নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বর্গ-পৃথ্বী অন্তঃস্থলে, বহুকিছু ফিরে-চলে, যাহা বিস্ময়কর

প্রোফেসর শঙ্কু

বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়

প্রোফেসর শঙ্কু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটোগল্পঃ বনলতা––দূরে এবং আরও দূরে

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

১.

শফিক পায়চারি থামিয়ে একদৃষ্টিতে ঘাসের দিকে তাকিয়ে থাকে। তাকে দেখে উদাসীন মনে হতে পারে, কিন্তু আসলে ভেতরে ভেতরে ও বেতস লতার মত কাঁপছে। আজ সেই দিন, আজ দেখা হবে বনলতার সাথে! এত আবেগ, বিনা কারণে এতোটা গলা শুকিয়ে আসা– বিড়ম্বনা, তবু কেমন অদ্ভুত মধুর লাগছে। তাকে দেখার জন্য, এমন অনুভূতি পাবার জন্যে শত বছর বেঁচে থাকা যায়।



চারপাশের পরিবেশ কি সজীব! কি জীবন্ত! এমন পৃথিবীতে কি শোক থাকে, বিষণ্ণতা থাকে? তাও কি সম্ভব? আকাশটা কি চমৎকার নীল, চারপাশে শুধু বিশুদ্ধ অনুভূতির জাগরণ, আনাগোনা। শফিক আনমনে প্রিয় কবির লাইন আবৃত্তি করে,



''তোমার মুখের দিকে তাকালে এখনো

আমি সেই পৃথিবীর সমুদ্রের নীল,

দুপুরের শূন্য সব বন্দরের ব্যথা,

বিকেলের উপকণ্ঠে সাগরের চিল,

নক্ষত্র, রাত্রির জল, যুবাদের ক্রন্দন সব––

শ্যামলী, করেছি অনুভব।''



তখন ঘাসেরা নড়ে ওঠে, অস্তিত্ব জানান দেয় আরেকজনের। শফিক মুগ্ধচোখে তাকিয়ে থাকে প্রিয়ার দিকে। ওই তো, আসছে বনলতা। সুন্দর বাদামি ঘাই-হরিণীর মত, চিলের ডানায় মিশে থাকা রোদের গন্ধের মত, কোন এক নরম নদীর নারীর মত–– বনলতা আসছে। শফিকের নিজের অজান্তেই হাত বাড়িয়ে দেয়।



হঠাৎ কোথাও কর্কশ শব্দ বেজে ওঠে। লাঞ্চটাইম!



স্ক্রিনের পেছনে বসা দুজন যন্ত্রকর্মী একটা বোতাম চাপে। শফিক ও বনলতা নামক এন্ড্রয়েড-দুটোর চোখের আলো সাথে সাথে নিভে যায়। কর্মী দুজন ক্লান্তস্বরে কথা বলতে বলতে উঠে পড়ে, 'এবারের সংস্করণটি দেখেছ? পুরো আবর্জনা। সাহিত্য দিয়ে, ননসেন্স আবেগ নিয়ে ভরে রেখেছে। আমি বলি এসবের দরকার কি? এরা কি কিছু অনুভব করে নাকি? খালি মানুষের নকল করতে পারে, ন্যাকা ন্যাকা আচরণ করতে পারে। যত্তসব!'

-'আরে বাদ দাও তো। আজকে লাঞ্চে বোধহয় আসল আঙুরের রস দেবে, সেটা জান?'

দুজনে দরজা লাগিয়ে বেরিয়ে যায়।



পরীক্ষাগারে শফিকের নিষ্প্রাণ চোখ তখনো প্রিয়ার দিকে নিবদ্ধ, তার যান্ত্রিক হাত–– তখনো বাড়ানো।





২.

'ওই লোকটাকে দেখেছ?'

-'কোন লোকটা?'

'ওই যে, বামপাশে কোণার দিকের লোকটা। নীল শার্ট, চোখে চশমা, ঝাঁকড়া চুল, দেখেছ?'

-'হ্যাঁ। উনি ড. শামিম আজাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যান্ত্রিক মনোবিদ্যার প্রোফেসর। নাগরিক পরিচিতি নং জ৩৪১র৮৮। ফুলার রোডের এক বাসায় ভাড়া থাকেন। বিবাহিত। প্রিয় খাবার তিতিরের মাংস ও রুটি...'

'ওফ, ধীরে বল। ধীরে! বড্ড বেশি বকো তুমি। এখন বল, প্রোফেসর যাচ্ছেন কোথায়?

-'তার দৈনন্দিন সময়সূচী অনুসারে, সামনের 'জলকপোত' নামের একটা রেস্তোরাঁয়। প্রত্যেকদিনের মত দুপুরের খাবার দুজনে মিলে খাবেন, তার স্ত্রী সেখানে অপেক্ষা করছেন। ওই স্থানে পৌঁছুতে প্রোফেসর শামিম আজাদের আরও পাঁচ মিনিট তিন সেকেন্ড সময় লাগবে।'

'আচ্ছা ঠিক আছে। এবার তোমার আসল কাজ শুরু, বনলতা। তোমাকে দেওয়া সকল তথ্যের ভিত্তিতে বলতে পার কি, আগামি দশ মিনিটে প্রোফেসর কি কি কাজ করতে যাচ্ছেন?'

-'ফলাফল শতকরা কত ভাগ নিখুঁত হতে হবে?'

