নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বর্গ-পৃথ্বী অন্তঃস্থলে, বহুকিছু ফিরে-চলে, যাহা বিস্ময়কর

প্রোফেসর শঙ্কু

বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়

প্রোফেসর শঙ্কু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্প: শেকড়-নীতি

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫

মাঝে মধ্যে ঠিক মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়। কেমন যেন একটা তৃষ্ণা জাগে। চোখে ঘুমের কোন চিহ্ন নেই, মাথাটা একেবারে খালি মনে হয়, হাত কাঁপে। লাইট জ্বালিয়ে টেবিলে খাতা কলম নিয়ে বসি। কিচ্ছু লেখার নেই, কিচ্ছু মাথায় আসছে না। অস্থির লাগে। তখন হয়তো দেয়াল বেয়ে একটা মাকড়সা ছুটে যায়। লিখে ফেলি, ''তিড়বিড়িয়ে একটা লোমশ প্রাণী ছুটে গেল। আটটা পা, আটটা চোখ। কিন্তু মাথা একটা, ছুটছে এক দিকে। কোন বিভ্রান্তি নেই ....''



থেমে যেতে হয়। নাকি থেমে গেলাম? 'থেমে যেতে হয়' আর 'থেমে গেলাম' এর মাঝে বোধহয় খুব একটা ব্যবধান নেই। প্রতিটা রাতই এখন একরকম মনে হয়, বা 'হচ্ছে'; কোন আজ-কাল নেই। অসীমসংখ্যক সরলরেখাদের মাঝে কি কোন পার্থক্য থাকে? হয়তো একেক সরলরেখার উদ্দেশ্য একেক রকম। আমার উদ্দেশ্যটা বের করা দরকার। কি লিখতে চাইছি? ফিলোসফিকাল কিছু? মাঝরাতে উঠে কেউ দর্শন লেখে? অদ্ভুত।



কিন্তু দর্শন নিয়ে তো কিছু জানি না। একমাত্র মধ্যবিত্ত দর্শনে অভিজ্ঞ, কিন্তু ওটার কথা আর কত বলা যায়? সারাদিন গাধার মত খেটে মাঝারি আয়ে পরিবার চালাই, তবু খাই মেটে না। খাব খাব খাব খাব। একমাত্র নীতি, একমাত্র আদর্শ। প্রথম প্রথম মেজাজ খিঁচড়ে উঠত, এখন তাও হয় না। পুরো দিনটা কাটিয়ে হাঁফ ছাড়ি- আরও একদিন গেল। সংসারের জোয়াল টানার শাস্তি আরও একদিন কমল। এইতো বাঁচা! কেমন আছেন আসাদ সাব? মুখে হাসি টেনে বলি, আছি ভাই, আলহামদুলিল্লাহ।



লেখা এগোতে চাইছে আবার-



''...সংশয় নেই, পেটে ডিম নিয়ে একছুটে পালিয়ে গেল। হয়তো এখন গিয়ে ঘরের অন্ধকার কোণায় লুকোবে, সঙ্গীর বোনা সংকীর্ণ জালে বসবে, তারপর পেটের ডিমটায় হাত বুলিয়ে বলবে, বেশ আছি তো! গল্পের টিকটিকি দেয়ালের ওপরে লটকে সায় দেবে, ঠিক ঠিক ঠিক!''



কালকে কি শুক্রবার? ছুটি? ক্যালেন্ডার দেখা দরকার। কিন্তু টেবিল ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা করছে না। সত্যি বলতে কি, উঠতে পারবও না। এই সময়টায় চেয়ারে বসার পর উঠতে গেলে হাত প্রচণ্ড ব্যথা করে, সারা দিনে সে ব্যথা যায় না। কিন্তু আমি হাতে কলম নিয়ে বসে থেকে দেখেছি, তখন কোন ব্যথা করে না। সপ্তাহে দুই তিন রাত এভাবে রাত জেগে কাটে আমার, ঘুম আসে না। শুধু শুধু হাতে কলম নিয়ে চেয়ারে বসে রাত কাটিয়ে দেওয়াটা কারো চোখে স্বাভাবিক লাগবে না, তাই লেখার ভান করতাম। ভান করতে করতে কখন আসলেই লেখা শুরু করে দিয়েছি, জানিই না। দেখলাম, লিখলে হাতের ব্যথা আরও কমে যায়। এখন তাই সময় কাটাতে, ব্যথা কমাতে লিখি।



''কিন্তু এদের পারস্পরিক ছোটাছুটি ও লটকালটকি জালের অন্য মাকড়সাটিকে বিরক্ত করে না। সে বরং আগ্রহ নিয়ে পেটের ডিম ফুটে কি বেরোতে পারে তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা করে আর জালে ঠেস দিয়ে বসে পঁচা মাছি গিলতে গিলতে অপেক্ষা করে। তার মাঝে কোন না কোন ভাবে ঘুমহীন প্রতীক্ষা আর অলস আগ্রহের স্বর্গীয় মিশ্রণ ঘটে গেছে। বাইরে তখন কৃষ্ণকালো আঁধার।''



বাইরে আসলেই কালো আঁধার। চেয়ারে বসে কোনোমতে টেবিলের কাছের জানালাটা খুললাম, একেবারে 'অন্ধ রাত্রি'। জ্যোৎস্না নেই, আকাশে বোধহয় মেঘ করেছে- তারা-টারা কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না। রুনা জেগে থাকলে ভালো হত, চা-টা করে দিতে পারত। কিন্তু ও পেটে হাত রেখে একেবারে ঘুমে কাদা হয়ে আছে। থাক, অনেক সকালে উঠবে তো, ঘুমাক।



শব্দের ব্যবহারটা কি ঠিক হল? 'কৃষ্ণ' কালো? এই কৃষ্ণ কি রাধা-কৃষ্ণের কাহিনির কৃষ্ণ? তিনি বোধহয় কালো ছিলেন না, তার গায়ের রং নীল হবার কথা। কি জানি! খেয়ালে নেই। তবে রুনার সাথে টিভিতে কৃষ্ণের অ্যানিমেশন কার্টুন দেখেছিলাম। ও ঠিক বাচ্চাদের মত, এসবের খুব ভক্ত। চীনা-জাপানি-ভারতীয়-আমেরিকান সব টাইপের কার্টুনই তার পছন্দ। যাই হোক, ওই কার্টুনে কৃষ্ণের বালক ভার্সন দেখেছিলাম। একহারা নীল দেহ। কেমন যেন ঘন নীল, পূর্ণিমার রাতে আকাশের রঙের মত। সেদিন ভালই লেগেছিল দেখতে।



আজকের পরিবেশটাও আসলে খারাপ না। চারিদিক নিস্তব্ধ, অনেক রাতে মাঝে মাঝে শব্দের অভাবে অদ্ভুত লাগে, মনে হয় নতুন কোন মহাশব্দের জন্মের প্রতীক্ষা করছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড। কালো রাতের আঁধারে আকাশ থেকে বালু ঝরছে ঝিরঝিরিয়ে। বালুর ওই কণারা কিন্তু অদৃশ্য, তারা মানুষের চারপাশে ভরে উঠে একসময় ডুবিয়ে ফেলে, মানুষেরা বুঝতেও পারে না। তারা বালু ঠেলে ঠেলে বাঁচে। উফ! হাতে কাঁপুনি লাগছে আবার! মাঝে মাঝে মনে হয় আমাকে দিয়ে কেউ লিখিয়ে নিচ্ছে এসব; কেউ একজন মনে করিয়ে দিচ্ছে, অনর্থক ভেবো না, লেখো!



