![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়
ঘরটার ভেতরে ভ্যাপসা, স্যাঁতসেঁতে একটা পরিবেশ। ওপরে দুটো ফ্যান দুলে দুলে আলসে ভারবাহী গাধার মত অবিশ্রান্ত ভাবে ঘুরে যাচ্ছে। দেয়ালে ফ্যাকাসে মানব-বর্জ্যের মত রং এবং কোন এক নাম-না-জানা ওষুধের মাথা ধরানো তীব্র গন্ধ বাদ দিলেও, নিচে পড়ে থাকা ময়লা সাদা কাপড়ে ঢাকা সারি সারি লাশগুলোকে পর্যবেক্ষণ করা খুব একটা আনন্দের বিষয় নয়। লাশগুলো পঁচে যাচ্ছে হয়তো, নইলে এত ওষুধের গন্ধ কেন? এসব জায়গায় হিমাগার বা ফ্রিজ-ট্রিজ থাকার কথা, কিন্তু কোথাও সেসবের চিহ্নমাত্র নেই। আরিফ কিছুটা সংকীর্ণভাবে ঘরের কোণায় চাকা লাগানো বেডগুলোর দিকে তাকিয়ে রইল। সম্ভবতঃ উচ্চপদস্থ লাশগুলো ওখানে রাখা হয়। হাঃ! লাশের মধ্যেও বিভাজন! দারুণ! ওর মন বিষিয়ে ওঠে।
আরিফ এখন আছে জেলা শহরের একটা লাশকাটা ঘরের ভেতর। ওর পাশে একটা চৌদ্দ বছরের ছেলে আর থানার দারোগা দাঁড়িয়ে আছে। আরিফের দাড়ি ঘামে কুটকুট করে উঠছে, গাল চুলকাতে গিয়ে ও একবার তাকাল দারোগার দিকে। লোকটা ঘাড় নিচু করে হাতের প্যাডে কিছু লিখছে। নেমপ্লেটে নাম, 'ইয়ামিন'। অদ্ভুত তো! কেমন একটা মেয়েলি মেয়েলি নাম। দারোগা পুলিশের নাম হবে জবরদস্ত- ফারুক, জব্বার বা এই কিসিমের কোন একটা। 'ইয়ামিন' ঠিক মানায় না। আরেকবার লোকটার দিকে তাকায় ও। হাতগুলোও কেমন, লম্বা লম্বা আঙ্গুল, মনে হচ্ছে প্যাডের ওপরে লোমশ মাকড়সা নেচে বেড়াচ্ছে। এই মুঠি দিয়ে বেচারা ঘুসি মারে কিভাবে?
দারোগা সাহেব ছেলেটাকে একটা ইংগিত করল। ছেলেটা শুয়ে থাকা শরীরসমূহের পা সাবধানে এড়িয়ে কোণার 'উচ্চপদস্থ' লাশগুলোর একটাকে টেনে আনল ওদের কাছে। লাশটার পা বেরিয়ে আছে, ছোট ছোট পা। ওটাকে ঢেকে রাখা সাদা কাপড়টার একটা অংশ মেঝেতে লুটাচ্ছে। ছেলেটা কাপড়টা হাতে ধরে আরিফের দিকে তাকাল।
আরিফ আস্তে আস্তে বলল, 'আচ্ছা, সরাও তাহলে।'
ছেলেটা মাথা নাড়ল, তারপর লাশটার মুখের ওপরের কাপড় ধীরে ধীরে সরিয়ে ফেলল। মোঃ শরিফ খানের রক্তশূন্য, পাণ্ডুর মুখটা আরিফের চোখের সামনে উন্মোচিত হল। চোখ দুটো বন্ধ ছিল, ভাগ্যিস! নিজের মৃত ভাইটির খোলা চোখের দৃষ্টি অনুভবের কোন ইচ্ছে ওর ছিল না। শরিফের মাথাভরা কোঁকড়ানো চুল, মাইকেলএঞ্জেলোর ডেভিডের মত খাড়া নাক, আর ক্লিনশেভড ধারাল চিবুক- সবই খুব অদ্ভুতরকম পরিচিত। আরেকটু নিচে, ঠিক হৃদপিণ্ডের মাঝখানে একটা জলজ্যান্ত বুলেট না থাকলে ওকে ঘুমন্ত ভেবে ভুল করলেও দোষ ছিল না। শরিফ...
আরিফ দু'পা পিছিয়ে এলো। দাঁতে দাঁত চেপে বড় একটা নিঃশ্বাস নিতেই ও আবিস্কার করল, কয়েক ফোঁটা নোনতা জল গালে গড়াগড়ি খাচ্ছে। আরিফ চোখ বন্ধ করে ফেলল। কয়েক সেকেন্ড পর, সে ঘোলাটে, ভেজা চোখে তাকাল দারোগার দিকে, 'এটা...এটাই আমার ভাই', নিজের গলাই অপরিচিত ঠেকল ওর কাছে, 'ও-ই শরিফ খান'।
এবারে দারোগা নড়েচড়ে উঠল। মাথাটা হ্যাঁ-সূচক ভঙ্গিতে দু'বার নাড়িয়ে প্যাডে কিছু লিখল, তারপর স্থির চোখে তাকিয়ে প্রশ্ন করল আরিফকে, 'মৃতের বয়স কত?'
