নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বর্গ-পৃথ্বী অন্তঃস্থলে, বহুকিছু ফিরে-চলে, যাহা বিস্ময়কর

প্রোফেসর শঙ্কু

বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়

প্রোফেসর শঙ্কু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্যগল্পঃ ঈশ্বর-জাতীয় রসিকতা

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৬

বহুদিন পরে বড় ভগিনী-বাটীতে গিয়াছিলাম। অঙ্কন-কক্ষে ঢুকিয়া দেখি দুই ভগিনী-উদ্ভব ভাগিনেয় ঘ্যানঘ্যান করিতেছে। কাছে গিয়া আবিষ্কার করিলাম, হা হতোস্মি! উহারা অধ্যয়ন করিতেছে! আমি প্রশ্ন করিলাম, 'শাখা মৃগগণ, কি পড়িতেছ?'



জ্যৈষ্ঠ শাখামৃগ কান খুঁচাইতে খুঁচাইতে বলিল, 'মাতুল, গণিত পড়িতেছি। ঘাত বড়ই দুষ্কর লাগে। এই বস্তু কোন মধ্যপদলোপী সমাস আবিষ্কার করিয়াছে? পাইলে উহাকে অপঘাতে মারিতাম।'

আমি থমকাইয়া গেলাম। বালক 'মধ্যপদলোপী সমাস' বিশেষণটি কি গালি দিবার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করিল? অল্প বয়সেই পাকিয়া গেছে দেখা যায়। দ্রুত কণ্ঠতার পরিষ্কার করিয়া বলিলাম, খামোষ! বিয়াদ্দপ, অধ্যয়নে মনোযোগ দাওহ!'



কনিষ্ঠ শাখামৃগ থামিয়া থামিয়া টানিয়া টানিয়া নাকিসুরে ইতিহাস পড়িতেছে, 'অ্যাঁ..অ্যাঁ...সম্রাট সাজাহান..রাগান্বিত হইয়া...অ্যাঁ...সৈন্যকে পোঁদাঘাত করিলেন...মাতুল, পোঁদাঘাত কি বস্তু?'

আমি বলিলাম, স্বচক্ষে দেখিবে?'

বালক বলিল, 'হাঁ'।

আমি তাহার পোঁদ দেখাইয়া বলিলাম, 'ইহা পোঁদ, নহে?'

বালক সম্মতি জানাইল।

আমি তড়িৎবেগে আপন পদ উহার পোঁদে চালনা করিলাম। অকস্মাৎ পোঁদাঘাতে মর্কট খাটিয়া হইতে উলটাইয়া পড়িল।

'আর ইহাই হইল পোঁদাঘাত,' আমি খোশমেজাজে আপন বিলুপ্তপ্রায় মোচে তা দিতে দিতে বালককে জানাইলাম।



কিন্তু অকৃতজ্ঞ বালক কিঞ্চিৎমাত্র ধন্যবাদ জানাইল না, বরঞ্চ হস্তপদ ছুঁড়িয়া ছুঁড়িয়া সশব্দে অশ্রু নিঃসরণ করিতে লাগিল। ধারণা করি পাঠ্যের এইরূপ ব্যবহারিক রূপধারণ তাহার পসন্দ হয় নাই। যদিও আমার উক্ত কর্মে জ্যৈষ্ঠ শাখামৃগ অত্যন্ত উৎসাহিত হইল, সে একহাতে পেট ধরিয়া আরেক হাতে ভূপাতিত বালককে নির্দেশ করিয়া খিক খিক করিয়া হাসিতে লাগিল।



এইরূপ বিশ্রী গোলযোগে আহুত হইয়া ভগিনী তামিল চলচ্চিত্রের খলনায়কের মত হাতে বটি লইয়া কক্ষে ঢুকিল। তারপর চক্ষু ভীষণ করিয়া বলিল, 'এত ক্যাওম্যাও ক্যান? কি হইছে?'



তাহার নাটকীয় প্রবেশে আশ্চর্যভাবে পট পরিবর্তন ঘটিল। জ্যৈষ্ঠ বালক হাস্য রোধ করিয়া পুনঃ পাঠে মনোনিবেশ করিল। কনিষ্ঠ বালক আপন পোঁদ ধরিয়া কাৎরাইতে কাৎরাইতে অভিযোগ করিল, 'মাতুল...পোঁদাঘাত..উহ!'



ভগিনী আমার দিকে সাক্ষাৎ দেবী চামুণ্ডার ন্যায় দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতেই আমি উদাসমনে উপরের কড়ি-বরগার দিকে তাকাইলাম। এই ইহ-মানবজীবন এবং ইহার বস্তুগত অসারতা সম্পর্কে অতি উচ্চমার্গীয় চিন্তাভাবনা আমার মস্তিষ্কে আসা যাওয়া করিতে লাগিল। বাস্তবিকই, এই জীবনে ধনের মূল্য কি? এক মনিষী বলিয়াছেন, 'ধন মৃত্তিকা, মৃত্তিকা ধন'। ইহা অত্যন্ত গূঢ় তত্ত্ব বটে!



আমার কাছ থেকে সাড়া না পাইয়া ভগিনী উহাকে হুমকি দিল, 'ভাব ধরিয়া শুইয়া ফাঁকি দেওয়া হইতেছে? এই মুহূর্তে উঠিয়া বস, নইলে সত্ত্বর পুঙ্গি বাজাইয়া তোমার পঙ্গুত্ব দূর করা হইবে।' কথা শেষ হওয়ার পূর্বেই বালক তড়াক করিয়া লাফাইয়া উঠিয়া বই নিয়া বসিল। আমি মনে মনে উহার কাণ্ডজ্ঞানের প্রশংসা করিলাম। সত্যই, পুঙ্গি অপেক্ষা পুস্তক শ্রেয়।



তারপর ভগিনী আমার দিকে তাকাইলো। চোখ ছোট ছোট করিয়া স্লেচ্ছভাষা প্রয়োগ করিয়া সে বলিল, 'তুই এইখানে কি করস?'



