নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বর্গ-পৃথ্বী অন্তঃস্থলে, বহুকিছু ফিরে-চলে, যাহা বিস্ময়কর

প্রোফেসর শঙ্কু

বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়

প্রোফেসর শঙ্কু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটোগল্পঃ মৃত্যুপথে মেলে রই আঁখি

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

স্টেডিয়ামের অসমাপ্ত প্যাভিলিয়নে পাঁচজনে বসে আছি অনেকক্ষণ ধরে। রিফাতকে গালাগাল দেওয়ার পর্ব আপাততঃ স্থগিত করা হয়েছে। শালাকে পাঠিয়েছিলাম ব্যাট আনতে, সেই যে গেছে আর আসার নাম নেই। অপেক্ষা করতে করতে বিরক্তি ধরে গেছে। কতক্ষণই বা বসে থাকা যায়! পাশ থেকে রাশেদ উঠে পড়ল, তারপর মাঠে নেমে পড়ে ডাকল আমাকে, 'ওই কবির, কতক্ষণ বইসা থাকবি? নাম। খেলা শুরু করি।'

- 'ব্যাট পাবি কই?'

'আরে আশেপাশে কত কাঠের টুকরা পইড়া রইছে, একটারে ব্যাট বানায়া খেলা শুরু কইরা দিমুনি। নাম।'



সেটা অবশ্য করা যায়। ইদানিং আমাদের মফঃস্বলের এই স্টেডিয়ামটার ওপরে কোন কারণে প্রশাসনের সুনজর পড়েছে। নতুন মাটি ফেলে অসমান, এবড়ো-খেবড়ো মাঠ সমান করা হচ্ছে, পশ্চিমদিকের খালি জায়গাটায় নতুন একটা প্যাভিলিয়ন বসান হচ্ছে। সুতরাং মাঠের ভিতরে এখানে ওখানে ইট-বালুর স্তুপ, আর তাদের চারপাশে উচ্ছিষ্ট কাঠ আর রডের খণ্ড প্রায়ই পড়ে থাকে। আমরা মাঠে নেমে পড়ি। বাকিরা স্ট্যাম্প গাড়তে শুরু করে, আমি আর রাশেদ আশেপাশে সম্ভাব্য ব্যাট খুঁজতে থাকি।



কিছুক্ষণ চোখ বুলানোর পর একটা ছোটখাটো রডের টুকরোর ওপর আমার নজর পড়ে। স্বাভাবিকের চেয়ে প্রস্থে চিকন, এক-দেড় হাত লম্বা হবে। হাতে তুলে নেই। এটাকে ব্যাট বানানো যাবে না, কিন্তু ভালো জিনিস, সংগ্রহে রাখা যেতে পারে। আমি ব্যাটসম্যানের মত স্টান্স নিয়ে একটা ছক্কা মারার ভান করি। আমার দশ বারো হাত দূরেই রাশেদ হাঁটছে, ও আমার ভঙ্গি দেখে আমোদিত হয়। হাতে একটা অদৃশ্য বল ধরে ও বলে, 'দোস্ত, এই ম্যাকগ্রার ইয়র্কার দিলাম। সামলা।' তারপর ছুঁড়ে দেবার ভান করে। আমিও বলি, 'দেখ, তোর মাথার ওপর দিয়া ছয়', তারপর ওর দিকে ভীষণ জোরে রড ঘুরাই।



স্ট্রেট শটে অদৃশ্য বলটা ওর মাথার ওপর দিয়েই উড়ে যাবার কথা ছিল, কিন্তু তা না হয়ে রডটা আমার হাত থেকে ছুটে যায়। রাশেদ অবিশ্বাসের ভঙ্গিতে রডের দিকে কিংবা আমার দিকে চেয়ে থাকে, আর প্রায় মুহূর্তের মাঝে রডটা কয়েক পাক ঘুরে থ্যাচ করে ওর মাথায় গেঁথে যায়।



হাত থেকে রডটা ছুটে যাবার পর থেকেই আমার শরীর কেমন অবশ হয়ে যাচ্ছিল। মুখে আশ্চর্য হবার ছাপ নিয়ে রাশেদ যখন ধীরে ধীরে মাটিতে পড়ে গেল, তখন সারা শরীর কেমন একটা ঝাঁকি দিয়ে উঠল। ঘটনার তাৎপর্য এতক্ষণে মাথায় ঢুকল। আমি আমার বন্ধুকে খুন করে ফেলেছি! আমি মানুষ খুন করেছি!! নিজের অজান্তেই রাশেদের মৃতদেহের কাছে এগিয়ে গেলাম। কেমন ঘোর ঘোর লাগছে, তীব্র অনুশোচনায় মনে হচ্ছে পেশিতে পেশিতে আগুন ধরে যাবে। অকস্মাৎ এই ঘটনায় বাকিরাও হতভম্ব হয়ে গেছে। ওরা একে একে আমার পাশে এসে দাঁড়ায়, আর একটু পর পর অপরাধী মুখে আমার দিকে তাকাচ্ছে। কে কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না।



এই সময় হাতে ব্যাট নিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে রিফাত আমাদের কাছে আসে। 'সরি সরি সরি, দেরি হইয়া গেল দোস্তো! খেলা শুরু কইরা দে। রাশেদ শালা শুইয়া রইছে ক্যা? ওর...' রাশেদের মাথায় আস্ত একটা রড গেঁথে থাকতে দেখে ওর কথা মাঝপথে থেমে যায়। তখনি সস্তা হরর ছবির মৃতের অভিনয়কারী ভূতের মত রাশেদের চোখ ধপ করে খুলে যায়। দুই একবার চেষ্টা করে ও উঠে বসে। মাথার ফাটা অংশ থেকে গড়িয়ে পড়া কালচে রক্ত আর হলুদ মগজ দিয়ে ওর সারা মুখ মাখামাখি, এবং রডটা কোনোভাবে এখনো মাথার ভেতরে গেঁথে আছে। রাশেদ চোখ ঘষে রিফাতের দিকে তাকায়, তারপর তড়াক করে লাফিয়ে উঠে ওর হাত চেপে ধরে। রিফাতের মুখ পাংশু হয়ে যায়, ভয়ে ও চিৎকার দিয়ে ওঠে।



রাশেদ অবাক হয়ে তাকায় ওর দিকে, 'কিরে শালা, চিল্লাস ক্যান? ভূত দেখছস নাকি? আর ব্যাটা ব্যাট আনতে এতক্ষণ লাগে ক্যান?' রিফাত উপযুক্ত শব্দ খুঁজে না পেয়ে আমাদের দিকে তাকায়। এবারে রাশেদ লক্ষ্য করে আমরা সবাই-ই ওর দিকে তাকিয়ে আছি। ও একটু রেগে ওঠে, 'কিরে, কি হইল তোগো? এম্নে চাইয়া রইছস ক্যা? খেলবি না?'