চোখ মুছে কিছুক্ষণ ইতস্ততঃ করে জবাব দিল আরিফ, 'বত্রিশ বছর। আমাদের জন্মতারিখ ৭ই জুন, ১৯৮১ সাল। ও আমার চেয়ে কয়েক মিনিটের ছোট'।
'কি করতেন উনি? পেশা কি ছিল?'
-'ঢাকায় একটা মেডিকেল কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ ছিল। আমাকে বলেছিল কোম্পানির দেওয়া হোন্ডায় করে ওষুধ বিক্রি করে, ভাল আয় নাকি হয়।'
'প্রেমিকা-স্ত্রী কেউ ছিল? ওনার পরিচিত কাউকে চেনেন?
-'ও বিয়ে করেনি। প্রেমিকা ছিল একজন, শারমিন। মিষ্টি মেয়ে, বাড়িতে দুই একবার এসেছে। বন্ধুদের কাউকে চিনিনা, কখনো দেখিনি। তবে ঢাকায় ওর অনেক বন্ধু আছে। বাড়িতে এলে ঘণ্টায় ঘণ্টায় কল করত।'
প্যাডে খসখস শব্দ আবার। দারোগা সম্ভবতঃ সারাদিন পুলিশগিরি করে ক্লান্ত; একঘেয়ে স্বরে জিজ্ঞেস করল, 'মৃতের সাথে আপনার সম্পর্ক কেমন ছিল?'
এতক্ষণের জমাটবাঁধা দুঃখ-ক্ষোভে আরিফের চোখ দিয়ে দরদর করে পানি ঝরতে লাগল, 'সম্পর্ক কেমন ছিল মানে? ও আমার মায়ের পেটের ভাই। আব্বা-আম্মা বেঁচে থাকতে যদ্দিন ও বাড়িতে ছিল, ওকে ছাড়া একবেলা ভাত খাই নি। কোন কিছু কিনলে সব সময় জোড়ায় জোড়ায় কিনেছি। সব কাজ একত্রে করেছি। আর ওর লাশের সামনে দাঁড় করিয়ে আপনি জিজ্ঞেস করছেন সম্পর্ক কেমন ছিল?'
এমনতর হঠাৎ আবেগীয় বিস্ফোরণে দারোগাকে তেমন বিচলিত হতে দেখা যায় না। 'তার মানে আপনার বাবা মার মৃত্যুর পর উনি ঢাকা যান?'
নিজেকে শান্ত করে আরিফ, কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলে, 'হ্যাঁ। আব্বা-আম্মা অ্যাকসিডেন্টে মারা যাবার পর ও ঠিক করে, ঢাকা গিয়ে চাকরি খুঁজবে। আমি এখানেই একটা মসজিদে ইমামের চাকরি নেই, ওকে কিছু কিছু টাকা পাঠাতে থাকি। অনেক দিন বাড়িতে আসেনি, আমি তবুও টাকা পাঠানো বন্ধ করিনি। মাঝে মধ্যে চিঠি দিত, বলত পড়ালেখা করছে, কখনো মোবাইলে যোগাযোগ করে নি।'
কেন? উনি মোবাইল ব্যবহার করতেন না?
-'করত, কিন্তু আমাকে মোবাইলে যোগাযোগ করতে নিষেধ করে দিয়েছিল। নাম্বারও দেয়নি। কেন জানি না।'
'আচ্ছা। তারপর?'
-বছর দুয়েক আগে ও হঠাৎ বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়। বলে, ভাল একটা চাকরি পেয়েছে। তারপর মাসে দু-একবার করে নিয়মিত আসত। ওর সাথে শারমিনও কখনো কখনো আসত। সেই থেকে ওর সাথে আমার যোগাযোগ নিয়মিত হতে থাকে। আমাকে ওদের ফ্ল্যাটে গত সপ্তাহে যেতেও বলেছিল। আমি যেতে পারিনি, কাজ পড়ে গেছিল কয়েক...'
'আপনার ভাইয়ের কোন ক্রিমিনাল রেকর্ড ছিল?'
