নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বর্গ-পৃথ্বী অন্তঃস্থলে, বহুকিছু ফিরে-চলে, যাহা বিস্ময়কর

প্রোফেসর শঙ্কু

বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়

প্রোফেসর শঙ্কু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট্ট গল্পঃ শশশ..কথা না বলি!

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩০

সাড়ে তিনটার মত বেজে গেছে, বৃষ্টি থামার নাম নেই। টিপটিপ করে সেই সকাল থেকে পড়ছে তো পড়ছেই। একটু যেন শীতও পড়ে গেছে সেই সাথে। লাইব্রেরীর সামনের প্রাঙ্গণে গোড়ালি-পানিতে দাঁড়িয়ে মেয়েটার মনে হতে থাকে, ভুল হয়ে গেছে। গায়ে আরও কিছু জড়িয়ে আসা উচিত ছিল। সে ছপ ছপ শব্দ তুলে লাইব্রেরির বারান্দায় উঠে দাঁড়াল, তারপর নীল ছাতাটা নামিয়ে রাখল মেঝেতে।



এটা তাদের জিলা শহরের মাঝে সবচে বড় লাইব্রেরি। সেই উনিশ শতকের দিকে কোন এক জমিদারের হাত ধরে এর জন্ম, তারপর সময়ের সাথে একে একে বিভিন্ন শাসক-প্রশাসনের অর্থ-সহযোগিতায় আরও বড় হয়েছে, সমৃদ্ধ হয়েছে এর সংগ্রহ। কি নেই এখানে! গল্প-উপন্যাস, পুরনো দিনের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, পুঁথি, জীবনী, ভ্রমণ বর্ণনা, ইতিহাস থেকে শুরু করে অনেক মোটা মোটা ইংরিজি বইও আছে। মেয়েটা এই লাইব্রেরিতে প্রায়ই আসে। তার বই পড়তে ভাল লাগে। বিশেষ করে ডিটেকটিভ গল্পগুলো।



মেয়েটা ঘরে ঢুকে বুড়ো লাইব্রেরিয়ানের দিকে একটা পরিচিত হাসি ছুঁড়ে দেয়, তারপর ঘরটা পর্যবেক্ষণ করে। লাইব্রেরিতে সবসময় কমবেশি চার-পাঁচ জনের মত মানুষ থাকে, আজ বৃষ্টি বাদলার দিনেও দেখা যাচ্ছে ব্যতিক্রম হয় নি; দুজন মানুষ টেবিলে বসে পেপার পড়ছে। সে লাইব্রেরির কোণার দিকে হাঁটতে শুরু করে- রহস্যোপন্যাসের সেকশনটা ওখানে।



ফেলুদা..পড়া হয়ে গেছে...দস্যু বনহুর..এটাও... কিরীটি-ঘনাদা-বক্সী..উঁহু...প্রোফেসর শঙ্কু..হ্যাঁ! বইগুলোর শিরদাঁড়ায় হাত বুলোতে বুলোতে সে শঙ্কু সমগ্র বের করে নেয়। টেবিলে বই রেখে প্রথম পৃষ্ঠা খোলে। 'মহাকাশের দূত', হুম, ইন্টারেস্টিং শিরোনাম। মেয়েটা পড়া শুরু করে। কিন্তু লাইব্রেরির ২৫ ওয়াটের বাতির আলো বাইরের ধূসর কুয়াশার মত তেড়ে আসা অন্ধকারের সাথে তেমন সুবিধা করতে পারছিল না। কম আলোতে পড়তে গিয়ে নিজের অজান্তেই হয়তো মেয়েটা জোরে জোরে পড়তে শুরু করে। তার এই সশব্দ সাহিত্যরস আস্বাদনে কাগজ-পড়ুয়া দুজন বিরক্ত হয়। যুগপৎ কাশি আর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে তারা ব্যাপারটা জানান দিতে চায়, কিন্তু সে তখন গল্পের ভেতরে ঢুকে গেছে আপাদমস্তক। এই জগতের সাথে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।



আরও পাঁচ মিনিট কাটে, তবুও মেয়েটার রিনরিনে কণ্ঠ থামে না। ত্যক্তবিরক্ত কাগজ-পড়ুয়ারা এবার অন্য পথ, অর্থাৎ লাইব্রেরিয়ানকে, ধরে। নিশ্চয়ই তাদের সুপারিশ বলিষ্ঠ ছিল, কারণ কিছুক্ষণ পরে বুড়োকে মেয়েটার দিকে আসতে দেখা যায়। কাঁধে হাত অনুভব করে মেয়েটা চমকে ওঠে, তার উচ্চারণ থেমে যায়, সে চোখে প্রশ্ন নিয়ে তাকায়। বুড়ো বিরক্তি ঢেকে রেখে বলে, 'মা, কম আলোতে এত ছোট ছোট অক্ষরের বই পড়ছ, কষ্ট হচ্ছে না?'

