নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বর্গ-পৃথ্বী অন্তঃস্থলে, বহুকিছু ফিরে-চলে, যাহা বিস্ময়কর

প্রোফেসর শঙ্কু

বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়

প্রোফেসর শঙ্কু › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ নিজের ভাগ্য নিজেই গড়ো

২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৯

পৃথিবীতে এক ধরণের লোক আছে, যাদের আজন্ম কপাল পোড়া। পরীক্ষায় এক নম্বরের জন্য এরা এ-প্লাস মিস করে, প্রমোশন হবার ঠিক আগের দিন বসের সাথে কথা কাটাকাটি হয়ে চাকরি নট হয়ে যায়; দীর্ঘদিনের প্রেমিকা বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে ভেগে বিয়ে করে ফেলে। 'অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকায়ে যায়' টাইপ। আমার কপালও মনে হয় এরকম। ক্লাস সেভেনে প্রথম গল্প লিখেছিলাম, সেই শুরু। এখন ত্রিশ পার হয়ে এসেছি, কিন্তু লেখালেখির নেশা ছাড়তে পারিনি। পরিচিত সবাই আমাকে লেখক হিসেবেই চেনে। কবিতা, নাটক, ছোটগল্প, গল্প, স্যাটায়ার, থ্রিলার, সায়েন্স ফিকশন, হরর, রোমান্টিক - সবই কমবেশি লেখা হয়ে গেছে। লেখাগুলোর মানও খুব সম্ভব খারাপ হয়নি, কারণ যাদেরকেই পড়িয়েছি, প্রশংসা করেছে। 'ভাই, এইরকম লেখা অন্য কেউ লেখে না। আপনার গল্পগুলায় একটা আকর্ষণ থাকে, চুম্বকের মত আটকিয়ে রাখতে জানে, শেষ না করে ওঠা যায় না।' প্রতিমাসেই দুই-তিনটে লিটল ম্যাগাজিনে আমার গল্প-কবিতা ছাপা হচ্ছে। কখনো কখনো পত্রিকার সাময়িকীতেও লেখা ছাপা হয়। খুব ভাল লাগে তখন।



কিন্তু যে-ই পাণ্ডুলিপি নিয়ে একটা প্রকাশনীতে যাই, অমনি প্রকাশক একটা সূক্ষ্ম বিরক্তির ভঙ্গি দেখান। 'এইগুলা মানুষ পড়ে না ভাই। বই বিক্রি হয় নামের ওপরে। তারা আপনার বই কিনবে কেন? আপনি কে? আমি যদি এইটা ছাপাই, আমার বিশাল লস হবে। সম্ভব না।' কেউ কেউ কিছুটা ভদ্রতা দেখান, পাণ্ডুলিপির সাথে আট-ন' হাজারের একটা খাম-ও আনতে বলেন। তাহলে হয়তো তারা ভেবে দেখতে পারেন। আমি পরাজিত হয়ে ভগ্ন মনোরথে ফিরে আসি। আর কয়েকটা জোকার হয়তো এই বই ওই বই, বিদেশি ম্যাটেরিয়াল মেরে একগাদা আবর্জনা লিখল, দেখব ওদের পেছনে প্রকাশক সব মাঘ মাসের কামার্ত কুত্তির মত ঘুরছে। কেন? হয়তো দশ পনের মিনিটের মত এদের চেহারা টিভিতে এসেছে, কিংবা অমুক লেখকের সাথে সখ্যতা আছে, তাই। এখন খ্যাতিই সব। প্রতিভার দাম কচুও নেই।



লেখালেখি ছেড়ে দেবার চেষ্টা করেছি অনেকবার। কিন্তু জিনিসটা আমার আত্মার মাঝে খোদাই করা আছে। মাথায় একটা আইডিয়া পেলে ড্রাগ অ্যাডিক্টেড মানুষের মত মনে হয়, এখনি কাগজে কলমে ওটাকে না নামালে স্বস্তি পাব না যেন। অস্থির, পাগল পাগল লাগে নিজেকে। তাই সে আশা ছেড়ে এখন অন্য পথ ধরেছি। শর্টকাট পথ।



ক্রাইম থ্রিলারগুলো লেখার সময় একটা জিনিস দেখেছিলাম, এটা সাধারণ মানুষকে টানে সবচে বেশি। অবশ্য লিখতে কষ্টও বেশি। সবকিছু যেন লজিক্যালি ঘটে, প্লটটা যেন জমজমাট হয় - এসব তো আছেই, সাথে সাথে খুঁটিনাটি ঠিক রাখা, রিসার্চ করা ইত্যাদি মিলিয়ে প্রচুর সময় এবং পরিশ্রম যায় এর পিছনে। আমিও অনেক রিসার্চ করে গল্পটল্প লিখতাম। কিন্তু যত যাই করি, লেখার সময় মনে হত যেন পাঠকের সাথে প্রতারণা করছি। আমি তো জীবনে তেমন কোন ক্রাইমই করিনি, তাহলে আমার গল্পের চরিত্রটা যখন গুলিতে কারো খুলি উড়িয়ে দিচ্ছে, তখন তাঁর অনুভূতি কেমন- এটা বুঝব কি করে? সুতরাং সৎভাবে থ্রিলার লিখতে চাইলে আমার উচিত অন্ততঃ একটা খুন করা। খুন করলে দুটো অপশন আছে, কোনটাতেই আমার ক্ষতি নেই।



যদি খুন করে ধরা না পড়ি, তাহলে লেখনিতে ওই অভিজ্ঞতার বদৌলতে তাজা বাস্তবের ছোঁয়া লাগবে, প্রকাশকরা এতে আকৃষ্ট হবেই। আর যদি ধরা পড়ে যাই, তাহলে তো আরও ভাল। এখনি দেখতে পাচ্ছি, পত্রিকায় বড় বড় অক্ষরে হেডলাইন, 'ধরা পড়ল নৃশংস খুনিঃ অবিশ্বাস্য মোটিভ!' খ্যাতি আর কাকে বলে! তারপর খালি গল্প-কবিতার সংকলন বেরুবে একে একে, আর বিকবে হাজারে হাজারে। ব্যাপারটা একটু চরম পর্যায়ে চলে যায় অবশ্য, কিন্তু কি আর করার, সময়টাই এমন।



এখন থেকে নিয়মিত ডায়েরি রাখব ভাবছি। খুনটা কিভাবে করব, কি লাগবে- সব খুঁটিনাটি লিখে রাখার জন্য একটা ভাল উপায় এটা। আজ থেকে রিসার্চ শুরু।



২৯শে জানুয়ারি

'ডায়েরি'




আজ একটা লোকের পেছনে দেড় ঘণ্টার মত ঘুরলাম। কিভাবে অনুসরণ করতে হয় তার প্র্যাকটিস করছি। লোকটার মধ্যে তেমন কোন বিশেষত্ব নেই। সামান্য বেঁটে, টেকো, ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি, ছোট্ট একটা ভুঁড়ি আছে- সব মিলিয়ে অতি সাধারণ। আমি যে তাঁর পিছে পিছে ঘুরছিলাম তাও মনে হয় বুঝতে পারেনি। লোকটার বাসা চিনে এসেছি।



আর খুনের ব্যাপারটা ভেবে দেখলাম। একবার খুন করলে জিনিসটা বড্ড বেশি...সাধারণ হয়ে যায়। ধরলাম কাউকে খুন করে ফেলেছি, ছুরি ব্যবহার করে। এখন লেখায় সেটা দিলাম। কিন্তু যত বাস্তবভাবেই বর্ণনা দেই না কেন, জিনিসটা তো- ছুরি ঢোকালাম, বের করলাম- এই? তারপর? আরও কতশত ধরণে মানুষ খুন করা যায়, সেগুলোও ট্রাই করে দেখা উচিত। অনেকগুলো ইংলিশ ছবিতে সিরিয়াল কিলারদের দেখেছি। একের বেশি খুন করলে সিরিয়াল কিলার হওয়াই উত্তম। মানুষের কাছে আকর্ষণীয় লাগবে। দেখি, এটা নিয়ে খোঁচাখুচি করতে হবে।



৪ই ফেব্রুয়ারি

'ডায়েরি'