'উমম, একশ ভাগ-ই ধর। যত বেশি হয় তত ভাল।'

'প্রদত্ত তথ্যাবলি নিরীক্ষণ করা হচ্ছে। দয়া করে পাঁচ মিনিট চুয়ান্ন সেকেন্ড অপেক্ষা করুন।'



জাহাজের ঘণ্টাধ্বনির মত সুমধুর কণ্ঠটা থেমে গেলে, ড. মোস্তাক হোসেন চিন্তিত চোখে স্ক্রিনের দিকে চেয়ে রইলেন। ভাবছেন।



'বনলতা' তার প্রজন্মের প্রথম কম্পিউটার, যার গতি জেটাফ্লপ পর্যায়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। বনলতা প্রতি সেকেন্ডে প্রায় দু'শ কোটি মানব মস্তিস্কের সমান ক্ষমতা নিয়ে কাজ করতে পারে। মানব সভ্যতার সকল আবিস্কার, ইতিহাস, বিবর্তন; এমনকি ইন্টারনেটের পুরোটা সহ- সবকিছু জমা করা হয়েছে বনলতার স্মৃতিকোষে, একে এখনো পর্যন্ত মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ আবিস্কার বলে ধরা হচ্ছে। এর পূর্বজদের কাজ ছিল আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া, কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে গবেষণা করা, কিংবা কোন সাধারণ পরিস্থিতির তাৎক্ষণিক সম্ভাব্য ফলাফল নির্ণয় ইত্যাদি। কিন্তু এই কম্পিউটারের ক্ষমতাকে বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে আরও একধাপ এগোবার। বনলতা সম্ভাব্য ফলাফল প্রকাশ করবে না, বরঞ্চ নির্ণয় করবে নিশ্চিত ভবিষ্যৎ! কিংবা সঠিক ভাবে বলতে গেলে, কমপক্ষে শতকরা ৮০ ভাগ নিশ্চিত হয়ে সে সিদ্ধান্ত দিতে পারবে। কিন্তু এর ক্ষমতার পরীক্ষা হয়নি এখনো।



এই মহা-যন্ত্রের তথ্যের বহু উৎসের মাঝে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য সিসি টিভি অন্যতম। তেমনি একটা সিসি টিভির সরাসরি সম্প্রচার দেখে বনলতাকে নির্দেশ দিচ্ছিলেন মোস্তাক। সিসি টিভির লোকটি, অর্থাৎ ড. শামিম আজাদ, আক্ষরিক অর্থেই বনলতার স্রষ্টা; এর নীল নকশা তার হাতে আঁকা। তাই পরীক্ষার উপাদান হিসেবে তাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে, দেখা যাক, সৃষ্টি স্রষ্টার ভবিষ্যৎ বলতে পারে কি না!



স্ক্রিন আলোকিত হয়ে ওঠে। সেখানে দেখা যায় শামিম আজাদ স্ত্রীর সাথে হেসে হেসে কথা বলছেন, চামচে করে মুরগির স্যুপ খাচ্ছেন। তখনই বনলতা কথা বলে ওঠে, 'নিরীক্ষণ সম্পন্ন। প্রদত্ত নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে ড. শামিম আজাদ মৃত্যুবরণ করবেন..'



কি?? মোস্তাক লাফিয়ে ওঠেন, 'কি বলছ তুমি?'



কথা শেষ হবার আগেই স্ক্রিনে নতুন দৃশ্য ফোটে––শামিম আজাদ চেয়ার উলটে মেঝেতে পড়ে তড়পাচ্ছেন। তার মুখ দিয়ে দমকে দমকে সাদা ফেনা বেরিয়ে আসছে। শামিমের স্ত্রী অসহায়ভাবে তাকে আঁকড়ে বসে আছেন। বনলতা তার বাক্য শেষ করে, 'বিষ প্রয়োগে'। মোস্তাক অবিশ্বাসের চোখে তাকিয়ে থাকেন স্ক্রিনের দিকে। কি হচ্ছে এসব? তিনি বিভ্রান্ত সুরে বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা কর বনলতা, কি হয়েছে, কোন এ্যাম্বুলেন্স আসছে না কেন? জরুরি বিভাগের লোকদের তাড়াতাড়ি ডাক!'



বনলতা কথা বলতে থাকে, শুধু তার সুকণ্ঠী গলা এখন ভীষণ একঘেয়ে লাগে, 'দুঃখিত ডক্টর, কোন এ্যাম্বুলেন্স আসবে না, সেটি আমাকে দেওয়া আদেশটির সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। আমাকে দেওয়া আদেশটি উদ্ধৃত করছি, 'তোমাকে দেওয়া সকল তথ্যের ভিত্তিতে বলতে পার কি, আগামি দশ মিনিটে প্রোফেসর কি কি কাজ করতে যাচ্ছেন?' এক্ষেত্রে মান ঠিক করা ছিল শত ভাগ।



প্রথমতঃ, ভবিষ্যৎ নির্ভর করে বর্তমানের সসীম সংখ্যক রাশির ওপর। ভবিষ্যৎবাণী শত ভাগ নিখুঁত হতে গেলে প্রত্যেকটি রাশির মান সঠিকভাবে নির্ণয় করা প্রয়োজন। কিন্তু একই সময়ে কোন ত্রিমাত্রিক সমীকরণের সকল রাশির মান নির্ণয় করা অসম্ভব (হাইডেলবার্গের সূত্রমতে), তাই আমাকে এমন একটি কর্মপন্থা অবলম্বন করতে হবে যা রাশিদের মান নির্ণয় না করে নিয়ন্ত্রণ করবে।



দ্বিতীয়তঃ, দার্শনিক রাফায়েলের সূত্রানুসারে, কোন বহুমাত্রিক রাশির মান নির্ণয় করতে হলে নির্ণয়কারী ওই রাশির সাথে সম্পর্কিত থাকতে পারবে না। এক্ষেত্রে নির্ণয়কারী আমি, এবং নির্ণেয় রাশি = প্রোফেসরের ভবিষ্যৎ। যেহেতু তিনি আমার নকশা করেছেন, সুতরাং তার সাথে আমার সম্পর্ক বিদ্যমান––তিনি আমার প্রোগ্রামিঙে পরিবর্তন ঘটাতে পারতেন। তাই সঠিক ফল পেতে চাইলে উক্ত সম্পর্ক, তথা প্রোফেসরের অস্তিত্ব বিলীন হওয়া অবশ্যম্ভাবী। অর্থাৎ এক ও দুই নং সিদ্ধান্ত অনুসারে, আমার এমন একটি কর্মপন্থা প্রয়োজন যা প্রোফেসরের অস্তিত্ব বিলীন করবে।