মেয়েটা মাথা নাড়ে, 'একটু একটু'।

- 'আচ্ছা। আমরা তাহলে একটা কাজ করি। আমি যে ঘরটায় বইয়ের যত্ন-আত্তি করি, ওখানে পাওয়ারফুল লাইট আছে- তোমার পড়তে সুবিধা হবে। তুমি ওই ঘরে বসে বসে পড়, হ্যাঁ?'

মেয়েটা সম্মতি জানিয়ে বইটা আঁকড়ে ধরে বুড়োকে অনুসরণ করে।



বুড়ো শেলফের পাশে দাঁড়ানো সবুজ দরজাটা খুলতেই মেয়েটা বুঝতে পারে, ঘরটা মাটির তলায়। সিঁড়ি বেয়ে নামতে নামতে সে স্যাঁতসেঁতে কাগজ, ভেজা কালি আর আঠার গন্ধ পায়। কেমন নেশা লাগানো গন্ধ। এই ঘরটা বেশ বড়, সারি সারি অনেকগুলো বইয়ের শেলফ আছে, একটা টেবিল দেখা যাচ্ছে, কোণায় একটা সাদা বাতি জ্বলছে। বুড়ো টেবিলের কাছে একটা চেয়ার টেনে আনে, তারপর মেয়েটাকে বসিয়ে দেয়।



'পড়, কেমন? কিছু লাগলে আমাকে ডাকবে। আমি ওপরেই আছি।'



মেয়েটা পুতুলের মত ঘাড় নাড়লে লোকটা মৃদু হাসে, তারপর সিঁড়ি বেয়ে উপরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে একটা আলতো ধাতব শব্দ শোনা যায়। মেয়েটা পড়ার চেষ্টা করে, কিন্তু এবারে গল্পটা কেন যেন তাকে টানছে না। সে কিছুক্ষণ অন্যমনস্কভাবে পাতা উল্টে তারপর উঠে দাঁড়ায়, ঘরটা ঘুরে ফিরে দেখতে শুরু করে।



হাঁটতে হাঁটতে একটা শেলফের পেছনে গিয়ে তাকাতেই সে অবিশ্বাস্য এক দৃশ্য দেখতে পায়। তিনটে বাচ্চা, বয়েস আট-ন বছরের বেশি হবে না, বিধ্বস্ত পোশাকে মেঝেতে হাত পা ছড়িয়ে বসে আছে। তাঁদের কপালে-গালে একাকার হয়ে আছে শুকনো থুতু-সর্দি-কালি, আর সামনে অনেক বই হাট করে খোলা। মুখে বইয়ের পাতা নিয়ে নির্দ্বিধায় চিবোচ্ছে, লালা ঝরছে চিবুক বেয়ে বেয়ে । মেয়েটা এক মুহূর্তের জন্য কি করবে বুঝে উঠতে পারে না। তার কি বুড়োকে ডাকা উচিত? নাকি চোখে ভুল দেখছে? তার দ্রুত নিঃশ্বাস নেবার শব্দে বাচ্চা তিনটে কাগজ চিবানো বন্ধ করে দেয়, তারপর একযোগে ওর দিকে তাকায়।



বাচ্চাগুলোর চোখে তাকিয়ে মেয়েটা হঠাৎ আবিষ্কার করে, ওদের সবাইকে খুব ক্ষুধার্ত মনে হচ্ছে।

মন্তব্য ১২২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (১২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪২

নীল-দর্পণ বলেছেন: স্বার্থক ছোট গল্প

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পটা হঠাৎ করেই লেখা। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, নীল-দর্পণ।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

কালীদাস বলেছেন: ইন্টারেস্টিং হইছে, হরর ছোটগল্প খুব কম চোখে পড়ে ইদানিং....কি কই কমেন্ট করার মত পোস্টই কম চোখে পড়ে।

ভাল লাগছে :)

চেরোনোবিল ডায়েরি মুভিটা দেখছিলেন নাকি?

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ইন্টারেস্টিং লাগলেই খুশি!

হ্যাঁ, দেখেছিলাম। এন্ডিং আর লোকেশন সেটিংটা চমৎকার লেগেছিল।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: সুন্দর গল্প, রহস্য ঘেরা। পড়তে পড়তে হঠাত শেষ হয়ে গেল।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এটা মনে হয় আমার লেখা সবচে ছোট গল্প। কবিতা লিখতে চাইছিলাম, গল্পের প্লট এসে গেল, লিখে ফেললাম।

ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আহসান।

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৯

এক্স রে বলেছেন: বেশ রহস্য রহস্য ভাব আছে

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মূল কাহিনি কিন্তু সরল, স্বাভাবিক।

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২১

toysarwar বলেছেন: আরও কি জানি জানার আগ্রহ রয়ে গেল। ভাল লাগল গল্পটা।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, লেখক।

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: বেশ ইন্টারেস্টিং এবং রহস্যময় গপ!

প্রশ্ন থেকেই বাচ্চাগুলা কে এবং কোথা থেকে আসলো, নে সেটা মেয়াটার হেলুসিনেশন?

