নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বর্গ-পৃথ্বী অন্তঃস্থলে, বহুকিছু ফিরে-চলে, যাহা বিস্ময়কর

প্রোফেসর শঙ্কু

বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়

প্রোফেসর শঙ্কু › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুবাদ গল্পঃ জনৈক আমলার মৃত্যু (আন্তন চেখভ)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

চমৎকার এক সন্ধ্যায় ইভান দিমিত্রিচ চেরভিয়াকভ- (যিনি নিজেও একজন চমৎকার সরকারি কর্মচারি বটে!) বসে ছিলেন নাট্যশালার দ্বিতীয় সারিতে। 'বেলস অফ ফেস্টিভ্যাল' নামে দারুণ একটা অপেরার অনুষ্ঠান হচ্ছিল, তিনি বাইনোকুলারে চোখ দিয়ে বেশ মনোযোগের সাথেই দেখছিলেন। মঞ্চের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে তাঁর সারা শরীরে আনন্দ বয়ে যাচ্ছিল, মনে হচ্ছিল ধীরে ধীরে যেন তিনি স্বর্গের সপ্তম চূড়ায় পৌঁছে যাচ্ছেন। কিন্তু হঠাৎ...আসলে গল্প-কাহিনিতে 'হঠাৎ' কথাটা প্রায়ই দেখা যায়। এটা লেখকদের দোষ নয়। জীবনে তো অনেক কিছুই 'হঠাৎ' ঘটে, তাই না?



কিন্তু হঠাৎ তাঁর চোখমুখ কুঁচকে উঠল, চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেল, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে এল প্রায়, এবং...হ্যাঁচ্চো!!! হেঁচে ফেললেন আর কি! কোনখানেই তো এমন বলা নেই- হাঁচতে মানা, হাঁচব না। চাষি মরদেরা হাঁচে, পুলিশের কনস্টেবল হাঁচে, এমনকি বড় বড় গোয়েন্দা উপদেষ্টারাও হাঁচেন। সবাইই হাঁচে। তাই, চেরভিয়াকভ একটুও না ঘাবড়ে না গিয়ে রুমালে নাক মুছলেন, তারপর গোবেচারার মত নিষ্পাপ দৃষ্টিতে চারপাশে তাকালেন- তাঁর হাঁচিতে কারো কোন অসুবিধে হল না তো? আর তখনি তাঁর মনে একটা ধন্দ উঁকি দিতে লাগল।



তাঁর ঠিক সামনেই, প্রথম সারিতে এক বেঁটেখাট ভদ্রলোক হাতমোজা দিয়ে নিজের চকচকে টেকো মাথাটা মুছলেন, আর বিড়বিড় করে কি যেন বললেন। বৃদ্ধটিকে চেরভিয়াকভ চিনে ফেললেন। ইনি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের স্টেট জেনারেল ব্রিজালভ।

-'উনার উপরেই আমি হাঁচিটা দিয়েছি!', মনে মনে বললেন চেরভিয়াকভ, 'অবশ্য উনি সরাসরি আমার বড় সাহেব নন। তবুও কাজটা ঠিক হল না। আমার মাফ চাওয়া উচিত।'

চেরভিয়াকভ একটু গলা খাঁকরে নিয়ে আমুণ্ডু সামনে ঝুঁকে জেনারেলের কানের কাছে ফিসফিস করে বললেন:

-'মাফ করবেন স্যার, আপনার ওপরে হাঁচিটা পড়ে গেছে, মোটেই ইচ্ছে করে নয় স্যার...'

-'ঠিক আছে, ঠিক আছে...'

-'খোদার কসম স্যার, মাফ করে দিন। আমি...মানে আমি মোটেও বুঝতে পারিনি...'

-'আহহা, বসুন তো! শুনতে দিন!'



চেরভিয়াকভ ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলেন, অস্বস্তি নিয়ে বোকার মত হেসে তিনি সোজা হয়ে বসলেন। মঞ্চের দিকে তাকালেন বটে, কিছু অস্বস্তিটা পিছু ছাড়ছে না। বিষয়টা তাঁকে খোঁচাতে লাগল ভীষণ। বিরতির সময় তিনি ব্রিজালভের দিকে এগিয়ে গেলেন, তাঁর কাছে গিয়ে সংকোচ সামলে মিনমিন করে বললেন:

-'আমি আপনার গায়ের ওপরে হেঁচে ফেলেছিলাম স্যার। মাফ করে দিন স্যার...আমি আসলে স্যার ইচ্ছা করে করিনি স্যার...'

-'আহ, হয়েছে! ওই হাঁচি নিয়েই আছেন এখনো? ব্যাপারটা আমি কখন ভুলে গেছি, আর আপনি সেই ঘ্যানঘ্যান করেই যাচ্ছেন!' জেনারেল বিরক্তিতে মুখ বিকৃত করলেন।



ভুলে গেছেন? কিন্তু চোখেমুখে তো বিরক্তির ছাপ- ভাবলেন চেরভিয়াকভ। অবিশ্বাসের সাথে তিনি কিছুক্ষণ জেনারেলের দিকে তাকিয়ে ভাবলেন- উনি নিশ্চয়ই বিরক্ত হয়েছেন, তাই এই ব্যাপারে কথা বলতেই চান না। জিনিসটা উনাকে বুঝিয়ে বলা দরকার যে আমার কোন দোষ নেই, আমি ঘুণাক্ষরেও চাই নি...নইলে হয়তো উনি ভাববেন আমি উনার ওপরে থুতু ফেলতে চেয়েছিলাম। এখন যদি এটা না-ও ভাবেন, পরে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করলে নিশ্চিত তাই ভাববেন!



