নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বর্গ-পৃথ্বী অন্তঃস্থলে, বহুকিছু ফিরে-চলে, যাহা বিস্ময়কর

প্রোফেসর শঙ্কু

বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়

প্রোফেসর শঙ্কু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃতদের গানঃ মৃত্যু হোক দেহ, প্রাণ, মন

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০১

১. বিষণ্ণ রূপকাবলী



শহরে কাঁচের মড়ক লেগেছে। দালানে কাঁচ, চোখে কাঁচ, পকেটে কাঁচ, বাড়িতে বাড়িতে কাঁচ। কিন্তু কি আশ্চর্য, আকাশ সে কাঁচে প্রতিফলিত হয় না! কাঁচ ভেদ করে রোদ আসে, কাঁচ ভেদ করে চলে যায়। কিন্তু শহরের মানুষ রোদ দেখে না। তারা দেখে, তারা ফিসফিস করে, 'আমার টিভির স্ক্রিনে টিকটিকি বসেছে'..বলে, 'দেখো দেখো, মশারির ভেতরে উড়ন্ত মশা কি অদ্ভুত দেখায়!



এদিকে শহরের রাস্তায় রণপা চড়ে যে হাতিরা এসেছিল, তাদের দাঁতে মরচে ধরে যায়। রোদভরা কাঁচ গরম হয়ে ফেটে যায়, ভাঙা কাঁচের দল তাঁদের শুঁড় কেটে দেয়। দশ-বারটা কাঁচখেকো দানব এসে সেই উষ্ণ লাল চাটে। হাতিরা রক্ত-নিঃশ্বাস ছেড়ে লুটিয়ে পড়ে। শহরের গলি হাতড়ে বেড়ানো যুবতী কানা ফুলওয়ালি তাতে ভীষণ বিপর্যস্ত, নর্দমার পানিকে ভুল করে সে হাতিদের শোণিতপ্রবাহ ভাবে। সেখানে চুবিয়ে রাখে সাদা অর্কিড।



তখনি মুড়িঅলা আসে। হ্যামেলিনের পাইড পাইপারের মত সে ডাকে সবাইকে। তারপর সব কেজো লোকদের মুড়ির টিনে ভরে হাঁটা দেয় শ্বাপদসংকুল কংক্রিট-অরণ্যের দিকে। বাকিরা তখনো টিকটিকির ওপর বিরক্ত।



তারপর। তারপর নুইয়ে পড়া অশ্বত্থ গাছ বেয়ে বেড়াল ওঠে। অগ্নিপাটের শাড়ি পরে প্রকৃতি নর্দমার পাড় ধরে হাঁটতে গিয়ে পা মচকে ফেলে। জানালাহীন সব কক্ষপথে ক্লান্ত তৎপরতা দেখা দেয়। মাংসখেকো প্রজাপতিরা নীলাভ ঘাসে মুখ মুছে ভরতপাখির গান গায়, আর ভাঙা শহরের সেই শব্দ আমার ঘুম ভেঙে দেয়।



বাস্তুভিটে এই পৃথিবীতে আমি কখনো কুয়োর ঠাণ্ডা জল চাই নি, চাই নি বইয়ের কান- গানের দৃষ্টি, চাই নি মৃত্যুর গন্ধ বুকে নিয়ে বয়ে আসা নদীর সংস্পর্শ। মানুষের শোচনার শব্দ এখনো বড় কানে লাগে, এখনো বিমূঢ় ভিড়ের ডাক আশ্চর্য নিঃসঙ্গ।



না। মগ্ন শৈলের মাতাল সবুজ আমার উদ্দিষ্ট ছিল না।



আমি চেয়েছিলাম অগণিত নিরব বিকেলের যাযাবর হতে, চেয়েছিলাম গাছের পাতার হলুদ হয়ে উল্কার মত ঝরা দেখতে। শুধু দেখে যেতে। কিন্তু দুর্বল একটা শক্তি আমাকে পদ্মফোটা বিল থেকে দূরে রাখে, দুখুর হাওয়ায় মেঘের কুকুর আর ছোটে না, আমাকে অশ্লীল অশ্রাব্য বাস্তবে বেঁধে রাখে। গ্রীষ্মের গোধূলিতে বৃষ্টি তখন খুব থার্ডক্লাস ট্রেনের কামরার অনুভূতি যোগায়। আমি নিজের সূর্যে ফিরতে পারি না।