মানুষ খুনের আগে একটা ছোটোখাটো জন্তু খুন করার কথা ভাবছিলাম। বেশি বড়ও না, ছোটও না। হাত মকশো করা আর কি! কাল রাতে বাড়িতে ঢোকার আগে রাস্তায় পেয়ে গেলাম। একটা পিচ্চি কুত্তার বাচ্চা থাবার ওপরে মুখ রেখে শুয়ে আছে, কুঁই কুঁই করছে মৃদুস্বরে। আমি চারপাশে ভালমত দেখে শালাকে কোলে তুলে নিলাম। কি বাজে দুর্গন্ধ গায়ে! নিঃশ্বাস বন্ধ করে কোনোমতে ঘরে নিয়ে ছেড়ে দিতেই হতভাগা আবার হাতপা লম্বা করে শুয়ে পড়ল। অসুস্থ নাকি! এই আধ্মরাটাকে খুন করে কিই বা হবে (মন খারাপ হয়ে গেল কিছুটা), তাই অহিংসধর্ম প্রয়োগ করতে হল। একটা বড় বালতি পানি ভর্তি করে ওটাকে হাত পা ভালমত বেঁধে আলতো করে শুইয়ে দিলাম। তেমন লাফ ঝাপ দিল না, এ ব্যাটা ক'দিন পর এমনিতেই মরে যেত মনে হয়। প্রথমে আগ্নেয়গিরির মত কয়েকটা বুদবুদ-বিস্ফোরণ, তারপর আস্তে আস্তে বুদবুদের সংখ্যা কমে শরীর ঝাঁকি দিতে শুরু করল। ওটার চোখের মণি দুটো তখন অসুস্থ মনে হচ্ছিল না, কেমন প্রবলভাবে জীবন্ত হয়ে উঠছিল! পাঁচ মিনিটের মাথায় বুদবুদগুলো নেই হয়ে গেল। আর কোন নতুন বুদবুদ উঠছে না।



লাশটা রাস্তার মোড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েই আমি বাড়ির দিকে দৌড় লাগালাম। নতুন কটা লাইন এসেছে মাথায়! ঘরে ঢুকেই লিখে ফেললাম-



'আজ শিহরণ, শব্দস্পর্শগন্ধহীন রুদ্ধশ্বাসে হৃদয়স্পন্দন

শান্ত হল। জন্ম-সাধনাহীন রিরংসার উত্তাপে

করে ফেলা খুনের আগে কিছুক্ষণ

কেতকীর গন্ধে হাত কাঁপে।

চঞ্চল অধীর দুটি হাত,

সে গন্ধে সাপের মত মসৃণ

মৃত্যুর মত ডেকে আনে রাত

অস্ফুট, ধূসর, শীর্ণ; আর কেমন ক্ষীণ।'




খারাপ হয়নি, তাই না?



ও, রিসার্চের কথা বলা হয়নি। অনেকগুলো ছবি দেখলাম, সেভেন, আমেরিকান সাইকো, ডিরেঞ্জড, হ্যানিবল - ভালই লাগল। যা বুঝলাম সিরিয়াল কিলাররা একটা নির্দিষ্ট থিমের ওপর কেন্দ্র করে খুন করে। সবার নিজস্ব একটা খুনিশীলতা থাকে। আমারও একটা ভাল থিম দরকার। তবে অস্ত্র কি হবে এটা মোটামুটি ঠিক করা হয়ে গেছে। মেইন অস্ত্র হবে হাতুড়ি। একটা মিডিয়াম সাইজ হাতুড়ি ঘরের কোথাও না কোথাও আছে মনে হয়। খুঁজে দেখতে হবে। আর একটা কাঁটাচামচ থাকবে। পিছন থেকে প্রথমে মাথায় বাড়ি দিয়ে অচল করে দেব, তারপর বাম চোখটা চামচ দিয়ে বের করে আনব। এটা অনেক ইন্টারেস্টিং। বাংলাদেশি সিরিয়াল কিলারদের নিয়ে কেউ যদি বিবিসি বা হিস্টোরি চ্যানেলে প্রোগ্রাম করে, তাহলে এই স্টাইলটা নিশ্চিত ওদের নজর কাড়বে। আর বাংলাদেশি কিছু প্রোগ্রাম আছে না, 'তালাশ' বা এরকম নাম? ওরা তো লুফে নেবে।



আসল সিরিয়াল কিলারদের ওপরেও খোঁজখবর নিলাম। সত্যি কথা বলতে বমি এসে যাচ্ছিল আমার। অধিকাংশই পেডোফাইল, রেপিস্ট, কিংবা মানসিক ভাবে অসুস্থ। এসব কি?? খুন করা একটা ব্যাপার (এটা তো এক টাইপের শিল্প), আর খুনের সাথে ওসব মিশিয়ে ফেলা আরেক ব্যাপার। শালাদের পেলে চোখ গেলে দিতাম একেবারে।



৮ই ফেব্রুয়ারি

'ডায়েরি'




অবশেষে...প্রথম খুন!



জিনিসটা এত সোজা হবে কল্পনাই করিনি। বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে গিয়ে গাবতলি নেমেছিলাম। হাতে হাতুড়ি, পকেটে স্টেইনলেস স্টিলের কাঁটাচামচ। মনে মনে একটু আশ্চর্যও হচ্ছিলাম, কেউ দুবার তাকিয়ে দেখলও না- তাঁদের পাশে একটা লোক হাতে হাতুড়ি ঝুলিয়ে হেঁটে যাচ্ছে! যাকগে। কিছুক্ষণ এদিক ওদিক হেঁটে এক স্যুট পড়া কর্পোরেটকে অনুসরণ করা শুরু করলাম। সন্ধ্যা নামছে তখন।



দশ বার মিনিট হাঁটার পর একটা পরিত্যক্ত দালানের পিছে এসে পড়লাম। আশেপাশে কেউ নেই। লোকটাও অসতর্ক। সুযোগ বুঝে ব্যাটার পেছনে জোরে করে হাতুড়ি বসিয়ে দিলাম। কি আশ্চর্য, থ্যাঁচ করে হাতুড়ির অর্ধেকটাই মাথার ভেতরে ঢুকে গেল! এত নরম হয় মানুষের খুলি! আমি আশ্চর্য হয়ে হাতুড়ির মাথায় লেগে থাকা থিকথিকে মগজের দিকে তাকিয়ে আছি, এমন সময় লোকটার পড়ে যাবার শব্দে সম্বিৎ ফিরল। কাঁটাচামচের কাজ এখন। লোকটার মাথা থেকে ক্ষীণ একটা রক্তস্রোত এসে মাটি ভিজিয়ে দিচ্ছে, আমি সাবধানে হাঁটু গেঁড়ে বসলাম। চোখের কোটরের ওপরে যে হাড়টা আছে, তাঁর গা ঘেঁষে চামচ ঢুকিয়ে বয়াম থেকে তেঁতুলের আচার ওঠানোর মত করে একটা টান দিলাম। তিনবারের প্রচেষ্টায় পেছল সাদাটে চোখটা বেরিয়ে এল। আজ শিক্ষণীয় বিষয় দুটো।

এক- সাথে একটা রুমাল রাখতে হবে, হাতুড়ির মাথা মোছার জন্য।

দুই- কাঁটাচামচ ব্যবহার করা যাবে না। অনেক রক্ত পড়ে, হাতে-গায়ে লেগে যায়। অন্য কিছু ইউজ করতে হবে।



খুন করার পর কেমন লাগছে আমার? আমি বলব অন্য রকম একটা কিছুর অনুভূতি। কিন্তু উপভোগ করিনি মোটেই। একটা ঝামেলা বলে মনে হচ্ছিল ব্যাপারটাকে। অবশ্য আনন্দের ব্যাপার হল ঘটনার পরপরই একটা সাইকো থ্রিলারের আইডিয়া এসেছে মাথায়। একটা যুবতী মেয়ে হবে মূল চরিত্র। মেয়েটা আপাতঃদৃষ্টিতে উচ্ছল, সবার সাথে মেলামেশায় পারদর্শী। সে আসলেও তাঁর পরিবার, বন্ধুদের ভালবাসে। কিন্তু মেয়েটার মানসিকতায় একটা সমস্যা আছে, তাঁর বিশ্বাস এই জগতে মানুষ যত বেশি কষ্ট পাবে, মৃত্যুর পর সে তত কম শাস্তি পাবে। তাই ভালবাসার টানে সে এই জগতে কষ্ট দেবার ভারটা নিজের হাতেই তুলে নেয়।... ভাল লাগছে ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতে। গত পাঁচ দিনে অনেকটা লিখেও ফেলেছি।



আর...এই কদিনে লেখার প্রতি ভালবাসাটা আরও যেন গাঢ় হয়ে গেছে। লেখালেখি আমার প্রথম প্রেম। মানুষ ভালবাসার জন্য কতকিছুই করে, খুন আর এমন কি!