''দুর্ভাগ্যবশতঃ দুদিনের বাসি পঁচা মাছি মাকড়সার পেটে গিয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। মাকড়সাটি পেট চেপে কোনোমতে জাল থেকে নামে, তারপর মেঝেতে হড়হড়িয়ে বমি করে দেয়। থুঃ করে মুখে লেগে থাকা মাছির পাখার অবশিষ্টাংশ ফেলে সে এক পায়ে মুখ মোছে। নিঃশব্দে গাল দেয় কাকে যেন। অন্য মাকড়সাদের মত তার পশ্চাতে সুতার অসীম ভাণ্ডার নেই, এমনকি তার টিকটিকির মত লম্বা জিহ্বাও নেই। অন্যরা পশ্চাত নাড়াতেই জিলাপির প্যাঁচের মত নকশা করে মিহি সুতা বেরোয়, তারা বিনা ক্লেশে শিকার করে। কিন্তু তার পশ্চাৎজাত সুতা অপর্যাপ্ত। সে জাল বুনতে গেলে ধার করে বোনে। এমন অপারগতার ফলাফল অবধারিত, সংসারে তার সম্মান নেই। পোয়াতি মাকড়সা অবশ্য খোঁটা দেয় না, প্রতিদানে সে পাড়া ঘুরতে গেলে মানা করাও যায় না। তবে বর্তমানে পোয়াতি হওয়ায় ব্যাপারটা উল্টে গেছে, পাড়া-ই এখন পোয়াতি মাকড়সার কাছে ঘুরতে আসে।''



এসব কি যে আবোল তাবোল লিখি! এসব কি বোঝার উপায় আছে, কেউ বুঝবে? দর্শন থেকে সরে এখন মনোযোগ পিওর সাহিত্যে শিফট হচ্ছে বোধহয়, আস্তে আস্তে দুর্বোধ্য হচ্ছে কিনা! রুনা পড়লে বুঝত, কিন্তু ঘুমোচ্ছে যে! হয়তো না বুঝেই খোঁটা দিত, ওমা! কি লিখসো বলে মুখ চেপে হাসত। তারপর সকালে খাতা নিয়ে ওপরে সাদেক কবি-র ফ্ল্যাটে যেত, অতি শুদ্ধ ভাষায় বলত- 'হিহিহি সাদেক ভাই দেখেন, আপনার আসাদ ভাই এইগুলো কি লিখেছে!' সাদেক হয়তো খাতাটা একমুহূর্ত চেয়ে দেখত, তারপর বিদ্রুপের সুরে বলত, 'দারুণ হইছে তো! জমায়া রাখবা, কেজিদরে বেচলে লাভ আছে।'



কেন লোকটা আমাকে পছন্দ করে না, কে জানে? আমি তো আদর্শ প্রতিবেশি, সবসময় ভালো আচরণ করি। রুনাকে নাম ধরে ডাকলেও কিছু বলি না। ঘরে এলে তার সাথে রাজনীতি, সমাজ এবং ধর্ম নিয়ে কথা বলি। কবিতা লিখে ও এত টাকা পায় কিভাবে তা কোনোদিন জিজ্ঞেস করি নি। রুনা ভালমন্দ কিছু রান্না করলে আমিই মনে করিয়ে দেই, যাও সাদেককে এক বাটি দিয়ে এসো। এমনকি অফিস থেকে এসে ওকে ড্রয়িংরুমে দেখলেও কখনো বিরক্তবোধ করি না। তাহলে? নাকি ছাপোষা কেরানি জাতটাই তার অপছন্দ?



হয়তো অন্যের বিষয়ে নাক গলানো হয়ে যাচ্ছে। ব্যাচেলর কবি সাদেক, তার সাফল্য এবং তার মনোভাব নিয়ে ভাবার আমি কে? ওই টপিক বাদ। মাকড়সার লেখাটায় এগোনো যাক।



''মাকড়সাটি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। আকাশে আটটা পা তুলে সে চিত হয়ে শোয়, উদাস মনে কিছুক্ষণ সিলিঙের দিকে তাকিয়ে থাকে। হঠাৎ চোখের কোণে একটা কিছু নড়ে ওঠে। মাকড়সাটি অষ্টচোখে মিটমিট করে, ভালোভাবে তাকিয়ে দেখে। ওপরে লটকে থাকা টিকটিকি-টা তার অনুপস্থিতির সুযোগে জালের কাছে নেমে এসেছে। পোয়াতি মাকড়সার তাতে কোন আপত্তি নেই মনে হচ্ছে, সে আরও উৎসাহী হয়ে টিকটিকির আগমনের অপেক্ষা করছে। মাকড়সাটির তৎক্ষণাৎ কোন প্রতিক্রিয়া হয় না, সে খুব করে মাথা ঠাণ্ডা করার চেষ্টা করে। কিন্তু আশ্চর্য, অন্যদিনের মত আজ তার মাথার অথর্ব অংশটি বিদ্রোহী অংশের সাথে পেরে উঠছে না! মস্তিষ্কের ভেতরে সশব্দে ছোট ছোট বিস্ফোরণ হচ্ছে। পঁচা মাছির স্বাদ, নাকি পোয়াতির চোখেমুখে নির্লজ্জ আহবান- কোনটা তাকে তাতিয়ে দেয় বলা মুশকিল; কিন্তু আজ মাকড়সাটি শুয়ে না থেকে দেয়াল বেয়ে বেয়ে উঠতে থাকে।''



ভাবছি লেখাটা রুনাকে দেখাবো। রুনা দেখল মানেই সাদেককে দেখানো হল, বিষয়টা খুব একটা আনন্দের না। কিন্তু রুনা লেখাটা পড়ল মানেই ওর পেটের পরীটাও পড়ল, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। পরীটার জন্য তো এসব লেখা। এপর্যন্ত যা লিখেছি, সব তো ও-ই পড়বে। আমার লেখার আর কোন পাঠক কি আমি আশা করতে পারি?



কিন্তু লেখার আগামাথা কিছু বুঝবে কিনা কে জানে? আমি বুঝিয়ে দিতে যাব না। আরে বাবা, এগুলো কেরানি-সাহিত্য - আনপ্ল্যানড, আনপ্যারালালড; বোঝা কি অতই সোজা? তবে আজ রাতে গল্প তরতরিয়ে এগোচ্ছে। প্রথমে একটু দর্শন, তারপর সাহিত্য, এবারে একটু অ্যাকশন আনা যেতে পারে।



''কাছাকাছি যেতেই ওদের কথাবার্তা শুনতে পায় সে। ওকে নিয়েই কথা হচ্ছে, সঠিক করে বললে ওর জাল নিয়ে। ও জাল বোনায় কতটা অপটু, ওর কত বেশি সময় লাগে, জালের ফাঁক দিয়ে কেমন করে মাছিরা বেরিয়ে যায়- এইসব। এমনকি মাকড়সা-মাকড়সানির আপন গোপন কথাগুলোও রসিয়ে রসিয়ে আলোচনা হচ্ছে। পোয়াতি মাকড়সার কথা বলার রংঢং আর টিকটিকির দৃষ্টি লক্ষ্য করে মাকড়সাটির গা জ্বলে যায়। মাথা ঠিক রাখার চেষ্টা করে সে, কিন্তু আট আটটা পায়ের সাথে পেরে ওঠে না। অনেক দিন নিশ্চল ছিল ওগুলো। কিছু বোঝার আগেই সে ছিটকে চলে যায় টিকটিকির কাছে। টিকটিকি এবং পোয়াতি তার হঠাৎ আগমনে অবাক হয়ে কিছু একটা বলার চেষ্টা করে, বিরক্তও হয় হয়তবা, কিন্তু মাকড়সাটি কোন সুযোগ দেয় না। আট পায়ে টিকটিকিকে জড়িয়ে ফেলে দাঁত বসিয়ে দেয় তার ঘাড়ে। এমন অতর্কিত আক্রমণে টিকটিকি বিপর্যস্ত হয়ে যায়, শেষে দুজনেই ভারসাম্য হারিয়ে অনেকটা নিচে মেঝেতে পড়ে যায়।''