আমি একটু আশার আলো দেখতে পাই। রডটা হয়তো রাশেদের মাথার তেমন ক্ষতি করেনি (যদি মগজকে দুই ভাগ করে ফেলাটা 'তেমন ক্ষতি' না হয়), শুধুমাত্র সাম্প্রতিক স্মৃতিগুলো মুছে গেছে। তাই ও এখনো খেলার মুডেই আছে। আমি রাশেদকে বলি, 'দোস্ত, একটা এক্সিডেন্ট হইছে। তোর মাথায় একটা রড গেঁথে গেছে।' রাশেদের তেমন ভাবান্তর দেখা যায় না। মাথায় হাত দিয়ে ও রডটাকে পরখ করে। রডটাকে নাড়াচাড়া করায় মাথার হা করা অংশ বীভৎস শব্দ করে আরেকটু চওড়া হয়ে যায়। হাতে লেগে থাকা চটচটে রক্ত প্যান্টে মুছে ও উড়িয়ে দেয় কথাটা- 'ধুর, এইটা কিছু না। একটু কাটছে আর কি। আয় খেলা শুরু করি।'



আমি আবারো প্রতিবাদ করার চেষ্টা করি- 'দোস্তো আজকে বাদ দে, তোর এই অবস্থা...' রাশেদ এবারে খেপে চিৎকার করে ওঠে, অশ্রাব্য গালিগালাজ করে জানিয়ে দেয় যে আমাদের বাপের পরিচয় নিয়ে তার সন্দেহ হচ্ছে, এবং যদি আমরা খেলা শুরু না করি তাহলে নিশ্চয়ই শিশুকালে আমরা কুত্তার দুধ খেয়েছি। অন্যদিন হলে আমাদের একটা মারও মাটিতে পড়ত না। কিন্তু আজকে আমরা সমভাবে রড রাশেদের ভয়ে ভীত, এমনকি এক বন্ধু চুপিচুপি এই আশঙ্কা প্রকাশ করে যে, খেলা শুরু না করলে রাশেদ আমাদের একটা একটা করে ধরে খেয়েও ফেলতে পারে (তার এই আশঙ্কা হাস্যকর হলেও উড়িয়ে দিতে পারি না)। তাই রাশেদের চিৎকারের দেড় মিনিটের মাথায় খেলা শুরু হয়ে যায়। ওর হাতে বল, এবং এই পরিস্থিতির জন্য আমাকে দায়ী করে সবাই আমার হাতে ব্যাট ধরিয়ে দেয়।



রাশেদ প্রথম বলটাই করল ইয়র্কার, এবং আমি পা বাঁচাতে গিয়ে সোজা ব্যাট চালিয়ে দিলাম। এইবারে বলটা দ্বিগুণ গতিতে রাশেদের দিকে ধেয়ে গেল, আর চোখে বলের ধাক্কা খেয়ে ও পড়ে গেল। দ্বিতীয়বারের মত।



এবারে কেউ এগিয়ে গেল না। রাশেদ ছ সেকেন্ডের মাথায় এক চোখ ধরে উঠে দাঁড়াল। আঙ্গুলের ফাঁক গলে গলগলিয়ে সাদা একটা কিছুর সাথে রক্ত পড়ছে, চোখের মণি ফেটে গেছে মনে হয়। আমরা কেউ কিছু জিজ্ঞেস করিনি, তবু ও জোরে জোরে বলল, 'কিছু হয় নাই, আমি ঠিক আছি। একচোখে দেখতাসিনা, কিন্তু ব্যাপার না। ঠিক হইয়া যাব।' এক বন্ধু দ্বিধান্বিত হয়ে জিজ্ঞেস করল, 'তুই কি...বোলিং করবি এখনো? রেস্ট নিলে ভালো হইত না?' রাশেদ হুংকার দিয়ে ওঠে, 'এই সামান্য ইনজুরির জন্য আমি বইসা থাকুম? অসম্ভব!' তারপরে গটগট করে বলটা নিয়ে বোলিং মার্কে ফিরে যায়।



পরবর্তী সময়টা নিশ্চিতভাবে আমার জীবনের দীর্ঘতম দুঃস্বপ্ন। রাশেদ একের পর এক, একের পর এক বল করেই যাচ্ছে। থামার কোন লক্ষণ নেই। আমি কোনোমতে গা বাঁচিয়ে চলছি। অবশেষে প্রায় একঘণ্টা কি পঁয়তাল্লিশ মিনিট পরে (যদিও মনে হল এক মহাকাল) রাশেদ বল করতে গিয়ে থেমে গেল। আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল, 'মনে হয় বৃষ্টি নামব রে, আজকে আর খেলা যাবো না।' প্রায় সাথেই সাথেই ঝরঝরিয়ে বৃষ্টি নেমে গেল, সাথে মেঘের গর্জন। আমরা সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।



স্ট্যাম্প উঠিয়ে ব্যাট-বল গুছিয়ে সবাই মাঠ থেকে বের হয়ে যাচ্ছি, এমন সময় রাশেদের হঠাৎ মনে হল ও মোজা রেখে এসেছে। আমাদের অপেক্ষা করতে বলে সে দৌড়ে পিচের কাছে যেতে থাকে। আকাশের এখানে ওখানে আগে থেকেই বিদ্যুতেরা চমকাচ্ছিল, রডের আকর্ষণে তাদের একজন নেমে আসে রাশেদের মাথায়, ওর চারিদিক ঘন সাদাটে ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। অত্যুৎজ্জল সাদা আলো আমাদের চোখ ঝলসে দেয়, কড়-কড়-কড়াৎ শব্দে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে যখন ধোঁয়া সরে যায়, তখন আমরা ভয়ে ভয়ে তাকাই রাশেদের দিকে। মাটিতে শুয়ে আছে ও (ব্যাপারটা ওর স্বভাবে পরিণত হয়ে যাচ্ছে), এবং প্রাণের কোন স্পন্দন নেই। এবারে কি মরেছে?



পরক্ষণেই প্রশ্নের জবাব মেলে। আ-আ করে গোঙাতে গোঙাতে রাশেদ উঠে দাঁড়ায়। মাথার রড উধাও। শুধু রড না, সাথে মাথাটাও উধাও হয়ে গেছে। একটা চোখ আর দাঁতের পাটি রগ-টগে সংযুক্ত হয়ে বুকের কাছে ঝুলে আছে কোনোমতে। দাঁতগুলো ঝকঝকে সাদা। সারা দেহে কোন চামড়া নেই, শুধু কুচকুচে কালো মাংস আর বিশ্রী চর্বিপোড়া গন্ধ। এই জিনিসটা রাশেদ না। কোনোভাবেই না। রাশেদের একটা গলা ছিল, গলার সাথে একটা মাথা লেগে থাকত। এটা ও হতে পারে না। 'জিনিস'টা হঠাৎ নড়ে ওঠে, তারপর দাঁতের পাটিটা কটকটিয়ে নড়তে শুরু করে। একটা কিছু বলছে হয়তো। আমরা কান পেতে শুনি। জিনিসটা বিড়বিড়িয়ে বলছে, 'আমার কিছু হয় নাই, এক্কেবারে ফিট আছি। কিচ্ছু হয় নাই।' কথাটা শুনে একটা ঘৃণার স্রোত বয়ে যায় সবার ভেতরে। জিনিসটাকে উপেক্ষা করেই আমরা মাঠের বাইরে চলে আসি। তারপর যেন কিছুই হয় নি- এমন ভাব করে অতি স্বাভাবিক ভঙ্গিতে চলে যাই যার যার বাড়িতে।



পরের দিন স্কুলের প্রথম ক্লাসটা আমাদের অস্বস্তিতে কাটে। কি হবে যদি জিনিসটা রাশেদের বদলে আজকে স্কুলে এসে পড়ে? আমার আর রিফাতের মাঝখানে ঠেলেঠুলে জায়গা করে বসে? ওটার গায়ের থিকথিকে বাজে গন্ধঅলা রস আমাদের খাতার ওপর, শরীরের ওপর পড়বে। আমাদের শরীরেও গন্ধ লেগে যাবে। আর তাছাড়া কোন স্কন্ধকাটার পাশে বসে থাকাটা খুব একটা আনন্দের হবে বলে মনে হচ্ছে না।



