নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বর্গ-পৃথ্বী অন্তঃস্থলে, বহুকিছু ফিরে-চলে, যাহা বিস্ময়কর

প্রোফেসর শঙ্কু

বুড়ো ভগবান নুয়ে নুয়ে চলে ভুল বকে আর গাল দেয়

প্রোফেসর শঙ্কু › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুবাদ গল্পঃ ফ্রানৎয কাফকার পাঁচটি স্কেচ

১০ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

১. আইনের দ্বারে

আইনের খোলা দরজা পাহারা দিচ্ছে এক দারোয়ান। গ্রাম থেকে আসা এক লোক সেই দারোয়ানের কাছে হাজির হয়, আর তাঁকে দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকতে দিতে বলে। দারোয়ান বলে, ঠিক এই মুহূর্তে ভেতরে যাবার অনুমতি নেই। মানুষটা ভাবে, তারপর জিজ্ঞেস করে, এর মানে কি ভবিষ্যতে একদিন সে ঢুকতে পারবে ভেতরে?
'তা পারবে', দারোয়ান জবাব দেয়, 'কিন্তু এখন না।'

যেহেতু আইনের কাছে যাবার দরজা খোলা থাকে সবসময়, আর কথা বলতে বলতে দারোয়ান সরে গেছে একদিকে, তাই লোকটা ঘাড় নিচু করে দরজা দিয়ে ভেতরে দেখার চেষ্টা করা। দারোয়ান দেখে হাসে, বলে, 'এতই লোভ হয় যদি, দ্যাখো না ঢোকার চেষ্টা করে! মনে রেখ, আমি প্রথম দারোয়ান, সবচে নিচু পদের। ভেতরে হলের পর হল, দারোয়ানের পর দারোয়ান, প্রত্যেকেই আগের জনের চেয়ে বেশি ক্ষমতাবান। তারা কেমন হবে ভাব! আমি নিজেই তো তৃতীয় দারোয়ানের চেহারার দিকে তাকাতে পারি না! গ্রাম থেকে আসা লোকটা এত কিছু আশা করে নি, আইনের কাছে যেকোনো সময় যে কারো যাবার অধিকার থাকা উচিৎ, সে ভাবে। কিন্তু দারোয়ানের দিকে আরেকবার তাকিয়ে- তার ফারের কোট, সূচালো নাক, মুখের কালো লম্বাটে দাড়ি দেখে সে সিদ্ধান্ত নিল- ভেতরে ঢোকার অনুমতির জন্যে অপেক্ষা করাটাই ভাল হবে।

দারোয়ান তাঁকে একটা টুল দিয়েছে। বসতে দিয়েছে দরজার এক পাশে। তাতে সে বসে থাকে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর। অনেকবার সে চেষ্টা করে ভেতরে ঢোকার, কিন্তু দারোয়ান তাঁকে নিরস্ত করে। মাঝে মাঝে দারোয়ান লোকটার কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে যায়, তখন সে তাঁকে জেরা করার মতন করে ঘর-গৃহস্থালি নিয়ে অনেক কিছু জিজ্ঞেস করে, কিন্তু সেগুলো নিতান্ত দায়সারা ভাবে, আর জিজ্ঞেস করা শেষ হলে ঘুরেফিরে একই কথা বলে বারবার- অনুমতি ছাড়া সে ভেতরে ঢুকতে দিতে পারবে না।

লোকটা এই সফরে সকল প্রস্তুতি নিয়েই এসেছে, তার যত মূল্যবান কিছু আছে, সব সে ব্যয় করে দারোয়ানকে ঘুষ দেবার কাজে, যাতে কাজ হাসিল হয়। দারোয়ান তাতে মানা করে না কখনো, যা দেওয়া হয় সব ঠিকই নেয়, কিন্তু নিয়ে বলে, 'দেখ, এটা তোমার মনের শান্তির জন্য নিলাম। আসলে ঘুষ দিয়ে কোন কাজ হবে না। অনুমতি লাগবে।'

লোকটা দারোয়ানকে দেখছে অনেক বছর ধরে। আস্তে আস্তে সে ভুলে যায় অন্য সব দারোয়ানের কথা, তার মনে হয় এইটিই একমাত্র দারোয়ান, একমাত্র বাধা। সে দারোয়ানকে, তারপর তার কপালকে গালমন্দ করে, প্রথম দিকে ক্ষিপ্ত হয়ে- উঁচু গলায়, তারপর- যখন সে বুড়ো হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ, তখন এই ক্রোধ ক্ষীণ গলার অসন্তুষ্ট বিড়বিড়ানিতে পরিণত হয়। বাচ্চাদের মতন হয়ে পড়ে সে, দীর্ঘদিন ধরে দারোয়ানকে দেখতে দেখতে একসময় দারোয়ানের ফার-কোটের কলারের মাছিগুলোকেও সে চিনে ফেলে, তাদের কাছেও সে মিনতি জানায় দারোয়ানের মন বদলাতে সাহায্য করার জন্য।