আরিফ হঠাৎ যেন ধাক্কা খায়, 'ক্রি...ক্রিমিনাল রেকর্ড? শরিফ? কি বলছেন এসব?' দারোগা কিছু না বলে তাকিয়ে রইল আরিফের দিকে, উত্তরের অপেক্ষা করছে। আরিফের রাগ উঠে যায়, 'অসম্ভব! দেখুন, শরিফ একটু ঘাড়ত্যাড়া প্রকৃতির ছিল, কারো কথা শুনতে চাইত না। কিন্তু আমি আমার মরা বাপ-মায়ের কসম খেয়ে বলতে পারি, ও কোন ক্রিমিনাল ছিল না।'
দারোগা অনেকক্ষণ আরিফের দিকে তাকিয়ে রইল। প্যাডে আবার খসখস। তারপর সোজা চোখে চোখ রেখে শুকনো গলায় বলল, 'আমাদের কাছে তথ্যসাবুদ আছে, আপনার ভাই ড্রাগ স্মাগলিংয়ের একটা কার্টেলের সাথে যুক্ত ছিল। কার্টেলটা অনেক বড়, বর্ডার থেকে ড্রাগ এনে সারা কান্ট্রিতে ডিস্ট্রিবিউট করত।'
আরিফ মুখ তুলে আরেকবার ভাইয়ের লাশের দিকে তাকাল, হাতের মুঠো শক্ত হয়ে যাচ্ছে ওর, 'বিশ্বাস করি না। আমার ভাইকে আমি চিনি, এসব করা ওর পক্ষে কক্ষনো সম্ভব নয়। এরকম ছেলেই না ও।'
'মি. আরিফ, প্লিজ। আপনার ভাই অনেক দিন ধরে এসবে জড়িত। বহু বহু প্রমাণ আছে। তাকে হাতেনাতে ধরার জন্য আমরা অনুসরণ করছিলাম কয়েকদিন ধরে। তিন দিন আগে ওদের দুজনের মৃতদেহ আবিষ্কার করি আমরা, শরিফের অ্যাপার্টমেন্টে। ওর পকেটে ড্রাগ ছিল। কয়েক হাত দূরে, শারমিনের মৃতদেহের কাছে, একটা পিস্তল পাওয়া যায়। ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট বলছে, ওই পিস্তল দিয়েই ওদের খুন করা হয়েছে।'
হঠাৎ যেন মনে পড়ে গেছে, এমন ভঙ্গিতে দারোগা বলতে লাগল, 'ও হ্যাঁ, জানতেন না বোধহয়, শারমিনকেও খুন করা হয়েছে। সে শরিফের মতই জড়িত ছিল কার্টেলের সাথে। কি আশ্চর্য দেখুন', দারোগা হেসে ফেলে, 'আগে হাইক্লাস প্রস্টিটিউট ছিল, ভালই ছিল, শরিফের সাথে লটকাতে গিয়ে মরল! কার ভাগ্যে কি আছে কে বলতে পারে?'
আরিফ নিশ্চুপ হয়ে গেল। কথাগুলো হজম করতে কষ্ট হচ্ছে ওর।
'আমাদের ধারণা লাভের বখরা নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল, কিংবা শরিফ ওদের কাছ থেকে টাকা মেরে দিয়েছিল। যাই হোক, কোন একটা সূত্র ধরে ওদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়, অসন্তুষ্টি-অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়, এবং কার্টেলগুলোর যা নিয়ম - বেঈমানদের গুলি করে মেরে ব্যাপারটা সেরে ফেলে।'
আরিফ ভগ্নস্বরে যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করে, 'হয়তো...হয়তো ওকে ফাঁসানো হয়েছে দারোগা সাহেব। কেউ ওকে খুন করে পকেটে ড্রাগের প্যাকেট ঢুকিয়ে দিয়েছে, হয়তো ও এসবে জড়িতই নয়, সব হয়তো ষড়যন্ত্র...হতেও তো পারে, তাই না?'
দারোগা বিরক্তমুখে হাত নেড়ে বাতিল করে দেয় সব যুক্তি, 'অনেক বেশি 'হয়তো' এসে যাচ্ছে, তারমধ্যে আপনার ভাইয়ের ক্রিমিনাল হিস্টোরি অনেক সমৃদ্ধ। ওসব পরে দেখা যাবে। আর লাশ আমরা এখন ছাড়তে পারছি না, তবে ইনভেস্টিগেশন কয়েকদিন পর শেষ হয়ে যাবে, তখন আপনার কাছে লাশটা হস্তান্তর করা হবে। আপনি আপাততঃ যেতে পারেন।'
অর্থাৎ ভদ্রভাবে ওকে নাক না গলিয়ে ভেগে যেতে বলা হল।
আরিফ টলোমলো পায়ে হেঁটে মর্গের বাইরে আসে। এই জায়গাটা শহর থেকে অনেকটা দূরে, নিরিবিলি। দূরে একটা বটগাছ দেখা যাচ্ছে, মাটি পর্যন্ত অসংখ্য ঝুরি নামিয়ে বসে আছে। চারপাশের গাছপালা, পাতা কেমন যেন কালচে সবুজ। পরিবেশটা মর্গের গায়ে একটা প্রাচীন, জান্তব ছাপ লাগিয়ে দিয়েছে। মানুষ এদিকে খুব একটা আসে না বোধহয়। 'লাশকাটা ঘর'- নামেই ভয় ভয় একটা কিছু আছে। মাথা থেকে সাম্প্রতিক কথোপকথন মুছে ফেলার চেষ্টা করতে করতে আরিফ বটগাছের দিকে হাঁটা দেয়। মাথা অনেকটা হালকা মনে হচ্ছে।
তখন মৃদু গর্জন করতে করতে পেছন থেকে ওর পাশে একটা হোন্ডা এসে থামে। একটা কালো, বেঁটে, নাকভাঙা লোক হোন্ডার ওপরে বসা, চোখে চতুর অনুগত দৃষ্টি। লোকটা অনুচ্চ স্বরে জিজ্ঞেস করে, 'শরিফ ভাই! দারোগায় কি কইল?'
