নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজের চেহারার দিকে তাকিয়ে কিছুই দেখি না। তবে, মানুষ হয়ে মানুষকে ভুল বোঝা আমার স্বভাবে নেই, আপনার পেশা যাই হোক না কেন।

প্রসেনজিৎ হালদার

প্রসেনজিৎ হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর কতো!

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০

গল্পের বাহার আর কাদা ছোড়াছুড়ি। এই করেই মরছি। বিচিত্র বিনোদন। কখনো শুরুতে কখনো শেষে। বিনা দ্বিধায় যাকে সমস্যা হিসেবে দেখা যেতে পারে। সজনপ্রীতি-দুর্নীতি। ডালে-ডালে, শিরায়-শিরায়, পাতায়-পাতায়। রক্ষা পাওয়ার উপায় নেই। সবাই সজনের জালে বন্দী। সন্যাসী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রাক্তন মনীষীগণ অনেক কাব্য-প্রবন্ধ লিখে গেলেও তার বাস্তবিক রূপ কেউ দিতে পারেনি আজও।

কি দরকার আছে সেগুলো হটিয়ে। আবার তো সে আগের জায়গায়ই পুরোনো জিনিস ফিরে আসে। পুরোনো জিনিস নতুন মোরকে। সেই প্রাচীন কাল থেকেই চলছে। প্রাচীন-মধ্য-আধুনিক নামের পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি মৌলিকের। শুরুতেও যেভাবে বংশবিস্তার হতো এখনো তেমনি। শুধু, বদলেছে ধারণা। আর কিছু নয়।

দিনের পর দিন, রাতের পর রাত। সময় কেঁদে যায়। প্রশ্ন করে, এ কেমন ব্যাপার? তাই হচ্ছে, যা হয়েছিল। সভ্যতার শুরুতেও ছিল হানাহানি, এখনো তাই। আর কতো!

না, এতোই সহজ! এখনো অনেক দেরী। দাবি সময়ের। কাঁদতে হবে, জাগতে হবে, হবে রক্তপাত। কিন্তু ‍উদ্ধারের রাস্তা একটাই। অমরত্ত্ব লাভ করলেও যে তা সময় মতো বিষাক্ত হয়, সে কথা প্রাচীন গ্রন্থগুলোতে সুন্দরভাবেই বলা আছে। কেউ খুঁজে পেয়েছে, কেউ পায়নি। যে পেয়েছে তার আর সখ হয় না অমরত্ত্বের। আর যে পায়নি, সে দিনে দিনে আরো লোভী হয়। ঠিক, আমাদের চারপাশের মানুষগুলোর মতো।

বিপুল সম্পত্তি আর অক্ষত সম্মান নিয়েও এখানে প্রতিযোগিতা চলতে থাকে। যা উদ্দেশ্যহীন, ভিত্তিহীন। কেউই যে এর বাইরে নেই। আর অপেক্ষায় আছে অসংখ্য। আসবে বলে।

কেউ যুগ যুগ অপেক্ষা করে, তাকে শাস্তি দেওয়া হোক। তাতে যদি তার মুক্তি হয়। শেষে শাস্তি দিলে সে আরো বেশি বেপরোয়া রূপ ধারণ করে। সময়ের ঘন্টা বাজিয়ে, আবার তাকে থামিয়ে কেন্দ্রে পৌঁছানোর চিন্তা যে করে। তার শাস্তি চাওয়া এক প্রকার লোভ। সে পারেনি তার লোভ থেকে মুক্ত হতে। কিন্তু সে চায়, পারে না আসক্তিতে।

জানেন তো লোভের সীমানা উপেক্ষা করা কতো কঠিন। নিজেকে লোভী দাবি কেউ করে না, অথচ এর বাইরে কেউ নেই। ভাবার শক্তি-সামর্থ্য আছে অথচ আলসেমী। কখনো গ্রাস করে একাকিত্ত্বে, কখনো উৎসবের মাঝে। সবাই শেষে একা।

সভ্যতার সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে মানুষ। কারণ, তার হাতেই যে সভ্যতার বিবর্তন। কথায় আছে, ‘অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়লে, সে গর্তে নিজের পড়তে হয়ে।’ এ যে অমূলক কথা নয়। একটু হিসেব করে, একটু ভেবে দেখুন। মিলে যাবে, খুঁজে পাবেন। অনেকে এমন গর্ত খুঁড়ে, যে গর্তে নিজে পড়ে তার আর কখনো সেখান থেকে বেগ হওয়া সম্ভব হয় না। তাই বলি, আর কতো !!!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: একটি পিঁপড়া সহজেই পানিতে ডুবে যেতে পারে। তবে তারা দলবদ্ধ হয়ে পানিতে অনায়াসে ভেসে থাকতে পারে।

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪

প্রসেনজিৎ হালদার বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.