আঁধার নেমে এলে, অভ্যাসবশতঃ হাড়ের স্রোতে ভেসে প্রিয় সঙ্গী আসে, প্রত্যহের মত। হাজার দিনের পরিচিত অনুভব, গোল তাঁবুর মাঝে সৃষ্টিহীন প্রসন্নতা। আমার সময় কাটে না। যে ভাবে জাহাজের খালাসি সরু চোখে দূরে মাটি খোঁজে, তেমনি প্রচণ্ড অপেক্ষায় বিস্বাদ মুখে চাঁদটাকে ক্যানভাসের টুকরো বানিয়ে ছিঁড়ি, ফর..ফরর....



অন্ধ রাতে এই মিথ্যে বন্দর আমার আর ভালো লাগে না।



২. নিঃশঙ্ক পলায়ন



বাজারের ব্যাগটা রাখতেই একগাদা কাজ

এসে পড়ে, উদাস হাত নাড়ানিতে সাব্যস্ত করি––

করব না। বাসি চা এবং বাসি কাগজের ভাঁজ

খুলি। একগাদা মগজ ও খুলি লেপটে থাকে

পাতায়, ক'লাইন পড়তেই ঘেন্না, ইস! কি লিখেছে!

দৌড়ে বাইরে যাই––বমি বমি চোখে ঘোলা লাগে

ঘরওয়ালির শাসানি সহ্য হয় না, রাস্তা মুখি

হই। ল্যাম্পপোস্টের ঘষাটে হলুদ আলোতে সব

কাগজ সাদা দেখায়, আমরা সবাই খুব সুখি

এবং সংগঠিত মানবগোষ্ঠী। ক'টা স্কুলব্যাগ কাঁধে

বাচ্চা গেল, আরে! এখন তো সকাল কেবল!

গোষ্ঠী ভেঙে যায়, উবু হয়ে বিড়ি–টা তুলতে বাধে,

সকাল তো, কেউ দেখে ফেলে যদি, এই আমি

সিগ্রেট ছেড়ে বিড়ি টানতে পারি––হঠাৎ দুটো

পুতুল মেয়ে, পাশ কাটিয়ে বলল, ইস কি দামি

ফতুয়া পরেছেন, নিশ্চয়ই আড়ং থেকে কেনা?

আমি ওদের মুখে বিড়ি ছুঁড়ে মারলাম, যাঃ!

ছুঃ ছুঃ, হ্যাট হ্যাট––কেউ না, আমি তোদের কেউ না।



শহর থেকে এক ছুট্টে পালিয়ে এলাম।



৩. দিনগুলি



বৃন্তচ্যুত শিউলি আবার ডালে উঠবে জানি

––––––শুধু এ পথ দিয়ে

আর

–––যাওয়া

––––––হবে না।

এই সর্বপ্রথম, সর্বশেষ এবং

––––––সর্বশ্রেষ্ঠ।

সৌন্দর্য অবলোকন যাত্রাপথে একবার মাত্র।

আমাদের

––পর প্রজন্ম

––––জানবে না

––––––––শিউলি

––––––কাকে বলে।

তাদের সর্বাঙ্গে শুধু আতঙ্ক মিশ্রিত অবাক বিস্ময় :

এই

––ফুলগুলো

––––প্রতি ভোরে

–––––––ঝরে পড়ে

কেন?

মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১০

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: প্রথম ভালো লাগা!!!

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, (আপনি এত ফাস্ট!)!!

ইয়ে, পুরোটা পড়েছেন তো?

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৪

কালো_সাদা বলেছেন: "...আমাকে অশ্লীল অশ্রাব্য বাস্তবে বেঁধে রাখে। "
দারুন হয়েছে !

