নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বর্গ-পৃথ্বী অন্তঃস্থলে, বহুকিছু ফিরে-চলে, যাহা বিস্ময়কর

প্রোফেসর শঙ্কু

বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়

প্রোফেসর শঙ্কু › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ আত্মহত্যা করা মহাপাপ

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪

বহুতল ভবনের ছাদে দাঁড়িয়ে টিপু দীর্ঘ একটা শ্বাস নিল। আজকে টিপুর বায়োপসি রিপোর্ট এসেছে। ডাক্তার যা সন্দেহ করেছিলেন তাই। তার প্রোস্টেটে ক্যান্সারের কোষ পাওয়া গেছে।



ঘটনার শুরু প্রায় ছয় মাস আগে। রাতে বার বার উঠে প্রস্রাব করতে হত, প্রস্রাবের সময় তলপেটে ব্যথাও করত। টিপু প্রথমে গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু যখন প্রস্রাবের সাথে রক্ত পড়া শুরু করল, তখন সে চিন্তায় পড়ে গেল। তবুও তখন ডাক্তার দেখায়নি, আরও কিছুদিন পর গেছে। ডাক্তার হাইপারপ্লেসিয়া না কি এক রোগের ওষুধ দিল, টিপুও নিশ্চিত হয়ে বাড়িতে ফিরে এল।



দুই সপ্তাহ, তিন সপ্তাহ গেল, রক্ত পড়া বন্ধ হল ঠিকই, কিন্তু ব্যথা কমল না। বরঞ্চ পায়ের শক্তি কমে যেতে লাগল। টিপু সামান্য কাজেই দ্রুত হাঁপিয়ে উঠতে লাগল। বাসার মানুষকে তখনো সে জানায়নি। নিরুপায় হয়ে এক বন্ধুর ডাক্তার বাপের কাছে গেল। তিনি মনোযোগ দিয়ে সব কথা শুনলেন, পুরো একটা দিন ধরে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলেন। সবশেষে গম্ভীর মুখে বললেন, 'ছেলে, তোমার ফ্যামিলিতে কারো ক্যান্সার ছিল?' টিপু কেঁপে উঠল। ক্যান্সার? তার ক্যান্সার হবে কেন?



-'না, সার'।

-'তাহলে প্রোস্টেটে একটা বায়োপসি করাবে, ঠিক আছে? এই সপ্তাহের মধ্যে। রেজাল্ট পেয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করবে।'



তার কথার মাঝে প্রচ্ছন্ন একটা ইঙ্গিত ছিল। টিপু তাঁকে কিছু বলেনি। বন্ধুকে ধরেছিল। অনেক চাপাচাপির পর বন্ধুটা মুখ খুলেছিল, বলেছিল ওর বাপের ধারণা টিপুর সম্ভবতঃ প্রোস্টেট ক্যান্সার হয়েছে। বায়োপসি করালে নিশ্চিত হওয়া যাবে। বায়োপসির দুই সপ্তাহ পর এই আজকে রেজাল্ট পেল টিপু। পজিটিভ।



এই দুই সপ্তাহ টিপু ঘর থেকে বেরোয়নি। শুধু ভেবেছে। তার পরিবার খুব একটা সচ্ছল নয়। টিপুর বাবা এখনো চাকরি করছেন, ওর বড়ভাই ব্যাংকে সদ্য একটা পদ পেয়েছে। টিপু বেঁচে না থাকলেও পরিবারটা দাঁড়াতে পারবে। কিন্তু যদি তার ক্যান্সার সত্যিই হয়ে থাকে, তবে তার পেছনে টাকা ঢালতে ঢালতে পরিবার সম্পূর্ণ নিঃস্ব হয়ে যাবে। ক্যান্সারের চিকিৎসা অনেক খরচসাধ্য। বহুবার নিজের সাথে বোঝাপড়া করে শেষমেশ টিপু ঠিক করেছিল, ক্যান্সার না হলে তো বেঁচেই গেল, কিন্তু ক্যান্সার হয়ে থাকলে এই দূষিত জীবন সে আর রাখবে না। মরে যাবে। মরণের সাথে যুদ্ধ করতে অস্ত্র লাগে, সেই অস্ত্র- মনোবল আছে ওর। কিন্তু অস্ত্রের ব্যবহার সে জানে না - টাকা কই? আর কটা দিন ধুঁকে ধুঁকে বাঁচার লোভে পরিবারকে নিঃস্ব করে যাবার মত অমানুষ টিপু নয়।



সে ছাদের রেলিংয়ের ওপরে দাঁড়াল। পা টলমল করছে, আর কি বাতাস, যেন ছোঁ মেরে ফেলে দেবে! টিপু সাবধানে সামলে দাঁড়াল, আত্মহত্যা করতে এসে অন্ততঃ বাতাসের ধাক্কায় সে মরতে চায় না। ভবনটা কত উঁচু হবে? পনের তলা? বিশ তলা? এত উঁচু থেকে নিচে গাড়িঘোড়া কেমন ছোট ছোট, অস্পষ্ট লাগছে। টিপু বুকভরে বাতাস নিল, শেষবারের মত দেখে নিল ওপরের নীল আকাশ, তারপর ভাবল, তাহলে নিচের দৃশ্য ভালমত দেখা যাক? হাঁটু ভাঁজ করে সে লাফিয়ে পড়ল শূন্য বাতাসে!



প্রবল বাতাসের ঝাপটা, নাকি ডেকে আনা নিশ্চিত মৃত্যুর ভয়ে, কে জানে - লাফ দেবার তিন-চার সেকেন্ড বাদেই টিপু অজ্ঞান হয়ে গেছিল। দমবন্ধ করা কেমন একটা টায়ার-পোড়া গন্ধে ওর জ্ঞান ফিরল। প্রথম কয়েক মিনিট চোখ খোলার চেষ্টা করল টিপু। কাজ হল না। তারপর হাতপা নড়াতে চাইল। কিন্তু ওগুলো যেন অন্য কারো অধীনে আছে এখন, টিপুর মস্তিস্কের নির্দেশ সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে পাথরের মত পড়ে রইল। হতাশ হয়ে বাজে একটা গালি দেবে এমন সময়ই বিদ্যুৎচমকের মত টিপুর মাথায় এল, আরে! ও বেঁচে আছে!



এটা কিভাবে সম্ভব?



টিপুর স্পষ্ট মনে আছে সে ঝাঁপিয়ে পড়ল বাতাসে, বাতাসের ঝাপটা তার চোখেমুখে প্রবল বেগে লাগছিল। তখনই তার কেমন যেন দুর্বল লাগতে থাকে, নিচে ক্রমশ বড় হতে থাকা শহরের খুঁটিনাটি চোখের সামনে থেকে মুছে যায়। তারপর আর কিছু মনে নেই ওর।



এমন অবস্থায় কেউ কি বেঁচে যেতে পারে? বিজ্ঞানের পড়ন্ত বস্তুর সূত্র মেনেই একটা পাথরের মত তার নিচের কঠিন মাটিতে আছড়ে পড়ার কথা, মাথাটা তরমুজের মত ফেটে গিয়ে তৎক্ষণাৎ ভবলীলা সাঙ্গ হবার কথা। কিন্তু সেটা যে হয়নি বোঝাই যাচ্ছে। শরীর আংশিক প্যারালাইজড হয়ে থাকলেও যেভাবেই হোক টিপু একশ ভাগ বেঁচে আছে, এবং একটা কিছুর ওপরে মাথা রেখে শুয়ে আছে। কিন্তু কোথায় আছে ও? মরিয়া হয়ে এবারে সিসার মত ভারি চোখের পাতা খোলার চেষ্টা করতে লাগল টিপু। একটা সময় চোখ খুলে তাকাতেও পারল।



অন্ধকার।



ধীরে ধীরে হাত পা নড়ানোর ক্ষমতা ফিরে আসছে ওর, কোনোমতে হাতড়ে হাতড়ে সোজা হয়ে বসল। এতক্ষণ পাথুরে কিন্তু সমতল কোন একটা কিছুর ওপরে শুয়ে ছিল সে। স্থির হয়ে বসার কিছুক্ষণ পর আস্তে আস্তে অন্ধকার চোখে সইয়ে এলো। এখন আবছা আবছা অনেকটাই দেখতে পাচ্ছে টিপু। চারপাশে ঠিক অন্ধকার নয়, তার বাম পাশে অজানা কোন উৎস চুইয়ে চুইয়ে এক প্রকার কমলা-বাদামি আলো উদগিরণ করছে। সেই আলোতে উঁচুনিচু মেঝে, ওপরে ছাদ এবং চারপাশে দেওয়াল দেখা যাচ্ছে। সবই পাথুরে। জায়গাটা সম্ভবতঃ কোন গুহা।



তিব্বতি কোন সাধু মৃতপ্রায় ওকে হিমালয়ের দুর্গম, পবিত্র কোন গুহায় এনে চিকিৎসা করছে?