বাড়ি ফিরে চেরভিয়াকভ নিজের অভব্য আচরণের কথা স্ত্রীকে বললেন। তাঁর মনে হল, স্ত্রী বিষয়টাকে খুব হালকাভাবে দেখলেন। অবশ্য প্রথমে একটু ভয় পেয়েছিলেন, কিন্তু তারপর যখন শুনলেন যে ব্রিজালভ অন্যদের বড় সাহেব, তখন শান্ত হয়ে গেলেন।

-'তবুও তুমি মাফ চেয়ে নিও, না হলে ভদ্রলোক মনে করবেন তুমি পাবলিক প্লেসে সম্ভ্রম রেখে চলাফেরা করতে জানো না।'

-'হ্যাঁ হ্যাঁ, তাই তো গেছিলাম! আমি মাফ চাইলাম, কিন্তু উনি কেমন যেন, প্রসঙ্গটার ধারে কাছেও গেলেন না। তাঁর যেন কথা বলার সময়ই ছিল না!'



পরদিন চেরভিয়াকভ চুল ছেঁটে নতুন একটা ফ্রককোট পরে ব্রিজালভের কাছে গেলেন, ব্যাপারটা তাকে বোঝানোর জন্য...জেনারেলের অভ্যর্থনাকক্ষে প্রচণ্ড ভিড়। অবশ্য সেই ভিড়ে স্বয়ং জেনারেলও আছেন, আবেদনকারীদের কথা শুনছেন একে একে। কয়েকজনের সাথে কথাবার্তা শেষ করে জেনারেল চোখ তুলে চেরভিয়াকভের দিকে তাকালেন।

-'কাল অপেরাতে, স্যারের বোধহয় মনে আছে', চেরভিয়াকভ বয়ান শুরু করলেন, 'আমি হাঁচি দিয়ে ফেলেছিলাম স্যার, মানে অনিচ্ছাকৃতভাবে এসে গেছিল আর কি... স্যার...মাফ করে...'

-'কি ফালতু সব লোকজন, খোদা!', বিরক্ত জেনারেল সময় নষ্ট না করে পরবর্তী আবেদনকারীর দিকে ঘাড় ঘোরালেন, 'তারপর, আপনার কি চাই?'



কথাই বলতে চান না!- চেরভিয়াকভ ফ্যাকাসে হয়ে মনে মনে বললেন- জেনারেল রেগে উঠেছেন, তার মানে...ইস, না না না, ব্যাপারটা এভাবে ফেলে রাখা যাবে না... আমি উনাকে সব বুঝিয়ে বলব...



সর্বশেষ সাক্ষাৎপ্রার্থীকেও বিদায় করে দিয়ে জেনারেল যখন খাসকামরার দিকে রওনা হলেন, চেরভিয়াকভও তাঁর পায়ে পায়ে চলতে লাগলেন আর মিনমিন করে বললেন:

-'স্যার, আমি বোধহয় আপনাকে বিরক্ত করছি স্যার, কিন্তু অনুশোচনা থেকে বলছি স্যার, মানে আপনি নিজেও জানেন কিন্তু যে আমি ইচ্ছা করে নয়...'

জেনারেলের মুখ কাঁদো কাঁদো হয়ে গেল, তিনি মশামাছি তাড়ানোর ভঙ্গি করলেন হাত দিয়ে।

-'কি!! আপনি তামাশা পেয়েছেন আমাকে নিয়ে?' ক্লান্ত ত্যক্ত বিরক্ত কণ্ঠে তিনি বললেন, তারপর দরজার আড়ালে চলে গেলেন।



কিসের তামাশার কথা বললেন উনি?- ভাবলেন চেরভিয়াকভ- এর মাঝে তামাশা কোথায়? হুহ, এসব বোঝেনা, আবার জেনারেল হয়েছে! ঠিক আছে, এই যদি হয়, আমি আর মাফ চাইতে আসছি না। জাহান্নামে যাক! চিঠি লিখব উনাকে, কিন্তু তবু আসব না। খোদার কসম!



বাড়ি ফিরতে ফিরতে এই ভাবলেন চেরভিয়াকভ। কিন্তু, রাতে টেবিলে বসে কতবার চেষ্টা করলেন, জেনারেলকে চিঠিটা লিখতে পারলেন না তিনি। ঠিকমত কথাগুলো সাজান যাচ্ছে না। অগত্যা পরদিনই তাকে সশরীরে আবার হাজির হতে হল সবকিছু বুঝিয়ে বলার জন্য।



জেনারেল গম্ভীর চোখে তাকালেন তাঁর দিকে।

-'গতকাল স্যার আপনাকে একটু বিরক্ত করতে হয়েছিল', মিনমিন করে বললেন চেরভিয়াকভ, 'কিন্তু আপনি যা বলছিলেন তা নয়, তামাশা করতে নয়। হাঁচি এসে গেছিল বলে আমি মাফ চাইতে এসেছিলাম, আপনার সাথে তামাশা করার কথা কি আমি ভাবতে পারি? আমরা যদি এসব নিয়ে হাসি তামাশা করি তাহলে কি লোকের মানসম্মান থাকবে?...বলুন?'