১৩ই ফেব্রুয়ারি

'ডায়েরি'



কাঁটাচামচের বদলে কি নেওয়া যায় তাই ভাবছিলাম। অনেকে নাকি পিয়ানোর স্ট্রিং ব্যবহার করত (আমার কাছে ওটা নেই, তবে জিআই তার আর ডাটা কেবল আছে। ওতে কি আর কাজ চলে নাকি!)। সরাসরি কসাইয়ের ছুরি (নাহ, বেশি বর্বরের মত হয়ে যায়) কিংবা এসিডও (এটা তো আরও না) ব্যবহারের কথা শুনেছি। কিন্তু আমার পছন্দ হচ্ছিল না। শেষে একটা চীনা মুভি দেখার সময় জিনিসটা মাথায় এল- চপস্টিক ইউজ করলে কেমন হয়! আমার কাছে অবশ্য চপস্টিক নেই, তবে কমদামি চুলের কাঁটা পাওয়া যায়, দেখতে প্রায় একই রকম। ওগুলো কানের ফুটোয় ভরে হাতুড়ি দিয়ে ঢুকিয়ে দিলেই কেল্লা ফতে। সাথে রক্ত ছিটকে শরীরে আসারও ঝামেলা নেই। পরিচ্ছন্ন পদ্ধতি।



এই পদ্ধতিতে দুটো 'রিসার্চ' করলাম। একটা ঝাঁকড়া-চুলো ছোকরা, আর আরেকটা বৃদ্ধা। ছোকরার মাথা নিগ্রোদের মত শক্ত ছিল, আর আমিও ঠিকমত পা ফেলতে পারিনি, ফলে বাড়ি-টাও যুতমত হয়নি। হতভাগা পাগলের মত দৌড় দেয়। আমি কোনোমতে হাতুড়ি ছুঁড়ে দিলে 'থক' করে ওর মাথায় লাগে। ভাগ্য ভাল হাতের সই ঠিক ছিল। রাগ করে ছোকরার লাশ নর্দমায় ফেলে দিয়ে এসেছি। আর বৃদ্ধার ওপরে কাজটা সবচে দ্রুত এবং নিখুঁত হয়েছে। পার্কে বসে ছিল, পেছন থেকে আস্তে মেরে অজ্ঞান করে সাথে সাথেই চুলের কাঁটা গেঁথে দিয়েছি। পুলিশ লাশটা যখন পায়, তখন মহিলা বেঞ্চিতে শুয়ে ছিল, পাখিরা ঠুকরে ঠুকরে চোখ খেয়ে নিচ্ছিল।



সিনেমা দেখে ধারণা করেছিলাম, একটানা খুন হতে থাকলে পুলিশ হয়তো খুনি ধরতে পাগল হয়ে যায়। এখনও ঠোলাদের তেমন কোন ব্যস্ততা দেখছি না। খুনের জায়গায় কয়েকদিন পুলিশ গিজগিজ করল, তারপর আবার সব স্বাভাবিক। তবে মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। অনেকগুলো কাগজে ফলোআপ রিপোর্ট হচ্ছে- 'শহরে ত্রাসঃ খুনের পেছনে কার হাত?', 'কে এই হাতুড়ে-খুনি?' ইত্যাদি ইত্যাদি। হতভাগারা 'অজ্ঞাত খুনি'র একটা ভাল নাম-ও দিতে পারে নি। সামনে একটা সাংবাদিক আর একটা ঠোলাকে ধরে চুলের কাঁটার ট্রিটমেন্ট দিতে হবে।



লেখা তরতরিয়ে এগোচ্ছে। অর্ধেকটা শেষ করে এনেছি প্রায়। এতটা জীবন্ত ভয়ঙ্কর বর্ণনা দিয়ে আমি আগে কোন লেখা লিখিনি, পড়লে নিজেরই গা শিউরে ওঠে মাঝে মধ্যে। বিশেষ করে মেয়েটা চিলেকোঠার ঘরে যে কাজটা করে....থাক, আগে লিখে নিই পুরোটা। তারপর। পাণ্ডুলিপির প্রথম কিছু অংশ কয়েকটা প্রকাশনীতে পাঠিয়েছি। দেখা যাক কি হয়!



২৭শে ফেব্রুয়ারি

'ডায়েরি'




লেখক হতে গেলে প্রচার প্রসার দরকার। তাই এবারে ঝাঁপিয়ে পড়েছি কাজে। সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে অ্যাকাউন্ট খুলেছি। দিনে দশ ঘণ্টা করে ওসবে বসে থাকছি আর মানুষের সাথে বকবক করছি। কাজের কাজ কিছু হচ্ছে কিনা কে জানে! ব্লগেও একটা নিক খুলে নিলাম। লেখালেখি করার জন্য জায়গাটা ভাল। বড় কথা হচ্ছে ওখানে সাইকো টাইপের কিছু লিখলে সেটাকে গল্প বলেই সবাই ভেবে নেয়, উৎসাহ দেয়! ডায়রি এখন থেকে ওখানেই লিখব।



আর সবচে বড় ব্যাপার, দুটো প্রকাশনির সাথে কথা হয়েছে। তারা আগ্রহী। পুরোটা উপন্যাসটাই পাঠাতে বলেছেন। এখনকার যে পরিস্থিতি, মানুষ নাকি এরকম লেখা পছন্দ করবে (আমি কি হাসবো?) আমার মাথায় আরেকটা উপন্যাসের আইডিয়া এসেছে। লেখা শুরু করে দেব আজ কালের মধ্যেই। ও, আরেকটা কথা, ঠোলাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়া শেষ। একটু মাথা খাটাতে হয়েছে অবশ্য। ট্রাফিক কন্ট্রোল করছিল, আমি গিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে বলেছি- 'স্যার পার্কের পিছনে এক দাড়িঅলা লোক হাতুড়ি নিয়ে ঘোরাঘুরি করছে স্যার। তাড়াতাড়ি আসেন।' স্যার বলাতে বিগলিত হয়ে, নাকি হাতুড়ে-খুনি (ওফ! কি বিটকেলে নাম!) কে ধরার লোভে- কে জানে, বেচারা তুমুল আগ্রহে আমার সাথে সাথে দৌড়ে পার্কের পেছনে এল। তারপরে আমি আবিস্কার করলাম ঠোলা মারতে একটা হাতুড়ির বাড়ি বেশি লাগে। এটা জানতাম না আগে।



২৪শে মার্চ, রাত দশটা

'সামহয়ারইন ব্লগ'




সুখবর! সুখবর!! সুখবর!!!



ব্লগের সকল বন্ধুদের অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, স্রষ্টা আমার প্রতি সদয় হয়েছেন! গত মাসে কয়েকটা প্রকাশনীর কাছে আমার উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি পাঠিয়েছিলাম। এদের মাঝে প্রকাশক শিহাব ভাই সেটা পড়ে খুবই উৎসাহিত হন এবং আমার সাথে মোবাইলে তার কথা হয়। এরপর কয়েকবার তিনি আমার সাথে দেখা করেছেন। অবশেষে গতকাল রাতে তিনি নিশ্চিত করলেন যে, আমার প্রথম বইটি তার প্রকাশনী থেকেই বের হচ্ছে।



বইয়ের নাম নির্বাচন এবং মুখবন্ধ লিখে দেবার জন্য জনপ্রিয় সাহিত্যিক মাসুদুল আলমকে প্রাণঢালা ধন্যবাদ। চমৎকার রক্তাভ প্রচ্ছদ করেছেন ঋক নাঈম। এপ্রিলের প্রথম সপ্তা থেকেই বইটা 'স্বপ্নিল প্রকাশনী' থেকে পাওয়া যাবে, নাম 'রক্ত ও আকাশ'। দাম মাত্র দেড়শ টাকা।



কিনবেন কিন্তু।

মন্তব্য ১৫০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪১

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকারভাবে নৃসংশ !!

২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ মুন!

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১৫

অপু তানভীর বলেছেন: খাইছে গো !!

হাতুতি দিয়া মারা ঘটনাটা যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম !!

এমন করে আসলেই খুন করতে পারে কেউ ?
কে জানে ?
:-& :-&

লেখার বিষয়ে আর কি কইতাম !

যাক অবশেষে একটা গল্প দিলেন ! :):) থেঙ্কু

২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্প দেবার পরপরই আপনার কমেন্টটা চোখে পড়ল:)

খুন করতে অবশ্যই পারে। আমাদের চারপাশে নিত্য হেঁটে বেড়ায় কত খুনি, অনুসরণ করে সুযোগ পেলেই!

আপ্নাকেও থেঙ্কু :)

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৬

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
নিজের ভাগ্য নিজে গড়া কিংবা আরেকবার ব্যর্থ হবার এক গল্পের সকাল সামনে। ভাইবা আছে একটা। এসে পড়বো।

২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আশা করি ভাইবা মনমতো দিতে পারবেন। শুভকামনা রইল।

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৮

টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহাহা অসাধারণ!!!!!!! অন্যরকম প্রফেসর। আপনার লেখা মানের চমৎকার কিছু।

২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ টুম্পামনি!

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: প্লিজ এ রকম লেখা পড়তে চাই না ।যখন একজন ভাল লেখক কাউকে হত্যা
করবে তখন সে তার সাহিত্যের জীবন থেকে অনেক দুরে ছিটকে পড়বেন
মন ভাল রাখবেন ভাল থাকবেন ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার কমেন্ট থেকে একটা আত্মজিজ্ঞাসা এল মনে- 'সত্যিই কি কোন লেখক সাহিত্যের জন্য খুন করে দেখেছেন? তলস্তয়কে সন্দেহ হয় মাঝে মধ্যে, তবে এডগার এলান পো হয়তো বা আসলেই খুন করেছিলেন। তার সময়ে মৃত্যুর এত নিখুঁত (এমনকি বৈজ্ঞানিক উপায় হিসেব করলেও) বর্ণনা আর কেউ তো দিতে পারেন নি। ইন্টারেস্টিং বিষয়।

অবশ্যই মন ভাল রাখার চেষ্টা করব। ভাল থাকুন আপনিও :)

৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০৩

কসমিক- ট্রাভেলার বলেছেন:











২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমার চোখ কি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে?

৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

জেরিফ বলেছেন: গল্প পড়ে নিজের ভিতর সাইকো ভাব চলে আসলো , যদিও আমি সাইকো তবে খুন টুন করি না /:) /:) /:)

ভালো লাগলো :)

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নিরীহ সাইকো তথা যথাযথ মনঃপীড়ারোগী হওয়াই কাম্য!

অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য :)

৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেক অনেক দিন পর এই সময়ে আমি ব্লগে আসলাম। আপনার টাটকা একটা লেখা পড়লাম। সত্যি বলতে অনেকদিন পর শব্দ করে হাসলাম লেখাটা পড়ে। লেখার মাঝে ডায়েরি লেখার পার্ট গুলো খুব এঞ্জয়াবল। আর অনেকদিন পর " ঠোলা " শব্দ টা শুনেই বেশি হাসলাম ।

সাইকো পার্ট নিয়ে কি আর বলবো। আমাদের ভেতরে মাঝে মাঝে কিছু অসুস্থ চিন্তা কাজ করে, মাঝে মাঝে চরম নেতিবাচক চিন্তায় সেগুলি বাস্তবায়নে হাত-পা -মন নিশপিশ করে। পুরো লেখা ভালো লেগেছে ।

কিন্তু স্বপ্নিল প্রকাশনীর কথা বলে তো ভালোই কনফ্যু খাইয়ে দিলেন!

শুভ রাত্রি

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় অপর্ণা,

আপনাকে অনেকদিন পর পোস্টে পেলাম। ভীষণ আনন্দিত হলাম। গল্পে চাইছিলাম হাল্কাভাবে দুএকটা বিষয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যেতে। আর স্বপ্নিল প্রকাশনীর নামটা সচেতন ভাবে দিইনি আসলে, তবে কনফিউজ করতে পেরেই খুশি খুশি লাগছে!

শুভ রাত্রি, ভাল থাকুন।

৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৫৬

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: গল্পের লেখক চরিত্রটা তো দেখি ক্রিশ্চিয়ান বেলের মত অদ্ভুত সব অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মানুষ মারে!

আপনার লেখার শব্দচয়ন সবসময় আকর্ষণ করে আমাকে, প্রথম দিকে ভাবলাম এ আপনার লেখনীর নতুন কি স্টাইল! গল্পের ভেতর ঢুকতে ঢুকতে সেই পুরনো স্বাদ হুইচ ইজ ব্যাসিক্যালি এ ট্রিট ফর মি!

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সে হয়তো আমেরিকান সাইকো ছবিটা দেখেছিল!

লেখার ক্ষেত্রে সবসময় শেখার চেষ্টা করি। ব্লগের অনেক লেখকেরই লেখায় মুগ্ধ হই, আপনি তাদের একজন। সুতরাং কমপ্লিমেন্ট পেয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ল অনেকটাই। শুভেচ্ছা।

১০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৫৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সবার নিজস্ব একটা খুনিশীলতা থাকে।লাইনটা জব্বর হয়েছে!

অসাধারন গল্প। পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল আমাদের সুপরিচিত শঙ্কু আসলেই ছদ্মবেশী সিরিয়াল কিলার না তো !?

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:১৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

এইরকম একটা ধন্দে ফেলে দেওয়াই উদ্দেশ্য ছিল:)

১১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:১৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: স্বপ্নিল প্রকাশনীর কথা দিয়ে আসলে বলতে চেয়েছিলাম আপনার কোনও বই আসছে কিনা ! আদতে এই নামে প্রকাশনি আছে কিনা জানা নেই। আপনি পাজলড ভালোই পারেন! হাহহাহা!

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :) বিভ্রান্ত করতে পেরে আনন্দিত!

১২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:১০

গোর্কি বলেছেন:
লেখকের জায়গায় আমি হলে যে কোনো একজন প্রকাশকের ওপর অবশ্যই এক্সপেরিমেন্ট চালাতাম। বরাবরের মতই গল্প পাঠে মুগ্ধতা জানাই। খুব ভালো থাকবেন সুপ্রিয়।

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: জিনিশটা মাথায় আসেনি আগে। প্রকাশক দিয়েই শুভকাজ শুরু করা উচিত ছিল আসলে!

কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, সুপ্রিয়। আনন্দে থাকুন।

১৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৪১

বৃষ্টিধারা বলেছেন: হুম.... সুন্দর গল্প । :)

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩

আম্মানসুরা বলেছেন: সুন্দর নৃশংস গল্প!!


এরকম খুনি আসলেই কি বাস্তবে আছে?

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থাকা বিচিত্র কি? আর বাংলাদেশে যেরকম রাজনৈতিক অবস্থা, এরকম খুনিদের গা বাঁচিয়ে চলতে পারাও অসম্ভব কিছু না।

শুভেচ্ছা জানবেন, আম্মানসুরা।

১৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:২৪

অদৃশ্য বলেছেন:






টোটাল গল্পটা যে অত্যন্ত সুন্দর তা আর বলার প্রয়োজন পড়ে না... যে পড়বে সেই সেটা টের পাবে... যারা পড়লোনা এই বলাটা তাদের জন্য...

অবশ্য লিখার হত্যা দৃশ্যগুলো বা নৃশংসতা শরীরের রোমগুলোকে দাড় করিয়ে দিতে অনেকটা ব্যর্থ... এই টাইপের গল্পে কাঁপ ধরিয়ে দেওয়াটা একটা বিশেষ কাজ... ব্যাপারটা এমন যে প্রকাশক লিখাটি পড়বার পর ভয়েই আপনার লিখাটি ছাপানোর সিদ্ধান্ত নেবে...

যেমন শ্রদ্ধেয় গোর্কি বললেন যে একজন প্রকাশককে রাখতেন উনি... হাহ্‌ হাহ্‌ হাহ্‌...

লিখাটির চমৎকার উপস্থাপনার জন্যই লিখাটি দারুন একটা রুপ নিলো।

শুভকামনা...

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি। আসলে চরিত্রটা প্রথমে নোট রাখছে তো, ডায়েরির অংশটা কেবল তার নিজের জন্যেই লেখা। তাই সেরকম নাটকীয়ভাবে সে বর্ণনা দেবার প্রয়োজনবোধ করেনি, স্বাভাবিক বর্ণনা দিয়েছে। তাই হয়তো সেরকম 'কাঁপ ধরিয়ে' দিতে পারেনি। মাথায় থাকবে বিষয়টা :)

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:২৬

অদৃশ্য বলেছেন:




ওহহো ভুলে গেছি... শেষে এসে কিন্তু অপর্ণাদির মতো আমিও দিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি...

তা বইটা কি এপ্রিলেই বেরুচ্ছে?... ভালোভাবেই জানান দিয়েন...

শুভকামনা...

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালোভাবেই জানিয়ে দিই- আমার কোন বই বেরুচ্ছে না :) ওটা গল্পেরই একটা অংশ, কল্পনার সাথে বাস্তবের একাঙ্গীকরণ করলে কেমন হয় সেটা দেখার একটা প্রচেষ্টা।

শুভকামনা রইল।

১৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০৮

এহসান সাবির বলেছেন: আরে রে..........!!

এই কদিনে লেখার প্রতি আমার ভালবাসা আরও যেন গাঢ় হয়ে গেছে। লেখালেখি আমার প্রথম প্রেম। মানুষ ভালবাসার জন্য কতকিছুই করে, খুন আর এমন কি!
সেই রকম......!!

+++++

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আনন্দিত হলাম :)

প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

১৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০১

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: লেখার শীরোনাম দেখে ভেবেছি এক রকম, শুরুতে আরেক রকম, আর মাঝে এবং শেষে গিয়ে পুরো জিনিসটাই অন্যরকম হয়ে গেল। ব্যতিক্রমী এক থ্রিলার সাজিয়েছেন।

নাকি পুরোটাই সত্য ঘটনা? :-*


আচ্ছা আপনি কি ছাপিয়েছেন কোন? আপনার লেখা প্রকাশকদের লুফে নেয়া উচিৎ...

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হতেও তো পারে :)

এখনো ছাপার অক্ষরে নাম আসেনি, তবে আপনার প্রশ্ন শুনে ভীষণ সম্মানিত বোধ করছি। অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: রাতে ঘুম ঘুম চোখে পড়া শুরু করেছিলাম , উঠে বসতে হয়েছে !
ক্লাসিক থ্রিলার প্রিয় গল্পকার !

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্নবাজ! আপনার ভাল লাগলেই আমার আনন্দ।

২০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মদন বলেছেন: মাথায় হেলমেট পাইরা কমেন্ট করলাম :-&

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ডোয়াইন স্মিথ আউট!!!

ও, আর হেলমেট পড়ে বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন, কে কখন বাড়ি দেয় বলা যায় না তো! :)

২১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২৮

শুঁটকি মাছ বলেছেন: প্রফেসর আপনি আমার প্রিয় লেখকদের একজন একারণেই যে আপনি যা লেখেন তা পড়তে গেলে আমার মনে হয় ব্যাপারগুলো আমার আশে পাশেই কোথাও ঘটছে কিংবা আমি নিজের চোখের সামনে ব্যাপারগুলো ঘটতে দেখছি। আজকে এই লেখাটা পড়ার সময় শরীর রীতিমত রি-রি করে উঠছিল। ভাল লেখকদের বৈশিষ্ট্যই বোধহয় এটা!!!! তাইনা?