অবশেষে তার দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসে, সে বুঝতে পারে না আসলেই কি চারিদিক কালো হয়ে আসছে, নাকি তার চোখ দুটো প্রতারণা করছে। কিন্তু সেই কালো অন্ধকারের মাঝেও, সে বুঝতে পারে, আইনের দরজা থেকে ভেসে আসছে অনির্বাণ এক দীপ্তি। এখন আর মরার বেশিদিন বাকি নেই তার, মৃত্যুর আগে তার মনে এতদিনের অভিজ্ঞতা জমে জমে একগাদা প্রশ্নের উৎপত্তি হয়, যেগুলো কখনো জিজ্ঞেস করা হয় নি দারোয়ানকে। সে চিৎকার করে দারোয়ানকে ডাকে, তাঁকে কাছে আসতে বলে, কারণ সে নিজে স্থবির, উঠে দাঁড়ানোর শক্তি আর নেই তার। দারোয়ান আসে, তাঁকে লোকটার শরীরের ওপর অনেকটা ঝুঁকে পড়তে হয়, কারণ এতদিনে দুজনের উচ্চতার ফারাক ঘটে গেছে অনেকটা। 'এখনও কি জানতে চাইছ তুমি?', দারোয়ান জিজ্ঞেস করে, 'তোমার প্রশ্নের কোন শেষ নেই দেখছি।'

'সবাই তো আইনের কাছে আসে, তাই না?' লোকটা ক্ষীণকণ্ঠে বলে, 'তাহলে এতদিন ধরে আমি এখানে বসে আছি, অন্য কাউকে দেখলাম না কেন?'

দারোয়ান বুঝতে পারল লোকটা জীবনের একেবারে শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে, তাই সে তার ক্রমশ অকেজো হতে থাকা কানে কথাগুলো যেন পৌছায়, এজন্যে গলা উঁচু করে, জোরে চিৎকার করে বলল,

'এখানে আর কেউ আসে নি, কারণ এই দরজাটা শুধুমাত্র তোমার জন্যেই বানানো হয়েছিল। আর এখন আমি ওটা বন্ধ করে দিতে যাচ্ছি।'

২. নতুন উকিল

নতুন এক উকিল এসেছেন আমাদের অফিসে, ড. বুসেফেলাস। তার চেহারা দেখে মোটেও বোঝার উপায় নেই যে ইনিই একসময় মেসিডোনিয়ার আলেকজান্ডার দা গ্রেটের যুদ্ধ-ঘোড়া ছিলেন। অবশ্য ভেতরের খবর যারা জানে, কিংবা চোখ খোলা রাখে, তারা কিছু কিছু ব্যাপার ধরতে পারে। যেমন সেদিন, উনি আদালত ভবনের সিঁড়ির দিকে যাচ্ছিলেন, আর আমাদের অফিসের গার্ড তার রেসের-ঘোড়া-দেখা তীক্ষ্ণ চোখে দেখছিল- তিনি কি সুন্দর করে পা গুলো উঁচুতে তুলে তুলে উপরে উঠছেন, তার পায়ের খুর মারবেলের মেঝেতে কি অদ্ভুত শব্দ করছে। দেখে সেও মুগ্ধ হয়ে গেছিল।

সব কিছু বিবেচনা করে বার কাউন্সিল বুসেফেলাস-কে ওকালতির অনুমতি দিয়েছে। বলতেই হয়, সিদ্ধান্তটি অসামান্য বোধশক্তির পরিচায়ক। তারা বলাবলি করছিলেন, বর্তমান সমাজব্যবস্থায় বেচারা কঠিন অবস্থায় পড়ে গেছেন। এই কারণে, আর তার ঐতিহাসিক অবদানের জন্যেও, আমাদের উচিৎ তার প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া। এখন তো আর আলেকজান্ডার বেঁচে নেই, তার সময় ফুরিয়ে গেছে। এটা ঠিক যে এখনও কেউ কেউ জানে কিভাবে মানুষ মারতে হয়; ভোজসভায় পাশে বসা বন্ধুকে বর্শা দিয়ে বিদ্ধ করে রক্তাক্ত ভালবাসা জানানোর রীতি এখনও বিলুপ্ত হয় নি পুরোপুরি; অনেকের কাছে এখনও মেসিডোনিয়া খুব ছোট জায়গা বলে মনে হয়, তারা আলেকজান্ডারের বাপ ফিলিপকে তাই গালমন্দ করেন- কিন্তু নেতৃত্ব দিয়ে পৃথিবীর অপরপ্রান্তে নিয়ে যাবার মতো মানুষ এখন আর একটিও নেই। তখনকার দিনেও ভারত উপমহাদেশে ঢোকার উপায় ছিল না, কিন্তু রাজার তলোয়ার পথ খুঁজে নিয়েছিল। এখন অনেকের হাতে তলোয়ার আছে, কিন্তু কেউ নেই যে পথ দেখাবে, তারা সেই তলোয়ার কেবল শূন্যে তুলে নাচায়; সেই তলোয়ার দেখে এগোতে গেলে দেখবেন আপনার সব কিছু তালগোল পাকিয়ে গেছে।

