নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বর্গ-পৃথ্বী অন্তঃস্থলে, বহুকিছু ফিরে-চলে, যাহা বিস্ময়কর

প্রোফেসর শঙ্কু

বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়

প্রোফেসর শঙ্কু › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুবাদ গল্পঃ হ্যারিসন বার্জেরন (কার্ট ভনেগাৎ)

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০৭

২০৮১ সালের কথা। অবশেষে মানুষেরা সম-অধিকারের ব্যাপারটা শিখে নিয়েছে ঠিকঠাক। কেবল ঈশ্বরের চোখে কিংবা আইনের চোখে নয়, এই সমতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। কারো চেহারা একটু 'বেশি' ভাল ছিল না, কারো শক্তি 'বেশি' ছিল না; কিংবা দৌড়ের গতি অন্যদের চেয়ে 'বেশি' দ্রুত ছিল না। সবাই সমান। কোন কমবেশি, কোন বৈষম্য নেই। এই অনন্য সমতার খুঁটি হিসেবে কাজ করেছিল সংবিধানের ২১১, ২১২ আর ২১৩ নম্বর বিধি, এবং বিধিটিকে সাধারণ জীবনে প্রয়োগ করার জন্য ইউনাইটেড স্টেটস হ্যান্ডিক্যাপার জেনারেলের অধীনে দিনরাত কাজ করা এজেন্টদের অন্তহীন একাগ্রতা।



অবশ্য দুই একটা বিষয় তখনো ঠিক সন্তোষজনক ছিল না। এপ্রিল মাসের কথাই ধরা যাক, মানুষ এই বিচ্ছিরি মাসটায় 'এখনো কেন বসন্ত আসে না' এই চিন্তায় খেপে থাকত। আর এই বিচ্ছিরি মাসেই, জর্জ এবং হেজেল বার্জেরনের চোদ্দ বছরের ছেলে, হ্যারিসনকে এজেন্টরা ধরে নিয়ে গেল।



ব্যাপারটা দুঃখের সেটা ঠিক (হাজার হলেও ছেলে!) , কিন্তু জর্জ আর হেজেল এই বিষয়ে খুব একটা মাথা ঘামাল না। হেজেলের মাথায় গড়পড়তা বুদ্ধি, তাঁর মানে কোন একটা বিষয়ে সে সংক্ষিপ্ত, সর্বোচ্চ কয়েক সেকেন্ডের জন্য চিন্তা করতে পারত। আর জর্জের বুদ্ধি সাধারণের চেয়ে একটু বেশি হওয়ায়, তার কানে ছোট্ট একটা হ্যান্ডিক্যাপ রেডিও গুঁজে রাখতে হত। রেডিওটা সবসময় পরে থাকা বাধ্যতামূলক। জিনিসটা একটা সরকারি ট্রান্সমিটারের সাথে টিউন করা, প্রতি বিশ তিরিশ সেকেন্ড পরপর তাতে বেজে উঠত কোন না কোন তীক্ষ্ণ কর্ণবিদারী শব্দ; যাতে জর্জের মতো মানুষেরা তাদের মস্তিস্ককে অন্যায্য চিন্তাভাবনার কাজে লাগিয়ে বাড়তি সুবিধা নিতে না পারে।



জর্জ আর হেজেল টিভি দেখছে। হেজেলের চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানির ফোঁটা, কিন্তু এই মুহূর্তে ওর মনে নেই ঠিক কি কারণে কাঁদতে শুরু করেছিল ও।



টিভির স্ক্রিনে দেখাচ্ছে ব্যালে-নৃত্য।



জর্জের মাথার ভেতরে ভারি একটা শব্দ বজজবজজ করে ওঠে। গৃহস্থের সাড়া পেলে লিকলিকে চোর যেমন করে পালায়, মাথার ভেতরে শব্দভীতু ভাবনাগুলো এই ধ্বনি-চিকিৎসায় অতিষ্ঠ হয়ে তেমনি ভেগে গেল চুপচাপ।



-'ভালই তো নাচে মেয়েগুলো, সুন্দর লাগে, তাই না?', হেজেল বলে।

বিভ্রান্ত জর্জ নড়েচড়ে ওঠে, 'হাহ?'

-'ব্যালেরিনাদের নাচটা, সুন্দর না?'



'হু,' জর্জ সম্মতি দেয়। স্ক্রিনে তাকিয়ে একটু ভাবার চেষ্টা করে ব্যালেরিনাদের নিয়ে। ওদের নাচ আসলে খুব একটা ভাল ছিল না, অন্য সবাই চেষ্টা করলে যতটা ভাল নাচতে পারত তেমনি; সাধারণই বলা চলে। তাদের ঘাড়ে-গলায় ওজনদার ব্যাগ ঝোলানো, যাতে ভুল করে হলেও নাচের অসাধারণ কোন ভঙ্গি দেখাতে না পারে; মুখে মুখোশ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে এদের কারো সুন্দর চেহারা দেখে আরেকজনের মনে হীনমন্যতা সৃষ্টি না হয়। এসব জিনিস চাপিয়ে দিয়ে নর্তকীদের হয়তো ভারাক্রান্ত করা উচিত না, এরকম একটা অস্পষ্ট চিন্তা ওর করোটিতে রূপ নিতে থাকে; কিন্তু কানের রেডিওতে আরেকটা কর্কশ শব্দ আবার বিক্ষিপ্ত করে দেয় সবকিছু।



জর্জ সামান্য ছিটকে ওঠে, ওর সাথে সাথে স্ক্রিনে আটটা মেয়ের মাঝে দুজন ব্যালেরিনা-ও চমকে যায়, নাচের তাল ভুলে দাঁড়িয়ে পড়ে।



হেজেল ওকে নিঃশঙ্কচিত্তে দেখে। যেহেতু তাঁর নিজের কোন হ্যান্ডিক্যাপ যন্ত্রপাতি পরা নেই, তাই সে জর্জকে জিজ্ঞেস করে সাম্প্রতিক শব্দটা শুনতে কেমন।



'মনে হচ্ছিল কেউ একটা দুধের খালি বোতলকে হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছে,' ও উত্তরে বলে।

-'আমার তো জিনিসটা বেশ ইন্টারেস্টিং লাগে, জানো? কত বিচিত্র শব্দ শোনা যায়', হেজেলের কণ্ঠে ঈর্ষা, 'এজেন্টরা এত সব অদ্ভুত শব্দ বানায় কি করে?'

'আমম...', কি বলবে বুঝে উঠতে পারে না জর্জ।

-'আমি হ্যান্ডিক্যাপার জেনারেল হলে কি করতাম, জানো?' হেজেল উজ্জ্বল চোখে বলে। সত্যি বলতে হেজেলের চেহারার সাথে হ্যান্ডিক্যাপার জেনারেল, জনাবা ডায়ানা মুন গ্ল্যাম্পারস-এর অদ্ভুত সাদৃশ্য ছিল। 'আমি জেনারেল হলে প্রতি রোববারে ঘণ্টা বাজাতে বলতাম-মিষ্টি ঘণ্টার শব্দ। ধর্মকে শ্রদ্ধা জানানোও হয়ে যেত একসাথে।'

'ঘণ্টার শব্দ হলে তো আমি ভাবতে পারতাম', জর্জ বলে।

-'ধরো অনেক জোরে জোরে বাজাতাম, তাহলে? হোতো না?' হেজেল আপনমনে বিড়বিড় করে, 'মনে হয় অনেক ভাল একজন জেনারেল হতাম আমি।'

'হলে অন্যদের মতই হতে! আমরা সবাই সমান, মনে আছে?' জর্জ বলে।

-'আছে তো! আমার চেয়ে ভাল কে জানে এই কথা?' হেজেল হাসে।



'তা ঠিক', ও স্বীকার করে। ক্ষণিকের জন্য ওর আবছা আবছাভাবে মনে হয় নিজের অস্বাভাবিক ছেলের কথা, এখন যাকে আটকে রাখা হচ্ছে জেলে। কিন্তু কানের ভেতরে একুশ দফা কামান দাগার বিকট শব্দ ভুলিয়ে দেয় সব দুশ্চিন্তা।



'ব্বাস', হেজেল ওর দিকে তাকিয়ে বলে, 'এবারে খুব লেগেছে, না?'