-'বেরিয়ে যাও!!!', হুংকার দিয়ে উঠলেন জেনারেল, রাগে তিনি নীল, কাঁপছেন।

-'জি?'- ফিসফিস করে বললেন আতংকে বিমূঢ় চেরভিয়াকভ।

-'এইমুহূর্তে, বেরিয়ে যাও এখান থেকে!!!', মেঝেতে পা ঠুকে আবার বললেন জেনারেল।



চেরভিয়াকভের পেটের মাঝে কিছু একটা ছিঁড়ে গেল। কিছু না দেখে, কিছুই শুনতে না পেয়ে তিনি দরজার দিকে এগোলেন, রাস্তায় বেরিয়ে এলেন এবং হোঁচট খেতে খেতে চলতে লাগলেন...যন্ত্রের মত বাড়ি ফিরে এসে ফ্রককোটটি না খুলেই, কোনোমতে ডিভানের ওপরে শুয়ে পড়লেন এবং...



মরে গেলেন।

মন্তব্য ৯০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৯০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ১৮৮৩ সালে লেখা এই গল্পটা রুশ লেখক আন্তন চেখভের অন্যতম সেরা গল্পের মাঝে একটি। গল্পটা তিনি যখন লেখেন, তখন রাশিয়ায় চলছে এক অস্থির সময়। সিংহাসনে বসেছেন তৃতীয় আলেকসান্ডার, তিনি তখন একের পর এক বিপ্লবীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে চলেছেন। সকল সংবাদপত্র, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সেন্সর বসান হচ্ছে। যেসব লেখক সাহিত্যিক সরকারের বিরুদ্ধে লিখছেন, তাঁদের ধরে ধরে সাইবেরিয়া আর সাখালিন দ্বীপে নির্বাসনে পাঠানো হচ্ছে। প্রত্যক্ষ মতপ্রকাশের ওপর এমন নিষেধাজ্ঞার কারণে পিটারবার্গ আর মস্কোতে ধীরে ধীরে আবির্ভাব ঘটতে থাকে বিভিন্ন রম্য পত্রিকার, এবং ক্রমশ এগুলো দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। চেখভ এদের জনপ্রিয়তায় আকৃষ্ট হয়ে গল্প পাঠাতে শুরু করেন।

এঁদের পত্রিকায় লেখা পাঠাতে গেলে দুটো শর্ত মানতে হত। এক, গল্প দুই পৃষ্ঠার বেশি হওয়া যাবে না, আর দুই, লেখা অবশ্যই হাস্যরসাত্মক ধরণের হতে হবে। চেখভ শেষের শর্ত যদিও খুব একটা মানতেন না, তবে 'দুই পৃষ্ঠা' নীতি তিনি বেশ সিরিয়াসলি নিয়েছিলেন। ১৮৮৩ থেকে ১৮৮৫ সালের মধ্যে চেখভ প্রায় সাড়ে তিনশ'র মত গল্প লিখে ফেলেন। এঁদের মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল 'জনৈক আমলার মৃত্যু' গল্পটি।

গল্পটা নিয়ে চেখভের এক সমালোচকের মন্তব্য- 'চেখভের গল্প পড়ে আমরা কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে বসে থাকি। একজন সরকারি কর্মকর্তার মর্যাদার আইডিয়াটা নিয়ে কি সহজে তিনি খেলা করেছেন! গল্পের পেছনের গল্পটা কত গভীর! খেলা করতে করতে এমন এক অদ্ভুত পরিস্থিতিতে গল্প শেষ করেছেন যে, আমরা হাসব না কাঁদব সেটা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে যাই। আর এখানেই চেখভের স্বকীয়তা।'

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কতিপয় লিংক

*উইকিপিডিয়ায় আন্তন চেখভ http://en.wikipedia.org/wiki/Anton_Chekhov
*এই গল্পের ইংরেজি অনুবাদ http://www.online-literature.com/yeats/1107/
* এবং কৃতজ্ঞতা- মশিউল আলম

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অনুবাদ এবং গল্পের তথ্য দুটোই ভীষণ ভালো লাগল।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ কাণ্ডারি।

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

অশ্রু কারিগড় বলেছেন: আগেই ইংরেজিটা পড়েছি তবুও ভাল লাগল অনেক । অনুবাদ ভাল হয়েছে । ++++++

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ অশ্রু কারিগড়। নেট কানেকশনে প্রবলেম হচ্ছে, তাই আপাততঃ ব্লগ থেকে অবসর নিলাম:) রাতে আবার ঢোকার চেষ্টা করব।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা আমার খুব প্রিয় গল্পের একটি। একসময় চেখভে বুঁদ হয়ে ছিলাম। তখন বয়স কম ছিলো বিধায় গল্পের অভিনব মেটাফরিক ফিনিশিং অনেকদিন যাবৎ আমাকে ভাবিয়েছিলো। ছোটগল্পের প্রতি তীব্র আকর্ষণ জন্মানোর পেছনে চেখভ অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করেছে আমার ক্ষেত্রে।