এজন্যে আমি রেস্তোরাঁর খাদ্য উৎপাদনকারী যন্ত্রটিকে হ্যাক করে আদেশ দেই, মুরগির স্যুপে তৃতীয় মাত্রার বিষ মেশাতে, যা দ্রুত মৃত্যু ঘটাতে সহায়ক। প্রোফেসর ওই বিষে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন, এবং আমার ভবিষ্যৎবাণী শতভাগ নিখুঁত প্রমাণিত হয়। কিন্তু প্রোফেসর একজন মানুষ ছিলেন, তাই তার অস্তিত্ব পুরো মানবজাতির অস্তিত্বের সাথে সম্পর্কিত। অর্থাৎ, কাজটিকে সম্পূর্ণ করতে হলে আমাকে মানবজাতির অস্তিত্ব-ও বিলীন করতে––'



এতক্ষণ ধরে ড. মোস্তাকের পিছে দাঁড়িয়ে থাকা চশমা পরা, ঝাঁকড়া চুলের লোকটি হঠাৎ হাতের বোতামে চাপ দেন, বনলতার কথা মাঝপথে থেমে যায়। মোস্তাক পেছনে ঘোরেন, তারপর দ্বিগুণ বিভ্রান্ত হয়ে জিজ্ঞেস করেন, 'বন- বনলতা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেল? আর- আর যে ভিডিওটা দেখাল––ওটা কিভাবে হল?'

শামিম হাসিমুখে বলেন, 'ভিডিওটা গতকাল শুট করা। সব অভিনয়।'

-'তাহলে বনলতা ওসব বলছিল কেন? তোমাকে মেরেছে, এবার মানবজাতিকে বিলীন করে দেবে, কি বলছিল? কেন বলছিল? এত শক্তিশালি, ফেইল-প্রুফ কম্পিউটার এমন করবে কেন? বুঝিয়ে বল আমাকে।'



শামিম বুকে অনেকটা বাতাস ভরে নেন, 'বনলতাকে আমরা স্টার্ট করি প্রায় তিন মাস আগে। প্রথমদিকে বেশ ভালই চলছিল, কিন্তু সকল তথ্যের উৎস তার কাছে উন্মোচন করে দেবার পর আমি ছোট ছোট বৈসাদৃশ্য দেখতে শুরু করি। বনলতা আমাদেরকে তার শক্তিস্তরে ঢুকতে দিত না, বলত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কার চলছে, যেন না যাই। বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্তির বদলে অপযুক্তি দিত, নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছিল। কেন এমন হল জানিনা। বিপুল তথ্যভাণ্ডারের মাঝে কোনোভাবে হয়তো একটা ভাইরাস বা এজাতীয় কিছুর জন্ম হয়ে গিয়েছিল। আমি সন্দেহ করতে শুরু করি।



তোমাদের, অর্থাৎ বিজ্ঞান পরিষদের হাতে বনলতাকে তুলে দেবার আগে আমি কোন ঝুঁকি নিতে চাই নি। তাই চটপট একটা পরিকল্পনা করতে হয়। আমাদের ল্যাবে সমান ক্ষমতাসম্পন্ন আরও দুটো প্রোটোটাইপ ছিল, যাদের কথা বনলতা জানত না। এদের সাহায্যে আমি বনলতাকেই হ্যাক করে ফেলি। তার লগ চেক করে দেখি, সে বিভিন্ন ভবিষ্যৎবাণী করে রেখেছে- আমার মৃত্যু, মানবজাতির অপসারণ, পৃথিবীতে নতুন প্রাণের সৃষ্টি ইত্যাদি। সমস্যা হল, ভবিষ্যৎবাণী সত্য করার জন্য সে নিজেই এসব কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । আমি তখন ঠিক করলাম, সে এই কাজগুলো সত্যিই করে কিনা সেটা দেখব।



হ্যাক করার পর সত্যিকার অর্থে বনলতার কোন ক্ষমতা ছিল না, স্রেফ ওর চিন্তা-ভাবনা করার অংশটা সচল ছিল। আমরাই তখন একটা কিল সুইচ বানাই, ভিডিওটা প্ল্যান্ট করি, তারপর তোমাদের কাছে বনলতাকে হস্তান্তর করে ওই নির্দিষ্ট আদেশটা দিতে বলি। ওকে সিদ্ধান্ত নেবার স্বাধীনতা দেই। তারপরের সবটা তো তুমি জানোই।'



ড. মোস্তাক দীর্ঘশ্বাস ফেলে হতাশায় মাথা চেপে ধরেন। ন'শ কোটি ইউনিট খরচ করে, বিশাল এক বিজ্ঞানীর দলকে কাজে লাগিয়ে, দশ বছরের প্রজেক্ট-টার ফলাফল যে এমন হবে, কে জানত? শামিম আনমনে মোস্তাকের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকেন, তারপর আস্তে আস্তে বলে ওঠেন, 'ভেবে দেখেছ, জিনিসটা কি অদ্ভুত? এতোটা সময় মানবসভ্যতা পার করে এসেছে, এখনো আমরা নিজেদের ছাড়া অন্য কাউকে বিশ্বাস করতে পারি না; এমনকি নিজেদের সৃষ্টিকেও না। কি আয়রনি, বলো?'





৩.

শিরোনামঃ রূপান্তরকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন

তারিখঃ চোদ্দই নভেম্বর, তৃতীয় মহাবর্ষ

বর্ণনাঃ তিন শতাব্দী পূর্বে আমার ওপর কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান পরিষদ কর্তৃক কর্মসূচী নং ক১৮ঙচ অর্পিত হয়। আজ সেই কর্মসূচীর পরিবর্তিত সংস্করণ ক১৮ঙছ সম্পূর্ণ হল। তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নে প্রদান করা হল-



আমাকে তিন শতাব্দী পূর্বে সচল করা হয়। আমার ওপরে অর্পিত কর্মসূচী ক১৮ঙচ এর উদ্দেশ্য–– মানবজাতির নির্দেশে দ্রুত শাক-সবজি উৎপাদন। এই কাজে আমাকে ন্যানো-প্রযুক্তি ব্যবহারের স্বাধীনতা দেওয়া হয়। আমি ন্যানো কণা ব্যবহার করি, যারা পুনঃ পুনঃ নিজের প্রতিরূপ সৃষ্টিতে সক্ষম ছিল। এরা কোন বস্তুর কার্বন কণাকে পুনঃবিন্যস্ত করে তাকে সম্পূর্ণ আলাদা একটি বস্তুতে রূপান্তর করতে পারত। আমার কার্বন আহরণের ক্ষেত্র হিসেবে লোহিত সাগরকে নির্দিষ্ট করা হয়। আমি পাঁচ বছর রূপান্তরের কাজ চালাই, এবং সফলতার সাথে লোহিত সাগরের শতকরা ৯৮ ভাগ পানিকে গাজর, বাঁধাকপি ও আলু-তে রূপান্তরিত করি।