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কবিতা বা গদ্যপদ্য আমি ভাল লিখতে পারি না, না ভেবেই লিখে ফেলি। না-ভাবা কাব্য আপনার ভাল লেগেছে শুনে শান্তি পেলাম।

৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৬

মামুন রশিদ বলেছেন: কিছু বলার নেই, শুধু একগুচ্ছ ভালোলাগা রেখে গেলাম ।


+++++++++++++++++++

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় মামুন রশিদ, অনেক ধন্যবাদ জানবেন।

বেশ কতক দিন পর পোস্ট দিতে পেরে দারুণ ভাল লাগছে।

৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৬

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: বাহ! চমৎকার। আপনার শব্দচয়ন খুবই সুন্দর।
আমাদের পর প্রজন্ম জানবে না শিউলি কাকে বলে। তাদের সর্বাঙ্গে শুধু আতঙ্ক মিশ্রিত অবাক বিস্ময় : এই ফুলগুলো প্রতি ভোরে ঝরে পড়ে কেন?

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার গল্পটাও ভাল লেগেছে:)

প্রশংসা গৃহীত হল।

৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩০

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
২য়টা খুব ভাল হয়েছে...... মানে ২য়টা বুঝতে পেরেছি আর কি! বাঁকি দুটার থিম ধরতে পারিনি। তবে সুখপাঠ্য ছিল নিঃসন্দেহে।

ভাই আপনি কই ডুব দিছিলেন বলেন তো? খুব বেশি ব্যাস্ত ছিলেন নাকি নেটওয়ার্কের বাইরে কোথাও থেকে ট্যুর দিয়ে আসলেন?

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: তিনটাই শহরকে কেন্দ্র করে লেখা। তিনটা কবিতায় তিনটা দিক দেখানোর চেষ্টা করেছি।

আমি একটু দৌড়াদৌড়ির মাঝে পড়ে গিয়েছিলাম। নেটওয়ার্কের ভেতরেই, কিন্তু 'দৌড়াদৌড়ি ট্যুর' বলা যায়। এখন নিয়মিত হব আবার।

আপনার 'সত্যের বীজ' গল্পটা মুগ্ধ করেছে। সামনে কি নতুন গল্প দিচ্ছেন নাকি?

৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১০

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আজ সেহরির আগে ঘুমাব না ঠিক করেছি। রাত জেগে লিখব। যদি লেখা শেষ করতে পারি তাহলে কালকেই পোস্ট দিব আশারাখি। :) সাইফাই লিখতেছি বেশ কিছুদিন পর।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: রাত জেগে লেখা- জিনিসটার অন্যরকম স্বাদ আছে:)

সাইফাই লিখছেন শুনে একটা কথা মনে হল। দু'একজন অখ্যাত লেখকের সা ফি পড়ে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তাদের গল্পে নতুনত্ব ছিল না, কিন্তু তারা অন্য একটা কাজ করেছিলেন - এধরনের গল্পে যে ধরণের ইংরেজি শব্দগুলো ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে সরিয়ে তাদের সমার্থক সুন্দর সুন্দর বাংলা শব্দ ব্যবহার করেছিলেন। পড়ার সময় ওই শব্দগুলো বারবার নজর কেড়ে নিচ্ছিল।

সামনের গল্পে হয়তবা নয়, কিন্তু পরবর্তী সাইফাই গল্প লেখার সময় এই বিষয়টা ভেবে দেখতে পারেন। আপনার লেখনিতে সেই ক্ষমতা আছে- জটিল শব্দকে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে পারা।

শুভকামনা রইল।

৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২০

সায়েম মুন বলেছেন: তিনটেই স্পর্শ করলো। আপনি যথেষ্ঠ ভাল লিখেন। চালিয়ে যান লেখালেখি।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাদের উৎসাহ-ই ব্লগে যাতায়াত বজায় রাখতে প্রলুব্ধ করে। খুশি হলাম:)

৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চমৎকার !

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ!

৯| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪১

এরিস বলেছেন: তারা দেখে, তারা ফিসফিস করে, 'আমার টিভির স্ক্রিনে টিকটিকি বসেছে'..বলে, 'দেখো দেখো, মশারির ভেতরে উড়ন্ত মশা কি অদ্ভুত দেখায়!