অনুবাদ চমৎকার।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চেখভের গল্পগুলো আমাকেও খুব টানে। নিটোল কোন কাহিনি না নিয়েও যে গল্প লেখা যায়, ঘটনার ঘনঘটা না দেখিয়েও যে চরিত্র উপস্থাপন করা যায়, সেটা তিনি খুব ভালো ভাবেই দেখিয়েছেন।

শুভরাত্রি হাসান।

৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: আন্তন চেখভের লেখা আমার "পড়তে চাই" এর লিস্টে আছে।

চমৎকার একটি গল্পের চমৎকার অনুবাদে ভালোলাগা।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ে দেখবেন, তাঁর চমৎকার কিছু গল্প আছে।

ধন্যবাদ, প্রিয় ইসহাক।

৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :) ভালো লাগলো , ২ বার পড়লাম।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :)খুশি হলাম তাতে অনেক।

৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
আন্তন চেখভ দুই পৃষ্ঠায় গল্পটা লিখেছিলেন। গল্পটার মধ্যে ভাল রসবোধ ছিল বিধায় পত্রিকাওয়ালারা সেটা ছাপিয়ে দিল কিন্তু জানল না এই রসবোধের আড়ালে ছিল সূক্ষ্ম কিছু বিষয় যা পাঠককে অনেকটা সময় ভাবানোর ক্ষমতা রাখে।

ভাল লেগেছে অনুবাদ। আন্তন চেখভের গল্পের সাথে আমার পরিচয় নেই। আগামীতে আরও অনুবাদ করবেন বলে আশা রাখি।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চেখভ কিন্তু পরবর্তীতে এরকম পত্রিকায় লেখা পাঠানো বন্ধ করে দেন, ১৮৮৬-৮৭ এর দিকেই শুরু করেন সিরিয়াস লেখালেখি। সেখানেও তাঁর সাফল্য অনেক।

আগামিতে আরও কিছু অনুবাদ গল্প দেবার ইচ্ছে অবশ্যই আছে।

শুভেচ্ছা, নাজিম।

৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

তওসীফ সাদাত বলেছেন: খুব সময় নিয়ে পড়লাম। ভালো লেগেছে।

গল্প টা আসলেই বেশ অর্থপূর্ণ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হ্যাঁ, গল্পটা নতুন করে ভাবাতে পারে।

৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসামান্য অনুবাদ হয়েছে! চমৎকার। সম্ভব হলে আরো কিছু গল্প অনুবাদ করুন। পোষ্টটা প্রিয়তে নিলাম।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয়তে নেবার জন্য কৃতজ্ঞতা, কা_ভা!

আরও গল্প অনুবাদের চেষ্টা করব। ভালো থাকুন।

১০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬

একজন আরমান বলেছেন:
সুন্দর গল্প তো। আগে পড়িনি।

অনুবাদ সুন্দর হয়েছে।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নতুন কিছু পড়াতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি!

ধন্যবাদ।

১১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫

অচিন্ত্য বলেছেন: আপনি রুশ ভাষাও জানেন ?! বেশ ! আমি কলেজে 'ধারাবাহিক গল্প বলা প্রতিযোগিতা'য় প্রথম হয়েছিলাম আর 'চেকভের শ্রেষ্ট গল্প' নামে একখানা বই উপহার পেয়েছিলাম। সেখানে এই গল্পখানাও ছিল। আপনার অনুবাদ দারুণ লেগেছে

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় অচিন্ত্য,

আমি মোটেও রুশ ভাষা জানি না:) মশিউল আলমের করা অনুবাদটা হাতের কাছে পেয়েছিলাম, সেটাকেই ঘষেমেজে টানা আর কি!

পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

১২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪

আশিক মাসুম বলেছেন: অনুবাদে গল্পটাকে নতুন করে খুজে পেলাম।


গুড জব ব্রো।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আসলে গল্পটা অনেক শক্তিশালী।

থ্যাংকস।

১৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি একটা কমেন্ট করেছিলাম। হারিয়ে গেলো দেখি।

১ নাম্বার কমেন্টের এর যে ফুটনোট --

" গল্পের পেছনের গল্পটা কত গভীর! খেলা করতে করতে এমন এক অদ্ভুত পরিস্থিতিতে গল্প শেষ করেছেন যে, আমরা হাসব না কাঁদব সেটা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে যাই। " --------- কথাটা পারফেক্ট।

অনুবাদ ভালো লেগেছে। অনুবাদ অনুবাদ গন্ধ নেই লেখাটায়, আর এটাই ভালো লাগার কারণ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এরকম হলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায় ভীষণ!