হুম, আসলেই পোকামাকড়ের গল্প এগোচ্ছে ভাল, পরীর ভালো লাগবে। একটানে বলে ফেললাম অনেকটা কথা। আবর্জনা না, নির্দিষ্ট কিছু একটা হচ্ছে বোধহয়। হাতের ব্যথাটাও প্রায় নেই নেই মনে হচ্ছে। এরপর কি দেওয়া যায়, করুণরস? নাকি গল্পের মাঝে মরাল টাইপ কিছু কথা ঢুকিয়ে দেব? দিলেও সূক্ষ্মভাবে দিতে হবে, যাতে ওর মনে না হয় ওকে কিছু বলা হচ্ছে, উপদেশ দেওয়া হচ্ছে।



''মাকড়সাটি জ্ঞান ফিরে পেল খুব ধীরে ধীরে, সাবধানে চোখ খুলল। তার চারপাশের পৃথিবী মদ্যপ, ঢুলছে অনিয়ন্ত্রিতভাবে। একটা নিচু কিন্তু সুতীক্ষ্ণ আর্তনাদে মাথাটা ঝনঝন করে উঠল ওর, শব্দের উৎসের দিকে তাকাল। পোয়াতি মাকড়সাটা টিকটিকিকে আঁকড়ে ধরে কাঁদছে। এমনভাবে কাঁদছে যেন বেচারির স্বামী মারা গেছে। টিকটিকিটা কি মরে গেছে নাকি? লেজ খসে গেছে, ঘাড়ের কাছে ফুলে নীল হয়ে আছে, আধহাত জিহ্বা ঝুলে আছে বাইরে। ঠোঁট বেয়ে বেয়ে বাদামি কষ পড়ছে। হ্যাঁ, নিশ্চিত মরে গেছে। মাকড়সাটি আনমনে দাঁতে পা বোলাল। ওর দাঁতে যে বিষ আছে, এটা আগে ও জানত না। বাপ-মা কখনো বলে নি। তার মানে ও ফেলনা নয়, ওর-ও ক্ষমতা আছে বৈকি! কি আর করা যাবে, টিকটিকি-টার ব্যাড লাক। মাকড়সাটির কেমন হাসি পেতে থাকে, সে পোয়াতি মাকড়সাকে ধরে কোনোমতে ওঠাল। পোয়াতি তার দিকে প্রচণ্ড জিঘাংসা নিয়ে তাকাল- -তুমি কি, মাকড়সা না শয়তান? এমন ভালো একটা প্রতিবেশিকে মেরে ফেললে! তুমি ... তুমি ...এতোটা সন্দেহ কর আমাকে? সন্দেহের বশে একটা টিকটিকি মেরে ফেললে! তোমার চিকিৎসা হওয়া দরকার। যাও সাইকিয়াট্রিস্ট দেখাও। আমি থাকতে পারব না তোমার সাথে, মরে গেলেও একটা খুনির সাথে একই জালে বসবাস করা আমার পক্ষে সম্ভব না....' পোয়াতি ফোঁতফোঁত করে কেঁদে ফেলে। তারপর নাক টানতে টানতে দেয়াল বেয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে যায়।''



প্রতিটা পাগলাটে রাতেই এমন হয়। প্রতিটা রাত। শুরুতে মনে হয় মাথা বিগড়ে যাচ্ছে, না লিখলে পেট ফেটে, বুক-গলা শুকিয়ে মরে যাব। ইচ্ছেমত লেখার পর দেখি কাগজের পর কাগজ অর্থহীন শব্দ, বাক্য, আঁকিবুঁকিতে ভরে আছে, আর সেই সাথে ডান হাতের ব্যথাটা উধাও। কেন হয় এরকম? কাজের চাপ? মানসিক চাপ? কি জানি! তাহলে তো ডাক্তারি শাস্ত্রে 'দ্য কেরানি সিনড্রোম' নামের একটা কিছু থাকার কথা। তেমন কিছু নেই বোধহয়। এক পরিচিত ডাক্তারের কাছে গেছিলাম, অনেকক্ষণ ধরে পুরোটা খুলে বললাম তাকে । তিনি কিছু ওষুধ দিলেন, এক মাস পরে আবার আসতে বললেন। ওষুধ খেয়ে কচুও হয়নি, এক মাস পরে আবার গেলাম।



এবারে সব কথা শুনে তিনি বিজ্ঞের মত মাথা নেড়ে বললেন, 'আপনার লেখালেখি করার শখ আছে নিশ্চয়ই?'

-'না তো!' আমি অবাক হয়ে বলেছিলাম।

'ভালো করে ভাবুন। ওষুধে কাজ হচ্ছে না, তাহলে নিশ্চয়ই মানসিক প্রবলেম। সেক্ষেত্রে এটা ক্লিয়ারলি চাপা আবেগের বহিঃপ্রকাশ। হয়তো আপনি শৈশবে লেখক হতে চেয়েছিলেন, সেই ইচ্ছাটা কোনোভাবে চাপা পড়ে যায়। এখন এই বিশেষ 'ঘটনার' মাধ্যমে সেটা প্রকাশ পাচ্ছে, বা এরকম কাছাকাছি কোন ব্যাপার। আমি আপনাকে আরও ওষুধ দিতে পারি, বাট মানসিক ব্যাপার তো, আমার মনে হচ্ছে এসব ওষুধে কোন কাজ হবে না। আমি বলব তারচেয়ে একজন সাইকিয়াট্রিস্ট দেখান। ওরা কেসটাকে ভালমত এক্সপ্লয়েট করতে পারবে। আমার পরিচিত একজন আছে, আরামবাগে বসে। তার কাছে যেতে পারেন।'



হ্যাহ, টাকা তো গাছে ধরে! এরা সব হচ্ছে ডাকাত, এক নম্বরের ডাকাত; সবসময় চিন্তা কিভাবে আরও কামানো যায়। সামান্য একটা জিনিস- ঘুমের ওষুধ খেলেই হয়তো ঠিক হয়ে যেত। কিন্তু না! আমাকে যেতে হবে পাগলের ডাক্তারের কাছে! নইলে আমি ভালো হব না। যত্তসব! লোকটার কথা শুনে প্রথমে এটাই মনে হয়েছিল আমার। কিন্তু বাড়িতে এসে মাথা ঠাণ্ডা করে ভাবলাম। দেখলাম, চাইলেও ওই ধরণের ডাক্তার দেখানোর বিলাসিতা করতে পারব না। অন্ততঃ এখন। পরীটা পৃথিবীতে আসছে, তার জন্য সামনে টাকাপয়সা দরকার। গ্রামের বাড়িতে টাকা পাঠাতে হবে। আবার বাড়িভাড়া আছে। ডাক্তার দেখাতে গেলেই এদের একটা না একটার ওপর টান পড়বে। ব্যাংকে কিছু আছে, কিন্তু ওগুলো বিপদ-আপদের জন্য। সামান্য ঘুম হয় না বলে কি সঞ্চয়ে হাত দেওয়া সাজে?