কিন্তু আমাদের আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত হয়। জিনিসটা সেদিন স্কুলে আসে না। তার পরের দিনও না। তার পরের দিনও না। পুরো দুই সপ্তাহ পার হয়ে যায়, কিন্তু জিনিসটার কোন হদিস পাওয়া যায় না। না মাঠে না স্কুলে। বাকিরা স্বস্তি বোধ করলেও আমার একটু একটু খারাপ লাগতে থাকে। হাজার হলেও রাশেদ আমার বন্ধুমানুষ ছিল। বেচারাকে মিস করছি। তাছাড়া রাশেদের বাড়ি আমার বাড়ি থেকে খুব একটা দূরে না। পাঁচ মিনিটের পথ। ইচ্ছা করলেই রাশেদের আম্মা, এবং সেই সাথে জিনিসটার সাথে দেখা করে আসা যায়।



সুতরাং একদিন বিকালে আমি রাশেদদের দরজায় ঠকঠকাই। ওর আম্মা দরজা খোলেন। আমি জিজ্ঞেস করি, 'আন্টি, রাশেদ আছে?'

আন্টি গোমড়ামুখে জবাব দেন, 'হ্যাঁ বাবা। ড্রয়িংরুমে দেখ, সোফার ওপরে বসে বসে টিভি দেখতাছে।'



জিনিসটা কিভাবে বাড়িতে এসে পৌছেছিল ভাবতে ভাবতে আমি ড্রয়িংরুমে ঢুকি। ওইতো, সোফার ওপরে জিনিসটা শুয়ে আছে। কিংবা সঠিক করে বললে পড়ে আছে। চোখটা টিভির দিকে তাক করা। দাঁতের পাটি কটকটিয়ে নড়তে দেখা যাচ্ছে, গোলাপি রঙের একটা কিছু চিবুচ্ছে- চুইংগাম মনে হয়। শেষবারে যেমন দেখেছিলাম তেমনি আছে, শুধু কোমরের নিচের অংশ নেই। কেটে ফেলা হয়েছে সম্ভবতঃ। আমার পায়ের শব্দ পেয়ে জিনিসটা আমার দিকে তাকাল, তারপর আনন্দিত গলায় অভ্যর্থনা জানাল, 'আরে দোস্ত কি খবর?'

উত্তর দেব কি দেব না চিন্তা করতে করতে বলে ফেললাম, 'ভালো।'

- 'গুড গুড। এই কয়দিন বৃষ্টি আছিল তো, খেলতে পারি নাই। মাটি পিছলা হইয়া গেছে। আজকে খেলবি নাকি এক ম্যাচ? বৃষ্টি নাই তো।'



আমি না শোনার ভান করে শক্ত হয়ে ওটার পাশে বসে থাকি। ততক্ষণে আন্টি নুডলসের বাটি নিয়ে এসে পড়েন। বাটি নেবার সময় আমি লক্ষ্য করলাম তিনি খোঁড়াচ্ছেন।

-'আন্টি আপনার পায়ে কি হইছে? ব্যথা পাইছেন?'

তিনি পাশের সোফায় বসে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন, 'আর বইলো না বাবা। রাশেদরে নিয়া রিকশায় উঠছিলাম, অরে ডাক্তারের কাছে নিবার কথা ছিল। রাস্তায় এক ট্রাক আইসা রিকশার পিছে গুঁতা দিছে। আমি তো ফুটপাতের ওপরে পইড়া গেছি, কিন্তু তোমার বন্ধু গড়ায়া গেছে ট্রাকের নিচে। তারপরে আর কি, ফুটপাতে বাড়ি খাইয়া পায়ের গোড়ালি ফুইলা গেল। এখন হাঁটতে কি কষ্ট!'



-'ও, এইভাবে ব্যথা পেয়েছেন? আচ্ছা।' বলতে বলতে আমি কাঁটাচামচে নুডলস পেঁচিয়ে মুখে চালান করি। কিন্তু এক মুহূর্তের অসতর্কতায় হাত থেকে চামচটা পড়ে যায়, এবং খাড়াভাবে রাশেদের চোখের ওপরে ল্যান্ড করে। ও চিৎকার দিয়ে বসে পড়ে সোফায়। আমি চামচটা ছাড়িয়ে নিয়ে রাশেদের কাছে মাফ চাইতে থাকি, ব্যাপারটা যে কেবলি দুর্ঘটনা সেটা ওকে বোঝাতে থাকি বারবার। রাশেদ ধাতস্থ হয়ে এফোঁড়-ওফোঁড় চোখটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে, তারপর কাঁধ ঝাঁকিয়ে বলে, 'আরে, ব্যাপার না। এখন চোখে দেখতাসি না, কিন্তু চোখে না দেখলে কি খেলন যাব না নাকি? আমি ঠিক আছি। আম্মা ভাত দেও, খায়াদায়া মাঠে যামু।'



আন্টি আমার দিকে তাকিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন, 'দেখছ বাবা, জ্বালায়া মারল একেবারে! আমি পায়ের ব্যথায় অস্থির, আর এ যাবো মাঠে। ওফ! মরে না ক্যান পুলাডা!'

আমি তাকে সান্ত্বনা দেই, 'ধৈর্য ধরেন আন্টি। ইনশাল্লাহ সব ঠিক হইয়া যাব। সবাই কি আর মরতে পারে? কারো কারো ক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগে।'



তারপর কাঁটাচামচে নুডলস প্যাঁচাতে থাকি আবার।

মন্তব্য ১২৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

লেখোয়াড় বলেছেন:
প্রথম প্লাস দিয়ে গেলাম।
গল্পটি পড়ে পরে কথা বলবো।

ধন্যবাদ।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

প্লাসের জন্য ধন্যবাদ!

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ভয়ংকর গপ! পড়ছিলাম আর বারবার কপালে ভাজ পড়ছিল!

তয় গপের বক্তব্যটা ভালো করে ধরতে পারনি!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্প থেকে একটা হিন্ট- ''কারো কারো ক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগে।''

গল্পের বক্তব্য বলতে গেলে একাধিক! এবারে আগেই বলে দেব না, দেখা যাক গল্পটা পাঠকের কাছে কোন রূপে ধরা দেয়। তবে একটু ভয়ংকর গপ অবশ্যই।

শুভরাত্রি, মাসুম আহমেদ।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৭

সুমন কর বলেছেন: গল্পটা তেমন ভয়ানক বা কাহিনী নির্ভর হয়নি। তবে আপনার বলার স্টাইলের কারণে, পড়তে ভাল লাগল।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পটা একটা থিম নিয়ে এগিয়েছে, হয়তো একটা 'প্রায় দূষিত' দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। তার সাথে সাথে অন্য উপাদান নিয়ে আসা।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ, সুমন কর।

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

গোর্কি বলেছেন:
গল্পের মূল ভাব আরও গভীরে কোথাও। কম্পুর সামনে বসে ঝিমুতে ঝিমুতে একবার পড়লাম। আবারও ঠান্ডা মাথায় পড়তে হবে। পরে আবারও ফিরে আসব। গল্পের শিরোনামটা যুৎসই হয়েছে। শুভ রাত্রি সুপ্রিয়।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় গোর্কি,

আপাততঃ ঘুম ভালো হোক, এই কামনা করছি। পরে এসে পড়লেই হবে।
শুভ রাত্রি।

৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৫

আফসিন তৃষা বলেছেন: খাইসে রে! গল্প পড়ে হাসলাম, ভয় পেলাম, ভাবলাম। আপনি তো বেশ সফল গল্পকার :)
আর একটা ছোট্ট কথা। আরে আশেপাশে কত কাঠের খণ্ড পইড়া রইছে, একটারে ব্যাট বানায়া খেলা শুরু কইরা দিমুনি। নাম।
এখানে পুরো চলিত কথার মধ্যে কাঠের খন্ড শব্দটা একটু কেমন লাগছে। টুকরা হলে ভালো। :)
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হ্যাঁ, বেমানান লাগছে বটে! দাঁড়ান, ঠিক করে দিচ্ছি এখনি।

ঈদের শুভেচ্ছা, আফসিন তৃষা।

৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪০

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: শুভেচ্ছা প্রফেসর সাহেব! গল্প পড়বো, অবশ্যই পড়বো। পাঠককে আগে জাগাতে হবে।

:)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা, পাঠক জাগুক আগে!