আরিফ ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায়। এতক্ষণের উদাসীনতা অদৃশ্য হয়ে ওর সারা মুখে শীতল, ক্রুর একটা হাসি ছড়িয়ে পড়ে।
'বৎস', হোন্ডার পেছনে বসার প্রস্তুতি নিতে নিতে ও বলে, 'আমাকে আরিফ বলে ডাকবে। আরিফ।'
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জটিল!!!!!! টুইস্ট তা দারুন হইছে!!!!
দারুন একটা গল্প পড়লাম। প্রথম প্লাস।
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রথম প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা, প্রিয় ব্লগার।
টুইস্ট-টাই সব!
৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
জোস হৈসে !!
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, মুন
৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: শেষটা দেখি মারাত্মক। বিরাট এক চমক দিয়ে গল্প শেষ হয়েছে। লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি গল্প উপহার দেওয়ার জন্য।
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ, অর্থনীতিবিদ!
৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: ভালো লাগলো ভাই। ++++++
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১২
ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার লাগল। অনেক ভালো লিখেন আপনি।
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ঢাকাবাসী, অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনি সত্যি অনেক ভাল লেখেন। খুব ভাল লেগেছে।
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাদের কথায় আপ্লুত হই বারবার। পাঠকের ভাল লাগাতেই লেখকের আনন্দ- এটা ধ্রুব সত্য কথা।
৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: শেষে চমকিয়ে দিলেন ।
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: উদ্দেশ্য সফল বলতে পারি তাহলে।
৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭
বোকামন বলেছেন:
জাস্ট এক্সিলেন্ট ! টুইস্ট ...... ওয়েলডান !
সহজ উপস্থাপনে শেষে চমকে দিলেন ....।
সুলিখিত একটি ছোটগল্প .... প্লাস+
[মুভি, বই ইত্যাদির কল্যাণে আমি আঁচ করতে পারছিলাম শেষটা ..]
ভালো থাকুন, খুব ভালো।।
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সত্যি বলতে কি, গল্পে এধরণের টুইস্ট মোটামুটি কমন। চেষ্টা ছিল সহজভাবে তুলে ধরার। আপনাকে কিছুটা চমকে দিতে পেরে খুশি লাগছে বোকামন।
প্লাসের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
ভাল থাকুন আপনিও।
১০| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১
বোকামন বলেছেন:
হ্যাঁ ! টুইষ্ট কমন কিন্তু আপনি অনেকটাই ব্যাতিক্রম করে উপস্থাপন করেছেন।
যা খুব ভালো লাগলো :-)
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থ্যাঙ্কিউ বোকামন।
১১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯
আম্মানসুরা বলেছেন: দারুণ টুইস্ট!!!
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ!!
১২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পের টুইস্ট ধরতে পারি নি, তবে আপনার গল্প বলার ধরন অসাধারণ।
একটা ক্লু দিন- দু ভাইয়ের চেহারা অবিকল একরকম। এটা কি এরকম যে, মৃত ‘শরীফ’ আসলে শরীফ নয়, ‘আরিফ’?
শুভেচ্ছা।
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ''দু ভাইয়ের চেহারা অবিকল একরকম। এটা কি এরকম যে, মৃত ‘শরীফ’ আসলে শরীফ নয়, ‘আরিফ’?''
জি, ঠিক ধরেছেন। এটাই টুইস্ট। আরও কিছু ক্লু আছে, গল্পে ছড়ানো-ছেটানো। সেগুলো পাঠকের আবিস্কারের জন্য রেখে দিলাম।
গল্প পড়ায় অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৯
মামুন রশিদ বলেছেন: ট্যুইস্ট নিঃসন্দেহে ভরকে দেবার মত । তবে শুধু ট্যুইস্টের কথা বললে চমৎকার এই গল্পের প্রতি অবিচার হবে । দারুণ বর্ণনা, বিশেষ করে দারোগার চরিত্র অদ্ভূত সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন ।
শেষটায় আসার আগ পর্যন্ত বুঝার কোন উপায় নেই, এরকম ট্যুইস্ট থাকতে পারে ।
+++
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় মামুন রশিদ, আপনার মন্তব্য বরাবরই উদ্দীপনা যোগায়। সুস্থ থাকুন।
১৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৪
কালীদাস বলেছেন: কঠিন টুইস্ট, ভাল লেগেছে আমার
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থ্যাংকস কালীদাস, অনেক দিন পর
১৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৯
শুঁটকি মাছ বলেছেন: প্রফেসর শংকু,সামুতে আমি যাদের লেখার ফ্যান তাদের ভিতর আপনি একজন।এই লেখাটাও অসাধারণ।বিশেষ করে পরিবেশ ফুটিয়ে তুলতে আপনার জুড়ি নেই!!!!!অসাধারণ!