বিষয়টা ভাবতেই এর মধ্যেও টিপুর হাসি পেল, সাথে সাথে মাথায় চিনচিন ব্যথা করতে লাগল। সে দুহাতে মাথা ধরে টলতে টলতে কোনমতে আলোর উৎসের দিকে হাঁটতে লাগল। আলোর আকার বড় হতে লাগল, কিছুক্ষণ পরেই টিপু গুহার মুখের কাছে পৌঁছে গেল।



কি বিশ্রী রবার-পোড়া গন্ধ! আর কি চোখ ধাঁধানো রোদ! হাত দিয়ে ও চোখ ঢেকে ফেলতে বাধ্য হল। গন্ধে গা গুলিয়ে আসছে। বমি হয়ে যাবে বোধহয়! ভাবতে না ভাবতেই টিপু ওয়াক ওয়াক করে একগাদা পিত্তরস মিশে হলুদ হয়ে যাওয়া বস্তু পাথরের ওপর বমি করে ফেলল। তাকিয়ে বুঝতে পারল সকালে খাওয়া ডাল-ভাতের অবশিষ্টাংশ ওগুলো। ইস কি বাজে গন্ধ!



টিপু মুখ মুছে সোজা হয়ে দাঁড়াল, এবং সামনে তাকিয়ে আরেকবার ধাক্কা খেল। এই জায়গাটা...কোথায়??



যতদূর চোখ যায় শুধু পাথুরে সমতল জায়গা। এখানে ওখানে ইতস্ততঃ ছড়িয়ে আছে নানা আকারের বিশাল বিশাল সব পাথর, প্রত্যেকটা টিপুর পেছনে গুহার ছাদ থেকে বহুগুণ বড়। দিগন্ত সীমার কাছে, অনেক দূরে, বাদামি-কালচে রঙের একটা কিছু শুয়ে আছে। চারপাশে কোন প্রাণের চিহ্ন নেই। কিছু নড়ছে না, সরছে না, স্রেফ টিপুর চোখের সামনে সবকিছু দাঁড়িয়ে আছে, থেমে আছে।



রোদটা আসছে কোত্থেকে? টিপু সাহস করে উপরের দিকে তাকাল। আকাশে যা দেখবে আশা করেছিল তার কিছুই দেখতে পেল না। আকাশের রং ওর পায়ের নিচে পাথুরে জমির মতই, কমলা-বাদামি। আকাশে কোন সূর্য নেই, কিচ্ছু নেই, সমস্ত আকাশ থেকে একজোটে রোদ এসে জমির ওপর হামলে পড়ছে। জায়গাটা পৃথিবী নয়, টিপু নিশ্চিত হল।



এতক্ষণ আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকায় টিপুর চোখ জ্বালা করতে লাগল। পোড়া গন্ধটা আরও জোরদার হয়েছে, ওর পেট শক্ত হয়ে গেল। তারপর আবার হড়হড়িয়ে বমি হয়ে গেল। তারপর আবার। তারপর আবার। টিপু বুঝতে পারল বাইরের পরিবেশে থাকলে ও বমি করতে করতেই মারা যাবে। পা ছ্যাঁচড়াতে ছ্যাঁচড়াতে কোনোমতে নিজেকে গুহার ভেতরে টেনে নিয়ে এল, তারপর তেতো মুখেই ঘুমিয়ে পড়ল।



কতক্ষণ পরে ওর ঘুম ভেঙেছে টিপু বলতে পারবে না। ফুলে যাওয়া ঠোঁট আর অবশ বাম হাত নিয়ে যখন ও জাগল, মাথায় একটাই চিন্তা, খাবার! এত ক্ষিধে কোনোদিন লাগেনি ওর। ঘষটে, দৌড়ে, হামাগুড়ি দিয়ে গুহার বাইরে বেরিয়েছে, ভীষণ গন্ধ আর রোদ উপেক্ষা করে খাবার খোঁজা শুরু করেছে। আশ্চর্য হলেও, ওকে বেশিক্ষণ খুঁজতে হয়নি। গুহা থেকে একটু দূরে দুটো পাথরের গায়ে হলুদ রঙের এক ধরণের খসখসে উদ্ভিদ-জাতীয় একটা কিছু পেয়েছে ও। আরেকটু খুঁজতেই পাথরের আড়ালে গরম রংহীন তরলের একটা উষ্ণ প্রস্রবণও পাওয়া গেছে। বিষাক্ত কিনা তা পরীক্ষা করার মন মানসিকতা টিপুর ছিল না। আর সেখানেই হয়েছে বড় ভুল।



দুহাতের আঁজলা ভরে খেয়েছে ও, শুকনো ঠোঁট আর ফুলে ওঠা জিহ্বা সাথে সাথে তরল পদার্থটা শুষে নিয়েছে। তরলটা গলায় পৌঁছুতে না পৌঁছুতেই ওটার তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধে ওর মুখ ভরে গেছে, পুরো মুখটা জ্বালা করে উঠেছে। থুঃ থুঃ করে তরলটা ফেলে দিয়ে গলায় আঙ্গুল ঢুকিয়ে বমি করেছে টিপু। বমি করার সময় পুরো শরীরে অনিয়ন্ত্রিত একটা ঝাঁকি শুরু হল, দুর্বল শরীরে ওই ঝাঁকি সহ্য করতে না পেরে বমি করতে করতেই একটা সময় টিপু অজ্ঞান হয়ে পাথুরে জমিতে পড়ে গেল।



প্রথমদিকে এভাবে কতবার যে বমি করেছে আর কতবার যে অজ্ঞান হয়ে গেছে, সে তা বলতে পারবে না। শুধু জানে, প্রত্যেক বার ঘুম ভাঙার পর ওর প্রচণ্ড খিদে পায়, তখন ওই বিষাক্ত ফুটন্তপ্রায় তরল আর খসখসে উদ্ভিদ খুঁজে খুঁজে তাঁকে খেতে হয়। এখন নির্দিষ্ট একটা পরিমাণে খেলে জিনিসটা টিপু কোনোক্রমে পেটে রাখতে পারে। বেশি খেলে আবার বমি হয়ে যায়। এই দুটো ছাড়া আশেপাশে কোন খাওয়ার মত কিছু নেই, টিপু খুঁজে দেখেছে। খাওয়ার পর কিছুক্ষণ মাথা পরিষ্কার থাকে, তারপর খুব ঘুম পায়। বাইরে থাকতে পারে না ও, সেই রবার-পোড়া গন্ধের মাঝে বেশিক্ষণ থাকলেও বমি হয়ে যায়। গুহায় গন্ধটা কম, সেই প্রথম যে সমতল জায়গায় ঘুম ভেঙেছিল ওর, সেখানেই ঘুমায়।



যে সময়টায় মাথা পরিষ্কার থাকে, তখন টিপু ভাবার চেষ্টা করে। নিজের মনুষ্যত্ব বজায় রাখার চেষ্টা আর কি! কিভাবে এজায়গায় এল, বা আগের জীবনটা আসলে কি ছিল, তা সে ভাবার চেষ্টা করে না। এখন বিশ্বাসই হয় না টিপুর আগে কোন জীবন ছিল। পৃথিবী বলে একটা গ্রহ আদৌ কি ছিল? ঢাকায় ওর বন্ধুরা, আম্মার মুখ বা আব্বার ক্লান্ত মুখভঙ্গি - সবই স্বপ্ন, অনেক দূর অতীতের ঝাপসা স্মৃতি বলে মনে হয়।

সময় মনে হয় থমকে গেছে। ঘুম থেকে ওঠার পর পাঁচ মিনিট কাটল, নাকি কয়েক শতাব্দী কেটে গেছে? ও কি আদৌ নড়েছে এখান থেকে, নাকি চিরকাল এখানেই ছিল? টিপু কদিন ধরে এখানে আছে? ভাবতেই ওর মুখে তিক্ত হাসি ফুটে উঠল। এখানে দিন রাত নেই। গুহার ভেতরে টিপুর রাত, বাইরে দিন। হিসাব রাখা অসম্ভব, কিসের হিসাব রাখবে? আর কেনইবা রাখবে? টিপু নিজের বুকের বামপাশে হাত রাখল। ও এতটাই দুর্বল হয়ে গেছে যে হৃদ-স্পন্দন বোঝাই যায় না। নিজেকে কেমন মৃত মৃত লাগে ওর।