একটু পরে আজান দিয়ে দেবে, রুনা উঠে সাদেকের সাথে জগিং করতে বেরোবে। আমার পায়ে ব্যথা করে, আমি দৌড়াতে পছন্দ করি না। ওদের সাথে ক'দিন গিয়েছি, এখন আর যাই না, কুলোতে পারি না। রুনাকেও মানা করেছিলাম, পেটে ছ'মাসের বাচ্চা নিয়ে জগিং করা কি ভালো? কিন্তু রুনা বলল, জগিং করলে বাচ্চার নাকি ভালো লাগে। হয়তো।



আজ আগেই ডাক দেব কি? না অর্থহীন লেখালেখি শেষ করব আগে?



যাকগে, একটু পরে উঠলেও খুব ক্ষতি নেই। রুনা রাগ করবে না জানি। ও ভালো মেয়ে, কখনো রাগ করে না। তাইতো খুব ভালবাসি ওকে আমি। মিষ্টি মেয়ে। সাদেক এই কথাটাই হেসে হেসে কাল বলল বার বার, 'আসাদ ভাই, আপনি সত্যি খুব লাকি, রুনার মত একটা বৌ পেয়েছেন। ভেরি ভেরি লাকি।'



''মাকড়সাটি কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। পোয়াতির প্রস্থানে নতুন আবিষ্কৃত ক্ষমতা বিষবৎ মনে হতে থাকে ওর। আগের মত দুর্বল, একাকি লাগতে থাকে। ওর মনে হয়, সবারই সঙ্গ প্রয়োজন- সঙ্গিনী স্বৈরিণী হলেও, তার পেটে টিকটিকির বাচ্চা হবার সম্ভাবনা থাকলেও। আর জিনিসটা খুব একটা খারাপ হত না। বাচ্চাটা কেমন হবে, দেখতে পারলে ভাল হত। মাকড়সার মত আটপেয়ে, আর টিকটিকির মত লম্বা জিহ্বা হবে, নাকি অন্যরকম বিচিত্র কিছু হবে? হয়তো একটা টিকটিকি হবে, কিন্তু সারা শরীরের এখানে ওখানে একটা একটা একটা করে আটটা চোখ থাকবে! যাই হোক, নতুন একটা জাত দেখা যেত। মাকড়সাটি পোয়াতির পেটে লেপটে থাকা ডিমের প্রতি অদ্ভুত স্নেহ অনুভব করতে শুরু করে। ক্ষণিক আগে মৃতের সম্মান অর্জন করা টিকটিকির ঝুলে পড়া জিভ মাথা থেকে কেমন করে যেন মুছে যায়।



আর্দ্র হৃদয়ে দেয়াল থেকে নামতে নামতে তার পোয়াতির বলা শেষ কথাটা মনে পড়ে যায়। সাইকিয়াট্রিস্ট, তাই না? কি জানি, হয়তো সত্যিই তার চিকিৎসা নেওয়া উচিত। খুন করে কোন অনুশোচনা তো হচ্ছে না- এটাকে কি স্বাভাবিক বলা যায়? হুম, যাওয়া যেতে পারে, হাজার হলেও পোয়াতি বলেছে! সে ভুরূ কুঁচকে মনে করতে চেষ্টা করে, আশেপাশে কোথাও কোন সাইকিয়াট্রিস্ট বসে কি না ।



একটু পরে দেখা যায়, মাকড়সাটি ঘরের আরেক কোণে এসেছে। তার সামনে একটা সবুজ ঘাসফড়িং বিরক্তি চেপে রেখে মেকি মুখে বসে আছে। বলাই বাহুল্য, ঘাসফড়িংটি আশেপাশে কোথাও বসা সেই সাইকিয়াট্রিস্ট। সে গাম্ভীর্যপূর্ণ কণ্ঠে বলে, 'তো আপনার সমস্যা কি? রেখেঢেকে বলবেন না, রিলাক্সড হয়ে খোলা মনে সোজাসুজি বলে ফেলুন।'




মাকড়সাটি মুখের কাছে দুটো পা এনে ছোট একটা কাশি দেয়। অস্বস্তি বোধ করছে। কয়েক সেকেন্ড নিস্তব্ধ সময় কাটার পর সে একটু বিভ্রান্তস্বরে বলে, 'আসলে.....মানে...', তারপর অস্থির ভাবে বলতে শুরু করে, 'মাঝে মধ্যে ঠিক মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়। কেমন যেন একটা তৃষ্ণা জাগে। চোখে ঘুমের কোন চিহ্ন নেই, মাথাটা একেবারে খালি মনে হয়....'

মন্তব্য ১৩২ টি রেটিং +২৪/-০

মন্তব্য (১৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
অসাম।স্টাইলটা অন্যরকম, চমৎকার লাগলো ||

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এই অসম 'অসাম'-এর মাজেজা আমার কাছে অনেক।

ধন্যবাদ, মুন।

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ভালো লেগেছে শুধু এতটুকুই বলতে পারি!

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এটুকুই যথেষ্ট, স্বপ্নবাজ। আনন্দিত।

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: ভালোলাগা। বিচিত্র চিন্তা নিয়ে অনেক দূর এগিয়েছেন এবং একটি সুন্দর গল্পে পর্যবসিত হয়েছে।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মূলতঃ বলতে গেলে গল্পের উদ্দেশ্য ছিল একজন মানুষ যতটা তীব্রভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে চায়, সেই তীব্রতা দেখানো। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম, লেখক।

৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪

আফসিন তৃষা বলেছেন: বাহ :)
গল্প লেখার স্টাইলের জন্য দশে এগারো :)

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বাড়তি নম্বরে ছাত্র খুশি:)

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

মামুন রশিদ বলেছেন: মাকড়শা'র গল্পের ছলে রুনার গল্পটা দারুণ লিখেছেন । দুটো গল্পই তরতর করে এগিয়ে গেছে একই পরিণতির দিকে ।

গল্পের এক্সপেরিমেন্ট ভাল লাগল ।


দারুণ একটা গল্প পড়লাম ।


+++

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্প পড়ে তার সঠিক বিশ্লেষণে আপনার দক্ষতা বরাবরই অবাক করে, প্রিয় মামুন রশিদ।

শুভেচ্ছা রইল।

৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: দুর্দান্ত এক কথায়। গল্পের ভেতরে গল্প। অক্ষম ক্রোধের শান্ত বহিঃপ্রকাশ লেখার খাতায়। নিজেকে এবং পরিপার্শ্বকে এক অদ্ভুত রূপকে আবরিত করে মাঝরাতে অন্য এক জগতে ঢুকে যাওয়া। কোন গল্পটা শেষপর্যন্ত সত্যি হবে বলা কঠিন। এক মহাবিবর্তনের অপেক্ষায় লোভী চোখে চেয়ে থাকে মনের পুঁজজমা চক্ষু।

অনেকটা এই ফরম্যাটে একটা গল্প লিখেছিলাম। আপনাকে পড়ানোর আগ্রহ বোধ করছি।

আমারও ঘর আছে চিলেকোঠায়

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার মন্তব্যে গল্পের আবহ পরিপূর্ণ হল। ধন্যবাদ। গল্পটা পড়ে আসি আগে।

(দুই মন্তব্য একসাথে দিয়ে দিলাম)

গল্পের নাম পরিচিত লাগছিল, ঢুকে দেখলাম শেষ মন্তব্যটাই আমার!

এবারে আরও ভালমত পড়লাম, এবং আবারো মুগ্ধ হলাম আপনার লেখনি শক্তি দেখে।

শুভকামনা।

৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

ভিয়েনাস বলেছেন: মানুষ আমি তবু জীবন আমার মাকড়শা.......