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নতুন কিছু ভাবতে পারি না বলেই আশেপাশের বিষয়গুলো লেখায় টেনে আনতে চেষ্টা করি...ভাল লেখকেরা তো সম্পূর্ণ অজানা কোন বিষয়কেও সুন্দর করে উপস্থাপন করতে পারেন, তাই না? :)

কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় পাঠক।

২২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৭

চটপট ক বলেছেন: একটাই কথা ----


নৃশংস

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

২৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৫৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনবদ্য একটা গল্প! আমি বিকেল বেলা মোবাইল থেকে পড়ছিলাম। গল্পের শুরুটা আমার বেশি ভালো লেগেছে আস্তে ধীরে গল্পের ভেতরে নিয়ে গিয়েছেন। খুনের হয়ত আরো বেশি রগরগে বর্ননা দেয়া যেত পারত কিংবা আরো কিছু সাইকোটিক ব্যাপার আরোপিত করা যেত তবে যাই লিখেছেন সেটাই আমার কাছে চমৎকার ও যথার্থ বলে মনে হয়েছে।

অনেক শুভেচ্ছা রইল প্রিয় প্রোফেসর সাহেব।

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় কা_ভাকে পোস্টে পেয়ে খুশি হলাম। ভাল থাকুন আপনিও।

২৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:১১

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: প্রিয় প্রোফেসর সাবেরে খুনির ভূমিকায় দেইখা কিঞ্চিৎ টাস্কিত, :-*
সাধারণ পাঠক হিসাবে এই জাতীয় গল্পের প্রতি এক অমোঘ আকর্ষণ কাজ করে আর এইখানেও তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি এবং গল্পটা সত্যিই একটু আলাদা কিসিমের ।।

আর অনেকদিন পর 'ঠোলা'র ব্যাবহারে মজা পাইলাম
ছোটকালে দেখলে 'ঠোলা যায়' কয়া লউর মারতাম B-))

শুভকামনা জানবেন প্রোফেসর সাব !:#P

রকমারিতেও জুন থেকে পাওয়া যাবে, সত্যিই :) ??

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ মিসিরআলি। ঠোলা শব্দটা কেউ গল্পে ব্যবহার করেন না নাকি? পুরান পুরান লাগছে নিজেকে :)

সত্যিই পাওয়া গেলে খারাপ হত না, কিন্তু আপাততঃ সেটা গল্পেরই একটা অংশ। বই বেরুচ্ছে না :)

২৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৬:৪৮

নীল-দর্পণ বলেছেন: একটানে পড়ে ফেললাম....

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ...

২৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০০

মামুন রশিদ বলেছেন: তারপরে আমি আবিস্কার করলাম ঠোলা মারতে একটা হাতুড়ির বাড়ি বেশি লাগে। এটা জানতাম না আগে। :|


কি সুন্দর করে নরম মিনমিনে গলায় গল্পটা শুরু করলেন.. শেষে কিনা একজন জনপ্রিয় সাইকো থ্রিলার রাইটার ওরফে সিরিয়াল খুনী হয়ে উঠার গল্প!! পৈচাশিক বীভিষিকাময় খুনের নির্মোহ বর্ণনা অসাধারণ লেগেছে ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় মামুন,

বরাবরের মতই চমৎকার মন্তব্য পেয়ে উজ্জীবিত হলাম। ভাল আছেন আশা করি।

২৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৮

শাকিল ১৭০৫ বলেছেন: মচতকার!!

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:১০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ!!!

২৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি আদতে গল্প লেখা শেখানোর প্রোফেসর। আপনার একেকটা গল্প লিখবার কৌশল একেকরকম হয়ে থাকে- এটাই আপনার স্বকীয়তা।

গল্প উপস্থাপনা যেমন অভিনব, সাসপেন্স সৃষ্টি করাতেই আপনার দক্ষতা ঈর্ষণীয়। গল্পের গল্পকারের ব্যাপারে যা কমেন্ট পাওয়া যায়, আমি আপনার জন্য সেই কথাগুলো বলছিঃ

'ভাই, এইরকম লেখা অন্য কেউ লেখে না। আপনার গল্পগুলায় একটা আকর্ষণ থাকে, চুম্বকের মত আটকিয়ে রাখতে জানে, শেষ না করে ওঠা যায় না।'

গল্প লিখবার স্কিল বা সাসপেন্স সৃষ্টির ব্যাপারে আমার যে কোনো প্রশংসাই আপনার জন্য অপ্রতুল।

তবে গল্প পাঠ করার পর সাধারণ পাঠকের প্রথম ও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া যা হতে পারে, তা এ গল্পের প্রথম কমেন্টদাতা ইমরাজ কবির মুনই বলে গেছেন: চমৎকারভাবে নৃশংস!!

তবে, স্পেসিফিক্যালি বলা দুঃসাধ্য মনে হচ্ছে- কোথাও কোথাও আরেকটু বিস্তৃতির প্রয়োজন ছিল, কিংবা আরো দু-একবার এডিটিঙে হাত দিলে গল্পটা আরও ধারালো ও জীবন্ত হয়ে উঠতে পারে।

আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চমৎকার একটা কমেন্ট পেয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে! মনোযোগী পাঠের জন্য আপনাকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই, প্রিয় সোনাবীজ।

লেখার পর আমি সাধারণতঃ দুএকদিন ফেলে রাখি, একটু আধটু এডিট করে তারপর প্রকাশ করি। এই গল্পটা সরাসরি লেখার পরই পোস্ট করা, তাই আপনার মন্তব্য যথাযথ। কয়েকটা জায়গায় ঘষামাজা করার ইচ্ছা রাখি।

শুভকামনা রইল আপনার প্রতিও। ভাল থাকুন।

২৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
মুগ্ধ হয়েছি। জানান দেয়া উচিত।

২৮ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাইবা মনমতো হয়েছে আশা করি?

৩০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:২০

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: তাহা হইলে পুস্তক প্রকাশিত হইতেছে.. আনন্দের সংবাদ........৪ই ফেব্রুয়ারি
'ডায়েরি'র গল্প খানা সান্ডেসাসপেন্স নামক গল্প বলা অনুষ্ঠানের গল্প বলিয়া মনে হইয়াছে.. .. তাহার পরেও শুভ কামনা.......ধন্যবাদ

২৮ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পুস্তক প্রকাশিত হইতেছে না, উহা গল্পের অংশবিশেষ মাত্র :)

বানিয়ে বানিয়ে লেখার একটা অন্যতম সুবিধা হচ্ছে, অন্য কোন উৎসের সাথে সহজে মিলে যায় না, নিতান্তই কাকতালীয় না হলে। সুতরাং আপনার কথায় যে কিছুটা আশ্চর্য হয়েছি তা বলাই বাহুল্য। সত্যিই কি মিলে গেছে? অডিও লিংকটা যদি দিতে পারতেন, কৃতজ্ঞ হতাম। শুনতে ইচ্ছে হচ্ছে।

ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকেও। ভাল থাকুন।

৩১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২২

শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভয়ংকর! ভাই এখন আপনার কাছ থেকে তো দূরে থাকবে হবে, বলা তো যায় না কখন রিসার্চের সাবজেক্ট হয়ে যাই :) হা হা হা

গল্পের ব্যাপারে কি বলব! অসাধারন। যেমন হাস্যরসের পূর্ণ তেমন বিভৎস ভয়ংকর ঘটনার সাবলিল বর্ননা।

শুধু গল্পের নামটা পছন্দ হয়নি। এমন দূর্দান্ত একটা গল্পের সাদামাটা নাম হয়ে গেছে মনে হল।

সব মিলিয়ে স্বার্থক একটা থ্রীলার পড়লাম, গ্রেট;

২৮ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহাহাহা, ভয় নেই, সহব্লগারদের ওপর আমি মোটেই 'রিসার্চ' করতে পছন্দ করি না :)

নামটাও কিছুটা রসিকতা করেই দেওয়া, আরও ভাল নাম খুঁজে পেলাম না লেখার সময়। দেখি, অন্য নাম মনে ধরে কি না।

অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম। ভাল থাকবেন সবসময় প্রিয় দেবদূত। শুভেচ্ছা।

৩২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: চমতকার লাগলো।

যাই , সেভেন মুভিটা আবার দেখি .।।। :)

২৮ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ! আমি গতকালই আবার দেখলাম ছবিটা :)

৩৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: বেশ তো

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।

৩৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ইন্টারএ্যাকটিভ গল্প। লেখকের সাথে পাঠকের যোগাযোগের এই বিষয়টা খুব ভালো লাগে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত টেনে রাখলো গল্পটা।

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় হাসান। ভাল আছেন আশা করি।

শুভরাত্রি।

৩৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কাহিনীতে ধরে রাখার ব্যাপারে পৃথিবীতে দুই ধরনের লেখক আছেন । একদল টেনে ধরে রাখেন - শেষ না করে পাঠক কে উঠতে দেন না
আরেকদল পাঠককে প্রায়ই গল্প থেকে বের করে দেন ( দুদলকেই আমার ভাল লাগে )

আপনি প্রথম দলের ।
বরাবরের মত আরেকটা দারুণ গল্প । হামা ভাই আর মামুন ভাইয়ের সাথে একমত ।





ভাল থাকুন প্রিয় প্রফেসর ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক আনন্দিত হলাম প্রিয় ব্লগার, আপনার কমেন্ট পেয়ে!