আমি মার্জারসম বিনয় লইয়া বলিলাম, 'হে প্রিয়তম ভগিনী, তোমাকে আমি সর্বাপেক্ষা ভালবাসি। তোমার মুখমণ্ডল স্মরণে আমার আত্মা পরিশুদ্ধ হয়, হৃদয় পরিপূর্ণ হয়, ধর্মে-কর্মে উৎসাহ খুঁজিয়া পাই। তুমি শুধু আমার ভগিনী নহ, তুমি...'



বাধা দিয়া হস্তস্থিত বটি আন্দোলিত করিয়া অসহিষ্ণু কণ্ঠে ভগিনী বলিল, 'ভাব বাদ দে। কি চাস তাড়াতাড়ি সেইটা বল।' প্রশ্নের জবাব দিবার পূর্বেই অবাক হইয়া দেখিলাম, তীব্র উৎসাহে আমার দুই হস্ত পরস্পরকে মর্দন করিতে শুরু করিয়াছে। সেই অবস্থায় চীনা কার্টুনের মত চোখ টলোটলো করিয়া বলিলাম, 'ইয়ে মানে, গুটিকয় টঙ্কা দিতে আজ্ঞা হয়, প্রাণেশ্বরীকে লইয়া পার্কে ফুচকা খাইব।'



-'ট্যাকা নাই, ভাগ'!



একেতে পুনঃ স্লেচ্ছভাষার অপব্যবহার, তাতে আবার এমন প্রত্যাখ্যান! আমার মর্মে মর্মে আঘাত লাগিল। আপন মাতৃগর্ভের ভগিনী যে এরূপ বিশ্বাসঘাতকতা করিবে তাহা কে জানিত! হা ঈশ্বর, কলিকাল, কলিকাল! ক্ষণিক চিন্তা ভাবনা করিয়া নিজেকে সামলাইয়া লইলাম। পরাজয়ে ডরে না বীর! এইবার পুনঃ নিরীহ ভঙ্গি লইয়া বলিলাম, 'তথাস্তু! তবে তাহাই হইবে। কিন্তু যাবার পূর্বে আমি তোমার একটি মনোবাঞ্ছা পূরণ করিয়া দিয়া যাইব। বাজার-সদাই আছে কোন?'



ভগিনী সন্দেহপূর্ণ সরু চোখে নিরিখ করিতে লাগিল, 'তুই বাজার কইরা দিবি?'

-'হাঁ।'

'ঠিক তো?'

-'আমার প্রাণেশ্বরীর কসম।'



ভগিনীকে উৎফুল্ল দেখাইল। কবাট হইতে টঙ্কা বের করিয়া হাতে দিয়া বলিল, 'এই যে সাড়ে চারশ দিলাম। দুই কেজি মাংস আনবি, বাকিটুক তোর। খুশি?'

কোনমতে সম্মতি জানাইয়া নিরীহভাবে বাহির হইয়া আসিলাম। বাটির বাইরে আসিয়াই দুই ঠোঁট কর্ণমূল পর্যন্ত বিস্তার হইল, মনে মনে আপনার পিঠ চাপড়াইয়া দিলাম। আমিষ তফাৎ যাও, উক্ত সাড়ে চারশ এখন আমার ফুচকা মানি-তে পরিণত হইল! খুশিতে মোগাম্বোর মত অট্টহাসি পাইতে লাগিল।



কোনমতে আনন্দ সংবরণ করিয়া রিকশা ডাকিলাম, 'ওহে ত্রিচক্রযানচালক, পার্কে যাইবে?'

- 'না।'

'পারিশ্রমিক বাড়াইয়া দিব, যাইবে?'

-'না।'

'আরে ভ্রাতা, যত চাহ তত টঙ্কা দিব, যাইবে?'

-'না।'



ভেজালে পড়িয়া গেলাম। আশেপাশে কোন রিকশা দেখিতেছি না। কি করা যায়? সাতপাঁচ ভাবিতে ভাবিতে রাস্তার মোড়ে আসিয়া দাঁড়াইলাম। হাঁ, পাইয়াছি, বাসে করিয়া যাইব। দূর দিগন্তে একটি বাসের চিহ্ন দেখিলাম, আসিতেছে। প্রস্তুত হইলাম। কিন্তু একি! বাস কাছাকাছি আসিতেই কোথা হইতে বঙ্গদেশের সমস্ত চাকুরে, ছাত্র-ছাত্রি এবং লম্বা পাঞ্জাবি পরিহিত শসা বিক্রয়কারী আসিয়া ভিড় করিতে লাগিল! কে বলিবে, একটু পূর্বেই এই স্থান জনশূন্য ছিল! তাও বেশ ভাল ছিল, কিন্তু বাস আসিতেই জনগণের গণতান্ত্রিক জিঘাংসার শিকার হইলাম।



বাসের হ্যান্ডেল ধরিয়া কেবল চড়িব, এমন সময় এক ভদ্রলোক ভুঁড়ি দিয়া ঠোনা মারিয়া উঠিয়া পড়িলেন। আমি ভুঁড়ি-হামলায় দুই হাত উড়িয়া গিয়া জনগণের মাঝে পড়িলাম। আর যায় কোথা! স্কুলবালিকার পানির বোতল, ভদ্রমহিলাদের কনুইয়ের গুঁতা এবং বাকিদের কেশযুক্ত বগলের ঘ্রাণ - ইত্যাদির সম্মিলিত আঘাতে আমি বিপর্যস্ত হইয়া গেলাম। প্রথম আঘাতে পরনের কুর্তার সিলাই খুলিয়া গেল, বোতামসমূহ পটাপট ছিঁড়িয়া গেল। এক মহিলার পদাঘাতে চটিজোড়া কোথায় পড়িয়া গেল। ধাক্কা খাইয়া চোয়াল ফুলাইয়া ফেলিলাম, আক্কেল দাঁতে বেদনা হইতে লাগিল। অবশেষে যুদ্ধজয়ীদের লইয়া সোনার তরি চলিয়া গেল।