তারপর সব কেজো লোকদের মুড়ির টিনে ভরে হাঁটা দেয় শ্বাপদসংকুল কংক্রিট-অরণ্যের দিকে। বাকিরা তখনো টিকটিকির ওপর বিরক্ত।



ভাঙা শহরের সেই শব্দ আমার ঘুম ভেঙে দেয়।



কিন্তু দুর্বল একটা শক্তি আমাকে পদ্মফোটা বিল থেকে দূরে রাখে, দুখুর হাওয়ায় মেঘের কুকুর আর ছোটে না, আমাকে অশ্লীল অশ্রাব্য বাস্তবে বেঁধে রাখে। গ্রীষ্মের গোধূলিতে বৃষ্টি তখন খুব থার্ডক্লাস ট্রেনের কামরার অনুভূতি যোগায়। আমি নিজের সূর্যে ফিরতে পারি না।


যে ভাবে জাহাজের খালাসি সরু চোখে দূরে মাটি খোঁজে, তেমনি প্রচণ্ড অপেক্ষায় বিস্বাদ মুখে চাঁদটাকে ক্যানভাসের টুকরো বানিয়ে ছিঁড়ি, ফর..ফরর....





এই
––ফুলগুলো
––––প্রতি ভোরে
–––––––ঝরে পড়ে
কেন?



অনেক অনেকবার পড়েছি আপনার এই লেখাটা এতক্ষণ। আমার মতো নগণ্য মানুষের সাধ্য কি আপনার সৃষ্টি বোঝে!! কিছু কথার মর্ম নিজের মতো করে বের করে নিয়েছি, কিছু পারিনি। সাধারণত না বুঝার জিনিসগুলো আমার মগজে সেভ করতে পারিনা। আশ্চর্য লাগছে, লেখাগুলো আমি মনে রাখতে পারছি। একটা অদ্ভুত ছন্দ আছে। সবটা পড়ে নিলে মনে হয় ডুবে যাচ্ছি কোথাও, প্রতি রাতে দোলনায় চড়তে চড়তে যেমন ঘুমের দেশে চলে যাই, ঠিক তেমন। ভালোলাগার একটা প্রিয় বিষণ্ণতা ভর করেছে সমস্ত শিরায় উপশিরায়। ডায়রিতে তুলে রেখেছি, যেন সময়ে অসময়ে আবার আবার ডুবে যেতে পারি।
ছোট একটা কথা, ভালোলাগা , দিয়ে আমি আমার সব ভালোলাগা বুঝাতে পারছিনা এই মুহূর্তে।
আমি অবাক আনন্দিত প্রোফেসর...!!

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এমন মন্তব্যের পর কি আর বলার থাকে! আপনিও লিখে ফেলুন কবিতা, ভাল লিখবেন বোঝা যাচ্ছে। আর সামান্য হয়েও আমি আনন্দিত, এরিস, আপনার ভাল লেগেছে বলে। এইটুকু সম্বল নিয়ে লিখতে পারলে আর কিছুর বোধহয় খুব একটা প্রয়োজন নেই।

সুন্দর কিছু কথার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সুস্থ থাকুন আজীবন।

১০| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫১

রেজোওয়ানা বলেছেন: চমৎকার প্রফেসর!

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাকে পোস্টে পেয়ে উৎফুল্ল লাগছে, রেজোওয়ানা। ধন্যবাদ।

১১| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫২

সোহাগ সকাল বলেছেন: সত্যিই চমৎকার লিখেছেন প্রফেসর!

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থ্যাংকিউ:):):)

১২| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫২

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: সবকটা লেখা দারুন ভালো লাগলো।

আমাদের
––পর প্রজন্ম
––––জানবে না
––––––––শিউলি
––––––কাকে বলে।
তাদের সর্বাঙ্গে শুধু আতঙ্ক মিশ্রিত অবাক বিস্ময় :
এই
––ফুলগুলো
––––প্রতি ভোরে
–––––––ঝরে পড়ে
কেন?

লাইন গুলো অক্ষরে অক্ষরে সত্য !

লেখাগুলোর শিরোনাম গুলো খুব পছন্দ হয়েছে।
সবমিলিয়ে এককথায় বলা যায় অসাধারন :)

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মন্তব্যে উৎসাহিত হলাম।

ধন্যবাদ:)

১৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভাল লাগল প্রফেসর ।
ছিলেন কোথায় এতদিন ?
পরবর্তী গল্প কবে পাচ্ছি ?