নতুন একটা লেখা দিন তাড়াতাড়ি।

শুভরাত্রি।

৩৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১৩

আমিনুর রহমান বলেছেন:




আমার সাইকো থ্রিলার টাইপের গল্প পড়তে বা মুভি দেখতে কেনো যেন ভালো লাগে না। তবে আপনার লিখা আমাকে সত্যি মুগ্ধ করেছে। পড়তে শুরু করে আর শেষ না হওয়া পর্যন্ত থামতে পারছিলাম না।




ভালো থাকুন নিরন্তর প্রিয় ব্লগার।

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পোস্টে আপনাকে পেয়ে খুশি হলাম। অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় পাঠক।

নিরন্তর শুভেচ্ছা।

৩৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬

বৃতি বলেছেন: আমিও আমিনুর ভাইয়ের মত- সাইকো থ্রিলার টাইপের গল্প বা ম্যুভি বেশি ভাল লাগে না। তবে এই গল্পটার ভেতরে যে স্যাটায়ার আছে সেটা বেশ মজার। নিজের ভাগ্য নিজে গড়ার জন্য সবকিছু করা যেতে পারে। পড়ার আকর্ষণ আগাগোড়া একই রকম ছিল। আর সবশেষে, রকমারিতে বইটা জুন থেকে পাওয়া যাবে শুনে বেশ আনন্দিতও হয়েছি B-) B-)

শুভেচ্ছা জানবেন।

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শিরোনাম থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত একটা সূক্ষ্ম বিদ্রূপাত্মক মনোভাব আনার চেষ্টা করেছিলাম। রকমারিতে পাওয়া যাবে শুনে আমিও আনন্দিত:)

ভাল থাকবেন।

৩৮| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮

একলা ফড়িং বলেছেন: সাইকো মুভি, গল্প আমারও পছন্দ না! মুভি তো একেবারেই দেখিনা। তবে গল্পটা পড়তে শুরু করে আর থামতে পারলাম না! পড়েই ফেললাম। কি ভয়াবহ আর নৃশংস! অদ্ভুত!!

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সবার রুচি একরকম না হওয়াটাই ভাল। বৈচিত্র্য বাড়ে।

কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি গল্পটি পড়ার জন্য। ধন্যবাদ।

৩৯| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১৮

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: এমনভাবে বলেন যেনও মুভি দেখছি । কোথাও মেলো ড্রামা নেই, নেই মেদবহুল শব্দ চর্চা , নিঃস্পৃহ ভঙ্গিতে পাঠককে চম্বুকের মতো আটকে রাখেন ! বিদ্রুপ আর রস সৃষ্টির মুন্সিয়ানা একঘেয়েমি নিয়ে আসে না । চমৎকার লাগলো ভাই । গল্পের নাম আর "রক্ত ও আকাশ" নামটা দুইটাই খারাপ হয়েছে, সত্যিকারের প্রকাশনীর নাম ব্যবহার করে আরও কনফিউশন তৈরি করতে পারতেন :P

অনেক শুভেচ্ছা, ভালো থাকবেন ভাই :)

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা, গল্পের নাম সুবিধার হয় নি মানলাম, কিন্তু 'রক্ত ও আকাশ' নাম খারাপ হয়েছে শুনলে কিন্তু খেপে যাবো:) প্রিয় লেখক ওয়ালিউল্লাহ'র অসাধারণ একটা ছোটগল্প আছে এই নামে:P

ভাল থাকুন আপনিও। প্রাণঢালা শুভেচ্ছা :)

৪০| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪১

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: কবিতার চরণগুলো ছুঁয়ে যাবার মত।

আর বীভৎসতার কাহিনী যেভাবে বুনেছেন, স্রেফ দম বন্ধ করে পড়ে যাবার মত।

অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় লেখক,

কবিতাটা ব্যক্তিগতভাবে আমারও পছন্দের, আপনার মতামত পেয়ে তাই খুব খুশি হলাম। ভাল থাকা হোক আজীবন।

৪১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০৩

রমাকান্তকামার১১০১১৪৫ বলেছেন: প্রোফেসর সাহেব, বেশি জোস একটা সাইকো গল্প পড়লাম। দারুণ ছিল।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নিয়মিত পাঠককে পেয়ে খুশি হলাম। অনেক ধন্যবাদ।

৪২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

আলোর পরী বলেছেন: আমার সাইকো গল্প ভাল লাগে না , কিন্তু আপনার লেখনী এত সুন্দর সবটুকু পড়তে বাধ্য হলাম ।


সব গুণ আপনার

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ আলোর পরী।

৪৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৪৪

রাসেলহাসান বলেছেন: খুন করে, রিসার্চ করে একটা থ্রীলার গল্প লিখলে কেমন হয়? এখন তো একটা খুন করতে মন চাইতেছে। :)

অসাধারন লিখনি! এবং চিন্তা শক্তি আপনার! অদ্ভুত কিসিমের একটা গল্প পড়লাম। এরকম আরো অনেক গল্প চাই। খুব ভালো লেগেছে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আরও কিছুমিছু লেখার ইচ্ছে আছে, সাথেই থাকবেন আশা করি! শুভেচ্ছা।

৪৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:০৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//বড় কথা হচ্ছে ওখানে সাইকো টাইপের কিছু লিখলে সেটাকে গল্প বলেই সবাই ভেবে নেয়, উৎসাহ দেয়! ডায়রি এখন থেকে ওখানেই লিখব।//


অবশেষে ভালো একটি সিদ্ধান্তে এসেছেন।



লৌমহর্ষক গল্পটি অবশেষে একটি বই প্রকাশনার প্রস্তুতিতে এসে থেমেছে। আহা, পৃথিবীর সব নৃশংসতা যদি এভাবে শেষ হতো!

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা, সিদ্ধান্ত ভাল বলা ঠিক হবে কি না সন্দেহ আছে, লেখক তো আরও গল্প লিখছে, আরও রিসার্চ করার খায়েশ তার কখন জাগে তার ঠিক নেই তো!

ভাল থাকবেন।

৪৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:০০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


পুরাই সাইকো......... অসাধারন............

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কাণ্ডারি।

৪৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:২৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই, কাহিনী সত্যি না। কারন হাতুড়ী দিয়ে যখন কেউ মারে তখন তার প্রথম অনুভূতির সাথে নিজের ভেতর জমতে থাকা চরম উত্তেজনা।

কিন্তু সমস্যা হলো যখন লেখকেরা একটা ঘটনা চিন্তা করেন তখন সেটা যতটা সম্ভব ডিডাকশন সাবস্ট্রাকশন করে লেখেন কিছু জিনিস প্রায়োরিটি দেন।

প্রথমবার পড়ে মনে হয়েছিলো আপনি সত্যি আকামটা করছেন। কিন্তু পরের দুবার খুটিয়ে পড়ার পর বেশ কয়েকজায়গায় ধাক্কা খেলাম যার সূত্রপাত ঠিক হাতুড়ির জায়গায়।


তারপরও কঠিন লেখা, অনুভূতি গুলোর প্রায়োরিটি দিয়ে বর্ননা পছন্দ হইছে। শিখলাম কিছু !

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আহহা, খুঁটিয়ে পড়তে গেলেন কেন, ধরা পড়ে গেল ব্যাপারটা :) তবে এখন সুবিধে হচ্ছে- সত্যি সত্যি খুন করে প্রমাণসহ পোস্ট করলেও কেউ বিশ্বাস করবে না, স্রেফ আরেকটা গল্প বলে ধরে নেবে :)

হাহাহা, মজা করলাম। ভাল লাগল আপনাকে দেখে। ভাল আছেন আশা করি।

৪৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩৬

জোবায়েদ-অর-রশিদ বলেছেন:
Thrashed ! Beyond It was psycho thriller. But, very cleverly you just rebuke its keynote. Agree with you, psychotic disorder can be a story but not cognizable to practice of ....



Good Writing And congrats !

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানবেন!