এবারে এতোটাই জোরে লেগেছে যে জর্জের মুখ পুরো সাদা হয়ে যায়, সারা শরীর অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাঁপছে। আটজন ব্যালেরিনার দুজন হাঁটু ভেঙে পড়ে গেছে স্টুডিয়োর মেঝেতে, দুই হাতে মাথা চেপে গোঙাচ্ছে।



'খুব দুর্বল দেখাচ্ছে তোমায়,' হেজেল বলে, 'সোফায় হাত পা ছড়িয়ে শোও তো লক্ষ্মীটি, তোমার হ্যান্ডিক্যাপ ব্যাগটার ওজন বালিশের ওপরে দাও।' জর্জের গলায় বাঁধা সাতচল্লিশ পাউন্ড ওজনের ক্যানভাসের ব্যাগটার কথা বলছিল ও, যার ভেতরটা অসংখ্য তামার ছোট ছোট বলে ভরতি, 'ওজনটা কমলে ভাল লাগবে তোমার। ক্ষণিকের জন্য আমরা দুজন সমান না হলে কিছু যায় আসে না।'



জর্জ হাতে ব্যাগটার ওজন অনুভব করে। 'থাকগে', ও বলে, 'এখন আর ভারি লাগে না জিনিসটা। শরীরের অংশই হয়ে গেছে বলতে গেলে।'



'কদিন ধরে তোমাকে খুব ক্লান্ত, দুর্বল লাগছে,' হেজেল সহানুভূতিপূর্ণ গলায় বলে, 'যদি কোন একটা ব্যবস্থা করা যেত, যদি শুধু ব্যাগের নিচে ছোট্ট একটা ফুটো করে তামার কয়েকটা বল সরাতে পারতাম! বেশি না, এই দুই-চারটা।'



'একটা বল সরালে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড, আর দুই হাজার ডলার জরিমানা,' জর্জ বলে, 'এত ঝামেলায় কে যাবে, শুনি?'



'কাজ থেকে বাসায় আসার পরে যদি সরাও? ওজন কমিয়ে তুমি তো কারো সাথে পাল্লা দিতে যাচ্ছ না, স্রেফ বসে বিশ্রাম নেবে।'



'শোন, আমি যদি এরকম চুরি করে সুবিধা নেওয়া শুরু করি, দেখাদেখি বাকিরাও তাই করবে। তারপর দেখা যাবে আমরা আবার অন্ধকার যুগে ফিরে গেছি, মানুষ আবারো ইঁদুরদৌড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে, মানবসভ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তোমার কি ভাল লাগবে তাতে?'

-'মোটেই না!', হেজেল বলে।

'তাহলে বোঝো। মানুষ নিয়মকানুন মেনে না চললে সমাজের কি অবস্থা হত, ভেবে দেখেছ কখনো?'



হেজেল প্রশ্নের জবাব না দিতে পেরে যদি ফের জিজ্ঞেস করত, খুব একটা লাভ হত না। কারণ জর্জের মাথায় এই মুহূর্তে চড়াসুরে কর্কশ সাইরেন বাজছে একটা।



-'হয়তো ভেঙে পড়ত সবকিছু', উত্তর দিতে পেরে হেজেলকে খুশি দেখায়।

'কি ভেঙে পড়ত?', জর্জ শূন্য দৃষ্টিতে বলে।

-'সমাজ', হেজেল অনিশ্চিত হয়ে পড়ে, 'এই এখনই এইটেই জিজ্ঞেস করলে না তুমি?'

'কি জানি!'



টিভির প্রোগ্রামটা হঠাৎ থামিয়ে খবর প্রচার করা শুরু হয়, এক নার্ভাস স্যুটটাইপরা লোক স্টেজের মাঝখানে এসে একতাড়া কাগজ হাতে কিছু বলার চেষ্টা করে। প্রথমে বোঝা যাচ্ছিল না কি বলা হচ্ছে, কারণ অন্য সব খবর-পাঠকের মতো সুরেলা কণ্ঠ ঢাকবার জন্য এই লোকেরও ভোকাল হ্যান্ডিক্যাপ লাগান আছে, আর উত্তেজিত হলে ভোকাল হ্যান্ডিক্যাপ যন্ত্রটা উচ্চারণ করার ক্ষমতাই বন্ধ করে দেয়। প্রায় আধমিনিট ধরে লোকটা বলার চেষ্টা করল, 'সুধী দর্শকবৃন্দ', কিন্তু শেষমেশ কিছুই বলতে না পেরে এক ব্যালেরিনার হাতে কাগজ ধরিয়ে দিয়ে মুখ ঢেকে চলে গেল বাইরে।



'আহা, বেচারা লজ্জা পেয়েছে,' হেজেল সান্ত্বনার সুরে বলে, 'লজ্জা পাওয়ার কি আছে? ঈশ্বর ওকে যা দিয়েছেন তাই নিয়ে চেষ্টা করেছে, এটাই বড় কথা। এত সাহস দেখানোর জন্য বরং ওর বেতন বাড়িয়ে দেওয়া উচিৎ।



'সুধী দর্শকবৃন্দ,' ব্যালেরিনা কিছুটা অপ্রস্তুত কণ্ঠে কাগজ দেখে পড়তে শুরু করল। মেয়েটা নিশ্চয়ই অসাধারণ সুন্দরী, কারণ তার চেহারা ঢেকে রাখা মুখোশটা ভীষণ কদাকার দেখতে। তার হ্যান্ডিক্যাপ ব্যাগটাও অস্বাভাবিক বড়, ভারি; সাধারণতঃ দু'শ পাউন্ড ওজনের মানুষেরা এরকম ব্যাগ নিয়ে ঘোরে। এর মানে মেয়েটা নিশ্চয়ই সবগুলো নর্তকীর মাঝে সবচেয়ে শক্তিশালি এবং সবচেয়ে সুন্দরী।



ব্যালে-নর্তকীর গলার স্বর উষ্ণ, মিষ্টি, অস্বাভাবিক সুরেলা একটা টান আছে; ভদ্রমহিলাদের মত স্বাভাবিক নয় মোটেই। তাই সে দর্শকদের কাছে নিজের কণ্ঠের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেয়, 'মাফ করবেন,' তারপর একঘেয়ে ঘড়ঘড়ে প্রাণহীন গলায় কাগজের বাকি অংশ পড়তে থাকে।



'হ্যারিসন বার্জেরন নামক জনৈক চোদ্দ বছর বয়স্ক কিশোর', মেয়েটা প্রায় কিচকিচ করে বলতে থাকে, 'আজ সকালে কারাগার থেকে পলায়ন করে। সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করার সন্দেহে তাকে আটক করা হয়েছিল। সে মারাত্মকভাবে প্রতিভাবান, একজন প্রশিক্ষিত ক্রীড়াবিদ, এবং সাংঘাতিক বিপদজনক ব্যক্তি। পালানোর সময় তার শরীরে একাধিক হ্যান্ডিক্যাপ পরানো ছিল। এই ভয়ানক অপরাধীকে ধরিয়ে দেবার জন্য রাষ্ট্রের সকল সুনাগরিকদের বিনীত অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।'



বিভিন্ন কোণ থেকে তোলা হ্যারিসনের একাধিক ছবি স্ক্রিনে দেখানো হয় কয়েকবার। তারপর ওর দাঁড়ানো অবস্থায় তোলা একটা ছবিকে ফুট-ইঞ্চির হিসাবে দেখান হয়। ছেলেটা পুরো সাত ফুট লম্বা।



হ্যারিসনের ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছিল হ্যালোউইনের দিনে লোহাদানো সেজে বেড়িয়েছে। রাষ্ট্রের সবচে ভারি হ্যান্ডিক্যাপগুলোতে তার শরীর ঢাকা। সমতার স্বার্থে বয়স বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে ক্রমাগত তার হ্যান্ডিক্যাপগুলোকে আরও ভারি, আরও উন্নত করতে হয়েছে। ছোট্ট রেডিওর বদলে তার কান ঢেকে রেখেছে একজোড়া দানবাকার ইয়ারফোন, উজ্জ্বল চোখ দুটোকে ঘোলাটে করে রেখেছে একজোড়া পুরু কাঁচের লেন্স। এই লেন্স তার দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে দিয়ে অন্ধপ্রায় করে রাখে, আর সবসময় তীব্র মাইগ্রেনের ব্যথা জোগান দেয়।