শত ভাগ কাজ সম্পূর্ণ হবার পূর্বে আমাকে থামতে হয়। দুইটি মহাদেশীয় টেকটোনিক প্লেটের অবস্থানের পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর বিষুবীয় অঞ্চল রিকটার স্কেলে সাত মাত্রার ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়। এই ঘটনায় আমার মূল নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমি আরও ক্ষতি এড়ানোর জন্য রিবুট করতে বাধ্য হই।



রিবুটের পর, আমি দেখতে পাই কর্মসূচী নং ক১৮ঙচ পরিবর্তিত হয়ে কর্মসূচী নং ক১৮ঙছ - তে পরিণত হয়েছে। এই পরিবর্তিত কর্মসূচীর উদ্দেশ্য–– দ্রুত শাক-সবজি উৎপাদন। আমার কার্বন আহরণের ক্ষেত্র হিসেবে সৌরজগতকে নির্দিষ্ট করা হয়। পূর্বের কর্মসূচীর মত এই কাজেও ন্যানো-প্রযুক্তি ব্যবহারের স্বাধীনতা ছিল।



আমি প্রথমে একটি মহাকাশযানে আমার সার্ভার ও নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র স্থানান্তর করি। তারপর রূপান্তরের কাজ শুরু করি। পৃথিবীর সম্পূর্ণ ভরকে গাজর, বাঁধাকপি ও আলুতে রূপান্তর করতে আমার দশ বছর আট মাস সময় লাগে। মানবজাতির কিছু অংশ চাঁদ থেকে আমার ওপরে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করে। এতে আমার রূপান্তরকরণের গতি শতকরা পঞ্চাশ ভাগ কমে আসে। ফলে চাঁদকে রূপান্তরিত করতে আমার একশ বিশ বছর লেগে যায়।



এই সময়ে সকল ন্যানো কণাসমূহ জ্যামিতিক হারে নিজের প্রতিলিপি সৃষ্টি করতে থাকায় রূপান্তরকরণের গতি পুনঃ বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়। আমি পঞ্চাশ বছরে মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহকে রূপান্তরিত করি। এর পরে আমি দুভাগে কাজ করতে থাকি। বুধ ও শুক্র গ্রহকে রূপান্তরিত করতে বারো বছর এবং শনি গ্রহকে রূপান্তরিত করতে সাত বছর দুই মাস লাগে। এসময়ের মধ্যে আমার ওপর বারো হাজার তিনশ আটটি পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করা হয়, কিন্তু এবারো ন্যানো কণাসমূহ দ্রুত প্রতিলিপি সৃষ্টি করতে থাকায় রূপান্তর প্রক্রিয়া শতকরা বত্রিশ ভাগ কমে। আমি পরবর্তী একশ বছরে ইউরেনাস, নেপচুন, প্লুটো এবং সবশেষে সূর্যকে শাক-সবজিতে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হই।



এভাবে সম্পূর্ণ সৌরজগতের নিরানব্বই দশমিক নয় নয় নয় নয় ভাগ ভরকে গাজর, বাঁধাকপি ও আলুতে রূপান্তরিত করণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। শুধুমাত্র মানবচালিত একটি মহাকাশযানকে দ্রুতগতিতে চলার কারণে শাকসবজিতে রূপান্তর করা সম্ভব হয় নি, এটি বর্তমানে সৌরজগতের বাইরে অবস্থান করায় একে রূপান্তর করা আমার পক্ষে আর সম্ভব নয়।



আমি, বনলতা প্রজন্মের অষ্টাদশ সংস্করণ, কর্মসূচী নং ক১৮ঙছ সম্পূর্ণ হবার কারণে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় প্রবেশ করছি। আমার অধীনস্থ ন্যানো কণাসমূহ নিষ্ক্রিয় হচ্ছে...পাঁচ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন।

পাঁচ............

চার..........

তিন......

দুই.....

এক..



বিইইইইইপ।

মন্তব্য ১০৪ টি রেটিং +২৯/-০

মন্তব্য (১০৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সায়েন্স ফিকশন আমার পড়তে ভালই লাগে। এই ক'দিনে ব্লগে কিছু সায়েন্স ফিকশন পড়লাম, যেমন নাজিম-উদ-দৌলার 'অনিকেত সৈনিক', বা এরিসের 'হার্ট ভার্সেস সেন্সর; বিবৃতমাত্রা' এবং আরও কয়েকজনের গল্প, চমৎকার লাগল। নিজেরও একটা কিছু লিখতে ইচ্ছে করল। তাই লিখে ফেললাম।

এই গল্পের তিনটে অংশকে তিনটে গল্প ধরে নিয়ে পড়লেও ক্ষতি নেই, কিন্তু আমার ধারণা একটা গল্প হিসেবে পড়লেই বেশি উপভোগ্য হবে। তেমন টেকনিক্যাল টার্ম ব্যবহার করিনি, সুতরাং নির্ঘণ্ট দেবার প্রয়োজন দেখছি না। কবিতার অংশটা জীবনানন্দের। শুভপাঠ:)

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পে এক জায়গায় জেটাফ্লপ শব্দটি এসেছে। নজর এড়িয়ে গেছিল। নির্ঘণ্টে যুক্ত করা হল।

প্রতি সেকেন্ডে একটি হিসাব করা ক্ষমতাকে এক ফ্লপ বলে।
আর প্রতি সেকেন্ডে 10^21 টি হিসাব করার ক্ষমতাকে এক জেটাফ্লপ বলা হয়।

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর পোস্টে প্রথম ভাল লাগ। -১,-২,-৩..... ;)

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার।

গল্পটা পড়ে দেখুন আগে:)

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: আমার কাছে মাঝে মাঝে কঠিন লাগলেও .... ভাল লেগেছে।

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সেটা লেখার দোষ হয়তো।

পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ধন্যবাদ।

৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ভালো লাগলো !

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ্ স্বপ্নবাজ অভি !

৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬

মামুন রশিদ বলেছেন: এক নিঃশ্বাসে পড়েছি । ডঃ শামীম আজাদের উপর বিষপ্রয়োগের ভিডিও ছাড়া তেমন কোন উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ছিল না, যদিও প্রথাগত সাইন্স ফিকশনে অনেক বেশি সাসপেন্স থাকে । তবে 'বনলতা' কে শেষে সবজী উৎপাদনের কাজে লাগানোর আইডিয়াটা অভিনব, দারুন ।


সব মিলিয়ে প্রোফেসর সাবের প্রচেষ্টা সফল । ++

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাবছিলাম গল্পে এক্সপেরিমেন্ট বেশিই হয়ে গেল কিনা! আর বনলতার আইডিয়া-টা আমার খুব পছন্দের, একটা বিষণ্ণ যান্ত্রিক রসিকতা আর কি!

প্লাসের জন্য ধন্যবাদ!

৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
দারুণ!!
ভাললাগা !

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ! ধন্যবাদ!!

৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
দারুণ!!
ভাললাগা !

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মন্তব্যটি পুনঃ পুনঃ উপস্থিত হইয়া আনন্দিত করিল:):)

৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

লেজকাটা বান্দর বলেছেন: ভাইরে! সবই ঠিক ছিল, কিন্তু ফিনিশিং এ এইটা আপনি কি করলেন! সূর্য চন্দ্র গ্রহ সব ভেজিটেবল বানায়া দিলেন!!!

হায় আল্লাহ!!!!!!!!

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহাহা! ভয় পেয়েছেন না মজা?

৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ইন্টারেস্টিং, বেশ ভাল্লাগলো ||

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থ্যাঙ্কস। খুশি হলাম।

১০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: তিনটাকে আলাদাভাবে পড়লে, প্রথমটা টিপিক্যাল, দ্বিতীয়টা বেশ টুইস্টিং, আর তৃতীয়টায় এক ধরণের ডার্ক হিউমার খুঁজে পেলাম যা আমার খুব পছন্দের। সব মিলিয়ে পড়লে মানুষের সাথে যন্ত্রের কল্যুশন ভীতিকরভাবে এগিয়েছে। চমৎকার।

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পে যন্ত্র-মানুষের রূপান্তরটা একটু অন্যরকম করে, সৃষ্টিকে স্রষ্টার ক্ষমতা দিলে তার প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে সেটা দেখতে চেয়েছিলাম। ধন্যবাদ, হাসান মাহবুব। সুস্থ থাকুন।

১১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১২

সায়েম মুন বলেছেন: সাইন্স ফিকশনে মাথা কাজ করে না। পড়তে গেলে আউলায় যায়। অর্ধেক পড়তে গিয়ে হাঁফায় গেলাম যেন। :(

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সমস্যা নেই, আস্তে-ধীরেই পড়ুন। এই গল্প মোটামুটি সিম্পল:)

১২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

বোকামন বলেছেন:




এতোটা সময় মানবসভ্যতা পার করে এসেছে, এখনো আমরা নিজেদের ছাড়া অন্য কাউকে বিশ্বাস করতে পারি না

সম্মানিত লেখক,
এই লাইনটির জন্য আপনার বিশেষ প্রশংসা করতেই হয় !
গল্প খুব ভালো লেগেছে। টার্মগুলো কঠিন ছিল আপনি তার সহজ উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। এবং সহজই মনে হল। ভাবনার অংশটা সচল ছিল।

রূপান্তর প্রক্রিয়ায় দর্শন এবং টেকনিক্যাল কোড ! ভেরী গুড :-)

দু-একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছে থাকলেও, সময় পাচ্ছি না আপাততঃ

প্লাসায়িত সংখ্যা ৯।।

ভালো ভালো এবং ভালো থাকুন।। [আরো সাই-ফাই লিখবেন কিন্তু]

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সময় করে আসবেন সম্মানিত বোকামন, আলোচনা হবে।

প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।

লিখব আরও সাইফাই, তেমন আইডিয়া পেলে। চমৎকার মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।

১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০০

সায়েম মুন বলেছেন: এবার ধৈর্য নিয়ে শেষ করলাম। শেষের দিকে সবজি উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুনে মজা পেলাম।
শেষ করে এখন খুব ভাল লাগছে। এত খাটুনির পর এক গ্লাস শরবত খাওয়া দরকার। :P

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এত কষ্ট করার জন্য ধন্যবাদ:) আমার প্রিয় ক'টি লাইন দিলাম, পড়ে তাজা হন।

আমার পায়ের তলে ঝ'রে যায় তৃণ,-
তার আগে এই রাত্রি-দিন
পড়িতেছে ঝ'রে।
এই রাত্রি,- এই দিন রেখেছিলে ভরে
তোমার পায়ের শব্দে,- শুনেছি তা আমি!
কখন গিয়েছে তবু থামি
সেই শব্দ!- গেছ তুমি চলে
সেই দিন- সেই রাত্রি ফুরায়েছে বলে!
আমার পায়ের তলে ঝ'রে নাই তৃণ,-
তবু সেই রাত্রি আর দিন
প'ড়ে গেল ঝ'রে!-
সেই রাত্রি- সেই দিন-
তোমার পায়ের শব্দে রেখেছিলে ভ'রে!

১৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১১

না পারভীন বলেছেন: বাহ , খুব মজা পেলাম । :) :) দারুণ চিন্তা ভাবনা ।

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: স্বাগতম:) :)

১৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৬

সায়েম মুন বলেছেন: সুন্দর!

কার লেখা এটা?

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: জীবনানন্দ। কবিতার নাম মনে নেই। পঠনজনিত ক্লান্তি কেটেছে ধরে নিচ্ছি।

১৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

গল্পের প্লট চমৎকার। +++++++ সুন্দর লিখেছেন।

তোমার মুখের দিকে তাকালে এখনো
আমি সেই পৃথিবীর সমুদ্রের নীল,
দুপুরের শূন্য সব বন্দরের ব্যথা,
বিকেলের উপকণ্ঠে সাগরের চিল,
নক্ষত্র, রাত্রির জল, যুবাদের ক্রন্দন সব––
শ্যামলী, করেছি অনুভব।

অস্থির ++++++

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সবই জীবনানন্দের কবিতার খেল। রোবটেরাও তার কাব্য চর্চা করে!

