![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব একটা ভাল মানুষ নই, অমানুষদের বিরুদ্ধে ভাল মানুষি ব্যবহার করার মানসিকতা কখনোই ছিল না। নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব মনে করি ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের ছাত্রত্ব পাওয়া।\\n\\nএকদিন সাড়ে তিন হাত ঘরে যেতে হবে তবে সেজন্য প্রয়োজনীয় কাঠখড় এখনো সংগ্রহ করা হয় নাই, সাধারন ক্ষমার আশায় বসে আছি।\n\nহার্ভার্ডে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়া সৌভাগ্যবানদের একজন হতে পারায় সৃষ্টিকর্তার নিকট বরাবরের মতই কৃতজ্ঞ, বুয়েনস এইরেসের একটি অখ্যাত প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার বিজ্ঞানের ওপর অধ্যাপনা করছি।\n\nঅগনন মাইল দূরে বসে থেকেও লাল-সবুজের টানে আজও সমান উন্মাদনা কাজ করে, বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানোর সময় যেমনটি কাজ করেছিল।\n\nএরকমই খুবই সাধারন তবে ভীষন রগ চটা মানুষ আমি। বন্ধুভাগ্য কখনোই ভাল না, তবে পরিবর্তন হয়ত আপনাদের হাতেই।
'মুসলমানের বাংলায় নাস্তিকদের ঠাঁই নাই'- চারদিক থেকে এই শ্লোগান উঠছে। কিন্তু আবেগপ্রবন জনতার দাবী সম্ভবত ইসলামকে ছাড়িয়েই যাচ্ছে। একটু মাথা খাঁটিয়ে দেখা যাক, আসলে ইসলাম এপ্রসঙ্গে কি বলে।
ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হলে সেখানে বিধর্মীদের অবস্থান কি হবে? তাদেরকে কি দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে? রাসূল (সা) কি সেটাই করেছিলেন? ইসলাম কি তবে ইসলাম গ্রহনে মানুষকে বাধ্য করে?
একজন আল্লাহকে অবিশ্বাস করতেই পারেন। এই অধিকার আল্লাহ তাকে দিয়েছে। এতে সমাজ বা রাষ্ট্রে কোন বিশৃঙ্খলা তৈরী হয় না। কোন আইন অনুসারেই, এমনকি ইসলামী আইন অনুসারেও আল্লাহতে বিশ্বাস না আনা কোন অপরাধ না। অপরাধ হবে তখনই যখন অন্য কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া হবে।
তাহলে আজ যারা নাস্তিকদের উতখাত করতে চান তারা কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন? ইসলামের বাহিরে যেয়ে ইসলামের প্রতি এই ভালবাসা হাস্যকর। উগ্রপন্থা পরিহার করে ইসলামের দিকে ফিরে আসুন। ব্লাসফেমী আইন প্রবর্তনের দাবী জানান, এই উদ্ভট ইসলাম বহির্ভূত কীর্তিকলাপ করে মুসলিম বিশ্ব ও ইসলামকে হাসির পাত্র বানানোর কর্মকান্ড বন্ধ করুন।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর কর্মকান্ডে আমি আসলেই হতাশ। আমার আশা ছিল তারা অন্তত এ বিষয়টা এভাবে হালকা চোখে না দেখে ভালভাবে পর্যবেক্ষন করে সিদ্ধান্ত নেবে। ৪৭ এর দেশভাগ, কাদিয়ানী বিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে জামায়াতের অবস্থানের ফলে অন্তত আমরা অন্তত আশা করতে পারি যে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে সত্য কথাটা বলার সাহস ও যোগ্যতা অন্তত জামায়াতের আছে। অবশ্য জনগনকেই সর্বেসর্বা ভাবার নীতি গ্রহন করে থাকলে ভিন্ন কথা।
ইসলামী আন্দোলনের প্রেক্ষাপট বিচারে মোটামুটি সবাই এই প্রশ্নে একমত যে বর্তমানে বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলন মাক্কী যুগ অতিক্রম করছে। রাসূলুল্লাহর (সা) মাক্কী যুগের দিকে যদি আমরা তাকাই তাহলে আবিসিনিয়ায় হিজরতকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ইসলাম ত্যাগ করে খ্রিস্টান হয়ে গিয়েছিলেন। সহজার্থে তারা মুরতাদ হয়ে গিয়েছিলেন। কেউ ঐদেশী নারী বিবাহের উদ্দেশ্যে, কেউ অন্য কোন উদ্দেশ্যে।
এখন প্রশ্ন হল, এই মুরতাদদের ব্যাপারে আল্লাহ কিংবা রাসূলের (সা) সিদ্ধান্ত কি ছিল? তাদেরকে কি হত্যা করা হয়েছিল? নাকি তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল?
ইসলাম বাদ দিয়েও, সাধারন দৃষ্টিকোন থেকে লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসির দাবীতে আন্দোলন আর শাহবাগের ফ্যাসিজমের মধ্যে আমি আসলে খুব একটা পার্থক্য করতে পারছি না। আইন প্রনয়নের দাবীতে বা আইনের প্রয়োগের দাবীতে আন্দোলন হতে পারে। কিন্তু আদালত কি রায় দেবে তা জনগন বলে দেবে এটা হতে পারে না। অন্তত এই ক্ষেত্রে গনতন্ত্র খাটে না।
আমি খেয়াল করছি যে কিছু নতুন গজিয়ে ওঠা ইসলামী দল নিজেদের ব্র্যান্ডিং এর জন্য জনগনের হুজুগে সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে এই ইস্যুতে মাঠ গরম করছে। নিয়্যতের ওপর অযাচিত হামলার জন্য দুঃখিত হলেও এটা ছাড়া আরেকটি কারনেই তারা এধরনের উন্মাদনা প্রদর্শন করতে পারে। তাহল, ইসলামের যথার্থ জ্ঞান না থাকা
মুরতাদ হওয়ার শাস্তি অবশ্যই মৃত্যুদন্ড। কিংবা আল্লাহ-আল্লাহ রাসূল (সা)কে কটুক্তি করার শাস্তিও মৃত্যুদন্ড। কিন্তু কখন? কোন প্রেক্ষাপটে? কেউ নবীকে (সা) কটুক্তি করল আর আমি গোপনে গিয়ে তাকে হত্যা করে দিয়ে আসলাম। এটাই কি ইসলামী বিধান?
©somewhere in net ltd.