তবে লাইব্রেরিয়ান কে আরেকটু রহস্যময় করে উপস্হাপন করলে হয়ত আরও জমতো। তখন পাঠকের মনে আরো কিছু প্রশ্নের জন্ম হত!

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লাইব্রেরিয়ানকে আরেকটু রহস্যময় করা যেত- এটা ঠিক। গল্পের উদ্দেশ্য ছিল, আপনি যেটা বললেন, প্রশ্ন তৈরি করা। এসবের উত্তরের মাঝেই হয়তো আরেকটা গল্প লুকিয়ে আছে!

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩১

বৃতি বলেছেন: বেশ ভাল লেগেছে গল্পটা । ট্যাগ পছন্দ হয়েছে ।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ট্যাগটা আমারও খুব পছন্দের!

শুভেচ্ছা, বৃতি।

৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

গোর্কি বলেছেন:
পাঠাগারের বারান্দা থেকেই রোমাঞ্চের গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে অট্টালিকার ভূগর্ভস্থ অংশে এসে শিহরিত হলাম। সার্থক ছোট থ্রিলারে মুগ্ধতা। খুব ভাল থাকবেন সুপ্রিয় প্রোফেসর।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় গোর্কিকে আনন্দ দিতে পেরে আমিও আনন্দিত। শুভরাত্রি, সুপ্রিয়।

৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: বেশ লাগলো। গল্পটা কি কোন দুঃস্বপ্ন দেখার প্রতিক্রিয়া?

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, হাসান। গল্পটা দুঃস্বপ্ন দেখার প্রতিক্রিয়া না হলেও, দুঃস্বপ্নের মত একটা পরিবেশ ফুটিয়ে তুলতে চাইছিলাম।

১০| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২

ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: বাহ্‌ !

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ!

১১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২

ভিয়েনাস বলেছেন: চমৎকার আইডিয়া।একটি পরিপূর্ণ ছোট গল্পে যা যা পাঠক আশা করে তার সবটুকুই আছে।

সুন্দর হয়েছে

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পাঠকের ভালো লাগাতেই লেখকের আনন্দ।

শুভেচ্ছা।

১২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: ইন্টারেস্টিং ছোটগল্প। ভালোলাগা জানবেন, প্রোফেসর।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ জানাচ্ছি, প্রিয় লেখক।

১৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৩

বোকামন বলেছেন:
প্রথমপাঠে রহস্যের গন্ধ পেলুম !
প্লাস দিলুম । কাজের ফাঁকে বিরতির সময়টাতে আবার পড়বো । দেখা যাক রহস্য কতটা ঘনীভূত হয় ...

আবার আসবো কিন্তু ! বোকামন্তব্য নিয়ে ! হাহ হা :-)

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: রহস্য পাঠকের মনে, প্রিয় বোকামন, যিনি যেমন ভাবেন।

আপনার আবার আসার প্রতীক্ষায় রইলাম।

শুভরাত্রি:)

১৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৬

শুঁটকি মাছ বলেছেন: শংকু ভাই,আরেকটা অংশ লিখে ফেলেন প্লিজ।অনেক প্রশ্ন মাথায় ঘুরঘুর করছে!!!!!

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমি আর না লিখলেও, প্রশ্নগুলোর সম্ভাব্য উত্তর দিয়ে আপনিই একটা অংশ লিখে ফেলুন, দারুণ ইন্টারেস্টিং হবে!!

১৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

এম মশিউর বলেছেন: গল্পের দৃশ্যটা দারুন লেগেছে। খুব ইন্টারেস্টিং।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

১৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

একজন আরমান বলেছেন:
সার্থক ছোট গল্প। শেষ হইয়াও হইলো না শেষ।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পাঁচটি শব্দে সাহিত্যের বিশাল এক ধারাকে কত সহজে বেঁধে ফেলা যায়! রবিবাবুকে শ্রদ্ধা।

১৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সকালে মোবাইল. থেকে পড়লাম। রহস্য ঘনিভূত করে গল্প টা শেষ করে দিলেন!!!

ভাল লেগেছে। শুভকামনা রইলো।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আসলে গল্পের শেষ-টাই আগে মাথায় এসেছিল। বাকিটুকু হাত-পা গজিয়ে দাঁড়িয়ে গেছে!

ধন্যবাদ প্রিয় অপর্ণা। শুভেচ্ছা।

১৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

বোকামন বলেছেন:
আমি ছোটগল্প বলবো না ! বলবো- অনুগল্প !
ট্যাগখানা বিস্ময় আরো বাড়িয়ে দিলো !