শুভেচ্ছা প্রিয় কবির ছায়া।

৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: হালকা মেজাজে পড়া শুরু করেছিলাম, লোহার রডটা যখন রাশেদের কপালে গেথে গেল সাথে সাথে বুকের মধ্যে যেন ঘ্যাঁচ করে লাগল; এবার মাথা ঝাড়া দিয়ে সিরিয়াস মেজাজে পড়া শুরু করলাম। ভয়াবহ! চোখ আর দাতের ঝুলে থাকার যে বর্ণনা দিলেন, মাই গড! যেন আমি চোখে সামনে দেখতে পাচ্ছি সবকিছু, আমি গল্পেরই চরিত্র, গা গুলিয়ে উঠলো একেবারে!! টুপি বিয়োজন পোষ্ট।

মোটা দাগে আমার যা মনে হয়েছে,
অতিশয় বৃদ্ধ যারা অনেক বছর ধরে ধুকে ধুকে বেচে আছে, যাদের মৃত্যু অতি আপন জনের (এখানে রাশেদের মা) কাছেও স্বস্থির বিষয়, কিন্তু সব প্রতিকুলতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিব্বি বেচে আছে তাদেরকে চিত্রায়ীত করেছেন?

আরও সুক্ষভাবে চিন্তা করলে "আমরা সবাই প্রতিনিয়ত নানান প্রতিকুলতা জয় করে বেচে আছি, এবং দিন শেষে হাসতে পারছি, খেলতে পারছি" এই জিনিসটা বোঝাতে চেয়েছেন?

গল্প জোস হয়েছে। ভাবালো কিছুক্ষণ। শুভেচ্ছা।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পের মূল থিমটা সুন্দরভাবেই ধরেছেন, প্রিয় দেবদূত!

এখানে কবির প্রতিনিধিত্ব করছে জীবনের। তার অন্য বন্ধুরা হয়তো রোগ, খরা, শোক ইত্যাদি। রাশেদের মা হচ্ছে স্বার্থপরতার প্রতীক। আর রাশেদ নিজে হচ্ছে সেই চিরন্তন মানুষ, যে এসব প্রতিকূলতা ছাড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে, অনন্ত স্পৃহা নিয়ে উঠে দাঁড়াচ্ছে বারবার।

কিন্তু কবির বা জীবন তার এই হার না মানা মনোভাবে বিচলিত নয়। সে মানুষকে সবচে বেশি জানে এবং চেনে, অনেক ক্ষেত্রে সমব্যথীও। তাই রাশেদের ভাঙন দেখার জন্য সে স্থিরচিত্তে অপেক্ষা করতে থাকে।

ভাবাতে পেরে আনন্দিত অনুভব করছি।
শুভেচ্ছা।

৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৫৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভৌতিক আবহ , জ্যান্ত বর্ণনা ।
গল্পের একটা ব্যাখ্যা নিজের মত বের করে নিয়েছি ,
তবে ওটা নিজের কাছেই যথেষ্ট মনে হচ্ছে না , মনে হচ্ছে আরো কিছু আছে ।
যা ভাবলাম তাও ঠিক কিনা বুঝতে পারছি না । আপনার কাছেই ব্যাখ্যা
চাইছি ।


সবাই কি আর মরতে পারে? কারো কারো ক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগে।'

এটাতেই সব কিছুর চাবি আছে বলে মনে হচ্ছে । যা হোক - আপনার কাছেই ব্যাখ্যা
চাইছি । ভাল থাকুন প্রফেসর
শুভকামনা রইল । :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এই লাইনটাই চাবিময়! ব্যাখ্যা উপরে শান্তির দেবদূতকে দিয়েছি। তবে গল্প পড়ে আপনি নিজে যে একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন, এটাই আমার অন্য অনেক আনন্দের।

ভালো থাকুন মাহমুদ, শুভেচ্ছা।

৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১৪

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: চিন্তার ভঙ্গীটি বেশ ভালো লাগলো।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, ইসহাক।

ঈদের শুভেচ্ছা।

১০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০১

বোকামন বলেছেন:
স্ক্যায়ারী !!

আমার পায়ের শব্দ পেয়ে জিনিসটা আমার দিকে তাকাল
মানুষ/প্রাণ জিনিসে পরিণত হলো তাহলে !
এবারে কি মরেছে?
গল্প বলাটা শেষ হয়ে গিয়েছিলো এখানেই। তারপরে যা হলো- ইটস্ হাইপ ! কবিরের অপরাধ/অপরাধী বোধ বা আত্ম-দংশন।
আর আত্ম দংশন এভাবেই খুবলে নিয়ে যায় নিজ অস্তিত্বের শরীর কাঠামো ...

প্রিয় লেখক,
যা আসোলো গল্প পড়ে বোকা মনে লিখে দিলাম।
এখনি পড়ে এখনি মন্তব্য ... হা হা হা :-)
লেখনী বরাবরের মতই দুর্দান্ত তবে এবার নিশ্চিতই ছক্কা হাঁকিয়েছেন ।।

সময় পেলে একটু ঘষামাজা করে নিলে ভালো হবে... এই আর কি :-)

শুভকামনা

[প্লাস]

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় বোকামন,

যা ভেবেছেন মোটেই ভুল ভাবেননি। বোকা মনের ভাবনা পুরো ঠিক:)

সময় নিয়ে ঘষামাজা করব অবশ্যই।

গল্পে আপনাকে পেয়ে বরাবরের মতই অনুপ্রাণিত হলাম। শুভেচ্ছা নেবেন।
[প্লাসের জন্য ধন্যবাদ]

১১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :-& :-& :-& :-&


কিছুটা ভয়ংকর। !

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হ্যাঁ, একটু আধটু!

১২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬

মামুন রশিদ বলেছেন: এরকম একটা ভয়ংকর গল্প এমন নির্মোহ ভাষায় লিখলেন কিভাবে ??


লেখায় ছাঁচে কোন উত্তেজনা নেই, পৈচাশিক বর্ণনা নেই- কেমন যেন বৃষ্টি ধোঁয়া স্নিগ্ধতা বিরাজ করছে পুরো গল্পটা জুড়ে..