সমালোচকের আলোচনাটা যথার্থ হয়েছে। পাঠকের অনুভূতিটাই উঠে এসেছে।

অনুবাদে চাইছিলাম মূল সোর্সের সাথে বিশ্বস্ত থাকতে। আপনার ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ, অপর্ণা।

১৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: ভালো লাগলো। সুন্দর অনুবাদ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, মাহতাব সমুদ্র।

১৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

এহসান সাবির বলেছেন: আন্তন চেখভের কাশতানকা সহ আরো কিছু পড়েছিলাম। এটা পড়িনি। ভালো লেগেছে।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

১৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮

আলোর পরী বলেছেন: একটি হাঁচিকে একটি গল্পে রুপান্তর করতে আন্তভ চেখভ ই পারেন ।

আর সেই গল্পের এত সুন্দর অনুবাদ প্রফেসর সাহেব করেছেন তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি আলোর পরী, পাঠ ও মন্তব্যের জন্য।

১৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩

নেক্সাস বলেছেন: চমৎকার গল্পের চমৎকার অনুবাদ

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় নেক্সাসকে পোস্টে পেয়ে উৎফুল্ল হলাম।

১৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

সুমন কর বলেছেন: খুব সুন্দর একটা গল্প অনুবাদ করে আমাদের পড়তে দেবার জন্য-আপনাকে ধন্যবাদ।
অনুবাদও ভালো হয়েছে।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাদের কথায় সামনে আরও অনুবাদ গল্প দেবার আগ্রহ পাচ্ছি! শুভেচ্ছা।

১৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

লেজকাটা বান্দর বলেছেন: চমৎকার হয়েছে। সত্যিই। মূল গল্প তো ভালোই, অনুবাদটাও বেশ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মূল গল্প শক্তিশালী বলেই অনুবাদ কোনোমতে উতরে গেছে। ধন্যবাদ।

(আর আগের গল্পটা আপনাকে পড়াবার আগ্রহ বোধ করছি Click This Link)

২০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

জুন বলেছেন: চেখভের ছোট গল্প যখন পড়েছি সেই কিশোরী বয়সে তখন ইভান দিমিত্রিচ চেরভিয়াকভ নাম উচ্চারণ করতে দাত ভাঙ্গার উপক্রম প্রফেসর শঙ্কু। রাশান নামগুলো কি খটমটেই না লাগতো।
অনেক ভালোলাগলো আপনার ঝরঝরে অনুবাদ ।
+

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: রাশান নামগুলোর সঠিক উচ্চারণ করা প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি। হয়তো গল্পে আমলার নামটারও সম্পূর্ণ সঠিক উচ্চারণ দিতে পারিনি!

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

২১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

গোর্কি বলেছেন:
বিগত শতাব্দীর তিরিশ দশকের শেষের দিকে স্ট্যালিন শাসনামলে উপরের গল্পের ন্যায় একটি ছোট্ট কাহিনী আজও রুশ সমাজে প্রবাদ বা কৌতুক স্বরূপ হয়ে আছে।

সে সময়ে ক্রেমলিন হলে সমগ্র সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস চলছিলো। স্ট্যালিন ভাষণদানরত। হলে সুনসান নিস্তব্ধতা। এরই মধ্যে কোনো এক ডেপুটি (প্রতিনিধি বা সংসদ সদস্য) আচমকা হাঁচি দিয়ে ফেলল। স্ট্যালিনের ভাষণ থেমে গেল। হলে জমায়েত প্রতিনিধিরা একে অন্যের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করতে লাগলো। পরক্ষণেই স্ট্যালিন রাগান্বিত স্বরে জানতে চাইল হাঁচি কে দিয়েছে? কেউই মুখ খুলছে না। নির্ঘাত হাঁচিদাতার জন্য ফায়ারিং স্কোয়াড বরাদ্দ। স্ট্যালিন হুমকি দিয়ে বলল, না বললে সবাইকে ফায়ারিং স্কোয়াডে দেয়া হবে। বেচারা হাঁচিদাতা চিন্তা করলো, আমার জন্য অন্য সব মানুষকে মরতে হবে কেন। তার থেকে বরং বলেই দেই। যা হবার তাই হবে। দাঁড়িয়ে নতশীরে মলিন মুখে বলল, কমরেড স্ট্যালিন আমি হাঁচি দিয়েছি। জবাবে স্ট্যালিন বলল, এটা স্বীকার করতে এতক্ষণ লাগে নাকি। লোকটির প্রতি বসতে এবং "সুস্থ থাকুন সবসময়" বলে স্ট্যালিন আবার ভাষণ শুরু করলো।

গল্পটি মূলভাষায় পড়া ছিল। আমার কাছে অনবদ্য ভাবানুবাদ লেগেছে। ক্ল্যাসিক! ক্ল্যাসিক!! প্রিয় প্রোফেসর।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় গোর্কি, ছোট্ট কাহিনীটা ভালো লাগল। সুন্দর মন্তব্যে পোস্টের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিলেন অনেকটা। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

ভাল থাকুন সতত।

২২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৩

অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন:

আগে ইংরেজিটা পড়িনি এবং অনুবাদ পড়ে সত্যিই ভাল লাগল অনেক। ১ নাম্বার কমেন্ট দিয়ে আপনি আমাদের প্রতি যত্নের পরিচয় দিলেন। থ্যাংকস।

নাইস পোস্ট প্রোফেসর "+"

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পাঠ ও প্লাসের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি অস্পিসাস।

২৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আসলেই খুব গভীর একটা গপ!