এই জায়গাটা থেকে পালাবার অনেক চেষ্টা করেছে ও। একবার শার্ট ছিঁড়ে অনেকগুলো খসখসে উদ্ভিদ একসাথে জড়ো করে বেঁধে নিয়েছিল, অনেক কষ্টে তরল পান করেছিল যতটা সম্ভব। তারপর দিগন্তের কাছে সেই বাদামি-কালচে অংশ লক্ষ্য করে হাঁটা শুরু করেছিল ও। কিন্তু কিছুক্ষণ যাবার পর সারা শরীর দিয়ে দরদরিয়ে ঘাম গড়াতে লাগল, হঠাৎই যেন গরমটা দ্বিগুণ হয়ে বেড়ে গেল। গরমে ওর মাথা ফেটে যাবে মনে হতে লাগল। প্রচণ্ড পিপাসা পেল। নিরুপায় হয়ে টিপু আবার ঘুরে গুহার দিকে ফিরে গিয়েছিল সেদিন।



তাই এখন পালাবার সবচে ভালো পন্থা বের করেছে ও। গুহার কাছেই বাঁকানো এক বিশাল পাথর পড়ে ছিল। আজকে খাওয়ার পর্ব শেষ করে টিপু বিশ্রামে আর বসে নি। অনেকক্ষণ চেষ্টা করে পাথরটা বেয়ে ওটার মাথায় উঠেছে। পাথরটার শীর্ষ, অর্থাৎ যেখানে এখন টিপু দাঁড়িয়ে আছে, সেটা নিচের এবড়োখেবড়ো জমি থেকে কমপক্ষে চার-পাঁচ তলা উঁচু। পেটের কাছে ছড়ে গেছে, আঙ্গুলগুলো অবশ হয়ে গেছে প্রায়, মাথা ঘুরছে একটু একটু; তবু টিপু বেশ সন্তুষ্ট। এই জায়গা থেকে নিচে ডাইভ দিলে কারো বাঁচার কথা না। টিপু সেটাই করবে, এবং এই দুঃস্বপ্ন থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে। ওর মুখে একটু হাসি ফুটল। তারপর ডাইভারদের ভঙ্গিমায় লাফ দেবে, ঠিক এমন সময় পেছন থেকে শক্তিশালী একটা হাত ওকে পাথরটার ওপরে সজোরে আছড়ে ফেলল। প্রচণ্ড ব্যথায় অস্ফুট স্বরে গোঙাতে গোঙাতে টিপু ওর রক্ষাকারী(?)কে দেখার চেষ্টা করল। মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছে ও, পরিচিত বমি বমি ভাবটা ফিরে এসেছে, চোখে ঢুকে গেছে অনেকটা ধুলো; কিন্তু চোখ বার বার ঘষেও ও সামনের দৃশ্যটা বিশ্বাস করতে পারল না।



একটা দশ বছর বয়সের ছেলে ওর দিকে গম্ভীর চোখে তাকিয়ে আছে।



টিপু ছেলেটাকে দেখতে দেখতে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। ওর বুকসমান লম্বা হবে বাচ্চাটা, ফরসা, মাথাভরা কুচকুচে কালো চুল, সারা চোখেমুখে কেমন একটা শান্ত কিন্তু ধারালো ভাব আছে। একটা ময়লা হলুদ গেঞ্জি আর কমলা হাফপ্যান্ট পড়েছে, তাতে আশেপাশের পরিবেশের সাথে যেন পুরো মিশে গেছে ছেলেটা। টিপুকে সোজা হতে দেখে বেমানান ভরাট গলায় ছেলেটা বলল, 'বোকা মানুষ, আবার আত্মহত্যা করতে গেছিলে কেন?'



টিপুর মাথাটা চক্কর দিয়ে ওঠে। আবার! বাচ্চাটা জানল কি করে? কোত্থেকেই বা এলো?



বাচ্চাটা এবার মৃদু হাসে, 'বুঝতে পার নি এখনো? নাকি বুঝতে চাইছ না? এরকম রুক্ষ পরিবেশে, এরকম মানববর্জিত একটা জায়গায় তুমি কি করে এলে, ভাব নি কখনো? কোথাও বাধো-বাধো ঠেকে নি? নাকি সব বুঝে আবার যাচ্ছিলে আত্মহত্যা করতে, আবার পালাতে চাইছিলে?'



জমে যাওয়া মস্তিস্ক টিপুর ভাবলেশহীন মুখে কোন অনুভূতি ফোটায় না। কিন্তু মাথার ভেতরে, মনের গহীনে কোথাও অনেকদিন মুখ লুকিয়ে বসা একটা সন্দেহ হঠাৎ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে থাকে। বাচ্চাটা হাল ছাড়ার ভঙ্গি করে বলে, 'আচ্ছা, আনুষ্ঠানিক পরিচয় করিয়ে দিতে হবে বুঝেছি'। নিজের বুকে আঙ্গুল ঠেকিয়ে সে বলে, 'আমি, শয়তান', আর দুইপাশে হাত বাড়িয়ে দিয়ে হেসে উঠে দেখায়, 'আর এই জায়গাটা? আমার রাজত্ব - নরক! হাত মেলাবে?'



টিপুর সারা শরীর অদম্য এক ভয়ে কেঁপে ওঠে। ছেলেটার চোখে, দাঁড়ানোর ভঙ্গিতে, সম্পূর্ণ অস্তিত্বে ও অশুভ এক দ্যুতি দেখতে পায়, এবং হঠাৎ করেই বুঝতে পারে, ওর সামনে শয়তান স্বয়ং দাঁড়িয়ে আছে। ও ভয়ে ভয়ে বলে, 'কিন্তু তুমি তো...'



-'আহহা, চিরাচরিত সেই প্রশ্ন। তোমার কি ধারণা, শয়তানের প্রকাণ্ড শরীরটা হবে টকটকে লাল রঙের, মাথায় দুটো বাঁকানো শিং থাকবে, সাপের মত জিভ বের করে মানুষকে সে ভেংচে ভেংচে বেড়াবে? আমি তো খুব সুন্দরী কোন নারীর রূপ ধরেও আসবে পারতাম, বা বুড়ো কোন লোকের রূপে - তাতে কি আসে যায়? অবশ্য যদি জানতে চাও তবে বলি, তোমার সাথে দেখা করার জন্য এই রূপটা যথার্থ বলে মনে হচ্ছিল আমার। কে জানে, ওই দুনিয়ায় তুমি পেডোফাইল-ই ছিলে কি না!' - বিশ্রী শব্দে হেসে উঠল ছেলেটা।



টিপু জিনিসটা অবচেতনে অনেক আগে থেকেই জানত, জানত আত্মহত্যা করার শাস্তি আজীবন নরকবাস, কিন্তু নিজে পুরো বিষয়টা এখন হজম করতে পারছিল না ও। নরক? ধর্মগ্রন্থের সেই নরক? কিন্তু...



ও প্রশ্ন করার আগেই ছেলেটা, কিংবা শয়তান বলল, 'হয়েছে, আর বলতে হবে না। এটা নরকই। প্রমাণ চাইলে এখনি তোমাকে আগুনে দুচারবার পুড়িয়ে দেখিয়ে দিতে পারি, কিন্তু ওসব থাক। স্বচক্ষে দেখ।'



কথা শেষ হবার আগেই তীব্র গতিতে দিগন্তের বাদামি-কালচে অংশটা কাছিয়ে আসতে লাগল ওদের দিকে। কাছে আসার পর ভালো করে তাকাতেই টিপু লক্ষ্য করল, জিনিসটা আসলে কোন একটা তরলের মহাসাগর সম্ভবত। মাঝে মাঝে বিরাটকায় কিছু প্রাণী ভুস করে পানির ওপরে শরীর জাগাচ্ছে। নিচে কাঁকড়ার মত কিছু প্রাণী দাপাদাপি করছে পানির ফেনার মধ্যে। ও প্রশ্নবোধক চোখে শয়তানের দিকে তাকাল।



-'এই প্রাণীগুলো 'তাঁর' অনেক আগের সৃষ্টি। এদের স্বাভাবিক বাসস্থান ঠাণ্ডা বরফের মত জমে থাকা একটা গ্রহে, গরম পানি এদের কাছে বিষ। এরা কিছু ভুল করেছিল, স্রষ্টার আদেশ অমান্য করেছিল। তাই এই ফুটন্ত সমুদ্র এদের শাস্তি। সমুদ্রের এদিক ওদিক তীব্র যন্ত্রনায় মোচড় খেতে খেতে একটা সময় এরা উপকূলে মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে থাকে। ওই অবস্থাতেই নিচের ওই কাঁকড়াগুলো এদের মাংস খুবলে খুবলে খায়, একটা সময় শুধু পড়ে থাকে হাড়গোড়। তবু এরা মরতে পারে না। শত শত বছর ধরে ধীরে ধীরে আবার মাংস গজায়, তার ওপরে চামড়ার আবরণ পড়ে, তারপর এরা আবার তীব্র যন্ত্রণায় সমুদ্রে ঘোরাফেরা করতে শুরু করে। অনন্ত এভাবেই এদের শাস্তি হতে থাকবে।'



শয়তান আর টিপুকে রেখে সমুদ্র আবার দূরে ফিরে যায়। টিপু ক্ষীণকণ্ঠে জিজ্ঞেস করে, 'আমার শাস্তিটা কি?'