আমি রাস্তার উপরে বিধ্বস্ত হইয়া বসিয়া রহিলাম। হঠাৎ পায়ের কাছে দেখি একখানা চেক চেক লুঙ্গি পড়িয়া আছে। আশ্চর্য, যুদ্ধক্ষেত্রে লুঙ্গি আসিল কিরূপে? কিছুক্ষণ মাথা খাটাইতেই বুঝিতে পারিলাম, ইহা সেই শসা বিক্রেতার লুঙ্গি! বাসে উঠিতে যাইয়া বেচারার লুঙ্গি খুলিয়া গিয়াছে, দীর্ঘ পাঞ্জাবি পড়ার দরুণ বুঝিতে পারে নাই; পরে ভিড়ের কারণে বাস থেকে নামিতেও পারে নাই! উহার বর্তমান দুরবস্থা কল্পনা করিয়া মন সামান্য ভাল হইয়া গেল, পশ্চাৎদেশ বেশ করিয়া মুছিয়া উঠিয়া দাঁড়াইলাম- আজিকে হাঁটিয়াই পার্কে যাইব।



প্রায় দশ মিনিট ধরিয়া হাঁটিতেছি, হঠাৎ বলা নাই কওয়া নাই চারিদিকে আঁধার ঘনাইয়া আসিল, মুষলধারে বর্ষণ শুরু হইয়া গেল। সাথে ছাতাও আনিতে ভুলিয়া গেছি। তখনি প্রাণেশ্বরী পকেটে বাজিয়া উঠিলেন, আঁতকাইয়া উঠিলাম। তাঁহাকে ভাইব্রেশন মোডে রাখিয়াছিলাম। তিনি বলিলেন, বৃষ্টির জলে তাঁহার কলা-বরবটি-পিঁয়াজ চর্চিত মুখমণ্ডলের বিবিধ ক্ষতি হইতে পারে, তাই তিনি বাড়িতে চলিয়া যাইতেছেন। আজিকে আর দেখা হইতেছে না। আমি হু হু করিয়া উত্তর দিয়া রাখিয়া দিলাম। মন বিষণ্ণ হইয়া গেল। আজিকের দিনটি দেখা যাইতেছে আমার জন্য শুভ নহে। পদে পদে অশান্তি হইতেছে।



ঠিক করিলাম- বৃষ্টিতে কাপড়চোপড় যেহেতু ভিজিয়াই গিয়াছে, এখনি বাড়ি যাইয়া কি আর হইবে। পার্কে যাইয়া বৃক্ষতলে বসিয়া থাকি, ফেরার সময় আমিষ কিনিয়া ফিরিলেই চলিবে। এই ভাবিয়া যখন এক পা বাড়াইয়াছি, তখনি কেহ আমার প্যান্টের বেল্টে ধরিয়া পার্শ্বস্থ চিপাগলিতে টানিয়া নিল। ধাতস্থ হইতেই দেখি, গলিটি শুধু চিপাগলিই নয়- কানাগলিও বটে, এবং ব্যক্তিটি একটি ছোটখাটো দানববিশেষ। আমি ভীরু চোখে তাকাইতেই ভীষণ হুঙ্কার দিয়া বলিল, 'যা আছে তাড়াতাড়ি বের কর।'



শেষে ছিনতাইকারীর কবলে! আমি মনে মনে ভগবানের ঠিকুজি উদ্ধার করিলাম (দেখিলাম, বুড়ো বিধাতাটি বৃশ্চিক রাশি), এরচেয়ে ভাগ্য আর কত খারাপ হইতে পারে? কত, ঈশ্বর, আর কত আমাকে শাশ্বত সম্মান দিবে? টাকার থলে বের করিয়া লোকটিকে বলিলাম, 'মহাত্মন, এই আমার সর্বস্ব। ইহা লউন, পরিবর্তে আমাকে ছাড়িয়া দিন।' সে তাহাতেও সন্তুষ্ট হইল না, তবে কিঞ্চিৎ নরম সুরে বলিল, 'দেয়ালের দিকে মুখ করে দাঁড়াও, চেক করি।' আমি দাঁড়াইলাম, সে পুলিশের মত বডিচেক করিল, প্রচুর সময় লইয়া। তাঁহার হাতানোর ভঙ্গিতে আমার ভীষণ সন্দেহ হইতে লাগিল, তবুও চুপ করিয়া রহিলাম। তাঁহার তপ্ত নিঃশ্বাস আমার ঘাড়ের ওপর পড়িতেই আমি ভয়ে সঙ্কুচিত হইয়া উঠিলাম।



'সোজা হও', এইবার তাঁহার কণ্ঠ আরও মধুর! আমি সাবধানে ঘুরিয়া সোজা হইলাম, এত মিষ্টি করিয়া বলিতেছে, ঘ্যাঁচ করিয়া পেটে ছুরিটুরি ঢুকাইবে নাকি! শহরে বিকৃত-মস্তিষ্ক মানবের তো অভাব নাই। কিন্তু আমার আশংকা ভুল প্রমাণিত করিয়া সে নরমভাবে একহাত ধরিল, বলিল, 'আমার নাম টুলু।' আমি অবাক হইয়া কিছু বলিতে পারিলাম না, এ নিজের পরিচয় দিতেছে কেন? 'টুলু' হাত ধরিয়া কিছুক্ষণ প্রেমময় দৃষ্টিতে চাহিয়া রহিল, তারপর অবিকল পশ্চিমা র‍্যাপারদিগের ন্যায় গাহিয়া, শরীরের নিম্নার্ধ নাচাইয়া তাহার মনোবাঞ্ছা প্রকাশ করিল,



তুমি আর আমি

ডোন্ট প্লে আ ডামি

তুমি আর টুলু

কামন, লেটস গুলুগুলু।



আমি কোনোমতে হাত ছাড়াইয়া ইজ্জত লইয়া দৌড় দিলাম। হা পিতঃ হা মাতঃ হা ভ্রাতঃ! ইহা কি শুনিলাম! এইমাত্র আমাকে কি একজন পুরুষ প্রস্তাব দিল? ঈশ্বর, ইহা কি?? ছিছিছিছিছি! পিছনে থপথপ শব্দ শুনিয়া শিহরিয়া ঘাড় ঘুরাইলাম। আর কেহ নহে, টুলু! সে দুই হাত বাড়াইয়া প্রচণ্ড বেগে ধাইয়া আসিতেছে, তাঁহার চোখে 'আজি রজনীতে হয়েছে সময় এসেছি বাসবদত্তা' টাইপ দৃষ্টি।