ঠান্ডা বীভৎস গল্পে ভালোলাগা ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পের চরিত্রগুলো ঠাণ্ডা তো, তাই গল্পও হয়তো ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা প্রকৃতির লেগেছে! আর মাঝে মাঝে বীভৎসতা এসেছে।

ভালোলাগা গৃহীত হল। কৃতজ্ঞতা প্রিয় মামুন রশিদ।




১৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৬

কয়েস সামী বলেছেন: কোন থিম যদি নাইবা থাকতো তবু ভুতের গল্প হিসেবে চালিয়ে দেয়া যেত সহজেই।
থিম টুগেদার উইথ গল্প -দুটাই চমত্কার হইসে।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক খুশি হলাম।

ধন্যবাদ, কয়েস সামী!

১৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

আম্মানসুরা বলেছেন: গল্প পড়ে তেমন বুঝতে পারিনি, শান্তির দেবদূতের কমেন্ট পড়ে বিষয় বস্তু পরিষ্কার হয়েছে।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: না বুঝলেও ক্ষতি নেই, ভূত বা তদসম্পর্কিত গল্প ভেবে পড়লেও হবে!

পড়ার জন্য ধন্যবাদ, আম্মানসুরা।

১৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ভয়াবহ রকম আষাঢ়ে গপ্প। পড়ে মজা পাইছি। কিন্তু একটা ব্যাপার মাথায় ঘুরতেছিল- যেই রডের আঘাতে রাশেদ পোলাটা মারা গেল, সেটার ওজন অবশ্যই ভালো রকমের। তাই সেটা মাথায় গেঁথে থাকা অবস্থায় সে কেমনে মাথা নাড়াচাড়া করছিল?

পরে দেখলাম রাশেদের পক্ষে অনেক কিছুই সম্ভব।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হু, রাশেদের ক্ষেত্রে কোন সীমা পরিসীমা নেই:) সবই সম্ভব!

শুভেচ্ছা রইল, প্রিয় জুলিয়ান।

১৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

শুঁটকি মাছ বলেছেন: ভয়ের গল্প জানলে এখন পড়তাম না।রাত্রে বেলা পড়ার জন্য রেখে দিতাম।গল্প ভাল হয়েছে শংকু ভাই!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: রাতের বেলা রিভিশন দিতে পারেন, সমস্যা নেই।

ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

১৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: েআধাটা গল্প পড়েছি মনোযোগ দিয়ে। বাকিটা পড়ে কমেন্ট করছি! :-* :-*

মন দিয়ে না পড়ে কমেন্ট করতে পারছি না!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ুন আস্তে আস্তে। তাড়াহুড়োর কিছু নেই:)

১৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬

গোর্কি বলেছেন:
কপালে রড ঢোকার পর থেকে মানতে না পারা প্রিয়জনের ভয়াবহ মৃত্যুর কল্পনার জগৎ শুরু। চোখের সামনে অতি প্রিয়জনের অপমৃত্যু মেনে নেয়া খুব কষ্টকর। জলজ্যান্ত জীবিত মানুষের চোখের সামনে অপঘাতে মৃত্যু গল্পের নায়কের মন কালো ছায়ায় আচ্ছন্ন করে ফেলে। এই কালো ছায়াকে "যেতে নাহি দেব" আঁকড়ে রাখার চেষ্টা মাত্র বলে মনে হয়েছে।

আসলে ছোট গল্পের মূল ভাব বোঝাটা বেশ কষ্টকর। তাও আবার আমার মত পাঠকের। যে কিনা গল্প, পদ্য পড়েই খালাস। জীবনে কোনোদিন লেখেও নি বা লিখতেও পারে নি। উৎসবমুখর অবকাশ দিনগুলো সুন্দর, আনন্দময় হোক সুপ্রিয়।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এই গল্পের মূল উপপাদ্য একটু ডার্ক টাইপের, তবু থিম একাধিক-ও বলা যেতে পারে! পাঠকের ওপর নির্ভর করে, যার কল্পনায় যেটা খাপ খায়।

ব্লগে আপনার মত পাঠকের খুব দরকার, প্রিয় গোর্কি। সত্যি বলছি, এরকম পাঠকেরাই একটা ব্লগকে সুন্দর রাখতে পারেন, লেখক কবিরা উৎসাহ পান।

উৎসবের দিনগুলো ভালো কাটুক আপনারো। শুভেচ্ছা।

১৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


খুব সহজ সরল ভাষায় ভয়টাকে জয় করা হয়ে গেলো গল্পে। এখানেই লেখকের সার্থকতা । ++++++ রইল।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ কাণ্ডারি। প্লাস নিলাম।

ভালো থাকুন।

২০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৮

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভয়ের গল্প পড়েও ভালোলাগে।
লেখকের মুন্সিয়ানা।

প্লাস দিতে পারিনি, সামুর ঝামেলায়।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মনে মনে প্লাস নিয়ে নিয়েছি:)

ধন্যবাদ, দুর্জয়।

২১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৮

আশিক মাসুম বলেছেন: omg..... nodolse hate niye apnar golpo porchilam... ar seshta nosle diy... aro ekbar porte hobe prothom pathe onek kichui bujhinai....

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চামচটা পরীক্ষা করে দেখেছিলেন? চোখের সাদা অংশ লেগে নেই তো আবার? :)

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

২২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

toysarwar বলেছেন: গল্পটা পড়ার পর কেন জানি শীত শীত লাগছে।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শীত শীত লাগাতে পেরে আনন্দিত!

২৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
গল্প পড়ে আমার নিজের যা মনে হয়েছে তাই বলি-
গোটা বাঙালী জাতিকে রিপ্রেজেন্ট করেছে গল্পটা। অথবা রাশেদ যেন সমাজের শোষিত শ্রেণির রুপক! রাজা যায়, রাজা আসে কিন্তু সাধারনের ভাগ্যে আসেনা কোন পরিবর্তন। রাজা শুধু জানে শোষণ করতে। আর তাদের এই শোষণ এর শিকার হতে হতে একসময় পুরো বিষয়টা আমাদের অভ্যাস হয়ে যায়। গায়ে সয়ে যায় সবটুকু। এ জাতি আধমরা হয়ে ঝুলে থাকে যুগের পর যুগ, চূড়ান্ত মৃত্যু তাদের কখনো আসেনা।

কি জানি ঠিক বুঝেছি কিনা! গল্প নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবী রাখে। ব্যাতিক্রম কিছু পেলাম আপনার কাছ থেকে।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমি এটাই চাইছিলাম নাজিম, পাঠক তার নিজের মত করে পড়ুক গল্পটা। কার কাছে কি মনে হয় সেটা জানতে চাইছিলাম। আপনার মতামত পেয়ে খুশি হলাম।

গল্প নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালো লাগে, তারই একটা ফলাফল এটা। শুভেচ্ছা রইল।

২৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুবই চমৎকার একটা গল্প। প্রাঞ্জলতা বলেন, দৃশ্যপটের বর্ননা বলেন দারুন একজন গল্পকার ছাড়া সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলা মুসকিল। আপনি তা প্রমান করেছেন। বিশেষ করে মানুষের জীবনের কিছু জটিল ব্যাপার প্রতীকি মাধ্যমে বেশ সুন্দর ভাবে প্রেজেন্ট করেছেন! কিছু গল্প আছে যা পরিচিত দৃশ্যপটের মাঝে অপরিচিত এক দৃশ্যের কথা বলে। যা হত অনেকেই কাছেই বেশ ভীতিকর!