এজন্যে, বুসেফেলাস-কে অনুসরণ করাটাই বোধহয় একমাত্র ভাল কাজ- আর সেটি হল আইনের বইয়ের মাঝে পুরো ডুবে যাওয়া। বুসেফেলাস এখন মুক্ত, পিঠে ভারি জিন চড়িয়ে কোন মহান পাপী সওয়ারি আর তাঁকে আঁকড়ে ধরে নেই; আলেকজান্ডারের যুদ্ধগুলো থেকে অনেক দূরে, বাতির স্থির আলোয় তিনি চোখ মেলে পড়ছেন, আর ক্রমশ উল্টে যাচ্ছেন মানুষের প্রাচীন বইগুলোর পাতা।

৩. তিতে প্রত্যাখ্যান

যখন কোন সুন্দরী মেয়ের সাথে আমার দেখা হয়, আমি তাঁকে মিনতি করে বলি- 'চলো না আমার সাথে', আর সে নিঃশব্দে জবাব না দিয়ে দূরে সরে যায়, তখন আসলে এই নিরবতার মাধ্যমে সে বলে-

'আপনি কোন নামকরা ডিউক নন, সুপুরুষ আমেরিকান নন যার চোখে নিষ্ঠুরতা আর মায়া খেলা করে, যার দেহে আছে প্রেইরির খোলা হাওয়া আর তার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর জলের ছাপ; আপনার রেড ইন্ডিয়ানদের মতো চওড়া বলিষ্ঠ গড়ন নেই, সাহস নেই, কখনো সমুদ্রের জলে যাত্রা করেও দেখেননি। আপনিই বরং বলুন- আমার মতো একটা সুন্দরী মেয়ে কেন আপনার সাথে যাবে?'

'ভুলে যাচ্ছ নিজের কথা? কই, কোন লিমুজিন তো দেখছি না এত সুন্দরী একটা মেয়েকে দোল খাইয়ে খাইয়ে ঘুরিয়ে বেড়ানোর জন্যে? সুট-বুট পড়া কঠিন মুখের দেহরক্ষীর দল তোমার চারপাশে থাকার কথা সবসময়, তারা কোথায়? বুঝলাম টাইট বডিসের ভেতরে স্তন দুটো সুন্দর চাপিয়ে রেখে ঘুরছ, লাগছে বেশ- কিন্তু তোমার দুই উরু আর নিতম্বের যে অবস্থা, তাতে তো পুরো বারোটা বেজে যাচ্ছে কাপড়ের। গায়ে কি লাগিয়েছ, কড়কড়ে বিচ্ছিরি রেশমি পোশাক, স্কার্টটা ভাঁজ ভাঁজ, এসব কতদিনের পুরনো; সেই গেল শরতে এসবের চল ছিল, আমরা দেখে হইচই করেছিলাম, ঐটা- ওই ভয়ানক পুরনো জিনিসটা পরেও- তুমি ডিউকের সাথে চাইছো প্রেম, ফিক ফিক করে সময়ে সময়ে হাসছো।'

'হ্যাঁ, দুজনেই ঠিক বলেছি, কিন্তু এই অপ্রীতিকর সত্যটা মাথার ভেতর গেড়ে বসার আগেই কি আপনার মনে হয় না- এখন ভালমতো আমাদের যার যার রাস্তায় কেটে পড়া উচিৎ? '

৪. পাশ কাটিয়ে দৌড়ে যায় যারা

যখন রাতের বেলা, রাস্তা ধরে হেঁটে যাচ্ছি, আর তাকিয়ে অনেক দূরেও দেখতে পাচ্ছি [কারণ সামনের রাস্তাটা উপরে উঠে গেছে অনেকটা, আর চাঁদ জ্বলছে আকাশে], এবং দেখছি এক লোক দৌড়ে আসছে আমাদের দিকে- তখন মোটেই ঠিক হবে না তাঁকে ধরে থামানো- যদি তার গায়ে ছেঁড়া পোশাক থাকে, নিতান্ত দুর্বল মনে হয় তবুও; এমনকি যদি দেখি তার পিছু পিছু চিৎকার করতে করতে ধাওয়া করছে আরেকজন, তাও; বরঞ্চ উচিৎ হবে তাদের না থামিয়ে পাশ কাটিয়ে দৌড়ে যেতে দেওয়া।