মূল্য রহস্যটা শর্ট-লাইভড ।

এই জগতের সাথে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
বাকিটা কাগজ-পড়ুয়া দুজনের বিরক্তিরূপের ভ্রম কী !
কিন্তু ক্ষুধার্ত মেটাফোরটি অন্য কিছু বলতে চাইছে । আপনি ঠিকই বলেছেন রহস্য পাঠকের মনে, যিনি যেমন ভাবেন ...
ভাবনায় ফেলে দেওয়াটাই লেখকের কৃতিত্ব ।।

[বোকামন মন্তব্যটি করার সময় বিড়বিড় করছেন- এরকম ভারী-পরিণত লেখার আরো অনেক পাঠক থাকা চাই, বেশী বেশী মন্তব্য থাকা চাই, প্লাসে ভরপুর হওয়া চাই... জমছে না, ব্লগ জমছে না ...]

+

০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় বোকামন মনোযোগী একটা মন্তব্য করলেন (বরাবরের মতই!)। যে লাইনগুলোতে চেয়েছিলাম পাঠক লক্ষ্য করুক, সেগুলো ঠিকঠাক মতই ধরেছেন। ভাবনায় ফেলে দিতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি।

[বোকামন ভাবনায় অনেক সম্মান দিলেন। কৃতজ্ঞতা বাদে আর কিই বা দিতে পারি!]

শুভেচ্ছা।

১৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০

সুমন কর বলেছেন: খুব সুন্দর ও সার্থক ছোট হরর গল্প। আর একটু কি বিশাল হতো!!! খুব ভাল লেগেছে।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বিশাল হলে হয়তো ভালো লাগত না! ধন্যবাদ।

২০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৫

মামুন রশিদ বলেছেন: বেশ সুন্দর স্মুথলি পড়ছিলাম, হঠাৎ কি পরিস্থিতির মুখে ফেলে দিলেন! :| :-*

খুব ভালো লেগেছে, অল্পতেই বিশাল টার্ন দেখে কিছুটা সময়ের জন্য হতবাক হয়েছি ।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হা হা! খুশি হলাম প্রিয় মামুন রশিদ।

২১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বাস্তবতার ভেতর অবাস্তব কিছু ঢুকে পড়লো বলেই আমি কেবল হোঁচট না আছাড় খেয়ে পড়লাম সমাপ্তিতে।

ক্ষুধার্ত বাচ্চাগুলো কাগজ খাচ্ছে। দৃশ্যটা কেমন? যেখানে লাইব্রেরিয়ানের গতায়াত আছে। ব্যাপারটা সে জানে অথবা মেয়েটার মস্তিষ্ক সৃষ্টি করেছে কোনো বিভ্রম।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ''এই জগতের সাথে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।''

এ লাইনটায় ইঙ্গিতের পর থেকেই অবাস্তব ঘটনার শুরু। পরের ঘটনাগুলো কি সত্য? মাটির নিচে ঘর কি আসলেই আছে? বাচ্চাগুলো কি, বা কারা? এরকম অনেকগুলো প্রশ্ন উঠে আসে। আর এই প্রশ্নগুলোর সমন্বয়ে একটা দুঃস্বপ্নের মত ঘোর লাগা পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছিলাম।

শুভেচ্ছা জুলিয়ান। শুভরাত্রি।

২২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

ঝিনুক ওয়াজিহা বলেছেন: গল্প ২ বার পড়লাম। কিন্তু খুব ভালো করে বুঝিনি। রহস্যময় গল্প মনে হল।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ, ঝিনুক। গল্প একটু রহস্যময় বটে!

২৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার লেখার ধরনটা খুবই উপভোগ্য। চমৎকার একটা গল্প যা কিছুটা ভৌতিক অস্বস্তিকর অনুভূতির জন্ম দেয়। গল্প শেষে এই অনুভূতি সৃষ্টি করা একটা সার্থক প্রচেষ্টা।

তবে পাঠক হিসেবে আমার কাছে মনে হয়েছে, লাইব্রেরিয়ান এর চরিত্র কিংবা মাটির নিচের ঘরে বাচ্চাগুলোর চরিত্র হয়ত আরো কিছুটা স্পষ্ট করা গেলে পরিস্থিতির উপলব্ধিটা মনে আরো বেশি ভয়ংকর আঘাত করত।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল চমৎকার একটা ছোট গল্পের জন্য।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বলার জন্য ধন্যবাদ কা_ভা। অবশ্যই লাইব্রেরিয়ানের চরিত্র চিত্রণে আরও গুরুত্ব দেওয়া যেত। আর বাচ্চাদের ব্যাপারটা চাইছিলাম একটা চমক হিসেবে আসুক, এই কারণে তাঁদের বিষয়ে বেশি কিছু বলা সম্ভব হয় নি।

আনন্দিত হলাম আপনার মন্তব্য পেয়ে। শুভেচ্ছা।

২৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫২

আলোর পরী বলেছেন: প্লীজ আমি এর পরের অংসও জানতে চাই , এই না হল ছোটগল্প , :)

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পরের অংশ আপনি যা ভাবছেন সেটাই হয়তো:)

শুভেচ্ছা রইল।

২৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০২

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন:
খুব চমৎকার রহস্য রহস্য খেলা !! প্রতিটা প্যারা মানে একেকটা নতুন রহস্যের হাতছানি !! স্বল্প পরিসরে যেন সিন্ধুর গভীরতা !! ভালো লাগল ।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা রইল।

২৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২১

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: গল্পটা যেখানে শেষ হয়েছে সেটা আমার মোটেই মনোপুত হয় নি। সবাই বলছিলেন যে, এটা একটা সার্থক ছোট গল্প। আমি বুঝি না
যে-গল্পটা মাত্র শুরু হল এবং দুতিন লাইন বলেই কথক উঠে চলে গেলেন সেটা কেমনে সার্থক গল্প হলো?

