনা রইল:):)

৬৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
দারুন।
আপনি এতো দূর্দান্ত লিখেন, ভালো লাগতেছে যাই পড়ছি।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আগের গল্পগুলো পড়ছেন দেখে খুব খুশি হলাম।

৬৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অসাধারন লেখা, যদিও থীমটা কমন কিন্তু সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন।

শুরু ও শেষ যথারীতি প্রফেসরিয় স্টাইল। গ্রেট জব।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় শান্তির দেবদূত,

পুরনো লেখাগুলো পড়ে বারবার কৃতজ্ঞতা আদায় করে নিচ্ছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন।

শুভেচ্ছা রইল।

৬৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭

সুমন কর বলেছেন: বিস্তর বর্ণনা, যা কাহিনীর জন্য তেমন প্রয়োজন ছিল না। আপানার কাছ থেকে আরো সুন্দর লেখা প্রত্যাশা করি। তবে বলার ধরণটা ভালো।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আরো ভালো লেখার চেষ্টা থাকবে অবশ্যই। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৬৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

তওসীফ সাদাত বলেছেন: আগের পড়া। মন্তব্য করতে ফিরে আসা আবার :-P ভাল লেগেছে গল্পটা।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা! ধন্যবাদ তওসীফ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.