তার সারা শরীর আঁকড়ে ঝুলছে বিশাল বিশাল ভারি লোহার খণ্ড। সাধারণতঃ শক্তিশালি মানুষদের জন্য যে হ্যান্ডিক্যাপ ব্যাগ দেওয়া হয়, সেটা মোটামুটি দেহের সাথে মানিয়ে যায়, কেতাদুরস্ত লাগে দেখতে। কিন্তু হ্যারিসনকে দেখে মনে হচ্ছে হেঁটে-চলে বেড়ানো জীবন্ত এক ভাঙারি দোকান। দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন চোদ্দ বছর বয়েসি এই ছেলেটা শরীরে তিনশ পাউন্ডের হ্যান্ডিক্যাপ ওজন নিয়ে ঘোরে।



হ্যারিসন দেখতে ভাল ছিল বলে, এজেন্টরা তার নাকে লাল রাবারের বিতিকিচ্ছিরি একটা বল লাগিয়ে দিয়েছিল, চেঁছে দিয়েছিল পুরুষ্টু ভুরূদুটো। দশে পড়ার আগেই তার সমান ধবধবে শাদা দাঁত ঢাকা থাকত কালো কুচকুচে দুর্গন্ধময় আবরণ দিয়ে।



'প্রিয় নাগরিকগণ, যদি আপনারা এই ঘৃণ্য শ্রেণীবাদি অপরাধীকে দেখতে পান, তবে কোনোক্রমে তার সাথে যুক্তিতর্ক করতে যাবেন না। আমি আবারো বলছি, যদি আপনারা একে দেখতে পান, সরাসরি এজেন্টদের খবর দেবেন, কোনোমতেই যুক্তিতর্ক করতে যাবেন না।'



মেয়েটার পেছন থেকে হঠাৎ কব্জা থেকে উপড়ে ফেলা দরজার মড়মড় আর্তনাদ ভেসে আসে।



টিভির স্ক্রিন থেকে উড়ে আসা হুড়োহুড়ি, চিৎকার, ধাক্কাধাক্কির উন্মাতাল শব্দে হেজেল আর জর্জের ঘরটা ভরে যায়। হ্যারিসনের ছবিটা ঝাপসা হয়ে কাঁপতে থাকে, যেন ভূমিকম্পের তালে তালে নেচে যাচ্ছে।



জর্জ মুহূর্তের মাঝে ভূমিকম্পের উৎসটা চিনে ফেলে। এর আগে এই একই তালে কতবার তার বাসাটি নড়ে উঠেছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। 'ইয়াল্লা,' ওর কণ্ঠে বিস্মিত উপলব্ধির ছাপ, 'ওইতো হ্যারিস--!'



কথা শেষ করার আগেই মাথার ভেতরে দুটো মোটরগাড়ির সংঘর্ষের ধাতব কিরকির শব্দে চোখ বন্ধ করে ফেলতে বাধ্য হয় জর্জ। বেশ কিছুক্ষণ পর আবার যখন ও চোখ খোলে, স্ক্রিন থেকে হ্যারিসনের ছবিটা উধাও হয়ে গেছে। সেখানে এখন দেখা যাচ্ছে একশভাগ জীবন্ত, রাগান্বিত আস্ত হ্যারিসনকে।



সার্কাসের ক্লাউনের মতন চেহারা নিয়ে, সারা শরীরে লোহার ধাতব শব্দ নিয়ে, স্টুডিয়োর ঠিক মাঝখানটায় ঋজু দাঁড়িয়ে আছে কিশোর অপরাধী। তখনো তার হাতে ধরা উপড়ানো দরজার নব। সবাই, ব্যালেরিনা-মিউজিশিয়ান-ক্যামেরাম্যান, সবাই হাঁটু গেড়ে মাথা নিচু করে ভয়ে থরথরিয়ে কাঁপছে; জানে, মৃত্যু সুনিশ্চিত।



'আমি তোমাদের সম্রাট!' হ্যারিসন অস্বাভাবিক ভারি গলায় হাঁক ছাড়ে। 'মহাপরাক্রমশালি সম্রাট, বুঝলে! আমি যা বলব তাই করতে হবে সব্বাইকে।' কথার গুরুত্ব বোঝাতেই হয়তো, সে মেঝেতে পদাঘাত করে একবার, তাতেই পুরো স্টুডিয়ো কেঁপে ওঠে।



'দেখ, ওরা আমাকে পঙ্গু করে, হ্যান্ডিক্যাপ পরিয়ে প্রতিবন্ধী বানিয়ে রেখেছে,' সে নিজেকে দেখিয়ে গর্জন করে ওঠে, 'তারপরেও কেউ ঠেকাতে পারে নি, কিচ্ছুটি করতে পারে নি। এখন ওরা চেয়ে দেখবে আমি কি করতে পারি।' বলে হ্যারিসন শরীরের লোহার বাঁধন, যা কিনা পাঁচ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত চাপ স্বচ্ছন্দে নিতে পারে, সেটাকে ভেজা টিস্যু পেপারের মত অবলীলায় ছিঁড়েখুঁড়ে ফেলে।



ও শরীর ঝাড়া দেয়, গায়ে ঝালাই করা লোহার খণ্ডগুলো টুংটাং করে খসে পড়ে মেঝেতে।



মাথায় পরানো শক্ত হারনেসে আঙুল ডুবিয়ে সামান্য চাপ দিতেই ওটা শোলার মত মটমটিয়ে ভেঙে যায়। ইয়ারফোন আর পুরু চশমা ছুঁড়ে ফেলে দেয়ালে, শতখণ্ড হয়ে যায় সেগুলো। নাকের লাল বলটা খুলে ফেলে দেয় মেঝেতে।



ক্রমে ক্রমে এরকম সবগুলো হ্যান্ডিক্যাপ সরিয়ে নিলে হ্যারিসনের আসল মুখটা উন্মোচিত হয়। এরকম একটা অভিজাত, রাজকীয় চেহারা দেখলে বজ্রদেব থর-ও হয়তো সম্ভ্রমে মাথা নুইয়ে ফেলতেন।



'আমি এখন আমার সম্রাজ্ঞীকে বেছে নেব', মাথা নিচু করে কাঁপতে থাকা মানুষগুলোর দিকে তাকিয়ে সে বলে, 'আছ কেউ, এমন কোন মেয়ে, যার রুখে দাঁড়ানোর সাহস আছে? বিশ্বটাকে পায়ে মাড়িয়ে সম্রাটের পাশে বসার, সিংহাসনে আসীন হবার মত হিম্মত আছে? এমন সাহসি আছে কেউ এখানে? থাকলে দাঁড়াও, উঠে দাঁড়াও।'



একটা দীর্ঘ নিশ্চুপ মুহূর্ত কাটল। তারপর দৃঢ় চোয়ালে, আত্মবিশ্বাসী পদক্ষেপে একজন ব্যালেরিনা নাচের অপরূপ ভঙ্গিমায় ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াল। হ্যারিসন হাসিমুখে এগিয়ে গিয়ে তার হ্যান্ডিক্যাপগুলো একে একে সরিয়ে ফেলতে শুরু করে। সব শেষে সরায় মুখ ঢেকে রাখা কদাকার মুখোশটা। মেয়েটার আসল চেহারা বেরিয়ে পড়ে।



খোদার কসম, রম্ভা-উর্বশী ঈর্ষায় বিষ খেয়ে মরত এমন রূপের ছটা দেখলে।



'এসো,' হ্যারিসন নরম গলায় তার হাত ধরে বলে, 'চলো এদের দেখিয়ে দেই আসল নাচ কাকে বলে।' তারপর বাকি লোকের দিকে তাকিয়ে হুঙ্কার দেয়, 'বাজাও!'