কারণ এখন রাত, আর যদি বৃত্তাকার চাঁদের নিচে রাস্তাটা কোনোভাবে উঠে যেতে থাকে ক্রমশ উপরের দিকে, সেটা তো আমাদের দোষ না। আর তাছাড়া এমনও হতে পারে যে এই দুজন মজা করেই দৌড়াদৌড়ি করছে, হতে পারে এই দুজন তৃতীয় কোন ব্যক্তিকে ধাওয়া করছে, হতে পারে প্রথম লোকটাকে অন্যায়ভাবে তাড়া করা হচ্ছে, হয়তো দ্বিতীয়জন তাঁকে মেরে ফেলতে চায়, তাহলে? তাহলে তো আমরা সেই খুনের মধ্যে জড়িয়ে যাব। হতে পারে এরা কেউ কাউকে চেনে না, হয়তো দুজনেই যার যার মতো দৌড়ে বাড়িতে যাচ্ছে, কিংবা দুটো লোক-ই ঘুমের ঘোরে এরকম দৌড়াচ্ছে, অনেকের তো এরকম হয়; কিংবা সম্ভবত প্রথমজনের কাছে অস্ত্র আছে।

আসল কথাটা হোল, আমরাও তো ক্লান্ত হয়েছি, নাকি? সবাই মিলে এত্তগুলো ওয়াইন কি খাইনি? ক্রমশ আমরা খুশি হলাম, কারণ দ্বিতীয় লোকটাকে এখন আর দেখা যাচ্ছে না।

৫. হৈ-হট্টগোল

বসে আছি আমার ঘরে, আমি চুপচাপ। কিন্তু এই ঘরটাই পুরো বাড়ির হইচইয়ের কেন্দ্রস্থল। সবগুলো দরজা দড়াম-দড়াম করে বন্ধ করা হচ্ছে-সেই বিশ্রী শব্দটা ঢেকে দিচ্ছে এই ঘর থেকে ওই ঘরে সবার হুড়োহুড়ি করে দৌড়াদৌড়ির আওয়াজ; রান্নাঘরের ওভেন এই ঠকাস করে বন্ধ করল একজন। বাবা ধুম করে আমার ঘরে উদয় হলেন, আর ড্রেসিং গাউন মাটিতে ছেঁচড়ে ছেঁচড়ে খসখস শব্দ তুলে হাঁটতে লাগলেন মেঝে কাঁপিয়ে, পাশের ঘরের উনুন থেকে চেঁছে ছাই তুলছে কেউ, আওয়াজ পাচ্ছি; ভাস্তি চিৎকার করে জিজ্ঞেস করছে বাবার টুপিতে ব্রাশ মারা হয়েছে কিনা, প্রতিটা শব্দ সে দম নিয়ে নিয়ে পরিষ্কার করে বলল যাতে পরে কেউ বলতে না পারে যে শুনিনি - আর উত্তরে সাপের মতন হিসহিসিয়ে উঠল আরেকজন। এপার্টমেন্টের সামনের দরজা ক্যাঁচক্যাঁচ করে খোলা হল, যেন সশব্দে গলা খাকারি দিয়ে সর্দি-শ্লেষ্মাভরা গলা সাফ করল কেউ, আরেকটু ফাঁক করা হল মেয়েলি গলার দানা দানা গুনগুনানির মত করে, তারপর এমন একটা পুরুষালি ভোঁতা দুম শব্দ তুলে বন্ধ করা হল যে, মনে হল এটাই এতক্ষণের সবচেয়ে নির্মম শব্দ ছিল। বাবা বেরিয়ে গেলেন ঘর থেকে, আর শুরু হল বিক্ষিপ্ত, নরম, বিচ্ছিন্ন, আজব সব শব্দ- যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে পোষা ক্যানারি পাখি দুটোর গলার খ্যারখ্যারে আর্তনাদ।

এই ক্যানারির ডাক মনে করিয়ে দিল, আজই প্রথম নয়, এর আগেও আমি ভেবেছি, ঘরের দরজা ফাঁক করে সাপের মত বুকে ভর দিয়ে পাশের ঘরে যাব, তারপর কুঁজো হয়ে মাথা হেঁট করে আমার বোন আর ওর কাজের মেয়ের কাছে ভিক্ষা চাইব যে দোহাই লাগে, তোমরা একটু চুপ করো।

মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৫৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: একজন চুপচাপ, বেশিরভাগ সময় নিঃসঙ্গ মানুষ। বাপের ব্যক্তিত্বের নিচে চাপা পড়ে ছিলেন শৈশব-কৈশোর-যৌবনে, মানুষটাকে একইসাথে ভয়, শ্রদ্ধা এবং প্রচণ্ড ঘৃণা করতেন। ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করেছেন সারাজীবন, কাজে দক্ষ ছিলেন, ঘন ঘন পদোন্নতি হয়েছিল, বেতন পেতেন প্রচুর। কিন্তু ব্যক্তিগত ডায়েরিতে লিখে গেছেন- মনে প্রাণে ঘৃণা করতেন এই কাজ, স্রেফ নিজের খরচ জোগাতে হয় বলে চাকরি ছেড়ে দেন নি। চল্লিশ বছরের জীবনে বিয়ে করেন নি, কোন সন্তান রেখে যান নি; তবে নারীসংসর্গ কামনা করতেন, যৌনজীবনে সক্রিয় ছিলেন। আবার এজন্যে ভুগতেন অপরাধবোধেও। বন্ধু ছিল হাতে গোনা গুটিকয়েক। সারা জীবনে একটা বিষয়ে স্থির ছিলেন- তা হল লেখালেখি। লিখতে ভালবাসতেন। নিয়মিত ডায়েরি লিখতেন, চিঠি লিখে সংরক্ষণ করতেন, মাত্র নয়টি গল্প লিখেছেন, পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস লেখেন নি একটিও। আর শুরু করেছেন কিন্তু শেষ করেন নি- এরকম উপন্যাস আছে তার তিনটি। বেঁচে থাকতে শীর্ণ ছয়-সাতটি বই বের করলেন, কোনটাই প্রশংসা বা বিক্রির মুখ দেখল না। মানুষটি মৃত্যুর আগে বন্ধু ম্যাক্স ব্রডকে বলে গেলেন, লেখাগুলি সব পুড়িয়ে ফেলতে। নিজেও ধ্বংস করলেন অনেকগুলো নোটবুক। নিজেকে একজন ব্যর্থ লেখক জেনে মারা গেলেন শেষতক।