অনুবাদটা খুব সাবলীল হইছে!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, মাসুম!

২৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০১

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
গল্পের প্রেক্ষাপট জানতে পেরে ভাললাগলো।
সত্যি বলতে, চেখব পড়িনি আগে। গল্প খুবই কম পড়েছি, তাই অনন্য সব গল্পের স্বাদ বঞ্চিত। এই পোস্টের জন্য তাই ধন্যবাদ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বিশ্বসাহিত্যে কত চমৎকার সব কাজ হয়েছে, আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা তাঁদের সবগুলোর স্বাদ নিতে পারি না। মাঝে মাঝে খারাপই লাগে, কত কিছু পড়া হয়ে ওঠেনি, এবং হয়তো উঠবেও না। দীর্ঘশ্বাস!

ধন্যবাদ গৃহীত হল, এবং আপনাকেই জানাচ্ছি আবার- ধন্যবাদ!

২৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৫

মামুন রশিদ বলেছেন: চেখভের গল্পগুলো সত্যিই খুব মজার । আমাদের বালক বেলায় প্রগতি প্রকাশনের সৌজন্যে রাশান ক্লাসিকগুলো বিনে পয়সায় পেতাম । নব্বোইয়ের পর নীলক্ষেত থেকে খুব সস্তা দরে কত বই যে কিনেছি । তবে সবার মাঝে চেখভ অনন্য, চেখভ অসাধারণ!

'ম্যারেজ প্রপোজাল' রুপান্তর করে ডিপার্টমেন্টে স্টেজ ড্রামা করেছিলাম ;)

অনুবাদ অনবদ্য হয়েছে, চেখভিয় স্বাদ পুরোটাই পেলাম ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনি ভাগ্যবান, চেখভের সাথে আমার পরিচয় ঘটেছে অনেক দেরিতে!

স্টেজ ড্রামা করা সবসময় আনন্দের:)

শুভরাত্রি, প্রিয় মামুন।

২৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩১

আফসিন তৃষা বলেছেন: ভালো অনুবাদ :)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :)খুশি হলাম।

২৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

কয়েস সামী বলেছেন: গল্পটা অনেক আগে পড়া। অনুবাদ যথেষ্ট ভাল হয়েছে প্রিয় লেখক। চালিয়ে যান।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: উৎসাহিত হলাম। ভবিষ্যতে আরও এরকম গল্প দেবার ইচ্ছা রাখি।

২৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার গল্প। এবং আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে আপনার অনুবাদের দক্ষতা- চরিত্রের নামগুলো রুশ না হলে বোঝার ক্ষমতা ছিল না এটা কোনো অনুবাদ গল্প- এতটা ন্যাচারাল।

শুভেচ্ছা জানবেন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্প চমৎকার অবশ্যই। উপভোগ করেছেন শুনে আনন্দিত হলাম।

শুভরাত্রি, প্রিয় সোনাবীজ।

২৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪১

এম মশিউর বলেছেন: প্রোফেসর স্যার,

মাফ করবেন, গল্পটা অনেক ভালো লেগেছে; এই ভাবে বলতে চাই নি। আরো রঙ চড়িয়ে কমেন্ট করতে চেয়েছিনু!

তার মানে, বানিয়ে বলছি না; অনেক ভালো লেগেছ..............




(বাকীটা অন্যদিন বলবো) ;)

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বুঝে নিলাম;)

সবই চেখভের কৃতিত্ব!

৩০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: চেকভ আগে কিছু পড়েছি, কিন্তু হাঁচি পড়া ছিল না!


গল্পটা নিয়ে চেখভের এক সমালোচকের মন্তব্য- 'চেখভের গল্প পড়ে আমরা কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে বসে থাকি। একজন সরকারি কর্মকর্তার মর্যাদার আইডিয়াটা নিয়ে কি সহজে তিনি খেলা করেছেন! গল্পের পেছনের গল্পটা কত গভীর! খেলা করতে করতে এমন এক অদ্ভুত পরিস্থিতিতে গল্প শেষ করেছেন যে, আমরা হাসব না কাঁদব সেটা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে যাই। আর এখানেই চেখভের স্বকীয়তা।'


আসলেই কী বলবো বুঝতে পারছিনা, যাকে বলে কিংকর্তব্যবিমুঢ়! চেকভের জাদুতে হতভম্ব!

আপনার অনুবাদ নিয়ে কী বলবো প্রোফেসর! এক কথায় অসাধারণ!

আপনার কাছ থেকে আরও অনুবাদের অপেক্ষায় রইলাম!

শুভকামনা!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনুবাদের জন্য গল্প খুঁজছি, কিন্তু মনমতো ছোট গল্প পাচ্ছি না, সবগুলোই বিশাল বিশাল! একটাকে ধরে বাগানোর চেষ্টা চলছে।

শুভকামনা রইল কবি!

৩১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

শান্তির দেবদূত বলেছেন: দারুন তো! যুগ বদলায়, দেশ বদলায়, আমলারা এমন থেকে যায়। :)

অনেক ভাল লাগল, প্রিয় লেখক। রুশ সাহিত্যের মত খটমটে সাহিত্যেকে এমন সাবলীল ও পঠনযোগ্য করে অনুবাদ করা কিন্তু চাট্টিখানি কথা না! শুভেচ্ছা রইল।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমলাদের অপরিবর্তিত মাথাব্যথা গল্পে ঢুকে গেছে আপাদমস্তক!