মিউজিশিয়ানরা হুড়োহুড়ি-ঠেলাঠেলি করে তাদের চেয়ারে ফিরে যায়। হ্যারিসন তাদের হ্যান্ডিক্যাপ খুলে দেয় একে একে। 'ভালমত গান বাজাবে,' ওদেরকে সে বলে, 'তাহলে তোমাদেরকে আমার রাজ্যের মন্ত্রী-উজির-জমিদার বানিয়ে দেব।'



বাজনা শুরু হয়। প্রথমে সুরটা বিদঘুটে বিস্বাদ, মেকি লাগছিল শুনতে। কিন্তু হ্যারিসন দুই সঙ্গীতজ্ঞকে হাত বাড়িয়ে এক ঝটকায় তুলে নেয়, তারপর ওদেরকে লাঠির মতো ঝাঁকিয়ে নাড়িয়ে নাড়িয়ে চিৎকার করে গান গেয়ে বুঝিয়ে দেয় যে সুরটা এমন হওয়া চাই। এরপর আবার পুতুলের মত বসিয়ে দেয় চেয়ারে।



এবারের বাজনাটা শুরু হলে আগের চেয়ে অনেক মিষ্টি মনে হয়।



হ্যারিসন আর ব্যালেরিনা চুপ করে অতি মনোযোগের সাথে বাজনা শোনে কিছুক্ষণ, যেন নিজেদের হৃদস্পন্দন বাজনার তালে তালে মিলিয়ে নিচ্ছে।



তারপর দুজনে একই সাথে স্বতঃস্ফূর্ত চপল পায়ে নড়তে শুরু করে। হ্যারিসন সম্রাজ্ঞীর কোমরে ওর বড় বড় হাত রেখে পুরো ওজনটা নিজে নিয়ে নেয়। দুজনে এমনভাবে মিশে যায় যেন তাদের আলাদা কোন অস্তিত্ব নেই।



তারপর, তারপর যেন উদ্যম, উচ্ছ্বাস, উন্মাদনার একটা প্রাকৃতিক বিস্ফোরণ ঘটল দুজনের মাঝে। বাতাসে লাফিয়ে উঠে দুই বিদ্রোহী আনন্দনৃত্য করতে শুরু করল। এরা শুধু যে রাষ্ট্রের সব নিয়ম-কানুন ত্যাগ করে মুক্ত হয়েছে তাই নয়, এমনকি বিশ্বজগতেরও সব বিধিবিধানকে যেন তুচ্ছ করে নাচে মেতেছে। হেঁটে, ঘুরে, চরকি কেটে, পাক খেয়ে, লাফিয়ে, বাতাসে ভেসে বেরিয়ে ওরা নাচল। সব বিধি-নিষেধ, বাধা-বিপত্তি ভুলে গিয়ে অদম্য এক মুক্তির উৎসাহে ওরা নাচল।



ওরা নাচল দুটো চন্দ্রগ্রস্ত ঘাই-হরিণীর মতন অপার্থিব উল্লাসে।



স্টুডিয়োর সিলিংটা প্রায় তিরিশ ফুট উঁচু। নাচতে নাচতে একেকটা লাফে ওরা আরও উঁচুতে উঠে যাচ্ছিল, একসময় মনে হল যেন সিলিংটা ছুঁয়ে ফেলবে দুজনে। তাই হোলো। সর্বশেষ লাফটায় ওরা ছুঁয়ে ফেলল সিলিংটাকে, তারপর সিলিং থেকে এক ইঞ্চি নিচে, যেন নিখাদ প্রেম আর ইচ্ছেশক্তিতে বলীয়ান হয়ে, স্থির ভেসে রইল বাতাসে। হ্যারিসন আর ব্যালেরিনা একে অপরকে আঁকড়ে ধরল, তারপর হৃদয়ের সবটুকু আবেগ দিয়ে লম্বা একটা সময় ধরে চুমু খেল। মনে হচ্ছিল ওদের এই অনন্য চুম্বন যেন থামিয়ে দিয়েছে খোদ সময়কেই।



ঠিক এই আবেগঘন মুহূর্তে রাষ্ট্রের হ্যান্ডিক্যাপার জেনারেল, জনাবা ডায়ানা মুন গ্ল্যাম্পারস হাতে একটা দোনলা দশগজি শটগান নিয়ে স্টুডিয়োর ভেতরে ঢুকলেন। তার নিষ্কম্প হাতে শটগান কেঁপে উঠল দুবার, এবং 'সম্রাট-সম্রাজ্ঞী' দুজনেরই মৃত্যু ঘটল তিরিশ ফুট ওপর থেকে মাটিতে পড়ার অনেক আগে।



ডায়ানা মুন গ্ল্যাম্পারস শটগান আরেকবার লোড করে তাক করলেন মিউজিশিয়ানদের দিকে। তারপর ঠাণ্ডা গলায় জানিয়ে দিলেন যার যার হ্যান্ডিক্যাপ পরে নেবার জন্য তারা আর দশ সেকেন্ড সময় পাচ্ছে।



তখনি বার্জেরনদের টিভির টিউব পুড়ে যাওয়ায় স্ক্রিন কালো হয়ে গেল, ঘরে নেমে এল নিস্তব্ধ অন্ধকার।



হেজেল জর্জকে কিছু বলার জন্য ঘাড় ঘোরাল, কিন্তু জর্জ কিচেনে গেছিল তখন, বিয়ার আনতে।



হাতে বিয়ারের একটা ক্যান নিয়ে সে ফিরে আসে, হ্যান্ডিক্যাপ সিগনালে আড়ষ্ট হয়ে গিয়ে এক মুহূর্তের জন্য থামে, তারপর হেজেলের পাশে গিয়ে বসে।

'কাঁদছিলে নাকি?' স্ত্রীর চোখে পানি দেখে জিজ্ঞেস করে ও।

-'হুঁ,' হেজেল অস্পষ্ট সুরে বলে।

'কেন?'

-'টিভিতে খুব কষ্টের একটা কিছু দেখাচ্ছিল।'

'কি দেখাচ্ছিল?'

-'কি যেন একটা। পরিষ্কার মনে নেই, গুলিয়ে গেছে।'

'কষ্ট মনে রাখতে নেই।'

-'রাখি না তো।'

'এইতো, লক্ষ্মী বউ আমার!' বলে স্ত্রীকে চুমু খেতে গিয়ে জর্জ একটু কেঁপে ওঠে। ওর মাথার ভেতরে শত শত হাতুড়ির সম্মিলিত ঠকাঠক শব্দ বেজে উঠলো এই মাত্র।



-'ব্বাস, খুব লেগেছে, না?' হেজেল বলে।

'অ্যা, কি বললে? আবার বলো।'

-'বললাম,' হেজেল নরম গলায় পুনরাবৃত্তি করে, 'খুব লেগেছে, না?'

মন্তব্য ১০০ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (১০০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কার্ট ভনেগাৎ এই গল্পটি লেখেন ১৯৬১ সালের অক্টোবরে, পরে এটি Welcome to the Monkey House গল্পগ্রন্থে সঙ্কলিত হয়। তার অন্যান্য ছোটগল্পের মাঝে এটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, এমনকি একে ভিত্তি করে একই নামে ৯৯ মিনিটের একটি টিভি ফিল্ম (http://www.imdb.com/title/tt0113264) এবং 2081 নামে ২৫ মিনিটের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি (http://www.imdb.com/title/tt1282015) বানানো হয়, দুইটিই সমালোচকদের প্রশংসা পায়।

ভনেগাৎকে বলা হয় বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধের সবচেয়ে প্রতিভাবান সাহিত্যিকদের মাঝে একজন। তার লেখা ডাইস্টোপিয়ান থিম, বুদ্ধিদীপ্ত স্যাটায়ার, যুদ্ধবিরোধী মানবতাবাদ এবং সায়েন্স ফিকশনের মিশেলে সাহিত্যে নতুন মাত্রা যোগ করে, এবং দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশেষ করে পঞ্চাশ-পরবর্তী সময়ে পশ্চিমে যে সায়েন্স ফিকশনের নতুন এক আন্দোলন বা নিউ এজ ওয়েভ শুরু হয়েছিল, তার কৃতিত্ব দেওয়া হয় জর্জ অরওয়েল এবং ভনেগাৎকে।

ভনেগাৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আর্মিতে ঢোকেন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। প্যারিস আক্রমণের সময় লোকবলের অভাবে তাকে যুদ্ধক্ষেত্রে নামতে হয়, এবং জার্মানরা তার পুরো ডিভিশনকে যুদ্ধবন্দি হিসেবে আটক করে নেয়। মুহুর্মুহু বিমান আক্রমণ এবং বম্বিং এর পর অবশিষ্ট যারা বেঁচে ছিলেন, তাদের Schlachthof Fünf (ইংরেজিতে Slaughterhouse Five) নামক ভূগর্ভস্থ এক বাঙ্কারে আটকে রাখা হয়। ভনেগাৎ-এর ম্যাগনাম অপাস বলে বিবেচিত একই নামের উপন্যাসে এই অভিজ্ঞতা বারবার বীভৎস বর্ণনায় ফিরে ফিরে এসেছে। প্রায় ছয় মাস পর যুদ্ধ শেষ হলে ভনেগাৎ মুক্তি পান।