ভিন্ন টাইপের গল্প ভালো লাগলো।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: লেখার ভঙ্গীটা অদ্ভুত! খুব ভাল লাগল পড়তে।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হ্যাঁ, একটু এক্সপেরিমেন্ট করার চেষ্টা ছিল।

শুভকামনা।

৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

নেক্সাস বলেছেন: ভিন্নমাত্রিক গল্প ভাল লাগলো

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনি ভালো থাকুন, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন আশা করি।

১০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০১

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: স্যার আপনি তো অসসাধারণ একটা গল্প লিখেছেন! খুবই ভাল লেগেছে। খুব। সমান্তরাল দুইটা গল্প। কিন্তু একটা আরেকটার পরিপূরক। এত সুন্দর করে কবে লিখতে পারব, কে জানে?

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রথমেই খাইছে! বলার ইমো, আমাকে স্যার বলে ডাকার কোন দরকার নাই:) ব্লগে আবোল-তাবোল লিখি, অন্ততঃ এখানে পড়াই না। তাই 'শঙ্কু' বলবেন।

দ্বিতীয়তঃ ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

১১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২২

আম্মানসুরা বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ, আম্মানসুরা।

১২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

আমিনুর রহমান বলেছেন:




এই যে ছোট গল্প লিখে বেশ তো বড় একখানা বড় গল্প পড়িয়ে ফেললেন !
ছোট গল্প লিখা দেখেই পোষ্ট ঢুকেছি প্রথমে আর স্কল করে নিচে যাইনি। পড়া শুরু করার পর বেশ লাগছিলো। গতি ছিলো লিখায় এবং একই সাথে দুটো গল্প ভিন্ন একটা স্বাদ পেয়েছি !


অসাধারণ ও অনন্য গল্পে +++

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্প বড় হওয়া সত্ত্বেও আপনাকে যে টেনে রাখতে পেরেছি, এটিই বড় অর্জন মনে করছি।


ভাল থাকুন।

১৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

বোকামন বলেছেন:
গল্প পড়লুম ! আচ্ছা পড়তে পারলুম তো !!
শব্দের ব্যবহারটা কি ঠিক হল?

“+”

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: একেবারে কাঁটায় কাঁটায়।

স্বাগতম বোকামন!

১৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

বোকামন বলেছেন:





স্বাগতম !
আপনার ব্লগ বাড়িতে যেন নতুন এলুম !!

ঘরে প্রবেশ করালেন, চা-নাস্তার ব্যবস্থা করতে বললেন। আলাপ হলো বেশ। অতঃপর ঘর থেকে বের করে দিয়ে খটাশ করে দরজা বন্ধ করে দিলেন। গল্পকারের এহেন আচরণই ছোটগল্পের সার্থকতা ...।

যদিও বোকামন গল্প কবিতা বুঝিনে। আই থিংক ! আপনার ছোটগল্পগুলোতে আমি প্রায়ই অমন আচরণ পেয়ে থাকি। এই কারণেই ধীরে ধীরে প্রিয় গল্পকার হয়ে উঠছেন আপনি :-)

অফটপিক মন্তব্য করলুম; বিরক্ত হবেন না যেন..।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ''ঘরে প্রবেশ করালেন, চা-নাস্তার ব্যবস্থা করতে বললেন। আলাপ হলো বেশ। অতঃপর ঘর থেকে বের করে দিয়ে খটাশ করে দরজা বন্ধ করে দিলেন। গল্পকারের এহেন আচরণই ছোটগল্পের সার্থকতা...।''

হাহাহা, উদাহরণটি দারুণ পছন্দ হল আমার!

বোকামন হয়তো গল্পকবিতা না বুঝলেও, তার পেছনের মানুষটি যথেষ্টই বোঝেন- আমার ধারণা! আপনার কাছে গল্পকারের সম্মান পাওয়া আমার কাছে অনেক।

আমি সহজে বিরক্ত হই না, আর প্রিয় ব্লগারদের সংস্পর্শে? কখনোই না! আশা করি এরকম অফটপিক কথাবার্তা প্রায়ই হবে, বোকামন।

শুভকামনা রইল।

১৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব ভাল লাগল। আপনার লেখার স্টাইলটা ভাল লাগে। গল্পে ++++++

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্লাস পেয়ে আনন্দিত, ঢাকাবাসী।

১৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: এক কথায় দারুন !

এক ধরনের অস্পস্টতা আছে যেটা গপটাকে আরও দারুন করে তুলেছে !

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্প না বলে গল্পে বলা আরকি!

ভাল থাকুন, মাসুম।

১৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৮

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
অদ্ভূত সুন্দর।
লেখার ধরনে চমকে গেলাম,
কবিতার মত টেনে নিচ্ছে আমায়।

এখন থেকে কোন পোস্ট মিস না।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ!

তাহলে সামনে আরও গল্প দেবার আশা রাখি।

১৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৯

টুম্পা মনি বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন। খুব ভালো লাগল। আপনি প্রফেশনাল লেখক। আরো অনেক দূর এগিয়ে যান। শুভকামনা।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমি এম্নি-এম্নি কলমধারী, আনন্দ এবং আবেগের বশে মাঝে মাঝে দুই একটা গল্প লিখে ফেলি। এই আমাকে 'প্রফেশনাল লেখক' বলায় খুশি হলাম, টুম্পা মনি।

শুভেচ্ছা।

১৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সাদেক আর রুনার লটকালটকির গল্পটি টিকটিকি আর পোয়াতি মাকড়সার আড়ালে যেভাবে বলে গেলেন, তা দ্বারা আপনার শক্তিশালী লেখনির পরিচয় পেলাম। আমি অভিভূত হলাম। মাকড়সার গল্পটি আগাগোড়া ইটালিক অক্ষরে লিখেছেন, কিন্তু শেষ প্যারায় তা না করার কারণ কী?

মুগ্ধতা।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ইটালিক ফর্মে লেখার কারণ যাতে মাকড়সার গল্পটি মিশে না যায়, পাঠকের চোখে আলাদা হয়ে ধরা পড়ে। কিন্তু শেষের প্যারায় আসাদ সাহেব আর মাকড়সার গল্পে খুব একটা পার্থক্য থাকে না, মাকড়সার গল্পের শেষাংশ আর আসাদের গল্পের প্রথমাংশ এক হয়ে যায়। মাকড়সা হয়ে যায় আসাদ সাহেব।

তাই শেষে ইটালিক রাখি নি, যাতে ভিজুয়ালি এই ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়।

আমার ধন্যবাদ জানবেন।

২০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হুমম, আমিও এটাই ভেবেছিলাম। কিন্তু লাস্ট প্যারার ফার্স্ট লাইনটা গণ্ডগোল বাঁধিয়েছেঃ মাকড়সাটি মুখের কাছে দুটো পা এনে ছোট একটা কাশি দেয়। মাকড়সার উল্লেখটা ঐভাবে ভাববার পথে অন্তরায় হয়ে পড়ে।

আপনি যেভাবে বললেন, ফিনিশিং ওটা হলে আমি নিচের মতো করে পাঠ করলামঃ

সে ছোট একটা কাশি দেয়। অস্বস্তি বোধ করছে। কয়েক সেকেন্ড নিস্তব্ধ সময় কাটার পর একটু বিভ্রান্তস্বরে বলে, 'আসলে.....মানে...', তারপর অস্থির ভাবে বলতে শুরু করে, 'মাঝে মধ্যে ঠিক মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়। কেমন যেন একটা তৃষ্ণা জাগে। চোখে ঘুমের কোন চিহ্ন নেই, মাথাটা একেবারে খালি মনে হয়....'