- 'তুমি সবুজ শ্যামল অংশের মানুষ, বন্ধু-বান্ধবের সাথে মিলে মিশে বড় হয়েছ। বেশি ধনী না হলেও কখনো অন্ততঃ খাবার বা বাসস্থানের সমস্যায় পড় নি। তাই তোমার নরক খুব রুক্ষ পরিবেশের। তুমি একাকি, তোমার চারপাশে কোন জীবন্ত প্রাণী রাখা হয়নি। তুমি ভালভাবে খেতে পাও না, শুতে পার না। এভাবে চলতে চলতে একটা সময় তুমি বোধবুদ্ধি হারিয়ে পশুর মত হয়ে যাবে, মরে যেতে চাইবে। কিন্তু মরতে পারবে না। মানসিক শক্তি সম্পূর্ণ ভেঙে যাবার পর আবার ধীরে ধীরে সেটা গড়ে উঠবে। তারপর আবার ভাঙা, আবার গড়া। পশু প্রবৃত্তির সাথে মানসিক যাতনা নিয়ে বেঁচে থাকা। এটাই তোমার অনন্তকালীন শাস্তি।'



-'কিন্তু আমি তখন লাফ দিলেই আত্মহত্যা করতে পারতাম। তুমি বলছ আমার হাত পা ভেঙে যেত, কিন্তু আমি মরতাম না?'



শয়তান তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে হাত নাড়ল, 'না না, এখানেই তো 'উনি' আমার হাত পা বেঁধে রেখেছেন। নইলে কি মনে কর আমি তোমাকে নরকের ট্যুর দিতে আসতাম? তোমার আগের নরকে তুমি আত্মহত্যা' - কথার মাঝেই টিপু থামিয়ে দিল তাঁকে, 'কি বললে, আগের নরক? আমি আগে পৃথিবীতে ছিলাম, পৃথিবী কি নরক?'



-'কেন, এতদিন ছিলে, কখনো নরক বলে মনে হয়নি ওটাকে? আচ্ছা, তোমাকে প্রথম থেকে সব বলছি। স্বর্গ হচ্ছে সবার ওপরে, তারপরে পৃথিবী-নরক, তারপরে অন্যান্য নরক। যারা স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হয়েছে, অর্থাৎ মানুষ, তারা প্রথমে যায় পৃথিবী নরকে, বাকি সৃষ্টি যায় অন্যান্য নরকে। সেখানে জীবন কাটিয়ে আবার স্বর্গে উঠতে পারল তো ভালো, আর যদি খারাপ কাজ করে তবে তারও চেয়ে নিচে বাকি কোন এক নরকে অনন্তকাল শাস্তি পেতে থাকে।



কিন্তু পৃথিবী-নরক থেকে, জীবন যুদ্ধে না লড়ে যেসব মানুষ পালিয়ে বাঁচতে চায়, মানে তোমার মত আত্মহত্যা করে- তাঁদের ওপর 'উনি' খুব খ্যাপা। আত্মহত্যা করার সাথে সাথে পৃথিবী-নরকের চেয়ে একটু বেশি কষ্টের নরকে তাঁদের জায়গা হয়। কিন্তু সেই নরকে তাঁদের আত্মহত্যা করার সুযোগটা দেওয়া থাকে। কেউ যদি কষ্ট সহ্য না করতে পেরে আবার আত্মহত্যা করে, তবে তাঁদের স্থান তারও চেয়ে বেশি কষ্টের নতুন এক নরকে স্থান হয়। আবার আত্মহত্যা করলে আরও কঠিন শাস্তি...এভাবে চলতে থাকে।'



টিপু একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে, 'তার মানে আমি ঠিকই মরতে পারতাম, কিন্তু জেগে উঠে দেখতাম নতুন এক কঠিনতর নরকে আমার ঘুম ভেঙেছে?



শয়তান মাথা নাড়ে, 'ঠিক তাই। কিন্তু 'তাঁর' আদেশ, দ্বিতীয়বারের বেলায় অপরাধীকে বিষয়টা জানিয়ে দিতে হবে, যাতে সে ভুল শোধরাতে পারে। সেজন্যেই নিচের নরক থেকে এসেছিলাম, কিন্তু দেখি আগেই তুমি পটোল তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছ, তাই বাঁচাতে হল আরকি। যাক, আমার কাজ ফুরোল। এখন টসকে যেতে পার, আমি অন্ততঃ আর বাধা দিচ্ছি না।' এই বলে বালকরূপি শয়তান পাথর বেয়ে নামতে শুরু করল। টিপু হঠাৎ পেছন থেকে হেঁড়ে গলায় চেঁচিয়ে বলল, 'তোমাকে কিন্তু শয়তান বলে আমার মনে হল না। শয়তান কখনো কাউকে সাহায্য করবে না। আমি কি কোন স্বপ্ন দেখছি?'



শয়তান থেমে একটু বিষণ্ণ কণ্ঠে বলল, 'আমার কাজ পৃথিবী-নরকে। সেখানকার মানুষ সামান্য পুণ্য করেই স্বর্গে উঠে যেতে পারে, তাই তাঁদের টেনে নিচে নামানোর জন্য নানা ভেক ধরে চাল চালা-টা আমার কর্তব্য। কিন্তু তুমি যে জায়গায় আছ, এখানে কোন শয়তানি চাল খাটিয়ে আমার বিন্দুমাত্র লাভ নেই। এই জায়গাটার মতই, তুমিও অভিশপ্ত। তোমার জন্য আমি স্রেফ সহানুভূতি দেখাতে পারি।' এই বলে শয়তান সহসা নেই হয়ে গেল।



শয়তানের সহসা অন্তর্ধানে টিপু হঠাৎ খুব দুর্বল বোধ করে। তাঁর প্রচণ্ড পানি পিপাসা লাগে, উষ্ণ সেই বিষাক্ত প্রস্রবণের খোঁজে সে তাড়াতাড়ি পাথর বেয়ে নামতে শুরু করে।



আর কখনো টিপু আত্মহত্যা করে নি।

মন্তব্য ১০৮ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (১০৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার গল্প পড়ে রাইডার হ্যাগার্ডের "সী" এর কথা মনে পড়লো।
ফ্যান্টাসি গল্প -ভালো হয়েছে।

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: 'সী' পড়িনি, তবে 'শী' পড়েছিলাম। সেটার কথাই কি বললেন?

খেয়াঘাটে তরি ভিড়ুক, শুভকামনা।

২| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০০

মায়াবী ছায়া বলেছেন: +++

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, মায়াবী।

৩| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আমার কাছে গপটা ভালা লাগছে -

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার কমেন্ট-ও আমার ভালা লাগছে!

৪| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০৫

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: শয়তানের ভিন্নতর রূপ সৃষ্টি করতে পারাটা একটা ক্রেডিট মনে হচ্ছে।

"কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক,
কে বলে তা বহুদূর,
মানুষের ই মাঝে স্বর্গ নরক,
মানুষের ই মাঝে সুরাসুর।"

পোস্টে প্লাস শঙ্কু সাহেব। :)

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্লাস উৎসাহ যোগায়। বরাবরই।

ভালো থাকুন প্রতিবাদীকণ্ঠ।

৫| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২২

শ।মসীর বলেছেন: এমন হলে কেমন হয়।

Click This Link

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বুদ্ধি খারাপ না:)

৬| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: চমৎকার থীম !

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ!!

৭| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬

Nurul Afser Ratan বলেছেন: আমার কাছে ভাই খুব ভাল লেগেছে।

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৮| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আত্মহত্যা করা মহাপাপ এই মেসেজটা দারুন ভাবেই গল্পে বিশ্লেষণ করেছেন।

লেখায় সহজ সরল গোছানো প্রকাশভঙ্গী এবং ডিবেট করার দক্ষতা ভাল লাগল।

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সোজা কথাটা একটু ঘুরিয়ে বলা আর কি!