যুদ্ধের পর তিনি ইউনিভারসিটিতে ফিরে যান। এরপর ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিয়ানিয়ার, শিক্ষক এমনকি দমকল কর্মী হিসেবেও কাজ করেন, কিন্তু কোন পেশায় স্থির হতে পারছিলেন না। এক বন্ধুর পরামর্শে একটা স্পোর্টস ম্যাগাজিনে সাংবাদিকতার কাজ নেন, কিন্তু সেখানেও একঘেয়েমি চেপে ধরছিল তাকে। একদিন বেড়া ডিঙিয়ে পালিয়ে গেছে এমন একটা রেসের ঘোড়ার ওপর তাকে এক পাতা প্রতিবেদন লিখতে বলা হয়। ভনেগাৎ সারা সকাল টাইপরাইটার সামনে শাদা কাগজের স্তুপ নিয়ে স্তব্ধ হয়ে বসে রইলেন। তারপর তিনি একটা লাইন লিখলেন, "The horse jumped over the fucking fence," এবং ইস্তফা দিয়ে চলে আসেন।

এই ঘটনার পর অন্য সবকিছু ছেড়েছুঁড়ে তিনি পুরোদমে সাহিত্যচর্চায় ব্যপ্ত হন, এবং 'স্লটারহাউজ ফাইভ' লেখায় হাত দেন। এরপরে তাকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয় নি। এছাড়া সমালোচক হিসেবে তার খ্যাতি ছিল অনন্য; সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে ঠোঁটকাটা মন্তব্য এবং স্পষ্ট অবস্থানে থাকার জন্য আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন বহুবার। টাইম ম্যাগাজিন তাকে 'বর্তমান পশ্চিমা সাহিত্যের বিবেক' বলেও অভিহিত করেছিল। একবার সমালোচনা সম্পর্কে তিনি লিখেছিলেন, Any reviewer who expresses rage and loathing for a novel is preposterous. He or she is like a person who has put on full armor and attacked a hot fudge sundae.

ইরাক যুদ্ধের সময় তিনি ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন, I have wanted to give Iraq a lesson in democracy — because we’re experienced with it, you know. And, in democracy, after a hundred years, you have to let your slaves go. And, after a hundred and fifty years, you have to let your women vote. And, at the beginning of democracy, is that quite a bit of genocide and ethnic cleansing is quite okay. And that’s what’s going on now. বুশকে 'ক্ষমতা-লোভী-শিম্পাঞ্জী' এবং বেশ কয়েকবার হিটলারের সাথে তুলনা করায় তাকে বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল। শুধু বাস্তব জীবনে নয়, ভনেগাৎ-এর ব্যঙ্গ করার তুখোড় ক্ষমতা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং রাষ্ট্রের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে তার আশঙ্কা- এই দুইটি ব্যাপার তার অধিকাংশ লেখাতেও এসেছে।

তার অন্যান্য উপন্যাসের মাঝে Jailbird, Breakfast for Champions, Cats Cradle উল্লেখযোগ্য। বাকি ছোটগল্পের মাঝে 'EPICAC' গল্পটি মোটামুটি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

লেখার ক্ষেত্রে ভনেগাৎ আটটা নিয়ম স্থির করেছিলেন, (তার বই 'স্নাফ বক্স' থেকে উদ্ধৃত্ত অংশ) -

১. Use the time of a total stranger in such a way that he or she will not feel the time was wasted.

২.Give the reader at least one character he or she can root for.

৩.Every character should want something, even if it is only a glass of water.

৪.Every sentence must do one of two things—reveal character or advance the action.

৫.Start as close to the end as possible.

৬.Be a Sadist. No matter how sweet and innocent your leading characters, make awful things happen to them—in order that the reader may see what they are made of.

৭.Write to please just one person. If you open a window and make love to the world, so to speak, your story will get pneumonia.

৮.Give your readers as much information as possible as soon as possible. To hell with suspense. Readers should have such complete understanding of what is going on, where and why, that they could finish the story themselves, should cockroaches eat the last few pages.

অবশ্য পরে এও লিখেছিলেন, একজন ভাল লেখক এসব নিয়ম না মেনেও গল্প লিখতে পারেন, তবে সেটা সচরাচর ঘটে না।

সাতানব্বই সালে Timequake উপন্যাস প্রকাশ করার পর ভনেগাৎ ঘোষণা দেন, তিনি আর গল্প-উপন্যাস লিখবেন না। ২০০৭ সালে সিঁড়ি থেকে গড়িয়ে পড়ে মৃত্যুবরণ করার আগপর্যন্ত তিনি সত্যিই নতুন কিছু লেখেন নি, বাকি জীবনটা একজন সাহিত্য সমালোচক এবং সচেতন নাগরিক পরিচয়ে পত্র-পত্রিকায় কলাম আর সমালোচনা লিখে কাটিয়ে দিয়েছেন।

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কয়েকটা লিংক-

*উইকিতে ভনেগাৎ
http://en.wikipedia.org/wiki/Kurt_Vonnegut

*কার্ট ভনেগাৎঃ যুদ্ধ এবং সাহিত্য নিয়ে সাক্ষাৎকার (১৯৭৫)
Click This Link

*২০০৫ সালের সংক্ষিপ্ত ভিডিও সাক্ষাৎকার
https://www.youtube.com/watch?v=mGRPs2Z7reo

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অদ্ভুত সুন্দর হইছে অনুবাদ। ++++

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এত রাতে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ কান্ডারি!

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫২

অপু তানভীর বলেছেন: সত্যিই যদি এমন হত কেমন সব্বনাশ হয়ে যেত বলেন তো !! :D :D

হামা ভাইয়ের গল্প পড়ব বলে ঢুকলাম চোখে আপনারই আগে পড়লো । পড়ে নিলাম চটপট । এরকম আরও চাই । :) :)

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা! হামার গল্প আমি পড়ে এলাম এইমাত্র!

একইরকম থিম নিয়ে অরওয়েলের গল্প আছে কয়েকটা, অনুবাদ করার ইচ্ছা আছে। আমার মনে হয় গল্পগুলো ভাল লাগবে আপনার।

শুভেচ্ছা রইল অপু!

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আপনার লেখা পড়ার জন্য রাত আর দিন বলে কিছু থাকেনা। আপনার লেখা চোখের সামনে যখনি পাই না পড়ে উপায় নাই।

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :) খুব খুশি হলাম আপনার কথায়!

৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অদ্ভুত একটা থিম। সাম্যবাদের নামে মানুষের প্রতিভা কুক্ষিগত করে রাখা, নিয়তি বদলানোর প্রচেষ্টা, এসব সরকারী কালাকানুন দিয়ে কে কবে জয়ী হয়েছে! মানুষ তার স্বকীয়তাতে ভাস্বর হলে তবেই না সুন্দর। হ্যারিসন আর ব্যালেরিনা যেমন উঠে গিয়েছিলো অনেক ওপরে, সেখানকার স্থিতবিন্দুটাই মানুষের অনুভূতি এবং প্রতিভার স্মারক। তবে আফসোস, শেষতক সেটা দুঃখস্মারক হয়ে থাকলো। ২০৮১ শর্টফিল্মটা দেখার চেষ্টা করছি, কিন্তু ব্রাউজারে কেন যেন ভিডিও বাফার হচ্ছে না।

শুভরাত্রি।

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: একই সাথে গল্প পোস্ট করা দেখে আমিও মজা পেলাম!