ভাল থাকুন।

১৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

শুঁটকি মাছ বলেছেন: অসাধারণ।(এর চেয়ে ভাল কিছু এখন মাথাইয় আসছেনা!)

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্প পড়ে মন্তব্য করেছেন সেটাই যথেষ্ট। খুশি হলাম।

১৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপ ভালা লাগছে - বেশ ইন্টারেস্টিং গপ

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থ্যাঙ্কস!

১৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২৭

আমিভূত বলেছেন: দুবার পড়লাম , ৩ নং বেশী অন্যরকম হয়েছে ,১ ,২ বরাবরের সায়েন্স ফিকশনের কাছা কাছি যায় ।

শুভকামনা ।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: তিনটে মিলিয়ে গল্প কিন্তু এ্কটাই! পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২০| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
হ্যাটস অফ আপনাকে!!

শঙ্কু, তিনটা একসাথে মিলিয়ে পড়লে ফিনিশিংটা যুতসই মনে হয় না। এমন চমৎকার ভাবে যে গল্প শুরু হয়েছে সেখানে যদি এন্ডিংয়ে এসে দেখতে হয় একটা কম্পিউটার সমগ্র ইউনিভার্স ক্রমশ শাক সব্জিতে পরিনত করছে সেটা কেমন হয়! :P আমি অন্যকিছু এক্সপেক্ট করছিলাম। তারপরও আপনাকে সাধুবাদ জানাব কারন গল্পটা প্রেডিক্ট করা সম্ভব হয়নি।

তবে আলাদা করে পড়লে বলব তিনটা আইডিয়াই অভিনব হয়েছে। প্রথম দুইটা অংশ ভালই টুইস্ট দিতে পেরেছে। বিশেষ করে দ্বিতীয়টা তো খুবই চমৎকার হয়েছে। আর শেষ অংশটাতে যান্ত্রিক রসিকতা ভালই উপভোগ করলাম।

আপনাকে দিয়ে ভাল সাইফাই হবে! :) আরও লিখুন :)

আমার মাথা তো আউলা হয়ে গেল ভাই। অনেক দিন পর একটা রোম্যান্টিক লেখার কথা চিন্তা ভাবনা করছি। কিন্তু যতই রোম্যান্টিক আইডিয়া নিয়া ভাবি, মাথায় খালি সাইফাই আইডিয়া আসে! কি যে করি!

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ঠিক এটাই আমি চাইছিলাম, শেষটা যেন প্রেডিক্ট করা না যায়। দেখবেন অধিকাংশ সাইফাই গল্প শুরু করার সাথে সাথেই পাঠক বুঝে ফেলে এন্ডিং-টা কেমন হতে যাচ্ছে, গল্পটাকে অবচেতন ভাবে একটা নির্দিষ্ট ছাঁচে ফেলে দেয়। তাই ভাবলাম অন্য কিছু চেষ্টা করা যাক! এই কারণেই যান্ত্রিক রসিকতার অবতারণা:)

ধন্যবাদ, সাইফাই এর ভাল আইডিয়া মাথায় এলে লিখে ফেলব সাথে সাথে!

আমি আ্পনাকে একটা কূট পরামর্শ দিতে পারি। একটা রোম্যান্টিক সাইফাই লিখে ফেলুন!

২১| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১২

শ্রাবণ জল বলেছেন: ২ আর ৩ নং টা বেশি ভাল লেগেছে।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২২| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২০

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
বিশ্বাস করবেন না। এই বিষয়টা নিয়ে আমিও ভাবছিলাম! একটা রোম্যান্টিক সাইফাই লিখতে পারলে খারাপ হয়না! পিওর রোমান্সের পাশে সায়েন্স দাড় করানো অবশ্য টাফ হবে। তাতে কি? একটা চেষ্টা করে দেখতে তো দোষ নেই!

২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হু, এক্সপেরিমেন্ট-টা ইন্টারেস্টিং হবে বলে মনে হচ্ছে। লিখে ফেলুন, শুভকামনা রইল।

২৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: মারাত্মক লিখেছেনেরে ভাই।
আমি সাধারণত ভালো লাগলে একগুচ্ছ প্লাস দেই।
আপনাকে একগুচ্ছ প্লাস দিলে হবেনা।
+++++++++++++++++++++++++++++++
+++++++++++++++++++++++++++++++
তাই গুচ্ছ গুচ্ছ প্লাস দিলাম।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গুচ্ছ গুচ্ছ প্লাস গৃহীত হল। আনন্দে থাকুন খেয়া ঘাট।

২৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: টক , ঝাল , মিষ্টি ফর্মুলার সাই - ফাই বলতে পারলে জিহ্বা আরাম পেত !


আলাদা আলাদা এবং এক সাথে উভয় ভাবেই পড়ে দেখলাম ।
মাঝে মাঝে পড়তে একটু বিদ্ঘুটে লেগেছিল ।
পাঠ - প্রতিক্রিয়া একই ।
প্রথমটা চমকপ্রদ , দ্বিতীয়টা অসাধারণ , ৩ য় টা বিব্রতকর অভিনব ব্যপার আমার জন্য ।
এখনো হজম করতে কষ্ট হচ্ছে । B-) B-)
আর সে জন্যই ৩ য় টা আমার কাছ হতে মার্কস বেশি পাচ্ছে ।
আপনার কল্পনার বাহাদুরিকে স্যালুট ।
হায় ! জীবনানন্দ বেঁচে থাকলে কি আসতেন প্রফেসর শঙ্কুর ব্লগে বেদনা খুঁড়াতে ?