অনেক শুভেচ্ছা রইল। :)

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বরাবরই লজ্জায় ফেলে দেন, কা_ভা। আপনাদের ভালো লাগাতেই তো একটা গল্পের 'গল্প' হয়ে ওঠা, তাই ধন্যবাদ জানাচ্ছি কৃতজ্ঞচিত্তে।

ভালো থাকুন।

২৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:১৩

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: বরাবরের মতই অসাধারণ আপনার উপস্থাপন! বর্ণনা পড়ে মনে হচ্ছিল চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। অনেক ভাল লাগা জানবেন :)

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নিয়মিত পাঠককে পোস্টে পেয়ে খুশি হলাম।

ধন্যবাদ জানবেন আপনিও:)

২৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:০৫

এহসান সাবির বলেছেন: প্রোফেসর সাহেব....... গল্প ভালো লেগেছে।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, এহসান সাবির।

২৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:২৭

অচিন্ত্য বলেছেন: কী সাঙ্ঘাতিক !
পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল বার বার আপনি গুগলি দিচ্ছেন। কোনভাবেই ব্যাটে বলে করতে পারছিলাম না। তারপর আউট হয়ে গেলাম। তারপরের উইকেটগুলোতে লেখোয়াড়, মাসুম আহমেদ, সুমন কর, গোর্কি, আফসিন তৃষা, জীবনানন্দ দাশের ছায়া তেমন সুবিধা করতে পারল না। তারপরেই পিচে নামলেন শান্তির দেবদূত এবং সোজা সেঞ্চুরি।

ব্যাস, আমাদের আর রান না করলেও চলবে।
কামাল তুনে কামাল কিয়া ভাই।
+++

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কেউ কিন্তু 'আউট' হন নি, সবার মন্তব্যই গল্পের নতুন একটা দিক বের করে এনেছে- সুতরাং রিটায়ার্ড হার্ট বলা যেতে পারে!

শুভেচ্ছা, অচিন্ত্য।

২৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ভয়ংকর গল্প, কিন্তু অন্তর্নিহিত অর্থটি ভাবায় ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাবনাতেই আনন্দ।

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মোবাইল থেকে পড়লাম আর কমেন্ট করা আর ও সমস্যা লাগছে। গল্পটা খুব উপভোগ করেছি, সব অসম্ভব রাশেদ কে দিয়েই যেন সম্ভব। আঘাত পেয়েও যে সাম্নে এগিয়ে যাওয়া,হহতাশ না হওয়া, কবির কে মাফ করে দেয়া। ধরা যাক রাশেদ শান্তি বা ক্ষমার প্রতিক। সব মিলিয়ে এনজয়েবল এক্টা গল্প। অফিসে নেট লাইন নেই। আমি গুছিয়ে আমার প্রতিক্রিয়া টা লিখতে পারলাম না। ভাল থাকবেন

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মূল বিষয়গুলোই তুলে ধরেছেন। রাশেদের এই মনোভাব এবং অন্যদের নির্লিপ্ততাকে কেন্দ্র করে গল্প এগিয়েছে।

প্রতিক্রিয়া কিন্তু যথেষ্ট গোছানো হয়েছে, কারণ বুঝতে পেরেছি কি বলতে চেয়েছেন। সুতরাং, সমস্যা নেই:)

ভালো থাকুন, অপর্ণা।

৩০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২২

শীলা শিপা বলেছেন: কি ভয়ংকর বর্ণনা!!! গল্পের কথায় পরে আসব... বর্ণনা পড়ে কেমন গা শিউরে ওঠে...

বরাবরের মতই সুন্দর গল্প... :) ইচ্ছে করলেই সুন্দর একটা হরর গল্প লিখে ফেলতে পারতেন...

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হরর গল্প লিখতে আমি অক্ষম....হয় তা নৃশংসতার গল্প হয়ে যায়, নইলে হাসির:)

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৩১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রফেসরের জীবন দর্শন বিচিত্র চিন্তার মাধ্যমে আমাদের কাছেও প্রকাশ করছেন এটা খুব আনন্দের কথা। গল্পটা পড়ে বিভৎস আনন্দ পেলাম। আমার ভাবনাটা বলি, রাশেদের বারংবার মৃত্যু এবং আমাদের থমকে যাওয়াকে ধরে নিলাম বিভিন্ন দুর্ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের অনুশোচনা অথবা পলায়নপর মানসিকতা আর 'মৃতের' নির্বিকার ভাব হলো "তোদের যে কারো কাছ থেকে এমন যেকোন কিছু যেকোন সময় আসতেই পারে। এতে মোটেও বিস্মিত নই"। 'মৃত' বালকের মায়ের 'মৃত্যু' বিষয়ক ভাবলেশহীনতা পরম আত্মীয়তার সূচক। তুমি থেবড়ে যাও, মচকে যাও, কুকড়ে যাও, দগ্ধ হও, কিছু কিছু সম্পর্ক অবিনশ্বর।

অনেকদিন ধরেই মাথায় জং ধরে ছিলো। আপনার গল্পটা পড়ে একটা ঝাঁকি খেলাম প্রবল।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্প লেখার সময় একরকম উৎসাহ নিয়ে লিখছিলাম, একেও 'বীভৎস আনন্দ' বলা যেতে পারে। আপনার ভাবনাটা পুনঃভাবনাউদ্রেককারী। গল্পের আরেকটা দিক বেরোল।

সব জং ঝরে যাক, নতুন গল্পরা আত্মপ্রকাশ করুক! ঝাঁকি দিতে পেরে আনন্দিত।

৩২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: ভালোই গল্প ফাদলেন। গল্পের নামে গল্পটা বোঝার চাবি আছে আর শেষটায়।তাঁর পর ও পাজলড। আই থিঙ্ক এই পাজলড করাটাই গল্পকারের লক্ষ্য ছিল।অনেক শুভকা্মনা

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

শুভকামনা আপনার জন্যও।

৩৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১

অচিন্ত্য বলেছেন: পাঠকের ইন্টারপ্রিটেশনে যে গল্পের নতুন অর্থ দাঁড়াতে পারে সেটা আরেকবার দেখলাম হাসান মাহবুব এর কমেন্টে।
+++

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: তার কমেন্টে প্লাস!

পাঠকের মতামত আনন্দিত করছে বারবার। যেমন আজ আরেকজনকে গল্পটা পড়তে দিয়েছিলাম। তার মনে হল, গল্পটা একজন প্রতিবন্ধী শিশুকে নিয়ে আবর্তিত হয়েছে, যে নিজের অক্ষমতাকে ইচ্ছাশক্তি নিয়ে জয় করার চেষ্টা করছে।

সুতরাং, জয়তু পাঠকদের কল্পনাশক্তি!

৩৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১৪

নেক্সাস বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প। জীবনের নানা মুখি দর্শন লেখকের দৃষ্টি ভঙ্গির মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে।

শুভকামনা প্রফেসর সাহেব

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ, নেক্সাস।

শুভরাত্রি।

৩৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

টুম্পা মনি বলেছেন: প্রফেসর রাশেদ কি ভুত হয়ে গেছে?