ইনিই ফ্রানৎজ কাফকাগ্যাব্রিয়েল গারসিয়া মারকেজ, আলবেয়ার কামু, ডব্লু এইচ অডেন, জাঁ পল সারত্রে, হোরহে লুইস বোরহেস- সহ আরও বহু বহু সাহিত্যিক যার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন, দিয়েছেন 'বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক', 'শতাব্দীর বিবেক' উপাধি। শেক্সপিয়ারের পর তাঁকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি গবেষণা, পিএইচডি থিসিস হয়েছে, বেরিয়েছে সবচেয়ে বেশি বই। অস্তিত্ববাদ, জাদুবাস্তবতা সহ আরও কয়েক ডজন জাঁনরের জনক/প্রেরণার উৎস ধরা হয় তাঁকে। তার লেখার বৈশিষ্ট্য বর্ণনার জন্যে অভিধানে নতুন বিশেষণ যুক্ত হয়েছে- কাফকায়েস্ক। সেই নব্বই দশকে তার ক্ষুদ্রাকার পাণ্ডুলিপির দাম বলা হয়েছিল দশ কোটি পাউন্ড, কিন্তু তবু অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি সেটা হাতছাড়া করে নি। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রতি দশ দিনে কাফকার ওপরে গড়ে একটি করে বই বের হয়।

ব্যক্তি কাফকা এবং তার লেখার চরিত্রগুলো মিলেমিশে এক হয়ে যায় অনেকসময়। তাই তার লেখায় গুবড়ে পোকায় রূপান্তর, অনশন শিল্পীর মৃত্যু, কিংবা ছেলে বিয়ে করতে চাওয়ায় বাপ খেপে গিয়ে মৃত্যুদণ্ড দিলে তৈরি হয় এক বিচিত্র জগত। সেখানে বিদ্রূপ, বিষণ্ণতা, রূপক, একাকীত্ব দলা পাকিয়ে থাকে। সৃষ্টি হয় দমবন্ধ করা আড়ষ্ট এক ভুবনের।

১০ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ফ্রানৎজ কাফকার গল্প-সমগ্র

২| ১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এতক্ষন কষ্ট করে যা লিখলাম,সবই নূতন ভার্সনের কল্যানে সবই মুছে গেল।। আবার লিখবো সেই মানসিকতাও নেই।।
তবু বলছি সেই দরজা আর কখনো খুলবে না আমার জন্য।।
রাজার তলোয়ার পথ খুঁজে নিয়েছিল। এছাড়া পথও যে খোলা ছিল না।।
এখানে ভলবাসা বিকিয়ে গেছে।। কিন্তু আর ুজে পায় নি,হারানোর পর।।
আর আমাদের চিৎকারই সার।। দেশ বা এর মানুষের কথা পরে ভাববো।।
ধন্যবাদ।।

১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১:৪৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নতুন ভারসনে অস্বস্তি লাগছে একটু। সুবিধা আছে, আবার ছোটোখাটো অসুবিধাও অনেক।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ, প্রিয় ব্লগার। শুভরাত্রি।

৩| ১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৩:১৭

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: পিডিএফ লিংকটার জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা শঙ্কু দা।

প্রথম গল্পটা পড়লাম, কাল বাকিগুলো পড়ব।

১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :) ধন্যবাদ আপনাকেও। শুভেচ্ছা রইল।

৪| ১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: অসাধারণ অনুবাদ । গল্পগুলো বেশ লাগলো ।

১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কাফকার বড় লেখাগুলোও চমৎকার। অনুবাদ দেওয়ার ইচ্ছা আছে। দেখা যাক।

৫| ১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬

নাসরীন খান বলেছেন: সুন্দর অনুবাদ।

১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: থ্যাঙ্কস!