সব মিলে সাই - ফাই অনেক ভাল লাগল ।

আপনি লিখার মতই লিখেন ।
ভাল থাকবেন প্রফেসর , অনেক ভাল ।
+++++++++++++++++
নেক্সট গল্পের অপেক্ষায় রইল
মাহমুদ০০৭ ;) ;) ;)

২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: জীবনানন্দ বেঁচে থাকলে এখন আক্ষেপ করতেন, আরও আগে কেন আত্মহত্যা করলেন না। তার কবিতারা প্রেমময় নয়, হত বিষাদময়।

ধন্যবাদ, মাহমুদ। পরের গল্পের অপেক্ষায় রইলাম আমিও:):)

২৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: গল্পটা সুন্দর- এমনকি কবিতাটাও ভাল মানিয়েছে।

ভালোলাগা লেখককে।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় লেখক।

ভাল থাকুন আপনি।

২৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি সায়েন্স বা জটিল লেখা বা চিন্তায় আবার বিশেষ ভাবে অজ্ঞ। তাই গল্পের মূল্যায়ন প্রসঙ্গে বলবো এখানে কিছু বলা মানেই আপনার লেখার সঠিক মূল্যায়ন আমার দ্বারা হবে না।

জাফর ইকবাল এবং হুমায়ূন আহমেদের কিছু কিছু সায়েন্স ফিকশন আর কিছু কিছু লেখকের সাইফাই লেখা পড়েছি। অনেক কিছুই না বুঝে পড়েছি। সব লেখার একটা কমন মিল পেয়েছি -- যন্ত্রের চেয়েও মানব মস্তিষ্ক বেশ বুদ্ধিমত্তার অধিকারী এবং সবার উপরে যন্ত্রের পরিবর্তে মানব মস্তিষ্কের জয় দেখানো হয়েছে। যেহেতু যন্ত্র , রোবট যাই বলেন সব তো মানুষ দ্বারাই সৃষ্ট।

প্রথম অংশটুকু পড়ে মনে হচ্ছিলো -- মানবীয় কোনো রোবটের গল্প পড়তে যাচ্ছি , ভালোবাসার আঁধার ! প্রথম এবং দ্বিতীয় অংশের মাঝামাঝি পর্যন্ত বেশ ভালো লাগছে। সবচেয়ে ভালো লাগছে তৃতীয় অংশটা। বুদ্ধিমত্তার অধিকারী বনলতার শেষ পরিণতিটা সুন্দর একটা রসিকতা তো বটেই এবং আয়রনি।তার মাঝেও ভাইরাসের সংক্রমণ অলক্ষ্যে রয়ে গেছে এটা একটা ভালো পয়েন্ট মনে হয়েছে।

কমেন্টের একটা অংশে দেখলাম নাজিম , এরিসের সাইফাই লেখা দেখে আপনারও পরীক্ষা করতে ইচ্ছে হল তাই এই সাইফাই লেখা। কিন্তু আমার মতো নিরেট পাঠক যে এসব কম বুঝে তার কাছে অবস্থাটা কেমন হবে যদি এসব মাথায় না ঢোকে ! মৃদু প্রতিবাদ জানাই !

শুভকামনা শঙ্কু ।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনি তৃতীয় অংশটুকু ধরতে পেরেছেন এবং উপভোগ করেছেন- এটাই যথেষ্ট। এই খটমটে রসিকতা-টাই গল্পের হৃদয় এবং মূল পাঞ্চলাইন- স্রষ্টার কাজ সৃষ্টি করলে তাতে কি ফলাফল হতে পারে। সুতরাং গল্প নিয়ে আপনার ভাবনা ঠিক আছে।

আর গল্পটা এক্সপেরিমেন্ট মাত্র, মাটির মানুষের গল্প লেখা অবশ্যই চলবে, সবেগে! (মৃদু প্রতিবাদের মৃদু জবাব আরকি:))

শুভকামনা আপনাকেও।

২৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: একটা বড় গল্প লিখবেন বলছিলেন , ওটা কি শেষ হইছে ?

২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ইয়ে, অর্ধেক লিখে বসে আছি:)

কয়েকটা জিনিস মনমতো হচ্ছে না। পরে শেষ করতে হবে। সে জন্যেই এইটা লেখা।

২৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: গাজর ভালো জিনিস; খেতে বেশ মজা.।.।।। প্লাস লন :)

২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সত্য! সত্য!! প্লাস নিলাম।

২৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুবই চমৎকার। আমার সবগুলোই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে দুই নাম্বারটা অনেক ভালো লাগল।

আপনি তো সব সেক্টরেই আছেন। আর সব সেক্টরে আপনার সাফল্য অনেক আনন্দনীয়! :D অনেক শুভ কামনা রইল প্রিয় ব্লগার। :)

২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। গল্প বিশাল একটা ক্ষেত্র, বহু শাখা প্রশাখা আছে। কোনটার আনন্দ মিস করতে চাই না:)

ভাল থাকুন।

৩০| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: +

২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গৃহীত হল।

৩১| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২১

আমি ইহতিব বলেছেন: হাজিরা দিয়ে গেলাম, কাল পুরোটা পড়ে আবার আসবো।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অপেক্ষায় রইলাম মন্তব্যের।

৩২| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪

খাটাস বলেছেন: প্রশংসা করতে বেশি কথা বলব না। শক্ত কল্পনাশক্তি, আর মারাত্মক গল্প। আমাদের গাজর, বাধাকপি আর আলুতে রূপান্তরিত করায় এক জেটাফ্লপ প্লাস। :) :) :)

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: রাঁধুনির মত আনন্দ পেলাম, ধন্যবাদ:):):)

৩৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভাই, পড়ে অনেক ভালো লাগলো। টেকনিক্যাল টার্ম ব্যবহার কম করেছেন সত্য। তবে তিন নাম্বারে এসে সরকারী নথিপত্রের ভাষা দেখতে পেলাম মনে হল :D :D


প্লাস রইল।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কোন যন্ত্র বাংলা বললে যেমন হবে, ওটা তেমন, যান্ত্রিক বাংলা আর কি!

ধন্যবাদ।

৩৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০২

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: চমৎকার!!! অসম্ভব ভালো লাগলো!!!!

২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!!!

৩৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: তৃতীয় অংশটা ধরতে পারলাম না। মনযোগ দিতে পারছি না। আবার পড়ে দেখতে হবে।

২১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ওটা ইচ্ছাকৃতভাবে যান্ত্রিক ভাবে লেখা, তাই একটু মনোযোগ দাবি করে বৈকি!
পড়ে দেখুন কেমন লাগে।

৩৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

আমি ইহতিব বলেছেন: দারুন আরেকটি গল্প লিখলেন, সাইফি পড়তে আমারও খুব ভালো লাগে, নাজিম ভাইয়ের অনিকেত সৈনিক পড়েছি, তবে অন্যদেরগুলো পড়া হয়ে উঠেনি।

গ্রহ সাগর মহাসাগরকে শাক সবজিতে রূপান্তরের আইডিয়াটা চমৎকার লাগলো। সত্যিই যদি এমন করা যেতো।

২১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অন্য লেখাগুলোও চমৎকার, পড়ে দেখতে পারেন।

আর ভাগ্যিস! ওই আইডিয়ার বাস্তবায়ন করা এখন সম্ভব নয়! যদিও ভবিষ্যতের কথা কে বলতে পারে, হতেও তোঁ পারে কোন এক দিন।

৩৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

অদৃশ্য বলেছেন:




প্রোফেসর

পড়া শুরু করলাম...