গল্প ভয়ংকর হয়েছে! মনে দাগ কাটার মত।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ঠিক ভূত বলা উচিত হবে না, 'জলজ্যান্ত ভূত' বলা যেতে পারে:)

ভয়ংকর গল্প লিখে মজা পেয়েছি। সামনে আরও লেখার ইচ্ছে পোষণ করছি।

ধন্যবাদ টুম্পা মনি।

৩৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা পড়েন Click This Link

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ে দেখছি এখনি।

৩৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭

ইনকগনিটো বলেছেন: গল্পের মুল বক্তার অস্বস্তিটা খুব সুন্দরভাবে উঠে আসছে। গল্পটার বীভৎসতাটা খুবই রোমান্টিক। বাট একজন ডাক্তার হিসেবে পুরো গল্পটার লোহার রড এবং লাইটিং এর rationality হজম করতে একটু কষ্ট হইছে।

রূপকটা দারুন।

গল্পটা সুন্দর এবং মোলায়েম (আমার কাছে) ইউ নো, আই লাইক দিস কাইন্ড অফ থিং :)

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আসলে গল্পে র‍্যাশনালিটি রাখতেই চাইনি:) মাথায় এত সহজে রড গেঁথে যাওয়া, ধোঁয়াটে আলোময় বজ্রপাত এবং হাত ফস্কে চামচ চোখের ওপর পড়া - সবগুলোর মাঝে বীভৎস এবং অবাস্তব একটা ছাপ দিতে চাচ্ছিলাম।

ধন্যবাদ।

এরকম গল্প সম্ভবতঃ এই প্রথম লিখেছি। এরকম 'থিং' আরও লিখতে চাই!

শুভরাত্রি।

৩৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: কি বলবো ? গল্প নিয়ে বলার কিছু নাই । দারুন উপভোগ করছি এই বিচিত্র খেয়াল

কমেন্টগুলো পড়তে ভালো লাগছে ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: খেয়ালি খেয়াল পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

কমেন্টগুলো দারুণ, আইডিয়া বের করে আনে অনেকগুলো।

৩৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:০৮

আমি সাজিদ বলেছেন: উপরে সবাই বলে দিয়েছে সব, কি আর বলবো ?

দুর্দান্ত।মুগ্ধতা একরাশ।রাশেদ যখন বারবার উঠে যাচ্ছিলো আর লোকাল ভাষায় কথা বলছিলো, পাঠক হিসেবে আমার ভয় পাওয়ার কথা কিন্তু ভয়মেশানো অন্যরকম ভালোলাগা আর আগ্রহ নিয়ে পড়ে গেছি একদম শেষঅবধি।

অবাস্তব কিছু দিয়ে বাস্তবের দিকে ইঙ্গিত, ৭ নাম্বার কমেন্টের মাধ্যমে আরও পরিষ্কার হলো প্রোফেসর স্যার।


শুভকামনা সবসময়।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পে রাশেদের ওপরে কি হচ্ছে কেন হচ্ছে এটাই মনে হয় মূল জিজ্ঞাসা। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

শুভকামনা আপনার জন্যেও।

৪০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: আপনার লেখা প্রথম পড়লাম । যদিও অনেক দিন ধরেই ইচ্ছে । আপনার সব গল্প কি কোন লিঙ্কে একবারে পাওয়া যাবে ?
এই গল্পের কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতে চেয়েও করার প্রয়োজন হলো না । নানা গুণী ব্লগার এবং আপনার কমেন্ট পড়ার কারণে । অদ্ভুত সুন্দর একটা ভাবনা ।
এভাবেই টিকে থাকে কেউ কেউ । সবাই কি আর মরতে পারে? কারো কারো ক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগে ............আসলেই তাই । বেঁচে থাকার লড়াইয়ে টিকে থাকা । +++++++++++++++++++++++++
আমার সাধারণ লেখায় আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লেগেছে ।
Click This Link সময় পেলে এই লেখাটা একটু পড়ে জানাবেন কেমন লাগলো । বেশ আগের লেখা । আমার খুব ভালো লেগেছিল লেখাটা । লেখার সমালোচনা করলে খুশি হবো । ভালো থাকবেন অনেক ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম! পড়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আপনার লেখা মোটেও সাধারণ ছিল না, ভালো লেগেছে পড়তে।

লিংকে যাচ্ছি এখনি। ভালো থাকুন আপনিও।

৪১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২

রাইসুল সাগর বলেছেন: গল্প লেখনির ধরনটা চমৎকার। শুভকামনা নিরন্তর।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা রইল।

৪২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৭

কালীদাস বলেছেন: স্বপ্ন নাকি গল্প বুঝতে সময় লেগেছে আমার।
অনবদ্য!

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার ভালো লাগা মানে তো বিশেষ কিছু!

খুশি হইলাম।

৪৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২০

তওসীফ সাদাত বলেছেন: দুঃখিত, গল্প পড়ার মুড এ ছিলাম না আসলে। তাই একটু দেরি করে পড়া।

অসাধারণ !! বরাবরের মতই আবারও মুগ্ধ আপনার গল্পে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সমস্যা নেই। আজ আর কাল একই কথা- একদিন পড়লেই হল!

ধন্যবাদ জানাচ্ছি আবারো।

৪৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩২

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: কি বীভৎস গল্পরে বাবা!!!
মারাত্মক।

আপনার উপর রাগ হচ্ছে খুব ভাইয়া X(( X((
খুব আয়েশ করে নুডলসের বাটি নিয়ে বসেছিলাম আপনার গল্প পড়তে।
গল্প পড়া শরু করার পরপরই খাওয়া তো অফই এবং শেষ করার পর দেখি আমিও কাঁটাচামচে নুডলস প্যাঁচাচ্ছি :| :|

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা, শেষের সাথে চমৎকার মিলে গেছে দেখা যায়!

আমার কাছে নুডলস দেখলেই মনে হয় প্লেটের ওপরে জীবন্ত হলুদ-সাদা কেঁচো এবং কৃমি দলা পাকিয়ে নড়াচড়া করছে, এপাশ ওপাশ হচ্ছে। তাই গল্পে এই বীভৎস খাদ্যের আগমন:)

৪৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫২

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: আমার সবচেয়ে প্রিয় খাদ্যকে আপনার গল্পের মাধ্যমে এরকম বীভৎস বানিয়ে দেয়ার তেব্র নিন্দা জানাচ্ছি X(( X(( X(( X(( X(( X((

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :):)

৪৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪৮

নোমান নমি বলেছেন: চমৎকার শঙ্কু। টানা দুইবার পড়ার পরও কনফিউজড ছিলাম। ভাবছিলাম আসলে কি বুঝিয়েছেন। একবার ভাবলাম ব্যাক্তিগত হৃদয়ানুভূতি হবে বোধহয়। পরেরবার ভাবলাম মানুষের জীবনের প্রত্যেকটি মরে যাবার কথা, ছোটছোট দুঃবোধ, আশপাশের মানুষের জীবনধারা। এসব ভাবতে ভাবতে শেষে কমেন্টস পড়া শুরু করলাম। এখনতো একদম ক্লিয়ার। দারুণ গল্প লিখেছেন।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনি গল্পটা পড়েছেন দেখে আনন্দিত হলাম। আমার ব্লগে স্বাগতম!

ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

৪৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: প্রফেসর সাহেব আজকে নরম্যান্ডির কাহিনী পড়তেছিলাম। জার্মানীর প্রায় সাড়ে তিন লাখ ক্যাজুয়ালিী ছিলো শুধু ঐখানে। অন্যান্য জায়গার কথা তো বাদই দিলাম। যুদ্ধ শেষের পর এমবার্গো আছিলো। আর আজকা জার্মানীর কি অবস্হা!


একটা কুশ্চেন, রাশেদ নামটা কি জন্য নিলেন? জাফর ইকবাল স্যারের গল্প থেকে ?

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পরিবর্তন ঘটাতে সময় লাগে না, স্রেফ ইচ্ছাশক্তি। জার্মানদের এটা আছে, আর আমাদের এই ইচ্ছাশক্তি অতি প্রয়োজন!