ভাবিলাম- একবার থামিয়া ইহাকে কি বুঝাইয়া বলিব, আমি গুলুগুলু করিব না; এমন গুলুগুলু অপেক্ষা মৃত্যু শ্রেয়? কিন্তু এই কামুক ছিনতাইকারী যদি কথা না শুনে? হয়তো জোর করিয়াই গুলুগুলু করিয়া ফেলিবে! তখন? আমি পুনঃ শিহরিয়া উঠিয়া দৌড়াইতে লাগিলাম। আজিকে বের হইয়াছিলাম কি করিতে, আর এখন গুলুগুলু হইতে বাঁচিতে দৌড়াইতে হইতেছে। থপথপ শব্দ নিকটাবর্তী হইতেছে, আমি দৌড়ের গতি বাড়াইলাম। পূর্বের কথা সংশোধন করিতেছি, ইহার চাইতে ভাগ্য খারাপ হওয়া সম্ভবই না, আমি শতভাগ নিশ্চিত। ঈশ্বর, রক্ষে কর!



তখনি পিচ্ছিল রাস্তায় পড়িয়া থাকা গো-বর্জ্যে পা পিছলাইয়া গেল, ধড়াম করিয়া আছাড় খাইয়া পড়িলাম।





শিট।

মন্তব্য ১১৬ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (১১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৩

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: অসাধারণ।

মজা পাইলাম অনেক।

এতক্ষণ টানা সাধু ভাষার একটানা ব্যবহার প্রশংসনীয়।

+++++ :)

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: স্রেফ মজা করে লেখা গল্পে প্লাস দেওয়ায় ধন্যবাদ, প্রতিবাদী কণ্ঠ:)

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩১

িটউব লাইট বলেছেন: দারুণ :D :D :D ++++

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ:)

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সাধু ভাষায় লিখিয়াছেন পড়িয়া মজা পাইলাম। একটা সময়ে রাগিয়ো গেলে সাধু ভাষায় কথা বলিব বলিয়া লোক দের ভয় দেখাইতাম। এপনি কি কিঞ্চিৎ রাগিয়া সাধু ভাষায় লিখিলেন নাকি? পোস্টে ++

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: স্রেফ মজা করিবার প্রয়াস, প্রিয় সেলিম আনোয়ার, আর কিছু নহে!

প্লাস পেয়ে আনন্দিত!

৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৩

কয়েস সামী বলেছেন: টানা সাধু ভাষা! ওরেব্বাপস! আমি টাস্কিত!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা! মজা পেয়েছেন তো?

৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫০

মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, শ্যাষে গুলুগুলু ছিনতাইকারী হইতে কোনরুপ ইজ্জত খানা উদ্ধার করিয়াও রেহাই হইলোনা! এক দলা গো-শীটে হুমড়ি খাইয়া পড়িতে হইল!! ( পড়ার সময় ভানু বন্দোপাধ্যায়ের খোমা খানা মনে করিয়া লইবে) :P

যদিও কিছু কিছু স্থানে সাধু গতি কাটিয়া গিয়াছে, তবুও বলিব "বাহ্ বেশ বেশ"!! ;)

আর সাধু রীতির মধ্যখানে ভগিনীর ম্লেচ্চ চলিত রীতি এক ঘেয়েমী কাটাইতে বেশ কাজে লাগিয়াছে ;)

+++

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: যুবক গো-বর্জ্যে হুমড়ি খাইয়া পড়িয়াছে, ধাবমান টুলু কিন্তু থামিয়া রয় নাই! তাই পুরোটা না বলিয়া পাঠকের হাতে তুলিয়া দেওয়াই শ্রেয়:)

ধন্যবাদ, মামুন রশিদ।

৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫১

টুম্পা মনি বলেছেন: অসাধারণ। :D :D :D :D

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থ্যাংকস:)

৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আবার পড়িতে হইবে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়িয়া দেখুন। মতামতের অপেক্ষা করিতেছি।

৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

আম্মানসুরা বলেছেন: মারহাবা

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এর উত্তর আরবিতে দিতে পারলে ভালো লাগত

৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৩

আশাফ আনিস বলেছেন: অস্থির B-)

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :):)

১০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৫

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: গল্প অত্যধিক হাস্যরসে মাখামাখি হইয়াছে, বড়ই বিনোদনের সঞ্চালন ঘটাইলেন। পড়িয়া মনে হইলো -

ভাষা সাধু,
যেন মধু!


ওহে ত্রিচক্রযানচালক, পার্কে যাইবে?'

=p~ =p~ =p~ =p~

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কবি যে কমেন্ট কাব্যে করিবেন, তাতে আর আশ্চর্য কি? কাব্য উত্তম পাইলাম:)

১১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: সাধু ভাষা রম্য রচনার জন্যে অতি উৎকৃষ্ট। শব্দের ঝংকারে উদ্ভটরকম হাস্যতরঙ্গ সৃষ্টি হয়। খুব মজা পেলাম। তবে সাইকো, শিট এসব শব্দের সাধুরূপ দিলে ভালো লাগতো।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কথা খারাপ বলেন নি! আসলে এক বসায় লিখে পোস্ট করায় একটু-আধটু 'অসম্পূর্ণ' থেকে গেছে। নেটের স্পিড বাড়লেই এডিট করে ফেলব!

শিট শব্দটা না পাল্টে রেখে দিলাম। আছাড় খেয়ে সাধু-কথক তার ভাষা ভুলে রাগে দুঃখে ইংরেজিতে গাল দিয়ে ফেলেছে- এটা বোঝানোর জন্য শেষ শব্দটা অপরিবর্তিত থাকা জরুরি:)

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

নস্টালজিক বলেছেন: বেসম্ভব মজা!

হাসানের কমেন্ট পড়ে মনে হলো আসলেই...সাইকো, শিট এর একটা 'শঙ্কু সাধু'রুপ হলে মন্দ হতো না কিন্তু!