যদি পাঠককে সবই ভেবে নিতে বলা হয় তাহলে এতগুলো লাইনই বা লেখার দরকার কী? প্রথম লাইন লিখে দিয়ে বল পাঠকের কোর্টে ছেড়ে দিলেই হয়। খেল তোরা ইচ্ছা মতো, ভেবে নে যাচ্ছেতাই।

আমি এমন গল্প পছন্দ করি না বলেই হয়ত আমার ভাল লাগেনি। যাদের ভাল লেগেছে তারা নিশ্চয়ই গল্পটা উপভোগ করতে পেরেছেন।

সবার তো সব কিছু উপভোগের যোগ্যতা থাকে না।

শুভেচ্ছা প্রিয় লেখককে। আপনি কিন্তু আমার আসলেই প্রিয় একজন গল্পকার। কিন্তু আমি কারও অন্ধভক্ত নই যে, ভাল না লাগলেও বলব, খাসা! খাসা!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় পাঠক,

ভালো না লাগলে নির্দ্বিধায় বলবেন। গল্প নিয়ে কথা বলা আমি উপভোগ করি, আর মূলত সমালোচনার জন্যই তো ব্লগে গল্প দেওয়া! তবে ''যাদের ভাল লেগেছে তারা নিশ্চয়ই গল্পটা উপভোগ করতে পেরেছেন। সবার তো সব কিছু উপভোগের যোগ্যতা থাকে না।'' আপনার এই কথাটা মানতে পারলাম না। গল্প পড়ে সবাই যদি বুঝতে না পারেন, তাহলে লেখার উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়ে যায় অনেকটা। আপনার কাছে গল্পটা ভালো লাগেনি, সেটা নিশ্চয়ই লেখক হিসেবে আমার ব্যর্থতা। যাই হোক, গল্প আপনার কাছে অসম্পূর্ণ লাগছে, আমি এখানে পরিষ্কার করার চেষ্টা করি।

গল্পের শুরু স্বাভাবিক- একটা মেয়ে লাইব্রেরিতে ঢুকল, বই পড়তে লাগল। তারপর একটু অস্বাভাবিক পয়েন্ট এল- কাগজ পড়ুয়াদের সহজেই বিরক্ত হওয়া, মেয়েটাকে মাটির নিচের ঘরে নিয়ে যাওয়া। আর সমাপ্তি সম্পূর্ণ অসম্ভব একটা বিষয়- তিনটে ক্ষুধার্ত বাচ্চার মুখোমুখি হওয়া। এর মানে সাধারণ একটা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে, অসম্ভব এবং অস্বাভাবিক উপায়ে- যেটা দুঃস্বপ্নের প্রধান বৈশিষ্ট্য। গল্পটা স্রেফ একটা দুঃস্বপ্নের রিয়ালিস্টিক বর্ণনা। দুঃস্বপ্নের সাথে সাথে গল্পও শেষ।

এখন শেষে আমি যদি এরকম দুটো লাইন লাগিয়ে দেই - ''সাথে সাথে শিউলির ঘুম ভেঙ্গে যায়, ছোট্ট একটা চিৎকার দিয়ে লাফিয়ে ওঠে বিছানায়। হাঁপাতে হাঁপাতে কোলবালিশটা জাপটে ধরে ও, নিঃশ্বাস ফেলছে ঘন ঘন। ওফ, কি ভয়ংকর একটা দুঃস্বপ্ন!'' তাহলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যায়, কিন্তু কোন রহস্য থাকে না। পাঠকের ভেবে দেখার জন্য এই দুই লাইনই অস্পষ্ট রাখা হয়েছে মাত্র।

আশা করি ব্যাখ্যা করতে পেরেছি। সোজা সাপটা মতামত দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ:)

২৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪০

শান্তির দেবদূত বলেছেন: চমৎকার আগাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন শেষ হয়ে গেল। থতমত খেয়ে বসে ছিলাম কিছুক্ষণ! স্ক্রল করে ২/১ বার উপর নিচ করলাম, কিছু মিস করিনি তো? পরে কমেন্টের রিপ্লাই পড়ে কিছুটা ক্লিয়ার হয়েছে।

একটা জিনিস কনফিউশন হচ্ছে; কম আলোতে তে পড়লে কি মানুষ শব্দ করে পড়ে? আমার তো মনে হয় কম আলোতে পড়লে আমরা বই চোখে কাছে নিয়ে আসি পড়ার সুবিধার জন্য। না কি এর অন্য কোন ব্যাখ্যা আছে যেটা আমার চোখে পড়েনি?