৬| ১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার অনুবাদ। বইমেলা থেকে কাফকার সমগ্র কিনেছিলাম, সেটা এত ভালো ছিলো না। বড় কাজে হাত দিন। মেটামরফসিস, বা দ্যা ট্রায়াল অনুবাদ করে ফেলেন। :-B

১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: খাইসে! এতো বড় গল্প ধরলে তো মাথা-মুথা নষ্ট হয়ে যাবে :)

আচ্ছা, দেখা যাক। সময় কৈরা ধরবনে :-B

৭| ১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

অপু তানভীর বলেছেন: চমৎকার অনুবাদ ! ইদানিং অনুবাদ গল্প উপান্যাস পড়া হচ্ছে বেশি ! অন্য কোন অনুবাদ পড়ার সময় মনে হয় এইটা আপনি অনুবাদ করলে বেশ হত ।

হামা ভাইয়ের সাথে একমত । বড় কাজে হাত দিন । দু দশটা অনুবাদ করে ফেলেন ! আমরা পড়ি ।

১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: একটা অনুবাদ হাত দিয়েছিলাম, সিডনি শেলডনের বই। অর্ধেক করে আলসেমি ধরে গেছে। বাদ দিয়ে দিছি! কাফকার ক্ষেত্রেও এমন না হইলে আশা করি পাবেন :)

শুভ বিকাল।

৮| ১১ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

সুমন কর বলেছেন: অনুবাদ ভালো হয়েছে। ১নংটি সামুতেই পড়েছিলাম। মনে হয়, আবির অনুবাদ করেছিল।

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। কারণ বাকি ৪টি আগে পড়িনি। ১নং মন্তব্যে অনেক কিছু জানা গেল। +।

ধন্যবাদ।

১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আনকমনগুলা, যেগুলো ধরা হয়নি, সেগুলো অনুবাদ করার চেষ্টা করি; তাও কমন পড়ে যায়, কি করা :) সাজিদের অনুবাদটা অনেক ভাল হয়েছিল।

নিয়মিত পাঠককে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

৯| ১১ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন: ভাল প্রয়াস ৷

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রতি দশ দিনে কাফকার ওপরে গড়ে একটি করে বই বের হয় ফলে অনুবাদে তুলনা চলে আসে ৷

কাফকাকে আসলে তুলে আনা প্রায় কঠিনতম ৷ব্যক্তি কাফকা হয়ত নেই তবে লেখকের লেখায় বেঁচে থাকেন অনন্তকাল ৷কাফকা এক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় ৷

সুন্দর থাকুন ৷

১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই, সুপ্রিয়।

শুভরাত্রি।

১০| ১১ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ধুর !! একটা মন্তব্য করলাম!! পেইজ এমনেই লোড হয়ে হারিয়ে গেলো।

কাফকার স্কেচগুলো ভালো লেগেছে। প্রথমটি একটু বেশিই দারুণ.........

অনুবাদে উত্তম জাঁঝা B-)

১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হুম, নতুন ভারসনে এরকম প্রব্লেম হচ্ছে কিছুটা।

জাঝা আনন্দের সাথে নিলাম B-)

১১| ১১ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

অপ্রতীয়মান বলেছেন: চমৎকার অনুবাদ।

ভালো লেগেছে :)

১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:২৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ অপ্রতীয়মান।

১২| ১১ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১

জেন রসি বলেছেন: চমৎকার অনুবাদ :)

বইয়ের লিংক দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। :)

১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:২৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :) :)

১৩| ১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৫২

জেন রসি বলেছেন: সিডনি শেলডনের কোন বইটি অনুবাদে হাত দিয়েছেন?

আমিও কয়েকটা পড়েছি।

১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৩০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ঈশ্বরদের প্রিয় বায়ুকল - উইন্ডমিলস অফ দ্য গডস। প্রব্লেম হচ্ছে শেল্ডনের ১৫ না ১৬টা নভেলের মধ্যে ১০-১২টার মতো অনুবাদ হয়ে গেছে। হাত দেওয়াই দুস্কর।

আপনার ভাল লেগেছে কোনটা কোনটা?

১৪| ১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: কাফকা এত বিখ্যাত একজন লেখক অথচ তার লেখার পরিমাণ এত অল্প, জানতাম না। সুতরাং সম্মান পরিমাণের উপর নয় মানের উপরই নির্ভর করে।

১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৩২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সত্যি। কোয়ানটিটি না, কোয়ালিটিই আসল।

১৫| ১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৫২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।

১৬| ১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

জেন রসি বলেছেন: আমি Bloodline ,Are You Afraid of the Dark?,The Doomsday Conspiracy ,Windmills of the Gods , Morning, Noon & Night,Memories of Midnight, The Other Side of Me পড়েছি।

১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমি তো মাত্র তিনটা পড়েছি B-)B-)B-)

১৭| ১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:২৬

জেন রসি বলেছেন: The Other Side of Me শেলডনের আত্মজীবনী :)

পড়া না থাকলে পড়ে ফেলেন।

১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আচ্ছা। রিডিং লিস্টে রাখলাম।

১৮| ১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৩৪

নক্ষত্রচারী বলেছেন: অনুবাদ আমাকে সবসময়ই টানে :)

এইবারের বইমেলায় কাফকাসমগ্র কিনতে চাইসিলাম । কিন্তু দাম দেখে আর সাহসে কুলায় নাই :||

সেক্ষেত্রে আপনার কাছে কৃতজ্ঞ ।
ভালো থাকবেন প্রফেসর ।

১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মাঝেমধ্যে অনুবাদ দিয়েন কিছু।

আপনিও ভাল থাকবেন নক্ষত্রচারী!