আপনার মন্তব্য সবসময় উপভোগ করি। ধন্যবাদ।

৯| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩

মামুন রশিদ বলেছেন: কল্পগল্প বা নীতিগল্প যাই হোক, আত্মহত্যা কোন কাজের কথা না । শয়তান, নরক, স্বর্গ সম্পর্কে আমাদের মনের কোনে ছোটবেলা থেকেই ধারনা থাকায় এরকম ফ্যান্টাসি গল্পও অনেকটা বাস্তবই লেগেছে । বর্ননায় আগের সেই ঘোর লাগা কম থাকলেও গল্পটা আমার কাছে ভালো লেগেছে ।


প্রোফেসর শন্কুর প্রিয় জায়গা তিব্বত, তিব্বতের আদিম বন ও গুহা । সেই লম্বা রাবারের সোল ওয়ালা জুতাটা'র কথা নিশ্চয়ই মনে আছে, এক লাফে উড়াল দিয়ে প্রোফেসর সাব তিব্বত চলে যেতেন :P

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, মামুন রশিদ।

কিন্তু এখন গুগল ম্যাপে ঘুরতেই বেশি ভালো লাগে:)

১০| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো।

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পঠনে খুশী মিলেছে তো?

১১| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

এরিস বলেছেন: তোমার কি ধারণা, শয়তানের প্রকাণ্ড শরীরটা হবে টকটকে লাল রঙের, মাথায় দুটো বাঁকানো শিং থাকবে, সাপের মত জিভ বের করে মানুষকে সে ভেংচে ভেংচে বেড়াবে? আমি তো খুব সুন্দরী কোন নারীর রূপ ধরেও আসবে পারতাম, বা বুড়ো কোন লোকের রূপে - তাতে কি আসে যায়? অবশ্য যদি জানতে চাও তবে বলি, তোমার সাথে দেখা করার জন্য এই রূপটা যথার্থ বলে মনে হচ্ছিল আমার।

কথাগুলো ভাবালো। আসলেই তো, শয়তানকে চিনতে পারি আমরা? শয়তানের বিশেষ কোন রূপ নেই। নিজেই ইনোসেন্স বেশে নিজের ক্ষতি করে যাচ্ছি। আপাত দৃষ্টিতে আত্মহত্যাটাকে সমাধান মনে হলেও সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় ভুল। শয়তানকে শয়তান মনে না হলেও সে শয়তান।


আত্মহত্যা করার সাথে সাথে পৃথিবী-নরকের চেয়ে একটু বেশি কষ্টের নরকে তাঁদের জায়গা হয়। কিন্তু সেই নরকে তাঁদের আত্মহত্যা করার সুযোগটা দেওয়া থাকে। কেউ যদি কষ্ট সহ্য না করতে পেরে আবার আত্মহত্যা করে, তবে তাঁদের স্থান তারও চেয়ে বেশি কষ্টের নতুন এক নরকে স্থান হয়। আবার আত্মহত্যা করলে আরও কঠিন শাস্তি...এভাবে চলতে থাকে।'


যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ। ধৈর্যের বিকল্প নেই।

একটি মেসেজ নিয়ে লেখার ফলে লেখা কিছুটা বেশি বর্ণনামূলক হয়েছে, আত্মহত্যার আগের , পরের সব কিছু তুলে আনতে অনেক কিছুর আশ্রয় লেগেছে। সফলভাবে মেসেজ পৌঁছে গেছে। লেখক সার্থক। ভালো লাগা।

১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পাঠকের আনন্দেই লেখকের খুশি। লেখাটা বড় হয়ে যাচ্ছিল, অনেক চেপেচুপে লিখতে হয়েছে। আপনার মন্তব্যে মুগ্ধতা এরিস।

১২| ১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

ভাঙ্গা কলমের আঁচড় বলেছেন: +প্লাস+ :)

১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থ্যাংক ইউ।

১৩| ১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: জোস থিম, শঙ্কু।

প্রথমে ভাবছিলাম মানসিক টানাপোড়নের গল্প হবে। একটু পড়ে মনে হল সাইফাই। তারপর যা পেলাম সেটা যে আসলে কোন ক্যাটাগরিতে ফেলব বুঝতে পারছি না। চাইলে সাইফাই বলা যায়, চাইলে আধ্যাত্মিক বলা যায় অথবা বলতে পারি ফ্যান্টাসি। এই ধরনের একটা গল্প সাজানো খুব ডিফিকাল্ট ব্যাপার, কাজটা খুব সুন্দর ভাবেই করতে পেরেছেন আপনি।শুভেচ্ছা আমার তরফ থেকে।

মাঝে মাঝে আমারও মনে হয়, পৃথিবীটা আসলেই নরকের কোনও স্তর নয়ত?

১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা সাদরে গৃহীত হল।

লেখকের নাম মনে নাই,সম্ভবতঃ বার্নার্ড শ সর্বপ্রথম এমন বলেছিলেন। এতে চার্চ থেকে তাঁর ওপরে যথেষ্ট চাপ প্রদান করা হয়েছিল।

যাই হোক, ফ্যান্টাসির জন্য কিন্তু ভাবনাটা বেশ উপযোগী!

১৪| ১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

মদন বলেছেন: অসাধারন! অসাধারন!! অসাধারন!!!

১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পুরনো ব্লগারদের কমেন্টে লেখকি জোশ বেড়ে যায়।

ধন্যবাদ!

১৫| ১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

নিমতিতা বলেছেন: ভালো লিখছেন।

১৩ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৬| ১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: প্রথম দিকে একটু রোবটিক বর্ণনা লাগলেও পরের অংশে একদম মিশে গেলাম বলতে পারেন। অনেক ভালো লেগেছে ফ্যান্টাসি গল্প। ভালো থাকবেন।

১৩ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রথম দিকে বর্ণনা কৃত্রিম লেগেছে? আচ্ছা, পরবর্তী গল্পে পরিশোধিত হইবে!

ধন্যবাদ।

১৭| ১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: কল্প গল্পের অপর নাম আমার কাছে ইনসমনিয়ার রাত। :)

১৩ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সুতরাং, ইনসমনিয়ার রাত = গাঁজাখুরি?:)

১৮| ১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১১

অহন_৮০ বলেছেন: ভালো হয়েছে

১৩ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো থাকুন।

১৯| ১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মানুষ হতাশা থেকে আত্মহত্যা করে বা নানা কারণে করে। কিন্তু যতই ইমোশনাল ডায়ালগ আমরা দেই না কেন নিজের জীবনকে শেষ করা দেয়া অনেক কঠিন আর যারা আত্মহত্যা করে তারা স্বাভাবিক মানসিক স্তর পার হয়ে অন্য কোনও জগতে চলে যায় বলেই আত্মহত্যাটা করে ফেলে !

আমরা অনেকেই জীবনে অন্তত একবার হলেও ভেবেছি -- ধ্যাত এই জীবনই রাখবো না , মরে যাব ! --- সাহসে কুলায় নাই তাই বেঁচে আছি ব্যাপারটা এমন আর কি !

টিপুর আত্মহত্যার পরের জগতের বর্ণনাটা , তার অনুভূতি গুলো পড়তে খুব ভালো লাগছিল। অনেকটা ফিকশন এর মতো আর কি !

আর শয়তান রুপী ১০ বছরের বালকের কথোপকথন টিপুর সাথে বেশ উপভোগ্য, তথ্য সমৃদ্ধ।

গল্পে প্লাস ।

১৩ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এই গল্প নিয়ে আমি একটু বিভ্রান্তিতে ছিলাম। কাটছাঁট করব, নাকি সদ্য প্রসূত গল্পটাই তুলে দেব? এখন মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে, কাটছাঁট না করে দেওয়াটাই ভালো হয়েছে।

জিনিসটা যে গাঁজাখুরি হয়ে যায়নি এই কারণে আনন্দিত।

শুভকামনা।

২০| ১৩ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: একটা বহুমাত্রিক চিন্তাধারার গল্প। নরকের স্তরবিন্যাসের ভেতর জীবনের গুঢ় সৌন্দর্য খুঁজে পেলাম। অনেক ভালো লাগা রইলো।

১৩ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রিয় ব্লগার।

২১| ১৩ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

একলা চলো রে বলেছেন: ব্যতিক্রমধর্মা থিম, ভাল হয়েছে- ভাল লেগেছে। ফ্যান্টাসি গল্প আমার তেমন একটা ভাল না লাগলেও আপনারটা বেশ লেগেছে।

একটা কথা, গল্পের শুরুর দিকে যেমন ধীরস্থিরভাবে গল্প এগোচ্ছিল, শেষ দিকে হঠাৎ কেমন যেন দ্রুত তাড়াহুড়া করে ঘটছিল ঘটনাগুলো।

১৩ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ।

গল্পটা আরও বড় হয়ে যেত, কিন্তু পাঠকের কথা মাথায় রেখে একটু ছোট করে লিখেছি। সেজন্যে এমন মনে হতে পারে।

পাঠে কৃতজ্ঞতা।

২২| ১৩ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বিভ্রান্তিতে ছিলেন কেন ? মোটেও গাঁজাখুরি কিছু হয় নি । বরং সুন্দর ! অনুভূতির বর্ণনা বেশ জীবন্ত !