বরাবরের মতোই লেখার স্টাইল অসাধারন, লিখে গল্পের পরিবেশ ফুটিয়ে তোলার একটা সহজাত দক্ষতা আছে আপনার।

ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এই ক'দিন নান কারণে ব্লগে ঢুঁ দিতে পারিনি, কমেন্টেরও জবাব দেওয়া হয়ে ওঠেনি।

কম আলোতে পড়ার ব্যাপারটার অন্য ব্যাখ্যা নেই, এটা আমার ক্ষেত্রে ঘটে:) কম আলোতে অক্ষরগুলো গুলিয়ে যায়, তাই একটা একটা করে শব্দ উচ্চারণ করে পড়ি- এটাই গল্পে এসে গেছে।

শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্যও।

২৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৭

অশ্রু কারিগড় বলেছেন: প্রিয় ব্লগার, আপনার গল্প ও গল্পের ব্যাখ্যা পড়লাম । তবে কি জানেন, আমার মনে হয় লেখক হিসাবে আপনার কাজ সার্থক । গল্পের থিম ও মেসেজ একেক জনের কাছে একেকরকম হবে । আমি আমার মত করেই গল্পটা উপভোগ করলাম । ভাল থাকবেন ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কারিগড়! কৃতজ্ঞতা রইল।

২৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১২

ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: ভাল লাগল আপনার গল্পটি। শুভকামনা।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ ভবঘুরের ঠিকানা।

৩০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


গল্পের রেশ থেকে যাওয়াটা উপভোগ্য।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কান্ডারিকে পেয়ে আনন্দিত হলাম।

৩১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

অদৃশ্য বলেছেন:





ওরেব্বাস... প্রোফেসর, এতো অল্পতেই এতো চমৎকার একটি পৈশাচিক অথবা হরর ফুটিয়ে তুললেন... দারুন লেগেছে...



শুভকামনা...

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় অদৃশ্য, ধন্যবাদ জানবেন অজস্র।

৩২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: হরর ঠিক আমার হজম হয়না । কিন্তু ছোট্ট পরিধিতে আপনি ফাটিয়ে দিয়েছেন!

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হরর আমি মোটেও লিখতে পারি না, তাই এই গল্পেও হররের সাথে দুঃস্বাপ্নিক বাস্তবতা মিশিয়ে দিয়েছি! ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।

৩৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৯

খাটাস বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু এর গল্প মানেই রহস্য, :) তবে গল্প টা সুন্দর, শুধু বুঝতে একটু সময় লেগেছে, এটা অবশ্য পাঠকের অক্ষমতা। ভাল লাগা। :)

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আনন্দিত হলাম আপনার মন্তব্য পেয়ে, প্রিয় পাঠক।

৩৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০০

মারুফ মুকতাদীর বলেছেন: এতো অল্প লিখে এতো ভাবানো, এতো প্রশ্ন তৈরী করা মনে!! অসাধারণ!!!

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

৩৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

জিএম শুভ বলেছেন: দারুন :)

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ:)

৩৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

নাছির84 বলেছেন: আমার মতে এই ধরনের গল্পে শেষে সিদ্ধান্তটা থাকে শুধুই পাঠকের হাতে। সে তার নিজের মতো করে ভেবে নিতে পারে। যত্ন-আত্নির অভাবেও শিশুগুলোর অমন বেহাল অবস্থা হতে পারে, আবার স্যাঁতস্যাতে পরিবেশের কারণেও অনেক সময় স্বাভাবিক ব্যাপারও ঘোলাটে মনে হতে পারে.......সে যাই হোক...এটা সম্পুর্নই আমার ব্যক্তিগত মতা্মত।
তবে,আমার মতে গল্পটা সার্থক। কারণ,শেষটায় এসে নিজের মতো করে ভেবে নিতে পেরেছি.........।
আর একটা কথা.....আপনার লেখার বুনট আমার ভীষন পছন্দ। শেখার চেষ্টা করি। ভাল থাকবেন প্রফেসর।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় নাছির, আপনার মন্তব্যে সত্যিই আপ্লুত হলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন অনেক।

শুভেচ্ছা।

৩৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
সার্থক ছোট গল্প একেই বলে। তবে হরর এলিমেন্ট গুলো যেন গল্পে আচমকা চলে এল। বুঝতে পারছি আমার বুঝে ফেলে উচিত কিন্তু কেন যেন আমি ঠিক বুঝিনি থিমটা। :(

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থিমটা আসলে দুঃস্বপ্ন নিয়ে। দুঃস্বপ্নের বৈশিষ্ট্য নিয়ে। না বুঝলেও ব্যাপার না:)

শুভেচ্ছা নাজিম।

৩৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১০

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: চমৎকার একটা ছোট গল্প। শেষ হবার পরও গল্পটা মাথার মধ্যে ঘুরছে!
প্রোফেসরের লেখনিতে বরাবরের মতই মুগ্ধ :)

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: খুশি হলাম স্বপ্নবাজ!