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সামান্য লেখার লেখককে অনেক বড় সম্মান দিলেন। আমি কেবল কৃতজ্ঞতা জানাতে পারি!
১৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: সুন্দর একটা গপ, জমজ ভাইয়ের গপ। গপটা চমতকারভাবে শেষ করছেন!
অনেক আগে দুই জমজ বোনের একটা মুভি দেখছিলাম------
আপনার এই গপটারে আরেকটু বাড়িয়ে একটা টেলিফিল্ম/ সিনেমা বানানো যাবে!
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ। শেষের কথায় বুক দু ইঞ্চি ফুলে গেল
১৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: শেষে এই পরিনতি ! ইমাম সাহেবের এই দশা !
ছোট ছোট পর্যবেক্ষণ গুলো ভালো লেগেছে , দারোগা সাহেবের অভিব্যক্তি , খসখস করে প্যাডে লেখা , উচ্চ / নিম্ন শ্রেনীর লাশ নিয়ে বিভাজন ইত্যাদি ।
ভালো লেগেছে গল্প !
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আসলে ইমাম না কিন্তু, ছদ্মবেশি শয়তান!
ভাল থাকুন।
১৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
নস্টালজিক বলেছেন: টানটান গল্প! দারুন এন্ডিং!
শুভেচ্ছা, প্রফেসর!
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা, নস্টালজিক!
১৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৪
আলোর পরী বলেছেন: বাহ , বাহ এবং বাহ ।
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: তিনবার ধন্যবাদ জানালাম আমিও।
২০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৫
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
দারুণ গল্প
+++
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্লাস পেয়ে আনন্দিত
২১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৫
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আমাকে আরিফ বলে ঢাকবে , আরিফ !
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আরিফ-শরিফ প্যারাডক্স।
২২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩২
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ফ্যাটাস্টিক জব , শঙ্কু ।
সত্যিই বিস্মিত ও চমৎকৃত হয়েছি , শেষটা আঁচ করতে পেরে ও ,
আপনার অসাধারণ বলার ধরণের কারণে ।
দারোগার চরিত্র খুব ভালভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন , বিশেষ করে দারোগার মুখে
এই কথাটা খুব ভাল লাগল
কি আশ্চর্য দেখুন', দারোগা হেসে ফেলে, 'আগে হাইক্লাস প্রস্টিটিউট ছিল, ভালই ছিল, শরিফের সাথে লটকাতে গিয়ে মরল! কার ভাগ্যে কি আছে কে বলতে পারে?
এই কথাটা দারোগা চরিত্রের বিশ্বাস যোগ্যতা ও বাস্তবানুগতা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে ।
।
অর্থাৎ ভদ্রভাবে ওকে নাক না গলিয়ে ভেগে যেতে বলা হল।
এই লাইনটা গল্পে আমার অতিরিক্ত বলে মনে হইছে ।
না থাকলেও চলে ।
এই গল্পের প্রান ভোমরা ই হল টুইস্ট । এমন টা না হলে গল্প অনেক সাদা মাঠা হয়ে যেত ।
আপনি কি মর্গের কোন দৃশ্য কে সামনে রেখে এ গল্প টা লিখেছেন ?
পরিবেশ টা আপনার চেনা নাকি কল্পনাপ্রসূত ?
বিশেষ করে এই অংশ টা
এই জায়গাটা শহর থেকে অনেকটা দূরে, নিরিবিলি। দূরে একটা বটগাছ দেখা যাচ্ছে, মাটি পর্যন্ত অসংখ্য ঝুরি নামিয়ে বসে আছে। চারপাশের গাছপালা, পাতা কেমন যেন কালচে সবুজ। পরিবেশটা মর্গের গায়ে একটা প্রাচীন, জান্তব ছাপ লাগিয়ে দিয়েছে।
পরিবেশ টা আপনার চেনা নাকি কল্পনাপ্রসূত ?