১৩ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাদের দেওয়া উৎসাহে সকল ভ্রান্তি চূর্ণ হয়েছে। ধন্যবাদ:)

২৩| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: শক্তিশালী লিখক রাই পাঠক রুচি বিনির্মাণ করেন ।
আপনার যদি মনে হয় গল্প আরও বড় করলে গল্পটা পরিপূর্ণ হত , তাহলে বড়ই লিখবেন । সবসময় পাঠকের চিন্তা করে লাভ নেই , নিজের তৃপ্তির
বিষয়টাও একটু খেয়াল রাখবেন । তাছাড়া গল্পকে ২ খণ্ড করেও দেয়া যায় ।
আপনার লিখনি ক্ষমতা বিবেচনায় আমার মনে হয় , আপনি বড় করে লিখলেও পাঠক তা গ্রহণ করবে , সম্ভাবনা অনেক বেশি ।

গল্পের বাক আকর্ষণীয় ,
গতি স্বচ্ছন্দ ,
থিম চমকপ্রদ ।
শেষে - উপদেশ , সব মিলিয়ে কিছু ভাবনার খোরাক

ভাল , সার্থক ও উপাদেয় একটা গল্প আমরা প্রফেসর শঙ্কুর কাছ হতে পেলাম ।
পরবর্তী গল্পের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ।
ভাল থাকবেন ।

১৩ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এমন সব মন্তব্য যেন পাই, তাই তো ব্লগে লেখা! ধন্যবাদ।

সামনে একটা বড় গল্প দেবার ইচ্ছা আছে। নিজের তৃপ্তি অনুসারেই লিখব। ভালো থাকুন।

২৪| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: না কৃত্তিম নয় রোবটিক লেগেছিলো। :)

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ও আচ্ছা:)

২৫| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

দেহঘড়ির মিস্তিরি বলেছেন: ব্যাতিক্রমী প্লট ভাল লাগল :)

বিশেষ করে স্বর্গ-নরক-পৃথিবির স্তরবিন্যাস
আর শয়তানের রুপ নিয়ে আমাদের ফ্যান্টাসি আর পাঠকের
অজান্তে মেসেজ পৌছে দেয়াটা আরো বেশি ভাল লাগল :)

ভাল থাকবেন প্রোফেসর সাব :)

১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মিস্তিরিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে:)

২৬| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার একটা প্রেক্ষাপট! ফ্যান্টাসির পটভুমিতে মানবজীবনকে তুলে এনেছেন। পাপ, পূন্য স্বর্গ নরক আসলে ভালো করে ভাবলে এইগুলো এক প্রকার ফ্যান্টাসিই

অনেক ভালো লেখা। আপনি ভালো লিখলে কেন যেন আমার আনন্দ লাগে। :)
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল। :)

১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সেই বিখ্যাত থিওরির মত, কে জানে, আমরা হয়তো সারি সারি করে গবেষণাগারে রাখা থিকথিকে হলুদ মস্তিস্ক মাত্র, দেহ নেই, আত্মা নেই, কিচ্ছু নেই; এই সবকিছু আমাদের কল্পনা মাত্র...

ভালো থাকুন কাল্পনিক ভালবাসা। অনেক ভালো থাকুন।

২৭| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

প্রিয়তমেষূ বলেছেন: অন্যরকম, ভালো!!!

১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো থাকুন...আপনিও!

২৮| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অন্যরকম থিমের একটা গল্প পড়লাম ! আপনার উদ্দেশ্য সফল ! আত্মহত্যা করা মহাপাপ !

১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ইহা সত্য! ইহা সত্য!! ইহা সত্য!!!

২৯| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:০৬

আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: অসাধারন একটা থীম

১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, আশিকুর রহমান অমিত।

৩০| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৪৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আমার মনে হচ্ছিল যেন কোনো অনুবাদ গল্প পড়ছি। আমার ভাবনা অতটা পৌঁছুতে পারে না বলেই হয়তো আমি পৃথিবীতেই ঘুরে বেড়াই। আপনার কল্পনার দৌড় দেখি ভয়াবহ রকমের উর্বর। পড়ছিলাম আর অবাক হচ্ছিলাম। এমন ব্যাপারগুলো বাস্তবে না দেখে কেমন করে বর্ণনা সম্ভব? আমার অন্তত সাধ্যে কুলাবে না এমন কিছু ভাবতে।

ভাল থাকুন।

১৪ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পকার তখনি লেখায় উৎসাহ পান, যখন তাঁকে উৎসাহ দেওয়া হয়। উৎসাহ দেবার জন্য আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

৩১| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:০৯

শ্যাঁওঁড়াঁ গাঁছেঁরঁ বাঁসিঁন্দাঁ বলেছেন: শয়তানের এই রকম নির্লিপ্ত রূপ দেখে মোহিত হলাম। লেখার গাঁথুনি খুবই ভালো। চালিয়ে যান এভাবেই ।


ঠিকাছে প্লাস। :)

১৪ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ঠিকাছে ধন্যবাদঃ)

৩২| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:২৬

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: ফেন্টাসি টাইপ ছোট গল্প ভালো লাগলো :)

১৪ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থেঙ্কু:)

৩৩| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:৫২

বোকামন বলেছেন:






সম্মানিত প্রোফেসর শঙ্কু,

এককথায় দারুণ ! দারুণ লিখেছেন। বর্ণনা, প্লট প্লেয়িং, কথোপকথন, বাস্তবতা, বিশেষ করে শব্দ ব্যবহার করে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের চিত্রায়ন এবং মূলভাব/ নীতিকথা পাঠকের অন্তৃদৃষ্টিতে পৌঁছে দিতে পুরোপুরি সক্ষম হয়েছে আপনার গল্পটি। আমার বেশ বেশ ভালো লেগেছে। আর তাই কাজকর্ম সাময়িক পজ করে ব্লগ টেবিলে বসে গেলাম; উদ্দেশ্য আপনার গল্পের শিরোনাম নিয়ে আলোচনা করবো। কারণ আপনার গল্পটি আমি শুধু গল্প হিসেবেই নয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সচেতনতা বার্তা হিসেবও দেখছি। শিরোনাম: গল্প: আত্মহত্যা করা মহাপাপ। আমরা সাধারণ পাঠক ধারনা করতে পারছি গল্পটি আত্মহত্যা করা কেন মহাপাপ তা নিয়েই হয়তো হবে। গল্পকার তার নিজস্ব স্টাইলে, চরিত্রের চারিত্রিক আচরণে মাধ্যমে এবং পরিস্থিতি(প্লট) তৈরি করে মূল-বার্তাটি - আত্মহত্যা করা কাপুরুষের কাজ/আত্মহত্যা করা মহাপাপ আমাদের বুঝিয়ে দিবেন।

আপনি হয়তো বিষয়টা বুঝতেই পারছেন; নীতিবাক্য অনেকেই এখন আর শুনতে চায়না বা উপদেশ দাতাকে এড়িয়ে চলে। যদি ব্যতিক্রমী একটি চমকপ্রদ শিরোনাম দেওয়া যেত বা যায়; শিরোনাম দেখে পাঠক পূর্বে ধারনা করতে পারবে না গল্প-শেষে তাকে কি ম্যাসেজটি দেওয়া হবে। আপনার অসাধারণ গল্প বলা/বর্ণনা কে কাজে লাগিয়ে পাঠক গল্পটি পুরোপুরি শেষ করবে এবং নীতিবাক্যটি/ম্যাসেজ পাঠককে চমকে দিবে/ আলোড়িত করবে। “কিন্তু তুমি যে জায়গায় আছ, এখানে কোন শয়তানি চাল খাটিয়ে আমার বিন্দুমাত্র লাভ নেই। এই জায়গাটার মতই, তুমিও অভিশপ্ত। তোমার জন্য আমি স্রেফ সহানুভূতি দেখাতে পারি।' এই বলে শয়তান সহসা নেই হয়ে গেল।”