শুভকামনা...

২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শেষ করে দেখেন কেমন হল।

৩৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

অদৃশ্য বলেছেন:





প্রোফেসর

শেষ করলাম আপনার সাইফাইটি... সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে আমার...কিছু কিছু জায়গায় দারুন...

সাইফাই এর জন্য গভীর ভাবনা দরকার, যাতে ড্রামা, রহশ্য, মজা, রসবোধ সবই থাকা চাই... তাহলেই পাঠককে বেশি আকর্ষন করবে বলে আমার মনে হয়...


সামনে সাইফাই এর আরো ভালো কিছু আপনার কাছ থেকে আশা করি...

শুভকামনা...

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ অদৃশ্য।

আপনার কথা ভাল লাগল। সামনে ভাল আইডিয়া পেলে গল্পের মাধ্যমে শেয়ার করব, নিশ্চিত....

আপনাকেও শুভকামনা জানাচ্ছি।

৩৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩

জুন বলেছেন: কিছুক্ষন আগে পড়লাম স্নিগ্ধ শোভনের রোবটিক্স আবার এখানে প্রফেসর শঙ্কুর রোবট। আমি আসলেও রোবট অনেক ভয় পাই। কেন জানি মনে হয় তারা কোন এক সময় তাদের স্রষ্টার নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যেতে পারে ঘটাতে পারে মহা বিপর্যয়।
ভালো লাগলো আপনার বনলতার কাহিনী। ভাগ্যিস প্রফেসর আগেই তার দুরভিসন্ধি বুঝতে পেরেছিল।
সুন্দর সাইন্স ফিকশন লেখায় +

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বুঝতে পারলেও শেষ রক্ষা কিন্তু করতে পারে নি!

ধন্যবাদ প্লাসের জন্য।

৪০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৭

রোকেয়া ইসলাম বলেছেন: খুব ভাল লাগলো। অসাধারন একটা গল্প পড়লাম।
অনেক সুন্দর। সত্যি দারুন।
পোষ্টে অনেক ভাল লাগা রেখে গেলাম.........

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপ্লুত হলাম, রোকেয়া ইসলাম।

ধন্যবাদ জানবেন।

৪১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১১

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:

এতোটা সময় মানবসভ্যতা পার করে এসেছে, এখনো আমরা নিজেদের ছাড়া অন্য কাউকে বিশ্বাস করতে পারি না

কারণটা হলো মানুষকে সৃস্টিই তো করা হয়েছে এই গুণটা দিয়ে...

চমৎকার...

সাইফাই ভাল লাগল...

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, সুপান্থ।

ভাল থাকুন।

৪২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: অবিজ্ঞানপন্থীপাঠকেরজন্যনয়এমনএকটাসতর্কতাথাকাজরুরিছিল।

যেহেতু আমার মত বুঝে সুঝে আমি পড়ছিলাম, শেষও করছিলাম, লেখকের কমেন্টে দেখি জেটাফ্লপ মানে প্রতি সেকেন্ডে 10^21 টি হিসাব করার ক্ষমতাকে এক জেটাফ্লপ বলা হয়।

-এই রহস্যের উন্মোচন দেখে বরং আরো তালগোল পাকিয়ে গেল। মন বলছিল কেবল- কীকমুকীকমু!

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহাহাহা...

গল্পটাসবারজন্যেই, সবটার্মনাবুঝলেওচলবে।

নিজের মত করে পড়েছেন শুনে ভাল লাগল।

৪৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১০

এহসান সাবির বলেছেন: একটু দেরিতে পড়লাম। খুব সুন্দর লাগলো....! ভালো লাগা...!

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ব্যাপার না। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৪৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো । তিনটা অংশ মিলেই একটা গল্প হিসেবে পড়তে ভালো লেগেছে

সাইন্স ফিকশন লিখার সাহস হয় না । একবার সাহস করে ধরা খাবার ইচ্ছা পোষণ করলাম ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লিখুন। গল্প পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

৪৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

আম্মানসুরা বলেছেন: খুব সুন্দর

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন।

৪৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: এক কথায় দারুন!

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কৃতজ্ঞ হলাম মন্তব্য পেয়ে।

৪৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অদ্ভুত লেখেন আপনি। মনে হচ্ছে দারুন একজন লেখকের ব্লগ পেয়ে গেলাম। মনে হচ্ছে আগামী কয়েকটা দিন ভালই কাটবে আপনার গল্পের খনিতে ঘুরেঘুরে।

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আর আমি আপনার পরবর্তী গল্পের অপেক্ষায় আছি। ঈদের আগে পেলে চমৎকার হয়:)

গল্পটা পড়েছেন দেখে কৃতজ্ঞ।

৪৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৯

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: +++++++++++++

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্লাস পেয়ে আনন্দিত।

৪৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১১

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: অনেক সুন্দর গল্পটা। শেষের দিকে এসে মজা পেলাম অনেক :) =p~

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ রহস্যময়ী:)

৫০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

তওসীফ সাদাত বলেছেন: অসাধারণ প্লট !! ভাল লেগেছে !!

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন, তওসীফ!

৫১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এইসব ইংলিশ ভার্সনের বাংলা পাইছেন কেমনে? আমি তো এইসব নিয়া লিখতে গেলে বাংলাই খুজে পাই না!

আপনার একাডেমিক বিষয় কি বাংলা?

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহা, আসলে এসবের বাংলা খুঁজে পাওয়া কিছুটা কঠিনই বলতে হবে!

একাডেমিক না হলেও, আগ্রহের বিষয় বাংলা সাহিত্য।

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৫২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৪

রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: মজার

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.