শুভেচ্ছা, প্রফেসর!

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নেটের স্পিডের কারণে এডিট করতে পারছি না নস্টালজিক, সুযোগ পেতেই এদের একটা সাধু রূপ দিয়ে ফেলব।

১৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১২

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: দারুণ দেখিয়েছেন, প্রোফেসর। অনেক ভাল লাগলো।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পাঠকের আনন্দেই লেখকের আনন্দ!

১৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৫

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: বিনোদিত হইলাম ভ্রাতা

সাধু ভাষার চর্চা করিব

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: উত্তম! উত্তম!!

১৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩৫

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: বহুকাল পরে সাধুভাষায় কিছু পড়িয়া আমোদিত হৈলাম। আপনার কেচ্ছাখানি অত্যন্ত যুগোপযোগী হৈয়াছে। মাঝে মাঝে ম্লেচ্ছ ভাষার প্রয়োগ গদ্যখানিতে প্রাণ সঞ্চার করিয়াছে, কিন্তু ছন্দপতন ঘটায় নাই। ইহাই গল্পকার হিসাবে আপনার সাফল্য। এই সাফল্য বজায় থাকুক, এই কামনা করিতেছি।

অনেক শুভকামনা রহিল। আগামীতে আরো গদ্য আশা করিতেছি।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমোদিত করিতে পারিয়া আমোদিত হইলাম, আপনার কামনা পূর্ণ হউক এই কামনা করি।

মম ব্লগ তড়িৎগতিতে গদ্য-প্রসবা, সুতরাং আপনার আশা বিফলে যাইবে না। ইচ্ছা করিলে এই গদ্যকারের পূর্ব-রচিত গদ্যসমূহ পঠন করিতে পারেন, আনন্দিত হইব।

শুভেচ্ছা রহিল।

১৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫৬

বাংলার হাসান বলেছেন: দারুণ লাগলো।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৪৪

শান্তির দেবদূত বলেছেন: চমৎকার প্রয়াস। কয়েক জায়গায় সাধু চলিত মিশ্রণ হয়ে গেছে। ব্যাপার না, রম্যের উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে গেছে। তবে একটু ঘষামাজা করে ঠিক করলে নিঃসন্দেহে A+ ক্যাটাগরির একটা রম্য হবে এটা। শুভেচ্ছা।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পটা সম্পূর্ণ সাধু ভাষায় নয় আসলে। মূল চরিত্র ও ভাগিনাদ্বয় সাধু ভাষায় কথা বলে, বাকিরা স্বাভাবিক চলিত ভাষায়; তাই একটু মিশ্রণ ঘটেছে আর কি!

শুভেচ্ছা আনন্দের সাথে গৃহীত হল:)

১৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯

আর.হক বলেছেন: গল্পখানা পড়িয়া লগ ইন হইয়া মন্তব্য করা ব্যতিত উপায় রহিল না

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাকে লগ ইন করাইতে পারিয়া আমি সন্তুষ্ট!

১৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

আমিনুর রহমান বলেছেন:



দুর্দান্ত হয়েছে ভ্রাতা !!!
বেশ হাসলাম =p~ =p~ =p~

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থ্যাংক ইউ:)

২০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): ইহা নিতান্তই একটি প্লটহীন রম্যগল্প, আশা করি কেহ জটিলভাবে লইবেন না (ভীষণভাবে আশার ইমো হইবে) ;


+++++++ দিলাম, আর মোটেও জটিল ভাবে লইলাম না।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা, আর জটিল ভাবে না লইবার জন্য ডবল কৃতজ্ঞতা রইল কাণ্ডারী।

২১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: চমৎকার !

বাসে উঠিতে যাইয়া বেচারার লুঙ্গি খুলিয়া গিয়াছে, দীর্ঘ পাঞ্জাবি পড়ার দরুণ বুঝিতে পারে নাই; পরে ভিড়ের কারণে বাস থেকে নামিতেও পারে নাই!

----- ;)

প্লাস দিলাম।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :) ধন্যবাদ।

২২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

শাহেদ খান বলেছেন: রম্য ভাল লাগে ! এটাও ভাল পেলাম ! :)

তবে, সবাই (অথবা, বেশিরভাগই) সাধু'তে রম্য লিখে কেন? চলিত রম্যও দেখার আশা রাখি। সাধুভাষায় হাসান ভাই বর্ণিত 'উদ্ভটরকম' শব্দের প্রয়োগে হাস্যরসটা দ্রুত জমে যায়, চলিত ভাষায় সেটা হয়তো একটু দুষ্কর। তবু, আমার ধারণা আপনার কাছ থেকে ভাল মানের চলিত রম্যও পাব কখনও !

যদি ইতোপূর্বে তেমন চলিত-রম্য লিখে থাকেন, তবে সময় করে জানাবেন?

লেখায় অনেক শুভকামনা, প্রোফেসর শঙ্কু !

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: রম্যে সাধু ভাষা সবসময়ই স্পেশাল একটা জায়গা দখল করে রাখে, নানা কারণে। আগে চলিত ভাষায় একটা লিখেছিলাম, আপনি পড়েছিলেন বোধহয়, তবু লিংক দিয়ে দিলাম:)

বায়বীয় রম্যঃ সাথে রাজনীতির বাষ্প
Click This Link

ধন্যবাদ, শাহেদ।

২৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হাহা দারুণ মজা পাইলাম। অফিসে বসেই হাসতে হাসতে শেষ :D :D

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ:)

২৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: =p~ =p~ =p~ =p~

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :):)

২৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ভালো লাগলো।

রম্যরস সৃষ্টির জন্য চলমান চলতি ভাষা ব্যবহার করাই শ্রেয়, আমার মতে। গুরুগম্ভীর শব্দসমষ্টি প্রয়োগ না করেও সার্থক রম্যরচনা সৃষ্টি করা যেতে পারে। যে-আমলে সাধু ভাষাই সর্বজনগ্রাহ্য ভাষারীতি ছিল, সেকালে রম্যরচনায়ও সাধুরূপই ব্যবহার করা হতো। একালে যদি এটা করেন, এর রসের স্থায়িত্ব খুব সাময়িক হবে আমার মতে। হাস্যরসের উপাদান কী কী আছে, সেটা হলো প্রথম বিচার্য বিষয়।