এই সর্বনাম পদ ‘সে‘ দ্বারা পাঠক যে-কোনো কিছুই ভেবে নিতে পারেন।

শুভ কামনা।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মনোযোগী পাঠের জন্য আবারো ধন্যবাদ।

আপনি ঠিক বলেছেন, যদি মাকড়সার কার্যক্রম আসাদের ক্ষেত্রে সত্যি হত, তাহলে 'সে' সর্বনাম পদটি বসানোই যুক্তিযুক্ত।

কিন্তু মাকড়সার গল্পটি কখনোই সত্যি হয় না, পুরোটাই ঘটে আসাদের কলমের নিচে। ওই অংশ একজন অক্ষম-অসহায় মানুষের চিন্তার ফসল, তার একধরনের ফ্যান্টাসি। তাই গল্প দুটো এক বিন্দুতে মিশে গেলেও, বাকি অংশের 'অবাস্তব' স্বকীয়তা রাখা জরুরি; এবং এজন্যে যুক্তিযুক্ত পছন্দ 'সে' না বসিয়ে 'মাকড়সাটি' বসান উচিত।

আশা করি ব্যাপারটা ঠিকমত বলতে পেরেছি।

শুভ কামনা রইল আপনার প্রতিও:)

২১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৫

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: লেখার ষ্টাইলটা পছন্দ হয়েছে। গল্পও ভালো লেগেছে :)

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য, ট্রয়ের জ্যৈষ্ঠ রাজকুমার!

২২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:০৬

শান্তির দেবদূত বলেছেন: অদ্ভুত লেখা ! অসাধারন। গতিশীল ও কৌশলী লেখা। দুটা স্রোত পাশাপাশি টেনে এনে মার্জ করাটা অসাধারন হয়েছে। প্রফেসরের মতোই লেখা।

আপনি নিশ্চই গল্প লেখার প্রফেসর :D :D

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আসলে আমি বিজ্ঞানের প্রোফেসর, প্রোফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু!

আমারটা কিইবা গল্প হল, গল্প লিখতেন আমার পুত্রপ্রতিম সত্যজিৎ রায়, হ্যাঁ বাবা! সে কি গল্প না মহান কারিগরের সৃষ্টি বলা কঠিন, আমার গল্পের মত থ্যাটফেটে(নতুন বিশেষণ!) নয়:):)

ধন্যবাদ শান্তির দেবদূত।

২৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার এবং দূর্দান্ত!! গল্পের ভেতর একটা গল্প পড়লাম। লেখনীর ধরনটা খুব ভালো লাগল। অনেক শুভ কামনা রইল।

ও হ্যাঁ, আর এটা আমার ব্লগে ৮০০০ তম মন্তব্য। কার লেখায় করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না, এই লেখা পড়ার পর মনে হলো, এটাই পার্ফেক্ট পোষ্ট!! :)

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমি আনন্দিত!!! কি বলব বুঝে উঠতে পারছি না। দারুণ একজন ব্লগারের দারুণ একটি মাইলফলকের সাক্ষী হতে পেরে সত্যি ভাগ্যবান মনে হচ্ছে নিজেকে।

আশা করি কোন একদিন আশি হাজারতম মন্তব্য করবেন:)

শুভকামনা, কাল্পনিক_ভালোবাসা!

২৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

সায়েম মুন বলেছেন: simultaneous গল্পে অনেক ভাললাগা রইলো। খুব সুন্দর করে অঙ্গাঅঙ্গীভাবে গল্প এগিয়েছে।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: যুগল গল্প লিখে আমারও ভালো লেগেছে:)

ধন্যবাদ। ভালো থাকুন মুন।

২৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গত দুদিন ধরে অফ লাইনে পোষ্ট পড়েছি একেজনের, মোবাইল থেকে। আপনার গল্পটাও সেভাবেই পড়েছি বলে আর কমেন্ট করা হয়ে ওঠেনি।

আমাদের মধ্যবিত্তের সেন্টিমেন্ট ; হোক সেটা স্ত্রী বা স্বামীর ক্ষেত্রে আর সে যদি হয় মুখচোরা তাহলে তো কথাই নেই। অন্তর্দহনে পুড়ে পুড়ে টিকটিকি বা পোয়াতি মাকড়সার জালে নিজেকেও জড়িয়ে বা কখনো আউট সাইডে রেখে জীবনটাকে দেখতে হবে ! কাছে থেকেও যা দূরে দূরে থাকা বা নিজেকে রাখা !

একপেরিমেন্ট ভালো লেগেছে শঙ্কু।

শুভকামনা রইলো।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক সময় কিছু পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যা হাত পা বেঁধে ফেলে। একটা হতাশার কুয়োর মাঝে পড়ে যায় জীবন। কিন্তু তারই মাঝে জীবন ছুটে চলে- সুন্দর বা কুৎসিতভাবে।

ধন্যবাদ অপর্ণা। শুভকামনা আপনাকেও।

২৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
মারাত্মক গল্প হইছে এইটা! দৃশ্যকল্পের মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলাম। প্রথমে মনে হচ্ছিল একজন নিঃসঙ্গ লেখকের একান্ত কিছু মুহূর্তের ছবি কিন্তু কিছুদূর গিয়েই বুঝলাম এর মাঝে অন্য কিছু আছে। আরও কিছুদূর পড়ার পর বুঝতে পারছিলাম আসলে মাকড়শাটা লেখকেরই প্রতিবিম্ব। ফিনিশিংটা ভাল হোয়েছে। এই ধরনের গল্পে ফিনিশিংটাই আসল একটা চ্যালেঞ্জ। দারুনভাবে উতরে গেছেন।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাকে অনেকদিন পর দেখে ভাল লাগছে নাজিম। আপনার গল্প পড়ার উদ্যোগ নিচ্ছি এখন:)

২৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আমার এ মুহূর্তে চমৎকার শব্দটির কথাই লিখতে ইচ্ছে হলো। ভাল থাকুন।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নিয়মিত পাঠককে পেয়ে খুশি হলাম।

ভালো থাকা হোক সতত।

২৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: হামা ভাইয়ের আমারো ঘরআছে চিলেকোঠায় গল্পটির কথা মনে পড়ে গেল।

দারুন হয়েছে। :) এই ভাবে গল্প লিখার চেষ্টা করেছি। পারিনি। প্লাস!

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাসান মাহবুব- দারুণ একজন লেখক! তার গল্পের কথা মনে করিয়ে দিতে পেরেছি মানে আমার গল্প ভালই হয়েছে:)

প্লাস গৃহীত হল!

২৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

একলা চলো রে বলেছেন: আলবেয়ার কাম্যু নামক একজন বিখ্যাত ফরাসী লেখক আছেন, নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই? তার বেশ কিছু লেখার ইংরেজি অনুবাদ পড়েছিলাম আমি। প্রায়ই আমার মনে হয়, আপনার গল্প বলার ভঙ্গীটা অনেকটা কাম্যুর মত।

গল্প ভাল লেগেছে। শুভেচ্ছা রইল।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কামু তো ওস্তাদ লোক। তৎকালীন সময়ে তাকে নিয়ে বন্ধুমহলে নাকি একটা কৌতুক প্রচলিত ছিল- আলবেয়ার কাম্যু স্বর্গে গেছেন, চারিদিক ঘুরেফিরে দেখছেন। ঈশ্বর এসে জিজ্ঞেস করলেন, হাউ ডাজ ইট ফিল, সন? কাম্যু বিরক্ত মুখে উত্তর দিলেন, 'অ্যাবসার্ড'!