কৌতূহল বোধ করছি ।
অনেক অনেক ভাল লাগল গল্প । পিসিতে বসে শুরুতেই এমন গল্প পড়তে পারব ভাবতে পারিনি ।
বুঝাই যাচ্ছে আপনি একের পর এক ভাল গল্প উপহার দিতে থাকবেন ,
নাজিম ভাই বা এরিসের মত ।
আপনাদের গল্পের মানে ভাটা পরে না , এটাই আমার ভাল লাগে ।
তাই আপনার নাম টাও আমার লিঙ্কে যোগ করলাম ।
ভাল থাকুন প্রফেসর ।
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, মাহমুদ। আসলে ওই লাইনটা আরিফের ভাবনার অংশ। দারোগার কথায় সে আহত হয়ে বা ভান করে ভাবছে, এই ভাবটা তুলে ধরার জন্যই লাইনটার অবতারণা আর কি।
আমাদের বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটা পুরানো মর্গ ছিল। লাশটাশ কিছু কাটা হত না, কিন্তু গুজব যথেষ্টই ছড়িয়েছিল। একদিন সন্ধ্যায় মর্গের কাছে গিয়ে ভয় পেয়েছিলাম। তখনকার পরিবেশ কিছুটা গল্পে আসতে পারে, হয়তো।
আপনার লিংকে ঢুকতে পেরে গর্বিত লাগছে ভাল থাকুন আপনিও।
২৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৭
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: শঙ্কুর রহস্যগল্প।
ড্রাগ বা স্মাগলিং এর জগত বা যে কোনো বড়সড় অপরাধ জগতে খুন একটা স্বাভাবিক ব্যাপার তা কেবল স্বার্থেই। যেখানে নিজের ভাই বা বাবাও রেহাই পায় না।
আরেকটা ভালো লাগা গল্প। ধন্যবাদ।
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: স্বার্থ অন্ধ এবং নিষ্ঠুর। ক্ষমা করতে জানে না।
সুস্থ থাকুন, জুলিয়ান।
২৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পুরো গল্পটাতে টানটান উত্তেজনা বজায় ছিলো। ++++++++
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, কান্ডারী।
২৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২৯
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: বেশ কয়েকটা ব্যাপার সাবলীলভাবে দেখাতে পেরেছেন। সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি, ইসহাক।
২৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৬
তানজিয়া মোবারক মণীষা বলেছেন: দারূণ এবং দারূণ এবং অসাধারণ। এইটা কি দেখালেন ভাইয়া?! শেষ দিকে এমন মোর নিবে ঘুনাক্ষরেও টের পাই নাই। লাশ নিয়া লেখা পড়তে পড়তে প্রথম দিকে একটু ভয় ভয় লাগছে, এগুলা খুব ভয় পাই। পরে এসে কি হয়ে গেলো এটা? বেকুব হয়ে গেলাম, অনেক সুন্দর হয়েছে, ক্লাইমেক্সটা তো জটিল দিয়েছেন। পোস্টে এত্ত গুলা প্লাস ++++++++
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাল লাগাতে পেরে আমি আনন্দিত, মণীষা।
২৭| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রাঞ্জল লেখনীর গুনেই শেষের ধাক্কাটা বেশি জোরদার হয়েছে।
শুভকামনা।
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শুভকামনা জানাচ্ছি আপনাকেও।
২৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
লেজকাটা বান্দর বলেছেন: ভাই, জমজের ব্যাপারটা ফ্ল্যাশ করার পরেই বুঝতে পেরেছিলাম শেষে কি হবে। কিন্তু কথা হচ্ছে এত পিচ্চি করে আশ্চর্য সুন্দর এই গল্প লিখলেন কি করে?? প্লাস।
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এইতো, আপনাদের লেখা পড়ে পড়ে লেখার সাহস করি আরকি!
প্লাসের জন্য ধন্যবাদ!
২৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৭
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
বাপরে! ধাক্কাটা তো ভালই দিলেন! অবশ্য কিছুটা আচ করতে পেরেছিলাম দুজন জমজ ভাই বলার পর থেকে। পিচ্চি সাইজের একটা সিরাম গল্প পড়লাম! আপনার লেখনির কথা আর নতুন করে বলার কিছু নাই। বরাবরের মত চমৎকার বর্ণনাভঙ্গি।
আপনার কাচা মানুষ গল্পটা এক চোর নকল করে অন্য ব্লগে পোস্ট দেয়ার বিষয়টা জানতে পেরে খারাপ লেগেছে। এটা আসলেই খুব দুঃখজনক।
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, নাজিম।
চোরের ব্যাপারটা সত্যি বলতে হাস্যকর লেগেছে আমার। এভাবে, এতোটা খোলাখুলিভাবে কেউ চুরি করতে পারে সেটা কল্পনা করতে পারিনি। ওই ছোকরার জন্য করুণা অনুভব করছি।
আর ভাল কথা, ৫০তম পোস্ট কি এ মাসেই দিচ্ছেন নাকি?
৩০| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬
আিম এক যাযাবর বলেছেন: চমৎকার গল্প। টুইস্ট ভাল লেগেছে..
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৩১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: চমৎকার গল্প প্রোফেসর! অনেক ভাল লাগা! আপনার লেখনি নিয়ে নতুন করে আর বলার কিছু নেই!
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কৃতজ্ঞ হলাম কবি! ভাল থাকুন।
৩২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
তীর্থক বলেছেন: গল্পটা এইদিকে যেতে পারে মাথায়ই আসেনি। আমি ত ভেবেছিলাম গল্পের শেষে একটা কষ্ট পেতে যাচ্ছি। কিন্তু হঠাৎ শরিফের আরিফ হয়ে যাওয়াতে ভরকে গেছি।
চমৎকার টুইষ্ট। শেষটা নিয়ে নিজের মত করে ভাবারও সুযোগ রেখে গেছেন। সত্যিকারে ছোটগল্প বলতে আমরা যা বুঝি।
অসাধারন!
