নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজের চেহারার দিকে তাকিয়ে কিছুই দেখি না। তবে, মানুষ হয়ে মানুষকে ভুল বোঝা আমার স্বভাবে নেই, আপনার পেশা যাই হোক না কেন।

প্রসেনজিৎ হালদার

প্রসেনজিৎ হালদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

তবে উপায়!

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

কি খুঁজছেন অন্ধের মতো? এতো সহজে ওই জিনিস মিলবে না। মাথা ঠুকে মরে গেলেও না। তবে, মৃত্যুর পর তা সম্ভবও হতে পারে। কারণ, এ ব্যাপারে কেউ সঠিক তথ্য জানে না। আরে হ্যাঁ, শান্তির কথা বলছি আমি। পেটে ক্ষুঁধা আছে, শান্তি নেই। মনে পীড়া আছে, অশান্তির বাসা। মুক্তি মিলবে না। তার চেয়ে বরং একটু ঘুরেই আসুন। দেখুন কাজ হয় কি না।

যাবেন কোথায়? জায়গা নেই, অশান্তি তাড়া করবেই। কখনো চাহিদার নামে, কখনো অভাবের নামে। কখনো টাকায়, কখনো সন্তানে। তার চেয়ে বরং ভাগাড়ে যান। কেউ বিরক্ত করবে না। মাঝে মধ্যে ময়লা ফেলবে, তারপর চলে যাবে। তবুও সেখানে নিরিবিলি থাকা যাবে।

খোলা জায়গার বিরাট অভাব। কোলাহল থাকেই। মানুষ ছাড়া জায়গা পাওয়াও মুশকিল। তবে, একটা বিশ্বস্ত জায়গাও আছে। সেখানে আমরা সবাই গেলেও হাতে সময় বেঁধেই যাই। কিছু করার নেই। পালানোর উপায়ও নেই। বরং, মোকাবেলা করাই সমীচিন। হেরে যাবেন, দ্বিধা ছাড়াই বলছি। কারণ, এত বল আপনার নেই। হাত দিয়ে পাহাড় ঠেলতে পারলেও। একাজ সম্ভব নয়।

কি চাই? অঢেল টাকা, সম্মান, অমরত্ব।সবই পাওয়া যায়। সময়ের ব্যাপার মাত্র।কারো অনেক টাকা, কারো প্রচুর সম্মান আবার অনেকে মৃত্যুর পরও অমর হয়ে আছেন। চেষ্টা করলে সবই সম্ভব। তবে, আম পাবলিক সম্মান-অমরত্বের আগে দাবি করে টাকা। ও জিনিস ছাড়া পেটে দানা পানি পড়ে না। আর খাবার না পড়লে, কিসের সম্মান! কিসের অমরত্ব! মৃত্যুই ভালো।

একদিন অনেক টাকা হলো, তারপর সম্মানের ভান্ডার, সঙ্গে অমরত্বও ফ্রি। হয়ে গেলো। বেঁচে আছেন হাজার বছর। এরই মাঝে স্বজন হারানোর যন্ত্রনা, অপ্রিয় জিনিসের প্রাপ্তি, অনাকাঙ্খিত জনের সঙ্গে মিলন। অমরত্বকে অন্ধকারে ঢেকে দেবে। শেষে আর উপায় নেই, মৃত্যুর রাস্তাও বন্ধ হয়ে যাবে। শেয়ে এগুলোই অভিষাপ। তবে কথাগুলো যে বহু পুরোনো তা নিশ্চিত হয়েই বলছি।

সত্যের ওপর আস্থা রাখা উচিত, সঙ্গে গায়ের জোরের ভরসা। দুটো থাকলে জীবনটা যুদ্ধ করে কাঁটালেও অশান্তিতে থাকবেন না- গুণীজনেরা বলেন। যখন কিছুই করা থাকে না। না বুদ্ধি, না শক্তি। তখন উপায়টা কি? এর উত্তর খুঁজে পাওয়া মুশকিল। হয়তো অনেকেই জানেন। কিন্তু, বেশিরভাগ লোকই জানেন না। জানবার সময়ই বা কোথায়। পুরোনো কাজ করেই মরতে হবে- “কোথায় অন্ন, কোথায় পয়সা”।

থেমে নেই কেউ। কারণ, সময় যে চলছেই। থামার উপায়ও নেই। একমুহুর্তে জন্ম, মুহুর্ত মুহুর্ত করতে করতেই জীবনের সময় শেষ। হাত-পা গুটিয়ে থাকলেও নির্দিষ্ট সময় পর দেহাবসান। সবচেয়ে সহজ যে সমাধান। অনাকঙ্খিত বা অপমৃত্যুগুলো বাদ দিলেও প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেন। তারাই মুক্ত এ অবিরাম ছুটে চলা থেকে। তা না হলে, ঘুমের মাঝেও স্বপ্ন আপনাকে ব্যস্ত রাখবেই।

একদিন, এক ভদ্রলোককে প্রশ্ন করে বিরাট বিপদ হয়েছিল। প্রশ্নটি এমন ছিল- ‘আপনি কি স্বপ্ন দেখেন?’। সে জানালেন আমার প্রশ্ন হয়নি। এরকম প্রশ্নে সে বিব্রত হয়েছিল বটে। কিন্তু, আমার লক্ষ্য ছিল এমন একটি প্রশ্ন। যেটি হবে ‘গাঁধা’র মতো। যদিও এমন প্রশ্নের কথা কোথাও উল্লেখ নেই। বরং, এমন প্রশ্ন করা আমার কাছে এক রকমের বোকামী কারণ, চালাক হতে গেলে মানুষকে বোকা হতে হয়। তাই, চালাক হওয়ার আর ইচ্ছে নেই।

পারি না বলা যাবে না, করতে হবে। অন্তত চেষ্টা। এরপর যা হবার হবে। শত শত ঘুড়ি বানিয়েও যদি সেগুলো আকাশে ভালোভাবে না ওড়ে, এ দায় নিশ্চয়ই তার হাতের। কারণ, হাত দিয়েই বানানো হয়েছিল ঘুড়িগুলো। গাফিলতি করা হয়নি সেখানে, শুধু মাঁপঝোকের অভাব ছিল। শেষ পর্যন্ত যখন হলো, তখন আর ওড়ানোর সময় নেই। তখন অন্য হিসেবে ব্যাস্ত হতে হয়।

জীবন বিধান খুব সহজ কাজ নয়। এ কথা মানা না মানা প্রত্যেক মানুষের একান্তই ব্যক্তিগত। তবে, বিধান যে মানতেই হবে। রাতে ঘুমোতে হবে, সকালে কাজ করতে হবে। এই করতে হবে, সেই করতে হবে। আরো কতো কি। সবাই তো করে, মানে বাধ্য হয়। খুব সখ, এমন একটি লোককে দেখবো- যে না করেও টিকে আছে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা তো ভালো। কোনো মন্তব্য নেই কেন?

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা তো ভালো। কোনো মন্তব্য নেই কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.