আর কখনো টিপু আত্মহত্যা করে নি।

বিনয়ের সাথে বলছি; আমি ভাই আপনাকে উপদেশ বা পরামর্শ দেওয়ার সাহস করছিনা। আপনার সাথে বোকামন ভাবনা জাস্ট শেয়ার করলাম। ভালোলাগা থেকেই। আশাকরি বিষয়টি আপনি পজিটিভ ভাবে নিবেন এবং ভেবে দেখবেন।


আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং ৮ম প্লাস রইলো।

১৪ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমি উপদেশ বলব না, বলব সাহায্য করা। গল্প প্রবাহিত হয় একমাত্র লেখকের মাথায়, সেই গল্প আরও বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখাটা অনেক লেখকই পারেন না। এক্ষেত্রে সহায়তা করেন পাঠকেরা, তারা বিভিন্নজন বিভিন্ন ভাবে গল্পটাকে পড়েন, এবং সেই অনুসারে সৎ একটা মত দেন। এতে লেখকের সামনে গল্পের অনেক কিছু উন্নত করার জন্য প্রভূত সুযোগ আসে। আমি তাই গল্পে যেকোনো বিষয়, যত ক্ষুদ্র হোক না কেন, সে সম্পর্কে আলোচনা করতে উদগ্রীব থাকি।

শিরোনামের ক্ষেত্রে আপনি যা বলেছেন সেটা ভেবে দেখার মত একটা বিষয়। অন্য কিছু শিরোনাম দিলে আসলেই গল্পে একটা টুইস্ট আসে। জিনিসটা মাথায় রইল। আর প্লিজ, সবসময় এরকম মনোভাব নিয়েই সাথে থাকবেন। ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে সাহায্য করবেন।

খুব ভাল থাকুন বোকামন, ধন্যবাদ।

৩৪| ১৪ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২২

বোকামানুষ বলেছেন: দারুন একটা গল্প

১৪ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দারুণ তো! উপরে বোকামন, নিচে বোকামানুষ!

৩৫| ১৪ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

এহসান সাবির বলেছেন: অনেক ভালো লেগেছে।

১৪ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:০১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: খুশি হলাম।

৩৬| ১৪ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: কাল বিকেলে খুব মনোযোগ দিয়ে গল্পটা পড়ে যখন কমেন্ট পোস্ট করেছি দেখি ডাটাবেস এরর :( :(

তখনকার অনুভূতি আর জানাতে পারলাম না ভাইয়া আপাতত শুধু প্লাস দিয়ে গেলাম।

ভালো থাকবেন।

১৪ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: একটা বড় কমেন্ট পেয়েও হারানোর দুঃখ অনুভূত হচ্ছে। প্লাস সসম্মানে গৃহীত হল।

৩৭| ১৪ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

আমি ইহতিব বলেছেন: প্রফেসর সাহেবের আরেকটি অসাধারণ গল্প পড়ার সৌভাগ্য হলো। দারুন লিখেছেন। ৯ম ভালো লাগা।

১৪ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্লাসের জন্য ধন্যবাদ, ইহতিব।

৩৮| ১৪ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

লেজকাটা বান্দর বলেছেন: প্রথমে ইনফরমেশনে কিছু ভুল থাকতে পারে, প্রোস্টেটের ক্যান্সার আমি যতদূর জানি ৪০ বা ৫০ বছরের আগে হয় না। অথচ টিপুকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আমার মনে হয়েছিল সে হয়তো এখনও তরুণ। যদিও সেটা কোথাও লেখা নেই।

হাইপারপ্লেসিয়া কথাটায় এই কনফিউশন আরও ঘনীভূত হল। মেডিকেল টার্মটা হচ্ছে Benign Prostatic Hyperplasia. বয়স্ক মানুষ ছাড়া কারো হয় না সাধারণত। আর এটা অত সিরিয়াস ক্যান্সার না যে চিকিৎসা করতে করতে নিঃস্ব হয়ে যেতে হবে, যদিও এই কথাটা সবার জন্য প্রযোজ্য না, মধ্যবিত্ত বা গরীব হলে হয়তো বড় একটা টাকার ধাক্কা সামলাতে হবে।

পরের টুকু মিথের মত করে লেখা, কিন্তু ভিতরে মানুষের জন্য অনেক বড় একটা মেসেজ রয়েছে। এই পার্টটুকুই সুন্দর। আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়, আত্মহত্যা হল স্রষ্টার অবমাননা, আত্মহত্যা বড় পাপ, আত্মহত্যার জন্য রয়েছে অনেক বড় শাস্তি।

সবমিলিয়ে খুব সুন্দর লাগলো শঙ্কু ভাই। আপনি এত কম লিখেন কেন? আরও লিখুন। আপনার লেখার হাত খুব ভালো।

প্লাস।

১৪ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: একজন হবু ডাক্তারকে পোস্টে পাওয়া সবসময়ই আনন্দের। গল্পের ক্যান্সার-সংক্রান্ত তথ্যগুলো একজন পরিচিত ফার্মাসিস্টের কাছ থেকে নেওয়া, সুতরাং কোন ভুল থেকে থাকলে তাঁকে ভবিষ্যতে আচ্ছামত প্যাঁদানোর ইচ্ছা রাখি:)

গল্প পড়ায় অনেক ধন্যবাদ, লেজকাটা বান্দর। সাথে থাকুন, ভবিষ্যতে আরও লেখার ইচ্ছা আছে। আপনিও লিখুন বেশি বেশি। ভালো কাটুক সময়।

৩৯| ১৪ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

রোজেল০০৭ বলেছেন: অসাধারন এবং খুব নিখুঁত ভাবে চরিত্র ও আশে পাশের পরিবেশ (যদিও কাল্পনিক)
ফুটিয়ে তুলেছেন।

বরাবরের মতই আপনার লিখা পড়ে ভালো লাগলো।

১৪ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কাল্পনিক চরিত্র বর্ণনাটা সবসময়ই কঠিন, এবার এই ব্যাপারটা ভালভাবে করার চেষ্টা ছিল। শুভকামনা, রোজেল০০৭।

৪০| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৫

তাসজিদ বলেছেন: অদ্ভুত ভাল লাগল। কে বলে সামু তে ভাল গল্পকার নেই।

বিশেষত সইতান এর সাথে টিপুর কথোপকথন ভিন্ন মাত্র দিয়েছে।

১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সত্যিই প্রশ্ন আসছে মনে, কে বলে এই কথাটা? সামুতে তো গল্প পড়তেই আসি। এত এত ভাল লেখক-লেখিকা আছেন, কথাটা বললে তাঁদের তো আমলেই নেওয়া হয় না, অসম্মান করা হয়!

গল্প পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৪১| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:০৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: সুন্দর একটা গল্প । গল্পটা ভাল লাগলো হেতু আর একবার বিছায় শুয়ে শুয়ে পড়ব।১১ তম ভাল লাগা।

১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:০৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বিছানায় শুয়ে শুয়ে পড়ার উপযোগী গল্প লিখতে পেরে খুবই আনন্দিত বোধ করছি:)

ভালো লাগায় ধন্যবাদ।

৪২| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৪০

খাটাস বলেছেন: বেস্ততায় পড়তে পারি নি। পড়ব পড়ব করে এক টানে পড়ে ফেললাম। মনে হল চোখের সামনে গল্প টা দেখলাম। আর কথা বারালাম না। প্লাস।

১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৪৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার ব্যস্ততা সত্ত্বেও যে গল্পটা পড়েছেন, এজন্যে আমি কৃতজ্ঞ।

৪৩| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২০

রমাকান্তকামার১১০১১৪৫ বলেছেন: দারুণ থিমের দারুণ একটা রাঝাসসমৃদ্ধ গল্প!


'আহহা, চিরাচরিত সেই প্রশ্ন। তোমার কি ধারণা, শয়তানের প্রকাণ্ড শরীরটা হবে টকটকে লাল রঙের, মাথায় দুটো বাঁকানো শিং থাকবে, সাপের মত জিভ বের করে মানুষকে সে ভেংচে ভেংচে বেড়াবে? আমি তো খুব সুন্দরী কোন নারীর রূপ ধরেও আসবে পারতাম, বা বুড়ো কোন লোকের রূপে - তাতে কি আসে যায়? অবশ্য যদি জানতে চাও তবে বলি, তোমার সাথে দেখা করার জন্য এই রূপটা যথার্থ বলে মনে হচ্ছিল আমার।


এই অংশটা পড়ে জাহিদ হাসানের ইবলিশ নাটকটার কথা মনে পড়লো...

১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পে রাঝাস ঢুকিয়ে দিতে আমার দারুণ লাগে!