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: স্বাগতম, মাহমুদ। কাজের চাপে এই কদিন ব্লগে সময় দিতে পারি নি। এখন কিছুটা সময় পাচ্ছি।

পরবর্তী গল্প দিতে বোধহয় ১০-১২ দিন লাগবে:) আসলে ব্লগে গত কয়েক দিনে আসা অনেক ভাল ভাল লেখা পড়া হয় নি, এ সময়ের মাঝে ধীরেসুস্থে সব পড়ার ইচ্ছে আছে।

আপনার লেখার কি খবর? গল্প দেবেন কবে?

১৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বাহ! কি চমৎকার প্রত্যবর্তন!!!! দারুন এবং দূর্দান্ত।

আমাদের পর প্রজন্ম জানবে না শিউলি কাকে বলে। তাদের সর্বাঙ্গে শুধু আতঙ্ক মিশ্রিত অবাক বিস্ময় : এই ফুলগুলো প্রতি ভোরে ঝরে পড়ে কেন?

কি অসাধারন একটি কথা!!!!!!

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় ব্লগার, ভাল আছেন তো আপনি?

১৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

বাজারের ব্যাগটা রাখতেই একগাদা কাজ
এসে পড়ে, উদাস হাত নাড়ানিতে সাব্যস্ত করি––
করব না। বাসি চা এবং বাসি কাগজের ভাঁজ
খুলি। একগাদা মগজ ও খুলি লেপটে থাকে
পাতায়, ক'লাইন পড়তেই ঘেন্না, ইস! কি লিখেছে!
দৌড়ে বাইরে যাই––বমি বমি চোখে ঘোলা লাগে
ঘরওয়ালির শাসানি সহ্য হয় না, রাস্তা মুখি
হই। ল্যাম্পপোস্টের ঘষাটে হলুদ আলোতে সব
কাগজ সাদা দেখায়, আমরা সবাই খুব সুখি
এবং সংগঠিত মানবগোষ্ঠী। ক'টা স্কুলব্যাগ কাঁধে
বাচ্চা গেল, আরে! এখন তো সকাল কেবল!
গোষ্ঠী ভেঙে যায়, উবু হয়ে বিড়ি–টা তুলতে বাধে,
সকাল তো, কেউ দেখে ফেলে যদি, এই আমি
সিগ্রেট ছেড়ে বিড়ি টানতে পারি––হঠাৎ দুটো
পুতুল মেয়ে, পাশ কাটিয়ে বলল, ইস কি দামি
ফতুয়া পরেছেন, নিশ্চয়ই আড়ং থেকে কেনা?
আমি ওদের মুখে বিড়ি ছুঁড়ে মারলাম, যাঃ!
ছুঃ ছুঃ, হ্যাট হ্যাট––কেউ না, আমি তোদের কেউ না।

শহর থেকে এক ছুট্টে পালিয়ে এলাম।



ভাষা নেই কিছু বলার শুধু প্লাস হবে +++++++++++

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থ্যাংকিউ থ্যাংকিউ:)

আপনার এই কদিনের লেখাগুলো পড়ছি কেবল।

১৬| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:১২

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
অন্ধ রাতে এই মিথ্যে বন্দর আমার আর ভালো লাগে না।


একরাশ ভাললাগা নিয়ে গেলাম।


++++++

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: একরাশ ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:০৯

টুম্পা মনি বলেছেন: অসাধারণ!!!!

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লেখাটা পড়ায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

১৮| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:২৭

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: আমাদের পর প্রজন্ম জানবে না শিউলি কাকে বলে। তাদের সর্বাঙ্গে শুধু আতঙ্ক মিশ্রিত অবাক বিস্ময় : এই ফুলগুলো প্রতি ভোরে ঝরে পড়ে কেন?

কি অসাধারন একটি কথা!!!!!!
সত্যিই!!!


খুব বেশি ভালোলাগলো......:)

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ব্লগে গল্প-ফিচার বাদে এই প্রথম কবিতা দিলাম। আপনাদের কথায় সাহস পাচ্ছি, মাঝে মধ্যে তাহলে কাব্য দেওয়া যায়!