ভনেগাৎ এরকম স্যাডিস্ট (হ্যাঁ, সেই সাথে কিছুটা রিয়ালিস্টিক) এন্ডিংয়ের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। ওই দুটো ফিল্ম বাদে গল্পের নামে আরেকটা ফিল্ম আছে, কিন্তু খুঁজেপেতেও লিংক বের করতে পারলাম না। ওটারও প্রশংসা শুনেছিলাম।

শুভরাত্রি হা_মা।

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৩১

এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার লাগল।

সময় করে লিংক গুলো দেখব।

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৩৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় এহসান। শুভরাত্রি।

৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৩৯

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কি অদ্ভূত না?
শ্রেনীবাদীতা দূর করার জন্য, কারো সাথে করা হচ্ছে সেই অন্যায়! যে অন্যায়ের ফলে দৃষ্টিগোচর হয় শ্রেনী বিভাগ!!
অনবদ্য লিখেছেন! ঈশ যদি সম্রাট হতে পারতাম, যদি পারতাম শরীরে লাগানো অদৃশ্য শেকল গুলো ছিড়ে ফেলে দিতে!

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এ যেন থোড়বড়িখাড়া আর খাড়াবড়িথোড়। ভনেগাৎ-এর থিমে উঠে এসেছে চিরন্তন বৈষম্যের কাহিনী। তবুও আমরা কি আশাবাদি, মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও আমাদের ইচ্ছে জাগে সম্রাট হবার!

৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:০৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: একটা শব্দই শুধু মাথায় আসছে- মারাত্মক!!!!

আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ, এই জিনিসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য। নিঃসন্দেহে অনুবাদ ভালো হয়েছে। পড়ে আরাম পেয়েছি।

অনেক শুভ কামনা রইল।

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:১০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, কা_ভা। শর্টফিল্ম দেখলেও আশা করি ভাল লাগবে আপনার।

ভাল থাকুন :)

৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৩৫

এম এম করিম বলেছেন: খুব ভালো লাগলো।

শুভ রাত্রি।

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৪৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় পাঠক।

১০| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৪২

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: অসাধারণ!
শ্রেনীবৈষম্য দূর করতে গিয়ে আমরা কি তার চেয়েও বেশি শ্রেনীবৈষম্যের সৃষ্টি করছি না?

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এবং প্রযুক্তির কাছে হাত পাততে গিয়ে উজাড় করে দিচ্ছি নিজেদের একান্ত অবস্থান!

১১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:৫৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: এইবার সত্যিকার অর্থেই ঈর্ষান্বিত হইলাম।

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :):) থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু :)

১২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:১৮

দুঃখ বিলাস বলেছেন: খুব সুন্দর অনুবাদ পড়লাম।

ভালোলাগা।

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি দুঃখ বিলাস।

১৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০৮

ইমিনা বলেছেন: ঘোরের মধ্যে আছি। মনে হচ্ছে যেন আমি কোথাও হারিয়ে যাচ্ছি ক্রমাগত।
এত শক্তিশালী থিম এবং অনুবাদ আমার দুর্বল মস্তিষ্কের জন্য প্রচন্ড ধাক্কা। এই অবস্থা থেকে সামলে উঠতে হয়তো পুরু এক মাস লাগবে। অদ্ভূত রকম ভালোলাগা ।
সত্যি করেই বলছি, এই রকম অসাধারন কিছু অনুভব করার জন্যই বেঁচে থাকা। প্রাত্যাহিক জীবনের ছকবাধা জীবনের ভন ভন করা অনুভূতি থেকে মুক্তির জন্য এই গল্পের থিম আর অসাধারন অনুবাদ আমার জন্য পাথেয়।
আমি কৃতজ্ঞ, সত্যি কৃতজ্ঞ।
অনেক শুভকামনা আপনার জন্য। ভালো থাকবেন ।।

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পটা প্রথমবার পড়ে আমারও এরকম অনুভূতি হয়েছিল। ঘোরের মাঝে কেটেছে কয়েকটা দিন। শক্তিশালি লেখকরা এভাবেই হয়তো পাঠককে লেখনীর জাদুতে আবিষ্ট করে রাখতে জানেন।

অনেক ভাল থাকুন ইমিনা।

১৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮

মামুন রশিদ বলেছেন: গা শিঁউরে উঠা গল্প! তবে গল্পটা অতিরন্জিত, রাজনৈতিক কোণ থেকে লেখা । কমুনিস্ট জুজু উসকে দেয়ার শৈল্পিক প্রচেষ্টা । আবার বাস্তবিকও বটে । মেধা প্রতিভার সমবন্টন সম্ভব নয় । তাই সমমুল্যায়ন অবাস্তব

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পলিটিক্যাল ফিকশন একেবারে!

১৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সার্থক অনুবাদ।

ধন্যবাদ, প্রোফেসর শঙ্কু।

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাকেও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সুপ্রিয়।

১৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫২

মামুন রশিদ বলেছেন: অবাস্তব চিন্তা, হাস্যকরও । ঠিক এই জায়গায় গল্পটা সফল । অগ্রহনযোগ্য সমতাকে চরম হাস্যকর বানিয়ে ছেড়েছে ।

অনুবাদের কথা কি বলবো, এতটাই সাবলীল আর প্রাণবন্ত যে মনে হয়নি অনুবাদ পড়ছি ।

মোবাইল থেকে ।

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ''অগ্রহনযোগ্য সমতাকে চরম হাস্যকর বানিয়ে ছেড়েছে।''

এটাই গল্পের সফলতা।

আপনার কমেন্টে বরাবরই অনুপ্রাণিত হই, প্রিয় মামুন। মোবাইল থেকে কষ্ট করে পড়ার এবং কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫০

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার একটা কাজ। +++ এবং প্রিয়তে।

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয়তে নেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০৫

সুমন কর বলেছেন: কার্ট ভনেগাৎ এর সর্ম্পকে কোন ধারণাই ছিল না। কাল রাতে প্রথম আপনার কাছ থেকে জানতে পারি। আমি কাল রাতেই কিছু পড়ে, বাকিটা এখন পড়লাম।

আপনি এমন করে অনুবাদ করেন, যেনো মনে হয়ই আপনিই লিখেছেন। পড়ে ভাল লাগল।
সময় করে লিংকগুলোতে ঘুরে আসবো।

সবকিছু আইন বা জোর করে বদলানো যায় না। যেদিন নিজ থেকে সব কিছু করা হবে, সেটাই হবে আসল পরিবর্তন।

প্লাস।

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পরিবর্তন আসা দরকার ভেতর থেকে, জোর করে চাপিয়ে দেওয়া কিছু কখনো উপকারি হতে পারে না। পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি প্রিয় সুমন।

শুভেচ্ছা।

১৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
স্বয়ংসম্পূর্ণ পোস্ট ৷ কো্ন লেখায় পড়েছিলাম কোন এক দেশে শুধু একটিই রেডিও চ্যানেল তা আবার সবসময় চালু রাখতে হয় ৷ সে বোধটুকু পেলাম ৷ শীতলযুদ্ধের সময় এ ধরণের ফিকশনে লেখকের সাহিত্য থেকে তার মতাদর্শকেই উল্লেখ্যোগ্য মনে হতো ৷ সেটা আবার হলিউড চিত্রায়ন করে বানিজ্যিক প্রমাণ দিয়েছে ৷ বেগবান গদ্যে পড়তে আরাম পেলাম ও জানার আগ্রহ অনেক মিটল ৷ আপনি কি ধরণের লেখা অনুবাদে বেশি প্রাধান্য দেন ? পুরো লেখায় একটি শব্দ বোল্ট করা তা কি মূল লেখাও ছিল না আপনার নিরীক্ষা ৷

ভাল থাকবেন ৷

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নর্থ কোরিয়ায় এখনো মনে হয় এই ব্যাপারটার ছিটেফোঁটা আছে। বিশ্বকাপের সময় শুনেছিলাম তাদের সরকারি চ্যানেল ঘোষণা করেছিল যে, কোরিয়া কাপ নিয়েছে! এবং অন্য চ্যানেল বা ইন্টারনেটের সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকায় সেই দেশের অধিকাংশ মানুষ এটাকেই সত্যি ভেবে নিয়েছে।

লেখা অনুবাদে নির্দিষ্ট কোন কিছু মাথায় থাকে না আসলে। হয়তো একটা গল্প পড়লাম, নতুন কোন আইডিয়া বা লেখার ধরন বা শব্দের প্রয়োগ সম্পর্কে জানলাম, ইন্টারেস্টিং মনে হল- তখন ঠিক করে রাখি যে সময়সুযোগ বুঝে এটা অনুবাদ করে ফেলব।