সৈয়দ মুস্‌তবা আলী বাংলা ভাষায় একজন সার্থক রম্যলেখক। তাঁর লেখ্যরূপ কিন্তু এরকম নয়।

‘আমি তাহার পোঁদ দেখাইয়া বলিলাম, 'ইহা পোঁদ, নহে?'
বালক সম্মতি জানাইল।
আমি তড়িৎবেগে আপন পদ উহার পোঁদে চালনা করিলাম। অকস্মাৎ পোঁদাঘাতে মর্কট খাটিয়া হইতে উলটাইয়া বিষয়।’


এ সংক্রান্ত বচনসমূহ, এবং ‘টুলু’কাহিনি খুব ‘লাইট’ মনে হয়েছে আমার কাছে।

আমি এর আগে আপনার একটা গল্প পড়েছিলাম, তা থেকে আপনার দক্ষতা সম্পর্কে আমার খুব উচ্চ ধারনা হয়েছে বলেই এ পোস্ট সম্পর্কে আমি এ কথাগুলো বললাম। এরকম রম্য লেখার চেয়ে আপনার দক্ষতা অনেক বেশি।

শুভ কামনা থাকলো।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রথমেই বলে নেই, আমার পোস্ট পড়ে যা মনে হবে তা-ই বলতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবেন না। লেখা নিয়ে আলোচনা করার জন্যেই ব্লগে পোস্ট করা।

আমার অন্যান্য গল্পের সাথে এই গল্পের পার্থক্য হল, এটা তেমন গুরুত্ব দিয়ে লেখা হয় নি। স্রেফ মজা করার জন্য, পদ-কে পোঁদ উচ্চারণ করা নিয়ে বিভ্রান্তি এবং অন্যান্য হাস্যরসের উপাদান এসেছে। এটা লাইট লাগার একটা কারণ হতে পারে।

অবশ্যই গল্পের মান আরও অনেক ভাল হতে পারত, পরে যদি আরও রম্য লিখি- তখন আপনার কথাটা মাথায় থাকবে। আমার লেখনীতে আপনার আস্থা নতুন করে উৎসাহিত করল। এভাবেই সব সময় পাশে থেকে সাহায্য করবেন আশা করি।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: সমগ্র রচনাটি সাধুভাষায় লিখিয়া প্রসংসার দাবীদার হইলেন বটে। পাঠককুল তথা আমি স্বয়ং রচনাটি পাঠ করিয়া যার পর নাই আনন্দিত হইলাম। ইহা একখানি উঁচুদরের লেখাতে পরিণত হইয়াছে। আপনাকে ধন্যবাদ দিতে বাসনা করিতেছি।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমি অত্যন্ত আনন্দের সহিত জানাইতেছি যে, আপনার বাসনা পরিপূর্ণ হইয়াছে। উক্ত ধন্যবাদ লেখক কর্তৃক কৃতজ্ঞতার সহিত গৃহীত হইল।

২৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহাহাহ! ভাই! অনেকক্ষন হাসলাম। মাঝে মাঝে এই ধরনের লেখা দিবেন। আরাম পাই। সারাক্ষন সাহিত্যমান বজায় রেখে লেখা পড়ার মধ্যে খুব বেশি আনন্দ নাই। এই লেখাটে যেটা ভালো লাগল, তাহলে সাধু ভাষার দারুন ব্যবহার। রম্য লেখার জন্য সাধু ভাষার কোন তুলনাই নাই।

ব্লগার আফসিন তৃষা তিনি মাঝে মাঝে এই ধরনের সাধু ভাষা দিয়ে ফুড রিভিউ লিখেন! সেটাও বেশ উপভোগ্য।

১২তম প্লাস রইল। মুক্তি হাসি উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হ্যাঁ, সাধু ভাষার মজাটা অন্যরকম, যদিও 'মজা' নির্ভর করে লেখকের ক্ষমতার ওপর। তবে মাঝে মাঝে মজা করা ভালো:)

আফসিন তৃষার সাধু খাদ্য-রিভিউ পড়ে দেখতে হবে, আর প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।

শুভকামনা, প্রিয় ব্লগার।

২৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪১

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: :) ভালো লাগলো অনেক দিন পরে ব্লগে এসে ।


বিলুপ্তপ্রায় মোচ সিরাম শব্দ !!! গোফ লিখলে আরও ভালো হইতো মনে হয় । :)

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পুরাতন ব্লগারদের দেখলে দারুণ লাগে!

গোঁফ লিখলে কেমন জমিদার জমিদার ভাব এসে যায়, তাই মোচ দিয়ে দিয়েছি:)

ভাল লাগল আপনাকে পোস্টে পেয়ে।

২৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০১

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আহা, কত্তদিন পর সাধুভাষার লেখা পড়িলাম।
ভালো ও লাগিলো।
ধন্যবাদ জানাইয়া গেলাম।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহা, ধন্যবাদে আপ্লুত!

৩০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৪০

অনির্বাণ তন্ময় বলেছেন:
সাধু-চলিতের অসাধারন মিশ্রণ। ভালো লাগল। প্লাস।
যদিও সাহিত্য খুব একটা পড়া হয় নি। তবে রবিন্দ্রনাথের হালকা ফ্লেবার পেলাম বলে মনে হল।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বুড়ো রবীন্দ্রনাথ এমনভাবে শেকড় বিছিয়ে বসে আছেন, তাকে এড়িয়ে সাহিত্যে ঢোকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

প্লাস দেওয়ায় ধন্যবাদ।

৩১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
হাহাহ, মারাত্মক মজা পাইসি।
একদম শেষে 'শিট' বেশী চমৎকার লাগসে ||

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মজা দিতে পারিয়া আনন্দিত।

৩২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: আমি মার্জারসম বিনয় লইয়া বলিলাম, 'হে প্রিয়তম ভগিনী, তোমাকে আমি সর্বাপেক্ষা ভালবাসি। তোমার মুখমণ্ডল স্মরণে আমার আত্মা পরিশুদ্ধ হয়, হৃদয় পরিপূর্ণ হয়, ধর্মে-কর্মে উৎসাহ খুঁজিয়া পাই। তুমি শুধু আমার ভগিনী নহ, তুমি