৪৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:১৮

এহসান সাবির বলেছেন: শুভ হোক নববর্ষ ১৪২১।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নববর্ষের শুভ কামনা আপনাকেও, প্রিয় এহসান। ভাল থাকুন।

৪৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:০৪

আমিজমিদার বলেছেন: খুন করতে চাই। খুন করার ফার্স্ট রুল কি? :|

গপ ভালা লাগছে। একটু অদ্ভুদ, কিন্তু শেষটা অস্থির। পেলাস লন।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ফার্স্ট রুলের মাঝে দুটো উপশাখা আছে।
১ ক. Don't do it.
১ খ. If you ARE going to do it, don't get caught. :|

প্লাসের জন্য ধন্যবাদ এবং শুভ নববর্ষ :)

৫০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮

দীপান্বিতা বলেছেন: কি সাঙ্গাতিক!! ...নতুন বছর মজার আইডিয়ার গল্প চাই...শুভ নববর্ষ :)

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চেষ্টা থাকবে অবশ্যই...শুভ নববর্ষ :)

৫১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
শঙ্কু,
গল্পের ছলে আপনার ক্ষোভ আর হতাশা ভালোই ঝেড়েছেন। লেখাটি খুব একটা ভালো লা লাগলেও মন্তব্যে ভূয়সী প্রশংসা পড়ে মনে হচ্ছে। গল্পটির উপযুক্ত পাঠক হয়তো আমি না।

*এই বই ওই বই, বিদেশি ম্যাটেরিয়াল মেরে একগাদা আবর্জনা।
*লেখক হতে গেলে প্রচার প্রসার দরকার।
*বড় কথা হচ্ছে ওখানে সাইকো টাইপের কিছু লিখলে সেটাকে গল্প বলেই সবাই ভেবে নেয়।

আপনার তীক্ষ্ণ পাঠক দৃষ্টি আমাকে অভিভূত করলো। অনুসরণে রাখলাম।
বইটি সংগ্রহের ইচ্ছে রাখি। পড়তে থাকুন, লিখতে থাকুন।

শুভ কামনা।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক সময় কিন্তু প্রশংসা অপাত্রেই যায় :) কিন্তু পাঠক উপযুক্ত থাকেন সবখানে। সুতরাং ভাবনার কিছু নেই।

আর বইটই আসলে বেরয়নি, ওটা গল্পের একটা অংশ।

আপনি এই প্রথম সম্ভবতঃ এলেন আমার ব্লগে। স্বাগত জানাচ্ছি। শুভরাত্রি।

৫২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: হুম; খুনটা তাহলে সত্যি করেছেন!! দাঁড়ান আইতাসি পুলিশ নিয়া :P ;)

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: করে কি করে কি, এমন করলে কেমন হয় :) :)

৫৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: কী কমু বুঝতাসি না! মারামারি-কাটাকাটি-রক্তারক্তি-এটাসেটা ছোটবেলায় টানতো, তারপরে যখন জ্ঞান হওয়ার পরে আমার হাতে কেন, কারো হাতে একটু পিস্তল দেখলাম না, সাসপেন্স আর থ্রিলার বলতে দেখলাম ট্র্যাফিকজ্যাম আর লোডশেডিং, এখন অ্যাকশন-থ্রিলার-সাইকো সামনে পড়লে আর আগের মত টানে না! আপনারটা পরে গেলাম আপনার লেখনীর কারনে, ঠিক যে পরিমান বিরক্তি বর্ণনাতে তৈরী করতে চেয়েছেন তাতে পুরাই সফল, স্রেফ ঘিনঘিন করে উঠল!

ভিত্রের স্যাটায়ার দিয়া শেষ বাড়ি দিসেন!

আমাদের ব্লগের কয়েকজনের সাইকো-থ্রিলার লেখার হাত এত ভাল, মানে ভাষা আর বর্ণনাশৈলী, আমি মাঝেই মাঝেই পড়ে ফেলি! দেখি আমিও একটা সাইকো লেখার ট্রাই করুম!

শুভকামনা রইলো প্রফেসর!


২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :) কবিকে পোস্টে পেয়ে আনন্দিত হলাম! আসলে আমাদের নৈতিকতা ধূসর হয়ে যাচ্ছে ক্রমশঃ, তাই হয়তো যেসব গল্প স্রেফ ফ্যান্টাসি হিসেবেই লেখা হত, সেগুলো এখন আধো-বাস্তব আধো-কল্পনার উপাদানে ভরপুর হয়ে গেছে।

আপনার সাইকো থ্রিলার পড়ার ইচ্ছা পোষণ করছি। তাড়াতাড়ি লিখে ফেলেন।

শুভরাত্রি।

৫৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১৭

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: তাই হয়তো যেসব গল্প স্রেফ ফ্যান্টাসি হিসেবেই লেখা হত, সেগুলো এখন আধো-বাস্তব আধো-কল্পনার উপাদানে ভরপুর হয়ে গেছে। - আপনাকে মনে রাখতে হবে প্রোফেসর, মানুষ চাঁদ ছুয়ে ফেলেছে, সে তার কোনো ফ্যান্টাসী না ধরে থাকতে চায় না! তবে কিন্তু এখনও ফ্যান্টাসি আমাদের যাপিত বাস্তবতার কত অংশ, সেইটা একটা ভাবার বিষয় বটে! মানুষ সাধারণত আর্টের মধ্যে প্রথমেই বৈচিত্র খোঁজে নাকি? তার চারপাশে যা, তার বিপরীত কিছু দেখতেই যেন ভাল লাগে, যখন আমি আর্টের বিনোদন চাই! যেমন বিদেশে দেখবেন আমাদের এখানকার দারিদ্র বেশ ভাল বিক্রি হয়, অরা এইগুলা দেখতে পছন্দ করে। আবার আমাদের গার্মেন্টস এর মেয়েটা সাকিব খানের বিপরিতের চৌধুরী কন্যাকে দেখতে ভালোবাসে, ঠিক অইরকম একটা থ্রিলার সাস্পেন্সের অভাব কী আমাদের সাইকো থৃলার ভালো লাগাচ্ছে? আমাদের বাংগালী জীবনে পাহাড়ে উঠবার ফটোশপ থৃলার আর লোডশেডিঙ্গের সাস্পেন্স যাতনা ছাড়া আর কী আছে! হরতালের দিনে জীবন বাজি রেখে অফিস যাওয়াটা অবশ্য আমি অ্যামাজনে মানুষখেকো অঞ্চলে অভিযানের সমতুল্য ধরি! হা হা!

** ইয়ে, এইটারে বলে বোধ হয় অফ টপিক মন্তব্য!

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কিন্তু এখনও ফ্যান্টাসি আমাদের যাপিত বাস্তবতার কত অংশ, সেইটা একটা ভাবার বিষয় বটে!

আমার ধারণা, প্রতিদিনের জীবনযুদ্ধে একই রকম বাস্তবে বেঁচে থাকতে থাকতে মানসিক ক্লান্তি এসে পড়ে। আমরা অন্য কিছু খুঁজি। এইটেই ফ্যান্টাসি জাঁনরের আকর্ষণীয় হবার কারণ। আমরা দুর্বল বলেই আমাদের সিনেমায় নায়ক একাই দশজনকে ঠ্যাঙায়, আমরা সাধারণ বলেই আমাদের রোল মডেলরা হন অসাধারণ, আমরা বাস্তব ছেড়ে পালাতে চাই বলেই বিনোদন বলতে এখন এস্কেপিজম বোঝায়। এতে অন্য এক জগতে প্রবেশের আনন্দ মেলে। সুতরাং থ্রিলার সাসপেন্সের অভাব আর সাইকো থ্রিলারের জনপ্রিয়তা- দুটো সম্পর্কযুক্ত নিঃসন্দেহে!

কিন্তু সমস্যা তখনই শুরু হয়, যখন এটা সাহিত্যের একটা শাখার ভুমিকা ছেড়ে পুরো সাহিত্যকেই গ্রাস করা শুরু করে দেয়। অবাস্তব, কাল্পনিক সব বিষয়কে আমরা বাস্তবের মাঝে অজান্তে বুনতে শুরু করি, সেই সাথে যেহেতু নেগেটিভ বিষয়গুলোই আমরা আত্মস্থ করি বেশি, তাই দুটো মিলে হতাশাজনক একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবার সম্ভাব্যতা বেড়ে যায়। মানুষ যেমনটা সাহিত্যকে পালটে দিতে পারে, সাহিত্যও তেমন মানুষকে পালটে দেয় বৈকি! এই নিয়ে আরও আলোচনা করা যাবে 'খন :)

**কই না তো, অন টপিক-ই ছিল তো! আর অফ-টপিক মন্তব্য পেলে বিশাল রকমের খুশি হই!

ধন্যবাদ কবি।

৫৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩৩

সোমহেপি বলেছেন: নাহ আমার তাহলে লেখক হওয়া হবে না!


গল্পটা বেশি ভালো লাগে নি। গল্পের কোরিওগ্রাফিটা পছন্দ হয়েছে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হবে না কেন? অবশ্যই হবে।

দেখি, পরের গল্পটা আপনার ভাল লাগে কিনা! পড়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

শুভরাত্রি।

৫৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৬

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: গল্পটি পড়তে পড়তে মনে হলো সত্যিই বুঝি হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি মেরে একের পর এক খুন করে চলেছেন। মারাত্মক আকর্ষণীয় গল্প।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক দিন পর আপনাকে দেখলাম। ভাল আছেন নিশ্চয়ই?

৫৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: অনেকদিন পর ভিন্ন স্বাদের একটা গল্প পড়লাম। চমৎকার লিখেছেন শঙ্কু ভাই। আপনার গল্প পড়ে মনে হয় যেন গল্প না, আপনার বাস্তব জীবন থেকে নেয়া কোন অংশ পড়লাম

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :) ধন্যবাদ ইলিউশনিস্ট!