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বাঁকানো গল্পে আনন্দ বেশি ধন্যবাদ তীর্থক।
৩৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯
অদৃশ্য বলেছেন:
প্রোফেসর
দারুন হয়েছে গল্পটি... এই ছোট্ট গল্পের ভেতরে যথেষ্ট পরিমানে রশদ ছিলো তা তৃপ্তি সহকারে পাঠের জন্য... আর শেষে এসেতো চমকে গেলাম পুরোপুরি...
তার মানে হলো গত সপ্তাহে আরিফকে নিজের বাসাতে ডেকেছিলো সে এই কাজটি করবার জন্যই... নিজের ভাই ও নিজের বিছানা সঙ্গীকে শেষ করে নিজে ভালোটি সেজে থাকার জঘন্য কৌশল...
পাঠে তৃপ্তি পেয়েছি...
শুভকামনা...
২৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ক্লু টা ঠিকমতোই ধরেছেন, অদৃশ্য।
শুভকামনা আপনাকেও।
৩৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
নাছির84 বলেছেন: শুরুর প্রথম চার প্যারা একেবারে হুমায়ুন আহমেদের মতো সাবলীল। বাড়িয়ে বলছি না,বর্ণণার ধাঁচ অনেকটা তার মতোই। টুইষ্ট কি জিনিষ বুঝি না, তবে মারপ্যাঁচটা ছিল দারুন। এক কথায় খাপ খোলা তলোয়ার !
আপনার লেখনী নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।++++++++++
৩০ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, নাছির।
৩৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:০১
শান্তির দেবদূত বলেছেন: চমৎকার একটা ছোটগল্প। যেমন সবলিল লেখা তেমন বর্ণনা। শেষের চমকটাও বেশ। প্রতিটা চরিত্র চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে বর্ননায়। ডান গ্রেত জব। আপনার ব্লগের দেখি ছোট গল্পের খনি পেয়ে গেলাম!! একেএকে বাকিগুলোও পড়ে ফেলতে হবে।
দুএকটা বিষয় একটু খটকা লাগছে,
১) শরিফ অনেকদিন ধরেই এই হত্যাকান্ডের প্ল্যান করেছিল, সে হিসাবে সে নিশ্চয় দাড়িও রাখতে শুরু করে, ৩/৪ মাস আগে থেকে। কারন একজন মসজিদের ঈমামের মত দাড়িত আর একদুই দিনে গজাবে না। তাহলে দারোগা যে বলল পুলিশ বেশ কয়েকদিন ধরেই শরিফকে অনুসরন করছে; তাহলে ত তাদের এই জিনিসটা নজরে আসার কথা।
২) আরিফকে নিশ্চয় হত্যা করার পর ডেড বডিকে ক্লিন সেভ করা হয়, শরিফ হিসাবে চালানর জন্য; কারন মর্গের ডেড বডি ছিল একেবারে ক্লিন সেভড। এটা কিন্তু বেশ কষ্ট সাধ্য। ঐ এপার্টমেন্টে এবং ডেড বডিতে এর আলামত থাকবেই।
আর যদি হাত পা বেধে আগে সেভ করতে বাধ্য করা হয় সে ক্ষেত্রে হাতে ও পায়ে দড়ি বাধার দাগ থাকবে, গালেও ব্লেডের আচড় থাকবে, কাচির খোচাও থাকতে পারে। কারন বড় দাড়ি একবারে ক্লিন সেভ করা সম্ভব না, আগে কাচি দিয়ে ছোট করে ছেটে তার পর ব্লেড বা খুর দিয়ে সেভ।
আসলে বলতে চাচ্ছি, শরিফ বাচতে পারেনি, কয়েকদিন পর ঠিক ধরা পড়েছে; লেখক আসলে ইচ্ছা করেই এই জিনিসটা উহ্য রেখেছে পাঠকে চিন্তা করার সুজোগ দেওয়ার জন্য
। বুঝি আমরা সুবই বুঝি
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনি ভীষণ মনোযোগী পাঠক দেখা যায় হ্যাঁ, পাঠকের চিন্তা করার জায়গা রাখার চেষ্টা ছিল। দারোগার শেষের কথায় কিঞ্চিৎ আভাস ছিল কিন্তু,
''আর লাশ আমরা এখন ছাড়তে পারছি না, তবে ইনভেস্টিগেশন কয়েকদিন পর শেষ হয়ে যাবে,..আপনি ''আপাততঃ'' যেতে পারেন।''
অনেক মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ
৩৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৪
শীলা শিপা বলেছেন: দারুন গল্প। ভালো লাগা রইল।
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, শীলা শীপা।
৩৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো গল্প!!!!
০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ!
৩৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:২৫
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: সাসপেন্স টাইপের গল্প... মজা পাইলাম ... আস্তে আস্তে আপনার সব লেখা পড়ব আশা করি... শুভ কামনা লেখক....