৩৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অসমাপ্ত গল্পগুলো যেন একেকটা অতৃপ্ত প্রেতাত্মা
অহর্নিশি হানা দেয় ঘুমে জাগরণে !!





অ.ট.- ভাই কিরীটী পড়েছেন ?? আমি বেশ কয়েকবার শুরু করেও কেন জানি শেষ করতে পারিনি। মনে হয়, মিত্তির বক্সীদের অত জমানো নয় :(

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কিরীটী ক্লাসিক হলেও গল্পের মাঝে প্লটের ছিদ্রগুলো পঠনানন্দ কমিইয়ে দেয় অনেকটাই।

৪০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

সোমহেপি বলেছেন: মনে করছিলাম এই তো গল্পে প্রবেশ করলাম।আশ্চর্য দেখি গল্প শেষ।

সত্যজিতের সিনেমার মত।

অনেক ভাললাগা।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পিচ্চি গপ। নিতান্তই সাধারণ।

সত্যজিত তো সত্যজিত-ই।

ধন্যবাদ।

৪১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৫

তওসীফ সাদাত বলেছেন: ছোটগল্প.................

পড়া শেষ, প্রশ্ন শুরু। নিজের মন গড়া উত্তর। তারপরও খুত খুটে ভাব।

এভবেই ছোটগল্পের সার্থকতা।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ তওসীফ।

৪২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: দুর্দান্ত

সার্থক ছোট গল্প

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আনন্দিত হলাম!

৪৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৫

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: দারুন!

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ!

৪৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৯

রৌহান খাঁন বলেছেন: নিচের লিংকে ইনিয়েস্তা টা কে সেটা একটু দেখে আসবেন :P

Click This Link

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক সম্মান দিলেন। কৃতজ্ঞতার সাথে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৪৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে অনলাইন পেলাম!!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় কা_ভা, মনে রাখার জন্য অনেক ধন্যবাদ :)

আসলে ব্লগে আসা হয়নি এই কদিন, বিভিন্ন কারণে ॥ সামনেও নিয়মিত আসতে পারার সম্ভাবনা কম। তাই ভাবলাম অফিসিয়ালি অন ভেকেশন নোটিশ টানিয়ে আসা যাক!

ভাল থাকুন অনেক অনেক। শুভেচ্ছা থাকবে সবসময়.

৪৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৩

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: ক্ষুধার্ত কিসের জন্যে?? ঠিক বুঝিনি?

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দুঃস্বপ্নের প্রতিবিম্ব বাস্তবে টেনে আনা- স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিকের সীমানায় হড়কে যাওয়া- এটা নিয়েই গল্প।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৪৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৪

মামুন রশিদ বলেছেন: এভাবে হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া কি ঠিক? সহ ব্লগাররা অনেকেই দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম । ফিরে আসায় স্বাগতম প্রিয় ব্লগার ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় মামুন রশিদ,

সম্মানিত বোধ করছি। কাজের চাপে সবমিলিয়ে বাজে একটা সময় যাচ্ছে, ব্লগিংয়ে সময় দিতে পারছি না। অনিচ্ছা সত্ত্বেও ডুব দিতে হচ্ছে। তবু এরকম মাঝে মাঝে এসে দেখে যাব, কমেন্ট করে যাব দুএকটা- আপনাদের মত সহ-ব্লগাররা থাকলে পুরোপুরি ব্লগিং বাদ দেওয়া সম্ভব নয় মোটেই :)

ভাল থাকুন।

৪৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: স্বপ্নদ্বীপে ?? টিডলি উইঙ্কস !! টিডলি উইঙ্কস !!

যাহাই করুন অবিনাশ বাবুর সঙ্গ পরিত্যাগ করিবেন না। আপাতত ইহাই আপনার একমাত্র মুক্তির উপায়!!


সেলাম প্রোফেসর শঙ্কু ;)

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা, আপনি ধরতে পেরেছেন!

অবিনাশ বাবু বাঁচিয়ে দিয়েছেন আমাকে। ফেরত এসে পড়েছি, সবগুলো ভাষাও সড়গড় হয়ে গেছে। নো হার্ম ডান :)

৪৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৭

চানাচুর বলেছেন: ভালোই!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ!

৫০| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:২৩

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ম্যাজিক রিয়েলিজমের সার্থক প্রয়োগ। বেশ ভালো লাগলো প্রিয় গল্পকার।
অল্প কথায় যারা দুর্দান্ত গল্প লিখে ফেলতে পারেন, তাদের বেশ হিংসে হয় আমার জানেন?