১৯| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:১৭

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ঠিক কিভাবে ভালো লাগা জানাবো বুঝতে পারছি না! সাধারনত কোন লেখার কয়েকটা লাইন চোখে খুব ধরে যায়, গানের সাথে আবছায়া কন্ঠ মেলানর মত লাইনগুলো উদ্ধৃত করতে বেশ লাগে। আপনার এই পোস্ট পুরোটাই আবার মন্তব্যে তুলে ধরতে ইচ্ছে করছে! আজ ছুটির সকাল, আপনার এই অদ্ভুত সুন্দর পোস্ট পড়ে শুরু হল! :)

তারা দেখে, তারা ফিসফিস করে, 'আমার টিভির স্ক্রিনে টিকটিকি বসেছে'..বলে, 'দেখো দেখো, মশারির ভেতরে উড়ন্ত মশা কি অদ্ভুত দেখায়!

শহরের গলি হাতড়ে বেড়ানো যুবতী কানা ফুলওয়ালি তাতে ভীষণ বিপর্যস্ত, নর্দমার পানিকে ভুল করে সে হাতিদের শোণিতপ্রবাহ ভাবে। সেখানে চুবিয়ে রাখে সাদা অর্কিড।


অন্ধ রাতে এই মিথ্যে বন্দর আমার আর ভালো লাগে না!


ছুঃ ছুঃ, হ্যাট হ্যাট––কেউ না, আমি তোদের কেউ না।


বৃন্তচ্যুত শিউলি আবার ডালে উঠবে জানি
––––––শুধু এ পথ দিয়ে
আর
–––যাওয়া
––––––হবে না।
এই সর্বপ্রথম, সর্বশেষ এবং
––––––সর্বশ্রেষ্ঠ।
সৌন্দর্য অবলোকন যাত্রাপথে একবার মাত্র।
আমাদের
––পর প্রজন্ম
––––জানবে না
––––––––শিউলি
––––––কাকে বলে।
তাদের সর্বাঙ্গে শুধু আতঙ্ক মিশ্রিত অবাক বিস্ময় :
এই
––ফুলগুলো
––––প্রতি ভোরে
–––––––ঝরে পড়ে
কেন?


--- অসাধারণ!



ইউ গট দ্য ম্যাজিক পেন প্রোফেসর, শো আস সাম ম্যাজিক! :)


১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কবিতা পোস্টে কবিদের সাথে পেলে খুব ভাল লাগে!

ভাল থাকুন।

২০| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:২৬

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন:



কেমিক্যাল দিকশূন্যতার এক বিকালে,
জড়ভরতের মত রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম।
শরীরের পাশ দিয়ে হুশ হুশ করে,
বের হয়ে যাচ্ছিল যান্ত্রিক শূন্যতার শবদেহ।
তোমাদের সভ্যতায়,
অবনীল তেজস্ক্রিয় সাইরেন বাজাতে বাজাতে
জনপথগুলো কেমন নদী হয়ে
কংক্রিটের পলি ফেলে চলে মাঠ বন পেরিয়ে।
পাখিদের স্বপ্নে সায় জানাবার জন্য-
বৃক্ষের প্রয়োজন নেই কোনো আর,
সিগন্যাল পোস্টের বাতি দেখে,
পথ চলবে হাইব্রীড বুনোহাঁসের ঝাঁক।
টাওয়ার থেকে টাওয়ারে চলবে ব্যাপক,
নীল খামে গোঁজা হৃদয় চালাচালি।
অদেখা স্পর্শের বাইরের অন্তরজালিক সরোবরে,
ডুবতে ভাসতে গোত্তা খাবে সাইবার যুবক যুবতীর দল।
বিলবোর্ডের মেঘের প্রেমে দেখো একদিন,
ফেরারী হবে তোমাদের ঐ সব রিমোট কন্ট্রোল ঘুড়ি,
যদিও তা দেখে হেসে উঠবার মত আর
কোনো কাঠবেড়ালী বেঁচে থাকবে না সেদিন!


আপনাকে কিছু একটা দিতে ইচ্ছে করলো, কবিতা ছাড়া আর কি আছে? কয়েকদিন আগে লেখা এই কবিতাটা আপনার জন্য! :)

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: খাইসে, আমার জন্য কবিতা! উপহারে আপ্লুত হলাম:)

২১| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: বিষণ্ণ রূপকাবলী খুব দারুন লাগছে পড়তে

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার আনন্দই আমার খুশি!