জাহিদ হাসানের নাটকটা দেখা হয়নি। খোঁজ করে পেলে দেখার ইচ্ছা আছে।

৪৪| ১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩

সাদাত হোসাইন বলেছেন: চিন্তার জায়গাটা দারুণ। বর্ণনাও।

তবে ছোটগল্প নিয়ে আমার ব্যাক্তিগত ধারণা এমন যে ছোটগল্প একটু হুটহাট শুরু হবে, হুটহাট শেষ হবে। বর্ণনার বাহুল্য খুব বেশী থাকবে না। কাহিনীতে হুট করে ঢুকে পড়া যাবে। সহজপাঠ্য হবে। সেই জায়গাটাতে আরেকটু মনোযোগ আশা করছি, প্রিয় গল্পকার।

তবে শক্তিশালী রুপকল্প। এভাবে ফুটিয়ে তোলাটা লেখকের দক্ষতার প্রকাশ। গল্পটা ভালো লেগেছে। শুভকামনা।

১৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:২১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ।

এই গল্পটাতে আমি অন্য এক জগত দেখাতে চেয়েছিলাম। এই পৃথিবীর সবই আমরা চিনি-জানি - রাস্তা-বাড়ি, গাছপালা, মানুষজন অর্থাৎ সমস্ত পরিবেশটা আমাদের পরিচিত। কিন্তু এই গল্পে নরক এসেছে, শয়তান এসেছে, এদের কাজ এবং অস্তিত্বের ব্যাখ্যা এসেছে। বর্ণনা না দিলে পাঠকের মাথায় এদের অনুপ্রবেশ স্বাভাবিক বা পরিপূর্ণ হত না, দুর্বোধ্য লাগত। তাই ছোটোগল্প কোথাও বদলে দৃশ্যকল্প হয়ে উঠেছে হয়তো বা:)

আর ছোটোগল্প নিয়ে আপনার ব্যক্তিগত ধারণা আমার পছন্দ হয়েছে। তবে পাঠককে নতুন বা অভিনব কোন একটা আইডিয়ার সাথে পরিচিত করিয়ে দেবার ছোটখাটো প্রচেষ্টাকেও আমি ছোটোগল্প হিসেবে ভাবতে পছন্দ করি!

গল্প পঠনে ধন্যবাদ রইল। ভালো থাকুন অবিরাম।

৪৫| ১৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

অদৃশ্য বলেছেন:





আজ আর শেষ করতে পারবো না... এখনো অনেকটা বাদ আছে... পড় এসে পড় যাবো...

যতটুকু পড়লাম বেশ ভালো লাগছিলো...

শুভকামনা...

১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পুরোটুকু পড়ে দেখার আমন্ত্রণ রইল। ধন্যবাদ।

৪৬| ২৩ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৫:১২

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: আত্মহত্যা করার সাথে সাথে পৃথিবী-নরকের চেয়ে একটু বেশি কষ্টের নরকে তাঁদের জায়গা হয়। কিন্তু সেই নরকে তাঁদের আত্মহত্যা করার সুযোগটা দেওয়া থাকে। কেউ যদি কষ্ট সহ্য না করতে পেরে আবার আত্মহত্যা করে, তবে তাঁদের স্থান তারও চেয়ে বেশি কষ্টের নতুন এক নরকে স্থান হয়। আবার আত্মহত্যা করলে আরও কঠিন শাস্তি...এভাবে চলতে থাকে.............

আপনার লেখায় অন্য এক ধরনের স্বাদ পেলাম.. সুন্দর প্লট... মাত্রিকতা ছাড়িয়ে ভিন্ন এক মাত্রা......

শুভ কামনা সব সময়ের জন্য গল্পকার...

১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চেষ্টা ছিল একটু অন্যরকম লেখার। নতুন স্বাদ দেবার। সেটা করতে পেরে ভাল লাগছে।

শুভকামনা সসাদরে গৃহীত হল।

৪৭| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

শাহেদ খান বলেছেন: একদম ইউনিক একটা থিমের ওপর চমৎকার একটা গল্প ! আর আপনার লেখার স্টাইলে ভাল লাগার কথা আগেও জানিয়েছি বোধহয় !

দৃশ্যকল্প খুব অভিনব এবং কথোপকথন সাবলীল। 'শয়তান'কে ভিন্নভাবে দেখানোটা পছন্দ হয়েছে খুব। পারস্যের কবি মনসুর-আল-হাল্লাজের কথা মনে পড়ে গেল, যার লেখায় পড়েছিলাম - শয়তান সমস্ত শয়তানি করার মাধ্যমে তার দায়িত্বটুকু পালন করে মাত্র।

অনেক অনেক শুভকামনা, প্রোফেসর ! ভাল থাকবেন সবসময়।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মনসুর আল হাল্লাজের লেখা পড়া দরকার।

ভাল থাকুন আপনিও:)

৪৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: দারুণ একটা গল্প

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৪৯| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

জয়তি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন: এরিস বলেছেন: তোমার কি ধারণা, শয়তানের প্রকাণ্ড শরীরটা হবে টকটকে লাল রঙের, মাথায় দুটো বাঁকানো শিং থাকবে, সাপের মত জিভ বের করে মানুষকে সে ভেংচে ভেংচে বেড়াবে? আমি তো খুব সুন্দরী কোন নারীর রূপ ধরেও আসবে পারতাম, বা বুড়ো কোন লোকের রূপে - তাতে কি আসে যায়? অবশ্য যদি জানতে চাও তবে বলি, তোমার সাথে দেখা করার জন্য এই রূপটা যথার্থ বলে মনে হচ্ছিল আমার।

কথাগুলো ভাবালো। আসলেই তো, শয়তানকে চিনতে পারি আমরা? শয়তানের বিশেষ কোন রূপ নেই। নিজেই ইনোসেন্স বেশে নিজের ক্ষতি করে যাচ্ছি। আপাত দৃষ্টিতে আত্মহত্যাটাকে সমাধান মনে হলেও সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় ভুল। শয়তানকে শয়তান মনে না হলেও সে শয়তান।
!:#P

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সত্য কিন্তু....সত্য না? :)

৫০| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

bakta বলেছেন: খুব ভালো লাগলো -
লেখা ভালো হয়েছে ।

"বেঁচে থেকে যে কষ্ট - আত্মহত্যা করে সে কষ্ট আরো বেশি কষ্টকর হয়ে ওঠে, - আত্মহত্যা করতে গিয়েও শেষ মুহুর্তে বাঁচার শেষ লিপ্সা থাকে ।

তাই সবাই কে মনে রাখতে হবে - " বেঁচে আছি যখন খুশি মরতে পারবো - কিন্তু মরে গেলে আর বেঁচে আসতে পারবো না " ।

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠক।

আত্মহত্যার বিষফল যখন জন্মে, তখন কিছু করার থাকে না। তাই সতর্ক হতে হবে আগেই।

৫১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:০৭

অনির্বাণ তন্ময় বলেছেন:
চমৎকার গল্প।
আপনার গল্পের প্রথমাংশ পড়ে আমার মাথায়ও একটা গল্প চলে এল। আপনারটার তুলনায় যদিও খুবই নিম্নমানের হবে সেটা। তবুও যদি কোন দিন লেখি তবে জানিয়ে যাব।।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ, আপনার গল্প পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

৫২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

শান্তির দেবদূত বলেছেন: যে জিনিসটা চাই সেটা পুরাপুরি ছিল এই গল্পে, থীমের নতুনত্ব। তার উপর উপস্থাপনার গুনে হয়ে ঊঠেছে স্বার্থক একটা ছোট গল্প।

শয়তানের রূপটাও অন্যরকম লেগেছে। তারপর পৃথিবীর জীবনকে অন্য দৃষ্টিতে দেখা, সবমিলিয়ে অনেকগুলো নতুন বিষয় ছিল এই গল্পে।

শুভেচ্ছা রইল।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মোটামুটি পুরনো গল্পগুলো কেউ পড়লে আমি ভীষণ উৎসাহিত হই। ধন্যবাদ শান্তির দেবদূত।

এই টাইপের গল্প আমার খুব পছন্দের, তাই মাঝে মাঝে লেখার চেষ্টা করি। আপনাকে সাথে পেয়ে আনন্দিত হলাম।

শুভরাত্রি।

৫৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: থিম ইজ দ্যা বস ! লাভিং ইট ! :)

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থ্যাংকস!

পুরান গল্প পড়ায় অনেক ধন্যবাদ!

৫৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৯

তওসীফ সাদাত বলেছেন: এটা অনেক আগেই পড়েছিলাম তবে তখন মন্তব্য করতে পারিনি। খুঁজে বের করে আজকে মন্তব্য করলাম। আমার অনেক টা এরকম এর গল্প আছে। পোস্ট করবো ! এবং হা, এই গল্পটি ও অসাধারণ !!

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাবার মত উপযুক্ত শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না!

শুধু বলি, ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.