০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫০
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: 'আস্তে আস্তে সব পড়া'র অংশটি তুমুলভাবে আনন্দিত করিল
ধন্যবাদ।
৩৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: দারুন লাগলো গল্প। প্লাস।
০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থ্যাংকিউ।
৪০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩৬
তুষার কাব্য বলেছেন: দারুন একটা গল্প।টানটান উত্তেজনা।অসাধারন লেখনি।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ
৪১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০১
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: হা হা শেষে এসে এই থাকবে ভাবিনি। দারুন!
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শেষের টুইস্ট নিয়েই গল্প!
৪২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭
আমি রেদওয়ান বলেছেন: ++++ভালো লাগলো।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২০
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্লাস পেয়ে খুশি হলাম রেদওয়ান।
৪৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২
সায়েম মুন বলেছেন: ভাল ছেলেটা মরলো। এটা ঠিক হলো না।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ঠিক আছে, খারাপ ছেলেটাকে ধরিয়ে দেব'খন।
৪৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৩৭
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: বেশ লাগল আপনার গল্প। শুরুতে ভাবছিলাম একজন লোক যার ভাই মারা গেছে সে কি করে রুমে লাশ রাখার বিভাজন বা ঘরের রং বিষয়ক পর্যবেক্ষণ করতে পারে ? শেষে এসে যে টুইস্টটা দেয়া হয়েছে তাতে বিষয়টা অনেকটা জাস্টিফাইড হয়েছে
ভাল লাগল গল্প। চলুক গল্প লেখা
০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়ায় অনেক ধন্যবাদ।
গল্প লেখা চলবে, অবশ্যই!
৪৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫২
গোর্কি বলেছেন:
-সব ভাল যার, শেষ ভাল তার।
-ছোট গল্পের সার্থকতা। পঠনে মুগ্ধতা।
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: -ঠিক তাই।
-ধন্যবাদ পঠনের জন্য।
৪৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১২
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: গল্পটা অনেক দিন আগেই পড়েছিলাম। তখন মন্তব্যের সুযোগ ছিল না। তাই আজ আবার এলাম। শেষের মোচড়টা অসাধারণ! জবাব নাই!
এরকম গল্প আরও চাই। আপনার জন্য অন্তরের গভীরতম তলদেশ থেকে শুভেচ্ছা যাতে প্রচুর লিখতে পারেন।
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার এতদিন পরেও যে অনুভূতি জানিয়ে গেলেন, এই বিষয়টা ভীষণভাবে আন্দোলিত করল। আমি কৃতজ্ঞ।
আরও লিখব অবশ্যই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
৪৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৪
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ওরে টুইস্ট রে !!!!!!!!!!!
চমৎকার লাগলো এই গল্পটা। অসাধারণ। আর শান্তির দেবদূত ভাইয়ার মন্তব্য আরেকবার ভাবালো।
শুভেচ্ছা জানবেন।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মধ্যের সময়টা ব্লগে অনিয়মিত ছিলেন নাকি? আপনাকে দেখিনি অনেকদিন।
শুভেচ্ছা নিলাম! পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৪৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৩
তওসীফ সাদাত বলেছেন: বেশ ভাল লেগেছে। বেশ !!
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
৪৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০০
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ও বিয়ে করেনি। প্রেমিকা ছিল একজন, শারমিন। মিষ্টি মেয়ে, বাড়িতে দুই একবার এসেছে।
এ লাইনটা পড়েই খটকা লেগেছিলো। সম্পর্ক ভালো না দু ভাইয়ে তাই বলে প্রেমিকার এত সুন্দর বর্ননা!
আপনি জিনিয়াস না, আপনি গড ড্যাম জিনিয়াস!
অসম্ভব সুন্দর টুইস্ট, তবে কেমন যেন ক্রুর লাগলো।
নিজেকে বাচাতে ভাইকে খুন...এই সময়ে এটাও সম্ভব বৈকি
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লজ্জা দেবেন না
হ্যাঁ, শরিফের কথায় ইঙ্গিতের ছড়াছড়ি ছিল বটে। আর গল্পে ক্রুরতা আনতে ভালই লাগে। ভাইয়ে ভাইয়ে খুনোখুনি তার অন্যতম উদাহরণ।
অনেক ধন্যবাদ, উদাসী স্বপ্ন। শুভেচ্ছা রইল।
৫০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১
আমিজমিদার বলেছেন: ভাই আর ভাইয়ের প্রেমিকা রে খুন কৈরা নিজে পগারপার! ভিলেনরে লাইক দিলাম।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ আমিজমিদার।
৫১| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু ,
বেশ সমঝদার হাতে লেখা । এরকম মার্ডারের ঘটনাতে পুলিশ আর তার জবানবন্দি নেয়ার ষ্টাইল, মর্গের পরিবেশ একদম নিখুত ।
আর টুইষ্টটাও তো দারুন ।
অনেক দেরীতে লেখাটি দেখলেও ধন্যবাদটি নগদে দিচ্ছি ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৫২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় ব্লগার,
পুরনো লেখাটা পড়ায় সত্যিই অনেক কৃতজ্ঞ হলাম আমি। ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
মাহদী০০৭ বলেছেন: চমৎকার লেখা। পড়ে মজা পেলাম।