তার কথা বলে আমাকে অনেক সম্মান দিলেন, ধন্যবাদ।

৩০| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

লেজকাটা বান্দর বলেছেন: মাস্টারপিস। মাকড়সার মাধ্যমে লেখক নিজেকে বর্ণনা করেছেন। সেই বর্ণনাটুকু অসাধারণ। এই গল্পে নায়ক নায়িকা ও থার্ড পারসনের ফেট নিয়ে একটা ফিনিশিং আসতে পারত। নায়ক আসলেই নায়িকাকে চার্জ করেছে কি না, নায়ক নায়িকা বা থার্ড পারসনকে খুন করেছে বা করতে চেষ্টা করেছে কি না এগুলো নিয়ে একটা ফিনিশিং আসতে পারত। বাট যা হয়েছে সেটাও অনেক ভালো।

আপনি একবার বলেছিলেন আমি মনে হয় প্রথম মানুষ যে কি না আপনার সব গল্প পড়ে শেষ করেছে। এভাবে লিখতে থাকলে আপনি শত গল্প লিখলেও আমি সময় করে পড়ব। শুভকামনা।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ফিনিশিংটা এরকম দেবার কারণ হচ্ছে আসাদ সাহেবের শেকড়ত্ব তুলে ধরা। চলমান সময়ে তিনি পিছুটানে বাঁধা পড়ে গেছেন। এটা আপনার ভালো লেগেছে শুনে আনন্দিত হলাম।

ব্যস্ত সময়ের মাঝেও লেখায় ঢুঁ মেরে গেলেন, আমি কৃতজ্ঞ। শুভকামনা রইল।

৩১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

সকাল রয় বলেছেন:

চমৎকার মুন্সীয়ানা
ফ্রেমে বাধিয়ে রাখবার মতো। যেখানই চোখ রাখি ...টাচি

প্রোফেসর শঙ্কু
প্রফেসর হিজিবিজি কে চেনেন?

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হিজিবিজি কি আমার কলিগ নাকি? নাম পরিচিত ঠেকছে:)

ধন্যবাদ জানাচ্ছি পড়ার জন্য।

৩২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

সকাল রয় বলেছেন:

চমৎকার মুন্সীয়ানা
ফ্রেমে বাধিয়ে রাখবার মতো। যেখানই চোখ রাখি ...টাচি

প্রোফেসর শঙ্কু
প্রফেসর হিজিবিজি কে চেনেন?

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পুনঃ মন্তব্যে পুনঃ ধন্যবাদ:)

৩৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

জিএম শুভ বলেছেন: লেখকের হাত অসাধারন। ভিন্নমাত্রার গল্প +++

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্লাসের জন্য ধন্যবাদ, জিএম শুভ।

৩৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

অসাধারণ একটি গল্প পড়লাম। মুগ্ধ ++++++

২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ কাণ্ডারি:)

৩৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫০

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: অসাধারন.. মুগ্ধ হলাম। লেখার ষ্টাইলটা অসাধারন। একবারেই পড়ে শেষ করলাম। কি আর বলব প্রফেসর.... হ্যাটস অফ টু ইউ


১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এত হ্যাট দেখে আমি আপ্লুত:)

৩৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫১

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: অসাধারন.. মুগ্ধ হলাম। লেখার ষ্টাইলটা অসাধারন। একবারেই পড়ে শেষ করলাম। কি আর বলব প্রফেসর.... হ্যাটস অফ টু ইউ


২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহা, ভুল করে ডাবল কমেন্ট আসায় ডাবল আনন্দিত!

৩৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪২

গোর্কি বলেছেন:
-গল্পের ভেতর গল্পগুচ্ছ, চমৎকার!
-লেখার শৈলী ভালো লেগেছে।
-শুভকামনা।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল, গোর্কি।

৩৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪৫

অদৃশ্য বলেছেন:





আমি ভাবছিলাম লেখকের গল্পটা শুরুই হলো ওভাবে... মাথায় কোন প্লট আসছেনা, কথা আসছেনা... তাই সম্মুখের সুস্পষ্ট কিছুর ভেতর দিয়ে অস্পষ্ট কিছুর দিকে এগুনো... যেন মাকড়সার থেকেই গল্পের জাল তৈরী হলো...

আর সেই জালে পাঠকরা একের পর এক আটকে গেলেন... চমৎকার হয়েছে গল্পটা...

শুভকামনা...

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: তাই সম্মুখের সুস্পষ্ট কিছুর ভেতর দিয়ে অস্পষ্ট কিছুর দিকে এগুনো...

এই কথাটা দারুণ লাগল অদৃশ্য। লেখকেরা মনে হয় এভাবেই এগোন গল্পের সাথে সাথে, অনিশ্চিত কিন্তু রোমাঞ্চময় একটা ভ্রমণের মত। পোস্টে আপনাকে পেয়ে ভালো লাগল।

শুভ বিকেল।

৩৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

বৃতি বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে গেলাম । অসাধারণ মনে হয়েছে গল্পটা ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মন্তব্য পাবার আনন্দ এখনো আমার কাছে অভিনব অনুভূতি বলে মনে হয়। ধন্যবাদ জানবেন বৃতি।

৪০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬

মারুফ মুকতাদীর বলেছেন: স্টাইলটা চমত্কার। গল্প অসাধারণ।

সময় করে আপনার সব লেখা পড়ে ফেলতে হবে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রতিশ্রুতি পেয়ে ভীষণভাবে আশান্বিত হলাম!

৪১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: পিংক ফ্লয়েড নিয়ে আরেকটা মাস্ট রিড পোস্ট Click This Link

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থ্যাংকস, হাসান:)

৪২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪০

মাগুর বলেছেন: দারুণ হয়েছে প্রফেসর :)

অনেক অনেক শুভকামনা :)

২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার জন্যও শুভকামনা রইল, মাগুর।

৪৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

রহমান,তানভীর বলেছেন: ভালো লেখেন তো, ভাই !

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: জি ধন্যবাদ।

আপনার কথায় খুশি হলাম।

৪৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

অবচেতনমন বলেছেন: অসাধারন, মুগ্ধ++++++++++++++++++

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, অবচেতনমন।

৪৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার স্টাইলে অসাধারন লিখা !
++++++++++++++++++

২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ!

৪৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অসাধারণ প্রোফেসর শঙ্কু !! অসাধারণ !! অনবদ্য !! অনন্য !! চমৎকার। আপাতত আর কিছু মাথায় আসছেনা। খুব মুগ্ধ হলাম। পোস্টে ভালো লাগা রইল। মন্তব্যের উত্তরগুলো ভালো লাগলো তাতে প্রেক্ষাপট আরো পরিষ্কারভাবে ধরা দিল। চমৎকারভাবে আসাদ সাহেব আর মাকড়সা একাকার !!

২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হ্যাঁ, মন্তব্যে আলোচনা করলে গল্পের বিষয়বস্তু আরো পরিষ্কার হয়ে যায়, পরবর্তী পাঠকদের জন্য এটা একটা সুবিধা।

আপনাকে অনেকদিন পরে পোস্টে পেলাম, ভালো লাগল।

শুভকামনা, মহামহোপাধ্যায়!

৪৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অ.ট.- ঠিক ধরেছেন মাঝখানে বেশ কিছুদিন ব্লগ থেকে দূরে ছিলাম।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আশা করি এখন নিয়মিত হবেন।

৪৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫

রোমেন রুমি বলেছেন:

প্রফেসর সাহেবের গল্প বলে কথা ;
ভাল না হয়ে উপায় নেই ।

দুর্দান্ত !