প্রিয় দেবদূত, ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৩২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

ভিয়েনাস বলেছেন: একটা হাঁচি নিয়ে এতো সুগভীর গল্প ভাবাই যায় না। পুরো গল্পটাই মজা রয়েছে কিন্তু শেষে এসে এমনটা হবে মনেই হয়নি। চমৎকার

অনুবাদ গল্প সুন্দর হয়েছে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চেখভ নাকি গল্পটা হঠাৎ একদিন মাঝরাতে উঠে লিখেছিলেন। কোনপ্রকার এডিট না করেই তিনি গল্পটা পাঠিয়ে দেন পত্রিকায়। কেন কাটছাঁট করলেন না, এই প্রশ্নের উত্তরে চেখভ বলেছিলেন - 'যে গল্পটা তুমি মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠেই লিখে ফেলেছ, সেটার কোন কিছু বাড়ানো কমান মানে গল্পটাকে অসম্মান করা।'

শুভেচ্ছা, ভিয়েনাস।

৩৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪০

শুঁটকি মাছ বলেছেন: আমলাদেরই জীবন আসলে এমনই!!!!!! :( :( :(
যা হোক,এবার গল্পে আসি।অনুবাদ গল্প বেশ অপছন্দ করি।কাল রাত থেকে বারবার এই গল্পটার পাশে এসে আবার ভয়ে ফিরে যাচ্ছিলাম।কারণ বেশীর ভাগ অনুবাদ গল্পই প্রাঞ্জল হয় না।অনেক অনেক ভাল লাগল এই গল্পটা পড়ে শংকু ভাই!!!!শুভকামনা!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এটাও তেমন প্রাঞ্জল হয় নি, কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে লেখকের গল্পের জাদুতে উতরে গেছে কোনোভাবে!

ধন্যবাদ জানাচ্ছি পাঠককে।

৩৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭

বোকামন বলেছেন:
অনুবাদের প্রশংসা করবো না কারণ গুণী লেখক অনুবাদেও তার ছোঁয়া রাখবেন এটাই স্বাভাবিক । তবে যে বিষয়টা আমাকে বিমুগ্ধ করেছে- গল্পটা চমৎকারভাবে (যতিচিহ্ন সহ) পাঠকের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে ! বর্তমান জমানায় লেখালেখিতে টিকে থাকতে হলে “প্রেজেন্টেশন” খুবই গুরুত্বপূর্ণ

চেরভিয়াকভ/তেরভিয়াকভ এ নিয়ে একটু দ্বিধা আছে আর রুশ ভাষায় চেরভিয়াকভ উচ্চারণে কৃমি জাতীয় কিছু একটা বুঝায় ! যাক ওত বুঝিনে রাশান, একটা হলেই হলো ।

আন্তন চেখভের প্রথম দিক্ কার লেখা স্টোরিগুলোই অধিক উপভোগ্য । তিনি তার নিজের স্টাইলে লিখতেন ! বাক্যশৈলী-গ্রামার ইত্যাদি নিয়ে অত মাথা ঘামাতেন না । হয়তো বিষয়টা ইংরেজিতে বুঝা যাবে না । সমসমায়িক প্রেক্ষাপটে এই গল্পখানা বেছে নেওয়ার জন্য ও কৃতজ্ঞতা জানাই :-)

গল্প-কবিতার অনুবাদ আমার ভালো লাগে । আর প্রিয় গল্পকার যদি মাঝে মধ্যে পোস্ট দেন তবে তো বেশ লাগবে !
অতি নগণ্য সাধারণ পাঠক বিনিময়ে কেবল ধন্যবাদ আর শুভকামনাই জানাতে পারবো কিন্তু :-) :-) :-)

ভালো থাকুন যুগ যুগ ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় বোকামন,

রাশিয়ান কথোপকথনের ধরণ একট অন্যরকম বিধায় চেষ্টা করেছিলাম পরিষ্কারভাবে কথাগুলো আনতে, সেটা আপনার ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম ভীষণ।

এই কৃমির বিষয়টা আমি জানতাম না, রাশানদের ভাষা আসলেই বিটকেলে ধরণের!

চেখভ টাকার জন্য যে সময়ে লিখেছেন, সেটাই তাঁর নিজস্বতার সময় ছিল। পরবর্তীতে তাঁর হাত দিয়ে কিছু অসাধারণ সাহিত্যকর্ম আমরা পেয়েছি, কিন্তু প্রথমদিকের সরল সাধারণ কথা বলতে পারার ভঙ্গিমাতে তিনি আর ফিরে যাননি।

প্রিয় পাঠক সাথে আছেন, পোস্ট দেবার ক্ষেত্রে এ বিষয়টা আমার জন্যে অনুপ্রেরণার কাজ করবে। সামান্য অনুবাদকের পক্ষ থেকে অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি:)