সত্যি দারুন । +++

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আনন্দিত হইলাম।

৩৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:২৭

আরজু পনি বলেছেন:

সাধুভাষায় সঠিক শব্দ প্রয়োগে লিখা চাট্টিখানি কথা নহে।

আপনি সেই অসাধ্য সাধন করিয়াছেন।
সাধুবাদ দিতেই হয়।।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সাধুভাষায় লিখে সাধুবাদ পাওয়া সবসময়ই আনন্দের।

আমার কৃতজ্ঞতা রইল। শুভেচ্ছা।

৩৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

টুম্পা মনি বলেছেন: ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা শঙ্কু মশাই :D :D

ঈদ মোবারক।

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ঈদ মোবারক টুম্পা:) আশা করি ভালো সময় কাটছে।

৩৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০১

গোর্কি বলেছেন:
-পড়িয়া চমৎকার রসবোধ আহরণ করিলাম এবং মুগ্ধতা জানাইলাম।

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: জানিতে পারিলাম, এবং জানিয়া খুশি হইলাম।

৩৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৭

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: বঙ্কিম চন্দ্রের কথা মনে অইছে। ইসৃ ১০০ /২০০ বছর আগে জন্মাইলে .............

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ইসসস:)

৩৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: দারুন হয়েছে!

বোনের অংশটা কি ইচ্ছে করেই কথ্যরূপে রেখেছেন?

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হ্যাঁ। গল্পে চেয়েছিলাম শুধু মূল চরিত্র এবং ভাগ্নেদের কথা সাধু ভাষায় হোক।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৩৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৬

ভিয়েনাস বলেছেন: ওহে পড়ার সময় মনে হইলো অনেক দিন পর শরৎবাবু নয়তো বংকিম বাবু বুঝি ফিরিয়া আসিলেন :D

এমন সাধু ভাষায় অনেক দিন পর কোন গল্প পড়লাম। রম্যখানা খুবি হাস্যত্বক হইয়াছে। পড়িয়া তৃপ্ত হইলাম :)



১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা, পঠন করিয়াছেন শুনিয়া তীব্র আনন্দ পাইলাম:)

৩৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: আমি সাধু ভাষায় কিছু লিখতে গেলে সাধু, চলিত, আঞ্চলিক সব মিশে যায়। :|

দূর্দান্ত লিখছেন ভাই।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :| আমারও:)

আপনার লেখাটা দারুণ লেগেছে।

৪০| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৬

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: হা হা হা!!

পুরোটা পড়ে একটাই শব্দ মাথায় আসছে, অসামান্য! :) =p~ =p~

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ পথিক:)

৪১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৮

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
বাপরে! হাসতেই হাসতেই আছি!
আপনি রম্যরচনায় বস! এর আগেও একটা পড়ে মজাক পাইছিলাম :)

আরও লিইখেন! কামন, লেটস গুলুগুলু।

চাইলে এইটারে সিরিজ হিসেবে ছাড়তে পারেন মাঝে মধ্যে :)

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এইটা সিরিজের মতই। আগেরটা বায়বীয় রম্য ছিল, এইটা শুষ্ক রম্য আরকি:)

দেখা যাক, সামনে আরও লেখার চেষ্টা করব!

৪২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

সোমহেপি বলেছেন: শেষে আসিয়া আমি বড়ই চিন্তায় পড়িয়া গেলাম।দানবসদৃশ লোকটি আপনাকে গুলুগুলু খেলিতে বাধ্য করিয়াছিলো কি না?

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় সোমহেপি, আমি গুলুগুলুর শিকার একজন যুবক প্রেমিকের জবানবন্দী পেশ করিয়াছি মাত্র। দুঃখজনক হইলেও তাঁহার সাথে আমার বয়সে বেশ তারতম্য থাকার কারণে বেচারাটি 'ঐসব' বিষয়ে শরম পাইয়া শেয়ার করিতে চাহে না। নিদারুণ চাপাচাপি সত্ত্বেও সে মুখ খুলে নাই, ফলে আমিও নিশ্চিত হইতে পারি নাই।

সুতরাং আপনার চিন্তা দূর করিতে পারিলাম না, দুঃখিত:)

৪৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: সাধুভাষায় লিখিতে এবং পড়িতে সর্বদাই এক ব্যতিক্রমী আনন্দের জন্ম নেয়। এহেন অনুভূতির জন্মাইবার উপলক্ষ্য সৃষ্টি করিবার নিমিত্তে ধন্যবাদ।


এইবার একখানা "ঋণাত্নক" আপনার প্রাপ্য। আরও ক্ষণাধিককাল অন্তর্জালে থাকিতে চাহিয়াছিলাম কিন্তু হাসিতে হাসিতে ক্ষুধা উদ্রেক ঘটিল।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: খাইয়া লউন, ইহা তীব্রধীক জরুরি!

ঋণাত্মক এবং ধন্যবাদ উভয়ই আনন্দের সাথে লইলাম।

৪৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অদ্ভূত কারণে পোষ্টে প্লাস দিতে পারছি না ।
কমপক্ষে ২০ বার বাটন টিপলাম , কাজ হচ্ছে না ।
তাই কমেন্টেই দিচ্ছি ++++++++++++


আপনি সবসময়েই স্বচ্ছন্দ , প্রোফেসর । অনেকক্ষণ হাসলাম ।
পাঠে আনন্দ নিয়েই গেলাম ।
কেমন আছেন ?