১৯| ১২ ই মে, ২০১৫ রাত ২:১৫

অক্টোপাস পল বলেছেন: অসাধারণ! হামা ভাইয়ের সাথে মিলিয়ে বলি প্যারাবলগুলোর অনুবাদ "কাফকা সমগ্রের" চেয়ে অনেক অনেক ভালো হইছে। গ্রেগর সামসা এবার আপনার কলমে কথা বলুক। অনেক অনেক শুভকামনা।

১২ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৪৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ :) শুভকামনা আপনার জন্যেও।

২০| ১২ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:১৩

নাসরীন খান বলেছেন: ভাল লাগল অনুবাদটি।

১২ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

২১| ১২ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু ,



এখন অনেকের হাতে তলোয়ার আছে, কিন্তু কেউ নেই যে পথ দেখাবে, তারা সেই তলোয়ার কেবল শূন্যে তুলে নাচায়; সেই তলোয়ার দেখে এগোতে গেলে দেখবেন আপনার সব কিছু তালগোল পাকিয়ে গেছে।

কাফকা হয়তো আমাদের রাজনীতিকেই ইঙ্গিত করে গেছেন .....।

১২ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হয়তো। মিল খেয়ে যায় ঠিকঠাক।

২২| ১২ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:০৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর অনুবাদ, ভাল লাগল্

১২ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী!

২৩| ১৩ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:২৬

আমি তুমি আমরা বলেছেন: চারটি গল্প অসাধারন লাগল। নতুন উকিল বুঝতে পারিনি।

সমগ্রের লিংকের জন্য ধন্যবাদ :)

১৩ ই মে, ২০১৫ রাত ১:১০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নতুন উকিল মোটামুটি রূপক-গদ্য বলা চলে। দেখান হচ্ছে প্রাক্তন যুদ্ধের ঘোড়া এখন আইনি-বইয়ের মাঝে শান্তি খোঁজে। শান্তির সময়ে সৈনিক যেমন অপ্রয়োজনীয়, ঘোড়ারও তেমন অবস্থা। তাই সে নতুন সমাজে টিকে থাকতে নিয়ম শিখে নিচ্ছে ধৈর্যের সাথে। বাস্তব জীবনে বুসেফেলাস নাকি ছিল বুনো স্বভাবের, আলেকজান্ডার ছাড়া আর কেউ তাঁকে পোষ মানাতে পারত না। আর এখন সেই বুসেফেলাস সুবোধ বালকের মত শান্ত নিস্তরঙ্গ জীবনযাপন করে। কারণ তাঁকে টিকে থাকতে হবে এই নতুন জগতে। বুসেফেলাস স্বয়ং এখানে যুদ্ধের রূপক। এখানে বোঝানো হচ্ছে যুদ্ধের চেহারা পরিবর্তনের কথা, আগে যুদ্ধ হত মুখোমুখি- এখন যুদ্ধ হয় আড়ালে আড়ালে, লুকিয়ে থেকে। সময় বদলায়, যুদ্ধের নিয়ম বদলায়, কিন্তু আমরা, অভিশপ্ত মানুষেরা, কখনো বদলাই না।

লিংক দেওয়াটা আশা করি বেআইনি না, কাফকা তো বহু আগের রাইটার। ধন্যবাদ :)

২৪| ১৩ ই মে, ২০১৫ রাত ২:২৪

একলা ফড়িং বলেছেন: জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন: বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রতি দশ দিনে কাফকার ওপরে গড়ে একটি করে বই বের হয়!!


প্রথম এবং শেষ স্কেচ বেশি ভালো লেগেছে! নতুন উকিল প্রথমে আমিও বুঝতে পারিনি! এখন পারলাম। অনুবাদে প্লাস! :)

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৪০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দেরিতে উত্তর দেবার জন্যে ভীষণ দুঃখিত।

ধন্যবাদ :)

২৫| ১৩ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

অপরাজিতা নীল বলেছেন: চমৎকার !!

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :)

২৬| ১৩ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

বিদগ্ধ বলেছেন: প্রথম গল্পের পটভূমিটি আমার বেশি পছন্দ হয়েছে। আইন তো এরকমই, তাই না?
দারোয়ানের শেষ কথাগুলো বেশ কাব্যিক।
আপনি ভালো অনুবাদ করেছেন।

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হ্যাঁ, প্রাণহীন।

ধন্যবাদ বিদগ্ধ।

২৭| ১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:০৯

আলোরিকা বলেছেন: সুন্দর , ঝরঝরে অনুবাদ ...... :) 'হ্যাঁ, দুজনেই ঠিক বলেছি, কিন্তু এই অপ্রীতিকর সত্যটা মাথার ভেতর গেড়ে বসার আগেই কি আপনার মনে হয় না- এখন ভালমতো আমাদের যার যার রাস্তায় কেটে পড়া উচিৎ? ' .... চমৎকার !