১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:১২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আর যারা খুব সহজে একইসাথে চমৎকার গল্প আর কবিতা লিখতে পারেন, আমার হিংসা হয় তাদেরকে :)

শুভেচ্ছা রইল সাজিদ উল হক আবির।

৫১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫১

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ফ্ল্যাস ফিকশনে গল্পটা ঢুকিয়ে দিলেন, শঙ্কু।

লেখালেখি কইর‌্যা পেট চলে না। লেখাডারেই শেষে খাদ্যবন্তু বানাইতে হইলো।

প্রায় একই চিত্রে কিছু একটা লেখা শুরু করেছিলাম। শেষ আর করা হয় নি। ;)

ভালো থাকুন।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু।

লেখাটা শেষ করে পোস্ট করে ফেলুন। পড়ার ইচ্ছে জাগছে।

শুভেচ্ছা :)

৫২| ২২ শে মে, ২০১৪ ভোর ৪:২০

আমি সাজিদ বলেছেন: ঠাস করে শুরু, ঠাস করে শেষ! শেষে অদ্ভুত একটা চমক। আমি আমার মতো করে ভেবেনিয়েছি। সার্থক হরর গল্প।

২২ শে মে, ২০১৪ ভোর ৪:৩৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাজিদ!

৫৩| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু ,


ছোটখাটোর ভেতরে বেশ ছিমছাম । মেয়েটির মতোই "বইখেকো" একটা গল্প ।

শশশশশ... কথা বলবেন না । আর একটু জমানো যেতে পারতো, সুযোগ ছিল ।


রাতের শুভেচ্ছা রইলো ।

২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বইখেকো! বেশ তো শব্দটা!

পরেরবার জমিয়ে ফেলবার আশা করছি :) শুভরাত্রি।

৫৪| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: পড়তে পড়তে হঠাত শেষ হয়ে গেল। আমি আমার মতো করে ভেবেনিয়েছি।

ভাল লাগল :)

২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :) ধন্যবাদ।

৫৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৫০

আলম দীপ্র বলেছেন: কোথায় যে হারিয়ে গেলেন প্রোফেসর !!!!
গল্পের কথা আর কি বলি ? বরাবরের মতই চমৎকার ।
ফিরে আসুন না !

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এসেছি তো :)

একটু ঝড়ঝাপটা গেল, তাই ছিলাম না। ভাল আছেন তো?

৫৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৩

আলম দীপ্র বলেছেন: বাহ ! আমি ভালোই আছি :) । আপনি এখন ভালো তো ?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক :)

৫৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: মুহূর্তেই গল্পটা পড়া শেষ হয়ে গেলো কিন্তু কাগজ খাওয়ারত বাচ্চা তিনটা মাথায় ঘুর ঘুর করছে। ক্লু খোঁজার চেষ্টা করলাম, মেয়েটা ভুল দেখছে না বাস্তবে দেখছে। যেহেতু লাইব্রিয়ানের মধ্যে কোন অসংগতি লক্ষ্য করি নাই, তাই ধরতে কষ্ট হচ্ছিল। তবে মেয়েটার পাঠ মনোযোগিতা একটা কারণ হতে পারে। কারণ সে ডিটেকটিভ বই পড়ছিল। তাও আবার প্রচণ্ড মনোযোগের সহিত। তাই আমার মনে হচ্ছে বইয়ের কাহিনী তার মাথায় ঢুকে গিয়ে এক ধরণের হ্যালুসিনেসনের সৃষ্টি করেছে। তারই ফলশ্রুতিতে সে বাচ্চা তিনটা কাগজ খেতে দেখছে, বাস্তবে যার কোন অস্তিত্ব নাই। জানি না হয়েছে কিনা। তবে এটা ছাড়া আর কোন ব্যাখ্যা দাঁড়া করানোর মতো ক্লু খুঁজে পেলাম না।
আগে মনে হয় আপনার কোন লেখা পড়া হয় নাই। আপনি ভালো লিখনে মনে হচ্ছে। অন্তত এই গল্পটা তারই প্রমাণ রাখে। আপনাকে অনুসরণ করলাম প্রোফেসর শঙ্কু। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনুসরণ করার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা সুপ্রিয়।

ভাল থাকুন।

৫৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০২

নেক্সোপিয়ান বলেছেন: ভালো হয়েছে বেশ। +++

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: খুশি হৈলাম :)

৫৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: এই গল্প দেখি আগেই পড়েছিলাম, মন্তব্যও করা আছে। আবার নতুন করে পড়লাম :)

০৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বোনাস মন্তব্য পেয়ে গেলাম দেখি!

৬০| ২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৬

রাকু হাসান বলেছেন:

সত্যি ভয় পেয়েছি। একটা ভৌতিক ভাব পুরো গল্পে। শেষে চূড়ায় আরোহণ ,সেখান থেকেই শেষ । দারুণ ।

০৬ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ফ্ল্যাশ ফিকশন টাইপ কিছু লেখার ইচ্ছে ছিল আসলে।

৬১| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৬

রাকু হাসান বলেছেন:
আপনি ফিরে আশায় স্বাগতম ,,দেখে ভালো লাগছে । :) স্বাগতম আপনাকে ।

০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ফুলের জন্যে :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.