৩৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

ইলুসন বলেছেন: লেখক কী বুঝাতে চেয়েছেন জানি না, তবে আমার মনে হয়েছে যে একজন সরকারি কর্মকর্তা একজন জেনারেলের কাছে খারাপ হতে চাইছে না তাই নানান হাস্যরসাত্মক কর্মকাণ্ডের পরে অবশেষে ভয়ে মারা গেছেন। এখানে একটা সূক্ষ্ম কৌতুক টের পাচ্ছি যা আমলাদের চাটুকারিতাকে হয়ত ইঙ্গিত করেছে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ঠিক মতই ধরতে পেরেছেন।

চেখভ তৎকালীন আমলাতন্ত্রের অসঙ্গতি নিয়ে অনেকটা ব্যঙ্গ করেই এই গল্প লিখেছিলেন।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৩৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: চেখভের গল্প পড়েছি বেশ সামান্যই । এই প্রথম বাংলায় পড়লাম । খুব সামান্য একটা ঘটনা, কি ভীষণ অর্থবহ !!! মাঝে মাঝে এ ধরণের লেখা পড়লে হিংসা হয় ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমারও!

ধন্যবাদ।

৩৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: চেখভের গল্প পড়েছি বেশ সামান্যই । এই প্রথম বাংলায় পড়লাম । খুব সামান্য একটা ঘটনা, কি ভীষণ অর্থবহ !!! মাঝে মাঝে এ ধরণের লেখা পড়লে হিংসা হয় ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :)

৩৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: রাশিয়ান নামগুলো দেখেও বুঝতে পারিনি যে এটা অনুবাদ। সাবলীল গল্প বলার ভঙ্গি আপনার কিছুক্ষনের জন্য ধরেই নিয়েছিলাম এটা আপনার নিজস্ব লেখা। প্রথম কমেন্টে ক্লিয়ার হলাম এটা আন্তনচেখভের।

আমি সাহিত্যের খুব বড় ফ্যান ছিলাম না। ছোটবেলায় আমি তেমন সাহিত্যের স্বাদ পাইনি বা নেইনি ইচ্ছে করেই। ফিজিক্স নিয়েই সব আগ্রহ ছিলো।

এখন বুঝতে পারি, সাহিত্যের রসের তুলনা হয় না।

অসাধারন গল্প বলিয়ের দক্ষতা আপনার

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সাহিত্য সবাইকেই টানতে পারে!

তবে এটা জগতের আশ্চর্য এক বৈশিষ্ট্য মনে হয় আমার কাছে- কোন বিষয়েই গভীরতার কমতি নেই। একেক জনকে একেক জিনিস আকৃষ্ট করে, কিন্তু শাশ্বত সৌন্দর্য বা 'রস' সব কিছুতেই প্রকাশিত হতে পারে নির্দ্বিধায়!

গল্প ভালো লাগানোর কৃতিত্ব চেখভের, আর আপনার কথায় খুশি হলাম আমিও।

শুভেচ্ছা রইল।

৩৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২

কালীদাস বলেছেন: আগে পড়িনি কখনও, ভাল লাগল গল্প আর অনুবাদও ভলা হয়েছে :)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ কালীদাস:)

৪০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:০৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বলা যায় আমি এখনো চেখভ-এর গল্পের মোহ ছাড়তে পারিনি। তাঁ অনেক গল্পই অনুবাদ হয়েছে, কিন্তু কোন কোন গল্প অনুবাদ হয়েছিল জানা নাই। আপনার কাজটি বেশ পরিচ্ছন্ন লাগলো।

ভালো থাকুন। আরো অনুবাদ করুন।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: উৎসাহ দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি প্রিয় জুলিয়ান। শুভেচ্ছা।

৪১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩৪

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার অনুবাদ হয়েছে। কোথাও এতোটুকু ঠেকতে হয়নি। পোস্টে ভালো লাগা জানবেন। আর চেখভকে নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই :)

ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইল।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বেশ কদিন পর আপনাকে দেখে ভালো লাগল মহামহোপাধ্যায়।

ধন্যবাদ।

৪২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

টুম্পা মনি বলেছেন: চমৎকার!!!!!!

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শুভেচ্ছা, টুম্পা মণি!

৪৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: অনুবাদ যথার্থ সুন্দর হয়েছে। এ রকম আরও অনুবাদ চাই। চেখভ আমার অনেক প্রিয়।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এই মাসেই একটা অনুবাদ করে পোস্ট দেবার ইচ্ছা রাখি। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৪৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: একবারে দুর্দান্ত !!!! চোখা !

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহা, ধন্যবাদ!

৪৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: সুন্দর অনুবাদ হয়েছে। আরো অনুবাদ করবেন বলে আশা রাখি

এটি রুশ সাহিত্যিক শেখভের অন্যতম একটি গল্প। এ নিয়ে পরবর্তীতে শর্ট ফিল্মও তৈরি হয়েছে। আমিও এ গল্পটির অনুবাদ করে নিজেকে ধন্য মনে করি। পরে সে অনুবাদ গল্পটি সমকালের ‘কালের খেয়া’য় ছাপানো হয়।

নিচে লিংক:
http://www.somewhereinblog.net/blog/Rh99/30030539

http://bangla.samakal.net/2015/05/29/140047

১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাল হয়েছে অনুবাদ। সাধুবাদ জানাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.