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৪৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্যে, আলোরিকা।

২৮| ১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:২৬

দীপংকর চন্দ বলেছেন: সাবলীল অনুবাদে মুগ্ধতা!!

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।

ভালো থাকবেন অনেক। সবসময়।

এটা ঠিক যে এখনও কেউ কেউ জানে কিভাবে মানুষ মারতে হয়; ভোজসভায় পাশে বসা বন্ধুকে বর্শা দিয়ে বিদ্ধ করে রক্তাক্ত ভালবাসা জানানোর রীতি এখনও বিলুপ্ত হয় নি পুরোপুরি;

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনিও ভাল থাকবেন দীপঙ্কর।

২৯| ১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:১৪

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: প্রিয় প্রফেসর, অনুবাদ আপনার বিশেষ শক্তির জায়গা। এ নিয়ে আপনার সাথে পূর্বেও আলাপ হয়েছিল। পরে সাহস সঞ্চয় করে নিজেও করে ফেলি কিছু অনুবাদের কাজ।

গল্পগুলো পড়লাম। অনুবাদের সাবলীলতা আলাদা ভাবে স্পর্শ করে। কাফকায় চিন্তার সুক্ষতাটুকু অনুবাদের ক্ষেত্রে তুলে আনা মুশকিল। অন্তত আমি অনুভব করেছিলাম ।

প্রথম গল্পটা আমিও অনুবাদ করেছিলাম, কিন্তু আপনার মত সাবলীল হয় নি বলেই বোধ করি।

আপনি অনুপ্রেরণা। আপনার লেখা নবীন লেখকদের জন্যে পাঠশালা।
সর্বদা শুভকামনা।

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার কাজ দেখেছি। অটোগ্রাফ নিতে হবে :)

হ্যাঁ, সাবলীলতা তুলে আনাটা কষ্টের। আপনি করেছেন, আপনি বুঝবেন। যথেষ্ট সাবলীল ছিল, আমি আপনার যেটা পড়েছিলাম।

আপনাকে পাওয়া সব সময়ই আনন্দের, সাজিদ।

শুভরাত্রি।

৩০| ১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৫০

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: চমৎকার!

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ!

৩১| ২৬ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: কাফকা আধুনিক নষ্ট সভ্যতার রুপকার ।
সুন্দর আমের ভেতরে লুকিয়ে থাকা পোকাগুলো তার লেখনীতে ভালভাবে
চিহ্নিত হয়েছে।
, এত জীবন্ত , এত স্পষ্ট ।
আপনার অনুবাদ বরাবরের মতই চমৎকার ও সাবলীল/
]অনুবাদের ফাকে ফাকে প্রফেসর সাহেবের লেখা পেলে মন্দ হত না :)
ভালো থাকবেন ।
নিরন্তর শুভকামনা ।

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাল বলেছেন মাহমুদ। একটা গল্প দিব ভাবছি।

শুভেচ্ছা আপনার জন্যে।

৩২| ১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:৪১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সুন্দর অনুবাদ| সাজিদ উল হক আবির ভাইও একটা অনুবাদ করেছিলেন মনে আছে| আরো লেখা চাই আপনার কাছে

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চেষ্টা করব অবশ্যই। ধন্যবাদ।

৩৩| ২৪ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩০

উর্বি বলেছেন: দারুন।। খুব ভালো লাগল

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: খুশি হলুম।

৩৪| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:২৭

ডি মুন বলেছেন: চমৎকার অনুবাদ। জীবন্ত ।
++++

'আইনের দ্বারে' ও 'তিতে প্রত্যাখ্যান' - খুব ভালো লাগল।

শুভেচ্ছা রইলো :)

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৫১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :) কি অবস্থা আপনার? ভাল আছেন তো?

৩৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:২২

ক্যাটম্যান বলেছেন: সুন্দর অনুবাদ|

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: :)

৩৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

কালীদাস বলেছেন: কাফকা আমার জন্য অতি উঁচু দরের জিনিষ, কমেন্ট করার ঘিলু আমার নাই! তবে আপনার জন্য একটা ছবি রেখে যাচ্ছি, চার্লস ব্রিজ থেকে তোলা কাফকা মিউজিয়ামের একপাশের ছবি :)

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আরে বাপস, থ্যাঙ্কিউ থ্যাঙ্কিউ!

৩৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: চমৎকার পোষ্টে ভালোলাগা। ও অজস্র ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ধন্যবাদ!

৩৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৭

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: কাফকার গল্পগুলোকে হজম করা কঠিন ।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হ্যাঁ, লেখার ধরণ আর থিম সবই ভিন্ন ধাঁচের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.