আমার বাচ্চাকালের একজন বন্ধু ছিল- রাশেদ, গল্প লেখার সময় ওর কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। তাই এই নাম দেওয়া। অবশ্য জাফর ইকবালের গল্পটা মাথায় ছিল, সুতরাং ঐ গল্পেরও কিঞ্চিৎ প্রভাব নামে এসে মিলে গেছে হয়তো!

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৪৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫

ইকরাম উল হক বলেছেন: toysarwar বলেছেন: গল্পটা পড়ার পর কেন জানি শীত শীত লাগছে।

সন্দেহাতিতভাবে সহমত

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ...এবং তাতে আমি দারুনভাবে আনন্দিত। ধন্যবাদ।

৪৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৪

অশ্রু কারিগড় বলেছেন: মূল থিমটা ধরতে সময় লাগলেও গল্প অসাধারণ হয়েছে । শুভেচ্ছা রইল ।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপনাকেও। ভালো থাকুন।

৫০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১১

আরজু পনি বলেছেন:

হাহাহাহা

পড়তে পড়তে রাশেদকে দেখতে পাচ্ছিলাম যেন !
রাত হলে নির্ঘাত ভয় পেতাম ।

লেখায় ভালো লাগা রইল প্রোফেসর সাব ।

ইদ পরবর্তী শুভেচ্ছা ।।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: রাশেদকে দেখেও ভয় পান নি, আপনাকে সাহসী বলতেই হয়!

ভালো লাগা কৃতজ্ঞতার সাথে গ্রহণ করলাম। তরতাজা ঈদ শুভেচ্ছা রইল।

৫১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কি ভয়াবহ! বর্ণনা এতটাই বাস্তব হয়েছে যে মনে হচ্ছিল দৃশ্যগুলো দেখতে পাচ্ছি চোখের সামনে। এবং এত বিভৎস অবাস্তব দৃশ্য চোখের সামনে দেখে গা গুলিয়ে উঠছিল বারবার।

অসাধারণ লিখেছেন প্রফেসর সাহেব।

যদিও নিজে থেকে পুরো ব্যাপারটা ধরতে পারিনি। প্রতিটা মন্তব্য পড়েছি আর নতুনভাবে ভেবেছি। দারুণ একটা অভিজ্ঞতা।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এতটা মনোযোগ দিয়ে পড়ায় অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আসলে প্রত্যেক ব্লগারের মন্তব্যই অনেক রিফ্রেশিং ছিল।

শুভেচ্ছা।

৫২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

তাসজিদ বলেছেন: আসলে রাশেদ আমাদের প্রতিক। যতই নির্যাতিত হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত বলে উঠে

its ok.

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমরা তবুও উঠে দাঁড়াই, আমরা তবুও উঠে দাঁড়াই...

এটাই আমাদের জীবনীশক্তি।

৫৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২৫

অদৃশ্য বলেছেন:





প্রফেসর

লিখাটি পাঠে মুগ্ধ না হয়ে পারা গেলো না... আমিও ভাবছিলাম রাশেদ মরেনা কেন !

আসলে মরবার মুখেও জীবনের স্বাদ উপভোগ করাটাই রাশেদের স্বভাব... অনেকের মতো...


শুভকামনা...

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ অদৃশ্য...ভালো থাকুন।

৫৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৫

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: মাগো! ভয় পাইছি! এমন একটা গল্প... :-&

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহা, ধন্যবাদ!

৫৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: হুম পড়লাম। ভালো লাগলো। সবার কমেন্টস পড়ে আবার কনফিউজড হয়ে গেলাম। আমি ভেবেছিলাম রাশেদ হচ্ছে আর দশটা সাধারণ বাঙ্গালি ছেলে যার দুঃখবিলাস মানায় না, হতাশায় আক্রান্ত হবার সময় নেই এবং বেঁচে থাকার কোন বিকল্প নেই। থিম যাই হোক গল্প সুপাঠ্য। পোস্টে ভালো লাগা জানবেন।


অ.ট. - মাঝখানে বেশ কিছুদিন ব্লগ থেকে দূরে ছিলাম তাই আপনাদের পোস্টে যেতে পারিনি। আশা করি এখন আবার নিয়মিত হব।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনি গল্পটা পড়ায় খুশি হলাম অনেক। ধন্যবাদ জানবেন।

অ.ট. - এখন চমৎকার একটা পোস্ট দিয়ে ফেলুন!

৫৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২

সোমহেপি বলেছেন: সহজ করে এমন সুন্দর গল্প কমই পড়া হয়।

অনেক ভাল লেগেছে।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রইল। শুভেচ্ছা।

৫৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আমি তো বারবার শিউরে ওঠলাম। অসাধারণ লিখেছেন! অসাধারণ ভাবনা!

আপনার লেখার সাথে পরিচিত হয়ে নতুন আবিষ্কারের অনুভব পেলাম।
সময় পেলে আরও আসবো আপনার বাড়িতে :)

০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পাঠকের কল্যাণেই গল্প পূর্ণতা পায়। ধন্যবাদ জানবেন, এবং স্বাগতম!

৫৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: গল্পটি আগেই পড়েছি- প্রথমদিনই। আজ মন্তব্যে ভাললাগা জানিয়ে গেলাম।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো লেগেছে শুনে আনন্দিত হলাম। শুভেচ্ছা।

৫৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

আলোর পরী বলেছেন: এ এক অদ্ভুত গল্প , এ রকম সৃষ্টির ক্ষমতা আপনিই রাখেন । :)

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সম্মান দিলেন ( যদিও অপাত্রে:-) ), কৃতজ্ঞ হলাম। অনেক ধন্যবাদ জানবেন।

৬০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২১

আমিজমিদার বলেছেন: বিটকাল গপ লেখছেন, আগামাথা বুঝি নাই। বুঝার লিগা কমেন্ট পড়া লাগল। ফেন্টাসি গপ ভালই।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, আমিজমিদার।

৬১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮

মশিকুর বলেছেন:
ভয়াবহ বাস্তব লাগলো। পড়ার সময় মনে হয়েছে গাঁজাখুরি, কমেন্টে আসল কাহিনী বুঝে আবার পড়লাম।

+

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা।

৬২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: ভয়াবহ বর্ননা আসলেই। পইরা তো অবাক হইয়া গেছিলাম। গল্প অনেক ভাল হইছে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪০

জোবায়েদ-অর-রশিদ বলেছেন:
বীভৎসতায় জমকালো
মেকআপটা ধাঁধাঁয় পরিপূর্ণ !

যেভাবে প্রতীকী পরিচর্যা চালালেন। তাতে পাঠ শেষ করে সম্বিৎ ফিরে পেলুম।
তবে গল্পের থিমটিতে কিন্তু প্রাঞ্জলতার অভাব ছিলো। আমার মত সাধারণ পাঠকের জন্য ধারণ করাটা মুশকিল হবে।

ভালোলাগা রইলো গল্পে। ভীতিপ্রদ পাঠ অভিজ্ঞতা ...
৬+

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পুরনো গল্পে কাউকে পেলে অনেক ভাল লাগে:)

গল্পের থিমটা একটু সাংকেতিক ছিল, কিন্তু আপনাদের মত মনোযোগী পাঠকেরা আছেন বলেই না লেখায় একটু প্রতীকী সম্পর্ক আনার সাহস করতে পারি!

অনেক ধন্যবাদ জানবেন। শুভেচ্ছা।

৬৪| ১৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: তখন প্লাস দেয়া যাইতো না। প্রিয় গল্পে এবার দাগায়া গেলাম B-)

১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পের কথা মনে রাখছেন এখনো! ধন্যবাদ ধন্যবাদ :#)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.