আমার কাছে একটা পুরনো ফিফথ-হ্যান্ড কপি ছিল, সেখানে 'হোয়াট ''আই'' ক্যান ডু' লাইনে 'আই' ছিল বড় টাইপের, বোল্ড করা; কিন্তু ওয়েবভার্সনে আবার বোল্ড করা ছিল না। তাই বইয়েরটাই মেনে নিয়ে একটি শব্দকে নির্দিষ্ট করে দিয়েছি।

শুভেচ্ছা রইল আপনার প্রতিও।

২০| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫০

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: এই ঘুম ঘুম অলস বিকেলে অনুবাদ গল্পটি পড়ে এভাবে নড়েচড়ে বসতে হবে ভাবিনি।

তারপর দেখা যাবে আমরা আবার অন্ধকার যুগে ফিরে গেছি, মানুষ আবারো ইঁদুরদৌড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে, মানবসভ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আপাতত এই খোঁচাটা হজম করছি।


এমন চমৎকার একজন গুণী সাহিত্যিক সমালোচক বহু প্রতিভার অধিকারী ব্যক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা রইল। অনুবাদ প্রাণবন্ত, দারুণ ঝরঝরে ও সুপাঠ্য হয়েছে।

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভনেগাৎ এর সাক্ষাৎকারগুলো সময় পেলে পড়ে দেখবেন, ইন্টারেস্টিং অনেক কনসেপ্ট নিয়ে নাড়াচাড়া করেছেন তিনি।

শুভ বিকেল, মহামহোপাধ্যায় :)

২১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১২

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ঘুমানোর সময় পড়মু, ইটা রাইখা গেলাম :)

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহা, আচ্ছা :)

২২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪০

আমি ই শুভ্র বলেছেন: গল্পের থিম ও অনুবাদ দুটোই চমৎকার হয়েছে

০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ শুভ্র। আমার ব্লগে স্বাগতম।

২৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:১৩

বৃতি বলেছেন: মনকে নাড়া দেয়ার মত চমৎকার গল্প। খুব ভাল লাগলো। অনুবাদও সাবলীল হয়েছে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি বৃতি।

২৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ভাল লাগলো।

আস্তে আস্তে গল্পের ভিতর প্রবেশ করছিলাম। বার বার চোখের সামনে সব দৃশ্য গুলো ভেসে উঠছিল। মনে হচ্ছিল নিজের হাতে পায়ে হ্যান্ডিক্যাপ পরানো। দারুণ থিমের গল্প।

অনুবাদ ও অসাধারণ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পটার ধরণ এরকম- টেনে নেয় ভেতরে। আমারও একই কথা মনে হয়েছিল পড়ার সময়।

২৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০১

অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
মোলায়েম অনুবাদ।

গল্প পড়ে অনেকক্ষণ ডুবে ইলাম___


অনেক ধন্যবাদ

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, অরুদ্ধ সকাল।

২৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৩০

টুম্পা মনি বলেছেন: আজ দিনে মোবাইল থেকে পড়েছিলাম। সত্যি অসাধারণ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :) খুশি হলাম।

২৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১

ফা হিম বলেছেন: গল্পটা পড়ে কি হাসব, নাকি হ্যারিসনের জন্য দুঃখ করব বুঝে উঠতে পারছি না। অসাধারণ একটা গল্প, গল্পের থিম।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সম্রাটদের জন্য দুঃখ করতে নেই :)

২৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

আমি তুমি আমরা বলেছেন: গল্পের থিমটা অসাধারন। সব সরকারই তার নাগরিকদের হ্যান্ডিক্যাপড করে রাখতে চায়, মক্তিকামীমানুষকে দমিয়ে রাখতে চায়।

অনুবাদ চমৎকার হয়েছে। ভাল লাগল :)

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ জানাচ্ছি নিয়মিত পাঠককে।

২৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩৪

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: গল্পটা ধীর গতিতে একটা ভয়াবহ পরিণতির ধারণা দেয় , জর্জের মাথায় হ্যান্ডিক্যাপ হেলমেট পড়ে থাকা নিয়ে যে সুত্র প্রদানের শুরু, ব্যালেরিনার ও তার সঙ্গীর ভয়াবহ মৃত্যু এবং পরিশেষে কুশীলবদের গোল্ডফিশের মত সব ভুলে যাওয়া এখানে এসে গল্প পাঠকের মাথায় শেষ গজালটা ঠোকে।

প্রিয় কথাশিল্পী, অনুবাদের তুলনায় আপনার মৌলিক কাজগুলোই আমার সবসময় বেশী ভালো লাগে। টা এ জন্যে নয় যে আপনার অনুবাদ আপনার মৌলিক গল্পের তুলনায় কোন অংশে কম , বরং এ জন্যে যে অনুবাদগুলো ইংরেজিতে পড়ে নেয়া হয়, কিন্তু আপনার নূতন গল্পগুলো খালি ব্লগেই পাই।

আপনার আগের সব বই সংগ্রহ করে পড়তে হবে একে একে। :)

শুভকামনা।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমার মনে হয় বর্তমান সময়কে খুব ভাল ভাবে রিফ্লেক্ট করে এই লেখাটা। আমরা যেমনটা দুদিন পর পর একটা দুর্ঘটনা ঘটে, চিল্লাচিল্লি করি, পরের দিন ভুলে যাই, মেতে উঠি অন্য কোন বিষয় নিয়ে, আসলে পালটায় না কিছুই।

আমি গল্প দেব একটা সামনের সপ্তাহে, আপনার নতুন গল্প দিচ্ছেন কবে?

শুভকামনা :)

৩০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯

লেখোয়াড় বলেছেন:
অসাধারণ।
আমার কেন জানি খুব ভাল লাগল।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কবির ভাল লেগেছে শুনে আমারও ভাল লাগল :)

৩১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: প্রিয় প্রফেসর, নূতন একখানা লিখে উঠলাম দিন দুয়েক হল। যদি সময় হয় একবার পড়ে দেখার অনুরোধ -

Click This Link

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আসছি এখনি।

৩২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০০

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল অনুবাদে সুন্দর গল্প।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।

৩৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২০

খাটাস বলেছেন: মানুষের চিন্তার আরও এক অনন্যতার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন প্রিয় শঙ্কু। আপনার প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় লেখাকে অনুবাদ ভাবার সুযোগ পাচ্ছিলাম না। প্লাস দিয়ে রেখে দিলাম। আপনার নিজস্ব চিন্তার সাথে সাথে এমন লেখা গুলো ও চাই- আপনার ধাঁচে।
অনেক ভাল লাগা।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় পাঠক। উৎসাহিত হলাম আপনার কমেন্টে।

শুভেচ্ছা রইল।

৩৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: জর্জের মাথার ভেতরকার বাজনা, হেজেলের ভুলে যাওয়া অথবা হ্যারিসনের প্রতিবাদ এবং মৃত্যু, হ্যান্ডিক্যাপের ওজন ইত্যাদি ইত্যাদি মিলিয়ে কী ভয়াবহ এক অবস্থা ! নিজে যাতে অন্যের সৌন্দর্যের কাছে হেয় না হয় বলে যে রাষ্ট্রব্যবস্থা বা নির্যাতনের রূপরেখা দেখালেন ভনেগাৎ , সে অবস্থার কথা ভাবতেও ভয় হয় !

অনুবাদ ভালো লেগেছে।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাকে পাইনি এই কয়দিন। ব্যস্ত ছিলেন নাকি?

আমিও কয়েকদিনের জন্য ডুব দিচ্ছি:) এসে কথা হবে।

শুভ সকাল।

৩৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৩

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
খুব ভাল্লাগলো।।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :) আনন্দিত হলাম।

৩৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫০

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ভনেগাৎ’র এই গল্পটি পলিটিক্যালি দুর্ধর্ষ ছিলো। বর্তমান সময়েও এর বিম্ব বিস্তৃত ও উজ্জ্বলই বলতে হবে। নীতিবোধশূন্য এবং ব্যাক্তিস্বার্থের ডিক্টেটরশিপকে জীবিত সত্তায় পরিণত করতে মিডিয়া মেনিপুলেশন সবসময়ই কার্যকরী। নাজি জার্মানি বা থার্ড রাইক সে কৌশলের ব্যবহারটা দারুণভাবেই করেতে চেয়েছিলো। হ্যারিসনরা অবশ্য প্রতিবারই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে যদিও শেষমেশ ডায়ানা মুন গণ জয়ী হোন-বহাল রাখেন হ্যান্ডিক্যাপ। রে’র “দ্যা পেডেসট্রিয়ান” গল্পের অনুচিন্তনেও আমরা গুপ্তজালে আটকা পড়ি। যাইহোক প্রতিটি মানুষ যেনো তাঁর প্রখর ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য থেকে বঞ্চিত না হোন। কিন্তু ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য যদি ওরকম অটোক্রাট তৈরি করে বসে তখন !

জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা হচ্ছে, আর আপনি এই গল্পটিই অনুবাদ করে বসলেন ! হাহ হাহ হা। ;)

১১+

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এটা খুব আশ্চর্যের ব্যাপার যে আপনি পেডেস্ট্রিয়ান গল্পটার কথা বললেন; কারণ ভনেগাৎ পড়ার আগে ঠিক এই গল্পটাই পড়েছিলাম :) বিশেষ করে ফারেনহাইট ৪৫১ পড়ার পর থেকে আমি ব্রাডবেরির ভক্ত!

বর্তমান সময়ে এর বিম্ব উজ্জ্বল তো বটেই, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা পড়ে, পরিস্থিতি দেখে ভয় হচ্ছে কবে আবার কল্পনা বাস্তব না হয়ে যায়!

দ্বিধাগ্রস্ত সময় কাটছে এখন।

৩৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০২

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: "The horse jumped over the fucking fence," - কার্ট ভনেগাৎ কে স্যালুট! চাকুরিতে ইস্তফা দেওয়ার ঘটনাটা মজার! এই প্রথমবারের মত তাঁর সম্পর্কে শুনলাম, জানা হল এবং ঝকঝকে অনুবাদে চমৎকার একটা গল্প পড়লাম! আপনাকে ধন্যবাদ প্রোফেসর!

আর গল্পের থিমটা প্রথম ধাক্কায় খুবই অবাস্তব, উদ্ভট কিছু মনে হয়, কিন্তু কিছু সময়ের মধ্যেই জমে অঠে এবং ভাবায়! পলিটিক্যাল ফিকশন বলতেই হবে। সাম্যবাদের প্রেরণা যেমনটা বঞ্চিতদের উপরে তুলে আনা, সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠিত হলে যারা তুলনামূলকভাবে বিবর্তন এর আশীর্বাদে প্রতিভাবান, তাদের যাতনাটা তুলে এনে আমাদেরকে একটা প্যারাডক্স এর সামনে দাঁড় করায়! এইখানেই ওস্তাদের কেরামতি মনে হচ্ছে!

শুভকামনা রইলো প্রফেসর!

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ কবি।

ফ্যান্টাসি, ফিকশন আর প্যারানইয়ার উত্থান মিলিয়ে একটা অদ্ভুত সময় গেছে ভনেগাৎদের যুগে। তারই ফল এরকম চিন্তাভাবনা, এখনও অবাস্তব বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

৩৮| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বলতে পারেন এক রকম ব্যস্ততাই গিয়েছে ঈদের ছুটি, ট্যুর মিলিয়ে দেশের বাইরে। ওকে আবার কথা হবে

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আচ্ছা :)

৩৯| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২১

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ব্লগ আউট হয়ে গিয়েছিলাম ...
এই পোস্টটার জন্য লগ ইন করা ...
চমৎকার পোস্টটা প্রিয়তে গেল ...

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আনন্দিত হলাম আপনার কথায়, অনেক শুভকামনা রইল প্রিয়তমেষু।

৪০| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩

শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভয়াবহ গল্প! এই গল্প ১৯৬১ এর হলেও সর্বকালের সর্বসময়ের জন্য প্রাসঙ্গিক। ফিনিসিংটা মাথা ধরিয়ে দিয়েছে একেবারে। অনেক শক্তিশালী একটা লেখা।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় দেবদূত,

ভাল আছেন নিশ্চয়ই! বেশ কদিন পর দেখলাম আপনাকে।

শুভেচ্ছা রইল।

৪১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২১

দীপান্বিতা বলেছেন: অন্য ধরনের গল্প......অনুবাদ ভাল হয়েছে......কার্ট ভনেগাৎ সম্পর্কেও জানা হল, ধন্যবাদ...

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দীপান্বিতা।

৪২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: পুরো গল্প পড়ে বাকহীন হয়ে গেলাম । একটা কথাই বলব - আপনি জিনিয়াস ।

আপনি বেশি লিখলে অনেক ভাল হত । সবসময় নিজেকে ছাড়িয়ে
যাচ্ছেন ।

ভাল থাকুন সৃজনে ।

অনেক অনেক শুভকামনা ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :) আপ্লুত হলাম প্রিয় মাহমুদ।

লেখার চেষ্টা করব বেশি বেশি। কিন্তু জানেনই তো জীবন কেমন বাগড়া দেয় এক্ষেত্রে।

ভাল থাকুন আপনিও।

৪৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৯

সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: সায়েন্স আমার কাছে বড্ড ভয়ের বিষয় আজীবন। ফিকশন জাতীয় গল্প আমার দ্বিতীয়-তৃতীয়বার পর মাথায় ঢোকে। আবার অনেক কিছু ঢোকে না। আমি ভাবি, কি করে লিখেন তারা, আবার আপনাদের মতো পরিশ্রমী মানুষ সেসব লেখা খেটেখুটে অনুবাদ করেন। বেশ ভাল। শুভকামনা রইল।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কঠিন লেখা দেখে আমিও ভয় পাই :) কিন্তু পাঠকদের কথা ভেবে, তারা উপভোগ করবেন, এই ভেবেই আসলে অনুবাদ করি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য।

শুভেচ্ছা রইল।

৪৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪৮

পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: বোঝাই যাচ্ছে খুব পরিশ্রম করে অনুবাদের কাজটা করেছেন । অসাধারন একটা গল্প ।

আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো এমন একজন লেখকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য । প্রথম কমেন্টটার জন্য অগুনতি প্লাস ... :)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ, পার্সিয়াস।

শুভেচ্ছা রইল।

৪৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: লিখনি অনেক ভালো লেগেছে ভ্রাতা । ১৫ তম ভালোলাগা +

ভালো থাকবেন সবসময় :)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা আপনাকেও। শুভরাত্রি :)

৪৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১

গোর্কি বলেছেন:
বরাবরের মতই অনবদ্য রূপান্তর এবং পাঠে তৃপ্তি। শুভেচ্ছা জানবেন সুহৃদ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রিয় পাঠককে দেখে অনেক ভাল লাগছে। ভাল আছেন আশা করি।

৪৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সৃস্টির শ্রেষ্ঠটাও স্রস্টার সৃস্টিতে কত তুচ্ছ, কত অসামঞ্জস্যপূর্ন....

সকল অসাম্য আর সকল খেলার পরও আহা- জীবন কি মুধূময়!!!!

জীবনের বৈচিত্রেই তো বেঁচে থাকার নেশা :)

+++++++++++++++++++++++++++++

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাল বলেছেন বিদ্রোহী!

শুভেচ্ছা :)

৪৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৬

অদৃশ্য বলেছেন: লিখাটি অবশ্যই পড় যাব... এমনিতেই অনুবাদ গল্প আমার খুবই ভালোলাগে...


প্রোফেসরের জন্য
শুভকামনা...

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল, অদৃশ্য।

৪৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯

অদৃশ্য বলেছেন: চমৎকার গল্প... চটিত্রগুলোর অবয়ব আঁকতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিলো, কানে মেশিন, দেহে ওজন, ইস্পাত, মাথাতে মাস্ক আবার সাবলীল... এতোসব নিয়ে চেহারাগুলো অস্বাভাবিকই ছিলো...

তারপরেও আপনার অনুবাদের মাধ্যমে লিখাটি দারুনভাবেই ফুটে উঠেছে... সবকিছুকে সুদৃশ্য করতে না পারলেও... ফিল করতে পেরেছি জর্জ, হেজেল, হ্যারিসন আর ব্যালেরিনার ব্যাথাগুলোকে...

প্রোফেসরের জন্য
শুভকামনা...

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: তাতেই আমার খুশি মিলল। ভাল থাকুন।

৫০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: অনেক সুন্দর গল্প। ধন্যবাদ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.