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রবলেমটা কমন মনে হয়, আমিও অনেক পোস্টে প্লাস দিতে পারছি না। কমেন্টের প্লাসেই খুশি হলাম।

চমৎকার আছি, মাহমুদ। আশা করি ভালো আছেন আপনিও।

শুভকামনা।

৪৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৯

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: মজা পাইলাম অনেক =p~ =p~

২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এই ইমো দিতে পারি না, নইলে আমিও ইমোর মাধ্যমে নিজের খুশি প্রকাশ করতাম।

ধন্যবাদ:)

৪৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

নীরব 009 বলেছেন: ইহা পড়িতে পড়িতে যারপরনাই হাসিয়াছিলাম। অতীব সুখাদ্য কিন্তু শেষে গিয়া গোবরে যে ভূপাতিত হইলেন উহার পরে কি ঘটিয়াছিল তাহা জানিতে মুঞ্চায় B-)) B-)

পোস্টে প্লাস :)

২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ৪২নং কমেন্টের উত্তর দ্রষ্টব্য:)

ইহা পড়িয়া কৃতজ্ঞ করিলেন, ধন্যবাদ জানিবেন।

৪৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক দিন ধরে ব্লগে অনিয়মিত বলে অনেক কিছু মিস করে যাই। দারুন লিখেছেন আপনি।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ তন্ময় ফেরদৌস।

আপনার 'বিজ্ঞাপনের গুষ্টি উদ্ধার' সিরিজটা ভালো লাগত অনেক। ঐ সিরিজে নতুন পোস্টের আগমন দাবি করছি।

৪৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আমি তড়িৎবেগে আপন পদ উহার পোঁদে চালনা করিলাম। অকস্মাৎ পোঁদাঘাতে মর্কট খাটিয়া হইতে উলটাইয়া পড়িল।

আর আমি চেয়ার থেকে... অক্ষরাঘাতাহত!
ভাই, আমার হায়াত তো দু্ই সপ্তা বাড়িয়ে দিয়েছেন! তিন গ্লাস ভালবাসা!

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা, ভবিষ্যতে আপনার হায়াত আরও বাড়ানোর ইচ্ছা রাখি! এই প্রথম কেউ গ্লাসে করে আমাকে ভালোবাসা দিল, সত্যি আমি কি বলব খুঁজে পাচ্ছি না:)

৪৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: লেখনীর বিষয়ে কিছু বলার সামর্থ্য নেই। কিছু কিছু লেখক আছেন, যাঁরা নদীর মত ভাসিয়ে নিয়ে যান। আর কোন কোন লেখক সাগরের মত গভীর।

আন্তরিক কথা ভাই, আপনার লেখায় সাগরের তলার চোরাস্রোত পেলাম।
এ মানের লেখার ক্ষেত্রে মান নিয়ে কিছু বলে না থাকা মানটুকুও খোয়াতে চাই না।

আমার কাছে পুরো লেখাই সম্পূর্ণ মানোত্তীর্ণ মনে হয়েছে।
অতি উচুদরের লেখা।
একটা পর্যায় আছে, যেটা ছাড়িয়ে গেলে সমালোচনা ধৃষ্টতার নামান্তর। এ লেখা আমার কাছে তেমন লেগেছে।
লেখক বলতে যে মানুষগুলোর চেহারা ভেসে ওঠে, তেমন চেহারার লেখা।

আবারো কৃতজ্ঞতা নিন।
আমি আর আমার বড় ভাইটা পেট ফাটিয়ে হাসছিলাম। চোখ-মুখে পানি। পেটে সত্যি সত্যি খিল। একটু পরপর একজন আরেকজনের হাঁটুতে চাপড় দিচ্ছি।

ভাই একটু পরপর বলছে, 'আর পারুম না ভাই, বন্ধ করো, বন্ধ করো...'

বলছে, বিশ সেকেন্ড সময় নিচ্ছে, তারপর আবার পড়া শুরু করছে। আমিও।

কৃতজ্ঞতা নিন।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমি নিতান্তই লেজেগোবরে লেখক, আপনার মুক্ত প্রশংসায় সত্যিই কুণ্ঠিত হয়ে গেলাম। তবে আমি মনে করি, লেখা যদি একটি মানুষেরও ভালো লাগে, তাহলে সেটা আমার জন্য বিশাল এক অর্জন। আপনার কথায় অনেক বেশি উৎসাহ পেয়ে গেলাম। কৃতজ্ঞতা নেবেন।

আপনার কমেন্ট আমার মুখেও হাসি ফুটিয়ে দিল:)

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা।

৫০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪০

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: মজা পেলাম B-)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এই ইমো দিতে দারুণ লাগে তোB-)

৫১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: হে ভ্রাতা, আপনার সাধু ভাষায় লিখিত সুস্বাদু খুঁটি (পোস্ট) খানার স্বাদ আস্বাদন করিয়া যে বিমলান্দ পেলুম তাহা প্রকাশ কবিবার জন্য উপযুক্ত শব্দের ঘাটতি দেখা দিয়েছে মোর অভিধানে । যোগ নিন । ;)

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: খুঁটি খাইয়া ভালো লাগিয়াছে তো?:) তাতেই খুশি।

আনন্দের সাথে যোগ নিয়া নিলাম।

৫২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

মারুফ মুকতাদীর বলেছেন: হা হা হা! জোশ! :D

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

৫৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

অচিন্ত্য বলেছেন: হাহ হাহ হাহ। সাঙ্ঘাতিক !
আমিও একবার সাধু ভাষায় একখানা ব্লগ রচনা করিয়াছিলাম। লিংক দিলাম। সুযোগ থাকিলে পাঠ করিবেন। প্রীত হইব।
:)

Click This Link

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লিংকে গুঁতা দিলাম। পড়িয়া আসি!

৫৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০০

তওসীফ সাদাত বলেছেন: অস্থির !! :D :D :D :D :D

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ:)

৫৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৩

রাহি বলেছেন: অফলাইনে আগেই পড়েছিলাম। আপনি দারুণ লিখেন। প্রিয়তে নিলাম। এবং অনুসারিত।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভীষণ কৃতজ্ঞ এবং অনুপ্রাণিত বোধ করছি।

শুভেচ্ছা রইল।

৫৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪৭

হু বলেছেন: লেখার ধরণে কোথায় যেন শরৎ বাবুর গন্ধ পেলাম...

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহা, ধন্যবাদ!

৫৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: !:#P !:#P

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :)

৫৮| ২৬ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:১২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: লাজওয়াব :D

০৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: !:#P !:#P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.