৫৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ব্লগে বেশ অনিয়মিত হয়ে পড়েছি, কখনো সখনো হয়তো উঁকি দেবার ফুরসৎ হয় তাও কয়েক পলকের জন্য। আপনার এই চমৎকার গল্পটা মনে করিয়ে দিলো কী দারুণ এক রহস্যময় পরিপূর্ণ জগৎ থেকে ছিটকে পড়ছি ধীরে ধীরে :(

অনেক ভাল থাকুন, আর চমৎকার সব গল্প উপহার দিতে থাকুন সহব্লগারদের।

শুভেচ্ছা :)

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আশা করি দ্রুতই নিয়মিত হতে পারবেন, মিস করি আপনাকে :(

ভাল থাকুন আপনিও, শুভরাত্রি :)

৫৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৭

আপেক্ষিক বলেছেন: অনিয়মিত ছিলাম।আপনাকে অবশেষে খুজে পেলাম। লেখাটা পড়ে ভাল লাগল। নৃশংস!!! কেমন আছেন?????

০১ লা মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমিও এখন কিছুটা অনিয়মিত হয়ে গেছি। ভাল লাগল আপনাকে দেখে।

অনেক ভাল আছি :) আপনি ভাল আছেন আশা করি।

৬০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৬

আরজু পনি বলেছেন:

বই বেরুচ্ছে না বিশ্বাস করতাম , গল্প ভেবেও নিতাম, কিন্তু ট্যাগে তো লেখা রকমারীতে জুন থেকে পাওয়া যাবে !

০১ লা মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ট্যাগও গল্পের অংশ! সত্যি ভাবার কোন কারণ নেই :)

৬১| ০১ লা মে, ২০১৪ রাত ২:৪৭

মশিকুর বলেছেন:
নিঃসন্দেহে নৃসংশ বর্ণনা। সাধারনত সাইকো থ্রীলারে প্রতিদিনকার ব্যবহৃত পেন্সিল, সুঁই, কাঁটাচামচ, হাতুড়ি ইত্যাদি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হয়, এতে বীভৎসতা বাড়ে। আসলে মরবে কিনা, কিংবা মরতে সময় কত লাগবে সেটা আলোচনার বাহিরে থাকে। প্রফেশনাল খুনিদের সাথে এটা অবশ্য একটা পার্থক্য।

আমি অবশ্য বীভৎসতার পক্ষে, "ধরুন হাত পা বেঁধে চোখের মনির ছোট কালো অংশটায় একটি সুঁই ঢুকিয়ে দেয়া যেতে পারে। তারপর একমিনিটের সাক্ষাৎকার। কেমন লাগছে, কি ইচ্ছা করছে এই টাইপের। কাঁটাচামচটা ডান ঘারে কয়েকবার... শেষে হাতুড়ি চোখের সাথে নরম জায়গায়..." -আমি সাধারানত এমন বর্ণনায় চোখ বন্ধ করে ফেলি :(

গল্পের সাবচেয়ে ভালো লেগেছে বিবর্তিত লেখক হয়ে ওঠাটা। আত্নবিশ্বাস বাড়ানোর পন্থা... যাহোক আপনার গল্প মানেই অন্য কিছু আবারো প্রমান হোল :)

ভালো থাকুন।।

০১ লা মে, ২০১৪ রাত ৩:২৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমি অবশ্য বীভৎসতার পক্ষে, "ধরুন হাত পা বেঁধে চোখের মনির ছোট কালো অংশটায় একটি সুঁই ঢুকিয়ে দেয়া যেতে পারে। তারপর একমিনিটের সাক্ষাৎকার। কেমন লাগছে, কি ইচ্ছা করছে এই টাইপের। কাঁটাচামচটা ডান ঘারে কয়েকবার... শেষে হাতুড়ি চোখের সাথে নরম জায়গায়..."

এরকম বর্ণনা মানে তো তীব্রভাবে বীভৎস! পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ মশিকুর, ভাল থাকবেন :)

৬২| ০১ লা মে, ২০১৪ বিকাল ৩:২০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নতুন লেখা কবে দিচ্ছেন ?

০১ লা মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মাথার ভেতরে দুই একটা আইডিয়া ঘুরছে, কিন্তু কাজের চাপে ঠিকমত সময় করে উঠতে পারছি না। পাঁচ-ছ দিনের মাঝে একটা কিছু লিখতে পারব আশা করছি।

শুভ বিকেল।

৬৩| ০১ লা মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কাজের প্রেসার থাকলে অনেকেরই দেখছি লেখার আইডিয়া ঘোরে ! B-) এনিওয়ে, মেইল চেক করবেন সময় পেলে।

০২ রা মে, ২০১৪ রাত ১২:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অবশ্যই! :)

৬৪| ০৯ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:১২

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:


নিজের লেখা নিয়ে যেমন নিরীক্ষা চালিয়েছেন তেমনি পাঠককেও নিজের মত করে ভাবনার অবকাশ দিয়েছেন ৷ ভাষা ও প্রকাশভঙ্গি নিয়ে পাঠককে লেখায় নীবিড় ধরে রাখার বেশ আকর্ষণ আছে লেখায় ৷ প্লট খানিকটা রূঢ় হলেও কথারছলে উতরে গিয়েছেন অনেকখানি ৷ ভাল থাকবেন ৷

০৯ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ, আল জাহাঙ্গীর। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৬৫| ১০ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:০৯

গোঁফওয়ালা বলেছেন: আমি বলবো এককথায় অসাধারণ !- এক নিঃশ্বাসে পড়লাম ঝর ঝরে লেখাটা। সাবলীল লেখা হলে বোধ হয় মুগ্ধ হয়ে পড়া যায় ! আপনার লেখায় সেই তৃপ্তিটা রয়েছে। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইলো।

১০ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:২৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, গোঁফওয়ালা। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্যেও।

৬৬| ১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮

বিলয় বিন্দু বলেছেন: কমেন্ট এর অপশন অফ ছিল,তাই কমেন্ট করতে পারিনি।

একটা সত্যি কথা বলি যে,গল্পটা যখন পড়ছিলাম তখন মনে হচ্ছিল যে আমি গল্পটার মধ্যে।সার শরীর কাঁটা দিয়ে উঠছিল।
একটা ব্যাপার, চোখের সামনে এরকম না ঘটলে কিভাবে এতো নিখুঁত বর্ণনা দেওয়া সম্ভব?

১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:১৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা। চোখের সামনে ঘটতেও তো পারে, নাকি? :)

৬৭| ২২ শে মে, ২০১৪ ভোর ৪:৩৪

আমি সাজিদ বলেছেন: পৈশাচিক!!

২২ শে মে, ২০১৪ ভোর ৫:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: তাহলে ঠিক আছে :)

৬৮| ২২ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১

তওসীফ সাদাত বলেছেন:


একই রকম থিম আমার মাথায় ছিল !!! কোন একটা মুভি দেখে আসছিল আইডিয়া টা, আপনি তো লিখেই ফেললেন !!

অবশ্য থিম থাকলেও, আমি উৎসাহ পাচ্ছিলাম না লেখার !!! :P :P

২২ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:০৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনারটা পড়তে নিশ্চয়ই একটু অন্যরকম লাগত! লিখে ফেলেন।

৬৯| ২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:২৬

আহমাদ ইবনে আরিফ বলেছেন: লেখাটা আলফ্রেড হিচককের হাতে পড়া উচিত ছিল।

২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৪১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা!! মজা পেলাম আপনার কথা শুনে!

৭০| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:২১

ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: অসাধারণ, গল্পের মধ্যে একটা গল্প। আবার তার মধ্যে আবার বাস্তব, ব্লগ... প্রকাশনী সব মিলে খুবই মগ্ন হয়ে গিয়েছিলাম।
এবং আমি 'নির্বাচন' নিয়ে প্রচুর গুগলিং ও করলাম। :|

০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: খুঁজে পান নাই তো আবার:|

ধন্যবাদ :)

৭১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২

আদ্রিতা বলেছেন: মারাত্বক! আবার ফিরে আসবো এ ব্লগে নতুন কিছু পড়বার জন্যে :)

০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:১২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: খুশি হলাম প্রতিশ্রুতি পেয়ে।

ভাল থাকুন।

৭২| ২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:১১

is not available বলেছেন: অসাধারণ! এত গুণী লেখক এই ব্লগে আছেন! এই ব্লগ ছেড়ে কোত্থাও যাব না-সিওর!

২২ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় পাঠক। শুভেচ্ছা রইল।

৭৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৪৯

রাজিব বলেছেন: এ ধরনের গল্প আমার পছন্দ না তবে গল্পটি বেশ ভাল হয়েছে আপনার দক্ষতার কারণে।

৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৭৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২৯

চড়ুই বলেছেন: ভাল হয়েছে।

৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ, চড়ুই।

৭৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

ইশতিয়াক মাহমুদ বলেছেন: হোলি শিট!!

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা পবিত্র পায়খানা :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.