আমি পাঠক হিসেবে কিছুটা অলস প্রকৃতির । পড়তে বেশ সময় লেগেছে । সময়টা সার্থক । গল্প বলার ঢঙ্গে বৈচিত্র বেশ মনে ধরেছে ।

অনেক অনেক শুভ কামনা ।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হা হা, ধন্যবাদ রুমি, ভীষণ খুশি হলাম!

পাঠক যদি লেখা পড়ে তৃপ্তি পায়, তাহলে লেখকের আর কিছু চাওয়ার থাকে না। আমারও নেই:)

আপনার জন্যও রইল শুভকামনা।

৪৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪২

নাছির হাসান বলেছেন: আপনার লেখার হাত এককথায় অসাধারণ!

লিখে যান আপনি আপনার মতো...
আর আমরা পাঠকেরা পড়ে যাব আমাদের মতো :)

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কিছুটা দেরি হয়ে গেল উত্তর দিতে।

ধন্যবাদ নাছির:) লিখে যাব অবশ্যই। আপনারা সাথে থাকায় আনন্দিত!

৫০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

কবি আফতাব হোসেন বলেছেন:
য়াপনী কোন হিপ্নওয়ার্লডের
বিদ্দালয়ে পড়ান, হিপনথেরাপি
করে, ভাল করে পড়াতে
পারভেন তা-হোলে

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কভি, আমার ব্লগে সুস্বাগতম!

ভাল আছেন তো?

৫১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

তাসজিদ বলেছেন: Another master piece by the professor.

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ তাসজিদ।

৫২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: মাথা নষ্ট!

আমি বলিয়াছিলাম প্রোফেসর, আপনার হাতে আছে জাদুর কলম!

কী অসাধারণ লেখনী! আহা, বড় ভালো লাগলো!

বড় ভালো থাকুন, বড় ভালো লিখুন!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কবি, এমন উৎসাহ দিলেন, আরও না লিখে কি পারি!

ভালো থাকুন আপনিও। শুভকামনা।

৫৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: প্রোফেসর , কোন সন্দেহ নেই আরেকটা দারুণ গল্প ।
দুটো গল্পই সামন্তরালে চলে এক বিন্দুতে মিলিয়ে যাওয়া ।
আপনার গল্পের নামকরণও ভাবাচ্ছে আমাকে ।
কি হবে শেকড় নীতি ?
রিলাক্সড হয়ে খোলা মনে সোজাসুজি বলাটা আর হয়ে উঠে না ।

ভাল থাকুন । '

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ঠিক তাই, হঠাৎ একদিন জেগে দেখা যায় আমাদের জীবনটা কেমন দুমড়ে মুচড়ে ময়লা কাগজ হয়ে গেছে। সোজাসুজি মন তখন ভাষা হারিয়ে চুপ করে থাকে।

ভালো থাকুন আপনিও, মাহমুদ।

৫৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭

একজন আরমান বলেছেন:
কি বলবো?
এক কথায় দুর্দান্ত।

দর্শন থেকে সরে এখন মনোযোগ পিওর সাহিত্যে শিফট হচ্ছে বোধহয়, আস্তে আস্তে দুর্বোধ্য হচ্ছে কিনা!
সহি কথা বলেছেন। প্লট টা সাধারণ হলেও লেখার স্টাইল চমৎকার লেগেছে আমার কাছে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় আরমান, পোস্টে আপনার উপস্থিতি আনন্দিত করল।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ জানবেন।

৫৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৬

আরজু পনি বলেছেন:

ওরররে !
একেবারেই অন্য রকম !

ভাবনা এবং সেই সাথে ইটালেক করে আলাদা প্রকাশ করাটা অসাধারণ লাগলো ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পটা আসলে একজাতীয় ভাবনার দ্বিজাতীয় প্রকাশ ঘটানো নিয়ে এক ধরণের এক্সপেরিমেন্ট আর কি। আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

৫৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪

এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: চমৎকার লেখার হাত আপনার।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ ফারুক। আপ্লুত হলাম।

৫৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

সুমন কর বলেছেন: একেবারেই অন্য রকম ! ভালো লাগলো।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন। শুভেচ্ছা।

৫৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭

শাহেদ খান বলেছেন: শুরুটা অপেক্ষাকৃত ধীর মনে হলেও আপনার লেখার স্টাইলের কারণে থামা গেল না। আরও খানিকটা এগোতেই বুঝলাম, প্যারালাল গল্পের একটা দুর্দান্ত কম্পোজিশন করতে যাচ্ছেন !

গল্পগুলো খুব সাধারণ অথচ বলার স্টাইলে কেমন অভিনব করে তুললেন !

অনেক অনেক শুভকামনা, প্রোফেসর !

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পোস্টে আপনাকে পেয়ে অনেক ভালো লাগল, শাহেদ।

আপনার গল্পের অপেক্ষায় আছি।

৫৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৪

ইখতামিন বলেছেন:
২২ তম ভালো লাগা :)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আর তাতে ২২তম আনন্দ পাওয়া:)

৬০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০০

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: ভালো লাগলো অনেক........ :)

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কষ্ট করে পড়েছেন....অনেক ধন্যবাদ:)

৬১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৮

তওসীফ সাদাত বলেছেন: অসাধারণ। বেশ কিছুদিন আগেই পড়েছিলাম কিন্তু তখন মন্তব্য করার যোগ্যতা ছিল না। তাই প্রিয় তে রেখে দিয়েছিলাম। মন্তব্য আমি করবোই, এই ভেবে। এটা ঠিক, আপনার যে কটি গল্প পড়েছি। কোন না কোন ভাবে আমার বেশ ভাল লাগে :)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় তওসীফ, পরে এসে যে আবার মন্তব্য করলেন, তার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

ভালো থাকুন:)

৬২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি কি বাস্তব জীবনেও প্রফেসর?

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: না। বাস্তব জীবনে একজন অতি নগন্য ব্যক্তি।

৬৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮

মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: ভালো লাগল।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৬৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: গল্পটা পড়ে মুগ্ধ হলাম। আপনার একসাথে দুইটা গল্প বলার অদ্ভুত লেখার স্টাইল বেশ ভাল লাগল।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পুরনো গল্পটা পড়েছেন দেখে খুব খুশি হলাম। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

৬৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৮

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:

এ গল্পটা পরেছিলাম অনেক আগে পুনরায় পাঠ ৷ আঙ্গিকের এই বৃত্তায়ন বা উপবৃত্তায়ন ধরণ বেশ লাগে মানে পছন্দসই অনেকটা ৷ সাথে সাদৃশ্য খোঁজা বা রূপান্তরগুলো যাপিত জীবনে প্রতিফলন ৷ লেখায় দর্শন আনবেন বলে রকম কি এরূপ নাকি লিখার সঙ্গি হয় দর্শনবোধ ৷ আপনার প্রায় লেখায় এগুলো বোঝা যায় ৷ ক্লান্তিহীন পাঠ ৷

ধন্যবাদ ৷

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আরেকবার আসার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, সুপ্রিয়।

শুধু কবিতায় কেন, গল্পেও তো আসতে পারে রূপক, উপমা; এবং সেটা একটু ভিন্নভাবে তুলে আনতে পারে অতি পরিচিত জীবনের সত্যকে, কিংবা খণ্ডচিত্রকে- এরকম চিন্তা থেকেই আসলে গল্পে এমন আঙ্গিক আনা। আপনার মনোযোগী পাঠে এটা ধরা পড়েছে দেখে আনন্দিত হলাম।

ভাল থাকুন। শুভ সকাল।

৬৬| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:২৭

ডি মুন বলেছেন: আপনার এই গল্পটা আমার ভীষণরকম প্রিয়। :)

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ডি মুন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.