২২| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: প্রায় মাসখানেক পর পোষ্ট দিলেন। ব্লগ ছাড়া আপনাকে খুঁজে পাবার উপায় নাই তাই ভাবছিলাম হারানো বিজ্ঞপ্তি দিবো কিনা। গতকাল মোবাইল থেকেই আপনার লেখা পড়লাম।

বিষণ্ণ রুপকাবলী টা খুব ভালো লেগেছে।

নিঃশঙ্ক পলায়ন -- এটাও ।

ভালো থাকবেন ।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হ্যাঁ, অনেকটা সময় কেটে গেছে। তবে এখন ব্লগে আছি, নিয়মিত।

ভাল থাকুন আপনিও।

২৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার, মুগ্ধ, অনন্য, অসাধারণ !! ভালো লেগেছে পড়তে, অনুভব করতে, অন্ধের মত হাতড়ে হাতড়ে ছুয়ে ছুয়ে দেখতে।

অনেক ভালো লাগা থাকল। সাথে মুগ্ধ বিস্ময় !!

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কবিতা তো এমনই হয়। অনুভূতির সপ্তকাহন আর কি!

ধন্যবাদ জানাচ্ছি, মহামহোপাধ্যায়।

২৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

তুরাগ হাসান বলেছেন: আমি চেয়েছিলাম অগণিত নিরব বিকেলের যাযাবর হতে, চেয়েছিলাম গাছের পাতার হলুদ হয়ে উল্কার মত ঝরা দেখতে। শুধু দেখে যেতে। কিন্তু দুর্বল একটা শক্তি আমাকে পদ্মফোটা বিল থেকে দূরে রাখে, দুখুর হাওয়ায় মেঘের কুকুর আর ছোটে না, আমাকে অশ্লীল অশ্রাব্য বাস্তবে বেঁধে রাখে। গ্রীষ্মের গোধূলিতে বৃষ্টি তখন খুব থার্ডক্লাস ট্রেনের কামরার অনুভূতি যোগায়। আমি নিজের সূর্যে ফিরতে পারি না।



.
.

.
/
.
আমার মনের সাথে মিলে গেছে :(

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কি আশ্চর্য! কতগুলো শব্দ মনের মিল প্রকাশ করে দিল কি নির্দ্বিধায়!!

২৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: রূপকগুলো সুন্দর।

লেখা ভাল লাগলো। ধন্যবাদ লেখককে।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনি অন্যদের লেখায় আসছেন দেখে ভাল লাগল। ব্লগে এই কাজটা করা আবশ্যক।

ধন্যবাদ আপনাকেও।

২৬| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ, ভালোই আছি আমি। আপনার এই লেখাটা বেশ ভালো লেগেছে দেখে, আবারও পড়তে এলাম। :)

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আবার পঠনে প্রথম বারের মত ভাল লাগুক, এই কামনা করছি:)

২৭| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: সবগোলোই সুন্দর। বিশেষ করে প্রথমটা। অসাধারণ কিছু মেটাফোরের মিশ্রণ লেখাটাকে অনবদ্য করে তুলেছে।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার কমেন্ট বরাবরই বিশেষ কিছু। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।

২৮| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বিষন্ন রূপকাবলী বেশি ভাল লাগলো,,,,,

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: রূপক আমারো খুব পছন্দ....

২৯| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৮

সানড্যান্স বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কুর কাচে এরকম বিষয় আশা করিনি! টাশকিত!++

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এই আর কি, কবিতা লেখার অপপ্রয়াস করে দেখলাম। প্লাস পেয়ে আনন্দিত!!

৩০| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: গল্প দিলাম :)
দেখি আপনি কি বলেন :)

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ছি....

৩১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: খুব ভাল লাগলো! খুব....

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ জানাচ্ছি কবি (আমি শুধু আপনার কবিতা পড়েছি, তাই কবিই বললাম )

৩২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

অদৃশ্য বলেছেন:




প্রোফেসর


অত্যন্ত সুন্দর লেখা...
তিনটি লেখাই আমার কাছে দারুন লেগেছে...

ঘোরলাগা সময়ের সাথে বাস্তবতার মিশ্রনে লিখাটি খুবই সুন্দর হয়ে উঠেছে...

এভাবে মাঝে মাঝে কবিতা দিয়েন আমাদের জন্য...

শুভকামনা...

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অদৃশ্য...

ধন্যবাদ জানবেন। কবিতা লেখাটা একটা নেশা....বেরিয়ে আসা কঠিন। চেষ্টা থাকবে তবু। দেরিতে উত্তর দেওয়ায় কিঞ্চিৎ লজ্জিত।

৩৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০২

তীর্থক বলেছেন: লেখাটা কালকেই পড়েছি। আজ আবার মন্তব্য করার জন্য পড়লাম।

যতক্ষন পড়েছি ভালো লেগেছে। কিন্তু যখন পড়া শেষ হয়েছে তখন নিজেকে ভিষন ক্ষুদ্র আর ভিষন নগণ্য মনে হয়েছে। এমন সুন্দর লেখা পুরোপুরি হৃদয়ঙ্গম করার জন্য যতটা যোগ্যতা লাগে তা আমার নেই।

কাক বাসা বাঁধতে জানে,
যে ডালে কাক বাসা বাঁধে, সেই ডালে ককিল বসে কি?
ককিল'কে ত বাসা বাঁধা শেখায়নি,
আচ্ছা, ককিলরা রাতে কোথায় ঘুমায়?

"তাদের সর্বাঙ্গে শুধু আতঙ্ক মিশ্রিত অবাক বিস্ময় :
এই
––ফুলগুলো
––––প্রতি ভোরে
–––––––ঝরে পড়ে
কেন?"

+

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পাঠকের অনুভূতির মূল্য কবির কাছে সর্বাপেক্ষা বেশি। লেখা কখনই সুন্দর হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না পাঠক অনুভব করবেন। আপনি অনুভব করেছেন, তাই আ্পনাকেই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ভাল থাকুন।

৩৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪

এরিস বলেছেন: আবার আসলাম প্রোফেসর সাহেব।
অসাধারণ।
বিধাতা আপনাকে শব্দের যাদুকর করে হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখুক ।

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমি আপনার জন্য শুভ কামনা করি। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন। ভাল থাকুন এরিস।

৩৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

বোকামন বলেছেন:




প্রোফেসর সাহেব কেমন আছেন ?
ব্যস্ততার কারণে দেরীতে হাজির হলাম।।
দারুণ হয়েছে লেখাটা। হালকা তবে নিবিড় অনুভূতি ! চমৎকার

খুব ভালো লেগেছে :-)

এই লাইনটাতে কেউ ভাবছে কি ??

যে_ভাবে জাহাজের খালাসি সরু চোখে দূরে মাটি খোঁজে"

ভালো থাকুন, খুব ভালো :-)

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বেশ চমৎকার আছি বোকামন।
পোস্টে এসেছেন এতেই আনন্দ, সময় কোন ব্যাপার না।

ধন্যবাদ।

না, কথাটা 'যেভাবে' হবে। আপনার দৃষ্টিশক্তি বেশ ভাল।

ভাল থাকুন চিরন্তন।

৩৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

জোবায়েদ-অর-রশিদ বলেছেন:
মৃতদের গান জীবিত করে তুলতে শাণিত লেখনীর প্রয়োজন হয়। প্রশংসা একজন লেখক’কে কতোটা অনুপ্রাণিত করে অথবা বিড়ম্বনায় ফেলে দেয় বলাটা মুশকিল। তবুও পাঠক আমি প্রশংসা যে করতেই হয় এহেন লিখা পাঠ পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় ....

যে ভাবে জাহাজের খালাসি সরু চোখে দূরে মাটি খোঁজে, তেমনি প্রচণ্ড অপেক্ষায় বিস্বাদ মুখে চাঁদটাকে ক্যানভাসের টুকরো বানিয়ে ছিঁড়ি, ফর..ফরর....

মুগ্ধতার বাইরেও কিছু বোধ কতিপয় ভাবনা আর একটি প্রজন্ম নিয়ে গেলাম। প্রিয়তে ...

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার কথায় অনুপ্রাণিত হলাম অনেক।

কোন লেখা পাঠকের মনে যদি সামান্য একটা প্রশ্ন, একটু-আধটু অনুভূতির জন্ম দিতে পারে, তাহলে সেই লেখাটি আবর্জনা হয়নি বলা যায়। আপনার কমেন্টে আরও আশ্বাস পেলাম। ধন্যবাদ জানাচ্ছি হৃদমাঝার থেকে।

শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.